মহানন্দায় ডুবে মৃত্যু দুই ভাইয়ের

121

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে মায়ের সঙ্গে গোসল করতে যায় নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মারুফ (১৯)। সঙ্গে যায় ফুফাত ভাই মোহাম্মদ হোসাইন (১১)। এ সময় নদীর কূলে বসে কাপড় পরিষ্কার করছিলেন মারুফের মা। গোসল করার একপর্যায়ে হঠাৎ করে মারুফ ও হোসাইন পানিতে তলিয়ে যায়। চোখের সামনে সন্তান ও ভাতিজাকে ডুবতে দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন মারুফের মা। কালবিলম্ব না করে চেষ্টা করেন সন্তান ও ভাতিজাকে উদ্ধার করার। এসময় মারুফের মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার চেষ্টা করেন। খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করলেও সন্ধান না পেয়ে রাজশাহীর ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়। পরে ডুবুরি দল রাজশাহী থেকে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরি দল। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের চামাগ্রাম এলাকায়। মারা যাওয়া মারুফ চামাগ্রাম বাদুরতলা গ্রামের আবু তালেবের ছেলে এবং মোহাম্মদ হোসাইন একই গ্রামের শাহীন আলীর ছেলে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, মায়ের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কলেজছাত্র মারুফ হোসেন। নদীর ধারে মা কাপড় পরিষ্কার করছিলেন। পাশেই ফুফাত ভাইকে নিয়ে গোসল করতে গিয়ে দুজনই হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যায়। নিহত মারুফের মা জানান, মারুফ নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। অপরদিকে হোসাইনের মা জানান, হোসাইন বারঘরিয়া নীলকুঠি এলাকায় মীফতাহুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
বলতে বলতেই তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহতদের মা ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে আসে এলাকার আকাশ-বাতাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে মরেদহ হস্তান্তর করা হয়েছে।