গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ তোলা শুরু ফলন ও দামে খুশি কৃষকরা

66

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। মাত্র ৩ মাসের মাথায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ফলন পাচ্ছেন কৃষক। ফলন ও দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। এতে খুশি কৃষকরা। কৃষকদের মধ্যে অনেকেই আমবাগানের মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে নতুন করে এই পেঁয়াজ চাষে লাভবান হচ্ছেন। প্রতি বিঘায় ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১০০ মণ। কৃষকরা জমি থেকেই গাছসহ বিক্রি করছেন ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। বুধবার নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের কামার জগদইল এলাকায় কৃষক মনিরুল আজম ও মফিজ উদ্দিনের জমিতে পেঁয়াজ উত্তোলনের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার। এসময় নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হানুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আমিনুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কামার জগদইল গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম কৃষি অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক পেঁয়াজ চাষ করেন। তার ৫০ শতাংশ কাটিমন আমবাগানে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজ চাষ করেন এবং ১০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তিনি জানান, নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম জানান, ৩ মাস আগে সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নাচোল উপজেলায় ৩০০ জন কৃষককে ১ বিঘা করে জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উন্নতমানের ১ কেজি করে বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, বালাইনাশক, পলিথিনসহ অন্যান্য উপকরণ এবং পরিচর্যার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৮০০ করে টাকা প্রদান করা হয়। উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, দেশে পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। আগামীতে চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, এ পেঁয়াজের চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যে পেঁয়াজ বাজারজাত করা যায়। এছাড়া প্রতি বিঘায় ১২০ থেকে ১৩০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।