ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পতন, শূন্য ডলারে তেলের বাজার

183

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে কমছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বাজারে যে প্রভাব পড়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে আর কখনো হয়নি। গতকাল বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবার তেলের দাম শূন্য ডলারের নীচে নেমেছে। তবে আজ তা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল দিন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে। অর্থাৎ যিনি তেলের ক্রেতা তিনি এক ব্যারেল জ্বালানি তেল কিনলে কিছু দিতে হবে না উল্টো ৩৭.৬৩ ডলার পাবেন। যা তেলের বাজারে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে আজ দাম ৩৮.৭৩ ডলার বেড়ে ১.১০ ডলারে বিক্রি হয়।

গতকাল মূলত মে মাসে যেসব তেল সরবরাহ করার কথা ছিল, সেগুলোর দাম কমেছে। কারণ সংরক্ষণাগার গুলোতে মে মাসের তেল রাখার জায়গা আর নেই। উৎপাদকেরা আশঙ্কা করছেন, মে মাসে সংরক্ষণাগার একেবারে উপচে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে এই তেল নিজেদের কাছ থেকে সরাতে চাইছেন তাঁরা। সে কারণেই দামের অস্বাভাবিক পতন।

তবে জুনে বিক্রি হবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন তেলের দাম ১.৭২ ডলার বা ৮.৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল আজ বিক্রি হয় ২২.১৫ ডলার। এর পাশাপাশি ব্রেন্ট তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৪৯ সেন্ট বেড়ে বিক্রি হয় ২৬.০৬ ডলারে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে ভ্রমণ, মানুষের চলাচল সব বন্ধ। এতে তেলের চাহিদা একেবারেই নেই। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিভিন্ন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার সময় হওয়ায় তেলের দাম কমেছে।

অ্যাক্সি করপোরেশনের এশিয়া প্যাসিফিক বাজার বিশ্লেষক স্টেফেন ইনেস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের নেতিবাচক মূল্য ছিলো একটি কৌশলগত ধাক্কা। এটি সংকেত দিচ্ছিলো চাহিদা বিপর্যায়ের। অর্থাৎ কেউেই তেল মজুদ করতে চাচ্ছে না।’