শুভ কলকাতা থেকে শিগগিরই ফিরছেন না
শুভ কলকাতা থেকে শিগগিরই ফিরছেন না সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভর। হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আড়ালে চলে যান এই অভিনেতা। তিনি সবশেষ ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেন। মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করে জয় করেন হাসিনার মন। বিনিময়ে পেয়ে যান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ। তবে তাকে বরাদ্দ দেওয়া সেই ১০ কাঠার প্লটটি বাতিল করে রাজউক। এদিকে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে হাতে কোনো কাজ না থাকায় নিজেকে একেবারেই গুটিয়ে নিয়েছিলেন মিডিয়া থেকে। তবে এবার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের বরাতে এ অভিনেতার খোঁজ পাওয়া গেল। তিনি বর্তমানে কলকাতা অবস্থান করছেন। সতর্কতার সঙ্গে গোপনে বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। ভারতীর গণমাধ্যমটি জানায়, ভারতের নির্মাতা সৌমিক সেনের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’র শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। প্রায় দশদিন ধরে চলা এ শুটিংয়ে কলকাতার অংশের কাজে যোগ দিয়েছেন শুভ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিরিজের শুটিং চলবে। তবে বিভিন্ন সূত্র জানায়, কলকাতা থেকে শিগ্গিরই দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই আরিফিন শুভর। সিরিজের কাজ শেষ করে সেখানেই আরও কিছুদিন অবস্থান করবেন তিনি। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত ‘নূর’ ও ‘নীলচক্র’ নামে দুটি সিনেমা।
সিয়াম আবারও শুভেচ্ছাদূত হলেন
সিয়াম আবারও শুভেচ্ছাদূত হলেন বর্তমানে নতুন কোনো সিনেমার কাজ করছেন না সিয়াম আহমেদ। তবে বসে নেই তিনি। সিনেমার পাশাপাশি কর্পোরেট দুনিয়ায় এ নায়কের বিচরণ রয়েছে। বিজ্ঞাপনের শুটিং ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে রয়েছে তার ব্যস্ততা। কিছুদিন আগেও নতুন কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ শেষ করেছেন। এদিকে সম্প্রতি চিত্রনায়ক শাকিব খানের প্রতিষ্ঠানেও শুভেচ্ছাদূত হিসাবে যুক্ত হন তিনি। এর কয়েক সপ্তাহ না পেরোতেই নতুন আরও একটি প্রতিষ্ঠানে শুভেচ্ছাদূত হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন এ নায়ক। স্টেইনলেস স্টিল প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তিও সারেন। এ প্রসঙ্গে সিয়াম বলেন, ‘নতুন এ পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধরন আমার ব্যক্তিগত মূল্যবোধের সঙ্গে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ। তাই এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সিয়াম অভিনীত ‘জংলি’ নামে একটি সিনেমা। এম রাহিম পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন শবনম বুবলী। সিনেমাটি গত ঈদুল আজহায় মুক্তির ঘোষণা দিয়েও অবশেষে পিছিয়ে যায়। কবে নাগাদ এটি মুক্তি পাবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় একটি সিনেমায় কাজ করার কথা শোনা যাচ্ছে সিয়ামের। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
আজ শব্দের জাদুকরের জন্মদিন
আজ শব্দের জাদুকরের জন্মদিন ডাক নাম ছিল কাজল। বাবার রাখা প্রথম নাম শামসুর রহমান হলেও পরে তার বাবা ছেলের নাম বদলে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। একাধারে লেখক,ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি ও গীতিকার হুমায়ূন শিল্পসৃষ্টি ও মনোরঞ্জনের মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন অবলীলায়। শব্দের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন আজ। হুমায়ূনকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। তাঁর বাবা পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম দ্বীপ নেভা যার ঘরে। তাঁর মায়ের লেখালেখির অভ্যাস না থাকলেও একটি আত্মজীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম জীবন যে রকম। তাঁর অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন বিজ্ঞান শিক্ষক এবং কথাসাহিত্যিক ; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। সত্তরের দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনাহীন। তাঁর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলো বাংলাদেশের যুবকশ্রেণিকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, শঙ্খনীল কারাগার, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন হুমায়ূন। লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যজীবনের শুরু। এই উপন্যাসটির নাম নন্দিত নরকে। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২-এ কবি-সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত বাংলা ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। শঙ্খনীল কারাগার তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দুই শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস রচনা করেছেন। হুমায়ূন আহমেদের প্রথমা স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। এই দম্পতির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। তিন মেয়ের নাম বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। অন্য আরেকটি ছেলে অকালে মারা যায়। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যভাগ থেকে শীলার বান্ধবী বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী শাওনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মে। এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক অশান্তির অবসানকল্পে ২০০৫-এ গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ওই বছরই শাওনকে বিয়ে করেন। এ ঘরে তাদের তিন ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। প্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যাটি মারা যায়। ছেলেদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন। বিষয়বস্তুর দিক থেকে হুমায়ূন আহমেদের গ্রন্থসম্ভার কয়েকটি শ্রেণিতে বিন্যাস করা যায়। যেমন : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : শ্যামল ছায়া (১৯৭৪), আগুনের পরশমণি (১৯৮৬), অনিল বাগচীর একদিন (১৯৯২), ১৯৭১ (১৯৯৩), জোছনা ও জননীর গল্প (২০০৪) প্রভৃতি। স্থান-কাল ও বিষয়ভিত্তিক প্রধান গ্রন্থ : শঙ্খনীল কারাগার (১৯৭৩), আনন্দ বেদনার কাব্য (১৯৮৪), যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ (১৯৮৪), আমার আছে জল (১৯৮৫), ফেরা (১৯৮৬), নক্ষত্রের রাত (১৯৮৭), প্রিয়তমেষু (১৯৮৮), বাসর (১৯৮৮), এলেবেলে (১ম পর্ব-১৯৯০), এলেবেলে (২য় পর্ব-১৯৯০), সাজঘর (১৯৮৯), ছায়াসঙ্গী (১৯৯০), এই সব দিনরাত্রি (১৯৯০), বহুব্রীহি (১৯৯০), অয়োময় (১৯৯০), গৌরীপুর জংশন (১৯৯০), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯০), আশাবরী (১৯৯১), অমানুষ (১৯৯১), চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক (১৯৯১), দুই দুয়ারী (১৯৯১), নৃপতি (১৯৯১), নী (১৯৯২), কোথাও কেউ নেই (১৯৯২), মন্দ্রসপ্তক (১৯৯৩), কবি (১৯৯৬), মহাপুরুষ (১৯৯৬), আমাদের সাদা বাড়ি (১৯৯৬), মেঘ বলেছে যাব (১৯৯৭), দূরে কোথায় (১৯৯৭), বৃষ্টিবিলাস (২০০০), মৃন্ময়ী (২০০১), হুমায়ূন আহমেদের হাতে ৫টি নীল পদ্ম (২০০১), বৃষ্টি ও মেঘমালা (২০০১), আজ চিত্রার বিয়ে (২০০৩), এপিটাফ (২০০৪), লীলাবতী (২০০৫), তিন পুরুষ (২০০৫), মধ্যাহ্ন-১ (২০০৭), মধ্যাহ্ন-২ (২০০৮), বৃক্ষকথা (২০০৯), বাদশাহ নামদার (২০১১), মেঘের ওপর বাড়ি (২০১২) প্রভৃতি। সায়েন্স ফিকশন : তোমাদের জন্য ভালোবাসা (১৯৭৩), তারা তিনজন (১৯৮৪), ইরিনা (১৯৮৮), কুহক (১৯৯১), ফিহা সমীকরণ (১৯৯২), শূন্য (১৯৯৪), ইমা (১৯৯৮), অনন্ত নক্ষত্র বীথি (১৯৯৮), ওমেগা পয়েন্ট (২০০০), দ্বিতীয় মানব (২০০২) প্রভৃতি। তাঁর বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ কোয়ান্টাম রসায়ন। রহস্যধর্মী ও ভূত বিষয়ক : বোতল ভূত (১৯৮৯), ভূত ভূতং ভূতৌ (১৯৯১), ভয় (১৯৯১), একি কান্ড (১৯৯৩), চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু (১৯৯৭), বোকাভু (১৯৯৭), কানী ডাইনী (২০০০), ভূতসমগ্র (২০০২), মজার ভূত (২০০৫), ভয়ংকর ভূতুড়ে (২০০৮), অতিপ্রাকৃত (২০০৮), নির্বাচিত ভূতের গল্প (২০০৯), ভূতমন্ত্র (২০১০) প্রভৃতি। শিশু-কিশোর গ্রন্থ : নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ (১৯৯২), ছোটদের সেরা গল্প (১৯৯৫), পরীর মেয়ে মেঘবতী (১৯৯৭), তোমাদের জন্য রূপকথা (১৯৯৮), কালো জাদুকর (১৯৯৮), কাক ও কাঠগোলাম (২০০২), ছোটদের জন্য এক ব্যাগ হুমায়ূন (২০০৩), বোকা রাজার সোনার সিংহাসন (২০০৩), নীল মানুষ (২০০২), কুহুরানী (২০০৬), হলুদ পরী (২০০৯), বনের রাজা (২০১০) প্রভৃতি। আত্মজৈবনিক গ্রন্থ : হোটেল গ্রেভারইন (১৯৮৯), আমার ছেলেবেলা (১৯৯১), কিছু শৈশব (২০০৭), বলপয়েন্ট (২০০৯), কাঠপেন্সিল (২০০৯), ফাউন্টেন পেন (২০১১), রঙ পেন্সিল (২০১১), নিউইয়র্কের নিলাকাশে ঝকঝকে রোদ (২০১২)। হিমু সিরিজ : ময়ূরাক্ষী (১৯৯০), দরজার ওপাশে (১৯৯৩), হিমু (১৯৯৩), পারাপার (১৯৯৩), এবং হিমু (১৯৯৫), হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম (১৯৯৬), হিমুর দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৭), হিমুর রূপালী রাত্রি (১৯৯৮), একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা (১৯৯৯), তোমাদের এই নগরে (২০০০), সে আসে ধীরে (২০০২), চলে যায় বসন্তের দিন (২০০২), হিমু মামা (২০০৪), আঙুল কাটা জগলু (২০০৫), হলুদ হিমু কালো র্যাব (২০০৬), আজ হিমুর বিয়ে (২০০৭), হিমু রিমান্ডে (২০০৮), হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য (২০০৮), হিমুর মধ্যদুপুর (২০০৯), হিমুর বাবার কথামালা (২০০৯), হিমুর নীল জোছনা (২০১০), হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী (২০১১), হিমুর আছে জল (২০১১), হিমু এবং হার্ভার্ড পিএইচ.ডি বল্টু ভাই (২০১২) প্রভৃতি। মিসির আলি সিরিজ : দেবী (১৯৮৫), অন্যভুবন (১৯৮৭), বিপদ (১৯৯১), মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য (১৯৯৪) প্রভৃতি। শুভ্র সিরিজ: দারুচিনি দ্বীপ (১৯৯১), রূপালী দ্বীপ (১৯৯৪), শুভ্র (১৯৯৮), এই শুভ্র ! এই (২০০৩), শুভ্র গেছে বনে (২০১০) প্রভৃতি। হুমায়ূনের প্রতিটি বই-উপন্যাস ছিল পাঠকদের জন্য অমৃতসুধার মতো। তাঁর লেখনী এক গভীর মায়ায় আচ্ছন্ন করে রাখে পাঠকদের। টেলিভিশনের জন্য একের পর এক দর্শক-নন্দিত নাটক রচনার পর হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তাঁর পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে শ্রাবণ মেঘের দিন ও ২০০১ সালে দুই দুয়ারী চলচ্চিত্র দুটি প্রথম শ্রেণির দর্শকদের কাছে দারুন গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩-এ নির্মান করেন চন্দ্রকথা নামে একটি চলচ্চিত্র। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে নির্মান করেন শ্যামল ছায়া
লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত বরণ্যে অভিনেতা আফজাল হোসেন
লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত বরণ্যে অভিনেতা আফজাল হোসেন নির্মাণ আর অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত বরণ্যে অভিনেতা আফজাল হোসেন। প্রায় সময় তার লেখা উঠে আসে নানা ইস্যু। আবার কখনও তিনি মনের কথাগুলো তুলে ধরেন ভক্ত-দর্শকদের কাছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি লিখেছেন, বাঙালির স্বভাব ও আচরণ নিয়ে। আজ শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘আজ-কালকার মানুষেরা নিজেদের বিচারে নিজেরাই ঠিক করে নেয়, কারা ভালো আর মন্দ কারা। শুধুমাত্র নিজের, নিজ গোষ্ঠী ও নিজের স্বার্থের মানুষদের ভালো মনে করে, নিজেদের ভালোই মন দিয়ে চায়। যত দোষ নন্দ ঘোষের মত, অন্যদেরকে খুবই খারাপ ভাবে। ভাবে, তাদের দোষেই দেশ-সমাজ-মানুষ সবই যাচ্ছে রসাতলে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে একটা জাতি চোখ থাকিতে অন্ধের মতো। তারা যেটা দেখতে চায় সেটা দেখে, যা দেখতে চায় না- দেখে না। তারা বুঝেও নিজ নিজ সুবিধামতো। খুশি হওয়া উচিত হবে না মনে করে খুশি হওয়ার মতো বিষয়েও মুখ বেজার করে থাকে। স্বার্থপর চিন্তা, চরিত্র কারো ভালো ডেকে আনে না। পিছন ফিরে তাকালে নিজেদের স্বভাবের মন্দ দিকটা স্পষ্ট দেখা যায়। দেশে বিশেষ হয়ে উঠবার একঘেয়ে ফর্মুলা হচ্ছে- আমি ভালো, তুমি খারাপ। দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যারা যারাই শাসনক্ষমতায় এসেছে- টিকিয়ে রেখেছে ওই একটাই ভাব, বিশ্বাস, মন্ত্র- আমি ভালো তুমি খারাপ। অন্যের প্রতি ঘৃণার করে মুক্তি মেলে না সেকথা উল্লেখ করে আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘একটা জাতি একজীবনে দেখে যেতে পারল না, আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞা নিয়ে কেউ মানুষের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়েছে। কালে কালে দেখতে হয়েছে- আমার আপন আর অন্যের পর হও- তাতেই মানুষ তোমার মিলবে মুক্তি। পর হয়ে শত্রু বনে, অন্যদের প্রতি ঘৃণার পাহাড় তৈরি করে মুক্তি মেলে না। শত্রু শত্রু খেলতে খেলতে এখন কে, কাকে বন্ধু বলে ভাবতে পারে মানুষ? কে, কাকে বিশ্বাস করে? দিনভর যদি দেখতে হয় কারো প্রতি কারো শ্রদ্ধা নেই, ভক্তির প্রয়োজন নেই, পরস্পরকে অসম্মান অমর্যাদা করে আত্মসুখ মিলছে- এসবের কোনোটাই কোনো মানুষের অর্জন নয়। সবশেষে এই অভিনেতা ও নির্মাত লিখেছেন, ‘আমরা দেশের, দল বা গোষ্ঠীর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করি কিন্তু মানুষ পরিচয়ের গৌরব কিসে, কিভাবে তা অর্জিত হতে পারে- তা নিয়ে ভাবি না। আমরা জিততে চাই গায়ের জোরে, প্রতিহিংসার তীব্রতা দিয়ে। জিতি। আনন্দ উল্লাস করি কিন্তু জানা হয় না মানুষ থাকছি না কেউ, রোজ হেরে হেরে ভূত হয়ে যাচ্ছি।
মা-বাবা হচ্ছেন রাহুল ও আথিয়া দম্পতি, নানা সুনীল শেঠি
মা-বাবা হচ্ছেন রাহুল ও আথিয়া দম্পতি, নানা সুনীল শেঠি মা হতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী, সুনীল শেঠির কন্যা আথিয়া শেঠি। ভারতীয় ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল ও আথিয়া দম্পতির এটি প্রথম সন্তান। আজ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ ঘোষণা দেন আথিয়া। শিশুর পদচিহ্নের ছবি দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে আথিয়া-লোকেশ লেখেন, ‘খুব শিগগির আমাদের চমৎকার আশীর্বাদ আসছে, ২০২৫।’ এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই দম্পতি। নেটিজেনদের পাশাপাশি আথিয়ার সহকর্মীরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সুনীল শেঠিও অভিবাদন জানিয়েছেন কন্যাকে। তা ছাড়াও সোনাক্ষী সিনহা, অর্জুন কাপুর, এষা গুপ্তা, শিবানি আখতারসহ অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে আথিয়া ও রাহুলের প্রেমের সম্পর্কের শুরু। বন্ধু আকাঙ্ক্ষা রঞ্জন কাপুরের মাধ্যমেই দু’জনের পরিচয়। যদিও তাদের প্রেমের বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় প্রথম চর্চা শুরু হয় একই বছরের জুনে। এরপর ডিসেম্বরে ইনস্টাগ্রামে আথিয়ার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন রাহুল, যা তাদের প্রেমের গুঞ্জন আরো উসকে দেয়। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকার ইঙ্গিতে একাধিকবার নিজেদের প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ করেন রাহুল ও আথিয়া। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল।
