কলম্বিয়ায় সেনা অভিযানে ১৯ সন্ত্রাসী নিহত

কলম্বিয়ায় সেনা অভিযানে ১৯ সন্ত্রাসী নিহত কলম্বিয়ায় মাদক কারবারি এক গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে সন্ত্রাসী দলটির ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত কাল এই হামলা ছিল সুনিয়ন্ত্রিত ও লক্ষ্যভিত্তিক। অভিযানে একজনকে আটক ও সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহনীর অ্যাডমিরাল ফ্রান্সিসকো কিউবিডস বলেছেন, নিহতরা কলম্বিয়ার বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী ফার্কের (এফএআরসি) একটি শাখার সদস্য। তারা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সেনাবাহিনী দাবি করছে, বিমান হামলাটি গেরিলাদের কমান্ড ও লজিস্টিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। এই ধরনের অভিযান জননিরাপত্তা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত গোষ্ঠীর প্রভাব কমানোর জন্য অপরিহার্য। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা ও সামরিক অস্ত্র বিলুপ্তিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কলম্বিয়ায় দীর্ঘদিন থেকে সরকারি বাহিনী ও বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। ফার্কের মূলশাখা ২০১৬ সালে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও, কিছু শাখা তা প্রত্যাখ্যান করে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পেট্রোর সরকারের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক চাপ ও আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবরে ওয়াশিংটন মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট পেট্রো ও তার পরিবারের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও মাদক পাচারের সঙ্গে পেট্রোর সরাসরি যোগসূত্রের প্রমাণ দেয়নি।
ভারতে চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু

ভারতে চিড়িয়াখানায় কুকুরের আক্রমণে ১০ হরিণের মৃত্যু বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে ভারতে নতুন একটি চিড়িয়াখানায় আন্তত ১০টি হরিণ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় সদ্য উদ্বোধন করা চিড়িয়াখানায় বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে এমন ঘটনা ঘটেছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। উদ্বোধনের পর ১৫ দিন না পেরোতেই এ ঘটনায় চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা যাবে। চিড়িয়াখানার পরিচালক নাগারাজ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মঙ্গলবার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অরুণ জাকারিয়ার নেতৃত্বে একটি দল চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছে। গোটা এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে তারা। ৩৩৬ একর জমিতে গড়ে ওঠা ত্রিশূর চিড়িয়াখানাটি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারতের প্রথম ‘ডিজাইনার জু’ হিসেবে পরিচিত। গত ২৮ অক্টোবর কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সম্প্রতি পুথুর চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থীদের জন্য অ্যাডভান্স রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত শুধু স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরই সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এটি খোলার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনো।
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় দেড় হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে। গাজা উপত্যকার স্যাটেলাইট ছবি পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ভেরিফাই এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১০ অক্টোবর আমেরিকার মধ্যস্ততায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিবিসি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ছবি তোলা হয়েছে ৮ নভেম্বর। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় পুরো পাড়া এক মাসেরও কম সময়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবনগুলো বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি ভেরিফাই কিছু এলাকার স্যাটেলাইট ছবি সংগ্রহ করতে পারেনি, যার অর্থ-প্রকৃত ধ্বংসের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভবন ধ্বংসের এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বিবিসি ভেরিফাইকে বলেছেন, তারা ‘যুদ্ধবিরতির কাঠামোর মধ্যে’ কাজ করছেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত অস্কার; ভাবছেন অবসরের কথা

