বাবাকে জমি বিক্রির প্রতিদান দিলেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

বাবাকে জমি বিক্রির প্রতিদান দিলেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না। প্রতিটি সফল মানুষের জন্য এই কথাটা নির্মম সত্য। পরিশ্রম ছাড়া জগতে বড় হওয়া যায় না, নিজেকে ফুটিয়ে তোলা যায় না। মনীষীরা তাই বলেন। প্রতিটি সফল মানুষের সফলতার পেছনে থাকে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আর কঠিন সংগ্রামের গল্প। তাদেরতে উতরাতে হয় শতশত পাহাড়, সমূদ্র আর গিরিপথ। বৈভব সূর্যবংশীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যেই ১৪ বছরের বালক গতকাল সোমবার মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বকনিষ্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে গেছেন। অনেকেই কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। যে ছেলের গালের রেখায় এখনো শিশুসুলভ মেদ রয়ে গেছে, মেরুদণ্ড এখনো স্থিতিশীল হয়নি, এখনো দেহ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান, সেই ছেলে কি না আইপিএলের মতো বড় আসরে নামি দামি বোলারদের পিছিয়ে ভূত বানিয়ে দিয়েছেন! এসবই সম্ভব হয়েছে পরিশ্রম আর ত্যাগের কারণে। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই যে সূর্যবংশী কঠোর পরিশ্রম করতে শিখে গেছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে পড়েছিলেন, দৈনিক ৬০০ বল খেলেছেন, যে ছেলের দেখা স্বপ্নে বাবাও বিভোর হয়েছেন এবং ছেলের ক্রিকেটীয় স্বপ্নপূরণে জমি বিক্রি করে দিতেও দুইবার ভাবেননি, সফলতা তো তার পায়ের নিচেই লুটিয়ে পড়বে। পৃথিবীর নিয়ম তাই বলে। ছেলে সূর্যবংশী পাটনায় যখন ১৬-১৭ বছর বয়সী নেট বোলারদের মুখোমুখি হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছেন, বাবা সঞ্জীব সুর্যবংশী তখন বাড়তি ১০টি টিফিন বক্স নিয়ে যেতেন। এভাবেই কেটেছে চার বছর। তারপরই তো পূরণ হলো আইপিএলে খেলার স্বপ্ন। মাত্র তিন ম্যাচের মাথায় সেই স্বপ্ন পরিপূর্ণতাও পেল। আইপিএলে সূর্যবংশীর ক্যারিয়ারের অভিষেকটা হয়েছে দুর্দান্ত। প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে চমক সৃষ্টি করেন তিনি। আর গতকাল সোমবার ৩৮ বলে করেছেন অপরাজিত ১০১ রান (১১ ছক্কা ৭ চার)। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ১৫১ রান করেছেন সূর্যবংশী। গড় ৭৫.৫০ এবং স্ট্রাইক রেট ২২২.০৫। গত বছরের আইপিএল মেগা নিলামে বড় চমক ছিল সুর্যবংশীকে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে রাজস্থানে অন্তর্ভুক্ত করা। ২০১১ সালের ২৭ মার্চ বিহারে জন্ম নেওয়া ব্যাটার ছিলেন আইপিএলে দল পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ১২ বছর ২৮৪ দিন বয়সে বিহারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক করেন তিনি। গত বছর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ম্যাচে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সূর্যবংশী। ২০২৪ সালে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বিহারের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও করেন। যদিও প্রথম ম্যাচে খুব বেশি রান করতে পারেননি। এছাড়া ২০২৪-২৫ এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ১৭৬ রান করেছিলেন।
তাইজুলের ৬, কোনো রান না করেই অলআউট জিম্বাবুয়ে

তাইজুলের ৬, কোনো রান না করেই অলআউট জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে শেষ উইকেটে আরও কিছু রান যোগ করার আশায় ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। তবে ক্রেইগ আরবিনের দলকে নতুন দিনে কোনো রান করতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারানিকে আউট করে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে ব্যাটারকে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম আউট দিতে না চাইলেও বাংলাদেশী ফিল্ডারদের কড়া আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত বদল করেন আম্পায়ার। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট হলো জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ইনিংসটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন তাইজুল। এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। প্রত্যাশা ছিল, শুরুর দিকেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরবে বাংলাদেশ। তবে সেটি পারেনি স্বাগতিকরা। আবার উইকেট পেতে ১০ ওভারের বেশিও অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের। ইনিংসের ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন সদ্য অভিষেক হওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব। অফসাইডে এক্সট্রা বাউন্স দিয়ে জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে (৩৩ বলে ২১) উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের ক্যাচ বানান তানজিম। ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামে বোলিংয়ে এসেই শিকার ধরেন তাইজুল। ইনিংসের ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিবারিতে উইকেটে সেট হওয়া জিম্বাবুয়ে ওপেনার বেন কারেনকে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। ৫০ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান কারেন। দলীয় ৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেটে ১০৫ রানের জুটি করে জিম্বাবুয়েকে অনেক দূর এগিয়ে দেন উইলিয়ামস ও নিকোলাস ওয়েলচ। অবশেষে সফরকারীদের জুটি ভেঙেছে নিকোলাস ওয়েলচ রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার ফলে। ১৩১ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। জিম্বাবুয়ের দলীয় রান তখন ১৬২। এরপর নতুন ব্যাটার ক্রেইগ আরভিনকে আউট করেন স্পিনার নাঈম হাসান। ৩১ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরত যান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। আরভিনকে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর ক্যাচ বানান নাঈম। জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ হতেই আবারও আঘাত হানেন নাঈম। ডানহাতি স্পিনার এবার আউট করেন আঠার মতো উইকেটে লেগে থাকা শন উইলিয়ামসকে। ১৬৬ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১৭৮ রানে ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ওয়েসলে মাদভেরে সেট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ৩২ বলে ১৫ রান করে তাইজুলের শিকার হন তিনি। বল গ্লাভসে নিতে গিয়ে বেগ পেতে হলেও বুকে চেপে ধরে আটকে রাখেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী। এক ওভার পর তাইজুলের আরেক উইকেট। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তাইজুলকে। সেটাই যেন বিপদ ডেকে আনে জিম্বাবুয়ের। পরের বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটার (৬), রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। ওই ওভারে (দলীয় ৮১তম) ঠিক পরের বলে বোল্ড রিচার্ড এনগারাভা (০)। তাফাজওয়া টিসিগার সঙ্গে দুই রান নিতে গিয়ে মিরাজের থ্রোতে ননস্ট্রাইক এন্ডে রানআউট হন ভিনসেন্ট মাসেকেসা (৮)। অষ্টম উইকেট পতনের পর মাঠে আসেন এর আগে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া নিক ওয়েলচ। কিন্তু এবার আর টিকতে পারেননি তিনি। তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওয়েলচ (৫৪)। বাংলাদেশের হয়ে ৬০ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। এটি বাঁহাতি স্পিনারের ১৬তম ফাইফার। এছাড়া নাঈম হাসান ২ ও তানজিম সাকিব নেন ১ উইকেট।
সুরিবানশির রশ্মিতে পুড়ে ছাড়কার গুজরাট

সুরিবানশির রশ্মিতে পুড়ে ছাড়কার গুজরাট অবশেষে জয়পুরে রঙ ছড়াল রাজস্থান রয়্যালস। আরো সুক্ষভাবে বললে ১৪ বছরের এক কিশোরের ব্যাট রাঙাল রাজস্থানকে, একই সাথে সমগ্র ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনকেও। বৈভব সুরিয়াবনশি তার বিষ্ফোরণ ব্যাটিংয়ে ছড়ালেন মুগদ্ধতা ও বিষ্ময়। এই ম্যাচটা হারলেই তার দল রাজস্থানকে ছিটকে পড়তে হতো প্লে’অফের দৌড় থেকে। এমন পরিস্থিতিতে ১৪ বছরের বৈভব গোটা দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। প্রথমে ব্যাটিং করা গুজরাট ছুঁড়ে দিয়েছিল ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৯ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে মাত্র ১৫.৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। কিশোর সুরিয়াবানশি করেন রেকর্ড গড়া এক শতক এই অসাধ্য হেসেখেই সাধন করেছে স্বাগতিকরা। এবারের মৌসুমে টানা পাঁচ ম্যাচ হারার পর জয়ের মুখ দেখল রাজস্থান। পাশাপাশি আইপিএলের ইতিহাসে ২০০ বা তার বেশি রানের লক্ষ্যে সবচেয়ে কম ওভারে সফলভাবে পৌছাল রাজস্থান। টস জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান। দুই ওপেনার সাই সুদর্শন এবং শুভমান ধীরগতিতে শুরু করলেও প্রথম উইকেটে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। মাহীশ থিকসানা করে এই জুটি ভাঙেন সুদর্শনকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে। তবে রাক প্রান্ত থেকে অধিনায়ক শুভমান ঠিকই আক্রমণ চালিয়ে যান। ৩৩ রানে একটি জীবন পাওয়ার পর তিনি ২৯ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এবং শেষে সেই থিকসানার দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ৮৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। রাজস্থান এরপর দ্রুত আরো দুটি উইকেট তুলে নেয়। ওয়াশিংটন সুন্দর (১৩) এবং রাহুল তেওটিয়া (৯)। তবে গিল এবং বাটলার (২৬ বলে অর্ধশতক) জুটিতে ততক্ষণে শক্তিশালী ভিত পেয়ে যায় গুজরাট। মাহীশ থিক্ষানা ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন সেরা বোলার। রান তাড়া শুরু থেকেই রাজস্থান আগুনে ঝড় তোলে। সুরিয়াবাংশি এবং যশস্বী জয়সওয়াল মিলে প্রথম উইকেটে ১৬৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তবে সুরিয়াবাংশির অসাধারণ ইনিংসটি আইপিএলের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইশান্ত শর্মার মতো অভিজ্ঞ পেসারের এক ওভারে ২৮ রান তোলেন। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দরের প্রথম ওভারে নেন ২১ রান। মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি, যা এই মৌসুমে সবচেয়ে দ্রুত। এর মাধ্যমে রাজস্থান তাদের পাওয়ার’প্লের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান (৮৭/০) তোলে। রাশিদ খান দলীয় রান কিছুটা আটকে রাখলেও, সুরিয়াবাংশি ছিলেন সাবলীল। আইপিএলে অভিষিক্ত করিম জানাতের ওভারে তিনটি ছক্কা এবং তিনটি চার মারেন। পরের ওভারেই একটি বিশাল ছক্কা মেরে মাত্র ৩৫ বলে শতরান পূর্ণ করেন। এই ইনিংসে তিনি একাধিক রেকর্ড ভেঙে দেন সুরিয়াবানশি। সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএলে শতরান করা ব্যাটসম্যান তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান (৩৫ বল) করেন। তারচেয়ে কম বলএ এই কীর্তি গড়েছেন কেবল ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইলের (৩০ বলে)। অন্যদিকে জয়সওয়াল স্থির থাকেন এবং তার সঙ্গীকে সমর্থন দিয়ে যান। তিনি ৩১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এবং আইপিএলে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। যখন মনে হচ্ছিল এই দুই ব্যাটসম্যান ম্যাচ শেষ করে আসবেন, তখন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ একটি দুর্দান্ত ইয়র্কারে সুরিয়াবানশিকে ফেরান। তাঁর ১০১ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ১১টি ছয়। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নীতিশ রানা এসে একটি বাউন্ডারি মারার পর রাশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে হন। এরপর অধিনায়ক রিয়ান পরাগ মাঠে নেমে ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করে দেন। জয়সওয়াল অপরাজিত থাকেন ৯ চার ও ২১ ছক্কায় ৪০ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থান ২৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। গুজরাটের বিপক্ষে এরআগে কেউ এত বড় রান সফলভাবে তাড়া করেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের, (২০৫ রান)। রাজস্থান ১০ ম্যাচ শেষে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। গুজরাট টাইটান্স ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
মনে হয় না তারা খেলা বোঝে – সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তাইজুল

