শিবগঞ্জে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা ও পাগলা নদীর পানি

262

উজান থেকে নেমে আসা পানিতে শিবগঞ্জে পদ্মা ও পাগলায় বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, দুলর্ভপুর, উজিরপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাঁকা ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ড ও প্লাবিত হয়েছে। ৪ টি ইউনিয়নে ৪০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ না হওয়ায় বন্যর্ঠুরা মানববেতর জীবনযাপন করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, পদ্মা বিপদসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২-১ দিনের মধ্যে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। গেল ৭দিন থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চারটি ইউনিয়নে প্লাবিত হয়েছে। পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, এ ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া তাদের চলাচলের পথ নেই। নলকূপগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে না। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণের দাবি করেছেন। এদিকে রোববার বিকেলে পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলাম। এ সময় বন্যা কবলিত মানুষের খোঁজখবর নেন। এছাড়া তিনি সবাইকে পানিবাহিত রোগ, সাপের কামড় হতে সর্তক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। পাশাপাশি পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলকে সর্তকতা থাকারও নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা প্রস্তুত করে সহায়তার আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী আসলাম হোসেন, পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ ওয়ার্ড সদস্যরা। অপরদিকে স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পানিবন্দী পরিবারের জন্য সাড়ে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।