মাহি আইটেম গানে

মাহি আইটেম গানে কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা না পেয়ে বিরহের আগুনে পুড়ছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। ভালোবাসার মানুষ তাকে ভালোবাসা না দিয়েই চলে গেছেন দূরে। এমনই কিছু কথা নিয়ে মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র প্রথম পর্বে একটি আইটেম গানে দেখা যাবে মাহিকে। সিরিয়ালে তার চরিত্র ঢাকাই সিনেমার ব্যস্ত নায়িকা তিতলি মির্জা! দীপ্ত টিভিতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারিত হবে ‘খুশবু’, সেখানেই এমন চরিত্রে আইটেম গানের শুটিংয়ে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। জীবনের কঠিন মুহূর্তে গ্রাম থেকে শহরে আসা এক তরুণীর নানা সংগ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই মেগাসিরিয়ালের গল্প। নানা পেশার মানুষের জটিল জীবন গল্পের ভিড়ে অনেকটাই অজানা থেকে যায় গার্মেন্টসকর্মী নারীদের কথা। এবার তাদের সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা ও ঘৃণার দিকগুলো উন্মোচিত হবে টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে। এর পাশাপাশি ‘খুশবু’তে থাকছে রুপালি পর্দার আড়ালে থাকা সিনেমার মানুষদের গল্পও। সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় ‘খুশবু’ নাটকে ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, ইন্তেখাব দিনার, নাজিয়া হক অর্ষা, মাইমুনা ফেরদৌস মমসহ আরো অভিজ্ঞ অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে দেখা যাবে সামিরা খান মাহিকেও। এর নাম ভূমিকায় দীপ্ত স্টার হান্ট বিজয়ী মিষ্টি ঘোষ ছাড়াও ‘খুশবু’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকছে আরেক বিজয়ী সাকিব হোসাইন, টপ পারফর্মার সায়র নিয়োগী, শেখ ফারিয়া হোসেন ও মারিয়া মউ। কাজী মিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত ‘খুশবু’র গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান হীরক ও আসফিদুল হক, সংলাপ লিখেছেন মারুফ হাসান। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ও রাত সাড়ে ১০টায় দীপ্ত টিভি ও দীপ্ত টিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে দেখা যাবে ‘খুশবু’।
লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন দিদারুল আলম লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীন, তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, লালনের গান ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। লালনের গানে অসাধারণ গায়কী প্রতিভা ছিল তাঁর। তাইতো তিনি ‘লালন কন্যা’ ও লালনের গানের ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে খ্যাত হন। লালন সাঁইয়ের ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, ‘বাড়ীর কাছে আরশীনগর’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’ সহ অসংখ্য গানকে তিনি তাঁর গায়কী ঢঙ দিয়ে কালজয়ী করেছেন। তাঁর গীত এসব গান শ্রোতাদের দিয়েছে গভীর মগ্নতা। লালনের আধ্যাত্মিক ও মানবতাবাদী দর্শন তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে আরো তীব্র ও গভীর হয়ে উঠেছে যা মানবাত্মাকে করেছে সমৃদ্ধ। ফরিদা পারভীন ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গানকে পরিচিত করে তোলেন। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়ে ছড়িয়েছেন লালনের দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান কেবল সংগীত নয়, হয়ে উঠেছে এক অনন্য জীবনদর্শন। পরে তিনি গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি। ফরিদা পারভীনের রক্তে ছিল গান। তাঁর দাদি গান করতেন। বাবার ছিল গানের প্রতি অনুরাগ। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে কিশোরী ফরিদা শুরু করেছিলেন পেশাদার সঙ্গীতজীবন। সেই থেকে শুরু, গতকাল অবসান হলো তাঁর ৫৫ বছরের এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের। ফরিদা পারভীনের প্রয়াণের মধ্যদিয়ে লালনসঙ্গীতের সুধাময় এক কণ্ঠের পরিসমাপ্তি হলো। তবে তার ধারণকৃত কণ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনকে প্রশান্তি দেবে অনন্ত কাল। লালনের গান গেয়ে ফরিদা পারভীন নিজেকে গগনস্পর্শী উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুধীজনের কাছে তিনি লালনসম্রাজ্ঞী। দেশের গানেও ছিল তাঁর অনন্য কণ্ঠ। তাঁর গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি আজও বাংলার মানুষকে স্মৃতিকাতর করে। নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন ছোটবেলায় ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায় সারাক্ষণ দৌড়ঝাঁপ আর খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দাদা ও নানাবাড়ির মাঝখানে ছিল এক নদ। আত্রাইয়ের সেই শাখানদের নাম ছিল গুর। ওই নদ পার হয়ে তরুণ ফরিদা দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যেতেন। নানার বাড়ির পাশে বিরাট এক বিল ছিল। শৈশবে খেলার সঙ্গী মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে সেই বিলে শাপলা তুলতে যেতেন। ফরিদার শৈশবের সময়টা তার কেটেছে মাগুরায়। স্কুলজীবনের শুরুটাও সেখানে। সে সময় ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকেছেন। পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলে। পরে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে ছিলেন ফরিদা। কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক। ওই শহরেই দীর্ঘদিন তিনি চর্চা করেছেন লালনগীতি। শৈশব থেকেই ফরিদা পারভীনের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীন রাজশাহী বেতারে নজরুলশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লালনগীতির সঙ্গে তার আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। তখন তিনি কুষ্টিয়ায়। সেখানে তাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তার কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শিখে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদাবক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসঙ্গীত শেখেন তিনি। এরপর পুরোই মগ্ন হন লালনসঙ্গীতে। ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। সেই সংসারে তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি। তার দ্বিতীয় স্বামী বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমায় ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের সম্মানসূচক ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতি, মৎস উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণ শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। সংগীত জীবনে তাঁকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উৎরাই। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাঁকে নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী।’ সূত্র: বাসস
অভিনেতার ইউ মেংলং ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু

অভিনেতার ইউ মেংলং ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু তিনি ছিলেন একাধারে জনপ্রিয় গায়ক, অভিনেতা ও মডেল। বলছি চীনের তারকা ইউ মেংলংয়ের কথা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরতরে বিদায় নিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে একটি বহুতল ভবন থেকে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। তার ব্যবস্থাপনা টিম এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অসহনীয় বেদনার সঙ্গে জানাতে হচ্ছে আমাদের প্রিয় ইউ মেংলং ১১ সেপ্টেম্বর একটি ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন। তিনি শান্তিতে বিশ্রাম করুন এবং তার প্রিয়জনরা শক্ত থাকুন। বিভিন্ন সূত্র জানায়, ৯ সেপ্টেম্বর ইউ মেংলং কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে এক বন্ধুর বাসায় আড্ডা দেন। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে তিনি নিজ কক্ষে চলে যান ও দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করেন। সকাল ৬টার দিকে বন্ধুরা যখন বিদায় নিতে প্রস্তুত, তখন কেউ মেংলংয়ের সাড়া না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। এক প্রতিবেশী, যিনি কুকুর হাঁটাতে বের হয়েছিলেন, ভবনের নিচে পড়ে থাকা দেহটি প্রথম দেখতে পান ও পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনায় প্রথম আলোচনার জন্ম দেয় এক পাপারাজ্জি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউ মেংলংয়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টটি মুছে ফেলেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়। ২০০৭ সালে ‘মাই শো, মাই স্টাইল’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু করেন ইউ মেংলং। অভিনয়ে অভিষেক হয় ২০১১ সালে, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লিটল প্রিন্স’-এ। এরপর তিনি একে একে ‘গো প্রিন্সেস গো’, ‘লাভ গেম ইন ইস্টার্ন ফ্যান্টাসি’, ‘ফিউড’, এবং ‘ইটারনাল লাভ’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও বেশ কিছু হিট গান উপহার দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউ মেংলং জয় করে নিয়েছিলেন অগণিত দর্শকের মন। তার হঠাৎ মৃত্যু ভক্তদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।
নায়ক আলমগীরের নামে ভুয়া আইডি, সতর্ক করলেন মেয়ে আঁখি