মনে হয় না তারা খেলা বোঝে – সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তাইজুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টটা পেছনে ফেলা বেশ কঠিনই হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ৫ উইকেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাইজুল ইসলামের জন্য আজ যেমন প্রথম প্রশ্নটাই ছিল ওই ম্যাচ নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে সিলেটে তিনি নিয়েছিলেন ২ উইকেট। তাইজুলও স্বীকার করেছেন, ওই ম্যাচটা ভালো যায়নি তাঁর জন্য। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। বড় রানের পথে ছুটে চলা জিম্বাবুয়ে এখন তাই দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে করেছে ২২৭ রান। সিলেটে বাজে পারফরম্যান্সের পর চট্টগ্রামে পাঁচ উইকেট পাওয়া কতটা স্বস্তির? উত্তরে তাইজুল বললেন, ‘এটা সন্তুষ্টির বিষয়। কারণ একটা খেলোয়াড় যখন ৫০টা টেস্ট খেলে ফেলবে, সিলেটে যেভাবে আমি বল করেছি, সেটা ভালো ছিল না। নিজেকে ফিরে পেয়েছি, এটা একটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে দলকে আমি সাহায্য করতে পেরেছি।’ সিলেট টেস্টে তাইজুল যেমন ভালো করেননি, বাংলাদেশও হেরে গেছে ৩ উইকেটে। তাতে ১০ ম্যাচ পর টেস্ট জয়ের দেখা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এখন তাঁরা দাঁড়িয়ে ২১ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সামনে। সিলেটের ওরকম হারের পর স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে সমালোচকদের উদ্দেশে তাইজুল আজ বলেছেন, ‘একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে, আমার মনে হয় না তারা খেলা বোঝে।’ তাইজুল আজ টানা দুই বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগারাভাকে ফিরিয়ে জাগিয়ে তুলেছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। ওয়ানডে অভিষেকেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেও সাদা পোশাকে এখনো সেই স্বাদটা পাওয়া হয়নি অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি স্পিনারের। সুযোগ তৈরি করে আজও তা না হওয়ায় কি একটু আফসোসই সঙ্গী হয়েছে? তাইজুলের উত্তর, ‘আফসোস নেই। হ্যাটট্রিক জীবনে বারবার আসে না। হয় নাই, একটু খারাপ তো লাগতেই পারে।’
ফাহাদের ৬ শিকার, জাওয়াদের সেঞ্চুরিতে সমতায় অনূর্ধ্ব-১৯ দল

ফাহাদের ৬ শিকার, জাওয়াদের সেঞ্চুরিতে সমতায় অনূর্ধ্ব-১৯ দল শ্রীলঙ্কা সফর হার দিয়ে শুরু করলেও ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সমতায় ফিরেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৯১ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। জয়ের নায়ক দুইজন—বল হাতে আল ফাহাদ আর ব্যাট হাতে জাওয়াদ আবরার। প্রথমে বিধ্বংসী বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২১১ রানে গুটিয়ে দেন আল ফাহাদ। মাত্র ৪৪ রান খরচায় তুলে নেন ৬ উইকেট। তার গতি আর আগ্রাসনের সামনে ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন চামিকা হেনাতিগালা। ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ৫ রানে আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। তবে এরপর থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন জাওয়াদ আবরার এবং অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। দুজনে মিলে গড়েন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড— ১৮০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। আগের রেকর্ড ছিল এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাসের (১৭৯ রান)। রেকর্ড গড়ার পথে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকান জাওয়াদ। ১০৬ বলের ইনিংসে ১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯২ রান শুধুই বাউন্ডারিতে, যা যুব পর্যায়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড। এর আগে পিনাক ঘোষ ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯০ রান তুলেছিলেন বাউন্ডারি থেকে। জাওয়াদের দুর্দান্ত সঙ্গী অধিনায়ক আজিজুল তামিমও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানে। আগামী ১ মে কলম্বোতেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে।
দুর্দান্ত জয়ে শীর্ষে কোহলির বেঙ্গালুরু

