01713248557

প্রভাস-দীপিকার সিনেমার আয় ১১৯০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

প্রভাস-দীপিকার সিনেমার আয় ১১৯০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে দক্ষিণী সিনেমার তারকা অভিনেতা প্রভাস। তার অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এ সিনেমায় তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, দীপিকা পাড়ুকোন, দিশা পাটানির মতো শিল্পীরা। করোনা সংকটসহ নানা কারণে পিছিয়ে যায় ৬০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমার মুক্তি। সব বাধা পেরিয়ে গত ২৭ জুন বিশ্বের ৫ হাজার ৬০০ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এটি। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা ভারতীয় সিনেমার তালিকায় ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ তৃতীয়। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে— ‘ট্রিপল আর’ ও ‘বাহুবলি টু’। স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা মুক্তির ১২ দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ৬১৯.৪ (গ্রস) কোটি রুপি। এর মধ্যে হিন্দি ভার্সনে আয় করেছে ২১৮.৯ কোটি রুপি, তেলেগু ভার্সনে ২৪৮.২ কোটি ‍রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৮৪৬.৪ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৯০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি)। হিন্দি ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা। পাশাপাশি তামিল, মালায়ালাম, কন্নড়, ইংরেজি ভাষায় ডাবিং করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এটি। তারকা বহুল এ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— ব্রহ্মানন্দম, কীর্তি সুরেশ, রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রমুখ। সিনেমাটির ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এ তালিকায় রয়েছেন— দক্ষিণের প্রখ্যাত নির্মাতা এস এস রাজামৌলি, বিজয় দেবরকোন্ডা, ম্রুণাল ঠাকুর, দুলকার সালমান, রাম গোপাল ভার্মা, মালবিকা প্রমুখ।

বুবলীকে চেনেন না মিমি!

বুবলীকে চেনেন না মিমি! ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন শবনম বুবলী। তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শাকিব। কিন্তু গণমাধ্যমের সামনে শাকিবের স্ত্রী দাবি করেই চলেছেন ‘বসগিরি’ সিনেমার এ নায়িকা। এদিকে ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব ও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জুটি বেঁধেছেন। একসঙ্গে দীর্ঘদিন শুটিং করার পরও নায়কের সাবেক স্ত্রী ও ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা বুবলীকে চিনলেন না মিমি। বুবলীর নাম উঠতেই অবাক বিস্ময়ে মিমি তার ‘তুফান’ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফীর কাছে জানতে চান- কে এই বুবলী? এমন ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় কলকাতায় তুফানের প্রচারে দেখা গেছে শাকিব ও মিমিকে। সেখানে সিনেমার প্রিমিয়ার শোর আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা। এ সময় এক সাংবাদিক শাকিবের কাছে মিমির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার কেমন ছিল, এ বিষয়ে জানতে চান। তা ছাড়া বুবলী সিনেমাটি দেখেছেন কি না সেটিও জানতে চান গণমাধ্যমের ওই কর্মী। সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শুনে কিছুক্ষণ চুপ ছিলেন শাকিব। কিছুটা হাসতেও দেখা যায় নায়ককে। এ সময় মিমির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মিমির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল উরাধুরা। এমন পরিস্থিতিতে মিমি পরিচালক রায়হান রাফীকে জিজ্ঞেস করেন- বুবলী কে? এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার

রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন বলেছেন, রোগী যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায় সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বটা আমার।  শনিবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই মেশিন, সিটি স্ক্যান নষ্ট এটা শুনতেও আমার কাছে খারাপ লাগে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমি করবো। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অনেক কষ্টে সময় বের করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ডিজি সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি। ওখানে আমরা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রেজেন্টেশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সেখানে বিস্তারিত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা যে প্রসিডিওর, মডেল তৈরি করেছি সেটা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে স্বাস্থ্যখাতে ভালো কিছু হবে। সামন্তলাল সেন আরো বলেন, দেশে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা থাকা সত্ত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশেই চিকিৎসা করেন। মাননীয় সংসদ সদস্যরা যার যার স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে যদি চেকআপ করান তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত হবে। দেশের চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে না। সভায় হাসপাতালের বিভিন্ন অসুবিধা ও লোকবল সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সীমিত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন,  একজন চিকিৎসকের জন্য আমি সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে চাই। মহিলা ডাক্তারদের রাতে ডিউটি করার সময় যাতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয় তার আমি জন্য কাজ করছি। তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন প্রসঙ্গে বলেন, আমি গতকাল চট্টগ্রামে একটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার মন খারাপ হয়ে গেছে। একটা হাসপাতালে যদি ইমার্জেন্সি ডাক্তার না থাকে, অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি থাকে তাহলে তারা রোগীকে কি সেবা দিবে। প্রাইভেট ক্লিনিক অবশ্যই চলবে আমি তার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু তাদেরকে সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইদের বলব আমি হাসপাতালে অভিযান চালাই না, পরিদর্শন করি। প্রত্যেকটা রোগী যাতে সুচিকিৎসা পায় সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। ডাক্তাররা কিভাবে কাজ করছে, তারা সুরক্ষিত আছে কি না সেটা দেখার জন্য আমি পরিদর্শনে যাই। দেশের চিকিৎসার মান উন্নত করতে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। তাহলে আমি আশা করি, দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে বিদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য দেশে আসবে।  চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাইনি চিকিৎসকরা ঢাকায় চলে যেতে চায় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই  যদি ঢাকায় যেতে চায় তাহলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ চলবে কেমন করে? এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটা অনুশাসন দিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, যার যেখানে পোস্টিং তার সেখানেই চাকরি করতে হবে। কেউ যদি যেতে না চায় বা আসতে না চায় তাহলে তাকে বলবা চাকরি ছেড়ে দিতে। যাকে যেখানে পোস্টিং দেওয়া হবে সেখানে তাকে যেতেই হবে। সুন্দরভাবে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে যাতে পোস্টিং দিতে পারেন সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাজ করছেন জানিয়ে বলেন, এটি অনেক বড় সময়সাপেক্ষ কাজ। আমি মাত্র ছয় মাস হলো দায়িত্বে আছি। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন আমি ঠিক করেছি ঢাকায় দুইদিনের বেশি থাকবো না। সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আমি নিজে গিয়ে দেখবো। এর পূর্বে পরিদর্শনের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিটের সাইট পরিদর্শন করেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছি। এটা যেহেতু একনেকে পাস হয়ে গেছে আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন, আমার ইচ্ছা আছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে থাকেন তখনই উনাকে দিয়েই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করানোটা। আশা করি উনারা দেশে ফিরে আসলে আমরা এটা করতে পারবো। এই মাসেই এটা করার চেষ্টা করবো আর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করবো। কারণ চাইনিজরা কমিটেড যে দেড় বছর থেকে দুই বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ করবে। একই সাথে আমরা জনবল যন্ত্রপাতি সব নিয়েই একসাথে কাজ করছি। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউরোলজি, পেডিয়াট্রিক, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ পরিদর্শন করেন।  পরিদর্শনকালে ও মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন, মো. মঈনুল আহসান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শাহরুখ খান বুঝে গেছেন নারী কী চায়!

শাহরুখ খান বুঝে গেছেন নারী কী চায়! বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের নারী ভক্তের অভাব নেই। তাকে একটু কাছ থেকে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন অসংখ্য নারী অনুরাগী। সিনেমায় শাহরুখের রোমান্টিক অভিনয় জয় করে নিয়েছে কোটি কোটি নারীর মন। বাস্তবেও নারীকে সম্মান করেন এই অভিনেতা। তিনি নাকি বুঝে গেছেন নারী কী চায়! স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান জানিয়েছেন, তিনি বুঝে গেছেন নারী কী চায়। এবং তিনি জানেন কীভাবে প্রেম করতে হয়। নারীরা তাকে কেন এতো পছন্দ করেন তাও নাকি জানেন এই অভিনেতা।  তিনি বলেছেন, ‘যেকোন বয়সের নারীর সঙ্গেই দেখা হোক না কেন আমি তাদের সম্মান করি আর এই কারণেই তারা আমাকে পছন্দ করেন। সারা জীবনে অনেক নারীর সঙ্গে কথা বলেছি, নেচেছি, কবিতা আবৃত্তি করেছি; মজা করেছি— কিন্তু তারা এসব কোনো কারণে নয়, আমার চেহারার কারণেও নয়; আমাকে পছন্দ করার কারণ হচ্ছে আমি তাদের সম্মান করতে জানি। এটাও ঠিক যে আমি জানি কীভাবে প্রেম করতে হয়।’ তবে শাহরুখ এও বলেছেন, নারী-পুরুষের সম্পর্কে জৈবিক চাহিদা থাকতেই পারে কিন্তু ভালোবাসার প্রথম শর্ত সম্মান। কোটি ভক্তের ভালোবাসায় সিক্ত এই অভিনেতা সিনেমাপ্রতি পারিশ্রমিক নেন দেড়শো কোটি রুপি। সর্বশেষ তাতে ডানকি সিনেমাতে দেখা গেছে।

১৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে চঞ্চল চৌধুরীর ‘পদাতিক’

১৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে চঞ্চল চৌধুরীর ‘পদাতিক’ দুই বাংলার দর্শকনন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী প্রথমবার ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় অভিনয় করেছেন। ‘পদাতিক’ সিনেমায় তিনি মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে ‘পদাতিক’ মুক্তির তারিখ। আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে সিনেমাটি। গতকাল সিনেমাটি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন পরিচালক। সৃজিত মুখার্জি ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন। পদাতিক সিনেমার একটি পোস্টারও শেয়ার করেছেন তিনি। প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’। গত মে মাসে সিনেমাটির টিজার প্রকাশ পেয়েছে। তারপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন সিনেমার অন্যতম প্রধান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তা ছাড়া প্রশংসা কুড়াচ্ছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জিও। এদিকে অনেকদিন পর এবারের ঈদে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ‘তুফান’ সিনেমায় তিনি শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও ‘তুফান’ মুক্তি পেয়েছে। সেখানেও ভালো চলছে। চঞ্চল চৌধুরী এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। নিউইয়র্ক থেকে তিনি গতকাল শিকাগোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, পদাতিক নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমার। প্রত্যাশা করছি পদাতিক দর্শকদের স্পর্শ করবে। পদাতিক সবার মন জয় করবে।

আপনার লজ্জা করে না, ঋতুপর্ণাকে শ্রীলেখা

আপনার লজ্জা করে না, ঋতুপর্ণাকে শ্রীলেখা রেশন দুর্নীতি মামলায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জেরার মুখে পড়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। ইডির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। এবার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ঝারলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ঋতুপর্ণার একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, চুরি না করলে টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছেন কেন? ৭০ লাখ টাকা তো মুখের কথা না। সাধারণ মানুষের থেকে চুরি করা টাকা। কেউ নিজের আয় করা টাকা এমনি এমনি দেবে না। এ ভিডিওতে হাত নেড়ে কথা বলতে দেখা যায় ঋতুপর্ণাকে। বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, ক্যামেরার সামনে হাত নেড়ে কি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন? আপনি অস্কার পাচ্ছেন না, আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। লজ্জা করে না? ঋতুপর্ণার বিষয়টি নিয়ে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নীরব থাকবে। এ তথ্য উল্লেখ করে শ্রীলেখা লেখেন, তারপরেও মিডিয়া এনাদের নাম্বার ওয়ান শিরোপা দিবে? আমার ইউটিউব ভিডিও নিয়ে মিডিয়ার এক অংশ এবং ইন্ডাস্ট্রি এনাদের হয়ে কথা বলবেন। এখন দুর্নীতির কোনো সীমা নেই। ছি! ধিক্কার জানাই। খেয়াল করে দেখবেন, আমার এই পোস্ট নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির লোকজন নির্বাক থাকবে। জুন মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে যান ঋতুপর্ণা। তাকে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জেরার পর ঋতুপর্ণা জানান, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তার কাছে যেসব নথি চাওয়া হয়েছিল, সেগুলো তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। এরপরই নাকি ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়ে ইডি বরাবর আবেদন করেছেন ঋতুপর্ণা। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সরাসরি কিছু বলেননি ঋতুপর্ণা। ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যর উপর ভিত্তি করে ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ২০১৯ সালে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে এ অভিনেত্রীকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।

আগেও দুই বিয়ে করেছিলেন চমকের স্বামী!

আগেও দুই বিয়ে করেছিলেন চমকের স্বামী! ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। সম্প্রতি ৯ টাকা কাবিন ও ৯০০ টাকার শাড়িতে বিয়ে করে আলোচনার জন্ম দেন তিনি। এই খবর নিয়ে যখন চমক একের পর এক মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময় সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চমকের স্বামী আজমান নাসিরের আগেও দুটি বিয়ে ছিল। দুই ঘরেই রয়েছে কন্যাসন্তান। ২০০৮ সালের ১০ জুন নাসিরের প্রথম বিয়ে হয়। এর মাস খানেক পর স্টুডেন্ট ভিসায় স্ত্রী সামান্তা ইসলামকে নিয়ে লন্ডনে পড়াশোনা করতে যান তিনি। অর্থের যোগান না থাকায় শেষ পর্যন্ত পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়েই দেশে ফেরেন তারা। এরপর ২০১১ সালের নভেম্বরে তাদের ঘরে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্যকোলাহলে ২০২০ সালের অক্টোবরে সামান্তার সঙ্গে ডিভোর্স হয় নাসিরের। প্রথম সংসারে থাকাকালীন সময়েই নাসিরের জীবনে আসে এক মডেল। ওই মডেল এখন চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। সেই মডেল কাম-নায়িকার ‘ডেডবডি’ নামে একটি সিনেমা মুক্তিও পেয়েছে। সেই প্রেম অবশ্য বেশিদিন টেকেনি। নাসিরের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না জানার পরেই কেটে পড়েন মডেল। এর মধ্যে লামিয়া ফারহিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাসির। লামিয়া সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। অর্থবিত্ত কোনো কিছুতেই কমতি ছিল না। নাসিরের প্রেমের ফাঁদে পড়েন তিনি। প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই বিয়ে সম্পন্ন করেন তারা। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই ঘরও আলো করে আসে কন্যাসন্তান। সংসার চলাকালীন নাসিরের সঙ্গে অভিনেত্রী চমকের পরিচয় হয়। যা নিয়ে তাদের সংসারে শুরু হয় টানাপোড়েন। দুজনই সিদ্ধান্তে আসেন বিচ্ছেদের। ২০২৩ সালের অক্টোবর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাদের। তার একবছর না পেরুতেই নাসিরের তৃতীয় স্ত্রী হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী চমক। এদিকে, চমকও ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেছিলেন। তার সাবেক স্বামীর নাম খান এইচ কবির। সেসময় তাদের কয়েকটি ছবিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও চমক দাবি করেছিলেন, ‘ছবির ছেলেটি তার প্রেমিক। ’ ওই ঘটনার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কৃত জায়েদ খান

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কৃত জায়েদ খান ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন। দেশ ও দেশের বাইরে নিয়মিত স্টেজ শো করছেন এই নায়ক। এবার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেলেন ঢালিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। গত ৩০ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কুইন্সের জ্যামাইকার অ্যামাজুরা মিলনায়তনে বসেছিল ‘ঢালিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’-এর ২২তম আসর। জায়েদ খান ছাড়াও বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এ পুরস্কার পেয়েছেন। বাবু জামান ও কণ্ঠশিল্পী জিনাত জাহান মুন্নির যৌথ সঞ্চালনায় এবারের ঢালিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস যারা পেয়েছেন তারা হলেন— তাহসান, আতিয়া আনিশা, মেহজাবিন চৌধুরী, তাসনিয়া ফারিণ, তানজিন তিশা, দর্শনা বণিক, মন্দিরা চক্রবর্তী, চঞ্চল চৌধুরী, বিন্দু কণা, সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা প্রমুখ।  শো টাইম মিউজিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর খান আলম বলেন, ‘একটানা ২২ বছর ধরে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করা সহজ কাজ নয়। তবু সকল চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমরা তা করতে পেরেছি। শুধু একটি বর্ষসেরা অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য একবছর ধরে টিম ওয়ার্ক করতে হয়। শো টাইম মিউজিকের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ঢালিউডের ২২তম আসর আশানুরূপভাবে সফল করতে সক্ষম হয়েছি।’ ধন্যবাদ জানিয়ে আলমগীর খান আলম বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি সফল করতে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা স্বার্থক হয়েছে। আগামীতেও বাংলা সংস্কৃতি ও বিনোদনপ্রেমীরা এভাবে ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদেরকে আরো উৎসাহিত করবেন। সকল পৃষ্ঠপোষক, শিল্পী, কলা-কুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ গত এক বছরে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ অন্তত ১০টি দেশে শো করেছেন জায়েদ খান। একটি শো শেষ হতে না হতেই আরেকটি শো শুরু হয়ে যায়।