নায়ক আলমগীরের নামে ভুয়া আইডি, সতর্ক করলেন মেয়ে আঁখি ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক আলমগীর। এখনকার সময়ের তারকাদের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না তিনি। তবে তার কোনো অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইল না থাকলেও রয়েছে অসংখ্য সক্রিয় ভুয়া আইডি ও ফ্যান গ্রুপ। আর বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি সতর্ক করেছেন তার মেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। ‘নায়ক আলমগীর ফ্যানস ক্লাব’ নামের একটি ফেসবুক পেজে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখের বেশি অনুসারী আছে। কিন্তু এই পেজের সঙ্গে আলমগীরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আঁখি। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এসব বন্ধ করেন। আপনারা কারা ফ্যান ক্লাব চালান জানি না, তবে কার নাম দিয়ে চালাচ্ছেন, তা একটু বুঝে পোস্টগুলো করবেন এরপর থেকে। তার বিশালতা যদি অনুধাবন করতে না পারেন, তবে তার নামে ফ্যান পেজ চালাবেন না দয়া করে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আঁখি। তার ভাষায়, ‘চিত্রনায়ক আলমগীর ফেসবুক ব্যবহার করেন না। ভুয়া আইডি কিংবা পেজের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংগীতশিল্পী আরও জানান, এসব ভুয়া আইডি ও পেজ থেকে নানা পোস্ট করা হয়, এমনকি তাকেও মাঝে মাঝে ট্যাগ করা হয়। আঁখির মতে, কিছু কিংবদন্তি শিল্পীদের অন্তত এ ধরনের অপব্যবহার থেকে মুক্ত রাখা জরুরি। তার কথায়, ‘আমার বাবা, শাবানা আন্টি, ববিতা আন্টি, তারা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তাদের প্রচারের আর প্রয়োজন নেই। তারা প্রচারের ঊর্ধ্বে। তবে এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করার ইচ্ছে নেই বলে জানান আঁখি। বলেছেন, ‘এ নিয়ে সত্যি বলতে সময় নেই। আব্বুরও নেই। এত পেজ আছে যে, একটা বন্ধ হলেও আবার অন্য পেজ খোলা হয়। তাই অভিযোগ না করে সবাইকে সতর্ক করাই শ্রেয় মনে করেছি।
বাসার গুলি দিশা পাটানির

বাসার গুলি দিশা পাটানির বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির বরেলিতে পৈতৃক বাড়িতে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্বরা। শুক্রবার মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় দিশা পাটানির বাবা অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি জগদীশ সিং পাটানি, মা ও বড় বোন খুশবু বাসভবনে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বাড়ির বাইরে থেকে একাধিক খালি কার্তুজ উদ্ধার করে। দিশার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) অনুরাগ আর্য জানিয়েছেন, আমরা মামলাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চে স্থানান্তর করেছি। গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার দায় স্বীকার করার পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গোল্ডি ব্রারের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।এদিকে রোহিত গোদারা-গোল্ডি ব্রার চক্র ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। সেখানে দাবি করা হ, দিশা ও তার বোন নাকি আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজ ও অনিরুদ্ধাচার্য মহারাজকে অসম্মান করেছেন। এর জবাবেই হামলা চালানো হয়েছে। পোস্টে আরও হুমকি দেওয়া হয়েছে, ‘এটা শুধু ট্রেলার। পরেরবার যদি কেউ আমাদের ধর্মকে অসম্মান করে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। চক্রটির বক্তব্য, ‘ধর্ম ও সমাজ আমাদের কাছে অভিন্ন। এগুলো রক্ষার জন্য আমরা যেকোনো পর্যায়ে যেতে প্রস্তুত। পোস্টটিতে আরও বেশ কয়েকটি অপরাধী গোষ্ঠীর নাম ট্যাগ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে মনু গ্রুপ, এপি গ্রুপ, কালা রানা, নরেশ শেঠি, টিনু হরিয়ানা ও অমরজিৎ বিষ্ণোই। সতর্কবার্তায় স্পষ্ট বলা হয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে, তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। গত কয়েক দিনে খুশবু পাটানি সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় নেতাদের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন-তাই এটিকে ঘটনায় কনটেক্সট হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে প্রাথমিকভাবে মেটাতে তদন্তই নির্ধারক হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।
সিরাজউদ্দৌলা বাংলা সিনেমার ‘নবাব’ আনোয়ার হোসেনকে মনে পড়ে

সিরাজউদ্দৌলা বাংলা সিনেমার ‘নবাব’ আনোয়ার হোসেনকে মনে পড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অনন্য নাম আনোয়ার হোসেন। তাকে বলা হয় ‘বাংলার মুকুটহীন নবাব’। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর, এই কিংবদন্তি অভিনেতার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সময়ের আবর্তে হারিয়ে গেলেও তিনি এখনো বেঁচে আছেন ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র মতো চরিত্রে, তার শক্তিশালী অভিনয়ে। খান আতার পরিচালনায় ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক ছবি ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’-তে নাম ভূমিকায় দাপুটে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন দর্শকের প্রিয় অভিনেতা ও দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক মাইলফলক। এই একটি চরিত্রই তাকে এনে দেয় ‘নবাব’ উপাধি। কিংবদন্তি এই অভিনেতা অভিনয় করেছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক সিনেমায়। তার দীর্ঘ ৫১ বছরের অভিনয়জীবনে একের পর এক কালজয়ী চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও তার প্রকৃত উত্থান ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘নয়নতারা’, ‘ভাত দে’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘রংবাজ’, ‘সূর্যস্নান’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র। ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হন ‘লাঠিয়াল’ ছবির জন্য। ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবিতে সহ-অভিনেতার পুরস্কার এবং ২০১০ সালে আজীবন সম্মাননা পান। আনোয়ার হোসেন ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুরের সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। স্কুলজীবনে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন আসকার ইবনে সাইকের নাটকে। ঢাকায় আসেন ১৯৫৭ সালে এবং পরে নাসিমা খানমকে বিয়ে করেন। তবে কালের পরিক্রমায় এই কিংবদন্তি শিল্পীকে আজ চলচ্চিত্র সমাজ অনেকটাই ভুলে গেছে। তার জন্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকী সবই কাটে কোনো আয়োজন ছাড়া।
সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন ফরিদা পারভীনের অবস্থা সংকটাপন্ন

সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন ফরিদা পারভীনের অবস্থা সংকটাপন্ন বাংলা সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন, লালন সংগীতের মহীরুহ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আম্মার অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ। তাকে জেনারেশন ফোর মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম জাফর নুমানী বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গত বুধবার বিকেল থেকে আম্মাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, ব্লাড প্রেশারও নেই। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তচাপ চালু রাখছেন। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ফরিদা পারভীনের পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন নেই। পরিবারের একটাই অনুরোধ সবাই যেন ফরিদা পারভীনের জন্য দোয়া করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, “ফরিদা পারভীন এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনি, মস্তিষ্ক কাজ করছে না, ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত স্পন্দন আছে, রক্তের সংক্রমণ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিউরে ভুগছেন। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকায় ডায়ালাইসিস সম্ভব হয়নি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে, অবস্থা কোন দিকে যাবে। চলতি বছরের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। আবারও গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও লালন সংগীতের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে ফরিদা পারভীনের নিজস্ব পরিচয়। গুরুদের সাহচর্যে তিনি লালনের গানকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই আবেগেই গেয়েছেন ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান। ১৯৭৮ সালে সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। পরে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়ে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি। কেবল গানের মঞ্চেই নয়, লালন সংগীতকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশু-কিশোরদের শেখানো হয় লালনের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সংগীত।
অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ফরিদা পারভীন

অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ফরিদা পারভীন বাংলা সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন, লালন সংগীতের মহীরুহ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। আজ দুপুরে ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আম্মার অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ। তাকে জেনারেশন ফোর মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” অন্যদিকে, শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম জাফর নুমানী বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গত বুধবার বিকেল থেকে আম্মাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, ব্লাড প্রেশারও নেই। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তচাপ চালু রাখছেন। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।” ফরিদা পারভীনের পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন নেই। পরিবারের একটাই অনুরোধ— সবাই যেন ফরিদা পারভীনের জন্য দোয়া করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, “ফরিদা পারভীন এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনি, মস্তিষ্ক কাজ করছে না, ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত স্পন্দন আছে, রক্তের সংক্রমণ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিউরে ভুগছেন। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকায় ডায়ালাইসিস সম্ভব হয়নি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে, অবস্থা কোন দিকে যাবে।” চলতি বছরের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। আবারও গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও লালন সংগীতের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে ফরিদা পারভীনের নিজস্ব পরিচয়। গুরুদের সাহচর্যে তিনি লালনের গানকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই আবেগেই গেয়েছেন ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান। ১৯৭৮ সালে সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। পরে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়ে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।কেবল গানের মঞ্চেই নয়, লালন সংগীতকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশু-কিশোরদের শেখানো হয় লালনের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সংগীত।
আদালত থেকে যে রায় পেলেন ঐশ্বরিয়া

