আজ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দিন হবে রাতের মতো

29

দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে আজ। সোমবার বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। তবে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বাস্তবে এই বিরল ঘটনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে দেখা যাবে। বিজ্ঞানীদের মতে, গত ৫০ বছরের মধ্যে এবারে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দীর্ঘতম। সর্বশেষ ১৯৭৩- এ রকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব ও দৃশ্যমানতা নির্ভর করে পর্যবেক্ষকের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্যে। মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শক ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে, তখন পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে, তখনই গ্রহণ হয়। চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী সূর্যগ্রহণের ধরণ নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। আজ এপ্রিল সেই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে। এদিন আকাশে চাঁদের আকারও অন্যান্য দিনের তুলনায় বড় হবে। চাঁদের আকার সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট হলেও চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি রয়েছে। তাই তার ছায়া পৃথিবীর দৃশ্যপট থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেবে। এবারের সূর্যগ্রহণটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। আবার ২১৫০ সালে এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। সূর্যগ্রহণের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো- ঘটনার সময়। সূর্যের ১১ বছরের ঘটনাচক্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের সঙ্গে সূর্যগ্রহণটি মিলে যাবে। অর্থাৎ এ সময় সৌর ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে আরও বেশি সৌর কলঙ্ক এবং করোনা (সূর্যের বাইরের শ্বেত অংশ) দেখা যাবে।