আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া

আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতদিন নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে তুলনামূলক এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বভাবে অনেকটা—ঠোঁটকাটা। যার কারণে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন তিনি। গত বছর গণঅভ্যত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান শবনম ফারিয়া। কিন্তু কিছু মানুষের আচরণে ভীষণভাবে আহত তিনি। কেবল তাই নয়, জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া, নির্লজ্জ বলে উপলদ্ধি তার। বুধবার (১৮ জুন) শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে কখনো অভিমান, কখনো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। একটি গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেন শবনম ফারিয়া। তিনি লেখেন, “একটা গল্প আছে না, শীতের সকালে একজন ইমাম আর একজন চোরের! ইমাম ভাবে, কি ভালো একটা মানুষ এই ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়তে এসেছে। চোর ভাবে, কি ভদ্রলোক দেখতে, দাড়িদুড়ি রেখে আবার চুরি করে! এই গল্প থেকে আমরা কি শিখেছিলাম? শিখেছিলাম যে যেমন, যার চিন্তাধারা যেমন, অন্যদেরও তাদের সেইম মনে হয়!” শবনম ফারিয়ার দাবি, পৃথিবীর সব মানুষ টাকার জন্য নীতি বিক্রি করেন না। তার মতে, “বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সব মানুষ ‘টাকার’ (ডলারও পড়তে পারেন) কাছে তাদের ‘এথিক্স’ বিক্রি করে না। দুনিয়ার ‘সব মানুষের’ কাছে টাকাই ‘সব’ না। কিন্তু মানুষ নিজস্বতায় বিশ্বাস করে! স্রোতের বিপরীতেও যায়! রিস্ক নেয়!” গণঅভ্যত্থানের সময়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “জুন মাসে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, ইন্টারনেট চলে যাওয়ার পরপর যেসব সেলিব্রিটিদের কাছে, মেট্রোরেল/বিটিভিতে আগুন দেয়ার প্রতিবাদ করার জন্য ভিডিও বানাতে বলা হয়, আমিও তাদের মধ্যে একজন। আমি প্রথমে সময় চেয়ে বলি, ভেবে জানাব! স্বাভাবিক, সে সময় ডাইরেক্ট না করার মতো সাহস যোগার করতে পারিনি। তারাও বলে সময় নেন, আপাতত এমনেতেই ইন্টারনেট নাই। যেহেতু হোয়াটসআপ বন্ধ, তাও সিয়ামকে ডাইরেক্ট মেসেজ দেই, তুমি কি ‘এস’ ভাইয়ের কল পেয়েছো? ও রিপ্লাই করে, ‘হ্যাঁ পেয়েছি এবং না বলেছি।’ তখন সাহস পাই এবং আমিও তখন না বলি।” এই ঘটনা প্রকাশ করার কারণ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “এইসব কথা অযথা বলে বেড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না! সেসময় এইটাই করার কথা, না বলেছি বলে আমি বিশেষ কোন ক্রেডিট নিতে চাইনি। যেহেতু আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত না, অদূর ভবিষ্যতেও কোনো ইচ্ছা কিংবা পরিকল্পনা নেই তাও যখন দেখি কেউ লেখে, ‘এরা তো ডলার খাইছে’ মার্কা কল্পনিক গল্প, হাসা ছাড়া কিছু করার থাকে না। ভাই, আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি, যারা মন থেকে আওয়ামীলীগ ভালোবাসে কিন্তু জুলাইতে লাল ডিপি দিসিলো! হয়তো জুলাইকে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যেভাবে সে সময় পোট্রে করা হইছে এখন বিষয়টা তেমন নাই, কিন্তু সেসময় আপনি যদি মানুষ হয়ে থাকেন, অমানুষ না হন তাহলে আপনি কোনো মানুষকে হত্যা করার প্রতিবাদ না করে থাকতে পারতেন না, আপনার রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা মতাদর্শ যাই হোক!” আর রাজনৈতিক কোনো স্ট্যাটাস দেবেন না শবনম ফারিয়া। তার কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “এই স্ট্যাটাস দিয়ে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া বন্ধ করলাম! কারণ ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ যেই ক্ষমতা পাবে সেই অসৎভাবে ব্যবহার করবে। আমি আর আমার নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না! পরিশেষে বলতে চাই, সত্যি সত্যি ডলার পেলে আসলে ভালোই লাগতো! শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে ২৫ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ২০০ ডলার পাসপোর্টে এন্ডোরর্স করতে খুবই কষ্ট হইছে।”
ঢালিউড নায়িকাদের যুদ্ধ: শিল্পে নয়, লড়াই ফেসবুকে

ঢালিউড নায়িকাদের যুদ্ধ: শিল্পে নয়, লড়াই ফেসবুকে নায়িকারা রূপালি পর্দায় থাকেন রোমাঞ্চ ও সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে। অথচ তাদের বাস্তব জীবনে আড়ালে চলে—অসন্তোষ, দোষারোপ আর প্রতিযোগিতার লড়াই। ঢাকাই সিনেমার ইতিহাস ঘাঁটলে এমন বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। সম্প্রতি অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর প্রকাশ্য বিবাদ আবারো সামনে এনেছে পুরোনো সেই প্রশ্ন—কেন বারবার নায়িকাদের দ্বন্দ্বে ইন্ডাস্ট্রি মুখর হয়ে ওঠে? ৮০–৯০-এর দশকে শাবানা-চম্পা কিংবা ডলি জহুর-রোজিনার মধ্যে সরাসরি বিবাদ না থাকলেও কে ‘প্রথম নায়িকা’ বা কে বেশি পারিশ্রমিক পান, তা নিয়ে চলত চাপা প্রতিযোগিতা। ২০০০ সালের দিকে মৌসুমী-শাবনূর বা শাবনূর-পূর্ণিমার মধ্যেও ছিল আলোচিত গুঞ্জন ও দ্বন্দ্ব। একবিংশ শতকে এসে অপু-বুবলীর মতামত, পোস্ট ও পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া—সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান। অন্যদিকে পরীমণি ও মিমকে কেন্দ্র করে শরিফুল রাজের নাম জড়িয়ে যে উত্তাপ ছড়ায়, তা কোনো গুজব ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে একে অন্যকে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করার উদাহরণ নতুন নয়। পরীমণি ও বুবলীর মধ্যেও দেখা গেছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। এছাড়া তমা মির্জা–মিষ্টি জান্নাত কিংবা অধরা খান–জাহারা মিতুর দ্বন্দ্বের খবরও চাউর হয়েছে। এই চিত্র কেবল ঢালিউডে সীমাবদ্ধ নয়। বলিউডে রেখা-জয়ার ঠান্ডা যুদ্ধ, ক্যাটরিনা-দীপিকা, কঙ্গনা-তাপসী কিংবা ঐশ্বরিয়া-ক্যাটরিনা—সবখানেই নায়িকা বনাম নায়িকার চাপা সংঘাত। টলিউডেও শ্রাবন্তী-পায়েল, কোয়েল-রচনা, সায়ন্তিকা-নুসরাত দ্বন্দ্ব মিডিয়ায় ঘুরেছে বহুবার। তবে আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো এসব সামলাতে ব্যবহার করে পেশাদার পিআর টিম। ঢাকাই সিনেমায় সেই কাঠামোর ঘাটতি স্পষ্ট। ফলে ব্যক্তিগত রেষারেষি প্রায়ই শিল্পের জায়গা দখল করে নেয়। এসব কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক ভাবমূর্তির। নির্মাতারা পড়েন দোটানায়—কাকে নেবেন, কার বিরুদ্ধে গেলে ‘ব্যান’ হতে হবে। প্রযোজকরা ভয় পান দ্বন্দ্ব যেন প্রমোশন বা শুটিং ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আর দর্শক? তারা ভক্তির জায়গা থেকে সরে গিয়ে অপছন্দ করতে শুরু করেন। এসব নায়িকাদের সিনেমার নাম না জানলেও, ব্যক্তিজীবনের রগরগে গল্প দর্শকরা মুখস্ত রাখেন। নায়িকাদের এই প্রতিযোগিতা যদি শিল্পের উৎকর্ষে হতো, তবে তা কল্যাণকর হতো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে উঠেছে ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে জবাব-প্রতিজবাব, খোঁচা আর মুঠোফোনে দেওয়া গসিপের লড়াই। এভাবে চলতে থাকলে শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, শিল্পজীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এখন সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার—নায়িকারা কী নিজেদের মধ্যে লড়াই থামিয়ে একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে শিখবেন না?
আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস

আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ পোস্টে অপু জানান, আর কোনো ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতায়’ নেই। বরং নিজের সন্তান, কাজ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের পথেই হাঁটতে চান এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের কাজ ও ব্যক্তিজীবনের কিছু মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অপু বিশ্বাস। গতকাল (১৫ জুন) একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে সাবেক স্বামী শাকিব খান ও পুত্র আব্রাম খান জয়ের একটি ছবিও শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “সন্তানের সুন্দর শৈশবের জন্য বাবা-মা হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এটা নিয়ে কেউ যদি অস্বস্তি বোধ করে, সেটা আমার দায় নয়।” অন্য সাধারণ নারীর মতোই অপুর জীবন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস লেখেন, “আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা অন্য সব নারীর মতোই—হাজারো কাজ, পরিকল্পনা আর স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা। কাউকে কিছু প্রমাণ করার ইচ্ছা নেই। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় দর্শকদের সামনে কেটেছে। এখানে লুকোচুরি বা নাটকের কিছু নেই।” অপু বিশ্বাসের দাবি, অসুস্থ কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। তার ভাষায়, “অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই কাউন্টার পোস্ট বা প্রচেষ্টা দেখা যায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই।”কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “সম্মান অর্জন করতে হয় নিজের আচরণ দিয়ে, অন্যকে ছোট করে নয়। আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি। নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজি নই।”অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর পাল্টাপাল্টি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই নায়িকাই চিত্রনায়ক শাকিব খানের সন্তানদের মা হওয়ায় ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে একে অপরকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করছেন বলে অনেকের ধারণা। অপু বিশ্বাস এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। তার এই বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে এটি একটি পরিণত ও মর্যাদাপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
পরীমণির চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি: ক্রাশ খান গোপনে, হাসেন একা

পরীমণির চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি: ক্রাশ খান গোপনে, হাসেন একা ঢালিউডের আলোচিত ও বহুল চর্চিত নায়িকা পরীমণি। রূপ, রস, প্রেম-বিচ্ছেদ আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতনে বারবার হয়েছেন শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দু। এখন ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই দুই সন্তানকে ঘিরেই তার জীবনের ব্যস্ততা।পর্দার রূপসী পরী বাস্তবেও কম মুগ্ধ করেন না। অসংখ্য দর্শক-ভক্তের ‘ক্রাশ’ পরীমণি। কিন্তু পরীমণির নিজের ‘ক্রাশ’ কে? একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্যের খানিকটা পর্দা তুলেছেন এ সাহসী অভিনেত্রী। “দুম করে একটা কি জানি হয়ে যায়! এটা খুব ডেঞ্জারাস। একা একাই ক্রাশ খাই আমি। একা একাই ভাবতে থাকি, হিহি করতে থাকি, নিজের মনের মধ্যেই চলতে থাকে সব। হয়তো তাকে বলিও নাই!”— বললেন পরীমণি, এক চিলতে হাসি মুখে। শুধু প্রেম নয়, ব্যক্তি জীবনেও পরীমণি ছিলেন খবরের পাতায় নিয়মিত। মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আদালত—সব কিছুই জড়িয়ে গেছে তার জীবনের পর্দা-উত্তর গল্পে। তবে এসব নিয়েও বেশ নির্ভার ও রসবোধসম্পন্ন পরী। “মজাই লাগে আমার। তবু তো লোকজন কিছু একটা করুক! মনে হয়, পৃথিবীতে কোনো সাবজেক্ট না থাকলেও বাংলাদেশে একটা সাবজেক্ট রয়েছে— পরীমণি! যা মন চায় করো,” বললেন হাসতে হাসতে। জীবন, ক্যারিয়ার, সমালোচনা আর ক্রাশ—সব কিছু মিলিয়ে পরীমণির উপস্থিতি যেন এক বহুমাত্রিক গল্প, যার শেষ নেই, ক্লাইম্যাক্সও অনিশ্চিত।
মুক্তি পেল বসুন্ধরা টিস্যু পরিবেশিত ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’র প্রথম নাটক

মুক্তি পেল বসুন্ধরা টিস্যু পরিবেশিত ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’র প্রথম নাটক একটি অফিসগামী বাস, অফিস ও দুজন কর্মীর মধ্যকার খুনসুটি আর প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘প্রিয় প্রজাপতি’। নাটকটিতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিণ। বসুন্ধরা টিস্যুর পরিবেশনায় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইনের ‘বিলবোর্ড’ গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন। রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যায় নাটকটি উন্মুক্ত হয়েছে ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’ ইউটিউব চ্যানেলে। ঈদের বিশেষ এই নাটকের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে নতুন এই ইউটিউব চ্যানেলটি। নাটকটি প্রসঙ্গে এর নির্মাতা বলেন, “এটি একটি পরিপূর্ণ ফিল-গুড কনটেন্ট। খাঁটি রোমান্টিক-কমেডিও বলা যেতে পারে। সাদাত হোসাইনের লেখা আমার ভালো লাগে। নিয়মিত পড়ি। তার ‘বিলবোর্ড’ গল্পটি পড়ার পর সেটাকে নাটকে রূপ দেওয়ার ভাবনা মাথায় আসে। অপূর্ব-ফারিণের দারুণ অভিনয়ে ঈদের উপভোগ্য একটি নাটক হবে এটি। ”‘প্রিয় প্রজাপতি’ নাটকটিতে একটি গান রয়েছে, যেটার কথা লিখেছেন সোমেশ্বর অলি। জাহিদ নিরবের সুর-সংগীতে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ ও আতিয়া আনিসা।
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা জাহিদ হাসান

হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা জাহিদ হাসান শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক জাহিদ হাসান। গত চার দিন ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি নাটকের শুটিংয়ে নেপাল গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ঠান্ডা লাগে। সাত দিন নেপালে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ১৭ তারিখ শুটিং শেষে নেপাল থেকে ফিরেই সাধারণ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন জাহিদ হাসান। তখন তার শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাজমার সমস্যা প্রকট হওয়ায় তাকে আনা হয়েছিল। তিনি হাসপাতালের সি ব্লকের একটি কেবিনে আছেন। চিকিৎসকরা জানান, ঠান্ডার সমস্যা, প্রেসার, ডায়াবেটিস এ কারণে জাহিদ হাসান অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো। হাসপাতালে জাহিদ হাসানের দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ ও দুই সন্তান। নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও সময় দিচ্ছেন তিনি। ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জাহিদ হাসান অভিনীত সিনেমা ‘উৎসব’। তানিম নূর পরিচালিত পারিবারিক গল্পের এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান প্রমুখ।
শাকিবের ‘তাণ্ডব’ হল সংখ্যায় এগিয়ে, অন্য সিনেমার অবস্থা কেমন

শাকিবের ‘তাণ্ডব’ হল সংখ্যায় এগিয়ে, অন্য সিনেমার অবস্থা কেমন কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার দেওয়ালে শোভা যাচ্ছে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার বাহারি পোস্টার। কোন সিনেমা কতগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তা চূড়ান্ত হচ্ছে। এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ৬টি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ ঈদের সিনেমাই রাজধানীতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। ৬টি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিবেশক সূত্র জানা গেছে, কোনো কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বাইরে সিনেমা মুক্তি দিতে আগ্রহী নন। এর কোনোটি পাইরেসির ভয়ে ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে। আবার কেউ বা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মাল্টিপ্লেক্সগুলোর ফলাফল দেখে পরের ব্যবস্থা নেবে। এরপরেও দেশব্যাপি ঈদের সিনেমা নিয়ে ঢাকাই সিনেমার দর্শকেরা মেতে উঠেছেন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শাকিব খান চাহিদার শীর্ষে রয়েছেন। তার ‘তাণ্ডব’ সিনেমা সর্বাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা চাইলে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহে থাকতে পারেন। তবে কতগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ‘তাণ্ডব’ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। সবাই চাইছেন তাদের সিনেমা। এখন পর্যন্ত তাদের সিনেমা ১৩২টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন শাকিল। প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ইনসাফ’ সিনেমাটি। এতে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ, মোশাররফ করিম ও ফারিণ। সিনেমাটি কতগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মাল্টিপ্লেক্সের সব শাখায় আছি, ব্লকবাস্টারে মুক্তি পাবে। আর সিনেমাটি নিয়ে দেশে নানা প্রান্তের হলমালিকদের আগ্রহ রয়েছে বুঝতে পারছি।’ তিনি আরও জানান, আপাতত ঢাকার বাইরে ১০টির মতো হলে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০টির মতো প্রেক্ষাগৃহে ‘ইনসাফ’ মুক্তি পাচ্ছে। ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমাটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। ক্রাইম ও থ্রিলারধর্মী সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সানী সানোয়ার। সিনেমাটি মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আগে থেকেই তাদের পরিকল্পনা রাজধানীর ভেতরের প্রেক্ষাগৃহে সীমাবদ্ধ থাতা। প্রথম সপ্তাহ পর তারা সিনেমাটি রাজধানীর বাইরে মুক্তি দিতে চাইছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, তাদের সিনেমাটি দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবের এর গল্পটি অন্যরকম। সব শ্রেণির দর্শকের জন্য গল্পটি হলেও মাল্টিপ্লেক্সই তাদের প্রথম লক্ষ্য। এরপরে তারা পরিস্থিতি বুঝে রাজধানীর বাইরে সিনেমা মুক্তি দেবেন। এটি ১০টির মতো হলে মুক্তি পাচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অনেক দিন পর এবারের ঈদে মুক্তি পাচ্ছে আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি। এটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানা গেছে, রাজধানীর বাইরে খুলনা, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জসহ অনেক স্থান থেকে সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহী প্রকাশ করেছেন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা। তবে সিনেমাটি আপাতত ঢাকার ভেতরেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এর মূল কারণ, পাইরেসির ভয়। সিনেমাটির পরিবেশক জাহিদ হাসান অভি গণমাধ্যমকে জানান, মাল্টিপ্লেক্সের সব শাখায় তাদের সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এ ছাড়া লায়ন সিনেমাসে মুক্তি পাচ্ছে। তারা পরে ক্রমে ক্রমে রাজধানীর বাইরে মুক্তি দিতে চাইছেন। সব মিলিয়ে ১০টির মতো হলে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। সিনেমাটিতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। এটি নির্মাণ করেছেন মিঠু খান।
‘লিচুর বাগান’ দেখে সাবিলাকে নিয়ে যা বললেন চয়নিকা চৌধুরী

‘লিচুর বাগান’ দেখে সাবিলাকে নিয়ে যা বললেন চয়নিকা চৌধুরী ঈদের সিনেমার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ট্রেইলার, টিজার প্রকাশের পর প্রকাশিত হচ্ছে সিনেমার গান।সম্প্রতি রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার একই ডান্স নাম্বার প্রকাশিত হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ এই গানকে আইটেম গান ভেবে ভুল করছেন। সে যাইহোক, লিচুর বাগানে গানটিতে সাবিলা নূরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এবং সাবিলা নূর নিজেকে কতটুকু উপস্থাপন করতে পেরেছেন— এ বিষয় নিয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন গুণী পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘এই লেখাটি আমার একদম ব্যাক্তিগত। আর লেখাটি শুধু মাত্র এই ছবির মেয়েটির জন্যে। শুধুই তার জন্যে।সিনেমায় এসে হঠাৎ করেই কেউ এসে মন জয় করে ফেলবে আর দর্শক প্রিয় হবে, এমন ভাবাটা বোকামি। রায়হান রাফীর তাণ্ডবের লিচু বাগান গানটি দেখলাম। গানটা হঠাৎ করে ভালো লাগবে সেটা বলবো না। গানটা শুনতে শুনতে ভালো লাগবে। তবে আমার চোখ ছিল একদম একজন দর্শক এবং পরিচালকের চোখ।’’ একজন পরিচালক হিসেবে চায়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘গানে সাদা পোশাক পরা অংশটা দারুণ। মনে হয়েছে বোম্বের কোনো ফিল্মের গান।কিন্ত প্রথম অংশের ডান্স এর জায়গায় তার পারফরম্যান্স দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ।আমার চোখে এমন কোরিওগ্রাফিতে ডান্স যথেষ্ট কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি এই মেয়েটি রিদমের সাথে সাবলীলভাবে করেছে। যেন তার কাছে এটা কোন ব্যাপারই না। প্রতিটি স্টেপ্স, ড্রেসআপ আর এক্সপ্রেশন, ডান্স এর মুভমেন্ট, রিদম একদম পারফেক্ট। সবচেয়ে যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে এই ফিল্মের গান সবার সাথে বসে দেখা যায়।মার্জিত।’’ চয়নিকা চৌধুরী মনে করেন, ‘‘এই গানে একটা শটেও ভাল্গারিজম ছিল না। এটি পুরোপুরি একটি কমার্শিয়াল গান, সব কিছুই আছে কিন্ত কোন আরোপিত দেখানো শটস নেই যা দেখলে বিব্রত হতে হয় সবার সামনে। এইসব গানে ইচ্ছা করেই শরীর দেখানোর ব্যাপারগুলো দেখেছি এর আগে। কিন্ত এখানে সবই ছিল কিন্ত খুব ন্যাচারাল, ড্রেসআপ একদমই মেয়েটির জন্য ঠিকঠাক মানে সে ক্যারি করতে পেরেছে, তাকে মানিয়েছে। আর সে যে কত সুন্দর! কত যে সুন্দর লেগেছে তাকে! মায়াবী, গ্ল্যামার সবকিছুই পারফেক্ট।’’ চয়নিকা চৌধুরী আরও লিখেছেন, ‘‘আমার দেশের এত বড় অনলি ওয়ান একজন মেগাষ্টার শাকিব খানের সাথে অভিনয় করে এমন একটি পারফরম্যান্স করা বিশাল ব্যাপার। অনেক নার্ভাস থাকার কথা। যদিও সহশিল্পীর সহযোগিতা, পুরো টীমের সাপোর্ট, ডিরেক্টরের ইনভলবমেন্ট সবই ছিল। তারপরেও মনেই হচ্ছিল না সে নতুন, এটাই তার প্রথম।’’ সাবিলা নূরকে অভিনন্দন জানিয়ে চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘সাবিলা নূর অভিনন্দন তোমাকে । এমন গান তো প্রায় সিনেমায় দেখি। আমার দেখা এই অবধি আমার দেশের এমন একটি গানে তুমিই বেষ্ট বেষ্ট বেষ্ট। সিনেমা তো ঈদের দিনেই দেখবো।তার আগেই এই এতটুকু দেখেই আমি মুগ্ধ। আসলে কাজ দিয়েই জবাব দিতে হয় যা তুমি পেরেছ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক দূর তুমি যাবে এই ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রিতে। আমার বিশ্বাস।’’ চয়নিকা চৌধুরী তাণ্ডব টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন এই সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলকেও। চয়নিকা চৌধুরী তার পোস্টের শেষে একটি বাক্য জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘লেখাটা আসলে শুধুই সাবিলা নূরের জন্যে ছিল।’’
গরুর হাটে হারিয়ে গিয়ে কান্না করেছিলেন মেহজাবীন

গরুর হাটে হারিয়ে গিয়ে কান্না করেছিলেন মেহজাবীন ইতোমধ্যেই কোরবানির পশু কেনার ধুম পড়েছে। ক্রেতারা এক পাশুর হাট থেকে অন্য হাটে ছুটছেন। অনেকে আবার পশু দেখতে ভিড় জামাচ্ছেন হাটগুলোতে। অন্য আট-দশজন মানুষের মতো শোবিজ তারকাও কোরবানির হাটে যাওয়ার জন্য ঈদের অপেক্ষায় থাকেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে শৈশবে কোরবানি ঈদের ঘটনা জানিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। তিনি জানান, লুকিয়ে লুকিয়ে হাটে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলেন। মেহজাবীন বলেন, ঈদে গরু কোরবানি নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে। এ বিষয়টি খুব ভালো লাগে আমার কাছে। ছোটবেলায় কোরবানি উপলক্ষে বাসায় গরু-ছাগল কিনে আনার পর থেকেই আনন্দের বাঁধ ভেঙে যেত। কোরবানির ঈদ নিয়ে খুব মজার একটি স্মৃতি রয়েছে। মেহজাবীন যোগ করে বলেন, বড়দের কাছে গরুর হাটের নানা গল্প শুনতে শুনতে একবার হাট দেখার খুব ইচ্ছা হলো। চাচাতো ভাইদের কাছে গরুর হাটে যাওয়ার আবদার করলাম। ভাইয়েরা আমাকে নিতে রাজি হলো না। আমি লুকিয়ে তাদের পিছু নিয়েছিলাম। কিন্তু হাটে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে তাদের হারিয়ে ফেলি। ভয়ে হাটে বসে কি কান্না। তিনি আরও বলেন, হাটে ভাইদের হারিয়ে ফেললেও একসময় তাদের খুঁজেও পাই। এসব স্মৃতি মনে পড়লে একা একাই এখন হাসি। আবার সেসব দিনের কথা মনে হলে আনন্দও লাগে। যা এখন আর পাই না। সেই আনন্দ আর নেই। এদিকে, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মেহজাবীন অভিনীত সিনেমা ‘সাবা’। ৯০ মিনিটের সিনেমায় নাম ভূমিকায় আছেন এই অভিনেত্রী। এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনোয়ার। মাকসুদ হোসাইন পরিচালিত সিনেমাটি ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।
ঈদে মুক্তির তালিকায় এখনও ৬ সিনেমা

ঈদে মুক্তির তালিকায় এখনও ৬ সিনেমা ঈদ মানেই ঢাকাই সিনেমার উৎসব। এবারের কোরবানির ঈদেও তার ব্যতিক্রম নয়। সপ্তাহখানেক আগেও মুক্তির তালিকায় ছিল ১০ সিনেমা। তবে ইতোমধ্যেই সরে দাঁড়িয়েছে ৪টি সিনেমা। সবশেষ তথ্য ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৬টি সিনেমা। সিনেমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’। রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাটিতে নায়িকার চরিত্রে রয়েছে ছোট পর্দার পরিচিত মুখ সাবিলা নূর। এছাড়াও সিনেমাটির বিশেষ চরিত্রে হাজির হবেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। আরও থাকছেন এফএস নাঈম, আফজাল হোসেন, রোজি সিদ্দিকীসহ অনেকে। ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আলোচিত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ অভিনীত সাসপেন্স থ্রিলার সিনেমা ‘নীলচক্র’। মিঠু খান পরিচালিত সিনেমাটিতে আরও আছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ। মিঠু খানের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য করেছেন নাজিম উদ দৌলা। মুক্তির তালিকায় রয়েছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের নতুন সিনেমা ‘ইনসাফ’। এর প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, তাসনিয়া ফারিণ, মোশাররফ করিম। অ্যাকশন ও থ্রিলার ঘরানার সিনেমা হতে যাচ্ছে ‘ইনসাফ’। এটি প্রযোজনায় রয়েছে তিতাস কথাচিত্র এবং টিওটি ফিল্মস। আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নতুন সিনেমার মাধ্যমে এবার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হবেন। ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ নামের সানী সানোয়ার পরিচালিত সিনেমাটিতে পুলিশ অফিসার লিনা রূপে দেখা যাবে বাঁধনকে। চলচ্চিত্রটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে পূজা এগনেজ ক্রুজ, মিশা শওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্ত, রওনক রিপন, ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ, সৈয়দ এজাজ আহমেদ, হাসনাত রিপন, সুষমা সরকার, ইশিকা, নোভা, জশ প্রমুখ। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরেক সিনেমা ‘টগর’। এআর মুভি নেটওয়ার্ক প্রযোজিত ও পরিবেশিত সিনেমাটি পরিচালনায় আছেন নির্মাতা আলোক হাসান। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদর আজাদ ও চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন রণক ইকরাম। এতে আরও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ। আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আরেক সিনেমা ‘উৎসব’। এটি পরিচালনা করেছেন তানিম নূর। পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। দীর্ঘদিন পর সিনেমাটি দিয়ে একসঙ্গে বড় পর্দায় আসছেন জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, অপি করিম, জয়া আহসান, ইন্তেখাব দিনার প্রমুখ। এদিকে, মুক্তির আওয়াজ তুললেও সরে দাঁড়িয়েছে অনিক বিশ্বাসের ‘শিরোনাম’ ও ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’। এ ছাড়া পোস্টার প্রকাশের পর থেমে গেছে রাখাল সবুজের ‘সর্দার বাড়ির খেলা’ ও রাকিবুল আলম রাকিবের ‘গোয়ার’ সিনেমার প্রচার।