হৃদরোগে আক্রান্ত অস্কার; ভাবছেন অবসরের কথা চেলসি ছেড়ে চীনে পাড়ি জমানো ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার অস্কার শৈশবের ক্লাব সাও পাওলোতে ফিরে খেলার স্বপ্ন দেখলেও, হৃদরোগজনিত সমস্যার কারণে এখন তিনি অবসরের কথা ভাবছেন। সাও পাওলোর হয়ে খেলার সময় অস্কারকে হঠাৎ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। সৌভাগ্যবশত, তার অবস্থা গুরুতর নয় এবং বর্তমানে স্থিতিশীল। ক্লাব সভাপতি হুলিও কাসারেস জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক। ৩৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের সাও পাওলোর সঙ্গে চুক্তি আছে ২০২৭ পর্যন্ত, তবে তিনি চুক্তি বাতিল করে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করার কথাও ভাবছেন। হৃদরোগ সমস্যা অস্কারের জন্য নতুন নয়; গত আগস্টে করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে পিঠের হাড় ভাঙার পরই তার হৃদযন্ত্রে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছিল। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সাও পাওলোর হয়ে অস্কার ২১টি ম্যাচ খেলেছেন, ২টি গোল এবং ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। চেলসির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলার পর ২০১৭ সালে সাংহাই পোর্টে যোগ দিয়েছিলেন, এবং চলতি বছরের শুরুতে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে সাও পাওলোতে ফিরে আসেন। ক্লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘বিধিবদ্ধ চিকিৎসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে এবং খেলোয়াড়ের গোপনীয়তা বজায় রেখে চিকিৎসা দল থেকে আপডেট পাওয়া মাত্র আরও তথ্য জানানো হবে।’ অস্কার ব্রাজিল জাতীয় দলে ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন। এখন তার ফোকাস পুরোপুরি সুস্থতায় এবং খেলোয়াড়ি জীবনের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে।
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নাটকীয় জয় উদযাপন করেছে পাকিস্তান। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই বজায় ছিল, যেখানে লঙ্কানরা জয়ের জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেলেও সফল হয়নি। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯৯ রান তোলে। শুরুতে ওপেনাররা ভালো খেলে চাপে ফেলে শ্রীলঙ্কাকে। সাইম আইয়ুব মাত্র ৬ রান করে ফিরেন, ফখর জামান ৫৫ বলে ৩২ রান করেন, আর মোহাম্মদ রিজওয়ানও সুবিধা নিতে পারেননি, ৫ রানে থামেন। বাবর আজম ৫১ বল খেলে ২৯ রান করেন। ৯৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে সালমান আগা আর হুসাইন তালাত যোগ করেন ১৩৮ রানের জুটি। তালাত ৬৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। শেষদিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ২৩ বলে ৩৬ রানের দ্রুত ইনিংস উপহার দেন। সালমান আগা অপরাজিত থাকেন ১০৫ রানে, ৮৭ বল খেলে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান। রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা উড়ন্ত সূচনা করেছিল। কামিল মিশরা ও পাথুম নিশাঙ্কা ৭০ বলের ওপেনিং জুটিতে ৮৫ রান তোলেন। ১২তম ওভারে হারিস রউফ একসাথে জুটি ভেঙে জোড়া উইকেট নেন। মিশরা ৩৮ রানে আউট হন, কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করেন রউফ। পরবর্তী ওভারে নিশাঙ্কা (২৯) ক্যাচ আউট হন। শ্রীলঙ্কার সাদিরা সামারাবিক্রমা ৩৯ রান করে ফেরেন, চারিথ আসালাঙ্কা ৩২ রানে স্টাম্পিং। নাসিম শাহর বলে জানিথ লিয়ানাগে (২৮) বোল্ড। কামিন্দু মেন্ডিস ৯ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে আউট হন। তবে লোয়ার অর্ডারেও লঙ্কানরা লড়াই চালান। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৫২ বলে ৫৯ রান করেন এবং শেষ পর্যন্ত নাসিম শাহর বলে লং অনে ক্যাচ হয়ে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। পাকিস্তানের বোলাররা সমন্বিত পারফরম্যান্স দেখান। হারিস রউফ নেন চারটি উইকেট, নাসিম শাহ ও ফাহিম আশরাফ নেন দুটি করে। হুসাইন তালাতের শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের কাছাকাছি আনতে চেষ্টা হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পাকিস্তানের নামে শেষ হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে এই ম্যাচ দর্শকদের জন্য রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার হয়ে ওঠে।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস উগান্ডার