গরুর মাংস রান্না বিতর্ক: ভয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না সুদীপা

গরুর মাংস রান্না বিতর্ক: ভয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না সুদীপা বাংলাদেশে রান্নার একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতার সঞ্চালক-অভিনেত্রী সুদীপা চ্যাটার্জি। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অভিনেত্রী তারিন জাহানের পাশে দাঁড়িয়ে গরুর মাংস রান্না করতে দেখেন সুদীপা। এরপর হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের রোষানলে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ ও খুনেরও হুমকি পাচ্ছেন। ভয়ে নিজের ছেলেকে স্কুলেও পাঠাতে পারছেন না। বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইনকে সুদীপা বলেন, ‘ভালো থাকার চেষ্টা করছি। এতদিন হয়ে গেল আজও আমার ছেলেটাকে স্কুলে পাঠাতে পারিনি। কিছু দিন পর হয়তো পাঠাতে পারব। পুলিশ খুব সাহায্য করছে। ওরা জানিয়েছে, নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’ এর আগে নেটিজেনদের রোষানল পড়ে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চান সুদীপা। তার ভাষায়— ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আগামী দিনে মাথায় রেখে চলব। আমার না সত্যি মাথায় আসেনি এটা হতে পারে।’ এরপর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপা চ্যাটার্জি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ বিতর্ক জন্ম দিতে ভালোবাসেন। এর আগেও এটা দেখেছি। তবে তারা কেউই সত্যিটাকে জানতে চায় না। কেউই দেখেনি নিজের চোখে। যতজন এই নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট করেছে, তারা জানেই না পুরো ব্যাপারটা। আমি না গরুর মাংস খেয়েছি, না গরুর মাংস রান্না করেছি।’ ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। তাদের দেশের জাতীয় খাদ্যের মধ্যে পড়ে গরুর মাংস। কারো ধর্মীয় রুচিতে বাধা দেওয়া আমার শিক্ষার মধ্যে নেই। আমি যদি নিজের ধর্মকে সম্মান করি, তাহলে অন্যের ধর্মাচরণে বাধা দিতে পারি না, এটা আমার মত।’ বলেন সুদীপা চ্যাটার্জি।

সালমানকে মারতে চুক্তি হয় ২৫ লাখে!

সালমানকে মারতে চুক্তি হয় ২৫ লাখে! বলিউড ভাইজান সালমান খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় বাড়ির বাইরে গেল ১৪ এপ্রিল গুলি চালানো হয়। এই ঘটনার মামলার চার্জশিট পেশ করেছে মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ৩৫০ পৃষ্ঠার চার্জশিটের সারাংশ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই ঘটনা পরিকল্পনাকারী হিসেবে ৫ জনের নাম এসেছে। এদের সবাই বিষ্ণই গ্যাংয়ের সদস্য। সালমান খানকে হত্যা করতে ২৫ লাখ রুপির চুক্তি করেছিল অভিযুক্তরা। এই চার্জশিটে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এই গ্যাং পাকিস্তান থেকে একে ৪৭, একে ৯২, এম ১৬ রাইফেল, তুরস্কের বিখ্যাত জিগানা পিস্তল আনিয়েছিল। এই জিগানা পিস্তল দিয়েই ২০২২ সালের ২৯ মে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুজওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, রীতিমতো নজরদারি চালানো হয়েছিল সালমানের ওপর। অভিনেতার চলাফেরার ওপর নজর রাখতে বেশকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল।   গেল ১৪ এপ্রিল ভোরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সালমানের বাড়ির বাইরে দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি চালায়। এরপর হেলমেটের আড়ালে মুখ ঢেকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা। এরপরদিন গভীর রাতে গুজরাটের ভুজ থেকে দুজন শুটারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।