ট্রাম্পের শুল্কনীতি আটকে দিল মার্কিন আদালত

ট্রাম্পের শুল্কনীতি আটকে দিল মার্কিন আদালত দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর বিভিন্ন দেশের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই পদক্ষেপ আটকে দিয়েছে মার্কিন এক আদালত। আদালতের এই রায়কে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের রায়, যে জরুরি আইনের অজুহাত দেখিয়ে হোয়াইট হাউস এই শুল্ক আরোপ করেছে, সেই আইন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একচেটিয়াভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে শুল্ক বসানোর এখতিয়ার দেয় না। ম্যানহাটন-ভিত্তিক এই আদালত আরও বলে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের একচেটিয়া ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্টের হাতে যে ক্ষমতা, কংগ্রেসের ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি। চীন, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ট্রাম্প প্রশাসন পৃথকভাবে যে শুল্ক আরোপ করেছিল, সেগুলোও স্থগিত করে আদালত। তখন হোয়াইট হাউস বলে, অগ্রহণযোগ্য মাদক প্রবাহ ও অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোই এই শুল্ক আরোপের প্রধান কারণ। এদিকে, আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আদালতের এই রায়ের পর হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কুশ দেশাই এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো জাতীয় জরুরি অবস্থা কীভাবে যথাযথভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নির্ধারণ করা অনির্বাচিত বিচারকদের কাজ নয়। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আর ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিটি নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সমস্ত সংকট মোকাবিলা ও আমেরিকান মহত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে সাতটি মামলা চলছে। আর এগুলো করেছে ১৩টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য এবং আরও অনেক ছোট ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। গত ২ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর থেকে বিশ্ববাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি দেখা দেয়। যদিও এরপর ওই ঘোষণা পুনর্বিবেচনা করা হয়। এবং, কিছু শর্ত তুলে নিয়ে অন্যান্য দেশের সাথে দর কষাকষিও করে হোয়াইট হাউস। মার্কিন শেয়ার বাজারেও এই রায়ের প্রভাব পড়েছে। ইয়েন ও সুইস ফ্রাঁ’র মতো মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে।
আগামী ১৭ জুন টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ম্যাথিউস

আগামী ১৭ জুন টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ম্যাথিউস টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগামী ১৭ জুন গলেতে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে ১৬ বছরের দীর্ঘ পথচলা শেষ করবেন তিনি। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক আবেগঘন বার্তায় ম্যাথিউস লেখেন, শ্রীলঙ্কার হয়ে গত ১৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলা আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ও গর্বের বিষয়। আমি ক্রিকেটকে সবকিছু দিয়েছি, বিনিময়ে ক্রিকেট আমাকে আজ এই পর্যন্ত আসার সুযোগ করে দিয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জানান, টেস্ট থেকে অবসর নিলেও দেশের প্রয়োজন হলে সাদা বলের ক্রিকেটে এখনও তাকে পাওয়া যাবে। টেস্ট ক্যারিয়ারে ম্যাথিউস খেলেছেন ১১৮টি ম্যাচ। ব্যাট হাতে তার রান ৮ হাজার ১৬৭, গড় ৪৪ দশমিক ৬২। সেঞ্চুরি ১৬টি, ফিফটি ৪৫টি। টেস্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে তার চেয়ে বেশি রান আছে শুধু কুমার সাঙ্গাকারা (১২,৪০০) ও মাহেলা জয়াবর্ধনের (১১,৮১৪)। ২০০৯ সালে অভিষেক হয়েছিল ম্যাথিউস শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত।
শিবগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত
শিবগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত “মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’’ এই প্রতিপাদ্যে- শিবগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহার আলী। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, মমতাজ বেগম, শিবগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক হারুন-অর-রশিদ টুকু ও শিবগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জোব্দুল হকসহ অন্যরা। শেষে পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই গ্রামে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই গ্রামে ঈদ উদযাপন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার দু’টি গ্রামের কিছু পরিবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন পূর্বেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আজ সকাল সোয়া ৮টায় সদর উপজেলার দেবিনগর ইউনিয়নের মমিনটোলা গ্রামের একটি আমবাগান সংলগ্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের জন্য সামিয়ানা টেঙ্গে পর্দা করে পৃথক ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিস্ট ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কালম আজাদ। এদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ছিয়াত্তরবিঘী গ্রামেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। আজ সকাল সোয়া ৮টায় আনুমানিক ১২৫ জন গ্রামবাসী ঈদের জামাতে অংশ নেন। শিবগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক খলিল উদ্দিন জানান, নামাজে ইমামতি করেন গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে আসা মাওলানা ফজলুল হক। কয়েক বছর যাবৎ একই স্থানে একই ইমামের তত্বাবধানে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আজহা’র নামাজ আদায় ও ঈদ পালন করা হচ্ছে।
গোমস্তাপুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা

গোমস্তাপুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র রহনপুরে ভিশন স্কুলের আযোজনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। এই উপলক্ষে একটি র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে স্কুলচত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি রহনপুর পুরাতন বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ করে। পরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আসমা খাতুন, রহনপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সাবিনা ইয়াসমিন ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তরিকুল ইসলাম বকুল। আলোচনা শেষে স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
চিটাগাংয়ের কাছে হারলো রংপুর

চিটাগাংয়ের কাছে হারলো রংপুর রংপুর রাইডার্সের ব্যাটাররা পারলেন না তেমন সুবিধা করতে। অনেকটা একাই লড়লেন ইফতেখার আহমেদ। ওই রান তাড়ায় নেমে শুরুতে সুবিধা করতে না পারলেও পরে হায়দার আলির ঝড়ে সহজ জয় পেয়েছে চিটাগাং। রান পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমনও।বুধবার বিপিএলের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে রংপুর। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ১৪ বল আগেই জয় পায় চিটাগাং। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। দলটির পক্ষে অনেকটা একাই লড়েন ইফতেখার আহমেদ। এই ব্যাটার শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৬৫ রান করেন। এর বাইরে সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২৩ ও মাহেদী হাসান ২০ বলে করেন ২২ রান। চিটাগাং কিংসের হয়ে ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও শামীম হোসেন। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে কিছুটা বিপদে পড়েছিল চিটাগাংও। ২৯ রানে তারা দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। তবে শেষদিকে হায়দার আলির ১৮ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৮ রানের ঝড়ে সহজ জয় পায় তারা। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে চিটাগাংয়ের হয়ে ৪৩ বলে ৪১ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন।
ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা

ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এর মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। চুক্তিটি কার্যকর হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির খবরে গাজাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এলেও নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না তারা। তাদের শঙ্কা, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টায় গাজায় তীব্র হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর মিশ্র অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন গাজাবাসীরা। একদিকে যুদ্ধবিরতির স্বস্তি, অন্যদিকে হামলা জোরদারের শঙ্কা। তার ওপরে তো স্বজন হারানো শোক রয়েছেই। গাজার বাসিন্দাদের শঙ্কা, চুক্তিটি আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে- এর অর্থ হলো এখনও ৭২ ঘণ্টা সময় আছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা আরো জোরদার হতে পারে। ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পারছেন যে চুক্তিটি আগামী রবিবার কার্যকর হবে। এর অর্থ হল আমাদের কাছে এখনও ৭২ ঘন্টা আছে যা … বিমান হামলা এবং উত্তেজনায় পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং কাতারি কর্মকর্তারা চুক্তিটি ঘোষণা করার পর আজ সকালে এটি শুরু হয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরেও তারা আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দেখেছে; যা মাটিতে থাকা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। বেসামরিক লোকেরা এখনও উপত্যকায় হামলার মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে ভীত হয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। গত ২৪ ঘন্টায়, গাজায় আবাসিক ভবন ও বেসামরিক সমাবেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেসামরিক বাসিন্দারা খোলা জায়গায় বা যেকোনো ধরনের বিপদের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় থাকা এড়িয়ে নিরাপদ থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এদিকে হামাস কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া বলেছেন, “ফিলিস্তিনিরা মনে রাখবে কারা তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে, কারা গণমাধ্যমে নৃশংসতার ন্যায্যতা প্রমাণ করেছে এবং কারা তাদের ঘরবাড়িতে বোমা ফেলেছে।” বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, “ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং তার সমর্থকরা ৪৬৭ দিন ধরে যে বর্বর যুদ্ধ চালিয়েছে … তা আমাদের জনগণ এবং বিশ্বের স্মৃতিতে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ গণহত্যা হিসেবে চিরকাল খোদাই করা থাকবে।”
দিল্লিতে ৪৬ বাংলাদেশি আটক

