অভিষেক ধন্যবাদ জানালেন ঐশ্বরিয়াকে
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/AA-1-1.jpg)
অভিষেক ধন্যবাদ জানালেন ঐশ্বরিয়াকে বলিউডের তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে গত একবছর থেকে সরগরম স্যোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি এ গুঞ্জনকে বুড়ো আঙুল দেখালেন অভিষেক। এ দম্পতির বিচ্ছেদ গুঞ্জন যখন তুঙ্গে ঠিক সেসময় স্ত্রী ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে এক বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক বচ্চন। কয়েকদিন আগে অবশ্য অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদ গুঞ্জনের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অমিতাভ। তখন অনেকটাই স্পষ্ট করেছিলেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান নিয়ে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিষেক বচ্চন হঠাৎই স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন। জুনিয়র বচ্চন ঐশ্বরিয়াকে একজন দায়িত্বশীল এবং ত্যাগী মা হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দ্য হিন্দু-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেন, ‘বাড়িতে আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে বাইরে বেরিয়ে সিনেমা করতে পারি। কারণ আমি জানি বাড়িতে ঐশ্বরিয়া রয়েছে আরাধ্যার সঙ্গে। আর সেইজন্য আমি ওর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। সুজিত সরকার পরিচালিত ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ সিনেমায় অভিষেক বচ্চনকে দেখা গেছে অর্জুন সেন নামে এক বাবার ভূমিকায়। আর সেই প্রেক্ষিতেই সন্তানদের জীবনে মায়েদের ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে ঐশ্বরিয়াকে মন থেকে ধন্যবাদ জানালেন অভিনেতা। অভিষেকের কথায়, ‘সন্তানের জন্য প্রয়োজন হলে আপনি এক পায়েও পাহাড়ে উঠতে পারবেন। আসলে মায়েরা এমনই হয়। ওরা যা পারে করতে, কেউ সেটা পারে না। বাবাদের ভালোবাসার ধরনটা একটু আলাদাই হয়। বাবারা নীরবেই কাজ করে যান। কী করে ভালোবাসা দেখাতে হয়, এটা বাবারা ভালো করে জানে না। এরপর অভিষেক আরও বলেন, ‘আমার মাকেও দেখেছি। আমাদের জন্য অভিনয় করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যখন আমি হলাম, মা আমার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কাজ ছেড়ে দেন। তাই বাবাকে সবসময়ে কাছে না পাওয়ার দুঃখ থাকত না। তবে বাবা কিন্তু অন্যভাবে যত্ন নিতেন। মনে আছে, প্রতি রাতে আমরা ঘুমানোর পর আমাদের ঘরে দেখতেন। গত বছর থেকেই অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কখনও সম্পত্তি ভাগের জেরে পারিবারিক অশান্তির কথা শোনা গেছে। আবার কখনও বা নিমরত কৌরের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে জুনিয়র বচ্চনের বিরুদ্ধে। মান-অভিমান এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ঐশ্বরিয়া মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন। তবে এবার বোধহয় বরফ গলেছে। তাই জনসমক্ষেই স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন অভিষেক বচ্চন। ২০০৭ সালে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিষেকের। ২০১১ সালে তাদের মেয়ে আরাধ্যার জন্ম হয়। আরাধ্যার জন্মের পর চার বছর সিনেমা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন রাই সুন্দরী। ২০১৫ সালে সঞ্জয় গুপ্তার ‘জাজবা’ সিনেমার মাধ্যমে কাজে ফেরেন তিনি। গত ১০ বছরে সর্বজিৎ (২০১৬), অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল (২০১৬), ফ্যানি খান (২০১৮) এবং পোন্নিয়িন সেলভান ফ্র্যাঞ্চাইজি (২০২২-২৩)-র মতো হাতে গোনা ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া।
শোভিতাই শূন্যতা পূর্ণ করেছে: নাগা চৈতন্য
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/1-Copy-4.jpg)
শোভিতাই শূন্যতা পূর্ণ করেছে: নাগা চৈতন্য তেলুগু অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার প্রেমের খবর গত কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল। মাস তিনেক আগে বাগদাদ সেরেছেন তারা। এখন বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর চারহাত এক হতে চলেছে। এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটিজেনদের একাংশ কটাক্ষ করছে। বিশেষ করে প্রাক্তন স্ত্রী তথা অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর অনুরাগীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। শোভিতা ধুলিপালার জন্যই নাকি তাদের দাম্পত্যে চিড় ধরেছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাগা চৈতন্য জানালেন, তার জীবনে শূন্যতা ভরাট করেছেন শোভিতা। বিয়ের ঠিক আগেই হবু স্ত্রী সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন নাগা। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘শোভিতার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছি। ওর সঙ্গে জীবনটা উদযাপন করতে চাই।’ এরপর বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমি নিজেকে খুব ভাল ভাবে মেলাতে পারি। ও আমাকে খুব ভালো বোঝে। আমার মধ্যে সব শূন্যতা ও পূরণ করে দিতে পারে। আমি জানি, খুব সুন্দর হবে এই নতুন অধ্যায়।’ ২০১৭ সালে বিয়ে করেন সামান্থা ও নাগা চৈতন্য। সামান্থার অভিব্যক্তি ও বক্তব্যে বারবার নাগার প্রতি তার প্রেম প্রকাশ্যে এসেছে কিন্তু সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। ২০২১-এ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।
সাত বছর হয়ে গোল বারী সিদ্দিকী নেই; আজ এই গুণী শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/images-Copy.jpg)
সাত বছর হয়ে গোল বারী সিদ্দিকী নেই; আজ এই গুণী শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী প্রয়াণ নশ্বর দেহটাকে সবার কাছ থেকে তাকে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু প্রিয় শিল্পীর প্রতি যে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা তা কোনোদিন শেষ হবার নয়। বলছি প্রয়াত গায়ক বারী সিদ্দিকীর কথা। তিনি ছিলেন, থাকবেন অনন্তকাল শ্রোতাদের হৃদয়ে। কণ্ঠে ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজ, আমার মন্দ স্বভাব, আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, শুয়া চান পাখি’ এ ধরনের মর্মস্পর্শী গান শ্রোতা ভক্তদের উপহার দিয়েছেন, আর যাই হোক তাকে একজীবনে ভোলা যাবে না। হিজলে তমালে ছাওয়া আদিঅন্তহীন হাওরের বুক থেকে গান নিয়ে বারী সিদ্দিকী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলায়। জল ছলছল লিলুয়া বাতাসে ভেসে সেই অপরূপ গানে স্পর্শ করেছিলেন সমগ্র বাংলাভাষী মানুষদের মন। আজ এই গুণী শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের আজকের এই দিনে চলে গেছেন অধরা জগতের দূর নীলিমায়। সাত বছর হয়ে গেল বারী সিদ্দিকী নেই। ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। পরে জেলা সদরের কারলিতে ‘বাউল বাড়ি’ করেন তিনি। বাবা মহরম আলী ও মা প্রয়াত জহুর-উন-নিসা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বারী সবার ছোট। বয়স যখন তিন-চার, সেই বয়সেই মায়ের কাছে তার প্রথম শোনা গান ছিল ‘শ্বাশুড়িরেও কইয়ো গিয়া’। সেই গানের সুরই বারীর মনে গেঁথে যায়। যদিও পরিবারে সেভাবে সংগীত চর্চা ছিল না। সৌখিন হিসেবে বলা যায়। বারীর বয়স যখন পাঁচ তখন বড় ভাইয়ের বাঁশিতে ফু দিয়ে অন্যরকম আগ্রহের সৃষ্টি হয় বাঁশি শেখার প্রতি। বারী তার বাঁশি ও গান শেখার উৎসাহ পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। ছোটবেলায় বাঁশি বাজাতেন মূলত বড় ভাইদের নকল করে। সেসময় নেত্রকোনায় বাঁশি শেখার সুযোগ ছিল না। তবে সাত-আট বছর বয়সে মা জহুর-উন-নিসার কাছে গান শেখা শুরু