আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ৯৫০, আহত ৬০০ জনের বেশি মানুষ

127

আফগানিস্তানে পাকতিকা প্রদেশে ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৯৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬০০ জনের বেশি মানুষ। আজ ভোরে দেশটিতে এ ভূকম্পন আঘাত হানে। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬ দশমিক ১ । স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৯২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তালেবান কর্মকর্তারা দেশটির পূর্বাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার জন্য সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তালেবান নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা বলেছেন, ভূমিকম্পে শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী শরাফুদ্দিন মুসলিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অন্তত ৯৫০ জন নিহত এবং  ৬০০ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, পাকতিকা প্রদেশে মাটির তৈরি বাড়িগুলি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আহতদের উদ্ধারে তৎপর থাকতে দেখা গেছে উদ্ধারকারীদের। প্রত্যন্ত অঞ্চলে, হেলিকপ্টার দিয়ে হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় একজন চিকিৎসক বিবিসিকে জানান, বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে প্রদেশটির গায়ান ও বারমাল জেলায়। স্থানীয় মিডিয়া সাইট ইতিলাত-ই রোজ জানিয়েছে, গায়ানের একটি গ্রাম ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল করিমি এক টুইট বার্তায় লেখেন, দুর্ভাগ্যবশত, গতরাতে পাকতিকা প্রদেশের ৪টি জেলায় একটি প্রবল ভূমিকম্প হয়েছে, যার ফলে আমাদের শতাধিক দেশবাসী নিহত ও আহত হয়েছে এবং বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আমরা আরও বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে এসব এলাকায় দল পাঠানোর জন্য সব সাহায্য সংস্থাকে অনুরোধ করছি। তিনি আরো বলেন, ‘বিপর্যয় এড়াতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে প্রতিনিধি পাঠাতে প্রতিটি সাহায্যকারী সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছি।’ জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে সাত হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।  ইসলামাবাদ, মুলতান, ভাক্কর, ফলিয়ে, পেশোয়ার, মালাকান্দ, সোয়াট, মিয়ানওয়ালি, পাকপত্তন, বুনেরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে পাকিস্তানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।