ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কেন দেখা করতে দেননি মুমতাজকে?

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কেন দেখা করতে দেননি মুমতাজকে? গত ২৪ নভেম্বর ৮৯ বছর বয়সে মারা যান বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার আগে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ধর্মেন্দ্র। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সহশিল্পী ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছিলেন বরেণ্য অভিনেত্রী মুমতাজ। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাকে। কেন দেখা করতে পারেননি তা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুমতাজ। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুমতাজ বলেন, “আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্টাফরা বললেন, ‘তিনি ভেন্টিলেটরে আছেন, কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’ আমি সেখানে ৩০ মিনিট বসেছিলাম, আশা করছিলাম হয়তো দেখা করতে পারব, কিন্তু পারিনি। শেষ পর্যন্ত দেখা না করেই ফিরে আসি।” শেষবার ধর্মেন্দ্রকে না দেখতে পেরে কষ্ট ও গভীর হতাশা নিয়ে ফিরেন মুমতাজ। ২০২১ সালে ধর্মেন্দ্রর বাসভবনে শেষ সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০২১ সালে বাসায় গিয়ে আমি তার সঙ্গে শেষবার দেখা করি। খুবই সুন্দর ছিল সেই সাক্ষাৎ। সেটাই ছিল আমাদের শেষ দেখা।” প্রবীণ এই অভিনেত্রী ধর্মেন্দ্রর পরিবার, বিশেষ করে তার স্ত্রী হেমা মালিনী প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “আমি তার পরিবার আর হেমাজির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি। হেমাজি সবসময় তার প্রতি নিবেদিত ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি গভীরভাবে এই শোক অনুভব করছেন। সত্যিই তিনি ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন।” ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিত্ব ও কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুমতাজ বলেন, “আমরা কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি। সবসময়ই দারুণ একজন সহ-অভিনেতা ছিলেন। অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, তার সোনার মতো হৃদয় ছিল। খুবই মিশুক, বন্ধুসুলভ, সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন তিনি। শেষ পর্যন্তও মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালোই ছিল। মানুষ তাকে ভালোবাসত, আর সবসময়ই ভালোবাসবে। তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি, যাকে ভুলে থাকা অসম্ভব।”

স্বামীকে হারিয়ে হেমা বললেন, আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব

স্বামীকে হারিয়ে হেমা বললেন, আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব গত ২৪ নভেম্বর মুম্বাইয়ের বাসভবনে মারা গেছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার মৃত্যুর পর পারিবারিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আজ ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনী আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত তারই এক লিখিত দলিল যেন এটা। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে হেমা মালিনী লেখেন, “ধর্মজি, আমার কাছে অনেক কিছু ছিলেন। স্নেহময় স্বামী, আমাদের দুই মেয়ে এশা ও অহনার আদুরে বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি—প্রয়োজনে সবসময় যার কাছে ছুটে যেতাম—আসলে তিনি আমার সবকিছুই ছিলেন! সুখ–দুঃখের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পাশে থেকেছেন। সহজ-সরল, বন্ধুসুলভ স্বভাব, স্নেহ ও আন্তরিকতার জন্য পরিবারের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।” ধর্মেন্দ্র চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে হেমা মালিনী লেখেন, “জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে, তার প্রতিভা, জনপ্রিয়তা থাকার পরও তার বিনয়, সবার হৃদয়ে ছড়িয়ে থাকা সার্বজনীন আবেদন—এসবই তাকে সকল কিংবদন্তির মাঝে অনন্য এক আইকনে পরিণত করেছে। চলচ্চিত্রজগতে তার চিরস্থায়ী খ্যাতি ও কৃতিত্ব চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” ব্যক্তিগত ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে হেমা মালিনী লেখেন, “আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা আমার বাকি জীবনে থেকে যাবে। বহু বছর একসঙ্গে পথচলার পর, বিশেষ মুহূর্তগুলো স্মরণ করতে করতে, অসংখ্য স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।” বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর রূপ আর অভিনয়ের প্রেমে কে পড়েননি! ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। তারপর হেমার প্রেমে উন্মাদ হয়ে উঠেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্র। সব দ্বিধা উড়িয়ে সময়ের সঙ্গে দুজনেই মনের বিনিময় করেন। ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র; বিয়ের মোহরানা ধার্য করেন ১ লাখ ১১ হাজার রুপি। ১৯৮০ সালের ২ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন এই প্রেমিক যুগল। এ সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—এশা দেওল ও অহনা দেওল। তারপর সময় অনেক গড়ায়, শেষ পর্যন্ত অটুট ছিল ধর্মেন্দ্র-হেমার ভালোবাসা! এ জুটির প্রেমজীবন সিনেমাকেও হার মানায়।

