তামিমের ফিফটিতে প্লে অফ নিশ্চিত করলো বরিশাল
তামিমের ফিফটিতে প্লে অফ নিশ্চিত করলো বরিশাল এবারের বিপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। প্রথম ৮ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। নিজেদের নবম ম্যাচে তামিম ইকবালের ফিফটিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করেছে বরিশাল। আজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে সিলেট। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৮ ওভার ১ বলে ১১৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। দলের পক্ষে আহসান ভাট্টি করেন সর্বোচ্চ ২৯ বলে ২৮ রান। এছাড়া জাকের আলি অনিক করেন ১৯ বলে করেন ২৪ রান। বরিশালের পক্ষে ফাহিম আশরাফ ৭ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারায় বরিশাল। তাওহিদ হৃদয় ৭ বলে ৬ ও দাউদ মালান ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাদের ব্যাটে ভর করে ২৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বরিশাল। তামিম ৫১ বলে ৫২ ও মুশফিক ৩০ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশের দেয়া ৬৫ রানের লক্ষ্য ভারত টপকে যায় ৭ ওভার ১বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই। আজ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বেইউমাস ওভালে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারতের মেয়েরা। এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৪ রান তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ২৯ বলে ২১ রানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের। ১৪ রান করেন জান্নাতুল মাওয়া। একই ভেন্যুতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আগামী ২৮ জানুয়ারি খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
বড় হারে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের
বড় হারে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা জাগিয়ে রেখেছিল সম্ভাবনা। তবে আরও একবার ব্যর্থ হয় ব্যাটিং। কিন্তু এবার আর বোলাররা ত্রাতা হতে পারেননি। বড় হারে শেষ হয়ে গেছে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা। গতরাতে সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১১৮ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ওই রান তাড়ায় ১৩৫ বল আগে জয় পায় ক্যারিবীয়রা। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ যাত্রা শেষ হয়েছে।
আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে পাকিস্তানের ৩, ভারতের নেই কেউ
আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে পাকিস্তানের ৩, ভারতের নেই কেউ কালের গহব্বরে মিলিয়ে যাওয়া গেল ২০২৪ সাল জুড়ে যারা বল ও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন, তাদের নিয়ে আইসিসি বর্ষসেরা একাদশ (টেস্ট ও ওয়ানডে) ঘোষণা করেছে। আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) ১২টি পুরস্কারের তিনটি ঘোষণা করা যায়। সেগুলো হলো- পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট একাদশ, পুরুষদের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ ও নারীদের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ। পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট দলে ভারতের আছেন তিনজন প্রতিনিধি। তবে ওয়ানডের একাদশে তাদের নেই কেউ! পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আছেন তিনজন করে। ভারতের মতো বাংলাদেশেরও নেই কেউ। চলুন তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক। আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দল (পুরুষ): যশস্বী জয়সওয়াল, বেন ডাকেট, কেন উইলিয়ামসন, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস, জেমি স্মিথ (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ম্যাট হেনরি ও জসপ্রীত বুমরাহ। আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল (পুরুষ): সাইম আইয়ুব, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), শেরফেন রাদারফোর্ড, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফার। আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল (নারী): স্মৃতি মান্ধানা, লরা উলভার্ড (অধিনায়ক), চামারি আতাপাত্তু, হেইলি ম্যাথিউস, মারিজান কাপ, অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, অ্যামি জোন্স (উইকেটরক্ষক), দীপ্তি শর্মা, সোফি একলেস্টোন ও কেট ক্রস।
