শিকারী মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেঙে গেছে শ্রেণিকক্ষের বেড়া, পড়ে গেছে টিনের চালা

134

ভোলাহাট প্রতিনিধি :

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট  উপজেলার শিকারী মডেল বালিকা বিদ্যালয়টি এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে কোনো বালিকা বিদ্যালয় না থাকায় নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বেতন-ভাতা ছাড়াই ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯ বছর ধরে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। গত বছর ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে শিকারী মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়।
প্রতি বছর পাসের হার শতভাগ থাকলেও বিদ্যালয়টিতে পাঠদানের জন্য নেই কোনো পাকা ভবন। টিন ও খড়ের তৈরি জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন পাঠদান করে আসছিলেন। কিন্তু সেই জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষও ভেঙে পড়েছে। বেড়াগুলো ভেঙে টিনের চালাগুলোও পড়ে গেছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ জন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু চালু হলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস কীভাবে নেয়া হবে, এই দুশ্চিন্তায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা। এই বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে না পারলে স্কুল খুলে গেলে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠ গ্রহণ করতে হবে। ফলে চরম বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা শিক্ষার্থীদের। বেতন-ভাতা বা কোনো তহবিল না থাকায় শ্রেণিকক্ষ নির্র্মাণও করতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এমপিওভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বিশ্বাস সুজন জানান, বর্তমানে স্কুলটিতে শ্রেণিকক্ষ ভেঙে পড়ায় অর্থাভাবে তা সংস্কার করতে পারছেন না। শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে আর্থিক সহায়তার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদনও করেছেন বলে জানান তিনি।