পেনাল্টিতে আরও উন্নতি করতে চান মেসি

278

অভিমানে একবার জাতীয় দল ছেড়েছিলেন। দেশের টানে আবার ফিরেও এসেছেন। ৩০ বছর বয়সের মধ্যগগনে থেকে সেই মেসি এখনো খেলছেন দাপিয়ে। তাহলে অবসর প্রসঙ্গ উঠছে কেন? না অন্য কেউ নন, মেসি নিজেই কথা বলেছেন তাঁর অবসর, পরিবার ও আর্জেন্টিনা জাতীয় দল নিয়ে। সার্বিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ব্লিচ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আরও বলেছেন, পেনাল্টি নিয়ে কাজ করতে চান আরও।
৩০ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই মেসি জায়গা পেয়েছেন ইতিহাস-সেরাদের কাতারে। কিংবদন্তিরা যেমন হয়ে থাকেনÑসব সময়ই আরও ভালো করার ক্ষুধাÑমেসিও ঠিক তা-ই। এখনো চুটিয়ে অনুশীলন করেন। পারফরম্যান্সের খুঁটিনাটি ঠিক করে নিতে চান। পেনাল্টিতে মেসির সাফল্য কিন্তু যে কাউকেও ঈর্ষান্বিত করবে। ১০০ পেনাল্টিতে মাত্র ২২টি ব্যর্থতাÑসাফল্যের হার ৭৮ শতাংশ। কিন্তু মেসি এতেও খুশি নন। স্পটকিকে নিখুঁত হতে তাঁর ভাষ্য, ‘কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমি আসলে উন্নতির জায়গাগুলোতে নিখুঁত হতে চাই। যেমন ধরুন পেনাল্টি, এখানে আরও ভালো করা দরকার।’
কবে অবসর নেবেন, সে ব্যাপারে বার্সেলোনা তারকা কিছু বলেননি। কিন্তু অবসর-পরবর্তী সম্ভাব্য জীবন সম্পর্কে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারটির উক্তি বেশ দার্শনিকসুলভ, ‘অবসর নেওয়ার পর হয়তো কোচ হব না। তবে এখনো অনেক সময় আছে। হয়তো ভাবনাটা পাল্টাতেও পারি।’
বুট তুলে রাখার পর মেসি হয়তো তাঁর পরিবারকে আরও বেশি করে সময় দিতে চান। এ জন্যই কোচ হওয়া নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনা নেই বার্সা তারকার। তাঁর কাছে বাবা হতে পারাটা জীবনের অন্যতম সেরা অনুভূতি, ‘আমি নিখুঁত সাধারণ জীবনযাপন করি। হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে মনে হয় পরিবার নিয়ে রাস্তায় হাঁটার সময় ভক্তরা যদি আমাকে ছেঁকে না ধরত প্রতি পদক্ষেপে! পিতৃত্ব, মানে বাবা হতে পারাটা আসলে অবিশ্বাস্য অনুভূতি;এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা।’
টানা দুটি কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতাতে পারেননি মেসি। এর মধ্যে ২০১৬ কোপা ফাইনালের টাইব্রেকারে চিলির কাছে হারের পর অভিমানে জাতীয় দল থেকে তিনি অবসর ঘোষণা করেছিলেন। পরে অবশ্য ফিরে এসে আর্জেন্টিনাকে অনেক কষ্টে তুলেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। বাছাইপর্বের সেই চড়াই-উতরাই প্রসঙ্গে মেসির ভাষ্য, ‘বিশ্বকাপে থাকতে না পারলে সেটা হতো পাগলামি। আমাদের দলটা চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার যোগ্য। বিশ্বকাপ (২০১৪) এবং দুটি কোপা আমেরিকায় যা ঘটেছে, সেটা ছিল অবিচার। আমরা এ বিশ্বকাপেও (২০১৮) অনেক কষ্টে উঠেছি, আশা করি আবারও সুযোগ পাব।’