শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকা ডুবে শিশু নিখোঁজ

শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকা ডুবে শিশু নিখোঁজ শিবগঞ্জে নানীর বাড়ি যাবার সময় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে আয়েশা খাতুন নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আজ বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান। এর আগে গতকাল বিকেলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি-জ্যাটপাড়া ঘাট পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল বিকেলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি-জ্যাটপাড়া ঘাট থেকে একটি নৌকায় কয়েকজন যাত্রী ও মুদি দোকানের মালামাল নিয়ে দশ রশিয়া বাজার যাচ্ছিল। এ সময় বৈরী আবহাওয়ায় পদ্মায় নৌকাটি ডুবে যায়। মাঝি ও অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পদ্মায় ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু আয়েশা খাতুন।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দিনভর কর্মসূচি

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দিনভর কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক এক সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা ও ক্রীড়া উপকরণ এবং সৌন্দর্যবর্ধক বাগানবিলাস, কাঠগোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রপ্রভা ও রেভেনিয়া গাছের চারা এবং আগুন ও বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্বোধন করা হয়েছে ৩ দিনব্যাপী মৌসুমি ফলের মেলা ও প্রদর্শনী। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলীসহ অন্যরা।
পদ্মা নদী ভাঙনের আতঙ্কে ৫০ হাজার মানুষ

পদ্মা নদী ভাঙনের আতঙ্কে ৫০ হাজার মানুষ ভাঙন শুরুর আগেই পদক্ষেপ নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর বর্ষাকালের আগেই এবার গ্রীষ্মের শেষ থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গ্রীষ্মের এই বৃষ্টি জোরেশোরে বর্ষাকাল আগমনেরই প্রতিধ্বনি। আর তাই আষাঢ়ের শুরু থেকেই প্রতিদিনই ঝরছে বৃষ্টি। পানিতে ভরে উঠছে ধু ধু পদ্মা নদী। বৃষ্টির সজীবতায় সবুজ প্রকৃতি উজ্জ্বল হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বসতভিটা ভাঙার আতঙ্ক বাড়ছে নদী-তীরবর্তী হাজারো পরিবারের। এখনো ভাঙন শুরু না হলেও হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রাম, প্রায় ৫০টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিজিবি ক্যাম্প, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাটবাজার, কবরস্থান ও কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবার বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে ভারী বৃষ্টিরও। ফলে এবার বন্যা ও নদীর ভাঙনও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। এরই মধ্যে ভারত থেকে বয়ে আসা গঙ্গা নদীর পানি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে পড়তে শুরু করেছে। পানি যত বাড়বে স্রোতের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, সাধারণত শ্রাবণের শেষ থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত এ অঞ্চলে পদ্মার ভাঙন দেখা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করেই এদের বেঁচে থাকতে হয়। এ নির্মম দুর্যোগের সঙ্গে চরাঞ্চলের মানুষের মোকাবিলা চলে আসছে শতাধিক বছর ধরে। আর এই মোকাবিলায় তারা হয়েছে দিশেহারা ও সর্বস্বান্ত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, দুর্লভপুর ও উজিরপুর ইউনিয়ন নদী ভাঙন কবলিত। এসব এলাকার হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি এর আগে পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারই কমপক্ষে ১০ বার করে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছেন। হাজার হাজার পরিবার অন্যত্র ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়েছেন, বলছেন এলাকাবাসী। সরকারি হিসাবে গত এক দশকে ভিটেমাটি হারিয়েছেন প্রায় এক হাজার শ্রমজীবী মানুষ। আর এলাকাবাসীর মতে, এই সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার। বিলীন হওয়া আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার হেক্টর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে প্রায় ৪০০ কোটির মতন। তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু করে নদী ভাঙন প্রতিরোধে সরকার বেশ কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই বিপুল পরিমাণ অর্থ ও কর্ম পরিকল্পনা অনেকটায় বিফলে গেছে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে বয়ে আসা পদ্মা নদীর ভাটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদী ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বসতবাড়ি ও ফসলী জমি স্থায়ীভাবে নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের যে স্থানে ভারতের গঙ্গা নদী পদ্মা নাম ধারণ করেছে, সেই স্থান থেকে ফারাক্কা বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৮ কিলোমিটার। ভারী বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নেমে এলেই ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়া হয়। চরাঞ্চলবাসী বলছেন, এর ফলে পদ্মা আরো বেশি রাক্ষসী ও খরস্রোতা হয়ে উঠে। তখনই শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। সেসময় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে লাভ হয় না। ফেলার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যায়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলছেন, কয়েকবার ভরা বর্ষায় নদী ভাঙনকালীন অস্থায়ী জিও ব্যাগ, জিও টিউব ফেলা হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর কোনো উপকারই হয়নি। গমেরচর গ্রামের ল্যাচন আরা বেগম (৪০) বলেন, কয়েক বছর আগে ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে উজিরপুর ছেড়ে পাঁকা চরে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে এসেও দুইবার ঘরবাড়ি ভেঙেছে। নদী থেকে আমাদের গ্রাম এখন মাত্র ১০০ গজের মতো দূরত্ব। যে কোনো সময় নদীতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি। নদীর ভাঙন ঠেকানোর জন্য বাঁধ দেখার সৌভাগ্য হবে কি— এই প্রশ্ন ল্যাচন আরার। নদী ভাঙনের হুমকির মুখে থাকা দিনমজুর শহিদুল ইসলাম (৩০) মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যের ভিটেমাটির এক কোণে আশ্রয় নিয়ে ঘর বেঁধে বাস করেন। গতবছর থেকেই নদী ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছেন। শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বছর থেকেই আতঙ্কে আছি। ঝড়-বৃষ্টি হলেই ছুটে যাই নদী ধারে। আর আমাদের বাঁচার জন্য আল্লাহকে ডাকি। তিনি আরো বলেন, বাড়ির সামনে বিশাল ঈদগাহ ছিল, সেটি গত দুই বছরে নদীতে ভেঙে গেছে। অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি, সরকার বাঁধ করে ভাঙন বন্ধ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার কথা, সরকার এত কিছু করে, কিন্তু তাদের দুর্দশার কথা কি জানতে পারে না। পাঁকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বলেন, জীবদ্দশায় বহুবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি। বর্তমানেও বসতবাড়ি নিয়ে আমরা গ্রামবাসী হুমকির মুখে আছি। চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং এর পরেও ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বহুবার ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। আতাউর রহমান বলেন, গতবছরও একাধিকবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সশরীরে গিয়ে অনুরোধ করেছি। উনারা সরেজমিন অনেকবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন, সরকারও কয়েকবার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কোনো কর্মসূচি কাজে লাগেনি। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে সরকারের যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে, তাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। তিনি আরো বলেন, গতবছর থেকেই শুনছি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেটি এখনো একনেকে পাস হয়নি। সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়ে সরেজমিনে কাজ শুরু হতে পারে আগামী বছর। প্রসঙ্গত, পদ্মা নদীর বামতীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে কিছু অংশ এখনো বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। অন্যদিকে ডান তীরের মানুষ এখন পর্যন্ত রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।
জমির বিরোধে ভাইদের হাতে বোন খু*নের মামলার পলাতক আসামী মা-ছেলে গ্রেপ্তার

জমির বিরোধে ভাইদের হাতে বোন খু*নের মামলার পলাতক আসামী মা-ছেলে গ্রেপ্তার শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর শান্তিমোড় এলাকায় গত শনিবার সকালে বাড়ির সীমানার জমি নিয়ে বিরোধে আপন চাচাতো ভাইদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে খালেদা বেগম ওরফে শুকমন নামে ৬ মাসের এক কন্যাশিশুর জননী এক গৃহবধু খুনের ঘটনায় দায়ের মামলায় এজাহারনামীয় পলাতক ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের অরুনবাড়ি বেহুলা গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী রফিনা বেগম ও তাঁর ছেলে আব্দুল জলিল। র্যাব জানায়, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে অরুনবাড়ি বেহুলা বাজার হতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে র্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জাননো হয়। র্যাব জানায়, নিহত খালেদার স্বামী প্রবাসী। ঘটনার সময় খালেদা পিতা সবুর আলীর বাড়িতে ছিলেন এবং বাড়ির ছাদ ঢালাইকাজ চলছিল। এ সময় পাশে চাচার বাড়ির সীমানা নিয়ে বাক-বিতন্ডা শুরু হলে চাচাতো ভাইরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে সবুর আলীকে মারতে উদ্যত হয়। এ সময় খালদা পিতাকে রক্ষা করতে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন তাঁকেই ধারাল অস্ত্রের কোপে হত্যা করে ভাইয়েরা। আহত হয় খালেদার পিতা, মা ও বোন। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন সবুর আলী। র্যাব আরও জানায়, মামলার পর র্যাব এ ঘটনার ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করে ওই ২ আসামীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে।
শিবগঞ্জে আন্ত:জেলা ডাকাত সর্দার মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

শিবগঞ্জে আন্ত:জেলা ডাকাত সর্দার মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে ৭ মামলার আসামী আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সর্দার মানিক আলীকে দুইশত গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি গোমস্তাপুর উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মৃত তহুরুল ইসলামের ছেলে। আজ বিকাল ৪টার দিকে কানসাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের উপর হেরোইন ক্রয়-বিক্রয়কালে গ্রেপ্তার হন মানিক। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, উপ-পরিদর্শক(এসআই) ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ডাকাত বিরোধি বিশেষ অভিযানে শিবগঞ্জ, সদর, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট থানায় দায়ের হত্যা, ডাকাতি, দস্যূতা, ছিনতাই, মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের অন্তত: ৭ মামলার আসামী কূখ্যাত ডাকাত মানিক গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শিবগঞ্জে চাচাতো ভাইদের হাতে চাচাতো বোন খুন: মা হারালো ৬ মাসের শিশু

শিবগঞ্জে চাচাতো ভাইদের হাতে চাচাতো বোন খুন: মা হারালো ৬ মাসের শিশু শিবগঞ্জে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন চাচাতো ভায়ের হাসুয়ার আঘাতে খালেদা বেগম ওরফে শুকমন নামে এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন। তিনি ধাইনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়মহেষপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী ইউসুফ আলীর স্ত্রী। তাঁর ৬ মাস বয়সী কন্যাশিশু রয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের পিতা সৈবুর আলী, মা এরিনা বেগম এবং বোন লিপি খাতুন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র এবং পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৯টার দিকে ধাইনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চৈতন্যপুর শান্তিমোড় এলাকায় পিতার বাড়ির নিকট ভাইদের হাতে খুন হন খালেদা। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, আজ সকালে কার্নিস নির্মাণ ও ছাদ ঢালাাইকে কেন্দ্র করে দু’ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে নতুন করে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে সহবুলের দুই ছেলে মামুন ও নিয়ামতের হাসুয়ার আঘাতে খালেদা নিহত হন। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোরাম কিবরিযা জানান, আজ দুপরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মৃত সহবুলের বাড়ির সকলেই পলাতক রয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সকলকে আটকে অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান ওসি।
শিবগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

শিবগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি বাজার এলাকা থেকে ৬ মাসের সাজপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর গ্রামের সাদিকুল আলমের ছেলে রাজীবুল আলম রাজীব (৩৩)। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানায়, রাজীবুল আলম রাজীবের বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় আদালতে মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর তিনি আত্মগোপন করে পলাতক থাকেন। পরবর্তীতে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চেকে বর্ণিত অর্থদণ্ড প্রদান করে সাজা দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেলে রানীহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শিবগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময়

শিবগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার প্রশাসক ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন— শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম তোফাজ্জল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল বাতেনসহ অন্যরা। সভায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার এবং জ্বর হলে হাসপাতালে আসার জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এবার শিবগঞ্জেও ডেঙ্গুর হানা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন আক্রান্ত ৫০

এবার শিবগঞ্জেও ডেঙ্গুর হানা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন আক্রান্ত ৫০ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও গোমস্তাপুরের পর এবার শিবগঞ্জেও ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে। অধিক বর্ষা ও রাস্তাঘাট, ড্রেন, খাল, ডোবা অপরিষ্কার থাকায় নীরবে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আরো ৫০ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১১ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ২২ জন রোগী। তারা হাসপাতালে ভর্তি হননি। অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ২ জন এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ১ জন রোগী। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, পূর্বের মোট ভর্তি রোগী ছিলেন ৫৩ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৩০ জন মহিলা ও ৬ জন শিশু রোগী ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২১ জনকে। এই ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা রয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৭ জন। এই ৫৭ জনের মধ্যে ১২ পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা এবং ৯ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৬৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯০ জন।
শিবগঞ্জে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার লালচাঁন ‘ডাকাত’

শিবগঞ্জে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার লালচাঁন ‘ডাকাত’ শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে অন্তত; ২০টি হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামী লালচাঁন ইসলামকে হেরোইনসহ আটক করেছে পুলিশ। আজ সকাল ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানসাট ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকার একটি আমবাগানে অভিযান চালিয়ে লালচাঁনকে আটক করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। আজ দুপুরে তাঁকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) ইমরান হোসেন জানান, লালচাঁনের নামে একাধিক হত্যা, একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সহ বিভিন্ন অভিযোগে শিবগঞ্জ সহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি থানতেই অন্তত: ২০টি মামলা রয়েছে। আরও মামলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দীর্ঘদিন থেকেই তাঁকে খুঁজছিল। ঢাকা থেকে কানসাট ফিরে হেরোইন বিক্রির সময় তিনি আটক হন। আটকের সময় তার কাছ থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় মাদক আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান।