ওয়ানডেতে সাত হাজারি ক্লাবে সাকিব

88

বল আর ব্যাট দুই জায়গাতেই নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে থাকেন প্রতিনিয়ত। দলে তার ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব আল হাসান শুধু দেশেরই সেরা নন, বিশ্বেরেই অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের একজন। দেশের ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বল এবং ব্যাট হাতে তার রয়েছে অসংখ্য রেকর্ড।

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে ওঠা সাকিব আল হাসান এবার দেশের হয়ে পৌঁছালেন অনন্য একটি রেকর্ডে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সাত হাজারি ক্লাবে পৌঁছালেন সাকিব আল হাসান। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাত হাজারি ক্লাবে পৌঁছেছিলেন কেবলমাত্র টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার তামিমের সঙ্গে যুক্ত হলো আরো একটি নাম। এই ক্লাবে ঢুকতে সাকিবের খেলতে হয়েছে ২২৮ ম্যাচ ও ২১৬ ইনিংস।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৭ হাজারি ক্লাবে পৌঁছাতে সাকিবের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৪ রান। ইনিংসের ২০তম ওভারে আইরিশ মিডিয়াম পেসার কার্টিস ক্যাম্ফারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়েই গৌরবের এই মাইলফলকে পৌঁছে যান সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবাল ২৩৫ ম্যাচে দুই ইনিংস কম খেলে করেছেন সর্বোচ্চ ৮১৪৬ রান। সাত হাজারি ক্লাবে পৌঁছানোর দৌড়ে আছেন আরো এক বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ২৪৩ ম্যাচ আর ২২৭ ইনিংসে ৬৯০১ রান নিয়ে সাত হাজারি ক্লাবের দোরগোড়ায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ও পূরণ করলেন সাকিব। তার আগে এই ক্লাবে আছেন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও শহিদ আফ্রিদি। তবে এই দুজনের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ লেগেছে সাকিবের। আফ্রিদি এই ডাবল পূরণ করেন ৩৪১ ম্যাচে। জয়াসুরিয়ার লেগেছিল ৩৯৭ ম্যাচ। সাকিব ছুঁলেন স্রেফ ২২৮ ম্যাচে।