ইসলামী বিশ্বাসে একত্ববাদের গুরুত্ব

22

পৃথিবীর সব নবী-রাসুল একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছেন। একত্ববাদ ইসলামী আকিদা ও বিশ্বাসের প্রাণসত্তা। পরিভাষায় তাওহিদ বা একত্ববাদ হলো আল্লাহ তাঁর নাম ও গুণাবলিতে, প্রভুত্ব ও উপাস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এক ও অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস স্থাপন করা। এ ক্ষেত্রে মানুষের মৌখিক স্বীকৃতিই যথেষ্ট নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বান্দার আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসের বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, তাওহিদ শুধু বান্দার এই স্বীকৃতির নাম নয় যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সব কিছুর প্রতিপালক ও মালিক। যেমনটি স্বীকার করত আরবের পৌত্তলিক মুশরিকরা; বরং আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, বিনয়, পূর্ণ আনুগত্য, নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত, নিজের কথা-কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রত্যাশা, তাঁর জন্য কোনো কিছু দান করা ও কোনো কিছু দান করা থেকে বিরত থাকা, আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও তাঁর জন্য ঘৃণা করা, পাপ ও পাপের উপকরণ পরিহার করাও তাওহিদের অন্তর্ভুক্ত। যে তাওহিদের এই মর্মার্থ যে অনুধাবন করল, সে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিম্নোক্ত বাণীর মর্মার্থ অনুধাবন করল। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম করেছেন, যে বলে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪২৩)
এ জাতীয় হাদিসগুলো বহু মানুষের ভেতর সংশয় তৈরি করে। ফলে তারা বলেন, এর দ্বারা চিরস্থায়ী জাহান্নাম উদ্দেশ্য। অথচ তাওহিদের সাক্ষ্য ব্যক্তির ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস ও আনুগত্য—সব কিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করে। যদি না ব্যক্তি তার সাক্ষ্য প্রদানে কপটতার আশ্রয় নেয়।