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস উগান্ডার ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে বড় অঘটনের জন্ম দিল আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। কাতারে যুবা বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ফ্রান্স অনূর্ধ্ব–১৭ দলকে ০-১ গোলে হারাল উগান্ডা অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ইউরোপের এই পরাশক্তিকে হারিয়ে ৪৮ দলের বিশ্বকাপে পরের রাউন্ডের টিকিটও কেটেছে তারা। অবশ্য উগান্ডার কাছে হারলেও গ্রুপ পর্বের বাধা উতরাতে পেরেছে ফ্রান্স অনূর্ধ্ব–১৭ দল। গ্রুপ ‘কে’ এর দলগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই জমে উঠে। গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচ শেষে ফ্রান্স, উগান্ডা, কানাডা, আর চিলি তিনটি দলেরই সমান ৪ পয়েন্ট দাড়ায়। তাতে পরের পর্বে যাওয়ার সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় গোল ব্যবধান। গ্রুপ ‘কে’ এর চারটি দলই এক জয়, এক হার এবং একটি ম্যাচ ড্র করে। তবে গোল ব্যবধানে (+১) এগিয়ে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যুবা বিশ্বকাপের পরের পর্ব নিশ্চিত করে ফ্রান্স। কানাডা আর উগান্ডার গোল ব্যবধান শূন্য হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে উগান্ডাকে হারানোয় পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে শেষ করে কানাডা। আর গ্রুপ পর্বে সেরা দুইয়ে না থাকলেও প্রতিযোগিতার মোট ১২টি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থাকা সেরা আট দলে থেকে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করে উগান্ডা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে চোখে চোখ রেখেই লড়েছে উগান্ডা। দৃঢ় রক্ষণভাগ আর ভয়ডরহীন আক্রমণাত্মক খেলার মিশ্রণে উগান্ডা তরুণরা ফরাসিদের পুরো ম্যাচজুড়ে চাপে রাখে। ম্যাচের ১৫ মিনিট পার হতেই উগান্ডার জেমস বোগেরের গোলই ব্যবধান গড়ে দেয়। ডি-বক্সের ভেতর থেকে বাঁকানো এক শটে বল পাঠান জালের কোণে। আফ্রিকার দেশটির ফুটবল ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় হয়েই থাকবে এই মুহূর্ত। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় পর্বের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দল। গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচই জিতে পরের পর্বে পা রাখে আলবিসেলেস্তা যুবারা। দুই জয় আর এক ড্রয়ে ব্রাজিলও গ্রুপসেরা হয়েছে।
মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ

মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ সিলেট টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ঘরের মাঠে নিজের প্রথম এবং ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। জর্ডান নিলের বলে গালি অঞ্চলে চার মেরে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছোঁয় মাহমুদুল। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে করেছিলেন তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ম্যারাথন ইনিংসে তিনি এখন পর্যন্ত ১২৯ রানে অপরাজিত, যেখানে রয়েছে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক, যিনি ৫৬ রানে অপরাজিত। এর আগে আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হলে, ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল মিলে গড়েন ১৬৮ রানের পার্টনারশিপ। সাদমান ৮০ রান করে আউট হলেও, ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন মাহমুদুল ও মুমিনুল। ৬৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৮ রান, হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
হারাচ্ছে আলোর পোকা জোনাকি, ফেরানোর উপায় কি?

হারাচ্ছে আলোর পোকা জোনাকি, ফেরানোর উপায় কি? কখনও সন্ধ্যা নামলেই মাঠে, গাছতলায় কিংবা খোলা জলাভূমির ধারে জড়ো হতো শিশুর দল। তাদের হাতে ধরা পড়ত ছোট্ট একটি আলোর বিন্দু, নাম তার জোনাকি। সেই আলো ছিল নিখাদ বিস্ময়, ছিল রাতের সৌন্দর্য। কিন্তু সময় বদলেছে। শৈশবের সেই আলোর স্মৃতি এখন অতীত হয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে দ্রুত কমে যাচ্ছে জোনাকির সংখ্যা। আর এই বিলুপ্তির পেছনে আছে প্রধান তিনটি কারণ; বাসস্থান ধ্বংস, আলো দূষণ এবং কীটনাশকের ব্যবহার। বিশ্বে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির জোনাকি রয়েছে। বেশিরভাগ জোনাকি পোকা জন্মায় এবং বেঁচে থাকে আর্দ্র পরিবেশে; পুকুরের ধারে, জলাভূমিতে, পচা কাঠের পাশে বা অন্ধকার বনে। কিন্তু উন্নয়ন আর নগরায়নের চাপ সেই পরিবেশকে গ্রাস করে নিচ্ছে। খোলা মাঠ ভরাট করে বহুতল ভবন, ম্যানগ্রোভ বনের জায়গায় কৃষিখামার, নদীর তীরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা; সব মিলিয়ে জোনাকির জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্ধকার এবং নীরব পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী সারা লুইসের নেতৃত্বে ২০২০ সালে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, জোনাকিদের টিকে থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশগত শর্ত প্রয়োজন। তার ভাষায়, জোনাকিদের জীবনচক্র এমন এক জায়গার ওপর নির্ভরশীল, যেখানে এদের জন্ম হয়, তারা সাধারণত সেখানেই থাকে। বলেন গবেষক দলটির প্রধান। সেই পরিবেশ হারালে তারা প্রজনন করতে পারে না, প্রজন্ম জন্মায় না। আরেকটি বড় হুমকি কৃত্রিম আলো। জোনাকিরা তাদের দেহের আলো ব্যবহার করে সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং প্রজনন করে। পুরুষ জোনাকি আলো জ্বেলে উড়ে বেড়ায়, স্ত্রী জোনাকি অপেক্ষা করে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য। কিন্তু মানুষের রাস্তার লাইট, বিজ্ঞাপনের আলো, গাড়ির হেডলাইট; সব কৃত্রিম আলো জোনাকিদের নিজেদের সংকেত পাঠানো ব্যাহত করে। ফলে তারা সঙ্গী খুঁজে পায় না। গবেষকদের মতে, পৃথিবীর মোট স্থলভাগের অন্তত ২৩ শতাংশ এলাকায় রাতের অন্ধকার আর অন্ধকার থাকে না, এটা জোনাকিদের জন্য মৃত্যুঘণ্টা। এদিকে কৃষিজমিতে ব্যবহার করা কীটনাশক জোনাকির লার্ভার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। লার্ভা সাধারণত এক থেকে দুই বছর বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু মাটির রাসায়নিক উপাদান তাদের বেড়ে ওঠার সময়ই ধ্বংস করে দেয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কীটনাশকের প্রভাবে জোনাকির মৃত্যুহার ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন ‘জোনাকি ট্যুরিজম’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নৌকায় করে নেওয়া হচ্ছে জোনাকির আবাসস্থলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পর্যটনে আলোর ব্যবহার, শব্দ এবং নৌকার ইঞ্জিন জোনাকিদের জীবনচক্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তবে আশার কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো সময় আছে। সচেতনতা বাড়ানো গেলে জোনাকিকে রক্ষা করা সম্ভব। তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হলে অপ্রয়োজনীয় আলো কমাতে হবে, কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং জলাভূমি, বন ও প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষণ করতে হবে।
বিদায়বেলায় ‘টাটা’ বলার প্রচলন যেভাবে শুরু