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের লড়াই ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের লড়াই ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বুধববার (২২ জানুয়ারি, ২০২৫) বাংলাদেশের মেয়েরা সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে। যেখানে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে শক্তিশালী ভারতকে, সঙ্গে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড। গ্রুপ ‘ডি’-এর সেই লড়াইয়ে অজিদের বিপক্ষে ম্যাচ হেরে রানার্সআপ হয়ে সুপার সিক্সে জায়গা পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের মেয়েরা। বাংলাদেশ সুপার সিক্সে ১ নম্বর গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে। এই গ্রুপের অন্য ৫টি দল হচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন, বাংলাদেশ শুধু ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই কেন খেলবে? অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের এবারের আসরের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে একে অপরের বিপক্ষে লড়াই করে ফেলা দলগুলো সুপার সিক্সে পুনরায় একে অন্যের মুখোমুখি হবে না। আবার গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপরা অন্য গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপদের বিপক্ষেও খেলবে না। দেখা যাচ্ছে সুপার সিক্সের ১ নম্বর গ্রুপটা মূলত তৈরি হয়েছে গ্রুপ পর্বের ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপ দিয়ে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে ছিল ‘ডি’ গ্রুপে। একই গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল ভারত এবং রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা। তাই বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে ভারতের বিপক্ষেই। তুলনামূলক কম শক্তিশালী শ্রীলঙ্কাকে প্রতিপক্ষে হিসেবে পাচ্ছে না নিয়মের বেড়াজালে। সুপার সিক্সে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ গ্রুপ থেকে তৃতীয় হয়ে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালের রাস্তা কঠিন। এই দুটা ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের ক্ষুদে মেয়েদের শেষ চার নিশ্চিত নয়। কারণ, গ্রুপ পর্বে খেলা ম্যাচের পয়েন্টও যোগ করা হবে। তবে এক্ষত্রে বিবেচনা করা হবে কেবল যারা সুপার সিক্সে উঠেছে, কেবল তাদের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্টগুলো। সুপার সিক্সের শীর্ষ দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৪ নম্বরে। অন্যদিকে সমান ২ পয়েন্ট পেলেও তালিকার রানরেটে এগিয়ে থেকে ৩ নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের রানরেট (+০.৫২৫), অন্যদিকে বাংলাদেশের রানরেট (+০.৪২৫)।
রংপুরের জয়রথ থামাল পদ্মাপাড়ের রাজশাহী
রংপুরের জয়রথ থামাল পদ্মাপাড়ের রাজশাহী আট ম্যাচের সবগুলোতে জিতে সবার আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। আজ জয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি তারা। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২৪ রানে হেরে জয়রথ থেমেছে তাদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। জবাব দিতে নেমে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। আগে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী ধীরগতির শুরুর পর হারায় মোহাম্মদ হারিসকে। ১২ বলে ১৯ রান করে তার বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন সাব্বির হোসেন ও আনামুল হক বিজয়। ২৯ বলে ৫২ রান যোগ করেন তারা। সাব্বিরকে বিদায় করে অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন খুশদিল শাহ। ১৯ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন রাজশাহী ওপেনার। পরের বলেই বার্লকে ফেরান খুশদিল। চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন বিজয়। ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা ইয়াসির ২৭ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩২ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। পরের ওভারে উইকেট হারান ৩৪ রান করা বিজয়। বাকিরা কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন। রংপুরের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন আকিফ জাভেদ ও খুশদিল শাহ। একটি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান ও নাহিদ রানা। রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ডাক মেরে বিদায় নেন রংপুর ওপেনার ইরফান শুক্কুর। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ইফতিখারও ব্যাটে তুলতে পারেননি রান। চতুর্থ উইকেটে খুশদিলের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেন সাইফ হাসান। তবে তাদের ৪০ রানের জুটিটি ভেঙে যায় ১৪ রানে খুশদিল বিদায় নিলে। লড়তে থাকা সাইফ বিদায় নেন পরের ওভারে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৪৩ রান। ছয়ে নামা নুরুল হাসান সোহান চেষ্টা করে প্রতিরোধের। কিন্তু পারেননি। ২৬ বলে ৪১ রান করে রায়ান বার্লের শিকার হন তিনি। শেষে কিছুক্ষণ লড়াই চালান সাইফউদ্দিনও। তিনিও হননি সফল। ১৪ বলে ২৩ রান করে বার্লের শিকার হন। রাজশাহীর হয়ে দারুণ বোলিং করেন বার্ল। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন জিম্বাবুয়ের এই স্পিনার। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও এসএম মেহরুব। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে রাজশাহী। ৯ ম্যাচে ৮ জয় ও ১ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে রংপুর।
