সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত

সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত বাংলা গানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কানাডার মন্ট্রিয়লে শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। শিল্পীর হার্ট অ্যাটাকের খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী। সপরিবারে এখন কানাডায় থাকেন সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী। দেশের বাইরে থাকলেও নিয়মিত অংশ নেন স্টেজ শোগুলোতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মঞ্চেও গান গেয়েছেন তিনি। কানাডার মন্ট্রিয়লে ফিরে যাওয়ার পর শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ‘২৬ নভেম্বর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানতে পারেন, হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়েছে। পরদিন দুটি রিং পরানো হয়। এরপর দুদিন হাসপাতালে রাখা হয়। এখন বাসায় আছেন। বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। সত্তরের দশকের শেষ দিকে গানের জগতে পা রাখেন তপন চৌধুরীর। ব্যান্ডের পাশাপাশি একটা সময় একক ক্যারিয়ারে মনোযোগী হন তিনি। আর অল্প ক’দিনেই গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নেন এই সংগীতশিল্পী। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় আছে- ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ‘পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে’, ‘এই রুপালি চাঁদে’, ‘মনে করো তুমি আমি’, ‘পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়’, ‘আজ ফিরে না গেলেই কি নয়’, ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে’, ‘আমি কি বেঁচে আছি’ ইত্যাদি।

বিয়ে করতে চাই সাফা কবির

বিয়ে করতে চাই সাফা কবির এ মুহূর্তে বিনোদন জগতের ছোটপর্দার তারকাদের নাটকের শুটিংয়ের ব্যস্ততা বেড়েছে। সামনে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে তাদের এ ব্যস্ততা। যদিও ভালোবাসা দিবসের এখনো বাকি আড়াই মাস। দিবসটি সামনে রেখে তারকাদের ব্যস্ততা চলছে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। সময়ের ব্যস্ত তারকা অভিনেত্রী সাফা কবির এই প্রেম-ভালোবাসা নিয়েই ব্যস্ত। এর মধ্যেই দুটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন তিনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে টানা আরও কয়েকটি নাটকের শুটিং করবেন সাফা। ভিন্ন ভিন্ন গল্পের নাটকের শুটিং করছেন বলে জানান অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা থেকে ব্যতিক্রমী গল্পের কাজ করছি। সামনের ভালোবাসা দিবসের দিকে তাই তাকিয়ে আছি। ভালোবাসা দিবসে শুটিংয়ের কথা বলার পাশাপাশি ভালোবাসা নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও বললেন। জানালেন তিনি প্রেমে আছেন, ভালোবাসাতেও আছেন, তবে। সাফা কবির বলেন, আমার জীবনের ভালোবাসার অবস্থা কিন্তু খুব ভালো। পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে খুব ভালো আছি। দিনকালও ভালোই কাটছে। ভালোবাসা কিন্তু নানারূপে আসতে পারে। কখনো বন্ধুর রূপে আসতে পারে. কখনো পারিবারের ভালোবাসার মানুষ আসতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালোবাসার কথা বললে, জীবনসঙ্গীর কথা সামনে আসে। সে ক্ষেত্রে বলব আমার পার্টনার হওয়ার মতো কেউ এখনো আসেনি। জীবনসঙ্গী যখন আসবে, তখন সবাই জানতে পারবেন। এ অভিনেত্রী বলেন, আমি প্রেমে আছি, ভালোবাসায় আছি। তবে সেটি শুধুই কাজের মধ্যে, কাজের ভালোবাসায় আছি। যদিও সব শিল্পী এ ধরনের কথাই বলেন। তাই শুনতেও একরকম ক্লিশে শোনাতে পারে। তিনি বলেন, অনেকে হয়তো ভাবতেও পারেন, এটা বলার জন্য বলছি। মোটেও তা নয়, আমি মন থেকে বলতে চাই আমি সত্যিই আমার পেশাকে খুব ভালোবাসি। এই পেশার প্রেমে আমি ডুবে আছি। কাজের মধ্যে আমি এত বেশি ব্যস্ত থাকি, তাই আলাদাভাবে জীবনসঙ্গী নিয়ে ভাবব যে অবশ্যই জীবনসঙ্গী থাকা মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমিও একদিন বিয়ে করব। করতে চাই। তবে বিয়ে করতে চাইলেও আপাতত এ বিষয়ে কোনো ভাবনা নেই। সাফা কবির বলেন, ‘সত্যিই আমি কিন্তু বিয়েতে এখন ফোকাসড নই। এ জন্য হয়তো আমার তাড়াহুড়োও নেই, এখনই বিয়ে করতে হবে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো চাপাচাপি নেই। তিনি বলেন, সত্যিই বলতে যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয়, তখন মনে হয়, আমার তো বিয়ে করা উচিত। কারণ বিয়ে নিয়ে প্রশ্নটা প্রায়ই শুনতে হয়। এটা ছাড়া বিশ্বাস করেন, আমার বিয়ে নিয়ে কিছু মনে হয় না। মন থেকে কাজ ভালোবাসি। আমি এখানে কাজ করতে পেরে নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে করছি। এ অভিনেত্রী বলেন, আমার কাছে মনে হয়, এখানে কাজ করার মাধ্যমে জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। আমি আস্তে আস্তে বেড়েও উঠছি। ইনশাআল্লাহ আমার ইন্ডাস্ট্রি যদি আরও কাজ করার সুযোগ দেয়, আমি আরও কাজ করব। করতেও চাই। এ অভিনেত্রী বলেন, বন্ধুবান্ধব সবাই বিয়ে করে ফেলেছে, তাই বলে আমারও বিয়ে করে ফেলতে হবে সে রকম পরিকল্পনা নেই। বিয়ে করতে হবে বলে করতে চাই না। বিয়ে তখনই করতে চাই, যখন আসলে মনে হবে, আমি বিয়েটা সত্যি সত্যিই করতে চাই।