বিদায়বেলায় ‘টাটা’ বলার প্রচলন যেভাবে শুরু বিদায়ের সময় বন্ধুকে, সহকর্মীকে বা প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে আমরা প্রায়ই বলি – ‘টাটা’। এই শব্দটি এতটাই পরিচিত যে, বয়স বা প্রজন্ম নির্বিশেষে সবার মুখে এটি শোনা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- বিদায়ের সময় সবাই কেন বলে ‘টাটা’? ভাষাবিদদের মতে, ‘টাটা’ মূলত ব্রিটিশ ইংরেজি থেকে আগত একটি শব্দ। এটি ‘গুডবাই’ বা ‘ফেয়ারওয়েল’-এর তুলনায় অনেক বেশি অনানুষ্ঠানিক ও আন্তরিক অভিব্যক্তি। উনিশ শতকের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে, বিশেষ করে ককনি (Cockney) উপভাষায়, শব্দটির প্রচলন শুরু হয়। সেখান থেকে এটি পুরো ব্রিটিশ সমাজে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে উপনিবেশের প্রভাবে ভারতীয় উপমহাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শব্দটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর সহজ উচ্চারণ। শিশুদের মুখে উচ্চারণ সহজ বলে মা–বাবারা প্রাথমিকভাবে বিদায় জানাতে শেখানোর সময় বলেন- বলো টাটা। শিশুরাও হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে বলে ‘টাটা’, যা একধরনের স্নেহমিশ্রিত বিদায়ের রীতি হয়ে ওঠে। আরও একটি মজার দিক হলো, অনেক ভাষায় ‘টাটা’ শব্দের অর্থ ‘বাবা’। ফলে যখন শিশুরা ‘টাটা’ বলে বিদায় জানায়, তখন সেটি একদিকে আবেগের প্রকাশ, অন্যদিকে ধ্বনিগতভাবে সহজ একটি বিদায়ের ইঙ্গিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মিষ্টি ধ্বনি বিদায়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ব্রিটিশ উপনিবেশের যুগে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শব্দটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে এখন ‘টাটা’ এক অনানুষ্ঠানিক, বন্ধুত্বপূর্ণ বিদায়ের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। ভাষাবিদরা বলেন, আনুষ্ঠানিক পরিবেশে ‘গুডবাই’, ‘ফেয়ারওয়েল’ বা ‘বিদায়’ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ‘টাটা’, ‘বাই’ বা ‘সি ইউ লেটার’-এর মতো শব্দই আন্তরিকতা প্রকাশ করে।
বহুরূপী মানুষ চেনার সহজ উপায়

বহুরূপী মানুষ চেনার সহজ উপায় অনেক সময় আমরা মানুষের মিষ্টি কথায় সহজেই প্রলুব্ধ হয়ে যাই। কিন্তু কি জানেন? সব মিষ্টি কথা মানে সত্যিকারের ভালোবাসা বা আন্তরিকতা নয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বহুরূপী বা ফেক মানুষদের আচরণে এমন কিছু লক্ষণ থাকে যা চিনে নিলে আপনি মানসিক শান্তি ও আবেগ রক্ষায় সচেতন থাকতে পারবেন। . খুব দ্রুত এবং অতিরিক্ত ভালো আচরণ যারা সত্যিকারের ভাল মানুষ, তারা কখনোই অতিরিক্ত অভিনয় করে না বা খুব দ্রুত বিশ্বাস জেতার চেষ্টা করে না। কিন্তু বহুরূপী মানুষ প্রথম থেকেই অতিরিক্ত মিষ্টি বা দয়ালু হলে সেটি সতর্ক হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। . বারবার নিজের চরিত্র বদলানো একই ব্যক্তি বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। কেউ নম্র ও ভদ্র, আবার অন্য কারো কাছে আত্মবিশ্বাসী। এ ধরনের আচরণ মনোবিজ্ঞানে ‘ইম্প্রেশন ম্যানেজমেন্ট’ নামে পরিচিত। . সত্যিকারের আবেগ তৈরি করতে না পারা এরা আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের স্বার্থে সম্পর্ক স্থাপন করে, সত্যিকারের ভালোবাসা বা সহানুভূতির জন্য নয়। . সব সময় অন্যের সমালোচনা করা বহুরূপী মানুষরা অন্যের গসিপ করে এবং সমালোচনা করতে ভালোবাসে। তারা নিজস্ব অনিশ্চয়তা ও কম আত্মবিশ্বাস লুকানোর জন্য এমন আচরণ করে। যারা অন্যদের খারাপ কথা বলে, তারা আপনার পেছনেও একই কাজ করবে। . বন্ধুসুলভ আচরণ করে গোপনে প্রতিযোগিতা যদিও বন্ধুত্বের ভান করে, তাদের মধ্যে হিংসা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব লুকানো থাকে। তারা আপনার সাফল্যে খুশি না হয়ে আপনাকে ছোট করার চেষ্টা করে। মনোবিজ্ঞানে এটিকে ‘কভারট রাইভেলারি’ বলা হয়। সত্যিকারের বন্ধুত্ব হলো একে অপরকে উৎসাহ দেওয়া, আর বহুরূপী মানুষের সাথে সম্পর্ক মানসিক শান্তি নষ্ট করতে পারে। তাই, এই লক্ষণগুলো বুঝে সাবধান হওয়া জরুরি।