নতুন ভেন্যুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া

নতুন ভেন্যুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘ বিরতির পর আবারও টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের পর আর কখনও অজিদের মাটিতে সাদা পোশাকের ম্যাচ পায়নি টাইগাররা। প্রায় ২৩ বছর পর ২০২৬ সালের আগস্টে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আবারও অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। তবে এবার তাদের অপেক্ষা করতে হতে পারে একেবারেই নতুন এক ভেন্যুর জন্য। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ (সিএ) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ভেন্যু চূড়ান্ত না করলেও অভ্যন্তরীণ আলোচনা থেকে জানা গেছে, কুইন্সল্যান্ডের ম্যাকাইয়ে অবস্থিত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। নতুন এই ভেন্যুটি হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার ১২তম টেস্ট স্টেডিয়াম। সেখানেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সিএ। স্টেডিয়ামটিতে ১০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, আধুনিক সম্প্রচার সুবিধা এবং উন্নত ট্রেনিং কমপ্লেক্স নির্মাণে রাজ্য সরকার প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। ইতোমধ্যে পুরুষ দলের দুটি ওয়ানডে এবং নারী দলের একাধিক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে মাঠটির। আগস্টে সিরিজ হওয়ায় এটি অস্ট্রেলিয়ার মূল ক্রিকেট মৌসুমের আগের সময়। ফলে সিডনি, মেলবোর্ন বা ব্রিসবেনের মতো প্রধান ভেন্যুগুলো সে সময় অন্য ব্যস্ততা ও প্রস্তুতির কারণে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে সারাবছরই ক্রিকেট উপযোগী দেশটির উত্তরাঞ্চলের ভেন্যুগুলোকে বিকল্প হিসেবে দেখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনার পাশাপাশি কেয়ার্নস, ডারউইন ও টাউনসভিলও আলোচনায় আছে। ডারউইনের ক্রিকেট নর্দার্ন টেরিটরির প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভি ইতিমধ্যেই আশা প্রকাশ করেছেন যে অন্তত একটি ম্যাচ তাদের এখানেও হতে পারে। কেয়ার্নস ও ডারউইন দুটো স্থানেই আগে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় দুই যুগ। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে, তবে নতুন এক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে। নতুন ভেন্যু, নতুন পরিবেশ সব মিলিয়ে অজিদের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতি যাত্রা হতে পারে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা।
ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে এ্যাশেজে ২–০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া

ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে এ্যাশেজে ২–০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত দিবা–রাত্রির দ্বিতীয় এ্যাশেজ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্টিভ স্মিথ গাস অ্যাটকিনসনের ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেট হারায়। এর আগে পার্থে দুই দিনের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল অজিরা। ফলে এডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনির বাকি তিন টেস্টেও অস্ট্রেলিয়াই বড় ফেবারিট। ম্যাচ নিয়ে স্মিথের প্রতিক্রিয়া ম্যাচ শেষে অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেন,“দারুণ একটি দিন ছিল। প্রথম দুই দিন কিছুটা লড়াই হয়েছিল। তবে লাইটের আলোতে নতুন বল হাতে নেওয়ার মুহূর্ত থেকেই ম্যাচ আমাদের দিকে চলে আসে। গোলাপি বলে খেলা কঠিন—প্রতি মুহূর্তে বলের আচরণ বদলায়, সেটির সঙ্গে মানিয়েই খেলতে হয়।” ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা ও ফিল্ডিং দুর্বলতা ইংলিশ ব্যাটারদের মধ্যে প্রথম ইনিংসে জো রুট ও জ্যাক ক্রলি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকস ছাড়া কেউই টিকতে পারেননি। গ্যাবার বাউন্সি উইকেটে বেশ কয়েকজন ব্যাটার বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। ফিল্ডিংয়েও ভয়াবহ ব্যর্থ ইংল্যান্ড—প্রথম ইনিংসে ৫টি ক্যাচ মিস করে তারা। বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া একটিও সুযোগ হাতছাড়া করেনি। বিশেষ করে জস ইংলিসের দুর্দান্ত রানআউটে স্টোকসকে ফেরানো ম্যাচের চিত্রই পাল্টে দেয়। স্টোকস ম্যাচ শেষে বলেন,“সম্পূর্ণ বিষয়ই হতাশার। ম্যাচটা অনেকটাই আমাদের হাতে ছিল—কিন্তু চাপ সামলাতে পারিনি।” অস্ট্রেলিয়ার ১৭৭ রানের লিড অস্ট্রেলিয়ার টেলএন্ডারদের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে দল তোলে ৫১১ রান, যা ইংল্যান্ডের ওপর ১৭৭ রানের লিড এনে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১২৮ রানে ৬ উইকেটে পড়ে আবারও বিপদে পড়ে। এই অবস্থায় স্টোকস–জ্যাকস জুটি ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। স্টোকস ২২৯ বলে ৫০ জ্যাকস ১৮৩ বলে ৪১ দুজনকেই শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মাইকেল নেসার। অস্ট্রেলিয়ার সহজ জয় ৬৫ রানের টার্গেটে অজিরা দলীয় ৩৭ রানে ট্রাভিস হেড এবং চার রান পর মার্নাস লাবুশেনকে হারায়। স্মিথ ও জেক ওয়েদারাল্ড ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেন। স্মিথ অপরাজিত ২৩ ওয়েদারাল্ড অপরাজিত ১৭ ম্যাচ সেরা স্টার্ক দুই ইনিংসে মোট ৮ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। পরবর্তী ম্যাচ এ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর, এডিলেডে।
গিলকে খেলায় ফেরা নিয়ে সুখবর পেল ভারত