ভারতের বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী সারদা সিনহা প্রয়াত
ভারতের বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী সারদা সিনহা প্রয়াত ভারতের বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী সারদা সিনহা মারা গেছেন। মেগাস্টার সালমান খানের ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’সহ বলিউডের বহু সিনেমায়ে গান গাওয়া ভারতের লোকগানের বরেণ্য এই শিল্পী গতকাল ৫ নভেম্বর রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ছেলে অংশুমান সিনহা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ‘পদ্মভূষণ’জয়ী এই গায়িকা। দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল ৭২ বছর বয়সি এই শিল্পীকে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। সারদা সিনহার ছেলে অংশুমান সিনহা ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘তোমার প্রার্থনা এবং ভালোবাসা আমাদের সঙ্গে সবসময় থাকবে মা। ছটি মাইয়া ওকে নিজের কাছে ডেকে নিলেন। এই নশ্বর পৃথিবীতে উনি আর নেই আমাদের সঙ্গে। এদিকে সারদার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, ‘বিহারের কোকিলা হিসেবে খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ডা. সারদা সিনহার মৃত্যু সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। ছট পূজার দিনেও তাঁর সুরেলা গানে দেশ-বিদেশে ভক্তির আবহ তৈরি হবে। এ ভাবেই তাঁর সুরেলা গান অমর হয়ে থেকে যাবে। আমি তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকজ্ঞাপন করে লেখেন, ‘প্রখ্যাত লোকশিল্পী সারদা সিনহার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর গাওয়া মৈথিলী গান কয়েক দশক ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওঁর চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। ১৯৫২ সালের ১ অক্টোবর বিহারে জন্মগ্রহণ করেন শারদা সিনহা। আশির দশকের শুরুতে তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু। মৈথিলী, ভোজপুরি, মাগধী ভাষার একাধিক গানও গেয়েছেন তিনি। তার গাওয়া ছট পূজার গান দারুণ জনপ্রিয়। তাছাড়াও সালমান খান অভিনীত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’সহ একাধিক সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন শারদা সিনহা। ২০১৭ সালে শারদা সিনহার মাল্টিপল মায়েলোমা ধরা পড়ে। এটি এক ধরনের ক্যানসার, যা বোন ম্যারোকে আক্রান্ত করে। গত সেপ্টেম্বরে শারদার স্বামী রাজনীতিবিদ ব্রজ কিশোর স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। পুত্র ছাড়াও এ দম্পতির বন্দনা নামে একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
শমী কায়সারকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে
শমী কায়সারকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। গতকাল মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ডিসি রওনক জাহান। গত আগস্টে শুরু হওয়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবি একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়। আর সেই আন্দোলনে শুরু থেকে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কিত হন শমী কায়সার। আবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তিরও অভিযোগ ছিল এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এ কারণে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়। গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামের এক বিএনপি কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা রয়েছে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে। গত ৯ অক্টোবর ভুক্তভোগী নিজেই দায়ের করেন মামলাটি। মামলায় এ অভিনেত্রী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একজন আহত হওয়ার ঘটনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। গ্রেপ্তারের পর উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে অভিনেত্রীকে। শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। যে পদটি থেকে গত ১৪ আগস্ট পদত্যাগ করেন তিনি।
ফারিণ ভক্তদের সচেতন থাকার বার্তা দিলেন
ফারিণ ভক্তদের সচেতন থাকার বার্তা দিলেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। একাধারে মডেল, কণ্ঠশিল্পী ও অভিনয়ে সমানভাবে পদচারণা তার। দিনে দিনে জনপ্রিয়তাও ব্যাপকহারে বাড়ছে এই অভিনেত্রীর। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ, নাটক, বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও গানে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মানজনক পুরস্কার এবং হয়েছেন দর্শক নন্দিত। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত একটি ওয়েব সিরিজ। এছাড়া নতুন একটি ওয়েবের কাজেও যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনীত সিরিজ ‘চক্র’ সম্পর্কে ফারিণ বলেন, ‘দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শক সাড়া ভালো পাওয়াতেই এর দ্বিতীয় সিজন নির্মাণ হতে যাচ্ছে। সিরিজটির শুটিং শুরুর পর থেকেই খুব ভয়াবহ কিছু অদ্ভুত ঘটনার মধ্য দিয়েই আমাদের যেতে হয়েছে। এটি মুক্তির পরও আমার গলা শুকিয়ে আসছিল। ঘুমের মধ্যেও আমি দুঃস্বপ্ন দেখেছি। এছাড়া ফেসবুকে ভক্তরা তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন।’ শুটিংয়ের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফারিণ বলেন, ‘এর কাজ শুরুর পর থেকেই অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে। যা একেবারেই অস্বাভাবিক। কারণ ছাড়াই আমি শুটিংয়ে একবার অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর নির্মাতার পা ভেঙে যায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি মৃত্যুর সংবাদ আমাদের শুনতে হয়। শুটিং যতদিন করেছি, প্রায়ই আমি দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকি। এছাড়া শুটিং ইউনিটে অস্বাভাবিক আরও অনেক ঘটনা ঘটতে থাকে, যার ব্যাখ্যা আমরা আজও পাইনি। এসব ঘটনার মধ্য দিয়েই কাজটি আমরা শেষ করি। কলকাতায় দেবের সঙ্গে সিনেমার কাজ ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গেও উঠে আসে কথোপকথনে। অভিনেত্রী বলেন, “খুব বড় করে বলার মতো তেমন কোনো কারণ নেই। কলকাতার ‘প্রতীক্ষা’ নামে একটি সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতায় কাজটি ছেড়ে দিতে হয়। এদিকে নভেম্বরে সিনেমাটির শুটিং শুরু করার কথা। নির্ধারিত সময় না যেতে পারলে পুরো ইউনিট আমার জন্য সমস্যায় পড়বে। এছাড়া অন্য শিল্পীদের শিডিউল নিয়েও বিপাকে পড়তে হবে ইউনিটের। সবকিছু চিন্তা করেই আসলে কাজটি থেকে সরে আসি। আসন্ন কাজ ও বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে ফারিণ বলেন, “অমীমাংসিত রহস্য রেখে যাওয়া সিরিজ ‘চক্র’র দ্বিতীয় সিজনের কাজ নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ‘হাউ সুইট’ ওয়েব ফিল্মের ব্যস্ততা। এটির চরিত্রের পেছনে সময় দিচ্ছি, চরিত্র ধারণে ব্যস্ত আছি। এটি অমি (কাজল আরেফিন অমি) ভাই নির্মাণ করছেন। এতে আমার সহশিল্পী রয়েছে অপূর্ব (জিয়াউল ফারুক অপূর্ব) ভাই। তার সঙ্গে ওটিটিতে এটি আমার দ্বিতীয় কাজ। সিরিজটি নিয়ে খুব আশাবাদী আমরা। শিগগিরই এর শুটিং শুরু হবে। কাজটি শেষ করার পর এটি নিয়ে আরও বিস্তারিত কথা বলতে পারব। এদিকে গান নিয়েও ব্যস্ততা রয়েছে আমার। ইতোমধ্যেই বলেছি গানে নিয়মিত হব। সামনে গান নিয়েও নতুন খবর দেব। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে ভক্তদের প্রতি সচেতন থাকার বার্তা দিয়ে ফারিণ বলেন, ‘আজকাল ছোট্ট অনেক বিষয় নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক হয়। যে কোনো কথা বা কারও সঙ্গে কোনো ছবি নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এসব বিষয় নিয়েই আমার একটা বার্তা ছিল। আমি এসবে সময় নষ্ট করতে চাই না। কে আমাকে নিয়ে কী ভাবল, বা আমাকে নিয়ে কী সমালোচনা করল, এসব ব্যক্তিগতভাবে আমি গায়ে মাখতে চাই না। এগুলো নিয়ে ভাবলে কাজই করতে পারব না। নিজে ঠিক থাকলে সব ঠিক, আগে দেখতে হবে নিজে সঠিক পথে আছি কি না। আমার ভক্তদের সচেতন থাকতে বলেছি এজন্যই। সামাজিক মাধ্যমে যা দেখবেন, তাই বিশ্বাস করবেন না। আগে এর সত্যতা যাচাই করবেন।২০১৭ সালে ‘আমরা আবার ফিরবো কবে’ নাটকে অভিনয় দিয়ে ছোটপর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। এরপরে তিনি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তারপর টিভি নাটক ও ওয়েব ফিল্ম ও সিরিজে কাজ করেন। ২০২২ সালে নির্মাতা অতনু ঘোষ পরিচালিত ‘আরো এক পৃথিবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে টালিউডে যাত্রা শুর হয় এই অভিনেত্রীর।
গ্রেফতার অভিনেত্রী শমী কায়সার
গ্রেফতার অভিনেত্রী শমী কায়সার রাজধানীর উত্তরা থেকে ছোট পর্দার অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ডিসি রওনক জাহান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিনেত্রী এবং প্রযোজক শমী কায়সার নব্বই এর দশকের একজন নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন। শমী ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।
রং ঢং মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার
রং ঢং মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে চলছে সংস্কার। তবে এই সংস্কার চলাকালীন সময়ে দেশে কমে গেছে নতুন সিনেমা মুক্তি। এরমধ্যে শরতের জবা নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। যদিও সেভাবে দর্শক টানতে পারেনি। তবে যথারীতি হলিইডের সিনেমা মুক্তি পেয়েছেন সিনেপ্লেক্সে। এদিকে সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের জন্য সুখবর হলো আগামী ৮ নভেম্বর শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে নতুন সিনেমা ‘রং ঢং’। চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান সারোয়ার নির্মাণ করেছেন সিনেমাটি। অনেকদিন আগে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন তিনি। এরপর সেন্সর বোর্ডের (তৎকালীন) ছাড়পত্রও পায়। অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। সিনেমাটির প্রযোজক আহসান জুবায়ের জানান, আগামী ৮ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘রং ঢং’। সে অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। রং ঢং’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— তারিক আনাম খান, আরমান পারভেজ মুরাদ, লুৎফর রহমান জর্জ, স্বাধীন খসরু, ফারুক আহমেদ, শবনম পারভীন, এজাজুল ইসলাম, জামিল, প্রাণ রায়, অর্ণব খান, সোহেল মন্ডল প্রমুখ। ব্ল্যাকশাইন লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত এ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ নাসের বাবু, পান্থ কানাই, মাহমুদুল হাসান রোমান্স, শামিম আলম বুলেট, তাসনুব। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই, কিশোর, সুমিত, জামিল হোসেন, আদি।