হুমা কুরেশি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন

হুমা কুরেশি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন অনেক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। যদিও তারা এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি। এবার জানা গেল, দীর্ঘ দিনের কথিত প্রেমিক রচিতের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন হুমা কুরেশি। হুমা-রচিতের ঘনিষ্ঠজন হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “হুমা তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিক, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। হুমা ও রচিতের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, গায়িকা আকাসা সিংয়ের শেয়ার করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। এ ছবির ক্যাপশনে আকাসা লেখেন, “এক টুকরো এই স্বর্গের জন্য তোমাদের অভিনন্দন। দারুণ একটি রাত কেটেছে। এ ঘটনার কিছুদিন পর, হুমা ও রচিতকে একসঙ্গে দেখা যায় সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের বিয়েতে, দুজনেই সেদিন পরেছিলেন গোলাপী রঙের পোশাক। তাদের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং ভক্তরা দ্রুত অনলাইনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন এই রহস্যময় ব্যক্তিটিকে (রচিত) নিয়ে। সম্প্রতি, রচিতের ঘনিষ্ঠ একজনের জন্মদিন উদযাপনের সময় আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যায়, যা তাদের বাগদান নিয়ে জল্পনা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বাগদান নিয়ে নানা চর্চা চললেও টুঁ-শব্দটি করেননি হুমা কিংবা রচিত। রচিত সিংহ একজন নামকরা অভিনয় প্রশিক্ষক। রচিত সিং ওয়ার্কশপ নামে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি কর্মশালা পরিচালনা করেছেন রচিত। তার কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন গুলশন দেবাইয়া, ইমাদ শাহ, কুণাল কাপুর, পূজা হেগডে, হর্ষবর্ধন রানে, অমৃতা সুবাস, সহানা গোস্বামী, অহনা কুমারা, রণবীর সিং, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, অনুশকা শর্মা, অনীত পড্ডা, শানায়া কাপুরের মতো অভিনয়শিল্পীরা। এর আগে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মুদাসসার আজিজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। দীর্ঘ ৩ বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২২ সালের শেষের দিকে জানা যায়, ভেঙে গেছে এই সম্পর্ক।
নেপালে সরকার পতনের ঘটনায় আলোচনায় বলিউডের মালা সিনহা

নেপালে সরকার পতনের ঘটনায় আলোচনায় বলিউডের মালা সিনহা নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। এ নাম ঘোষণা হতেই আবারও আলোচনায় বলিউডের প্রয়াত অভিনেত্রী মালা সিনহা। কারণ, অনেক বছর আগে সুশীলার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি মালা সিনহাকে বহন করা বিমান ছিনতাই করেছিলেন! ১৯৭৩ সালের ১০ জুন। বিরাটনগর থেকে কাঠমান্ডুর পথে উড়ছিল রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইনসের একটি কানাডায় নির্মিত ১৯ আসনের টুইন অটার বিমান। বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বলিউড তারকা মালা সিনহা ও তার স্বামী, নেপালি অভিনেতা সি পি লোহানি।বিমানের ককপিট দখল করেন নেপালি কংগ্রেসের তিন তরুণ কর্মী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি, নাগেন্দ্র ধুঙ্গেল ও বসন্ত ভট্টরাই। পুরো পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন গিরিজা প্রসাদ কৌরালা, যিনি পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সুবেদি ছিলেন কৌরালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এই ছিনতাইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল রাজতন্ত্রবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য অর্থ জোগাড় করা। বিমানে সরকারের ৩০ লাখ রুপি বহন করা হচ্ছিল। ক্রুর সঙ্গে অল্প সময়ের টানাপোড়েন শেষে ছিনতাইকারীরা বিমানের পাইলটকে বাধ্য করেন ভারতের বিহারের ফরবিশগঞ্জে ঘাসের মাঠে নামাতে। সেখানে আগেই অপেক্ষা করছিলেন আরও পাঁচ সহযোগী, তাদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সুশীল কৌরালা। ছিনতাইকারীরা বিমানের ভেতর থেকে নগদ টাকাভর্তি তিনটি বাক্স নামিয়ে নেন। এরপর অন্য যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি আবার উড্ডয়ন করে। টাকা ট্রাকে করে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সুশীলা ভারতে পড়াশোনার সময়ই বারানসির বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএইচইউ) দুর্গা সুবেদির সঙ্গে পরিচিত হন। সুবেদির সেই অতীত এখন আবার আলোচনায়।
কোটিপতি তানিয়া স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন

কোটিপতি তানিয়া স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন নতুন করে আলোচনায় এলেন ভারতের গোয়ালিয়রের তরুণ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার তানিয়া মিত্তাল। মহাকুম্ভ সফরের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হন তিনি। এবার বলিউড অভিনেতা সালমান খানের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস ১৯’-এ অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার প্রশংসার চেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এসেছেন এই উঠতি তারকা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিগ বসের মঞ্চে এসে তানিয়া মিত্তাল জানান, তার রয়েছে ২৬ হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল বাড়ি এবং তার অধীনে কাজ করেন প্রায় ৮০০ কর্মী। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অসংখ্য দেহরক্ষী। নিজেকে একজন কোটিপতি বলেও দাবি করেন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো তার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি একেবারেই ভিন্ন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নিউস্কুপ-কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তানিয়া জানিয়েছিলেন, বেকার পুরুষকেও বিয়ে করতে তার আপত্তি নেই। এমনকি স্বামীর জন্য রান্না করা কিংবা তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও রাজি তিনি। সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না আদর্শ সঙ্গী আদৌ এই পৃথিবীতে আছেন কিনা। তবে যদি থাকেন, তিনি বেকার হলেও সমস্যা নেই। আমি প্রকাশ্যে তার পা ছুঁতে রাজি। আমার বিশ্বাস, সম্পর্কে বড়-ছোট বলে কিছু নেই। নিজেকে ‘হতাশ প্রেমিকা’ আখ্যা দিয়ে তানিয়া তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা স্মরণ করেন। তার কথায়, ‘আমি এমনই ছিলাম যে আমার বয়ফ্রেন্ড খাওয়া শেষ করলে তার হাত মুছিয়ে দেওয়ার জন্য গরম তোয়ালে এনে দিতাম। আমি জানি, বিয়ের পর আমার স্বামীর ক্ষেত্রেও একইভাবে করব। আমি চাই, তিনি যেন নিজেকে রাজা মনে করেন। তার কাছে বিয়েতে ধনী স্বামীর খোঁজ করাটা কোনও অগ্রাধিকার নয়। এ বিষয়ে তানিয়ার ব্যাখ্যা, ‘আমার তিনটি কারখানা আছে। আমি এমন কাউকে চাই না, যে আমার জন্য রোজগার করবে। বরং আমি মনে করি, পুরুষরা চায় সংসারে নিশ্চিন্ত থাকতে। তাই আমি রোজগারও করব, আবার স্বামীর জন্য রান্নাও করব। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরের সব কাজ জানি। আমার মতে, নারীবাদের নামে আমরা স্বামীদের ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছি, যা একদমই ঠিক নয়। দেবী সীতাও তো ভগবান রামের চরণ ছুঁয়েছিলেন।একই সাক্ষাৎকারে তানিয়া আরও জানিয়েছেন, জীবনের একটা সময় তিনি সত্যিই ধনী মানুষকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তখন তিনি এমন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, যিনি ছিলেন আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। তার ভাষ্যে, ‘আমি ভেবেছিলাম, যদি আমার ব্যবসা না চলে তবে তাকেই বিয়ে করব। কিন্তু এর আগেই তিনি সম্পর্ক ভেঙে দেন। তার মতে, আমি নাকি সুন্দর নই।
নুসরাত ফারিয়া অবশেষে গ্রেফতার ইস্যুতে মুখ খুললেন

নুসরাত ফারিয়া অবশেষে গ্রেফতার ইস্যুতে মুখ খুললেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। আকস্মিক এ ঘটনায় শোবিজ অঙ্গনে দেখা দিয়েছিল বিস্ময় ও ক্ষোভ। তবে মাত্র দুই দিন পরই জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে বেরিয়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন ফারিয়া। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন এটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। এরপর প্রায় চার মাস তিনি এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি। অবশেষে হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিনের পর গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী।নিউইয়র্কভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’-এর বিশেষ অনুষ্ঠান ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান-এ ফারিয়া বলেন, ‘এ রকম কিছু হবে আশা করিনি। কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। যার জীবন স্কিন কেয়ার, মেকআপ, একটু ঘোরাফেরা, শপিং করা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ভালো খেতে যাওয়া, এই ছোট ছোট জিনিস নিয়ে যে খুশি তার জীবনে এত জটিলতা! কী করবো না করবো এগুলো নিয়ে যখন চিন্তা করতে হয় তখন ভীষণ হতাশ হই। এরপর ফারিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, এটাকেই বড় হওয়া বলে। পরিস্থিতি মানুষকে বড় করে। আমার মনে হয় পুরো ঘটনাতে আমি অবশ্যই মানসিকভাবে বড় হয়েছি। এবং ওইটার (গ্রেফতার) পর এটা আমার প্রথম সাক্ষাতকার। আমি কোথাও কথা বলিনি। এমন না যে আমি কথা বলতে চাইনি। আমি এখনো কথার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কারো সঙ্গে হতে পারত। অনেকের সঙ্গেই হয়তো বা হচ্ছে, হবে। আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে আমি ভাগ্যবান। আমার কাজের মাধ্যমে গোটা দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যাদের দোয়া ভালোবাসার কারণে আমি আজকে আপনার (জায়েদ খান) সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন তাদের সবার দোয়া এবং ভালোবাসার কারণে কঠিন সময় পার করতে পেরেছি। হত্যা মামলায় জামিনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে নুসরাত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘তার (গ্রেফতার) ঠিক ১০-১৫ দিন পর থেকে আমি আবার কাজ করা শুরু করেছি। তবে পুরো ঘটনাটা আমাকে একটা জিনিস শিখিয়ে দিয়েছে, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। জীবন খুবই অস্থায়ী, অনিশ্চয়তা ভরা। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। এ জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। তুমি যদি সৎ থাকো তাহলে পৃথিবীর কোনো খারাপ শক্তি তোমাকে আটকে রাখতে পারবে না। তোমাকে বিপদের সম্মুখীন করবে কিন্তু সেই বিপদ থেকে সৃষ্টিকর্তা নিজেই তোমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবেন। এটা আমার জীবন থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা। সবশেষে দর্শক, সংবাদকর্মী এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, তারা যেভাবে একসাথে হয়ে আমার জন্য কথা বলেছেন। আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, জন্মের পর থেকে এখন অবধি যাদের চিনি প্রত্যেকটা মানুষ আমার জন্য কথা বলেছেন, কেঁদেছেন। শিল্পী নুসরাত ফারিয়া হিসেবে আমার মনে হয় না এর থেকে বড় অর্জন পাওয়ার আছে।
ফরিদা পারভীন শেষবারের মতো কুষ্টিয়ার পথে

ফরিদা পারভীন শেষবারের মতো কুষ্টিয়ার পথে লালন সংগীতের মধ্য দিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। পেয়েছিলেন লাখো ভক্ত শ্রোতার ভালোবাসা।জন্ম নাটোরে হলেও এই শিল্পীর শৈশব-কৈশোরের অনেকটা সময়ই কেটেছে কুষ্টিয়ায়। এছাড়াও লালনের গান করায় শিল্পীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শহরটিতে। যেখানে যেতেন, প্রাণ ভরে স্বস্তির সময় কাটাতেন। রোববার ১৪ সেপ্টেস্বর শেষবারের মতো ফরিদা পারভীন যাচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তবে আগের যাওয়া আর আজকের যাওয়ার মধ্যে যোজন যোজন ফারাক! হ্যাঁ, নিথর দেহে শেষবারের মতো কুষ্টিয়ায় যাচ্ছেন তিনি। লাশবাহী গাড়িতে চড়ে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে রওনা হয়েছেন এই শিল্পী। সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্য ও কিছু আত্মীয়-স্বজন। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টায় প্রয়াত হন দেশের কিংবদন্তী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। এরপর হাসপাতালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফরিদা পারভীনের শেষ ইচ্ছের বিষয়ে তার সন্তানরা বলেছিলেন, ‘আম্মার ইচ্ছে ছিল নানা-নানীর কবরে শায়িত হবেন। এছাড়া যখন আম্মা মাঝে চলাফেরা করতে পারতেন তখন উনি কুষ্টিয়া যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কুষ্টিয়াতে নিয়ে যেতে পারি নাই। এছাড়া তার কোনও উইশ ছিল না। শিল্পীর ইচ্ছে অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে শায়িত করা হবে। তবে তার আরেক ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল, জীবদ্দশায় শেষবার যাওয়া হয়নি সেখানে, যাচ্ছে তার নিথর দেহ। এর আগে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় বিলম্ব করে দুপুর ১২টার পর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় শিল্পীর মরদেহ। এদিন মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসেন অগুণতি মানুষ। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়িতে করে শিল্পীর মরদেহ কুষ্টিয়ায় পথে রওনা হয়েছে। ফরিদা পারভীনের মরদেহ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। প্রসঙ্গত, ফরিদা পারভীন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল সপ্তাহে দুদিন করে। তবে মাঝেমধ্যে অবস্থার অবনতি হত তার। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ গেল ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না তাকে।
মাহি আইটেম গানে

মাহি আইটেম গানে কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা না পেয়ে বিরহের আগুনে পুড়ছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। ভালোবাসার মানুষ তাকে ভালোবাসা না দিয়েই চলে গেছেন দূরে। এমনই কিছু কথা নিয়ে মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র প্রথম পর্বে একটি আইটেম গানে দেখা যাবে মাহিকে। সিরিয়ালে তার চরিত্র ঢাকাই সিনেমার ব্যস্ত নায়িকা তিতলি মির্জা! দীপ্ত টিভিতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারিত হবে ‘খুশবু’, সেখানেই এমন চরিত্রে আইটেম গানের শুটিংয়ে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। জীবনের কঠিন মুহূর্তে গ্রাম থেকে শহরে আসা এক তরুণীর নানা সংগ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই মেগাসিরিয়ালের গল্প। নানা পেশার মানুষের জটিল জীবন গল্পের ভিড়ে অনেকটাই অজানা থেকে যায় গার্মেন্টসকর্মী নারীদের কথা। এবার তাদের সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা ও ঘৃণার দিকগুলো উন্মোচিত হবে টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে। এর পাশাপাশি ‘খুশবু’তে থাকছে রুপালি পর্দার আড়ালে থাকা সিনেমার মানুষদের গল্পও। সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় ‘খুশবু’ নাটকে ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, ইন্তেখাব দিনার, নাজিয়া হক অর্ষা, মাইমুনা ফেরদৌস মমসহ আরো অভিজ্ঞ অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে দেখা যাবে সামিরা খান মাহিকেও। এর নাম ভূমিকায় দীপ্ত স্টার হান্ট বিজয়ী মিষ্টি ঘোষ ছাড়াও ‘খুশবু’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকছে আরেক বিজয়ী সাকিব হোসাইন, টপ পারফর্মার সায়র নিয়োগী, শেখ ফারিয়া হোসেন ও মারিয়া মউ। কাজী মিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত ‘খুশবু’র গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান হীরক ও আসফিদুল হক, সংলাপ লিখেছেন মারুফ হাসান। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ও রাত সাড়ে ১০টায় দীপ্ত টিভি ও দীপ্ত টিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে দেখা যাবে ‘খুশবু’।
লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন দিদারুল আলম লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীন, তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, লালনের গান ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। লালনের গানে অসাধারণ গায়কী প্রতিভা ছিল তাঁর। তাইতো তিনি ‘লালন কন্যা’ ও লালনের গানের ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে খ্যাত হন। লালন সাঁইয়ের ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, ‘বাড়ীর কাছে আরশীনগর’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’ সহ অসংখ্য গানকে তিনি তাঁর গায়কী ঢঙ দিয়ে কালজয়ী করেছেন। তাঁর গীত এসব গান শ্রোতাদের দিয়েছে গভীর মগ্নতা। লালনের আধ্যাত্মিক ও মানবতাবাদী দর্শন তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে আরো তীব্র ও গভীর হয়ে উঠেছে যা মানবাত্মাকে করেছে সমৃদ্ধ। ফরিদা পারভীন ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গানকে পরিচিত করে তোলেন। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়ে ছড়িয়েছেন লালনের দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান কেবল সংগীত নয়, হয়ে উঠেছে এক অনন্য জীবনদর্শন। পরে তিনি গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি। ফরিদা পারভীনের রক্তে ছিল গান। তাঁর দাদি গান করতেন। বাবার ছিল গানের প্রতি অনুরাগ। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে কিশোরী ফরিদা শুরু করেছিলেন পেশাদার সঙ্গীতজীবন। সেই থেকে শুরু, গতকাল অবসান হলো তাঁর ৫৫ বছরের এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের। ফরিদা পারভীনের প্রয়াণের মধ্যদিয়ে লালনসঙ্গীতের সুধাময় এক কণ্ঠের পরিসমাপ্তি হলো। তবে তার ধারণকৃত কণ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনকে প্রশান্তি দেবে অনন্ত কাল। লালনের গান গেয়ে ফরিদা পারভীন নিজেকে গগনস্পর্শী উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুধীজনের কাছে তিনি লালনসম্রাজ্ঞী। দেশের গানেও ছিল তাঁর অনন্য কণ্ঠ। তাঁর গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি আজও বাংলার মানুষকে স্মৃতিকাতর করে। নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন ছোটবেলায় ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায় সারাক্ষণ দৌড়ঝাঁপ আর খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দাদা ও নানাবাড়ির মাঝখানে ছিল এক নদ। আত্রাইয়ের সেই শাখানদের নাম ছিল গুর। ওই নদ পার হয়ে তরুণ ফরিদা দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যেতেন। নানার বাড়ির পাশে বিরাট এক বিল ছিল। শৈশবে খেলার সঙ্গী মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে সেই বিলে শাপলা তুলতে যেতেন। ফরিদার শৈশবের সময়টা তার কেটেছে মাগুরায়। স্কুলজীবনের শুরুটাও সেখানে। সে সময় ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকেছেন। পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলে। পরে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে ছিলেন ফরিদা। কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক। ওই শহরেই দীর্ঘদিন তিনি চর্চা করেছেন লালনগীতি। শৈশব থেকেই ফরিদা পারভীনের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীন রাজশাহী বেতারে নজরুলশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লালনগীতির সঙ্গে তার আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। তখন তিনি কুষ্টিয়ায়। সেখানে তাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তার কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শিখে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদাবক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসঙ্গীত শেখেন তিনি। এরপর পুরোই মগ্ন হন লালনসঙ্গীতে। ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। সেই সংসারে তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি। তার দ্বিতীয় স্বামী বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমায় ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের সম্মানসূচক ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতি, মৎস উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণ শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। সংগীত জীবনে তাঁকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উৎরাই। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাঁকে নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী।’ সূত্র: বাসস
অভিনেতার ইউ মেংলং ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু

অভিনেতার ইউ মেংলং ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু তিনি ছিলেন একাধারে জনপ্রিয় গায়ক, অভিনেতা ও মডেল। বলছি চীনের তারকা ইউ মেংলংয়ের কথা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরতরে বিদায় নিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে একটি বহুতল ভবন থেকে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। তার ব্যবস্থাপনা টিম এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অসহনীয় বেদনার সঙ্গে জানাতে হচ্ছে আমাদের প্রিয় ইউ মেংলং ১১ সেপ্টেম্বর একটি ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন। তিনি শান্তিতে বিশ্রাম করুন এবং তার প্রিয়জনরা শক্ত থাকুন। বিভিন্ন সূত্র জানায়, ৯ সেপ্টেম্বর ইউ মেংলং কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে এক বন্ধুর বাসায় আড্ডা দেন। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে তিনি নিজ কক্ষে চলে যান ও দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করেন। সকাল ৬টার দিকে বন্ধুরা যখন বিদায় নিতে প্রস্তুত, তখন কেউ মেংলংয়ের সাড়া না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। এক প্রতিবেশী, যিনি কুকুর হাঁটাতে বের হয়েছিলেন, ভবনের নিচে পড়ে থাকা দেহটি প্রথম দেখতে পান ও পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনায় প্রথম আলোচনার জন্ম দেয় এক পাপারাজ্জি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউ মেংলংয়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টটি মুছে ফেলেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়। ২০০৭ সালে ‘মাই শো, মাই স্টাইল’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু করেন ইউ মেংলং। অভিনয়ে অভিষেক হয় ২০১১ সালে, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লিটল প্রিন্স’-এ। এরপর তিনি একে একে ‘গো প্রিন্সেস গো’, ‘লাভ গেম ইন ইস্টার্ন ফ্যান্টাসি’, ‘ফিউড’, এবং ‘ইটারনাল লাভ’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও বেশ কিছু হিট গান উপহার দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউ মেংলং জয় করে নিয়েছিলেন অগণিত দর্শকের মন। তার হঠাৎ মৃত্যু ভক্তদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।
নায়ক আলমগীরের নামে ভুয়া আইডি, সতর্ক করলেন মেয়ে আঁখি

নায়ক আলমগীরের নামে ভুয়া আইডি, সতর্ক করলেন মেয়ে আঁখি ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক আলমগীর। এখনকার সময়ের তারকাদের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না তিনি। তবে তার কোনো অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইল না থাকলেও রয়েছে অসংখ্য সক্রিয় ভুয়া আইডি ও ফ্যান গ্রুপ। আর বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি সতর্ক করেছেন তার মেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। ‘নায়ক আলমগীর ফ্যানস ক্লাব’ নামের একটি ফেসবুক পেজে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখের বেশি অনুসারী আছে। কিন্তু এই পেজের সঙ্গে আলমগীরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আঁখি। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এসব বন্ধ করেন। আপনারা কারা ফ্যান ক্লাব চালান জানি না, তবে কার নাম দিয়ে চালাচ্ছেন, তা একটু বুঝে পোস্টগুলো করবেন এরপর থেকে। তার বিশালতা যদি অনুধাবন করতে না পারেন, তবে তার নামে ফ্যান পেজ চালাবেন না দয়া করে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আঁখি। তার ভাষায়, ‘চিত্রনায়ক আলমগীর ফেসবুক ব্যবহার করেন না। ভুয়া আইডি কিংবা পেজের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংগীতশিল্পী আরও জানান, এসব ভুয়া আইডি ও পেজ থেকে নানা পোস্ট করা হয়, এমনকি তাকেও মাঝে মাঝে ট্যাগ করা হয়। আঁখির মতে, কিছু কিংবদন্তি শিল্পীদের অন্তত এ ধরনের অপব্যবহার থেকে মুক্ত রাখা জরুরি। তার কথায়, ‘আমার বাবা, শাবানা আন্টি, ববিতা আন্টি, তারা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তাদের প্রচারের আর প্রয়োজন নেই। তারা প্রচারের ঊর্ধ্বে। তবে এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করার ইচ্ছে নেই বলে জানান আঁখি। বলেছেন, ‘এ নিয়ে সত্যি বলতে সময় নেই। আব্বুরও নেই। এত পেজ আছে যে, একটা বন্ধ হলেও আবার অন্য পেজ খোলা হয়। তাই অভিযোগ না করে সবাইকে সতর্ক করাই শ্রেয় মনে করেছি।
বাসার গুলি দিশা পাটানির

বাসার গুলি দিশা পাটানির বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির বরেলিতে পৈতৃক বাড়িতে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্বরা। শুক্রবার মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় দিশা পাটানির বাবা অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি জগদীশ সিং পাটানি, মা ও বড় বোন খুশবু বাসভবনে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বাড়ির বাইরে থেকে একাধিক খালি কার্তুজ উদ্ধার করে। দিশার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) অনুরাগ আর্য জানিয়েছেন, আমরা মামলাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চে স্থানান্তর করেছি। গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার দায় স্বীকার করার পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গোল্ডি ব্রারের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।এদিকে রোহিত গোদারা-গোল্ডি ব্রার চক্র ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। সেখানে দাবি করা হ, দিশা ও তার বোন নাকি আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজ ও অনিরুদ্ধাচার্য মহারাজকে অসম্মান করেছেন। এর জবাবেই হামলা চালানো হয়েছে। পোস্টে আরও হুমকি দেওয়া হয়েছে, ‘এটা শুধু ট্রেলার। পরেরবার যদি কেউ আমাদের ধর্মকে অসম্মান করে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। চক্রটির বক্তব্য, ‘ধর্ম ও সমাজ আমাদের কাছে অভিন্ন। এগুলো রক্ষার জন্য আমরা যেকোনো পর্যায়ে যেতে প্রস্তুত। পোস্টটিতে আরও বেশ কয়েকটি অপরাধী গোষ্ঠীর নাম ট্যাগ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে মনু গ্রুপ, এপি গ্রুপ, কালা রানা, নরেশ শেঠি, টিনু হরিয়ানা ও অমরজিৎ বিষ্ণোই। সতর্কবার্তায় স্পষ্ট বলা হয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে, তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। গত কয়েক দিনে খুশবু পাটানি সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় নেতাদের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন-তাই এটিকে ঘটনায় কনটেক্সট হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে প্রাথমিকভাবে মেটাতে তদন্তই নির্ধারক হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।