গিলকে খেলায় ফেরা নিয়ে সুখবর পেল ভারত ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক শুভমান গিল চোটমুক্ত হয়ে অবশেষে মাঠে ফিরতে প্রস্তুত। বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সেলেন্স (সিওই) শনিবার জানায়, ঘাড়ের ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা গিলকে খেলায় ফেরার জন্য মেডিক্যাল ও স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই তাকে মাঠে দেখা যেতে পারে। কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ঘাড়ের ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে গিলকে দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। ইনজেকশন নেওয়ার পর চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তিনি রিহ্যাবে যান এবং চলমান ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন। তবে সিওই-এর কঠোর রিটার্ন টু প্লে (আরটিপি) প্রোটোকল অনুসরণ করে তিনি পুরোপুরি অনুশীলনে ফিরে এসেছেন। সিওই থেকে দল ব্যবস্থাপনার স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন টিমকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শুভমান গিল সফলভাবে সব রিহ্যাব ধাপ সম্পন্ন করেছে এবং সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করেছে।’
আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শাস্তির কবলে ফখর জামান

আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শাস্তির কবলে ফখর জামান গত মাসের শেষ দিকে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে জরিমানার কবলে পড়েছেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি ব্যাটার ফখর জামান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওই ফাইনাল ম্যাচে ‘আইসিসি কোড অব কনডাক্টের ২ দশমিক ৮ ধারা’ লঙ্ঘন করেছেন জামান। তারই শাস্তি হিসেবে জামানকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি। গতকাল এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। ফাইনালে পাকিস্তান ইনিংসের ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার পর মাঠে আম্পায়ারদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন জামান। জামানের শাস্তি নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্বে থাকা রিয়ন কিং। ফখর জামান অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ তিক্ততার স্বাদ নয়, এবার হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। ৬ বল হাতে রেখে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মেয়েরা। কক্সবাজারের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দ্বিতীয়টিতে ৮১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অধিনায়ক অরিত্রী মণ্ডল (২)। একে একে আরো তিন সতীর্থকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে দেখলেন ওপেনার সুমাইয়া আক্তার। তাতে শঙ্কা জেগেছিল প্রথম ম্যাচের মতোই ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরেকটি পরাজয় দেখবে কিনা বাংলাদেশ। তবে সেই শঙ্কা দূর করেন সুমাইয়া। দলীয় ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখান তিনি। পঞ্চম উইকেটে ফারজানা ইয়াসমিনকে সঙ্গী করে ২৭ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে আনেন তিনি। জয় নিয়ে অবশ্য মাঠ ছাড়তে পারেননি সুমাইয়া-ইয়াসমিন। দুজনই দলীয় ৬৩ রানে বিদায় নেন। ইয়াসমিনের ১০ রানের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সুমাইয়া। পরে আরো এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে ১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন সাদিয়া আক্তার। পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আলিশা মুক্তিয়ার ও মেমোনা খালিদ। এর আগে হাবিব ইসলাম পিংকির পেস তোপে ৮০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তানের মেয়েরা। অধিনায়ক ইমান নাসেরকে আউট করে শুরুটা অতসী মজুমদার করলেও পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন পিংকি। ১৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান এই পেসার। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন উইকেটরক্ষক কমল খান। তৃতীয় ম্যাচ ৭ ডিসেম্বর, কক্সবাজারেই।
হোপের ব্যাটে শেষদিনে গড়াল ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট

হোপের ব্যাটে শেষদিনে গড়াল ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে জয় পেতে হলে ইতিহাসই নতুন করে লিখতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লক্ষ্যটা শুধু বড়ই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বড় রানতাড়ারও। চ্যালেঞ্জ মোট ৫৩১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় অসম্ভবটাকে সম্ভব করার স্বপ্ন এখনো বেঁচে আছে। প্রথম ইনিংসে টসে জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। কিউইরা থেমেছে ২৩১ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ভুল–ত্রুটিতে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৬৪ রানের লিড তোলে নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ আগ্রাসী ছিল ল্যাথামের দল। ৮ উইকেটে ৪৬৬ তুলে ইনিংস বন্ধ ঘোষণা করে তারা। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন কেমার রোচ। মাত্র ৭৮ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। তারপরই শুরু হয় অসম্ভব এক যাত্রা। ৫৩১ রানের হিমালয়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও ধস নামতে দেননি শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। চতুর্থ দিন শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১২। কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাট হাতে লড়াইটা বাঁচিয়ে রেখেছেন এ দুজন। অপরাজিত হোপ খেলছেন ১৮৩ বলে ১১৬ রানের ঝলমলে সেঞ্চুরি। পাশে গ্রিভসের ব্যাটও সমান দৃঢ়- ১৪৩ বল থেকে ৫৫ রানের মূল্যবান ইনিংস। শেষ দিনে জিততে হলে দরকার আরও ৩১৯ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট। টেস্টে রানতাড়া করে জয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই। ২০০৩ সালে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ব্রায়ান লারার সেই দল। এবার সুযোগ আছে সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাওয়ার। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে অবশ্য রানতাড়ার ইতিহাস আছে। গত বছরই এই মাঠে নিউ জিল্যান্ড ২৮৫ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। তবে এবারকার লক্ষ্য তার প্রায় দ্বিগুণ। তাই চ্যালেঞ্জটাও মহাকাব্যিক। শেষ দিনের সকালই বলে দেবে- এই লড়াই শুধু প্রতিরোধেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি ক্রিকেট ইতিহাসে জন্ম নেবে নতুন এক বিস্ময়।
দেশ পুনর্গঠনে ‘৩০ কোটি’ রুপি দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

দেশ পুনর্গঠনে ‘৩০ কোটি’ রুপি দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সাইক্লোন দিতওয়া’র তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দেশকে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে সরকার ঘোষিত ‘রিবিল্ডিং শ্রীলঙ্কা’ তহবিলে ৩০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। এসএলসি সভাপতি শাম্মি সিলভা ও নির্বাহী কমিটির নির্দেশনায় নেওয়া এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোর্ড জানায়, জাতীয়ভাবে মূল্যবান একটি খেলাধুলার অভিভাবক সংস্থা হিসেবে দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন এটি। এক বিবৃতিতে এসএলসি জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং বিধ্বস্ত অঞ্চলে জরুরি জনসেবামূলক কাঠামো পুনরুদ্ধারে সরকারের উদ্যোগকে সহায়তা করতেই তাদের এই অবদান। এছাড়া যে কোনো দুর্যোগ, পুনর্গঠন বা জাতীয় প্রয়োজনে দেশকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। বোর্ডের ভাষ্য- শ্রীলঙ্কার পুনর্জাগরণ ও উন্নয়ন অভিযাত্রায় তারা সব সময় প্রস্তুত।
সেঞ্চুরি করে ৭ বছরের মধ্যে উল্টো পিঠ দেখলেন কোহলি