জোড়া সিনেমায় জুটি বাঁধছেন আদর-অপু

জোড়া সিনেমায় জুটি বাঁধছেন আদর-অপু ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আদর আজাদ। একের পর এক নতুন জুটি ও অভিনয় ধারায় দর্শককে চমক দিয়ে চলেছেন। বুবলী ও পূজা চেরির সঙ্গে সফলভাবে কাজ করার পর এবার বড়সড় চমক—প্রথমবারের মতো ‘ঢালিউড কুইন’ অপু বিশ্বাসের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন এই নায়ক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, একসঙ্গে দুটি নতুন সিনেমায় দেখা যাবে আদর–অপুকে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক সব আলোচনা শেষ এবং সিদ্ধান্তও ‘চূড়ান্ত’। খুব দ্রুতই শুটিং ফ্লোরে গড়াবে প্রথম সিনেমার কাজ। কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসবে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতারা দুই সিনেমার কাজ নিয়েই ব্যস্ত প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। গল্প, বাজেট, লোকেশন—সবকিছু প্রায় চূড়ান্ত। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আদর আজাদ ও অপু বিশ্বাস দুজনেই এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। আলোচনার সত্যতা স্বীকার না করলেও গুঞ্জন থামছে না। সম্প্রতি আদর শেষ করেছেন ‘পিকনিক’ ও ‘ট্রাইব্যুন্যাল’ সিনেমার কাজ। অন্যদিকে অপু বিশ্বাসও একাধিক নতুন প্রজেক্টের প্রস্তুতি হিসেবে ওজন কমিয়ে, একেবারে নতুন লুকে হাজির হয়েছেন। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ট্র্যাপ’ মুক্তি পেয়ে আলোচনায় আসে। আর আদরের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টগর’–এ তার সহশিল্পী ছিলেন পূজা চেরি। নতুন জুটি হিসেবে আদর আজাদ ও অপু বিশ্বাস দর্শকদের মন জয় করতে পারেন কি না—তা এখন দেখার বিষয়।

স্বামী পিটার হাগের বিরুদ্ধে মামলা, ৫০ কোটির দাবি সেলিনার

স্বামী পিটার হাগের বিরুদ্ধে মামলা, ৫০ কোটির দাবি সেলিনার বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক মিস ইন্ডিয়া সেলিনা জেটলি তার স্বামী পিটার হাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন । গত ২১ নভেম্বর মুম্বাইয়ের আদালতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের ২(এ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এস সি তাডয়ের আদালতে মামলার আবেদন শুনানি হয়। পরে পিটার হাগকে নোটিশ পাঠান আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ ডিসেম্বর।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলার অভিযোগপত্রে ৪৭ বছর বয়সী অভিনেত্রীর উল্লেখ করেন, অস্ট্রিয়ান স্বামী পিটার হাগের হাতে গুরুতর মানসিক, শারীরিক, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি দেশ ত্যাগ করে ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তার সন্তানরা অস্ট্রিয়ায় বাবার সাথে বসবাস করছে। এএনআই-এর বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানও, মুম্বাই আদালতে মামলা করে স্বামীর থেকে ৫০ কোটি রুপি খোরপোশ দাবি করেছেন সেলিনা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৮ কোটির টাকার বেশি। এছাড়া সন্তানদের জন্য মাসিক ১০ লক্ষ রুপি দাবি করেন তিনি। পিটার হাগ একজন অস্ট্রিয়ান উদ্যোক্তা ও হোটেল ব্যবসায়ী। দুবাই ও সিঙ্গাপুরের স্বনামধন্য হোটেল চেইনে কাজ করেছেন। বিশেষ করে দুবাইয়ের ইমার হসপিটালিটি গ্রুপে মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ২০১১ সালে সেলিনা জেটলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে থেকে তিনি হোটেল শিল্পে প্রতিষ্ঠিত। এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে সেলিনা জানান, দুবাইয়ে এক ইভেন্টে প্রথম দেখা হয় তাদের। ভারতীয় একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের স্টোর ওপেনিংয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেলিনা। সেখানে পারিবারিক এক বন্ধু তাকে পিটার হাগের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেলিনা বলেন, ‘ওই মুহূর্তে তাকে দেখে মনে হয়েছিল, মানুষটা আমার স্বামী হওয়ার যোগ্য। আমরা তখন কথা বলিনি, তবে পরে তার সঙ্গে আলাপ হয়। পিটারের ভদ্রতা ও কোমল স্বভাব দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ২০১০ সালে সেলিনার পরিবারকে দেখতে পিটার ভারত আসেন। এক সন্ধ্যায় তারা বাইরে ঘুরতে গেলে পিটার তাকে শাড়ি পরতে বলেন। সে রাতেই পিটার হাগ তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ের বাসায় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে তাদের আংটি বদল হয়। ২০১১ সালে তারা বিয়ে করেন এবং ২০১২ সালে যমজ সন্তানের মা–বাবা হন। পাঁচ বছর পর সেলিনা আবার যমজ সন্তানের জন্ম দেন, যার একজন হৃদরোগে মারা যায়। গত বছরও সেলিনা জেটলি স্বামীকে নিয়ে ভালোবাসায় ভরা একাধিক ছবি পোস্ট করেন। কিন্তু এক বছর পর স্বামী পিটার হাগের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে মামলা করলেন তিনি।

দেবের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রুক্মীণী

দেবের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রুক্মীণী ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা অভিনেতা ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য দেব। রাজনীতি ও চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে বিয়াল্লিশের দেব এখনো অবিবাহিত। যদিও চিত্রনায়িকা রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের খবর কারো অজানা নয়। সুযোগ পেলেই রুক্মিণীকে নিয়ে অবসর কাটাতে বিদেশে উড়ে যান দেব। তার ভক্ত-অনুরাগীরাও চান তাদের প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী বিয়ে করুক। দেবের বাবা-মাও চান ছেলে বিয়ে করুক। এ নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের পরিস্থিতিতে প্রসঙ্গ যেমন এড়িয়ে গিয়েছেন, তেমনি নানা মন্তব্যও করেছেন দেব-রুক্মিণী। সংগীত বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবার মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী। রুক্মিণী মৈত্র বলেন, “যে দিন আমাদের সবাই প্রশ্ন করা বন্ধ করে দেবেন, সেদিন আমরা সকলকে চমকে দেব। তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে যাবেন। কিন্তু বলা যায় না, বিয়ে কার কপালে কখন, কার সঙ্গে (এ কথা বলেই জিভ কাটেন নায়িকা)। ২০২৪ সালে গুগল সার্চ করে অনুরাগীরা চমকে গিয়েছিলেন। কারণ সেখানে লেখা ছিল দেব বিবাহিত! ২০২১ সালের ৬ মে রুক্মিণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।   কেবল তাই নয়, তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। সাক্ষাৎকারে দেবকে প্রশ্ন করা হয়ছিল, দেব কি টলিউডের সালমান খান? ভাইজানের মতো তিনিও কি সারা জীবন একাই জীবন কাটানোর মন স্থির করেছেন? জবাবে দেব বলেছিলেন, “আমি কোনো খান হতে চাই না। দেব হয়েই বেশ ভালো আছি। যেখানে আছি, যার সঙ্গে আছে বেশ ভালোই আছি। তবে এই নয় যে, আমি একা ব্যাচেলর লাইফ লিড করব। রুক্মিণীকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে দেব বলেছিলেন, “বিয়ে হলো ভাগ্যের ব্যাপার। তবে এই নয় যে, আমি বিয়ে করতে চাই না। অবশ্যই করব। একটা প্ল্যান চলছে, খুব শিগগির সবাই জানতে পারবেন। দেবের তার হাত ধরে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছে। চুটিয়ে প্রেম করছেন তারা। ২০১৭ সালে ‘চ্যাম্প’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন রুক্মিণী। অভিষেক চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হন। তারপর ‘ককপিট’, ‘কবীর’, ‘কিডন্যাপ’, ‘পাসওয়ার্ড’, ‘ব্যোমকেশ ও দূর্গরহস্য’ প্রভৃতি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হন তারা।

