ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলার ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারি সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ঠেলে দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, জেলার ভোলাহাট উপজেলার হোসেনভিটা চাঁনশিকারী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ১৯৯ এর নিকট দিয়ে ৪ জন নারী ও ৪জন পুরুষ অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। পরবর্তীতে চাঁনশিকারী বিওপি’র টহলদল তাদেরকে আন্তর্জাতিক সীমারেখার শূন্য লাইনে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শেখালীপুর গ্রামের মো. গোলাবের ছেলে মো. ফায়েক (২৮), খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার ডোমরা গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মো. আজিম সরদার (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার বেলদহী গ্রামের মো. শফির উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৪৪), রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার চকমুক্তাপুর গ্রামের তোফাজ্জেলের ছেলে মো. মোফাজ্জেল হোসেন (৩৫), তানোর থানার হরিদেবপুর গ্রামের গোবরধন দাসের স্ত্রী দুখী দাস (৫৫), খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার ডোমরা গ্রামের আজিম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মিম খাতুন (১৯), নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার কাঞ্চনরানীপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের মেয়ে মোছা. রত্না আক্তার নুপুর (২২), বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার পিছি বারইখালী গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী মোছা. নাদিরা খাতুন (৩৭)। লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া আরো বলেন-আটককৃত ব্যক্তিরা ২০১৭ সাল হতে ২০২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। পরবর্তীতে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য তাদেরকে ভারতীয় পুলিশ বিভিন্ন সময় আটক করে এবং তারা ভারতের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীয় জেলে আটক অবস্থায় ছিল। আটককৃত ব্যক্তিদেরকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য স্থানীয় ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ভোলাহাটে কর্মমুখর সময় কাটালেন জেলা প্রশাসক

ভোলাহাটে কর্মমুখর সময় কাটালেন জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। বৃহস্পতিবার তিনি উপজেলার পীরগাছি কমিউনিটি ক্লিনিক, ভোলাহাট থানা, তেলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেকজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস, ভবানীপুরে মরুর ফসল সাম্মামের ক্ষেত, বজরাটেক শাহী জামে মসজিদের ঈদগাহের মাঠ ভরাটসহ মেহেরাব ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢেউটিন ও কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের হ্যান্ড স্প্রেয়ার মেশিন বিতরণ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলীসহ অন্যরা। সাম্মাম ফসল পরিদর্শন শেষে ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ভোলাহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা নির্বাহী অফিসারা মো. মনিরুজ্জামান। সূচনা বক্তব্য দেন— উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী।
ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন : শুরু হয়েছে পরিপক্ব আম বেচাকেনা

ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন : শুরু হয়েছে পরিপক্ব আম বেচাকেনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে আম ফাউন্ডেশনে পরিপক্ব বেচাকেনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আম ফাউন্ডেশন চত্বরে এর উদ্বোধন করেন আম ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান। তথ্যানুযায়ী, এবছর ভোলাহাটে ৩ হাজার ৬৩৪ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম। এবার আড়াইশ থেকে ৩০০ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. মুনসুর আলীর সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন— উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী, ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম, জামবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আফাজ উদ্দিন পানু মিয়া, আম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মাহতাব উদ্দিন, আম ফাউন্ডেশনের সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনসহ অন্যরা। এ সময় আম ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, আমবাগান মালিক, আড়তদার, আম ক্রেতা ও বিক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের সারাদেশে একটি সুনাম আছে। এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কেউ যদি অসাধু উপায়ে কোনো অপতৎপরতায় লিপ্ত হয় কিংবা ফাউন্ডেশনে অনৈতিক কার্যকলাপ বা মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তবে তার বিরুদ্ধে ফাউন্ডেশন ও উপজেলা প্রশাসন কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনদিনের ভূমি মেলার উদ্বোধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনদিনের ভূমি মেলার উদ্বোধন নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি-নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি-এই প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনদিনের ভূমি মেলা-উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এউপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে ভূমি সেবা সম্পর্কে অবহিত করা। কারণ, ভূমির সঙ্গে আমাদের সকলের নাড়ির সম্পর্ক। তিনি বেলন-সরকার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বিষয়টি অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা ইচ্ছে করলে ঘরে বসেই অথবা কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে একটি আইডি খুলে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। নামজারীর বিষয়টিও অনলাইনে করা হচ্ছে। অনলাইনের বিষটি যত দ্রুত সাধারণ জনগণ জানতে পারবেন বুঝতে পারবেন ততদ্রুতই জনদুর্ভোগ কমাতে পারব। জেলা প্রশাসক বলেন- আমাদের ভূমি অফিস, থানা পুলিশ, বিআরটিএ, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, পৌরসভা অর্থাৎ যেখানে প্রত্যক্ষ সেবা দেয়া হয় ইে সব জায়গাগুলো নিয়ে জনসাধারণের যে পর্যবেক্ষণ তা সুখকর নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন- আমাদের ভূমি অফিসগুলোকে আমরা মডেল ভূমি হিসেবে রূপান্তর করতে চাই। জনসেবার জন্য জন প্রশাসন এই কথাটি যেন স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থাকে। ভূমি অফিস হবে জনবান্ধব। অনেক মানুষ আছেন যারা লেখাপড়া জানেন না। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অফিস হবে জনবন্ধব, দুর্নীতি ও হয়রাণীমুক্ত সেবামূলক অফিস। তাহলেই এই মেলার স্বার্থকতা আসবে, জনসাধারণ সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সেবা পাবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইকতেখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মুস্তাফীজুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন। সূচনা বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানা। পরে চারজন সেবাগ্রহীতকাকে ডিসিআর, একজনকে খাতিয়ান ও তিনজনকে ভূমি অধিগ্রহণের চেক প্রদান করা হয়। মেলায় সাবরেজিস্ট্রে অফিস, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা, রেকর্ডরুম শাখা, উপজেলা ভূমি অফিস ও পৌর ভূমি অফিসের স্টলে ভূমি সেবা ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনসহ ভূমি বিষয়ক তথ্যাবলি উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং ই-নামজারীসহ অন্যান্যা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস এই মেলার আয়োজন করেছে। নাচোল : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে ভুমি মালিকদের সেবা দ্রুততম সময়ে প্রদানের লক্ষ্যে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ভূমি মেলায় উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সেবা গ্রহিতাদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে রেলস্টেশন-নাচোল বাসস্ট্যান্ড রোড প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে সেবা বুথের সামনে শেষ হয়। সেখানে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চার ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী, সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। শিবগঞ্জ : শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফেসের আয়োজনে তিনদিনের ভূমি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেরার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলী। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌফিক আজিজের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মুসাব্বির হোসেন খান ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. শাহীন আকতার, দূর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আজম, বীরমুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ সনু, শিবগঞ্জ বণিক সমিতির সভাপতি ইউসুফ আলী, ছাত্র প্রতিনিধি শাহাদাত ও আল বশরী সোহান। এছাড়া র্যালি বের করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভূমি কুইজ, গণশুনানিসহ মেলায় আগত সেবাগ্রহীতাগণকে ভূমি বিষয়ক নানাবিধ পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়। মেলায় ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ফি দ্বারা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, আবেদনপত্র দাখিল, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধসহ অন্যান্য ভূমিসেবা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গোমস্তাপুর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে দশটায় উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ফিতা কেটে এই মেলার উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। পরে ভূমি কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ওই এলাকার সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রহনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবু তাহের টিটু, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী জুয়েল আলীসহ ওই অফিসের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতারা। উল্লখ্য, ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও সেবার জন্য কার্যালয় চত্বরে ৪ টি স্টল অংশ নিচ্ছে। ভোলাহাট : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী, সমবায় কর্মকর্তা মো. সবুজ আলী, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম কবিরাজসহ অন্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমি মেলা-২০২৫ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমি মেলা-২০২৫ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে আগামীকাল ভূমি মেলা-২০২৫ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন- আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম একটি ক্ষেত্র জনবান্ধব ভূমিসেবা জনসাধারণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ভূমি সংক্রান্ত সেবাসমূহ অটোমেশনের মাধ্যমে জনগণের নিকট পৌছানোর লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ সকল কার্যক্রম সর্বসাধারণের মাঝে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা আবশ্যক। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার আগামী ২৫-২৭ মে ২০২৫ তিনদিনব্যাপী দেশজুড়ে ভূমি মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে ভূমি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও রাজস্ব সার্কেল/ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সাথে সমন্বয় করে মেলাটি তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসক বলেন-অনুষ্ঠিতব্য ভূমি মেলায় সেবা গ্রহীতাদের নিম্নবর্ণিত সেবা প্রদানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হবে। ১. অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান এর জন্য রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কর সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে এ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার করা এবং জনসাধারনকে ভূমি বিষয়ে সচেতন করা হবে। ২. ই-নামজারির আবেদন গ্রহণ। ৩. নিষ্পত্তিকৃত এলএ কেইসের ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান। ৪. অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা সরবরাহ। ৫ অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ডাক বিভাগের মাধ্যমে সরবরাহ করা। ৬.মাঠ পর্যায়ে চলমান জরিপ কার্যক্রম বিষয়ে গনশুনানি, আপত্তি/আপিল দাখিল ও নিষ্পত্তির কার্যক্রম গ্রহণ ও রেকর্ড হস্তান্তরসহ ইত্যাদি সকল সেবা জনসাধারণের মাঝে পৌঁছে দেয়া। ৭. এছাড়াও সেবা গ্রহীতাদের সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব সরাসরি উত্তর প্রদানের জন্য সেবা বুথে একজন কর্মকর্তা সর্বদা নিয়োজিত রাখা হবে। আব্দুস সামাদ বলেন- সাধারণ নাগরিকগণকে সচেতন করার লক্ষে ভূমি মেলা-২০২৫ উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয় হতে সরবরাহকৃত ভূমিসেবা বিষয়ে সহজপাঠ্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘ভূমি আমার ঠিকানা’ নামক বুকলেট নাগরিকের নিকট পৌঁছানো হবে। জেলা প্রশাসক এ জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে একযোগে আয়োজিত ভূমি মেলা-২০২৫ উপলক্ষে ভোলাহাট উপজেলায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবারমডেল মসজিদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনের করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ভূমি মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের দোরগোড়ায় ভূমি সেবাসমূহ ডিজিটাল মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত প্রচার, ই-নামজারির আবেদন গ্রহণ, ভূমি সেবা স্টল, ছাত্রদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, সেবা প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ, রেকর্ড ও সমাধানের ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক সেবাবুথে কর্মকর্তার উপস্থিতি, ভূমি সেবা সংক্রান্ত লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ, বেসরকারি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের বুথ অংশ নিবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ভূমি মেলা উপজেলা পর্যায়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভূমি সেবার স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে। তিনি সবাইকে ভূমি মেলায় উপস্থিত থেকে সেবা গ্রহণ এবং ভূমি বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। প্রেস ব্রিফিং-এ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলাহাটে গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভোলাহাটে গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ভোলাহাট উপজেলা থেকে সুলতানা রাজিয়া নামে এক গৃহবধুর গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে খবর পাবার পর সন্ধ্যায় গোহালবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের খালে আলমপুর গ্রামে গৃহবধুর বাবার বাড়ির একটি কক্ষের ছাদের বাঁশের তীরের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মাফিজুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রাধানগর বজরাটেক গ্রামের ইদারুল ইসলামের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার দুই শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসেন সুলতানা। বুধবার দুপুরের দিকে তিনি বাড়ির সকলের অগোচরে গলায় ফাঁস দেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ভেতর থেকে আটকানো দরজা ভে্েঙ্গ মরদেহ উদ্ধার করে। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী বলেন, খবর পেয়ে তিনি ওই বাড়ি যান। দাম্পত্য কলহ থেকে সুলতানা আত্মহত্যা করেছেন বলে শোনা গেছে। মৃত্যুর পূর্বে তিনি স্বামী ও শসুড় বাড়ির লোকজনকে দায়ী করে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখে রেখে যান বলেও শোনা গেছে। ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে সুলতানা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর পূর্বে স্বামী ও শসুড় বাড়ির লোকজনকে দায়ী করে চিঠি লিখে যাবার ব্যাপারে ওসি বলেন, এমনটি শোনা গেছে। তবে এখনও ওই চিঠি উদ্ধার হয় নি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।
ভোলাহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ভোলাহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ ভোলাহাট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুর” হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনির”জ্জামান। এতে প্রশিক্ষক ছিলেন, অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন ও গ্রাম আদালতের উপজেলা সমন্বয়কারি সন্ধ্যা রানীসহ অন্যরা। প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা আরো কার্যকর করার জন্য সংশি¬ষ্টদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।
রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী চারটি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালানো সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারককলিপি প্রদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘন্টারও বেশি সময়ের মানববন্ধনে আয়োজকরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ^াস না দিলে আগামী ১৪ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে ‘বনলতা’ ট্রেন অবরোধের কর্মসূচী দেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা সুজন সভাপতি আসলাম কবীর, সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ ইসাহাক, জেলা চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ,শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন ও মাহফুজ রায়হান,জেলা বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলন আহব্বায়ক আব্দুর রাহিম,নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহব্বায়ক আবু হেনা বাবলু, প্রবীন হিতৈষী সংঘের আফসার আলী,মর্ডান মাকেট কমিটি সভাপতি গোলাম মোস্তফা,জেলা কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সম্পাদক বাবুল আখতার,জেলা পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ,জেলা চা দোকান মালিক সমিতি সভাপতি কামরুজ্জমান মুক্তা,সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোখলেসুর রহমান,জেলা যুবদলের সাবেক সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ অনেকে। বক্তরা বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে ৫টি আন্ত:নগর ট্রেন চললেও শুধু ‘বনলতা’ রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলে। অথচ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন থেকে সকল ট্রেনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালাানোর দাবিতে আন্দোলন করছে। অথচ দাবিটি পূরণ না হওয়ায় ২৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার জেলাবাসীকে বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আম সহ বিভিন্ন দিকে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার জেলাবাসী নিরাপদ আধুনিক যোগাযোগ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবন্ধন শেষে জেলা প্রসাসকের মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা ও সচিব এবং সড়ক উপদেষ্টা ও সচিবকে স্¥রকলিপি দেয়া হয়। ৮দফার অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডবল লাইন নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম আধুনিকায়ন, জেলার রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক ষ্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর ঘোষণা,সকল আন্ত:নগর ট্রেনের জন্য রহনপুর পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু, সদর উপজেলার আমনুরা বাইপাস ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি রাখা, আমনুরাকে আধুনিক জংশনে রুপান্তর এবং ঢাকা থেকে নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হয়ে জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নত করা।
ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতির মেয়ে ‘জামাইয়ের’ মৃত্যু

ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতির মেয়ে ‘জামাইয়ের’ মৃত্যু ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক ভোলাহাট সংবাদের সম্পাদক গোলাম কবিরের ছোট মেয়ে জামাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হোসাইন আর নেই। তিনি আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল¬াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন বছরের একটি শিশু সন্তান, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়িসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর দাফন আজ রাত ৯টায় ঘোড়াদহ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সম্পন্ন হবে। সাব্বির হোসাইন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামের বিল¬াল খানের সন্তান। তিনি ভোলাহাট উপজেলার সাংবাদিক গোলাম কবিরের ছোট মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখী সংসার করছিলেন। গত ২২ এপ্রিল ঢাকার শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে তাঁর ব্রেইন টিউমারের অপারেশন করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বস ত্যাগ করেন। তাঁর বিদেহী আতœার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে দোয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মরহুমরে শ্বশুর গোলাম কবির, মহান আল¬াহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। সাব্বির হোসাইনের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।
গোমস্তাপুর-নাচোলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আম-বোরো ধান ও সবজির ক্ষতি

গোমস্তাপুর-নাচোলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আম-বোরো ধান ও সবজির ক্ষতি গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলাও পড়েছে। এতে কোনো কোনো এলাকায় আম, বোরো ধান ও সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। এতে জেলার ৪৫ হাজার ৬৮০ হেক্টর বোরো ধানের মধ্যে ১৭৫ হেক্টর আক্রান্ত হয়। তবে সবমিলিয়ে ১৮ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হবে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। কৃষি অফিস আরো জানায়, আমবাগান আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হেক্টর। তবে সবমিলিয়ে ৭ থেকে ৮ হেক্টর বাগানের আম নষ্ট হতে পারে। এছাড়া সবজি নষ্ট হয়েছে ২০ হেক্টর জমির। এদিকে আমাদের গোমস্তাপুর প্রতিনিধি আল মামুন বিশ্বাস জানিয়েছেন, গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, আমসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে ওই এলাকার পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে চাষিদের স্বপ্ন মুহূর্তেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, শিলার আঘাতে ধান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকা ধানের শিষ থেকে ধান ঝরে পড়ে গেছে মাঠজুড়ে। এছাড়া আম ও লিচু গাছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পার্বতীপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান নামে এক কৃষক জানান, দুপুরের পর থেকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়। প্রথম দিকে হালকা বাতাস শুরু হয়; কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ব্যাপক ঝড়। এর সাথে শিলাবৃষ্টি। এতে আমাদের গাছপালাসহ ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের ফিরোজ নামের এক কৃষক জানান, অনেকের পাকা ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আবার অনেকের পাকা ধান এখনো কাটা হয়নি। আমারও কিছু ধান কাটা বাকি রয়েছে আজ (গত বৃহস্পতিবার) হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে ধান ঝরে কাদা ও পানিযুক্ত জমিতে পড়ে গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সোহেল হোসেন নামে আরেক কৃষক জানান, তার দুই বিঘা জমিতে কিছুদিন আগে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে বিক্রি শুরু করেছিলেন। এই শিলাবৃষ্টিতে তার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। আমচাষি ফয়সাল কবির জানান, তার বাগানে শতাধিক গাছের আম ঝরে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, মাত্র কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি হবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াশিন আলী এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবার গড় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ মিলিমিটার। এর মধ্যে সদর উপজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ মিলিমিটার। এছাড়া শিবগঞ্জে ১০ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ৫ মিলিমিটার, নাচোলে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভোলাহাটে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তিনি জানান, বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর, নাচোল উপজেলার কসবা, নাচোল ও নেজামপুর ইউনিয়নের পাকা বোরো ধান, আম ও সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আক্রান্ত্র এলাকায় কিছু আমে দাগ ধরতে পারে। তবে সবমিলিয়ে এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। কারণ এই বৃষ্টির ফলে আমের আকার ও ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।