জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করলো চিটাগাং ভাইকিংস

205

রংপুর রাইডার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ২০১৯ সালের বিপিএলে শুভসূচনা করল চিটাগাং ভাইকিংস। ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রংপুর রাইডার্স’র বোলারদের তোপে ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চিটাগাং। শেষ পর্যন্ত টানটান রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুশফিক বাহিনী। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চিটাগাং। এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের উইকেট হারায় রংপুর। ২ বল পরেই ফ্রাইলিংকের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। রংপুর এরপর হারায় অভিজ্ঞ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোর উইকেট। ফ্রাইলিংকের বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে থাকা সানজামুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত হন রংপুরের ওপেনার মেহেদি মারুফ। মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মাশরাফি বাহিনী। এরপর হাওয়েলকে আবু জায়েদের ক্যাচে পরিণত করে এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান স্পিনার নাঈম হাসান। পরে ফরহাদ রেজাকেও ফেরান তিনি। রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি তরুণ পেসার খালেদ আহমেদের বলে উইকেটরক্ষক শাহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ইংলিশ তারকা রবি বোপারা। সোহাগ গাজীকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত শুরু করেন তিনি।। তবে ফ্রাইলিংকের চতুর্থ শিকার হয়ে সোহাগ গাজী বিদায় নিলে ফের চাপটা এসে পড়ে বোপারার কাঁধে। অপর প্রান্তে উইকেট পতনের মিছিলে এক প্রান্ত আগলে ৪৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করে ২০তম ওভারে আবু জায়েদের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন বোপারা। ওই ওভারের শেষ বলে রানআউটের শিকার হয়ে বিদায় নেন রংপুরের শেষ ব্যাটসম্যান নাজমুল ইসলাম অপু। ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সূচনাতেই উইকেট খোয়ায় চিটাগং। ইনিংসের শুরুতে মাশরাফির শিকার হন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ৬ বছর পর মাঠে ফিরে মাত্র ৩ রান করে শফিউল ইসলামের শিকার হন তিনি। ডেলপোর্ট-আশরাফুল সাজঘরে ফিরে গেলেও মোহাম্মদ শাহজাদ ঝড় চলতেই থাকে। বেনি হাওয়েলের এলবিডব্লিউর ফাদে পড়ে ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফেরেন তিনি। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন সিকান্দার রাজা। উইকেটে থিতু হবার আগেই মোসাদ্দেক হোসেন আউট হয়ে গেলে খেলায় ফেরে রংপুর। দলীয় ৭৭ রানে আবার আঘাত হানেন মাশরাফি। নাইম হাসানকে তিনি ফেরালে খেলা জমে ওঠে। এরপর বাজে শটে দলীয় ৮৫ রানে মুশফিক আউট হলে খেলার উত্তেজনা জমে ওঠে। তবে রবি ফ্রাইলিং (১২ রান) ও সানজামুল ইসলাম (৭ রান) চিটাগাং ভাইকিংস’র জয় নিশ্চিত করেন। তবে টার্গেট সহজ হলেও এই জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে চিটাগাং ভাইকিংসকে।