বিয়েতে নাচতে কত টাকা নেন শাহরুখ–সালমান–ক্যাটরিনারা?

বিয়েতে নাচতে কত টাকা নেন শাহরুখ–সালমান–ক্যাটরিনারা? ভারতের উদয়পুরে শিল্পপতি রাজু মন্টেনার কন্যা নেত্রা মন্টেনার বিয়ের আসর বসেছে। সেই বিয়েকে ঘিরে নানা মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া এসব দৃশ্যেই দেখা যাচ্ছে বিয়েতে জমেছে বলিউড তারকাদের মেলা। রণবীর সিং থেকে জাহ্নবী কাপুরঅনেকেই সেখানে নেচেছেন। তবে এ আয়োজন প্রথম নয়। প্রায়ই নানা ‘হাই প্রোফাইল’ বিয়েতে নিয়মিতই নাচতে দেখা যায় বলিউড তারকাদের। এসব বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচার জন্য কার কত পারিশ্রমিক ধরা আছে? অনন্ত আম্বানির বিয়েতেও রণবীর সিংকে দারুণ নাচতে দেখা গিয়েছিল। প্রায়ই বিয়ের আসরে নাচেন তিনি। শোনা যায়, একটি অনুষ্ঠানে তিনি নেন প্রায় ১ কোটি রুপি বা তার কিছু বেশি। আলিয়া ভাটকেও একসময় নিয়মিতই বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে দেখা যেত। যদিও বিয়ের পর তাকে আর তেমন দেখা যায়নি। তবে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে স্বামী রণবীর কাপুরের সঙ্গে তিনি নেচেছিলেন। বলা হয়, বিয়ের আসরে নেচে তিনি নেন প্রায় ১.৫ কোটি রুপি। সালমান খান নাচ দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান জমিয়ে তোলেন। তার উপস্থিতিতেই যেন পুরো পরিবেশ বদলে যায়। তিনি নাকি একটি অনুষ্ঠানে নাচার জন্য ২ কোটি রুপি পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন। একসময় বিয়েতে নাচা নিয়ে আপত্তি থাকলেও রণবীর কাপুর নিজেই সেই ধারণা ভেঙেছেন। এখন নাচলে তিনিও নেন প্রায় ২ কোটি রুপি। দীপিকা পাড়ুকোন যেমন ছবিতে নাচে মুগ্ধ করেন, তেমনই বিয়ের মঞ্চেও তার নাচ দর্শক মাতিয়ে দেয়। তার পারিশ্রমিক প্রায় ১ কোটি রুপি। ভিকি কৌশলও নাচেন প্রায় ১ কোটি রুপির বিনিময়ে। তবে ভিকির স্ত্রী ক্যাটরিনা কাইফের পারিশ্রমিক তুলনামূলক অনেক বেশি। বলিউডে ‘শীলা কি জওয়ানি’, ‘চিকনি চামেলি’, ‘কমলি’–সহ বহু হিট নাচের গানের নায়িকা তিনি। ফলে বিয়ের আসরেও মুহূর্তেই পরিবেশ গরম করে ফেলেন ক্যাটরিনা পারিশ্রমিক শোনা যায় প্রায় ৩.৫ কোটি রুপি। এ ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে দেখা যায় বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকেও। তিনি নাকি নেন প্রায় ৩ কোটি রুপি। আর অক্ষয় কুমারের পারিশ্রমিক ধরা হয় প্রায় ২.৫ কোটি রুপি।

