ভোলাহাটে তারুন্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী

ভোলাহাটে তারুন্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী ভোলাহাটে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন জাতের ফলদ ও বনজ চারা উপজেলার তরুণ তরুণী, কিশোর কিশোরী ও কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবার হাতে চারা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কবিরাজ। এসময় ভার্কের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উপজেলা সমন্বয়কারী হাজেরা খাতুনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের এক পাশে আমড়া গাছের চারা রোপণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য অতিথিগণ।

ভোলাহাটে জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

ভোলাহাটে জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মুশরীভূজা গণকেন্দ্র পাঠাগার এ সংবর্ধনা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দলদলী ইউনিয়নের মুশরীভূজা গণকেন্দ্র পাঠাগারের নিজস্ব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন— গণকেন্দ্র পাঠাগারের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান। সূচনা বক্তব্য দেন— গণকেন্দ্র পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, অধ্যক্ষ মো. আজগর আলী, সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহাজাহান আলী, কৃতী শিক্ষার্থী মো. মোবাহসেরুল হক। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সাদা মনের মানুষ মো. জিয়াউল হক ও ঠিকাদার মো. আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দলদলী ইউনিয়নের ৫টি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসার জিপিএ-৫ পাওয়া ২৪ জন ছাত্র এবং ১২ জন ছাত্রীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও দুটি করে বই তুলে দেন অতিথিরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে শপথ গ্রহণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে শপথ গ্রহণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় কর্মসূচির শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশের সকল জেলা-উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি একযাগে শপথবাক্য পাঠ করান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। শপথে অংশগ্রহণকারীরা দেশ গঠনে অঙ্গীকার করেন। শপথে বলা হয়, দেশের সকলকে একসাথে নিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত, সহিংসতা মুক্ত, মানবিক ও সাম্যের দেশ গড়ব। কারণ সরকার মানে আমি, আর রাষ্ট্র মানে আমরা। দেশের সকল নাগরিককে সামাজিক সুরক্ষার চাদরে ঢেকে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেবার অভিগম্যতা নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। অঙ্গীকার করছি, নারী ও শিশু নির্যাতন দূর করে শহরে, গ্রামে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব। ঘরে, রাস্তায়, কর্মস্থলে, বিদ্যাপীঠে, সাইবার স্পেসে গড়ে তুলব নারী ও শিশুর নিরাপদ বিচরণ। পিছিয়ে পড়া তরুণ সমাজকে চালিকা শক্তি করে সম্প্রীতির নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করব। এদিকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন— সরকার এককভাবে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। সবাই মিলে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন— জুলাই আন্দোলনে তরুণ ছাত্রসমাজ আমাদের পথ দেখিয়েছে, তাদের সঙ্গে ছিল আমাদের কন্যাগণ। সেই কন্যাযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠান মালা। জেলা প্রশাসক বলেন— আমরা দেখেছি, ১৬ জুলাই যেদিন আবু সাঈদ শহীদ হলেন— সেদিন আন্দোলনে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্রীদের ওপর পেটুয়াবাহিনী ও টোকাইরা এবং নামধারী ছাত্র সংগঠন (নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ) ন্যক্কারজনক হামলা চালায়, তখন জুলাই আন্দোলন আরো বেগবান হয়। জুলাই আন্দোলনে জুলাইকন্যাদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। সেই কন্যাদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থাতা কামনা করি। মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যারা নিহত হয়েছেন, তাদেরও আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। জেলা প্রশাসক আরো বলেন— সমাজসেবা কার্যালয় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে যেসব সেবা দেয়া হয় তা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে এই আয়োজন করার আরেকটি কারণ। আপনারা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় যোগাযোগ করে যারা প্রকৃতই সেবা পাওয়ার যোগ্য, তারা আবেদন করবেন। এখানে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হবে না। যদি কেউ করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা সেগুলোর তদন্ত করছি। উপকারভোগীদের যাচাই-বাছাই চলছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব দ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক সাহিদা আখতার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতা আব্দুর রাহিম। সূচনা বক্তব্য দেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম। ভোলাহাট : ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, জুলাই চেতনাধারী তরুণ-তরুণীরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নাসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন— উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন— উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুব হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী, দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু। গোমস্তাপুর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১০টায় উপজেলা সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সামাজিক নিরাপত্তা, নারী ও শিশুর সুরক্ষা এবং সাম্যতার মানবিক দর্শন বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার দাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ফিল্ড সুপারভাইজার সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল শপথ গ্রহণ শেষে অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন— পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম, প্রসাদপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই সিদ্দিকী কামাল, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক শিক্ষক আবু মাসুদ, জুলাই যোদ্ধা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেল আলী, জুলাই যোদ্ধা মোত্তাকিম, জুলাইকন্যা উম্মে হাবিবা হিমা। আলোচনা শেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে স্বস্তি পেতে যাচ্ছে এলাকাবাসী

দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে স্বস্তি পেতে যাচ্ছে এলাকাবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার মেডিকেল মোড় হয়ে বজরাটেক গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হতো। এই দৃশ্য দীর্ঘদিনের। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ মেনে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েন স্কুলের শিক্ষার্থী ও রোগীরা। আবার রিকশায় যাতায়াত করলে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা। জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তার পাশ দিয়ে কোটি টাকার ড্রেন নির্মাণ করা হলেও তা কাজে আসেনি। এলাকাবাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি। চল্লিশ দিন কর্মসূচির আওতায় কিছু কাজ করা হলেও সুফল পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি মো. মনিরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ভোলাহাটে যোগদান করার পরই জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি তার নজরে আসে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগও নেন তিনি। দৃশ্য। গত ১৫ জুলাই থেকে ড্রেনটি সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, ড্রেনটি সংস্কার হলেই জলাবদ্ধতা দূর হবে। ভুক্তভোগী এলাকার জহুরুল ইসলাম জানান, পুরো ড্রেন পরিষ্কার হওয়ার আগেই জলাবদ্ধতা দূর হতে শুরু করেছে। পুরোটা সংস্কার হলে জলাবদ্ধতা সম্পূর্ণ দূর হবে বলে মনে করেন তিনি। মেডিকেলে মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমত। দোকানে ক্রেতাদের আসতে সমস্যা হতো। ইউএনও স্যারের উদ্যোগে ড্রেন পরিষ্কার শুরু হওয়ার পরই আমরা একটু স্বস্তি পাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভোলাহাটে যোগদানের পর স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি আমার নজরে আসে। দেরি না করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ শুরু করি। তিনি বলেন, আমি চাই জনগণ যেন স্বচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে এবং তাদের ন্যায্য নাগরিক সুবিধা পায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত  চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস  বুধবার পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা উপজেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। জুলাই আন্দোলনের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীদের চোখ ছলছল করে ওঠে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ : নিজস্ব প্রতিবেদক : সকালে ‘জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। আব্দুস সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন সফল হয়। তাদের জন্য আমাদের করণীয় আছে। আর তা হলো, জুলাই শহীদরা যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।” জেলা প্রশাসক ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন— আপনারা তো কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলন সংগ্রাম করেননি। আপনারা চেয়েছিলেন, একটি বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। আমরা যারা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি, তারা চেষ্টা করছি আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণের। আপনাদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়, আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সেজন্য আমাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন— পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামলি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এমরান হোসেনসহ অন্যরা। জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য দেন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সাব্বির আহমেদ, আকিব মিঞা, মাহাদি ইসলাম, রাউফুল সিয়াম রাজ ও জুলাই আহত তাহমিদুল হাসান। জুলাই যোদ্ধারা চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য দেন— ডাবলু কুমার ঘোষ, ফয়সাল আজম অপু ও সেলিম রেজা। ছাত্রদলের স্মরণ সভা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। বুধবার বিকেলে স্মরণসভার মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করা হয়। নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউসুফ রাজা ও সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাজিব ওয়াদুদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাকিবসহ অন্য নেতৃবন্দ। বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন এবং ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। অন্যদিকে আমাদের ভোলাহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা মডেল মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। সভায় বক্তব্য দেন— আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুম, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াসিম আকরাম, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম, আন্দোলনে নিহত শহীদ তারেকের বাবা আসাদুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ছাত্রদের মধ্যে নাজমুল হক নাজিম ও হিজবুল্লাহ। আলোচনা সভা শেষে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