সেঞ্চুরি করে ৭ বছরের মধ্যে উল্টো পিঠ দেখলেন কোহলি বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি মানেই ভারত জয়ের দুয়ারে, এ ধারণা ভেঙে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রাঁচিতে বুধবার অনুষ্ঠিত ওয়ানডেতে কোহলি টানা দ্বিতীয় শতক তুলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহে পৌঁছে দিলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের জয় অধরাই রইল। কোহলির ১০২ রানের ইনিংসে ভারত তোলে ৩৫৮ রান। তবে দারুণ দৃঢ়তা ও কৌশল প্রদর্শন করে প্রোটিয়ারা সেই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয় পেল চার উইকেট হাতে রেখেই। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো কোহলি সেঞ্চুরি করলে ভারতের টানা সাত বছরের অপরাজেয় রেকর্ড। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের মার্চে রাঁচিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলির শতকের পর ভারত হেরেছিল। সেবার তিনি করেছিলেন ১২৩ রান। ক্যারিয়ারে কোহলির শতকের পর ভারত মাত্র আটবার হেরেছে। এর সর্বশেষ উদাহরণ বুধবারের রায়পুর ম্যাচ।কোহলির সেঞ্চুরির পরও ভারত যেসব ম্যাচে হেরেছে। ১০৭ বনাম ইংল্যান্ড, ২০১১ (কার্ডিফ) ১২৩ বনাম নিউজিল্যান্ড, ২০১৪ (নেপিয়ার) ১১৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০১৬ (মেলবোর্ন) ১০৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০১৬ (ক্যানবেরা) ১২১ বনাম নিউজিল্যান্ড, ২০১৭ (মুম্বাই) ১০৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৮ (পুনে) ১২৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০১৯ (রাঁচি) ১০২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২৫ (রায়পুর) ২০১৯ সালের পর থেকে মঙ্গলবারের আগের ম্যাচ পর্যন্ত কোহলি আরো ১১টি সেঞ্চুরি করেছেন, যার সবগুলোই ভারতের জয়ে পরিণত হয়েছিল। ৫৩টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির মধ্যে ৪৪টি এসেছে জয়ের ম্যাচে।
সিরিজ জয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে সফলতম বছর কাটাল বাংলাদেশ

