চাঁপাইনবাবগঞ্জে আটশত পয়ষট্রি গ্রাম ও একশত গ্রাম হেরোইন বিক্রির জন্য হেফাজতে রাখার দায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের পৃথক দুটি মামলায় শান্ত আলী ও মো.নুহু নামে দুই ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে শান্তকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও দুই বছর এবং নুহুকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছযমাস কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সিনিয়র দায়রা জজ আদীব আলী আসামী শান্ত আলীর উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। অপরদিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম আসামী নুহু’র অনুপস্থিতিতে দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডিত শান্ত শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটী কমলাকান্তপুর বিশ^াসপাড়া গ্রামের একরামুল হকের ছেলে। অপরদিকে দন্ডিত নুহু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হরিষপুর ডাক্তার হাজীর টোলা গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) নাজমুল আজম বলেন, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী ভোররাতে নিজ শয়নকক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের অভিযানে ৮৬৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হয় শান্ত। এ ঘটনায় ওইদিন শিবগঞ্জ থানায় তাকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন র্যাবের তৎকালীন সিনিয়র ডিএডি রফিকুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২৬ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গণি শান্তকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৭ জনের সাক্ষ্য,প্রমাণ ও শুনানীর পর আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে শান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ।
অপর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) রবিউল ইসলাম রবু বলেন,২০১৬ সালের ২ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর বাঘের মোড় নামক স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ১০০ গ্রামে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হন নুহু। এ ঘটনায় ওইদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় নুহুকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন সদর থানায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক(এসআই) আমিনুল ইসলাম। ২০১৬ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(আইও) ও সদর থানার সদর থানায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক(এসআই) আলমগীর হোসেন নুহুকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৭ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানীর পর আদালত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রায় ঘোষণা করেন। ষ্টেট ডিফেন্স হিসেবে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড.সোহরাব আলী-২।
