ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কোনের পদত্যাগ

222

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কোন পদত্যাগ করছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত স্টিল ও এ্যালুমিনিয়ামের ওপর ট্রাম্পের বড় ধরনের শুল্ক আরোপ পরিকল্পনার সঙ্গে লড়াইয়ে হারার পর গত মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হোয়াইট হাউসের প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে কোন বলেছেন, দেশের সেবা করতে পারা একটা সম্মান। গত বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তার টিমের একের পর এক শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করে চলছেন, এবার তার শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টাও ওই দলে যোগ দিলেন। মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থক কোন স্টিল ও এ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তার পদত্যাগের বিষয়টি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট ৫৭ বছর বয়সী কোন গত বছর ট্রাম্পের বড় ধরনের কর সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছিলেন। তবে তারা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন না বলে প্রচলিত ধারণা। গত মঙ্গলবার রাতে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কোনের পরিবর্তে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ‘শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিবেন’। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ট্রেড কাউন্সিলের পরিচালক পিটার নাভারো এবং রক্ষণশীল ভাষ্যকার ল্যারি কাডলো শূন্য হওয়া শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পদের ‘শীর্ষ দুই প্রার্থী’।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুল্ক বিতর্ক কোনের পদত্যাগে মূল ভূমিকা রাখলেও এটিই একমাত্র কারণ না। বেশ কয়েকটি ইস্যুর কথা উল্লেখ করে এক কর্মকর্তা বলেন, তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ছিল কর হ্রাস বিল, তাতে পাশ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা গত মঙ্গলবার ট্রাম্পকে জানালেও তারা দুজন কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার সম্ভাব্য পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
এক বিবৃতিতে কোন বলেছেন, এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি ভবিষ্যতে তিনি ও তার প্রশাসন ব্যাপক সফলতা অর্জন করবে। নিজের বিবৃতিতে ট্রাম্প তার পদত্যাগী এই অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে ‘বিরল প্রতিভা’ অবহিত করে প্রশংসা করেছেন।
বলেছেন, গ্যারি আমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে চমৎকার কাজ করেছে, ঐতিহাসিক কর হ্রাস ও সংস্কার বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে আমেরিকান অর্থনীতিকে ফের পুনরুজ্জীবিত করেছে।”
বিবিসি জানিয়েছে, কোনের পদত্যাগের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং গতকাল বুধবার দিনের বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।