রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর অপেক্ষায় দুদেশের জনসাধারণ

225

বাংলাদেশের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে দু”দেশের জনসাধারণ। বর্তমানে এ রুট দিয়ে মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি ভারত সফরের পর ভারতের সঙ্গে বন্ধ থাকা রেলরুটগুলো পুণরায় চালুর ঘোষণায় দুদেশের জনসাধারণ আশান্বিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় কে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ সফরে বিষয়টির সুরাহার দাবী জানিয়েছে এ অঞ্চলের জনসাধারন।

প্রস্তাবিত রাজশাহী-কলকাতা (মৈত্রী-৩) ট্রেনটির রুট রয়েছে বাংলাদেশের রহনপুর হয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ-মালদহ- মুর্শিদাবাদ হয়ে কলকাতা। গত কয়েক বছর পূর্বে এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করার দাবি জানিয়েছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। সম্প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী উত্তরবঙ্গের সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বিষয়টির অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান। এদিকে এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে রাজশাহী অঞ্চল তথা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার জনসাধারণ সহজেই মালদহ হয়ে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে।

এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুরে ইমিগ্রেশন কাস্টমস স্টেশন নির্মানে রেলওয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। রহনপুর রেল স্টেশনে ওই ট্রেনের যাত্রা বিরতি এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সম্পন্ন হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার জনসাধারণ উপকৃত হবে। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণের সাথে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার জনসাধারণের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।

এ রুট দিয়ে নেপাল ভারত হয়ে পণ্য পরিবহন করে থাকে। ভারতের উত্তর মালদহ এলাকার লোকসভার সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ রুটে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহ পর্যটন শিল্প বিকাশে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।