অভিনেত্রী প্রিয়া ডায়েস বাবা হারালেন

অভিনেত্রী প্রিয়া ডায়েস বাবা হারালেন অভিনেত্রী প্রিয়া ডায়েসের বাবা আর নেই। অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বাবা হারানোর খবরটি জানিয়েছেন। ছোটপর্দার এক সময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমার আদরের বাবা আর নেই। এই পৃথিবী ছেড়ে চিরদিনের জন্য ওপারে চলে গেছেন, ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক টাইম), সবাই উনার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন’। প্রিয়া অভিনেতা টনি ডায়েসের স্ত্রী। তারা এক সময়ে দেশের টিভি নাটকের তুমুল জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন দুজন।বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তারা। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবেসে বিয়ে করেন প্রিয়া ডায়েস ও টনি ডায়েস। তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

বিয়ে করেছেন কেয়া

বিয়ে করেছেন কেয়া গতকালই খবরটা জানা গেছে, বিয়ে করেছেন চলচ্চিত্রশিল্পী সাবরিনা সুলতানা কেয়া। মান্না ও শাকিবের সঙ্গে অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। তাও প্রায় দুই যুগ আগে। ৩৯ বছর বয়সে বিয়ের খবর জানালেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে খবরটি জানান এই নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বিয়ের খবর জানিয়ে লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। বিয়ে করলাম, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেয়ার স্বামীর নাম মোস্তাক কিবরিয়া। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তবে মোস্তাকের এটি প্রথম বিয়ে নয়। এর আগে মোস্তাক কিবরিয়া চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা কে বিয়ে করেছিলেন। তাই পূর্ণিমার প্রাক্তন স্বামী তিনি। জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তার সাথে ডিভোর্স হয় ২০০৭ সালের ১৫ মে। বিয়ে প্রসঙ্গে কেয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই বিয়েটা করা, তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হয়েছে। আমার ও মোস্তাকের মা চাইছিলেন বিয়েটা হোক। দুই পরিবারের ইচ্ছাতেই বিয়ে হয়েছে। সবাই আমাদের নতুন সংসার জীবনের জন্য দোয়া করবেন। যেন বাকিটা পথ একসঙ্গে পাড়ি দিতে পারি। প্রেম নাকি পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে জানতে চাইলে কেয়া বলেন, ‘সম্পূর্ণ পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের প্রস্তুতির জন্য সময়ও পাইনি। বিয়ের সময় শুধু দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, মনতাজুর রহমান আকবর নির্মিত ‘কঠিন বাস্তব’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন সাবরিনা সুলতানা কেয়া। এরপর টানা সিনেমায় অভিনয় করেন। নায়ক হিসেবে পান মান্না, রুবেল, আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খানদের মতো তারকাদের। মাঝে পারিবারিক কারণে লম্বা বিরতিতে যান কেয়া। এরপর ২০১৫ সালে ‘ব্ল্যাক মানি’ দিয়ে আবারও পর্দায় ফেরেন নায়িকা। বর্তমানে তার অভিনীত বেশ কিছু সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে কেয়া অভিনীত ‘কাঠগোলাপ’ দেশে সেন্সরজনিত কারণে আটকে রয়েছে। তবে সিনেমাটি বুলগেরিয়া, ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে আটটি পুরস্কার জিতেছে।

আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান আসছে ডিসেম্বরে

আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান আসছে ডিসেম্বরে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে প্রয়াত ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া নতুন একটি গান। ব্যান্ড মিউজিক ডে উপলক্ষে ‘ইনবক্স’ শিরোনামের গানটি প্রকাশ পাবে আগামী ১ ডিসেম্বর। মৃত্যুর আগে বেশ কিছু গান তৈরি করেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। কিন্তু প্রকাশ করে যেতে পারেননি। সেই গানগুলো একে একে প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন। এর প্রথম গান ‘ইনবক্স’। গানটির কথা লিখেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু। গানের সুর, সংগীত ও কণ্ঠ দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু নিজেই। এলআরবি ব্যান্ডের গিটারিস্ট আবদুল্লাহ আল মাসুদ গ্লিটজকে বলেন, “বসের (আইয়ুব বাচ্চু) অনেকগুলো গানই তৈরি করা ছিল। তার মধ্যে ‘ইনবক্স’ প্রথম রিলিজ পাচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ এর মধ্যে গানগুলো রিলিজ দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণবশত আমরা সেটা করতে পারিনি। তবে আগামী বছরে আশা করছি সিরিজ আকারে গানগুলো প্রকাশ করব। চ্যালেঞ্জ নিয়েই গানগুলো প্রকাশ করতে হচ্ছে জানিয়ে মাসুদ বলেন, “আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর পাঁচ বছর গানগুলো পড়ে ছিল, কম্পিউটার ওপেনই করা হয়নি, সেখান থেকে এগুলোকে নতুন করে তৈরি করা, গানগুলোকে উদ্ধার করে ডেটা রিকভারি করা, আবার প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসে সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছানো এটা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, তবে আমাদের পৃষ্ঠপোষক দরকার, যদি কেউ আমাদের সাথে কোলাবরেশন করে বা এগিয়ে আসে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। তাহলে আমরা অপ্রকাশিত গানগুলো আরও সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারব। ইনবক্স গানটি মুক্তি পাবে আইয়ুব বাচ্চুর ইউটিউব চ্যানেল, আইটিউনস, স্পটিফাইসহ বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘এলআরবি’, যে দলটি কয়েক দশক করে দেশের ব্যান্ড সংগীতকে করেছে সমৃদ্ধ। একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাচ্চু ভক্তদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘এবি’ নামে। আড়াই দশকের বেশি সময়ে ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘চল বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘বারো মাস’, ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’র মত বহু গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন বাচ্চু। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর বাচ্চুর মৃত্যুর পর থেকে খেই হারিয়েছে দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলা দলটি।

নিনজা-ডোরেমনের ডাবিং আর্টিস্ট জুনকো হরিয়ার মারা গেছেন

নিনজা-ডোরেমনের ডাবিং আর্টিস্ট জুনকো হরিয়ার মারা গেছেন কিংবদন্তি ডাবিং আর্টিস্ট জুনকো হরি মারা গেছেন। জনপ্রিয় কার্টুন নিনজা হাতোরি এবং ডোরেমন-এ কণ্ঠ দিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন। অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জাপানি এই ভয়েস আর্টিস্ট। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। জুনকো হরির প্রোডাকশন সংস্থা বাওবাব মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এই কঠিন সময়ে গোপনীয়তার অনুরোধ জানিয়ে তার শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। এই কারণেই শিল্পীর মৃত্যুর খবর দেরি করে জানানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় আরও জানা গেছে যে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুধু নিকটাত্মীয়দের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভক্তদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বাড়িতে যাওয়া বা উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ জাপানি এ অ্যানিমেশন ডাবিং তারকা অসংখ্য জনপ্রিয় অ্যানিমেশনে নিজের কণ্ঠ দিয়েছেন। অ্যানিমে ভূমিকার জন্য পিচ করার পাশাপাশি গেগে নো কিতারো এবং গানবারে গোয়েমন গেম সিরিজে ভিডিও গেম চরিত্র সুনাকাকে এবং সাসুকেতে কণ্ঠ দিয়েছেন হরি। অ্যানিমে নিউজ নেটওয়ার্ক অনুসারে, তিনি পশ্চিমা চলচ্চিত্র টোক কিল এ মকিংবার্ড, ম্যাড ম্যাক্স বিয়ন্ড থান্ডারডোম এবং গেট ইওর গানের ভূমিকায় ডাব করেছেন। তার অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যস্ততার জন্য তাকে অ্যানিমেটেড সিটকম দ্য সিম্পসনসের প্রথম ১৫ সিজনে বার্ট সিম্পসনকে কণ্ঠ দিতে হয়েছিল। তাছাড়া, তিনি টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন সিরিজে জেরির কণ্ঠস্বর দিয়েছিলেন। হরির অ্যানিমে ক্রেডিটগুলোর তালিকার মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রো বয়, সিন্ডারেলা বয়, অ্যান অফ গ্রিন গেবলস, দ্য গুটি ফ্রগ, লিজেন্ড অফ দ্য মিস্টিক্যাল নিনজা, সিন্দবাদ দ্য সেলর, রেইন বয়, ক্যাট আইড বয়, স্পিড রেসার, লিটল লুলু, টোকিও মেউ-এর ভয়েসিং চরিত্রগুলো যা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

আবরারকে নিয়ে চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে ৩ ডিসেম্বর

আবরারকে নিয়ে চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে ৩ ডিসেম্বর বেদনা জাগানো এক সিনেমার নাম ‘রুম নম্বর ২০১১’। গল্পটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নিয়ে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। বুয়েটের সেই আবরার ফাহাদকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রটি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে এটি। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অভিনয় করেছেন। এর আগে সিনেমাটি মুক্তির কথা শোনা গেলেও সেটি চূড়ান্ত কিছু ছিল না। অবশেষে এটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৩ ডিসেম্বর। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিমিয়ার হবে ছবিটির। পাশাপাশি আগামী ৩০ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির। ‘রুম নম্বর ২০১১’ পরিচালক জিসানের প্রথম ফিকশন। এর আগে তিনি বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্যের রিমেক করে আলোচনায় এসেছেন। এর মধ্যে আছে ‘মনপুরা’, ‘থ্রি ইডিয়ট’সহ বেশ কিছু সিনেমা। জিসান আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘রুম নম্বর ২০১১’ সরাসরি বায়োপিক নয়। আবরারের ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। আমরা নির্মাণের আগে তার পরিবার, বন্ধু, স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আবরার সম্পর্কে সবকিছু জেনেই নির্মাণে হাত দিয়েছি। তবে আবরারের ঘটনাটি বুয়েটের হলেও এটির শুটিং হয়েছে জিসানের ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সম্পর্ক ভেঙে মল্লিকা বললেন

সম্পর্ক ভেঙে মল্লিকা বললেন ফরাসি প্রেমিক অতীত। নিজেকে সিঙ্গল ঘোষণা করলেন মল্লিকা শেরওয়াত। অভিনেত্রী জানালেন, ফরাসি ব্যবসায়ী সিরিল অউক্সেনফানসের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। সম্পর্ক ভাঙার পর মল্লিকার উপলব্ধি, বর্তমানে যোগ্য পুরুষের বড় অভাব রয়েছে। ভারতের হরিয়ানায় বড় হয়েছেন মল্লিকা। পরিবারের অমতেই বলিউডে কাজ শুরু করেছিলেন। তার আগে বিমান সেবিকা হিসেবে কাজ করেছেন। সেই দিল্লির পাইলট করণ সিং গিলকে বিয়ে করেছিলেন। পরে ডিভোর্সও হয়ে যায়। বলিউড কেরিয়ারের যাতে ক্ষতি না হয়, এই বিষয়টি বহুদিন গোপন রেখেছিলেন মল্লিকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্রেকআপের কথাটি জানান মল্লিকা। নায়িকা বলেন, ‘এখনকার এই সময়ে এবং এই বয়সে যোগ্য পুরুষ আর কই! তা পাওয়া বড় দুষ্কর। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমি এখন সিঙ্গল। ২০১৭ সাল থেকে ফ্রান্সের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সিরিল অউক্সেনফানসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন মল্লিকা। আচমকা কেন এই বিচ্ছেদ? সেই বড়ই ব্যক্তিগত, তাই তা জানাতে চাননি অভিনেত্রী। তবে নিজের বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। অভিনেত্রী জানান, তিনি বিয়ের পক্ষেও নন, আবার বিপক্ষেও নন। তবে এখন এ বিষয়ে বড় উদাসীন। বলিউডে মল্লিকার শুরুটাই হয়েছিল ‘হট গার্ল’ হিসেবে। প্রথমে ‘খোয়াইশ’, তারপর ‘মার্ডার’। তারপর একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। হলিউডেও পাড়ি দিয়েছিলেন মল্লিকা। ‘দ্য মিথ’ সিনেমায় জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। বলা হয়, মল্লিকার হলিউড সিনেমা ‘পলিটিকস অফ লাভ’-এর আরেথা গুপ্তা চরিত্রটি জনপ্রিয় মার্কিন রাজনীতিবিদ কমলা হ্যারিসের অনুপ্রেরণায় তৈরি। অবশ্য সেসব এখন অতীত। এখন বলিউডে নতুন করে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছেন মল্লিকা। সম্প্রতি ‘ভিকি বিদ্যা কা ভো ওয়ালা ভিডিও’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে।

কাজলরেখা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসে

কাজলরেখা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসে নেদারল্যান্ডসের রটারডেম চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমা ‘কাজলরেখা’। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এ উৎসবের ৫৪তম আসরে লাইমলাইট বিভাগে এটি নির্বাচিত হয়েছে। ৪০০ বছর আগের বাংলার রূপকথা মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। গেল ১১ এপ্রিল এটি দেশে মুক্তি পায়। মুক্তির পাঁচমাস পর সিনেমাটি এবার যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। উৎসবে যাওয়া প্রসঙ্গে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘রটারডাম ফিল্ম ফেস্টিভাল এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্মগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়, মৈমনসিংহ গীতিকার মতো প্রাচীন একটি রূপকথাকে এই সময়ে এসে লোকাল ফর্মে কীভাবে স্ক্রিনে হাজির করলাম সেটাই ওদের আগ্রহী করেছে। আমি আনন্দিত ও সম্মানিত অনুভব করছি। অন্য নির্মাতারা যখন সিনেমা নির্মাণের পর আন্তর্জাতিক নানা উৎসব ঘুরে দেশের বড়পর্দায় মুক্তি দেন, তখন উল্টোপথে হাঁটলেন সেলিম। ‘মনপুরা’খ্যাত এ নির্মাতার সিনেমা প্রশংসিত ও জননন্দিত হলেও বিদেশের উৎসবের চেয়ে দেশের সিনেমা হলকেই সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘এটা ঠিক দেশের বড়পর্দাকেই প্রাধান্য দিয়েছি বেশি তবে আমার “মনপুরা”ও কিন্তু সুইজারল্যান্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে গিয়েছিল, “পাপপূণ্য” ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়ায় গিয়েছিল। “কাজল রেখা” তো মুক্তির দু’সপ্তাহ পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ডিপার্টমেন্ট এটিকে কোর্স হিসেবে চালু করেছে, অনেক ছাত্রছাত্রী এর ওপর থিসিস করছে। এসব কারণে আমি সবমিলিয়ে আনন্দিত। বলা দরকার, আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ‘রটারডেম চলচ্চিত্র উৎসব’র। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডস যাবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও সিনেমার অভিনয়শিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাসহ অনেকেই। এদিকে, সিনেমায় কাজলরেখা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। এছাড়াও আছেন শরিফুল রাজ, সাদিয়া আয়মান, খায়রুল বাসার, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, শাহানা রহমান সুমী, ইরফান সেলিম সুজন, ঝুনা চৌধুরীসহ অনেকে। অন্যদিকে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডিতে উন্মুক্ত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। দর্শকরা চাইলে ২০ টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন করে সিনেমাটি দেখতে পারছেন।

পরীমণি শিক্ষার্থীদের নামে নালিশ করবেন 

পরীমণি শিক্ষার্থীদের নামে নালিশ করবেন বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে অবস্থান করছেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। নানা শামসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার এই গ্রামে যাওয়া। নায়িকার সময়টা কাটছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। যার প্রমাণ মেলে তার ফেসবুকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পরী তার ফেসবুকে একটা ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, একঝাঁক শিক্ষার্থী তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। পরীও তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। ভিডিওতে পরীমণি বলেন, ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এসেছে। দাঁড়াও তোমাদের শিক্ষকদের কাছে নালিশ করব। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবি তোলা ও আলাপচারিতার পর বিদায় বেলায় পরী বলেন, ‘বিকাল বেলায় আবারও এসো। ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে পরীমণি লিখেছেন, ‘আমার জন্য সকাল সকাল নানু বাড়ির উঠানে একরাশ ভালোবাসার ছড়াছড়ি! কি লাগে এক জীবনে আর! আমি তোমাদেরই লোক। এই আমার পরম পাওয়া।তার এই পোস্টের ঘরে ভক্ত-অনুরাগীরা নায়িকার প্রশংসা করে নানা মন্তব্য করে যাচ্ছে। আর পরীমণিও সেই ভালোবাসা উপভোগ করছেন মনের আনন্দে।