এবার ত্রিপুরায় সাংবাদিক হত্যা

455

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মান্দাই এলাকায় পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনরতদের মারধরে শান্তনু ভৌমিক (২৮) নামের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার অদূরে মান্দাই এলাকায় সাংবাদিক শান্তনু ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ তুইপ্রার (আইপিএফটি) সড়ক অবরোধ কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। তরুণ এই সাংবাদিক স্থানীয় ‘দিনরাত’ চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার শান্তনু মান্দাই এলাকায় আইপিএফটি’র সড়ক অবরোধ কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় পুলিশের সামনে থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আন্দোলনকারীরা বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে আহত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ শান্তনুকে উদ্ধার করে আগরতলায় জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তারা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন রাজ্যের সাংবাদিকেরা। তাঁদের দাবি, এই হত্যার ঘটনায় আইপিএফটি সুপ্রিমো এনসি দেববর্মাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য পুলিশ প্রধান অখিলকুমার শুক্লা বলেন, দোষীদের শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে বেঙ্গালুরুতে গৌরী লঙ্কেশ (৫৫) নামের এক সাংবাদিককে গুলি হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা। গৌরী লঙ্কেশ ‘লঙ্কেশ’ নামের ট্যাবলয়েড চালাতেন। তাঁর বাবা একজন লেখক ছিলেন। এর ঠিক দুই দিন পর বিহারে পঙ্কজ মিশ্র (৪০) নামের আরেক সাংবাদিককে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি রাষ্ট্রীয় ‘সাহারা’ সংবাদপত্রের সাংবাদিক। আরওয়াল জেলা শহরের বাঁশি থানার কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পঙ্কজের কাছ থেকে এক লাখ রুপি ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ পঙ্কজকে পাটনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।