করেন। মায়ের কাছ থেকে জীবনে তিনি প্রথম যে গানটির সুর বাঁশিতে তুলে নিয়েছিলেন সেই সুরটিই তিনি পরবর্তীতে হুমায়ূন আহমেদর ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন। সেটি ছিল শ্যাম বিচ্ছেদের একটি সুর; ‘আস্ট আঙ্গুল বাঁশের বাঁশি/মধ্যে মধ্যে ছ্যাদা/ নাম ধরিয়া ডাকে বাঁশি/ কলংকিনী রাধা/’। বারী সিদ্দিকী যখন হাইস্কুলে পড়তেন, তখন থেকেই তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত শেখা শুরু করেন। ওস্তাদ ছিলেন শ্রী গোপাল দত্ত। বড় দুই ভাই এবং রফিক মাহমুদ, বিপুল চৌধুরী, দুলাল দত্তনবীশ, হযরত আলীর কাছ থেকেও গানে সহযোগিতা পেয়েছেন। তখনই স্বপ্ন দেখেন গান গাইবেন, শিল্পী হবেন। ১৯৮০ সালের দিকে ঢাকায় শুদ্ধ সংগীত প্রসারের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ওস্তাদ আমিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি পাইলট ছিলেন। ভারতবর্ষের বিখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ পান্না লাল ঘোষের শিষ্য ছিলেন। আমিনুর রহমানের বাড়িতে থেকেই বাঁশিতে তালিম নিতে থাকেন দিনের পর দিন। সেখানে থেকেই ওস্তাদ তাগাল ব্রাদার্স, পণ্ডিত দেবেন্দ্র মুৎসুদ্দী, ওস্তাদ আয়েফ আলী খান মিনকারীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। পণ্ডিত বিজি কারনাডের কাছেও বাঁশি শিখতে তিনি পুনেতে গিয়েছিলেন। এভাবে একসময় বারী শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বাংলাদেশ রেডিও-টেলিভিশনসহ সম্মিলিত একটি যন্ত্রসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এর পরপরই তিনি দক্ষিণ এশীয় সার্ক ফেস্টিভ্যালে যান বাঁশি বাজাতে। সেটি ছিল সরকারি সহযোগিতা। এরপর ধীরে ধীরে আরও পরিচিত হয়ে উঠতে লাগলেন। বাঁশি বাজান উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে। হুমায়ূন আহমেদর এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তার বাসায় যান বাঁশি বাজাতে। সেখানে বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি গানও করেন। হুমায়ূন আহমেদ তাকে আরও গান গাইতে বলেন। গান শুনে মুগ্ধ হন হুমায়ূন। ১৯৯৫ সালে বিটিভির ‘রং-এর বারৈ’ অনুষ্ঠানে প্রথম গান করেন বারী সিদ্দিকী। এর পরপরই হুমায়ূন আহমেদ তাকে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে গান গাইতে বলেন। চলচ্চিত্রের গানে আকাশ-ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরপরই বাজারে তার দু’টি একক অ্যালবাম আসে। একটি ‘দুঃখ রইলো মনে’ এবং অন্যটি ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’। সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘হুমায়ূন স্যার আমার গাওয়ার পেছনে যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছিলেন। মূলত তার সাহস নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেয়েছি। ’ দু’টি অ্যালবামই লুফে নেয় শ্রোতারা। সেসময় উকিল মুন্সীর লেখা গান শ্রোতাদের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পেরে বারী সিদ্দিকী দারুণ উচ্ছ্বাসে ভাসেন। তিনি সবসময়ই নিজেকে একজন বংশীবাদক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বংশীবাদক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি বাঁশি বাজিয়ে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সে ওয়ার্ল্ড ফ্লুট সম্মেলনে এই উপমহাদেশ থেকে তিনিই প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট অর্জন। একজন গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে বারী সিদ্দিকী বংশীবাদক হিসেবে বাঁশি বাজিয়েছেন দু’দশক ধরে। কিন্তু গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর দেশের বাইরে বংশীবাদক হিসেবে তার সফর কমে যায়। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। ১৯৮০ সালে বারী সিদ্দিকী পেশাগতভাবে বাঁশি বাজানো শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিটিভিতে ‘সৃজন’ অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান। বারী সিদ্দিকী ‘মাটির পিঞ্জিরা’ নামের একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। পরে তিনি ফেরারি অমিতের নির্দেশনায় ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকেও অভিনয় করেন। তবে অভিনয় করতেন নিতান্তই অনুরোধে এবং শখের বশে।
ইত্যাদি মঞ্চ নির্মিত বন্দরে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে ধারণ করা হলো
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/HANIF-1.jpg)
ইত্যাদি মঞ্চ নির্মিত বন্দরে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে ধারণ করা হলো ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রত্ননিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গিয়ে ইত্যাদি ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে খানজাহানের অসংখ্য কীর্তিশোভিত, সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ নগরী বাগেরহাটে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নির্মিত মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। মোংলা বন্দরে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলাসহ খুলনা এবং নড়াইল থেকেও। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রয়েছে বাগেরহাটকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। পরিবেশন করেছেন বাগেরহাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছে সোহান, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজীব, অয়ন চাকলাদার, তানজিনা রুমা ও এমেলী। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজন করেছেন মেহেদী। এবারে সংগীত পরিবেশন করেছেন বাগেরহাটেরই সন্তান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাসির এবং প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী সানজিদা রিমি। কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর দাস। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান বাগেরহাটকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৩ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের জনপ্রিয় লোক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী নিখিল কৃষ্ণ মজুমদার ও তার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। মঞ্চে তারা দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সুর তোলেন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের জনপ্রিয় শিল্পীদের গাওয়া বেশ কয়েকটি শ্রোতাপ্রিয় গানের। শেকড় সন্ধানী ইত্যাদি সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিবেদিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে বাগেরহাটের ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। সুন্দরবন, মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন দর্শনীয়, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও প্রত্নসম্পদ এবং হজরত খানজাহানের অসংখ্য কীর্তিশোভিত স্থান ও স্থাপনার ওপর প্রতিবেদন। এসব প্রতিবেদনের জন্য ইত্যাদির টিম মোংলা থেকে নদীপথে হিরণপয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গমন করেন। বাগেরহাটের একদল নারী তাদের ব্যতিক্রমী চিন্তা আর কর্মসৃজনে ফেলনার সামগ্রী কাজে লাগিয়ে নানান উপকরণ তৈরি করার পাশাপাশি এখন তৈরি করছেন বিদেশে রপ্তানিযোগ্য মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি। তাদের ওপর রয়েছে একটি প্রতিবেদন। বাগেরহাটের ঢাংমারী গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন। তবে মাঝে মাঝে বন সুরক্ষায় মাছ, গোলপাতা, মধুসহ বনজ সম্পদ সংগ্রহে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ক্ষুধার তাড়নায় সেই নিষিদ্ধ সময়েও কেউ কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। আর