মিস ইউনিভার্স’ মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

মিস ইউনিভার্স’ মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সদ্য শেষ হওয়া মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতার রেশ কাটতে না কাটতেই সহ-মালিক ও থাই মিডিয়া উদ্যোক্তা অ্যান জাকাপং জাকরাজুততিপকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার (৩০ মিলিয়ন বাত) অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে থাইল্যান্ডের দক্ষিণ ব্যাংকক সিভিল কোর্ট। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আদালতের একটি সূত্র। এক থাই প্লাস্টিক সার্জন অভিযোগ করেছেন ২০২৩ সালে জাকাপং তাঁকে জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপে বিনিয়োগে রাজি করানোর সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক তথ্য গোপন করেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ ফেরত দেওয়ার ভুল প্রতিশ্রুতি দেন। আদালত জানায়, এই আচরণ প্রতারণার শামিল এবং আদালতে তাঁর অনুপস্থিতি পালানোর চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। মঙ্গলবার ছিল মামলার রায় ঘোষণার কথা, কিন্তু জাকাপং আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর। স্থানীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা জাকাপং নাকি ইতিমধ্যেই মেক্সিকোতে চলে গেছেন। তবে এ বিষয়ে তাঁর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই আইনি প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা বা আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংশ্লিষ্ট। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শুরু থেকেই ছিল বিতর্কে জর্জরিত। লাইভ অনুষ্ঠানে এক পুরুষ সঞ্চালকের আচরণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিজয়ী মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোশ প্রচারণামূলক কনটেন্ট পোস্ট না করায় তিনি প্রকাশ্যে তাঁকে তিরস্কার করেন। অপমানজনক মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বোশসহ কয়েকজন প্রতিযোগী মঞ্চ ত্যাগও করেন। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা চান ওই সঞ্চালক। ঘটনাটি নজর কেড়ে নেয় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবামেরও। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাটি একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানায় থাকলেও ২০২২ সালে জেকেএন গ্লোবাল গ্রুপ এটি ২০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। পরে প্রতিষ্ঠানটি এর অর্ধেক শেয়ার ১৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে মেক্সিকোর লেগ্যাসি হোল্ডিং গ্রুপ ইউএসএর কাছে।

তিশার ‘পেশাদারিত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রযোজক

তিশার ‘পেশাদারিত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রযোজক জনপ্রিয় ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা সম্প্রতি ভারতীয় পরিচালক এম এন রাজের ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমাটি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এক অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে এই সংক্রান্ত সকল তথ্য ও গুজবকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রটনা’ বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। তিশা তার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ছবিটির শুটিং উপলক্ষে তার বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব যেমন ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত করা এবং সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা চুক্তিনামা অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে পরিচালক ও প্রযোজকের ওপর ন্যস্ত ছিল। এর কোনো ব্যত্যয় হয়ে থাকলে তার দায়ভার প্রযোজনা সংস্থার। তবে এই বিতর্কের সূত্র ধরে ছবিটির প্রযোজক সরিফুল সাবেক ভারতীয় গণমাধ্যমে পালটা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি তিশার পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘পেশাদারিত্ব কাকে বলে, তার (তানজিন তিশা) জানা নেই। ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমাটির অধিকাংশ দৃশ্যধারণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র আট দিনের শুটিং বাকি রয়েছে। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড তারকা শরমন জোশী, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় এবং গৌরব রায়চৌধুরী। এই পরিস্থিতিতে তানজিন তিশার পরিবর্তে বাকি অংশের জন্য একজন ওড়িয়া অভিনেত্রীকে দেখা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘থার্সডে নাইট’-এ মিথিলার সঙ্গে কী ঘটেছিল

‘থার্সডে নাইট’-এ মিথিলার সঙ্গে কী ঘটেছিল   থার্সডে নাইট, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত মানেই একটু ফান–ফুর্তি। পরের দিন শুক্রবার বা ছুটির দিন হওয়ায় থার্সডে নাইট ব্যস্তময় জীবন থেকে একটু মুক্তির সময় যেন। বন্ধুদের সঙ্গে এমন এক আড্ডায় মুখর হতে চেয়েছিলেন কয়েক বন্ধু। কিন্তু সেই আড্ডা তাদের জীবনে প্রশান্তি তো আনেইনি বরং তৈরি করেছে সমস্যা। কী এবং কেন সেই সমস্যা? ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘থার্সডে নাইট’ গল্পের সব উত্তর মিলবে। এটি মূলত বন্ধুদের নিয়ে ইনভেস্টিগেশন থ্রিলার ঘরানার গল্প এবং সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় এটি নির্মাণ করেছেন জাহিদ প্রীতম। ২৬ নভেম্বর রাত ১২টায় কনটেন্টটি মুক্তি পাবে চরকিতে। এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ফ্ল্যাশ ফিকশন ’থার্সডে নাইট’–এর ট্রেলার। যেখানে ধারণা পাওয়া গেছে ’থার্সডে নাইট’-এর পার্টি, নির্দিষ্ট একটা সময়ের স্মৃতি মনে না পরার মতো ঘটনা এবং সেই ভুলে যাওয়া সময়টাই পুলিশের তদন্ত করে বের করার প্রয়াস। ফ্ল্যাশ ফিকশনটিতে বন্ধুদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিয়া জামান মিথিলা, সৌম্য জ্যোতি, ফররুখ আহমেদ রেহান, তাওহীদুল তামিলসহ অনেকে। এতে পুলিশের চরিত্রে আছেন সামিরা খান মাহি। মিথিলার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বন্ধু–পুলিশ এবং একজন ড্রাইভারের নানা ঘটনায় এগিয়ে গেছে কাহিনি। জাহিদ প্রীতম জানান, ‘থার্সডে নাইট’– এর গল্পটি এদেশে ঘটে যাওয়া একটি অপরাধমূলক ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখেন তিনি। নির্মাতার দাবি, ফ্ল্যাশ ফিকশনটিতে তিনি একটি ঘটনাকে কয়েকজনের দৃষ্টিতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, যেটাকে তিনি বলছেন ‘রশোমন ইফেক্ট’। বিনোদন জগতে তানজিয়া জামান মিথিলা এবং সামিরা খান মাহির বন্ধুত্বের কথা অনেকের জানা। দুজনেই দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অনেকদিন ধরেই। তবে এটি তাদের একসঙ্গে প্রথম কোনো ফিকশন, জানান মাহি। অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি বলেন, ‘মিথিলা জন্যই আমার এই কনটেন্টে কাজ করা। আমরা প্রায়ই আমাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করতাম। যখন সুযোগ এল একসঙ্গে কাজ করার, তখন আর না করিনি। রোমান্টিক চরিত্রে এ সময়ের দর্শকদের অন্যতম পছন্দের অভিনেতা ফররুখ আহমেদ রেহান। এখানে অবশ্য অন্যরকম। ছাত্রজীবনের রাফ–টাফ আর সামান্য রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। রেহান বলেন, ‘জাহিদ প্রীতমের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল এবং সেটা পূরণ হলো। আমি মূলত ডিরেক্টরকে ফলো করি। তিনি যেভাবে চান সেভাবে কাজ করার চেষ্টা করি। এখানেও সেটাই করেছি। নির্মাতা এখানে আমার করা চরিত্রটি নিয়ে যেভাবে ভেবেছেন, সেটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। একটু অন্যরকম বলে আমিও খুব মজা পেয়েছি কাজটি করে। ফ্ল্যাশ ফিকশনটির গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন জাহিদ প্রীতম। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নকশী তাবাসসুম, পারভেজ সুমন, মেহেদী হাসান মেধা, সাদিদ আদনান ওয়াহিদ, রেহনুমা আলম ঐশী।