আদালত থেকে যে রায় পেলেন ঐশ্বরিয়া তারকাদের ছবি অনেক সময় অনেকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সম্প্রতি ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। দিল্লি উচ্চ আদালতের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘আগামীতে বিনা অনুমতিতে অভিনেত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অভিনেত্রীর ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে কিংবা ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। ’ জানা গেছে, ঐশ্বরিয়ার ছবি ব্যবহার করে অনেক উদ্যোক্তা কফি মগ, টি-শার্টের মতো নানা সামগ্রী তৈরি করেছেন। এ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ঐশ্বরিয়ার একাধিক ছবির স্বাভাবিকতা নষ্ট করে সেগুলো সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আদালতে ঐশ্বরিয়ার বক্তব্য শুনেছেন বিচারপতি তেজস করিয়া। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে এই ধরনের ঘটনা পুণরায় যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। ঐশ্বরিয়া রায়ের পক্ষে লড়েন আইনজীবী সন্দীপ শেঠি। আদালত জানিয়েছে, ‘ব্যবসার উদ্দেশ্যে ঐশ্বরিয়ার কোনো ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ঐশ্বরিয়ার সংক্ষিপ্ত নামও ব্যবহার করা যাবে না। ’
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে হারানোর ১৬ বছর

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে হারানোর ১৬ বছর বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, যিনি অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা। ভাটি বাংলার এ প্রাণপুরুষ বাউল গানের অনন্য এক কিংবদন্তি। আজ বাউলসঙ্গীতের এই পথিকৃতের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে অগণিত ভক্তকুলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম ইব্রাহীম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। বাউল সম্রাটের প্রেরণা তার স্ত্রী; যাকে তিনি আদর করে ‘সরলা’ নামে ডাকতেন। তিনি গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ-এর দর্শন থেকে। যদিও দারিদ্র তাকে বাধ্য করে কৃষিকাজে তার শ্রম ব্যয় করতে কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি বাউল গানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন শাহ আবদুল করিম। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’, ‘তুমি রাখ কিবা মার’, ‘ঝিলঝিল ঝিলঝিল করেরে ময়ুরপংখী নাও’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া’ এবং ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’ অন্যতম। এ পর্যন্ত বাউল শাহ আবদুল করিমের লেখা গানের ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস)-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো শাহ আবদুল করিমের জীবদ্দশায় তার জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ‘শাহ আবদুল করিম সংবর্ধন-গ্রন্থ’ (উৎস প্রকাশন) নামের এ বইটি সম্পাদনা করেন লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ। পরে শিল্পীর চাওয়া অনুযায়ী ২০০৯ সালের প্রথম দিকে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বাউল আব্দুল করিমের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এর আগে-পরে শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে সুমনকুমার দাশের ‘বাংলা মায়ের ছেলে : শাহ আবদুল করিম জীবনী’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘সাক্ষাৎকথায় শাহ আবদুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘শাহ আবদুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম’ (উৎস প্রকাশন), ‘গণগীতিকার শাহ আবদুল করিম’ (উৎস প্রকাশন) প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকার প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয় সুমন কুমার দশের ‘শাহ আবদুল করিম : জীবন ও গান’ বইটি। এ বইটি ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্য জীবনী হিসেবে বোদ্ধামহলে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। এ বইটিতে করিমের নির্বাচিত বেশ কিছু গানও সংকলিত হয়েছে। বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ভাটির পুরুষ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। এছাড়াও সুবচন নাট্য সংসদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছে শাকুর মজিদের লেখা নাটক ‘মহাজনের নাও’।