ভোলাহাটের সেই রোমানের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন

ভোলাহাটের সেই রোমানের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে অটোরিকশা চালিয়ে বাবার চিকিৎসা ও সংসারের খরচ যুগিয়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া রোমান আলীর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। তাকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষা সহায়তার চেক তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শিক্ষা খরচ বাবদ তাৎক্ষণিক সহায়তা তুলে দেন এবং ভবিষ্যতে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় উপজেলার মুশরীভূজা গ্রামের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী মো. নিয়ামত আলীকেও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গৌড় বাংলায় রোমান আলীর জীবনসংগ্রাম ও কৃতিত্ব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামানের নজরে এলে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অবহিত করে। পরে জেলা প্রশাসক এই উদ্যোগ নেন। উল্লেখ্য, ভোলাহাট উপজেলার তাঁতীপাড়া গ্রামের রোমান আলী বজরাটেক সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই বাবার অসুস্থতা, সংসারের অভাব-অনটনের মধ্যেও রোমান অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানের পড়ালেখার জন্য আর্থিকভাবে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

অটোরিকশা চালিয়ে পরিবার চালানো রোমান পেলেন জিপিএ-৫

অটোরিকশা চালিয়ে পরিবার চালানো রোমান পেলেন জিপিএ-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার রোমান আলী শিশুবয়সেই ধরেছিলেন সংসারের হাল। পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। পরিশ্রমের ফসলও পেয়েছেন তিনি। চলতি বছর এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। রোমান উপজেলার বজরাটেক সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। রোমানের বাড়ি উপজেলার তাঁতিপাড়ায়। বাবা তোফাজ্জল হক অসুস্থ, শয্যাশায়ী। ২০১৩ সালে নিমগাছের ডাল ভাঙতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে যায়। পরে একটি কিডনিও বিকল হয়ে পড়ে। রোমান তখন নিতান্তই শিশু। কয়েক বছর টেনেটুনে সংসার চললেও প্রাথমিকে পড়ার সময়ই রোমানকে নেমে পড়তে হয় জীবনযুদ্ধে। সংসারের খরচ আর বাবার ওষুধের খরচ জোগাতে অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়। পরিশ্রম বেশি হলেও হাসিমুখে তা সয়ে গেছেন। পাশাপাশি পড়াশোনাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেন। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে রোমান ভর্তি হন বজরাটেক সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে অংশ নেন চলতি বছরের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায়। ভাগ্য তাকে নিরাশ করেনি। কঠোর পরিশ্রমের পারিশ্রমিক হিসেবেই সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। রোমান আলী জানান, শিশু বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হওয়ায় তার জীবনে হতাশা নেমে এসেছিল। তবে হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। মনের মধ্যে পণ করেছিলেন, যতই কষ্ট হউক, পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। রোমান বলেন, পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন ভাড়া মারার জন্য। উপার্জিত আয় দিয়ে বাবার ওষুধ কেনার পর যা থাকত তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলত। তিনি বলেন, অটোরিকশা চালাতে গিয়ে শিক্ষক, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের দেখে প্রথম দিকে লজ্জা লাগছিল। তবে থেমে যাইনি। লক্ষ্য ছিল, যেভাবেই হোক সংসার এবং বাবার ওষুদের টাকা জোগাড় করতে হবে। পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে হবে। তাই স্কুল করে অটোরিকশা চালানোর পর যেটুকু সময় পেতাম, সেটুকু সময় পড়াশোনার জন্য ব্যয় করতাম। আগামীতে রোমানের লক্ষ্য, উচ্চ শিক্ষা অর্জনের। তবে বাধা দীনতা। আপাতত লক্ষ্য, এইচএসসির গণ্ডি পার করা। আর এইচএসসি পড়াশোনার খরচ চালানোর দুশ্চিন্তায় তিনি। এক্ষেত্রে কারো সহায়তা নিতেও আপত্তি নেই তার। কথা হয় রোমানের চাচা জহরুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, ছোট ভাই তোফাজ্জলের ২০১৩ সাল থেকে চিকিৎসা চলছে। কোনোভাবে বেঁচে আছে সে। এখন ভাতিজা রোমানই রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে রাতে যতটুকু সময় পেয়েছে, সেই সময়টুকু মন দিয়ে পড়েছে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ভালো রেজাল্ট করেছে সে। তিনি বলেন, কেউ যদি পাশে দাঁড়ায়, তাহলে ছেলেটা উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। রোমানের মা রুনা বেগম বলেন, পড়াশোনার তেমন সুযোগ ছিল না। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অভাবের সংসারের জন্য অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতো। যেটুকু সময় পেত, পড়াশোনা করত। রোমানের বাবা বলেন, দেশের অনেক জায়গায় চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছি। পরে একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কাজকর্মও করতে পারি না। তিনি বলেন, ছেলে ভালো রেজাল্ট করার পরও তাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারব কিনা, সেই দুশ্চিন্তায় আছি। এমনিতেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। তার ওপর রোমানের লেখাপড়ার খরচ। তাই একমাত্র সন্তানের আগামী দিনের শিক্ষা অর্জনের জন্য মানুষের পাশাপাশি সরকারিভাবে সহযোগিতা কামনা করেন বাবা তোফাজ্জল।

ভোলাহাটে প্রকৃত ভিডব্লিউবি উপকারভোগীদের তালিকা প্রকাশ

ভোলাহাটে প্রকৃত ভিডব্লিউবি উপকারভোগীদের তালিকা প্রকাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কর্মসূচির উপকারভোগীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের হাতে এই তালিকা হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান। প্রকৃত উপকারভোগীদের খুঁজে বের করতে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দফায় দফায় যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে নিজ নিজ কার্যালয়ে নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে রাখতে এই তালিকা হস্তান্তর করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে, নির্বাচিতদের নামের তালিকা ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি প্রকাশিত তালিকায় কোনো সচ্ছল, স্বাবলম্বী কিংবা অনুপযুক্ত ব্যক্তি অনুপ্রবেশ করে থাকেন তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দাখিলের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান জানান, সরকারের এই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল যেন প্রকৃত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীরা পান সেজন্যই এমন খোলামেলা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালিকা প্রকাশ এবং আপত্তি গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

ভোলাহাটে ৯৭০ জনের মাঝে বিনামূল্য কৃষি উপকরণ বিতরণ ভোলাহাটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান। এসময় প্রত্যেক কৃষককে বিঘা প্রতি ৫ কেজি করে আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ও সূচনা বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহজালাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আজমির শেখ, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ হুমায়ন কবির ও আরডিও সবুজ আলী। এ সময় উপজেলার মোট ৯’শ ৭০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এ সব উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

ভোলাহাটে কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

ভোলাহাটে কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্কাউট, প্রোগ্রাম বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে বাংলাদেশ স্কাউট ভোলাহাট উপজেলা শাখার আয়োজনে রামেশ্বর পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্কাউট ভোলাহাট উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুনমুন সুলতানা, সহকারী শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির, রামেশ্বর পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী, কাব লিডার কামরুল হাসান বকুল, স্কাউটস লিডার আব্দুর রাকিবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।