যেখানে গেইল-রোহিতও মানরোর পেছনে!

372

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ড দলে সুযোগ না পাওয়ায় ‘ফ্রিল্যান্স’ ক্রিকেটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলিন মানরো। ভাগ্যিস, সিদ্ধান্তটা পাল্টেছিলেন! নইলে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি সেঞ্চুরির মালিক হতেন কীভাবে!
টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইলই শেষ কথা। তারপর বিরাট কোহলি, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কিংবা রোহিত শর্মাদের নাম উঠে আসতে পারে। মানরো বেশ মারকুটে ব্যাটসম্যান হলেও ঠিক তেমন নামডাক নেই, তবে গত এক বছরে দারুণ ধারাবাহিক। গত বছরের ৩ জানুয়ারি নেপিয়ারে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ‘ডাক’ মেরেছিলেন। তারপর মোট নয় টি-টোয়েন্টি ইনিংসে মানরো তুলে নিয়েছেন তিন-তিনটি সেঞ্চুরি! এর মধ্যে শেষটি এল গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মানরো ছাড়া তিনটি সেঞ্চুরি নেই আর কোনো ব্যাটসম্যানেরই। এ সংস্করণে দুটি করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ক্রিস গেইল, ম্যাককালাম, রোহিত শর্মা ও এভিন লুইস।
নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের মুখ দেখেনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টির কারণে প- হলে মান রক্ষায় শেষ ম্যাচটি জিততেই হতো ক্যারিবীয়দের। কিন্তু মানরো ঝড়ে তা আর সম্ভব হয়নি। তাঁর ৫৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর (২৪৩/৫) গড়ে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১৯ রানের এ জয়ে নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে।
কিন্তু সিরিজ জয়ের চেয়ে মানরো ঝড়ই বেশি কাঁপিয়েছে মাউন্ট মঙ্গানুইকে। ব্রাফেট-টেলর-বদ্রিদের বেধড়ক পিটিয়ে এ সংস্করণে মানরো তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দ্রুততম (৪৭ বল) সেঞ্চুরি। ১০ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তাঁর তিনটি সেঞ্চুরির মধ্যে দুটি-ই মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন মানরো। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে রাজকোটে।