শিবগঞ্জে পদ্মায় ভাসমান গ*লায় রশি পেঁচানো অর্ধগলিত মর*দেহ উদ্ধার

শিবগঞ্জে পদ্মায় ভাসমান গ*লায় রশি পেঁচানো অর্ধগলিত মর*দেহ উদ্ধার শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে ভাসমান অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের গলায় একটি রশি পেঁচোনো রয়েছে। আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পাঁকা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাবুপুর বিশ^াসপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে রাত সোয়া ৮টার পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। স্থানীয়দের ধারণা কে বা কাহারা ওই ব্যাক্তিকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ও ওয়ার্ড সদস্য কাজল আলী বলেন, পদ্মা নদীর ওই শাখা অংশটি এখন মরা নদী নামে পরিচিত। এখন সরাসরি পদ্মার সাথে এর যোগাযোগ নেই। ফলে মরদেহটি মূল পদ্মা থেকে ভেসে আসার কোন সূযোগ নেই। আবদ্ধ পানিতে মরদেহটি পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যাক্তিকে কেউ হত্যা করে মরদেহ ওই নদীতে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত এলাকার কেউ ওই ব্যাক্তিকে চিনতে পারেন নি। ২/৩ দিন আগে ওই ব্যাক্তির মুত্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের গলায় রশি পেঁচানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান ওসি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা’র তীর রক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা বন্ধে পাউবো’র জিডি’র আবেদন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা’র তীর রক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা বন্ধে পাউবো’র জিডি’র আবেদন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ভাঙ্গণ থেকে রক্ষাকল্পে নির্মিত বামতীর বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরীর (জিডি) আবেদন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। গতকাল পাউবো, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. চাঁন মিয়া স্বাক্ষরিত জিডি আবেদন করেন। ওই আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০০১-২০০৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওতাধীন ‘পদ্মা নদীর ভাঙ্গণ হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা প্রকল্প’ এবং পদ্মা নদীর ভাঙ্গণ হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁকা ও দূর্লভপুর এলাকা রক্ষা’ প্রকল্পের মাধ্যমে দূর্লভপুর হতে সদর উপজেলার বাখের আলী এলাকা পর্যন্ত ২০.৪৮ কি.মি মাটির বাঁধ,৮টি স্পার ও ক্লোজার নির্মাণ করা হয়। গত ১৮ মার্চ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর এলাকা পরিদর্শনকালে পাউবো কর্মকর্তারা স্থানীয়দের নিকট জানতে পারেন যে, বেআইনীভাবে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা রাতের আঁধারে বাঁধের সিসি ব্লকের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করে পদ্মার চর থেকে এস্কেভেটর,ডাম্প ট্রাক,পাওয়ার টিলার ইত্যাদি ব্যবহার করে মাটি কাটছে ও বালু উত্তোলন করছে। ফলে ব্লক ভেঙ্গে ক্লোজার দূর্বল হয়ে মূল বাঁধ হুমকির মুখে। এর ফলে ক্লোজার ভেঙ্গে গেলে পদ্মার পানি জেলার পাগলা নদীতে প্রবেশ করবে। ফলে বর্ষায় ও বন্যায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা নদী ভাঙ্গণসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে কয়েকবার নিষেধ করলেও মাটি কাটা কার্যক্রম চলছে। এমতাবস্থায় প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ তথা কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে আইনী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। এ ব্যাপরে পাউবো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বিসয়টি উদ্বেগের। জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ ব্যাপাওে আলোচনা করা হবে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিউর রহমান বলেন,গত রোববার রাতে জিডি আবেদন পাওয়া গেছে। উর্ধতণ মহলের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিস্ট ৬ নং বাঁধ এলাকার ইউপি সদস্য গোলাম আরিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা নতুন নয়। দায়িত্বশীল অনেকেই এ ব্যাপারে অবগত।
ঈদ উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধের পর কর্মচঞ্চল সোনামসজিদ স্থলবন্দর

ঈদ উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধের পর কর্মচঞ্চল সোনামসজিদ স্থলবন্দর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২৫ উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সকল প্রকার আমদানী-রপ্তানী ও সিএন্ডএফ সংক্রান্ত কার্যক্রম গত ২৮ মার্চ থেকে গত ৫ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত টানা ৯দিন বন্ধের পর গতকাল থেকে যথারীতি পূণরায় চালু হয়েছে। কর্মচঞ্চল হয়েছে বন্দর। বন্দর সূত্র জানায়, ৯ দিন বন্ধের মধ্যে গত ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত ছিলো। এরপর সোনামসজিদ আমদানী রপ্তানীকারক গ্রুপ ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্তে ঈদ উপলক্ষে ২৯ মার্চ শনিবার থেকে ৮দিন টানা বন্দরে আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। তবে ছুটির মধ্যে বন্দরে আভ্যন্তরীন লোড-আনলোড, জরুরী পণ্য পরিবহনসহ কিছু কার্যক্রম চালু ছিল। সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন আহব্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ও বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার অপারেশন কামাল খান বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্দরে আমদানীকৃত ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে চাল,পাথর,খইল, ভূষি, নারিকেল সহ বিভিন্ন পন্যবাহী ট্রাক। এদিকে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পথে ভারতের সাথে যাত্রী চলাচল ঈদের দিনসহ প্রতিদিনই চালু ছিল বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন সূত্র।
শিবগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য-অর্থ সহায়তা বিতরণ

শিবগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য-অর্থ সহায়তা বিতরণ শিবগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারের মাঝে খাদ্য, নতুন পোশাক ও অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শান্তির মোড় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এসব সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী। এ সময় তিনি বলেন, গতকাল রাতে আগুনে চারটি পরিবারের বসতঘর ও বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য, নতুন পোশাক ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে সব সময় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে খাদ্য, পোশাক ও অর্থ সহায়তা পেয়ে শ্রী সুবাস আবেগ আপ্লত হয়ে পড়েন। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। এ সময় উপস্থিত শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজামুল হক রানাসহ জনপ্রতিনিধিরা। এর আগে গতকাল রাতে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শান্তির মোড় এলাকায় আগুনে ৪ টি পরিবারের বসতঘরসহ আসবাবপত্র ভষ্মীভূত হয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার কাদেরী কিবরিয়ার দাবি, আগুনে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০ লাখ টাকার মালামাল।
শিবগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান

শিবগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শিবগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা অবৈধভাবে স্থাপনা সরিয়ে নিতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন। আজ বিকেলে পৌর এলাকার নিউ মার্কেট, গমপট্টি ও পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী। এ সময় তিনি বলেন, পৌর এলাকার সড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনার পাশাপাশি সর্তক করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে হাবিব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ড্রেনেজের উপর চুলা তৈরি করায় তীব্র যানজটের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় হোটেল মালিককে সাতদিনের মধ্যে চুলা সরিয়ে নিতে নির্দেশনাও দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, পৌর মার্কেটের পূর্বপাশে গড়ে উঠা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বাড়তি সর্তক করা হয়েছে। তাছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আগামী দুদিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। এরপরও যারা ফুটপাত দখল করে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাট নিজ দায়িত্বে সরিয়ে না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল বাতেন, শিবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মৃধা চাঁন ও কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান সুমনসহ অন্যান্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭০০ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ পাউবো’র

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭০০ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ পাউবো’র শিবগঞ্জে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় ১৭০০ কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আজ দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দোভাগী, ঝাইলপাড়া গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানিয়েছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। তিনি আরো বলেন-আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, পদ্মার নদীর ভাঙনের কারণে এই এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙনের কারণে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। পদ্মা নদীর অন্যান্য এলাকায় পাড় বেঁধে ফেলা হয়েছে। বাকি ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশাবাদী, সরকার অনুমোদন দিলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে। ২৫ কিলোমিটার এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে পদ্মা নদীতে আর কোনো পাড় বাঁধায়ের কাজ থাকবে না এবং এতে ফসলী জমি ও বসতবাড়ি রক্ষা করা যাবে। বস্থায়ীভাবে বসতবাড়ি ও ফসলী জমি রক্ষার জন্য এই বড় প্রকল্পটি প্রয়োজন আছে এবং সরকারও এই অর্থের সংস্থান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, প্রকল্পের আওতায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ২৫ কিলোমিটার পদ্মা নদীর এলাকাজুড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ৪ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্রকল্পে। আশা করছি, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে বাকি সকল ধাপ সম্পন্ন করতে পারব। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার লোকজন স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবসহ অন্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠনের ঈদ উপহার বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠনের ঈদ উপহার বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ১ হাজার ৮০০ শাড়ি বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শাড়িগুলো বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ধাইনগর, মনাকষাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলী নিজে উপস্থিত থেকে শাড়ি বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন- ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ১ হাজার ৮০০ শাড়ি বিতরণ করা হলো। ইকর’অ-র ঈদ উপহার পেল ৫০ পরিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্বল্প আয়ের ৫০টি পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইকর’অ। শনিবার সকালে জেলাশহরের বিশ্বরোড মোড়ে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির উপদেষ্টা ও সমাজসেবক ওমর ফারুক, সভাপতি ওবায়দুল হক, সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, সদস্য মাশরাফি, সংগঠনের সদস্য বাঁধন, হাসান আলীসহ অন্যরা। ঈদের উপহারের মধ্যে ছিল- আতপ চাল, লাচ্চা সেমাই, চিনি, সয়াবিন তেল, দুধ, পাপড়, নুডলসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। সংগঠনটির সভাপতি ওবায়দুল হক ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইকর’অ-র পক্ষে থেকে ৫০টি পরিবারকে ঈদ উপহার দেয়া হয়েছে। এটি সামান্য হলেও পরিবারগুলোকে ঈদ উদ্যাপনে সহায়তা করবে। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। শিবগঞ্জে “সেবা সংস্কৃতিতে আমরা” এর উদ্যোগে ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ বিতরণ “সেবা সংস্কৃতিতে আমরা” সেচ্ছাসেবি সংগঠনের উদ্যোগে শিবগঞ্জে গরিব মেহনতি মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ এবং ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী। সংগঠনের সভাপতি আবু মহারিপের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর জুয়েল, ৭১ টিভি ও সমকালের জেলা প্রতিনিধি একেএস রোকন, ডেইলি ট্রাইবুনাল জেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ, প্রভাষক নুরতাজ আলম সহ অন্যরা।
শিবগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শিবগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পাঁচ সন্তানের জননী রুলিয়ারা বেগম (৪৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারা যাওয়া রুলিয়ারা উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় গ্রামের শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। শনিবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় স্বামী শরিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শাকিল হাসান জানান, মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী শরিফুল ইসলাম পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে।
শিবগঞ্জে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত ককটেল বিস্ফোরণ

শিবগঞ্জে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত ককটেল বিস্ফোরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি ক্রিকেট ব্যাট হারিয়ে যাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। একই সঙ্গে কয়েকটি দোকানপাটে ভাঙচুরের পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মনাকষা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের নামোটোলা ও খড়িয়াল শেখটোলা গ্রামের যুবকদের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ম্যাচে নামোটোলা গ্রামের যুবকদের একটি ব্যাট হারিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। পরে ঘটনাটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে জানাজানি হলে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামবাসী। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২০-২৫টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। এছাড়া মনাকষা বাজারের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরের পর লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে আমের আড়তে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি

শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে আমের আড়তে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি শিবগঞ্জে অগ্নিকা-ে আমের আড়তের প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ সকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ধোবড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত আড়ৎ মালিক উপজেলার পারদিলালপুর গ্রামের আইনাল হকের ছেলে আরিফুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ধোবড়া বাজারে একটি আমের আড়তে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এতে আড়তে রাখা ৬ হাজার ক্যারেট ও বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়রা আগুন নিভাতে গেলেও সক্ষম হতে পারিনি। তবে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার আগের সব পুড়ে যায়। আরিফুল ইসলামের আড়তে আগুন লেগে সব পুড়ে যাওয়ায় তিনি বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিজ বাসায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ধোবড়া বাজারে আমের আড়ৎ করে সংসার চালায়। অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে কোন রকমে সংসার চালায়। আড়তে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে সব পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসী। এতে আমি একেবারের নিঃশ^ হয়ে পড়েছি। আড়তের প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি আইনের কাছে আশ্রয় নিবো। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার সংসারের সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দিবেন। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার কাদেরী কিবরিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে আড়ৎ মালিক জানিয়েছেন, তার ৬ হাজার ক্যারেট পুড়েছে। তবে প্রাথমিক ধারণা- লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তার। শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।