হতাশ হলে এতদিনে গলায় দড়ি দিতাম, আইপিএল প্রসঙ্গে তাসকিন
হতাশ হলে এতদিনে গলায় দড়ি দিতাম, আইপিএল প্রসঙ্গে তাসকিন ‘‘এর আগে তিনবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েও যেতে পারিনি। হতাশ হলে এতদিনে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়ার কথা। হতাশ না। আমার তকদিরে যেটা আছে সেটা সামনে আসবে।’’ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে বসে কথা গুলো বলছিলেন তাসকিন আহমেদ। মুখে হাসি থাকলেও তার অন্তরে দহন হচ্ছিল, বলার অপেক্ষা রাখে না। বিদেশের মাঠে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাসকিন ‘অমাবশ্যার চাঁদ’। বিভিন্ন কারণে প্রায়ই তার খেলা হয় না আইপিএলসহ বিশ্বের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। সুযোগ পাওয়া বিরাট কিছু। সেখানে বারবার তার অংশগ্রহণ করতে না পারা নিশ্চিতভাবেই হতাশার। ২০২২ সালে চোটে পড়ে ইংল্যান্ডের মার্ক উড ছিটকে গিয়েছিলেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস দল থেকে। উডের পরিবর্তে তখন তাসকিনকে প্রস্তাব দেয় লক্ষ্ণৌ। কিন্তু তখন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলায় মাঝপথে ছাড়তে চায়নি বিসিবি। এরপর ২০২৩-এর আইপিএলের মেগা নিলামে ৫০ লাখ ভিত্তিমূল্য দাম ছিল। তবে কোনো দল তাকে কেনেনি। এরপর ২০২৪ আইপিএলের নিলামে নাম দেন তিনি। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি। এবারও সামনে চলে আসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইস্যু। নিলাম থেকে নাম তুলে নিলেও এরপর তাসকিনকে দলে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। জানা যায়, এই দুটি দল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস। এবার পিএসএলের ড্রাফটে নাম তুলেছিলেন তাসকিন। দুর্বার রাজশাহীতে থাকা পাকিস্তানি কোচ এজাজ আহমেদ ও ওপেনার হারিস সোহেল তাসকিনকে নিজেদের দলে নিতে আগ্রহও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ড্রাফটে তাকে দলে নেয়নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। বিদেশী লিগে অংশগ্রহণ নিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘‘হতাশ না। হতাশার কি আছে। সবচেয়ে বড় বিষয় আমি যেন জাতীয় দলে নিজের সেরাটা সার্ভ করতে পারি। যেখানেই খেলতে পারি যদি ভালো করতে পারি সুযোগ অনেক আসবে।’’ বিপিএলে রাজশাহীর হয়ে ২০ উইকেট পাওয়া তাসকিন এখনো আশা ছাড়ছেন না, ‘‘হয়তো ড্রাফটে পিক হইনি। কোথাও রিপ্লেসমেন্টে প্রয়োজন হলে নিতেও পারে। সেইম অ্যাস পিএসএল। এখানেও …। আমার সাথে সরাসরি কারো কথা হয়নি। এটা ব্যক্তিগতভাবে হয়ও না। এজেন্টের মাধ্যমে হয়।’’ সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে আইপিএলের পছন্দের দল কোনটা জানতে চাওয়া হলে হাসতে হাসতে তাসকিন উত্তর দেন, ‘‘আমার ইচ্ছা বাংলাদেশ দলে আরো লম্বা সময় খেলা, ভালো খেলার।’’
এক যুগ পর নাঈম ম্যাচ সেরা, সুযোগ দেওয়ায় ফ্রাঞ্চাইজিকে ধন্যবাদ
এক যুগ পর নাঈম ম্যাচ সেরা, সুযোগ দেওয়ায় ফ্রাঞ্চাইজিকে ধন্যবাদ বিপিএলে নাঈম ইসলাম দল পাওয়ার পর অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। আরো অবাক হয়েছিলেন চিটাগং কিংস তাকে প্রথম ম্যাচেই একাদশে নামিয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে পাঠানোয়। বয়স ৩৮ পেরিয়েছে। পুরোনো নাঈম আর নেই। তবুও টিকে আছেন ২২ গজে। শুরুটা নাঈমের মনোঃপুত হয়নি। দৃষ্টিকটু ব্যাটিং ইনিংস থেমে যায় ১২ রানে। পরের ম্যাচে তাই বাদ পড়তে হয়েছে তাকে। এরপর দল জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকায় নাঈমেরও সুযোগ মেলেনি। কিন্তু ঘরের মাঠে টানা দুই হারে চিটাগংয়ের পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়। দলের মালিক সামির কাদের চৌধুরী পুরোনো সৈনিক নাঈমকে সুযোগ দিতে টিম ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেন। মালিকের বিশ্বাস, টিম ম্যানেজেমেন্টের আস্থায় সুযোগ পেয়ে নাঈম ফিরে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। এবার করলেন বাজিমাত। ৪১ বলে ৫৬ রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৩ ওভারে ৬ রানে নেন ২ উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নাঈম দেখালেন তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি। তার জ্বলে উঠার দিনে দুর্বার রাজশাহীকে ১১১ রানে উড়িয়ে জয়ে ফিরে চিটাগং কিংস। ম্যাচটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল নাঈমের মুখ থেকেই শুনুন, ‘‘টানা দুই হারের পর আমাদের আজ ম্যাচটা ডু অর ডাই ছিল। আমরা যেই ছন্দে ছিলাম সেটা আবার ফিরিয়ে আনার দরকার ছিল। কেননা এখন সবাই দল গুছিয়ে উঠেছে। সবাই পারফর্ম করতে শুরু করেছে। এমন সময়ে যদি জয় হাতছাড়া হয় তাহলে সামনে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়।’’ দল জয়ে ফিরেছে। নাঈম রেখেছেন অবদান। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বিপিএলে দ্বিতীয় আসরে পেয়েছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এক যুগ পর তার হাতে আবার উঠেছে স্বীকৃতি। তাতে দারুণ উচ্ছ্বসিত নাঈম, ‘‘খুবই ভালো লাগছে। দলের জয়ে আপনি যখন ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগে অবদান রাখতে পারবেন তখন খুব খুব ভালো অনুভব হয়।’’ ফ্রাঞ্চাইজির মালিককে ধন্যবাদ দিয়ে নাঈম বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করেছিলাম। চিটাগংয়ের প্রত্যাশা মাফিক তেমন কিছু করতে পারিনি। কয়েকটা ম্যাচ এজন্য অফ ছিলাম। এখন ফিরে এসে একটা ভালো ইনিংস খেললাম। আমাদের দলের মালিক সামির ভাই উনি চেয়েছেন আমি খেলি। তার চাওয়াতেই আমি খেলেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। সামির ভাইয়ের কাছে থ্যাংকফুল। আমাকে এই সুযোগটি দিয়েছেন ও বিপিএলে উনার টিমে পিক করেছে।’’
সরানো হলো বিজয়কে, রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন
সরানো হলো বিজয়কে, রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীকে নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেওয়া নিয়ে তাদের গড়িমসি ছিল প্রথম থেকেই। এবার আরও একটি বিতর্কের জন্ম দিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এনামুল হক বিজয়কে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়ক করেছে তারা। বিজয়ের অধিনায়কত্বে ৮ ম্যাচে ৩ জয় পেয়েছে রাজশাহী। ৬ পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে আছে তারা। সবশেষে ম্যাচে অবশ্য খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরেছে ৭ রানে। ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিজয়ের সেঞ্চুরির পরও তারা থেমে যায় ২০২ রানে। দিনশেষে অবশ্য প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বিজয়ের ৫৭ বলে ১০০ রানের ইনিংসটি। কেননা শেষ ১২ বলে কেবল ১৮ রানই করতে পারেন তিনি। যা হারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দলের অবস্থান নড়বড়ে হলেও বল হাতে টুর্নামেন্টটা দারুণ কাটছে তাসকিনের। ৮ ম্যাচের ১৮ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ৩২৪ রান নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বিজয়।
অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার
অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার ইশ, স্কোর বোর্ডে যদি আর ১০-১৫টা রান বেশি থাকত! তাহলে নারীদের যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে এবং যেকোন সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মত জয়ের স্বাদ পেত বাংলাদেশ। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) মালয়েশিয়াতে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজি বধের খুব কাছে গিয়েও তরী ডুবল বাংলাদেশের। বাঙ্গিতে বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের সবোমা টসে জিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লুসি হ্যামিল্টন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাবে অজিরা দুর্দান্ত শুরু করলেও শেষদিকে এসে জান্নাতুল মাওয়ার বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত একদম কিনারায় গিয়েও ছোট বাঘিনীদের স্বপ্নের অজি বধ হলো না। অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল ২ উইকেট এবং ৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। গোটা ম্যাচের আকর্ষণীয় দিক ছিল দ্বিতীয় ইনিংসের শেষাংশে বাংলাদেশের মেয়েদের বোলিং। একশ রানের কম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ক্যাট পেলে ও ইনেস ম্যাকিওনের কাছ থেকেই ২৬ রান পেয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এমনকি মাত্র ১ উইকেট খুইয়ে পঞ্চাশ রানে পৌঁছে যায় লুসি হ্যামিল্টনের দল। এরপর শুরু হয় ‘মাওয়া ম্যাজিক’। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়া মাওয়ার সাথে বাকিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরের ১৭ রান (৬৭) তুলতে আরও ৫ উইলেট হারিয়ে বসে অজিরা। এলা ব্রিসকো (১১) একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ৮৬ রানে ৮ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তখনও জয় থেকে ৬ রান দূরে তারা। কিন্তু আর উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ২ উইকেট রেখেই ৯২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ আরও ছোট হতো, যদি ৭ নম্বরে নামা আফিয়া আশিমা ৩৪ বলে ২৯ রানের ইনিংসটি না খেলতেন। ওপেনার সুমাইয়া আক্তারের ১৩ বলে ১৩ রান বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লুসি। বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি, ২০২৫) স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা খেলবে অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা।