রোমিও-জুলিয়েটের মিলনের অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা

401

নাম ‘রোমিও’! অথচ ১০ বছরেও জুলিয়েট জোটাতে পারেনি। শেষমেশ তাই আসরে নামতে হয় কোচাবাম্বা ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে। কারণ, ‘রোমিও’র হাতে যে সময় বেশি নেই! গত বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে একটি ডেটিং ওয়েবসাইটে রোমিওর জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ১৫ হাজার ডলারের একটি তহবিলও গড়ে তোলা হয় রোমিওর জন্য। দেখতে দেখতে সে তহবিলে জমা হয় প্রায় ২৫ হাজার ডলার। কিন্তু কোথায় জুলিয়েট? রোমিওর হাতে আর মাত্র আর ৪ বছর! তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেছে জুলিয়েটকে। না, কোন প্রেমের সিনেমার গল্প নয়!  রোমিও আসলে একটি বিরল প্রজাতির পুরুষ ব্যাঙ! এটি একটি সেহোয়েলসাস ওয়াটার ফ্রগ। বলিভিয়ার বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ব্যাঙ বড়জোড় ১৫ বছর বাঁচে। এখন তার বয়স প্রায় ১২ বছর! তাই বিরল এই ব্যাঙের প্রজাতিকে অবলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে রোমিওর জন্য জুলিয়েট খুঁজতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কোচাবাম্বা ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। রোমিওর জন্য গড়ে তোলা তহবিলের টাকায় রোমিওর প্রেমিকার খোঁজে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছিল বলিভিয়ার মেঘ-অরণ্যে। আর সেখানেই খোঁজ মিলেছে জুলিয়েটের। খুব শীঘ্রই রোমিও-জুলিয়েটকে মিলিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রোমিও-জুলিয়েটের একে অপরকে ভাল লাগবে, এমনটাই আশা বিশেষজ্ঞদের। তাই নির্ঘাত অবলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো যাবে রোমিও-জুলিয়েটের প্রজাতিকে।