বাসে ঢিল, অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম যা বলছে

456

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনের খেলা শেষে মাঠ থেকে ফেরার সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার শিকার হয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। তাদের টিম বাসে কে বা কারা ঢিল ছুড়েছে। এতে কেউ আহত না হলেও বাসের একটা কাচ ভেঙেছে। আপাতত আশার কথা হলো, এই ঘটনা তেমন নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি অস্ট্রেলীয় মিডিয়ায়। আশ্বস্ত করা হয়েছে তাদের দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’ তাদের সাইটে শিরোনাম করেছেÑ‘বাসে ঢিলের পর নিরাপত্তা জোরদার’। প্রতিবেদনের ভেতরেও ঢিলের ঘটনার চেয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর খবরে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। ঢিল মারাকে ‘ছোটখাটো’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়া দলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক শন ক্যারল বলেছেন, ‘ছোট্ট একটি পাথর ছোড়ার এ ঘটনা আমাদের টিম সিকিউরিটি আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মিলে তদন্ত করছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং রাস্তায় নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া দল যে নিরাপত্তা পাচ্ছে, তা সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানরা সাধারণত পেয়ে থাকেন। ক্যারল নিরাপত্তার মানে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে খুশি। ঢিল মারার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যেভাবে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে, তাতে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।’ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ তাদের দ্বিতীয় দিনের টেস্ট আপডেটের মধ্যে এই খবর ও এ-সংক্রান্ত ক্যারলের বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ এ নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন করলেও বিষয়টি আতঙ্ক ছড়ানোর মতো নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে’ বলা হয়েছে, ‘ঘটনার পর সোমবার রাত কিংবা মঙ্গলবার সকালেও অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় থেকে স্টাফদের মধ্যে কোনো রকম ভয়ভীতি দেখা যায়নি।’ দেশটির বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমেই ক্যারলের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থার প্রশংসা করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে গত বছর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে নিরাপত্তাব্যবস্থা থেকে সন্তুষ্ট হয় তারা। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক এসেছেন বাংলাদেশে। শেষ পর্যন্ত স্টিভেন স্মিথরা বাংলাদেশ সফরে এলেও তাঁদের বাসে ঢিল মারার ঘটনাটা ঘটল। অস্ট্রেলিয়া ঢিলটিকে তার আকার দিয়ে দিয়েই বিবেচনা করছে। এটি বাংলাদেশের জন্য সুখবর। কিন্তু আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ তা অতটা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।