দুর্দান্ত জয়ে শীর্ষে কোহলির বেঙ্গালুরু দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা ছয়টি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়লো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে শক্তিশালী দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো তারা। ভুবনেশ্বর কুমার ও জশ হ্যাজেলউডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই দিল্লিকে চাপে ফেলে বেঙ্গালুরু। নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লির ইনিংস থামে মাত্র ১৬২ রানে, ৮ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট হাতে সবচেয়ে ভালো খেলেন লোকেশ রাহুল। তবে তার ৩৯ বলের ৪১ রানের ইনিংস ছিল যথেষ্ট ধীর। ঝলক দেখান ট্রিস্টান স্টাবস। তিনি মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে করেন ৩৪ রান। শুরুটা ভালো করলেও ওপেনার অভিষেক পোরেল ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। আর ফাফ ডু প্লেসি থেমে যান ২২ রানে। বেঙ্গালুরুর হয়ে ভুবনেশ্বর ৩টি ও হ্যাজেলউড ২টি উইকেট নেন। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেও স্বস্তির ছিল না বেঙ্গালুরুর জন্য। মাত্র ২৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তারা। কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। দুজনের ৮৪ বলের ১১৯ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ দলকে জয়ের পথে ফিরিয়ে আনে। কোহলি ৪৭ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে আউট হন। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়া একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন অসাধারণ ইনিংস, ৪৭ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন অপরাজিত ৭৩ রান। শেষদিকে মাঠে নামেন টিম ডেভিড। যিনি দ্রুতগতির ইনিংসে জয় নিশ্চিত করেন বেঙ্গালুরুর। ৫ বল মোকাবিলা করে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে টানা এক ছক্কা ও তিনটি চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। ১০ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে বেঙ্গালুরু। তারা শীর্ষে ওঠায় একধাপ করে নিচে নেমে গেছে গুজরাট টাইটান্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মতো দলগুলো।
ওয়েলচের পর উইলিয়ামসের ফিফটি, দ্রুত রান বাড়ছে জিম্বাবুয়ের

ওয়েলচের পর উইলিয়ামসের ফিফটি, দ্রুত রান বাড়ছে জিম্বাবুয়ের ধীরগতির শুরুর পর বিদায় নিলেন দুই ওপেনার। এই ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েছেন নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস। দ্রুত রান বাড়াচ্ছেন তারা। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দলকে নিয়ে যাচ্ছেন বড় সংগ্রহের দিকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৫৪ রান। ট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। নিজের অভিষেক ম্যাচে বল করতে নেমে প্রথম উইকেটটি তুলে নেন তানিজিম। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি ব্রায়ান বেনেট। ব্যাটে লেগে বল তালুবন্দি হয় জাকের আলির। ৩৩ বলে ফেরেন ২১ রান করে জিম্বাবুয়ে ওপেনার। আরেক ওপেনার বেন কারেন চেষ্টা করে প্রতিরোধ গড়ার। কিন্তু তাইজুল তা হতে দেননি। তার বল কারেনের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্টাম্পে। নিক ওয়েলচের সঙ্গে ভাঙে ৩১ রানের জুটি। কারেন ফেরেন ৫০ বলে ২১ রান করে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়েন ওয়েলচ ও উইলিয়ামস। ১০৭ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ওয়েলচ। ১১৪ বল লাগে উইলিয়ামসের।
কাল শুরু হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই

কাল শুরু হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই অস্বস্তি পরিবেশে স্বস্তি ফেরাতে পারে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম টেস্ট জয়। দেশের ক্রিকেটে যা ঘটে যাচ্ছে তাতে অস্বস্তি চারিদিকে। মাঠে পারফরম্যান্স নেই। অথচ মাঠের বাইরে নানা বিতর্কে জর্জরিত ক্রিকেট। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হার। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি ঘিরে নানা বিতর্ক। এরপর বিসিবির ফান্ড ট্রান্সফার ঘিরে বিতর্ক। তাতে দমকা হাওয়াতে ক্রিকেটাঙ্গন থেকে ক্রিকেটাই হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম তৈরি হয়েছে। এসব অস্বস্তি পরিবেশে ক্রিকেটারদের ২২ গজে মনোযোগ রাখার কাজটা কঠিন। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে সেই কঠিন কাজটাই তাদের করতে হবে চট্টগ্রামের ২২ গজে। যে জন্য কঠিন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেন বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স, ‘‘এই ব্যাপারটি (ঢাকার অস্থিরতা) কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে যে, ওরা যেন এসব থেকে দূরে থাকে, মনোযোগে যেন ব্যাঘাত না ঘটে, বাইরের এসব আলোচনার কথা আপনি বলছেন…। আমরা একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আগামীকালের আগে আজকে সন্ধ্যায় আমাদের চূড়ান্ত মিটিং যখন হবে, তখন এই ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিতে হবে যেন ওদের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটে। এটা আগামী পাঁচদিনের ব্যাপার, এই পাঁচদিনে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটই ভাবতে হবে, বাইরের কোনো কিছু নয়।” প্রায় ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়াতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ইতিবাচক মানসিকতায় ম্যাচটি খেলার কথা বললেন কোচ, ‘‘আমরা জানি, প্রথম ম্যাচে দল হিসেবে ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি এবং নিজেদের সমস্যায় ফেলেছি। এখন আমাদের ভাবনা হলো, ইতিবাচক ব্র্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। এমন না যে, সারা দিন ব্যাটিং করে ২০০ রান করব।”
তাওহিদ হৃদয়ের নতুন শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম

তাওহিদ হৃদয়ের নতুন শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে গত কদিন ধরেই নাটক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটা সমাধান দিলেও তাতে নাটক শেষ বলে ধরে নেওয়া যাচ্ছে না। কেননা মোহামেডানের বর্তমান অধিনায়কের বিষয়েই আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তামিম ইকবাল। তামিমের ডাকে মোহামেডান ক্লাবের ক্রিকেটাররা তো মিরপুরে হাজির হয়েছিলেনই সঙ্গে অন্য দলের ক্রিকেটাররাও আসছিলেন। নিজেদের মধ্যে এক ঘণ্টার বেশি আলোচনা করার পর বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সেই আলোচনা শেষেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তামিম। হৃদয়কে নতুন করে শাস্তি দেওয়াকে হাস্যকর বলে জানিয়েছেন তামিম। গত মাসে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাকে অসুস্থ হওয়া তামিম আজ প্রথমবারের মতো গণ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।তিনি বলেছেন, ‘তাওহিদ হৃদয়ের দুই ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তখন কেউ নিয়ে কোনো কথা বলেনি। কিছুদিন পর তার শাস্তি দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হয়েছে। বিসিবি এটা করেছে। তখনো আমরা কোনো কথা বলিনি। এক ম্যাচ শাস্তি ভোগ করার পর সে দুই ম্যাচ খেলল। তার মানে সে তার শাস্তি ভোগ করেছে। দুই ম্যাচ খেলার পর গতকাল আমরা শুনেছি তাকে আবার এক ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে করা হয়েছে আমাদের জানা নেই। এটা হাস্যকর। বিসিবি তাকে খেলতে দিয়েছে, আবার কিভাবে শাস্তি দেয়।’ এ ছাড়া ডিপিএলে কিছুদিন আগে এক ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই ম্যাচ নিয়েও কথা বলেছেন তামিম। আজকের মিটিংয়ে বিসিবির আরও দুজন উপস্থিত ছিলেন। তারা হচ্ছেন- ক্রিকেট পরিচলনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন ও আম্পায়ার্স এবং মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান।
পিএসএলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি পেলেন মুনরো-রিজওয়ান

পিএসএলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি পেলেন মুনরো-রিজওয়ান পিএসএল আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য মুলতান সুলতান্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কলিন মুনরোকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। দুই খেলোয়াড়ই পিএসএলের আচরণবিধির ধারা ২.১৩ লঙ্ঘন করেছেন। ঘটনাটি ঘটে ২৩ এপ্রিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও মুলতান সুলতান্সের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে। ইসলামাবাদের ইনিংসের দশম ওভারে ক্রিজে থাকা মুনরো একটি ডেলিভারির পর মুলতানের বোলার ইফতিখার আহমেদের দিকে ইঙ্গিত করেন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন মুলতান সুলতান্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান হস্তক্ষেপ করে মুনরোর সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন।