বিশ্বকাপের খুব কাছে ইংল্যান্ড-জার্মানি

516

বয়স মাত্র ১৯। এই বয়সেই ভীষণ পরিণত মনে হচ্ছে মার্কাস রাশফোর্ডকে। তারকাখচিত ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের রক্ষাকর্তা হিসেবে তো উঠে আসছে তাঁর নাম। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সম্ভাবনাময় তরুণ একরকম একাই পার করেছেন তাঁর দেশকে। পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটা জিতেছে ইংল্যান্ড; ওয়েম্বলির দর্শক-ভক্ত তো মজেছেই তাঁর খেলায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমেও শুরু হয়েছে রাশফোর্ড-বন্দনা।
‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষ দুই দলের খেলাটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তবে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয় শক্তিমত্তায় অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির দল স্লোভাকিয়া এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতেই। ৩ মিনিটে ওই রাশফোর্ডের ভুলেই প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে বল পেয়েছিলেন স্তানিস্লাভ লোবোতকা। নেমেচের সঙ্গে চমৎকার ওয়ান-টু করে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক জো হার্টকে বোকা বানান লোবোতকা। রাশফোর্ড বল হারালেও দোষটা হার্টেরও কম ছিল না। তাঁর উচিত ছিল ডাইভ দেওয়া। সেটি তিনি করেননি।
এরপরের গল্পটা রাশফোর্ডময়ই। হতবুদ্ধি ইংলিশদের বিরতির ৮ মিনিট আগে সমতায় ফেরান এরিক ডায়ার। কাছের পোস্টে কর্নার নিয়েছিলেন রাশফোর্ড, সুযোগ কাজে লাগান টটেনহাম মিডফিল্ডার। বিরতির পর আরও দুর্দান্ত খেলেছেন ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড, এবার জেগে উঠেছিল পুরো দলই। একের পর এক আক্রমণ করলেও কেইন, চেম্বারলিন, ডেলে আলীরা একের পর এক সুযোগের অপচয় করেছেন। ৫৯ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের পাস থেকে বক্সের বাইরে বল পান রাশফোর্ড। মুহূর্তেই নিখুঁত শটে পোস্টের বাঁ কোনা দিয়ে জালে ফেললেন বল। এই গোলেই রাশিয়া বিশ্বকাপের খুব কাছে ইংলিশরা। বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন কেবল ২ পয়েন্ট।
গ্রুপ ‘সি’তে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। জয় পেয়েছে ৮ ম্যাচের সব কটিতেই। কাল রাতে টিমো ওয়ের্নারের জোড়া গোলে নরওয়ের বিপক্ষে পেয়েছে ৬-০ গোলের জয়। গোল করেছেন মেসুত ওজিল, হুলিয়ান ড্রাক্সলার, লিওন গোরেৎস্কা ও মারিও গোমেজ। মজাটা হচ্ছে, বাছাইপর্বে ১৮ জন ভিন্ন ভিন্ন গোলদাতা পেয়েছেন কোচ জোয়াকিম লো। চূড়ান্ত পর্বে উঠতে আর ১ পয়েন্ট দরকার মুলারদের।