নীলা তৌসিফের ডেডিকেশনের প্রেমে পড়েছি

নীলা তৌসিফের ডেডিকেশনের প্রেমে পড়েছি প্রথমবারের মতো নাটকে জুটি বেঁধেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব এবং মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ শাম্মি ইসলাম নীলা। তাদের অভিনীত নাটকটির নাম ‘ফার্স্ট লাভ’। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সহ-অভিনেতা তৌসিফকে নিয়ে অকপট প্রশংসা করলেন নীলা। নীলা বলেন, ‘তৌসিফ ভাইয়ের হার্ডওয়ার্কিং, ডেডিকেশন অ্যান্ড ভিশন-এর প্রেমে পড়ে গিয়েছি। এককথায় তিনি অসাধারণ একটা মানুষ। যখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে মনে হচ্ছিল আর পারছি না, তখন যখন দেখি এই মানুষটা বসে বসে সবাইকে বলছেন, ‘হ্যাঁ এটা করো, এটা করো, এটা করো,’ এরপর আমার শট। আচ্ছা ঠিক আছে, নামাজটাও সুন্দরমতো মেইনটেইন করছিলেন। আমার মনে হয়, আসলে এই জিনিসগুলোর প্রেমে এখানে প্রত্যেকেই পড়ে গেছে। তৌসিফকে ‘অ্যামেজিং পার্সন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নীলা আরও বলেন, ‘আসলে বুঝতে পারি না যে একটা মানুষ কত রকম বা কীভাবে বা একটা মানুষ কিরকম হতে পারে। কিন্তু তৌসিফ ভাইয়া, আমি বলব যে, অ্যামেজিং একটা পার্সন। তো আসলে তার কাজের প্রেমে তো অবশ্যই আগে থেকেই ছিলাম, এখন মনে হয় যে তার যে ডেডিকেশন বা পেশেন্স, সেটার প্রেমে নতুন করে পড়েছি। ‘ফার্স্ট লাভ’ প্রসঙ্গে নীলা জানান, এটাই তার প্রথম কাজ, প্রথম লিডিং অ্যাক্ট্রেস হিসেবে অভিনয়। তার কথায়, ‘প্রথম কাজ, ফার্স্ট লিডিং অ্যাক্ট্রেস মনে হচ্ছে, ওয়াও! ফাইনালি নায়িকা হয়ে যাচ্ছি। এখন নায়িকা পুরোপুরি হতে পারছি কিনা, সেটা তো অডিয়েন্স ডিসাইড করবে। কিন্তু লিড অ্যাক্ট্রেস হিসেবে আসলে সবসময় চিন্তাই করতাম যে, না, করলে নায়িকার ক্যারেক্টার করব আর না হলে কিছু করব না। এই কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে নীলা বলেন, ‘গুড থিং ইজ শুধু লিড রোলের ক্যারেক্টার না, একটা ভালো টিম-এর সাথে একটা ভালো কাজ হয়েছে। অ্যান্ড আবারও আমি বললাম যে, ফার্স্ট লাভ ভোলার মতো যেহেতু না, আমার মনে হয় আমি ভুলতে পারব না যেহেতু আমার প্রথম কাজ। দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হয়তো ভালো লাগলে আগামীতে আরও কাজ দেখবেন, কিন্তু প্রথম কাজ, প্রথম। তো আপনাদেরও আমার মনে হয় এখানে যত মানুষ আছেন, আপনারা সবাই উইটনেস আমার প্রথম কাজের, ফার্স্ট লাভ-এর। অ্যান্ড ইনশাআল্লাহ আমার অডিয়েন্স যারা আছেন বা আমাদের যারা অডিয়েন্স যারা দেখবেন, তাদেরও প্রথম ভালোবাসার কথা মনে পড়ে যাবে বা মনে থাকবে যে, না, একটা কাজ ছিল যেটার নাম ছিল ফার্স্ট লাভ। থ্যাংক ইউ।