স্থিতিশীল জেলার বাজার: কমেছে পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

112

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সকালে জেলার মাছ ও মুরগি বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, আমদানি পর্যাপ্ত থাকায় প্রায় সবধরনের মাছ ও মুরগির দাম কমেছে। এদিকে, মুদি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজি প্রতি ১০ টাকা করে কমেছে সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে, মাংস বাজারে মাংসের দাম স্থিতিশীল। এছাড়া স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। এদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে মুদিপণ্যের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মত।

বাইরে বের হলেই চৈত্রের এই কড়া প্রকৃতি যেন জীবন অতিষ্ট করে তুলছে। প্রখর এই রোদ চারদিকে সবকিছু যেন খা খা করছে। এত কিছুর পরেও জেলার বাজার গুলোতে গিয়ে পড়ছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। বাজারে সব ধরনের পণ্যদ্রব্যের দাম রয়েছে নি¤œমূখী। এরকম চিত্র ফুটে উঠেছে জেলার নিউমার্কেট সবজি বাজারে। দেখা গেছে গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে কেজিতে ২০-৩০ টাকা। সবজি বিক্রেতা বাদশা জানান, কুমড়ো পিস ৮০ টাকা কেজি, দেশী টমেটো ৫০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৮০ টাকা কেজি, আলু ২০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, পটল ৬০-৬৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, খিরা ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, সজিনা ২০০টাকা, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা কেজি, দেশী লেবু ৪০ টাকা হালি, নরমাল টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মাছ বাজারে সব ধরনের মাছের দাম প্রায় কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা করে। মাছের দামের স্বস্তি থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম বলছিলেন মাছ বিক্রেতা নাজমুল। তিনি বলেন, কাল বাউস মাছ ২৮০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৪০ টাকা কেজি, শিং মাছ ৬০০ টাকা কেজি, বাইম মাছ ৫০০ টাকা কেজি, ১ কেজি ওজনের রুই ২৪০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৫৬০ টাকা কেজি, মৃগেল ১৮০ টাকা কেজি, শোল মাছ ৪০০ টাকা কেজি, চাষের  চিংড়ি মাছ ৭০০-৭৫০ টাকা, দেশি  চিংড়ি মাছ ১০০০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আমদানি পর্যাপ্ত থাকায় ১০-২০ টাকা কমেছে সব ধরনের মুরগির দাম বলছিলেন মুরগি বিক্রেতা মিজান। বাজারে লাল লেয়ার ২২০-২৩০, সাদা লেয়ার ২০০-২১০, প্যারেন্টস ২৩০, দেশি মুরগি ৪০০-৪৩০ টাকা কেজি, সোনালি ২৬০ টাকা, ব্রয়লার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাংস বাজারে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস বলছিলেন নিউমার্কেটের মাংস বিক্রেতা মাসুদ রানা-এই সপ্তাহে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে আবারো কমলো পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা করে। রমজান মাস নিকটবর্তী হওয়ায় ইফতারের জন্য এখন থেকেই ক্রেতারা খেজুর, বেসন, ছোলাও কিনছেন- জানালেন মুদি বিক্রেতা জিয়াউর রহমান-আটাশ চাল ৫৪ টাকা, মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা, খেসারির ডাল ৮০ টাকা কেজি, ছোলা ৭৫-৮০ টাকা কেজি, চিনির দাম ৭৫-৭৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৩-৩২ টাকা, আদা ৭০-৮০ টাকা, রসুন ১০০-১১০ টাকা, বেসন ১০০-১২০ টাকা, আতপ চাল ১২০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেলের দাম  ১৬৫ টাকা, ডিম ৩২ টাকা হালি। দাবাস খেজুর ২০০ টাকা, সাফাইয়া খেজুর ৩০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৫৬০টাকা কেজি।

এছাড়া ফল বাজারে রয়েছে স্বস্তি। ফল বাজারে অন্যান্য ফলের দামের তুলনায় ১০ টাকা কমেছে আঙুরের দাম ও স্থিতিশীল আছে কমলার দাম, কেনু কমলা ১৫০টাকা কেজি, আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি, আপেল ২০০ টাকা, মাল্টা ১৮০, বেদানা ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সপ্তাহে কোন ফলের দাম বৃদ্ধি হয়নি বলে জানান ফল  বিক্রেতা সোহেল রানা।