নানান ধরণের বিপদের সম্মুখীন হন, কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেন। তখন অসহায় হয়ে পড়ে তাদের পরিবার। এ বিষয়েই ইত্যাদির এবারের পর্বে রয়েছে একটি তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের উত্তর দিকে অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ওপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। প্রাকৃতিক যে সব বিস্ময় মানুষকে যুগে যুগে মুগ্ধ করেছে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন তারই একটি। তারিখ ও সময় সংক্রান্ত একটি অবাক করা ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু প্রদর্শন করেন জাদুকর ম্যাজিক রাজিক। চিঠিপত্র বিভাগে বাগেরহাটের এক ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তার জীবন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়। এছাড়াও বাগেরহাটের মঞ্চে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় ও প্রসঙ্গ নিয়ে সামাজিক অসঙ্গতি ও সমাজ সংস্কারের ওপর রয়েছে বেশ কিছু তীক্ষ্ণ ও তীর্যক নাট্যাংশ। আত্মসংস্কার ও জাতিগত উন্নয়ন, মোসাহেবী সাহেব, ঘরে-বাইরে চারিদিকেই প্রেশার, ভাষা দিয়ে পেশা চেনা, ঋণখেলাপি ও আলাপী ভিক্ষুক, ঘুষ কথন, গ্রুপের প্রতি বিরূপ, চাটুকার এখন বিনয়ের অবতার, চোরের মায়ের বড় গলা এবং নানী-নাতিসহ বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। এবারের ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন-সোলায়মান খোকা, বাবুল আহমেদ, আব্দুল আজিজ, আবদুল্লাহ রানা, সুভাশিষ ভৌমিক, শবনম পারভীন, কাজী আসাদ, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, জামিল হোসেন, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, আবু হেনা রনি, আনোয়ারুল আলম সজল, আনন্দ খালেদ, আমিন আজাদ, নজরুল ইসলাম, শাহেদ আলী, মামুনুল হক টুটু, ইকবাল হোসেন, জাহিদ শিকদার, বিলু বড়ুয়া, সিলভিয়া কুইয়া, মতিউর রহমান, বেলাল আহমেদ মুরাদ, তারিক স্বপন, সাদিয়া তানজিন, অশোক বড়ুয়া, সাবরিনা নিসা, সুর্বণা মজুমদার, সিয়াম নাসির, শামীম আহমেদ, নিপুসহ আরও অনেকে। বরাবরের মত এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন। ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।
অরুণ চক্রবর্তী লাল পাহাড়ির দেশে র স্রষ্টা আর নেই
অরুণ চক্রবর্তী লাল পাহাড়ির দেশে র স্রষ্টা আর নেই চলে গেলেন বহুল জনপ্রিয় ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ শিরোনামের গানের স্রষ্টা ভারতীয় কবি অরুণ চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডে নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই কবি, তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। আনন্দবাজার অরুণ চক্রবর্তীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলেছে, শারীরিকভাবে ‘অশক্ত’ এই কবি শুক্রবার কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গলমহল অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই কিছুটা ঠান্ডা লেগেছিল তার। কবির পুত্রবধূ সুদেষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তার ফুসফুসে সমস্যা ছিল। সকালে অরুণ চক্রবর্তীর মরদেহ চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুক্তমঞ্চে মরদেহ রাখা হলে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। বহু কবিতা লিখলেও অরুণ চক্রবর্তীকে পরিচিতি এবং খ্যাতি এনে দিয়েছিল তার ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ গানটি। তার রচিত এই কবিতা পরে গান হয়ে লোকের মুখে মুখে ফিরেছে। এই গানে সুর দেন ঝুমুর শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। কলকাতার বাগবাজারে ১৯৪৬ সালে জন্ম হয় অরুণের। পেশায় ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি চাকরি করলেও ছিলেন পুরোদস্তুর কবি। থাকতেন চুঁচুড়ায়। অরুণের চর্চার বিষয় ছিল লোকসংস্কৃতি। কিছুটা বোহেমিয়ান জীবন পছন্দ করা এই কই ঘুরতেন পাহাড়, জঙ্গল ও আদিবাসী এলাকায়। তার পরনে থাকল লাল পোশাক, মাথায় বাঁধতেন রঙিন রুমাল। কবির কাঁধের ঝোলায় থাকত চকলেট। ছোটোদের দেখলে বা নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হলে হাত মিলিয়ে চকোলেট দিতেন।
বাংলাদেশি ছবিতে মিঠুন বিপরীতে থাকছেন মিমি
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/Mi-1.jpg)
বাংলাদেশি ছবিতে মিঠুন বিপরীতে থাকছেন মিমি টালিউড কিংবা বলিউড সর্বত্রই আছেন কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সন্তান হোক বা শাস্ত্রী কিংবা কাবুলিওয়ালা—সব জায়গায় আছেন ফাটাকেষ্টখ্যাত এ অভিনেতা। নির্মাতারা যেন তাকে ছাড়ার পাত্র নয়, এখনো একাধিক ছবি আছে তার হাতে। এর মধ্যেই জানা গেছে হুমায়ূন আহমেদের গল্পে নতুন ছবিতে কাজ করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, মিঠুন চক্রবর্তীকে আগামীতে মানসমুকুল পালের ছবিতে দেখা যাবে। সহজ পাঠের গপ্পোখ্যাত পরিচালক এবার বাংলার শীর্ষ কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে ভিত্তি করে ছবি আনতে চলেছেন। তার বিপরীতে দেখা যাবে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। ভারতের জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ কেন? আসলে পরিচালক নিজে একবার উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে চান চিত্রনাট্য লেখার আগে। সেই বিষয়ে তিনি ভারতের একটি বাংলা গণমাধ্যমে বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি, তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গা উল্লেখ রয়েছে। তাই ওখানকার ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে গিয়ে দেখলে সেই উপলব্ধি আমার থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে। মানসমুকুল পাল বলেন, শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। ছবির অনেকটা শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়; বর্তমানে তার হাতে আরও তিনটি ছবির কাজ রয়েছে। সে ছবিগুলো শেষ করে তবেই তিনি এই ছবির কাজে হাত দেবেন।
নজর কেড়েছেন তাহিয়া ছোটপর্দায়
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/Nawba-1.jpg)
নজর কেড়েছেন তাহিয়া ছোটপর্দায় ছোট পর্দার এই প্রজন্মের নবাগত অভিনেত্রী নওবা তাহিয়া। ইতিমধ্যে ভালো কিছু গল্পের নাটকে অভিনয় করে দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত বেশ কিছু নাটক প্রচারিত হয়েছে। প্রথম নাটক পথিক সাধন রচিত ও পরিচালিত ‘আমার ঠিকানা তুমি’ ও অন্যটি সেজান নূর রচিত ও মোহন আহমেদ পরিচালিত ‘ভালোবেসে রেখো’। দুটি নাটকই অল্প সময়ের ব্যবধানে আলাদাভাবে দশ লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। দুটি নাটকেই নওবার বিপরীতে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ। দুটি নাটকেই অনবদ্য অভিনয়ের জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছেন এবং প্রশংসিত হচ্ছেন নওবা। নওবা তার সাফল্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘নাটক প্রকাশের পর থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। দুটি নাটকেরই গল্প এবং চরিত্র আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি। ফলাফলও ভালো পেয়েছি। দর্শকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবসময় তারা আমার অভিনীত নাটক উপভোগ করেন এবং তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। ধন্যবাদ জানাই নির্মাতা পথিক সাধন ভাইয়া ও মোহন আহমেদ ভাইকে। আমার সহশিল্পী পার্থ শেখ ভাইয়ার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরো ভালো গল্পের নাটকে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি। বিটিভিতে ছোটদের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি দিয়ে শুরু, এরপর বিটিভিতেই উপস্থাপনা। ২০২১ সালে বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার প্রথম নাটক। এরপর থেকে নাটক ও বিজ্ঞাপনে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলনে’ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রশংসিত হন। এটা ছিল তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এই ওয়েব ফিল্ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন অডিশন দিতে যাই, তখন সবাই বললেন, ‘‘তুমি একটু সিনথি চরিত্রটা করে দেখাও তো।’’ করে দেখানোর পর আরিয়ান ভাই বললেন,‘‘আমরা সিনথি পেয়ে গেছি।’’ তারপর সিনথি চরিত্রে অভিনয় করে আমি খুব প্রশংসা পেয়েছি ‘ মডেলিং, বিজ্ঞাপন, উপস্থাপনা এবং নাটকে নিয়মিত কাজ করে তিনি দর্শকের কাছে প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। নওবা অভিনীত অন্যান্য আলোচিত নাটকের মধ্যে রয়েছে-‘সালিশ’, ‘মেঘফুল’, ‘প্রথম প্রেমের বানান ভুল’ (শর্টফিল্ম) সহ ‘বুনোহাঁস’, ‘বিসর্জন’, ‘বড্ড মায়া লাগে’, ‘সহযাত্রী’, ‘জেদ’ ইত্যাদি। অভিনয় দিয়ে এই কনিষ্ঠ অভিনেত্রী সবার মন জয় করে শোবিজ অঙ্গনে তারা হয়ে জ্বলজ্বল করতে চান।
বিয়ের পর বরকত বেড়ে গেছে বললেন নাদিয়া
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/N.jpg)
বিয়ের পর বরকত বেড়ে গেছে বললেন নাদিয়া অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। চলতি বছরের জুন মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সালহা খানম নাদিয়া ও সালমান আরাফাত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিয়ের পরবর্তী সময় কেমন কাটছে ও বিভিন্ন বিষয়ে এ অভিনেত্রী কথা বলেছেন। বিয়ের পরবর্তী সময় নিয়ে নাদিয়া বলেন, ‘হানিমুনে যাওয়ার দুইদিন পর চলে আসছি আলহামদুলিল্লাহ আরও বরকত বেড়ে গেছে, দু’জন একসঙ্গে কাজ করছি। নাদিয়া জানান, ‘আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় মিডিয়ায় পথচলা শুরু। ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও শত্রু নেই, নাটকের হিরো হিসেবে মনির খান শিমুল ভাইকে বেশি ভালো লাগতো। এখন তো সে মেইনস্ট্রিম নাটকে কাজ করছে না। এরপর মিশু ভাই মোশাররফ ভাইকে ভালো লাগে। শাকিব খানের নায়িকা হয়ে কাজ করার অফার প্রসঙ্গে নাদিয়া বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে সিনেমাতে আমার ক্যারেক্টার কেমন হবে, তার সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা নেই। এছাড়া কলকাতায় কাজ করেছেন ‘সুনেত্রা সুন্দরম’ নামের একটি চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাদিয়া। অভিনয়ের বাইরে যতটা সময় পান, সেখানেই দেন।
নতুন প্রেম নিয়ে পরীমণির ‘প্রাঙ্ক’
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/Porimoni-2.jpg)
নতুন প্রেম নিয়ে পরীমণির ‘প্রাঙ্ক’ নভেম্বর ১৯, ২০২৪: কোনো না কোনো বিষয়ে হামেশাই সংবাদের শিরোনাম হন দেশের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সদ্যই ঘোষণা দিয়ে বসেছিলেন, নতুন করে প্রেমে পড়েছেন তিনি! আর তা অনুরাগীদের বিশ্বাস করতেও কতক্ষণ! স্বাভাবিকভাবেই তারা ধরে নিয়েছেন, সত্যিই বোধহয় নতুন সঙ্গী পেয়েছেন পরী। অবশ্য, অনুরাগীরাও একরকম ভুল বোঝেনি। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামনে এনেছিলেন নায়িকা, তা দেখলে যে কারও মনে হবে, প্রেমিকের সঙ্গে ছাড়া এমন কাজ সম্ভব না। তো কী ছিল সেই ভিডিওতে? যেখানে দেখা গেছে, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন নায়িকা পরীমণি। অনেকটা আলিঙ্গনরত মুহূর্তে যুগলরা যেভাবে একে অপরের হাত ধরে, ঠিক সেভাবেই। যদিও পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা তখনও প্রকাশ্যে আনেননি পরী। সেই ভিডিও শেয়ার করে নায়িকা লিখেছেন, ‘হ্যাঁ! আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ পোস্টটি শেয়ার করার পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় শোরগোল। পরীকে রীতিমতো শুভকামনা জানাতে থাকেন তার অনুরাগীরা। জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়ে পা দেওয়ায় অভিনন্দন বার্তায় ভরে ওঠে পরীর মন্তব্য ঘর। একদিকে অনুরাগীরা বিষয়টিকে যেমন ‘সিরিয়াস’ হিসেবে নিয়েছেন, অন্যদিকে একে একে সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠছিলেন পরীমণি। পরীর প্রেমে পড়ার বিষয়টি কারও কারও কাছে একটা ধোঁয়াশায়ও পরিণত হয়। কারও কারও আবার আগ্রহ জন্মায় পরীর বিপরীতের সেই পুরুষটিকে এক ঝলক দেখার। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বাড়তেই হঠাৎ সেই ভিডিওটি আবার সামনে আনলেন পরীমণি। বোঝাতে চাইলেন, আদতে ভিডিওটি করা হয়েছিল ভক্তদের চমকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং মজার ছলে; তথা, পুরো বিষয়টি ছিল শুধুমাত্র একটি ‘প্র্যাঙ্ক’। পরে ভিডিওটির বাকি অংশটুকুতে তার সেই সঙ্গীকে দেখানো হয়। সেখানে তাদের হাসতে হাসতে ফেটে পড়তেও দেখা যায়। তাদের অট্টহাসির ধ্বনির মাত্রাই বুঝিয়ে দেয়, অনুরাগীদের বোকা বানিয়ে কতটা আনন্দিত তারা! ভিডিওর শেষের দিকে তাদের এও বলতে শোনা যায়, ‘গুজবে কান দেবেন না।’ আর সেই ভিডিওর ক্যাপশনে মজার ছলে প্রশ্ন রাখেন, ‘প্রাংক টা কি একটু বেশি হলে গেছিলো ?’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই পরীমণি জানিয়েছিলেন, তার পক্ষে নতুন সম্পর্কে জড়ানো সম্ভব না। জীবনে যা সহ্য করেছেন তারপর আর কারও সঙ্গে তিনি সম্পর্কে নিজেকে বাঁধবেন না। বলা যায়, অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর যখন নতুন করে জীবনে বাঁচা শুরু করলেন পরী, তখন বারবার তিনি এ কথাই জানিয়েছিলেন যে ছেলে এবং মেয়ে তার দুটি ডানা। পরীর আর নতুন সম্পর্কের দরকার নেই।
আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে-দূর্ঘটনা থেকে ফিরে রুবেল
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/80f1de25ed20775607aad45bfedaa34c5e01c835d2668c2b-1.jpg)
আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে-দূর্ঘটনা থেকে ফিরে রুবেল নন্দিত নায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও, মার্শাল আর্ট নিয়ে তিনি ব্যস্ত সময় কাটান। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ কারণে তাকে যেতে হয়। তেমনই এক কাজে আজ তিনি বরগুনার আমতলী যাচ্ছিলেন। সেখানে কারাতে একাডেমির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এই নায়ক। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রুবেলের সঙ্গে থাকা ২ জন। রুবেল বলেন, ‘‘আজ অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। আমতলীতে কারাতে একাডেমির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে আজ আমার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সকালে আমরা মাইক্রোবাসে সেখানে যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ি চালক একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে দেখতে পান, সামনে থেকে দ্রুত গতিতে আরেকটি বাস আসছে। তখন উপায় না পেয়ে মাইক্রোবাসটি তিনি রাস্তার একপাশে নামিয়ে দেন। সেসময় একটি গাছের সঙ্গে সজোরে মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে।” তিনি আরো বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় গাড়ির একপাশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ভাগ্য ভালো হওয়ায় আল্লাহ এই যাত্রায় আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তবে মাইক্রোবাসে থাকা সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা একটু বেশি খারাপ। তারা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।’’ মাদারীপুর হাসপাতালে রুবেল নিজেও প্রথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘‘আমার খুব বেশি কিছু হয়নি। আমরা আমতলীতে যাচ্ছি।’’