আজ ‘হাসির রাজা’খ্যাত দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ‘হাসির রাজা’খ্যাত দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী সিনেমার দুঃখ ভোলানো মানুষ তিনি। পর্দায় তাকে দেখে হাসবেন না এমন দর্শক পাওয়া কঠিন। যতক্ষণ তিনি অভিনয় করবেন, ততক্ষণই মুগ্ধ হয়ে সবাই শুধু তাকেই দেখবেন। দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদারের তুলনা তিনি নিজেই। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (১৩ জুলাই)। দেখতে দেখতে কেটে গেল ২২টি বছর, দিলদার নেই। ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ নামে দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। দিলদারের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন এই অভিনেতা। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে হয়ে ওঠেন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা। দিলদারের তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন। চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন- ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা। দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ মিনারে কনসার্ট ও ড্রোন শো

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ মিনারে কনসার্ট ও ড্রোন শো ২০২৪ এর ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আগামী ১৪ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, কনসার্ট ও ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে। অনুষ্ঠান ‘জুলাই ওমেন’, ‘দীপক কুমার গোস্বামী’, ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’, ‘জুলাই বীরগাঁথা’ চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শনী ও শহীদ পরিবারের স্মৃতিচারণের পর উইমেন ডে কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন সায়ান, ইলা লালা, এফ মাইনর, পারসা মাহজাবিন ও এলিটা করিম। রাত ১০ টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হবে ড্রোন শো।
টলিউডে মুক্তি পাচ্ছে নওশাবার প্রথম সিনেমা

টলিউডে মুক্তি পাচ্ছে নওশাবার প্রথম সিনেমা অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ এবার টলিউডে হাজির হচ্ছেন প্রথম সিনেমা নিয়ে। অনিক দত্ত পরিচালিত ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে, তবে নানা কারণে তা মুক্তি পায়নি। অবশেষে চলতি বছরের দুর্গাপূজায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। সম্প্রতি সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। এতে মূল চরিত্রে রয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেতা আবির চ্যাটার্জি, আর নওশাবা অভিনয় করেছেন এক বাংলাদেশি তরুণীর চরিত্রে, যে তার শিকড় খুঁজতে কলকাতায় আসে। নওশাবা বলেন, “সিনেমায় আমি আর আবির দুজনেই ফেলুদাভক্ত। গল্পের প্রতিটি পরতে পরতে আছে ফেলুদা ও সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, যদিও এটি সরাসরি গোয়েন্দা কাহিনি নয়।” সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, “সবকিছু যেন এক ম্যাজিকের মতো ঘটেছে। হঠাৎ করেই অনিকদার টেক্সট পাই, তারপর অডিশন দিয়ে সুযোগ পাই। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুটিং করি। এখন যখন সিনেমাটি দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে, তখন মনে হচ্ছে—স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে মুক্তির সময় কলকাতায় যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে নওশাবার। এটি তার জন্য শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং টলিউডে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু।
দেশের অবস্থা দেখে হৃদয় ভেঙেছে বাঁধনের

দেশের অবস্থা দেখে হৃদয় ভেঙেছে বাঁধনের ‘‘আমার বাবা-মা আমার নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। আর আমার মেয়ে—শুধু আমিই তার। আমিই আমার মেয়ের পুরো পৃথিবী। কিন্তু এই রকম একটা দেশে আমি তাকে কীভাবে রক্ষা করব?’’ কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন চিত্রনায়িকা আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমরা কেমন জায়গায় বাস করছি? যেখানে কোন নিরাপত্তা নেই। মনে শান্তি নেই। আমরা আশা করেছিলাম পরিস্থিতি বদলে যাবে। আমরা আরও ভালো, নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলাম।একটি নতুন সরকার এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম।কিন্তু এখন আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ।’’ বাঁধন তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তার হৃদয় ভেঙে গেছে। বাঁধনের ভাষায় ‘‘ যদি নির্বাচিত সরকারের কোন বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, পরিবর্তন আনার সাহস না থাকে—তাহলে লাভ কী? আমি ভীত। আমি রেগে আছি।আর সবকিছুর চেয়েও বেশি, আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।’’ বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়ে ওঠে দেশবাসী। যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনা বাঁধনকে শুধু শোকাহত করেনি, তার নিজের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বাঁধন। ১১ জুলাই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। কারো হত্যা হতে দেখা, যেখানে বাকি সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছুই করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বেঁচে আছি? মানুষ দাঁড়িয়ে দেখল।কিন্তু কেউ এগিয়ে গেল না। কতটা ভয়াবহ?’’
সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২৫ লাখ টাকা দেবেন তানজিন তিশা

সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২৫ লাখ টাকা দেবেন তানজিন তিশা সন্তান আছে- এটা প্রমাণ করতে পারলে ২৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই ঘোষণা দেন। সম্প্রতি জায়েদ খানের সঞ্চালনায় একটি টক শোতে অংশ নিয়ে মা হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান তানজিন তিশা। তিনি বলেন, ‘আমি মা হতে চাই। ’ এরপর সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর সামাজিকমাধ্যমে তিনটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করেন, এগুলো তানজিন তিশার সন্তান ও সাবেক স্বামীর ছবি। জাওয়াদ নির্ঝর ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখেন, ‘সেলিব্রিটি হওয়ার পর মানুষ কী তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করতে পারে? এই ছবিগুলো তিশার মিডিয়ায় আসার আগের। তার সাবেক স্বামী বর্তমানে দুবাইয়ে থাকেন। সেই ঘরে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়, যে বর্তমানে ঢাকায় দাদির সঙ্গে থাকে। ’ এর জবাবে শনিবার (৫ জুলাই) রাতে তানজিন তিশা সামাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমার সন্তান আছে, তাকে ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা) দেব। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমার ভাগ্নে-ভাগ্নির ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে, তারা এখন সুবর্ণ সুযোগ পেল। আমার যত লুকানো বাচ্চাকাচ্চা আছে, সবাইকে আমার কাছে পৌঁছে দিলে নগদ ২০ হাজার ডলার পুরস্কার। ’
দেশের উন্নতির জন্যই শাকিবের বিদেশি নায়িকা চান না দীপা

দেশের উন্নতির জন্যই শাকিবের বিদেশি নায়িকা চান না দীপা আগামী ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন শাকিব খান। নাম ‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’। ট্যাগলাইন- ‘আমি কালা’। ঢাকার নব্বই দশকের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার কাহিনী অনেকটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে। শাকিব অভিনয় করবেন এক সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের চরিত্রে। এ সিনেমার মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ পা রাখছেন বড় পর্দায়। সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা শোনা যাচ্ছে টলিউডের মধুমিতা সরকারের। আর এই খবর ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিনেত্রী দীপা খন্দকার গতকাল এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা কি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা? যদি শুধু বাংলাদেশের হয়, তাহলে আমাদের দেশে কি লিড ফিমেল (নায়িকা) রোল করার মতো কোনো শিল্পী নেই? কেন এমন কাস্টিং হচ্ছে?’ দীপার এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তার জবাবেই আজ (৮ জুলাই) মঙ্গলবার অভিনেত্রী আরও একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করেছেন কেন শাকিবের বিদেশি নায়িকা নিয়ে তার আপত্তি। মূলত দেশের উন্নতির স্বার্থেই তিনি শাকিবের সঙ্গে দেশের নায়িকা চান বলে দাবি করেন। দীপা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘জি আমি স্বার্থপর। আমি চাই আমার দেশের উন্নতি হোক। আমার মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হোক। আর্টিস্টদের লাভ হোক। শাকিব খানের সিনেমা মানেই বিশাল কিছু। সেখানের একটা অংশ কেন আমরা অন্যদের দিয়ে দিব?’ শাকিবের সিনেমায় নারী লিড রোলে বেশি সুযোগ থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে নারী লিড রোলের সুযোগ খুব বেশি থাকে না। যাও দুই একটা থাকে তা যদি অন্য দেশের আর্টিস্টদের দিয়ে দেয়া হয় তাহলে আমাদের আর্টিস্টদের জন্য কি থাকল? অলরেডি অনেক আর্টিস্টই সিনেমায় প্রমাণিত। চিন্তা ভাবনা বদলাতে হবে। গল্প নির্ভর সিনেমা বানাতে হবে।’ শাকিব খানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ‘ভাইজান এলোরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন দীপা খন্দকার।
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল: উপমা

নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল: উপমা মেজবাহ শিকদার নির্মাণ করেছেন একক নাটক ‘শেষ ভালোবাসা’। নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ফারজানা মেহমুদ উপমা। ঢাকার বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। গল্পটি আবর্তিত হয়েছে একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েকে ঘিরে, যে বাবা-মায়ের অবহেলায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় নেশার অন্ধকার জগতে। বন্ধুদের আড্ডা দিয়ে শুরু, এরপর নেশার লোভে জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক সম্পর্কে। পারিবারিক দূরত্ব বাড়ে, প্রেমিকও একসময় সরে যায়। শেষ পর্যন্ত নিজেকে খুঁজে ফেরার আর্তনাদে, গল্পটি এগিয়ে যায় চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। নাটকে উপমার প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন এরফান অনিক। নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে উপমা বলেন, “একজন নেশাগ্রস্ত তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য ছিল এক নতুন চ্যালেঞ্জ। চরিত্রটি খুব বাস্তব ও হৃদয়স্পর্শী। নাটকটি সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেবে—নেশা শুধু একজন মানুষ নয়, গোটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।” নাটকটি নিয়ে আশাবাদী ফারজানা মেহমুদ উপমা বলেন, “শেষ ভালোবাসা’ আমার অভিনীত অন্যতম সেরা কাজ হয়ে থাকবে।” ফারজানা মেহমুদ উপমা ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার আলোচিত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—আমি তোমাকেই ভালোবাসি, মেট্রোপলিটন বিভ্রম, অ্যাডালথুড, নিয়তির খেলা এবং সুপার গার্ল ওয়েব সিরিজ।
মা হতে চান তানজিন তিশা

মা হতে চান তানজিন তিশা সদ্যই এক টক শোতে হাজির হয়ে মা হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। জায়েদ খানের সঞ্চালনায় এক টক শোতে উপস্থিত হয়ে এ অভিনেত্রী জানান, তিনি মা হতে চান। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর প্রকাশ্যে আনলেন তিশার সন্তানের ছবি! শনিবার (৫ জুলাই) জাওয়াদ নির্ঝর তিনটি ছবি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, এটি তিশার সন্তানের ছবি। দুটি ছবিতে দেখা যায়, একটি শিশুকে কোলে নিয়ে তিশার গভীর মমতায় স্নেহ করার দৃশ্য। অপর একটিতে দুটি শিশুর দোলনায় বসে থাকার ছবি পোস্ট করেছেন নির্ঝর। তবে মুখ ঢেকে দিয়েছেন সেই ছবির। ছবিগুলো পোস্ট করে নির্ঝর লিখেছেন, ‘সেলিব্রিটি হওয়ার পর মানুষ কি তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করতে পারে। অভিনেত্রী তানজিন তিশা দাবি করেছেন, তার আগের বিয়ের খবর এবং পুত্রসন্তানের খবরগুলো মিথ্যা। যে ছবিগুলো দেখছেন, সেগুলো তিশার মিডিয়ায় আসার আগে। তার সাবেক স্বামী এখন দুবাইতে বসবাস করেন। সেই ঘরে তিশার একটি পুত্রসন্তান হয়েছিল। সেই পুত্রের সঙ্গেই ছবিগুলো। তিশার সেই পুত্রসন্তানটি এখন ঢাকায় তার দাদির সঙ্গে থাকে।’ তিশা সন্তান নিয়ে মিথ্যাচার করেছে দাবি করে নির্ঝর আরো লেখেন, ‘তিশা টক শোতে মিথ্যা কথা বলেছেনে। বছরখানেক আগে তানজিন তিশাকে নিয়ে স্টোরি করতে গিয়ে আমরা তার পুত্রসন্তান এবং সাবেক স্বামীকে খুঁজে বের করেছিলাম। তিশা আপনি প্রমাণ করেন, এই বাচ্চা আপনার ছিল না।’
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জীনাত রেহানা মারা গেছেন

‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জীনাত রেহানা মারা গেছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী জীনাত রেহানা মারা গেছেন। বুধবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জীনাত রেহানা। তার চিকিৎসা চলছিল। জীনাত রেহানার স্বামী ছিলেন দেশের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার জোহরের নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জীনাতের দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ১৯৬৪ সালে জীনাত রেহানা বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। ১৯৬৮ সালে জীনাত রেহানার ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি রেকর্ড করা হয়। এটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৬৫ সাল থেকে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবে গান শুরু করেন জীনাত। জীনাতের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরব না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’ প্রভৃতি।
শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ মানতে নারাজ জাহিদ হাসান!

শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ মানতে নারাজ জাহিদ হাসান! ঢাকাই সিনেমায় ২৬ বছর ধরে অভিনয় করছেন শাকিব খান। বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে ইন্ড্রাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। ভক্তরা তাকে ভালোবেসে কখনও কিং খান, সুপারস্টার, নবাব বিভিন্ন খেতাব দিয়েছেন। ইদানিং দেখা যায় শাকিব খানের নামের আগে ব্যবহার করা হয় ‘মেগাস্টার’ । তবে এ তারকার নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের লাইভ টক শোতে শাকিব খানকে ঘিরে প্রচলিত বিশেষ ট্যাগ নিয়ে খোলামেলা প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে আয়ের দিক থেকে ‘উৎসব’ সিনেমা ‘তাণ্ডব’কে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জাহিদ হাসান শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা ‘মেগাস্টার’ শব্দটি নিয়ে জোরালোভাবেই আপত্তি জানান। গত কয়েক বছর ধরে যেন একরকম রীতিতে পরিণত হয়েছে ঈদ মানেই শাকিব খানের সিনেমা। আর শাকিবের সিনেমা মানেই সুপারহিট। তবে এবার কোরবানি ঈদে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসা করতে পারলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে দর্শক টানতে পারেননি। ই প্রসঙ্গে অভিনেতা জাহিদ হাসান বলেন, শেক্সপিয়ারের একটা কথা আছে ‘কোনো কিছু হওয়া বড় ব্যাপার না। কোনো কিছু হয়ে থাকাটা বড় ব্যাপার। ’ আমি বলছি, এতগুলো হল পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেটি আর থাকছে না। এটা কিন্তু অপমানজনক। যতটা বিনয়ীভাবে এগোনো যায় ততটাই ভালো। সবশেষে জাহিদ হাসান বলেন, “তাণ্ডব’, ‘উৎসব’, ‘এশা মার্ডার’, ‘নীলচক্র’ বা ‘ইনসাফ’ সবগুলোই তো আমাদের সিনেমা। আমরা চাই প্রতিটা সিনেমা ভালো হোক। সিনেমা ভালো হলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক বাড়বে। আমি মন থেকে চাই দর্শক প্রতিটি সিনেমা দেখুক।