দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পথে মুন জা-ইন

287

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুথ ফেরত জরিপমতে জয় পেয়েছে ডানপন্থী প্রার্থী মুন জা-ইন। তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার পক্ষে অবস্থান করছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মী ও মানবাধিকার আইনজীবী মুন জানিয়েছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। শেষ দিনের প্রচারণায় মুন জানান, নির্বাচনে তিনি ‘নিরঙ্কুশ বিজয়’ প্রত্যাশা করছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রায় সব সম্পর্কই ছিন্ন করেছিলেন। ডানপন্থী নেতা পার্ক জিউনের অভিশংসনের ফলে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, তার বিজয়ের মধ্য দিয়ে জনগণ তা থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও উল্লেখ করেন মুন। এমন একটা সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন একদিকে দক্ষিণ কোরিয়া আর্থিক সংকট মোকাবিলা করছে, অপরদিকে কোরিয়া উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া কার্যত যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। গত বুধবার জরিপ সংস্থা গালুপ কোরিয়ার এক জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল, মুনের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৩৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনের পক্ষে মাত্র ২০ শতাংশের সমর্থন রয়েছে।
পার্ক গিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন। স্যামস্যাংসহ অন্যান্য বড় কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সত্যি প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদ- হতে পারে পার্কের। ১০ মার্চ পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন পার্ক। তখনই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ আদালতের আদেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ এপ্রিল সাংবিধানিক আদালতে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন পার্ক।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ৬৫ বছর বয়সী পার্ক জিউন-হাই। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অধীনে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।-