ভোলাহাটে আমন ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দিশেহারা কৃষক

207

ভোলাহাটের মাঠে মাঠে আমন ধানের ক্ষেতে বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলার মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেতে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। অনেক জমিতে পোকার আক্রমণে ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। এ রোগের আক্রমন শুরু করেছে একের পর এক ধান ক্ষেতে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। দেখতে ছোট ছোট বাদামি পোকার মতো এই পোকা ধান গাছের রস চুষে নিচ্ছে। ফলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ধান গাছ হলুদ রং ধারণ করছে। এই পোকা কোন এলাকায় আক্রমণ করলে দু’এক দিনের মধ্যে তা দ্রুত মাঠের পর মাঠ ছড়িয়ে পড়ছে বলে কৃষক জানান। দুরুত্ব পোকার আক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারনে এ পোকাকে কারেন্ট পোকা বলছেন কৃষক। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করে ধান চাষ করেছিলেন। সঠিক পরিচর্যা ও রোগ বালাই দমনে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেন। বর্তমানে চাষ করা ধানের শীষ আসা শুরু করেছে। কোন কোন জমিতে ধানের শীষ বের হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কারেন্ট পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য জমিতে কীটনাশক ব্যবহার ও ফাঁড়ি দিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্র জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ভোলাহাট উপজেলায় ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৭০ মেট্রিক টন ধান। অবশ্য কৃষকরা বলছেন, পোকার আক্রমন দমন করা না গেলে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হবে না। ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগের বৃষ্টি ও দিনের বেলা গরম রাতে শীত থাকার কারণে বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, পোকা রোধে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষি অফিস থেকে পোকা দমনে ১ মাস থেকে ১০ হাজার লিফলেট কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। তাছাড়া ঘাইবাড়ি, মধুপুর, সুরানপুর, ফলিমারী, বড়গাছি মোড়ে মোড়ে প্রচারণা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার ও ফাঁরি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।