দিল্লিতে ৪৬ বাংলাদেশি আটক দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শনাক্তকরণ ও ফেরত পাঠাতে দুই মাসব্যাপী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই অভিযানে গত ১০ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত ও নির্বাসনের জন্য দুই মাসের অভিযানের অংশ হিসাবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটক ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্য ১০ জন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে বসবাস করছিলেন। এরই মধ্যে আটক ৪৬ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিবাসীবিষয়ক সংস্থা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। আটক এক বাংলাদেশির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। তার সম্পর্কে দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুরেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “ঢাকার জাহাঙ্গীর শেখ এবং পারিনা বেগম দম্পতি বন পাড়ি দিয়ে ভারতে ঢুকে। সেখান থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে দিল্লিতে ঢুকে পড়ে। এরপর দিল্লিতে স্থায়ী হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান স্ত্রী-সন্তানদের আনতে। তারা তাদের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট করে নয়াদিল্লির রঙ্গপুরিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।” গত শনিবার অপর এক অভিযানে ফতেপুর বেরির আরজান গড় মেট্রো স্টেশনের কাছে সাত বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে পাঁচজন নারী। দক্ষিণ জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অঙ্কিত চৌহান বলেন, “আটক সবাইকেই এফআরআরওর কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।” দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা ১০ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ ও সরকারকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই অভিযানের সময় ১৬ হাজার ৬৪৫ জনকে যাচাই করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৭৪৮ জনের নথি বৈধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ৮৫১ জনের নথি এখনো যাচাই প্রক্রিয়াধীন।
১৯৬ কোটি টাকার পাম-সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

১৯৬ কোটি টাকার পাম-সয়াবিন তেল কিনবে সরকার স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পাম অয়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। এলএনজি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোনদ দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন প্লাস মাদ্রাসার। পাঠ্যবই আমরা দ্রুত চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার পরিশোধিত লুজ সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর এক প্রস্তাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার লুজ পাম অয়েল কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই পাম অয়েল কেনা হবে। প্রতি লিটার পাম অয়েল’র দাম ধরা হয়েছে ১৩০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা। এই পাম অয়েলও টিসিবির জন্য কেনা হবে। এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলোতে ৬ হাজারের বেশি নতুন সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন ও ইতোমধ্যে স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজের কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা করছে ইরান। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) ইরান এ কথা জানিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর সংস্থাটির একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। আইএইএ’র প্রতিবেদনে ইরানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিস্তারিত লেখা রয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আইএইএ’র ৩৫টি দেশের বোর্ড অফ গভর্নরদের পাস করা একটি প্রস্তাবের জবাবে ইরান এই ঘোষণা দিয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা বাড়ানোর অর্থ হলো ইরান আরও দ্রুত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে, যা পরমাণু অস্ত্র প্রসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্য অস্বীকার করলেও ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমারা। উল্লেখ্য, এটি অস্ত্রমানের প্রায় ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধতার কাছাকাছি। পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিটি দেশই এই বিশুদ্ধতার সীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সেন্ট্রিফিউজগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় ৫ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এটি ৬০ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে এই নিম্ন বিশুদ্ধতার পরিকল্পনাটি ইরানের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে, যেহেতু তারা ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ খুঁজছে। তবে পরবর্তীতে সমৃদ্ধকরণের মাত্রা পরিবর্তন করা সহজ। বর্তমানে নাতানজ ও ফোর্দোতে দুটি ভূগর্ভস্থ এবং নাতানজের একটি ভূপৃষ্ঠস্থ পরীক্ষামূলক কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি সেন্ট্রিফিউজ পরিচালনা করছে তেহরান। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ১৬০টি মেশিনের বেশি নিয়ে গঠিত ৩২টি নতুন ক্যাসকেড স্থাপনের পরিকল্পনা করছে ও এক হাজার ১৫২টি উন্নত আইআর-সিক্স মেশিন নিয়ে একটি বিশাল ক্যাসকেড তৈরি করবে। এছাড়া, পরিকল্পিত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা ইতোমধ্যেই স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তবে এগুলো চালু করতে ইউরেনিয়াম ফিডস্টক ব্যবহার করতে হবে, যা এখনও কার্যকর করা হয়নি বলে আইএইএ নিশ্চিত করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর্দো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্টে নতুন ক্যাসকেড স্থাপনের পর তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে এমন সব তথ্য তেহরানকে জানিয়েছে আইএইএ। ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রের বিষয়ে বাড়তি সতর্ক অবস্থানে আছে সংস্থাটি। কারণ এটি একটি পাহাড়ের মধ্যে নির্মিত ও এখানে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলছে। নাতানজেও একই মাত্রার সমৃদ্ধকরণ করা হচ্ছে।