সিরিজ জয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে সফলতম বছর কাটাল বাংলাদেশ রিশাদের মায়াবি গুগলি। সাইফ উদ্দিনের দুর্বোধ্য স্লোয়ার। মোস্তাফিজুর রহমানের বাহারি কাটারের সঙ্গে শরিফুলের গতি ও মেহেদীর স্পিন…টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে, ঘাবড়ে দিতে আর কি চাই? চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের ২২ গজ বাংলাদেশের বোলারদের জন্য প্রাপ্তির ডালা সাজিয়ে বসেছিল। আয়ারল্যান্ড সেখানে স্রেফ অসহায়। ঢিলেঢালা ব্যাটিংয়ে গুটিয়ে গেল ১১৭ রানে। সিরিজ নির্ধারণী অঘোষিত ‘ফাইনাল’ ম্যাচ হলো একেবারে নিরুত্তাপ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৮ উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশ নিশ্চিত করল বিশতম সিরিজ জয়। চট্টগ্রামে ম্যাচ শুরু হয়েছিল দুপুর ২টায়। এই মাঠে দিনের আলোয় চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। চারটির তিনটিতেই জয়। দুটি আয়ারল্যান্ড ও একটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। একমাত্র হার ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার সেই ভুল করলো না দল। প্রত্যাশিত জয়ে নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ। বোলাররা সিরিজ জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে দেন অতি সহজে, দারুণ বোলিংয়ে। সেই সাজানো ক্যানভাসে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে রঙিন করে দেন তানজিদ ও পারভেজ। ওপেনিংয়ে ফিরে সাইফ হাসান ভালো শুরু করেছিলেন। ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান তুলে নেন। এরপর ইয়ংকে এগিয়ে এসে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তিনে নেমে অধিনায়ক লিটন প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি আজ। ৬ বলে ১ চারে ৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। অফস্পিনার হ্যারি টেক্টরের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ক্যাম্ফারের হাতে। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৫০ বলে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তানজিদ ও পারভেজ। ঝড়ো ব্যাটিং করে তানজিদ ৩৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। পারভেজ ২৬ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান। দুজনের ব্যাটিংয়ে কেবল আত্মবিশ্বাসই নয়, প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে উঠার টার্গেটও ছিল। তাইতো চোখ ধাঁধানো ছক্কাগুলো বাড়তি নজর কেড়েছে। এর আগে আয়ারল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটনও টস জিতে ব্যাটিং করার আগ্রহের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বোলিংয়ে বোলাররা এতোটা ভালো করবেন তা হয়তো তার প্রত্যাশাতেও ছিল না। মোস্তাফিজ ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা। সমান উইকেট পেয়েছেন রিশাদও। লেগ স্পিনার রান দিয়েছেন ২১। মোস্তাফিজ আরেকদিক দিয়েও এগিয়ে। বাঁহাতি পেসার হাত ঘুরিয়েছেন ৩ ওভার। রিশাদ কোটার ৪ ওভারই করেছেন। আয়ারল্যান্ডের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে কেবল লড়াই করেন পল স্টার্লিং। আইরিশ অধিনায়ক দুইবার জীবন পাওয়ার পর ২৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন। বাকিরা কেউ বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন জর্জ ডকরেল। রিশাদ কার্টিস ক্যাম্ফারকে গুগলিতে বোল্ড করেন। তা চোখ ধাঁধিয়ে দেয় সবাইকেই। এছাড়া দিনের আলোয় মোস্তাফিজের বলগুলো গ্রিপও হচ্ছিল দারুণভাবে। কন্ডিশনের পুরো ব্যবহার তারা করেছে।
আট নম্বরে বছর শেষ মোস্তাফিজুর রহমানের

আট নম্বরে বছর শেষ মোস্তাফিজুর রহমানের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দশে থাকা মোস্তাফিজুর উঠে এসেছেন আট নম্বরে। এই অবস্থানে থেকে আরেকটি সফল বছর শেষ করলেন মোস্তাফিজুর। যদিও তার ক্যারিয়ারের সেরা র্যাংকিং পাঁচ। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পুরুষ ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ করেছে। আয়ারল্যান্ডের সিরিজ জয়ের সঙ্গে একাধিক ক্রিকেটারের র্যাংকিংয়েও উন্নতি হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ২১ ধাপ এগিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও শেষ দুই ম্যাচে ৪৩ ও ৩৩ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ ম্যাচে ৩৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান এখন ৩৮ নম্বরে। তানজিদ শেষ ম্যাচে ঝড়ো ফিফটিতে দলকে জেতালেও আগের দুই ম্যাচে রান পাননি। এজন্য এক ধাপ অবনমন হয়ে ১৯ নম্বরে নেমে গেছেন। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়ের ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ৪২তম স্থানে আছেন তিনি। যৌথভাবে তার সঙ্গে আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মোস্তাফিজুর প্রথম দুই ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি। তবে, রান দিয়েছেন ২৩ ও ৩৯। শেষ ম্যাচে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তার নিখুঁত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে অল্পতে আটকে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেট পেয়েছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও। তিনি এগিয়েছেন ৫ ধাপ। র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ১৫তম। ৩ ধাপ এগিয়েছেন শেখ মাহেদী হাসান। দুই ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট না পেলেও ৫ ধাপ এগিয়েছেন নাসুম আহমেদের। বাঁহাতি এই স্পিনার আছেন ২৫তম স্থানে। ওই দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে পেসার তানজিম হাসান দুই ধাপ এগিয়ে ৩৫ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে ভারতের বরুণ চক্রবর্তী। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে ভারতের অভিষেক শর্মা।