গোমস্তাপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন

297

গোমস্তাপুরে স্থানীয় মাছ চাষের ৩টি পুকুরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নের জিনারপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে মরে গেছে তিনটি পুকুরের প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ। এনিয়ে শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দুটি পুকুরের মালিক ওই এলাকার তসলিম উদ্দিন ও পাশের বালিকাপাড়া এলাকার শামীম আহসান। এর মধ্যে শামীম আহসানের এক লাখ টাকা এবং তসলিম উদ্দিনের ২২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। অন্য পুকুরটিতে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ওই পুকুরটি স্থানীয় আদিবাসীরা লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন-জিনারপুরের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বুলু, তার স্ত্রী লেচন ও ছেলে স্বপন। লিখিত অভিযোগে পুকুর মালিক তসলিম উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কামরুজ্জামান বুলু লোকজন নিয়ে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। এতে তার ২২ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা যায়। টের পেয়ে স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে হত্যার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। এর প্রায় ৫ মাস আগে একই কায়দায় তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ হয়। তাতেও ৮০ হাজার টাকার মাছ মারা যায়। এর পেছনেও কামরুজ্জামানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ তসলিম উদ্দিনের। এর আগে বিভিন্ন সময় ক্ষতি সাধনের হুমকি দিচ্ছিলেন কামরুজ্জামান। এনিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেন তসলিম। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুজ্জামান জানান, তিনি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেননি। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এর আগে ষড়যন্ত্র করে তাকে মাদকের মামলায় ধরিয়ে দেন এলাকাবাসী। ওই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। তবে কামরুজ্জামান মাদক ব্যবসায়ী বলে নিশ্চিত করেছেন গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন। তিনি পুকুরে বিষ প্রয়োগের দুটি অভিযোগের তদন্ত করছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কামরুজ্জামান পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতেও ছিলেন।