মহানন্দা নদীতে ২ ও পাগলায় ডুবে ১ শিশুর মৃত্যু

241

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় মহানন্দা নদীতে ২ শিশু ও শিবগঞ্জে পাগলা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গেছে ১ শিশু। শনিবার উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের বজরাটেক এলাকায় বাগানঘাট্টি ঘাটে ও শিবগঞ্জের তর্ত্তিপুর শ্মশানঘাট এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনা ২টি ঘটে।
ভোলাহাটের মৃত শিশুরা হলেনÑ গোহালবাড়ী ইউনিয়নের রাধানগর কলোনী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জিহাদ (১২) এবং একই গ্রামের মো. সুবেদ মিস্ত্রীর ছেলে মাসুম (১২)। তারা বজরাটেক মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
শিবগঞ্জের মারা যাওয়া শিশুটি হলেনÑ উপজেলার কামারপাড়ার রূপ কুমারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা (১১)।
ভোলাহাটের স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাধানগর কলোনী গ্রামের পাঁচ বন্ধু মহানন্দা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে বল নিয়ে খেলা শুরু করে। খেলার একপর্যায়ে জিহাদ ও মাসুম নদীর পানিতে ডুবে যায়।
তাদের সাথে থাকা শামিম নামের এক শিশু জানান, আমরা বল চালাচালি খেলছিলাম। এমন সময় আমাকে নদীর গর্তে টেনে নিচ্ছিল। আমি অনেক কষ্ট করে উঠে যাই। কিন্তু পেছনে ফিরে তাকালে তাদের আর দেখতে পাইনি। আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেলে বাড়িতে এসে তাদের মা-বাবাকে বিষয়টি জানাই।
বিষয়টি জানার পরে নদীতে ছুটে যান পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা। দুপুর ১টার দিকে একজনকে উদ্ধার করলেও অন্যজনকে খুঁজে পায়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডুবে যাওয়ার স্থানে তল্লাশি চালায়। দুপুর আড়াইটার দিকে নিখোঁজ থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার মোসা. ওহিদা খাতুন জানান, আমার ডিউটির পূর্বে একজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে বাড়ি নিয়ে চলে যায়। আমি আসার পর আরেকজনকে নিয়ে আসা হয়। তাকে ইসিজি করানোর জন্য বাইরের ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।
ভোলাহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আগেই একজনকে উদ্ধার করেন।
ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহানন্দা নদীতে ২ শিশুর ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধর্মীয় উৎসব পালনে পাগলা নদীর তর্ত্তিপুর শ্মশানঘাটে পরিবারের সঙ্গে গোসল করতে নামে শিশু প্রিয়াঙ্কা। সাঁতার না জানায় নদীতে তলিয়ে যায় সে। খোঁজাখুজি করে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের চাচা নিশিত কুমার জানান, একটি ধর্মীয় উৎসবে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তর্ত্তিপুর শ্মশানঘাটে গোসলে যায় প্রিয়াঙ্কা।