দুই দলেই তৃপ্তি-অতৃপ্তি

38

ম্যাচ শেষেও তৃপ্তি-অতৃপ্তির কথা শোনা গেছে দুই শিবিরেই। কার্লো আনচেলোত্তি যেমন বলেছেন, ‘আমরা আরো ভালো খেলতে পারতাম। আজ আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি।’ আবার তাঁর কণ্ঠেই শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটা পাওয়ার তৃপ্তি, ‘২-১ হয়ে যাওয়ার পর খেলাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। জয়ের ছবি আঁকছিল রিয়াল মাদ্রিদ, জিততে পারত বায়ার্ন মিউনিখও। শেষ পর্যন্ত যা হলো তাতেও খুব একটা অখুশি থাকার কথা নয় দুই দলের। নিরপেক্ষ দর্শকদের তো বরং একটা রোমাঞ্ছকর ম্যাচ দেখার আনন্দ। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের মঞ্চে ইউরোপীয় দুই হেভিওয়েট দলের কাছে এমনটাই তো প্রত্যাশা। কিন্তু ঐ সময়টাতেই আমরা আমাদের শক্তি ঢেলে দিয়েছি, আমাদের চরিত্র প্রকাশ করেছি। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় ভাগটা সত্যি ভালো ছিল।’ওদিকে হ্যারি কেইনের অতৃপ্তি ২-১ হয়ে যাওয়ার পর আরো এক গোল করে ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যেতে না পারায়, ‘২-১ হয়ে যাওয়ার পর আমরা আরো দুই-তিনটা খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। সেগুলো কাজে লাগাতে না পারা সত্যিই খুব হতাশার। আর রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলের বিপক্ষে তা করতে না পারলে তার মাশুল দিতে হয়।’ আবার এই ম্যাচ থেকেই আত্মবিশ্বাস নিচ্ছেন তিনি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, ‘ওখানে কাজটা ভীষণ কঠিন। কারণ আমরা রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাস জানি। তবে আজকের ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই নেওয়ার আছে। ওখানে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কিছু বিষয় আমাদের শুধু ঠিকঠাক করতে হবে। বায়ার্নের মাঠে সমতা এলে দুই লেগের এই লড়াইয়ে রিয়ালের এগিয়ে থাকা। তবু প্রথম লেগের ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে দুই কোচই নিশ্চয়ই কাজ করবেন। অ্যারিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরুতেই স্বাগতিকদের আক্রমণের মুখে নিজেদের কোণঠাসা হয়ে পড়া নিয়ে রিয়াল কোচ বলছিলেন, ‘আমাদের লো ব্লকের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যেমন একাগ্রতা নিয়ে খেলতে হয়, প্রতিটা ডুয়েল জিততে হয় বা জেতার চেষ্টা করতে বা সেকেন্ড বলগুলো জিততে হয়- সেভাবে আমরা খেলতে পারিনি। সে কারণে শুরুর দিকে সমস্যাটা হয়েছে।’ সেখান থেকে টনি ক্রুসের বুদ্ধিমত্তা আর বড় মঞ্চে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নিজেকে তুলে ধরতে পারার সক্ষমতা রিয়ালকে এগিয়ে দেওয়া। ম্যাচ শেষে কোচের প্রশংসাও পেয়েছেন এই দুইজন, ‘ক্রুসের পাসটা অসাধারণ ছিল। তবে ভিনিসিয়ুসও ঠিক সময়ে দৌড়েছে। ও শিখে গেছে কখন কিভাবে মুভ করতে হবে।’সেভাবে টমাস টুখেল পিঠ চাপড়ে দিতে পারেন লিরয় সানেরও। দ্বিতীয়ার্ধে বাঁ দিক থেকে সরে ডান দিক দিয়ে খেলা শুরু করেই একক নৈপুণ্যে অসাধারণ এক গোল করে তিনিই তো বায়ার্নকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন।