ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওপারেও নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশের অনেক তারকাই এখন কলকাতার সিনেমা, ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। তবে জয়া আহসান সেখানে অনেকটা ব্যতিক্রম। ভারতীয় বাংলা সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডেও কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় সিনেমায় বাংলাদেশি শিল্পীদের কাজ করা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কলকাতা পৌর করপোরেশনের নারী কাউন্সিল জুঁই বিশ্বাস। বিশেষ করে জয়া আহসানের কাজ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। জুঁই অভিনেত্রী না হলেও শোবিজ অঙ্গনে পরিচিত মুখ। এই অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জুঁই তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে জয়ার কাজ করা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। জুঁই বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কী জেগে ঘুমিয়ে আছি? আমাদের শিল্পী, কলাকুশলী, ইভেন্ট অর্গানাইজাররা বাংলাদেশে কাজ করতে পারছেন না, আটক করে রাখা হচ্ছে, অথচ জয়া আহসানকে ভারতে রেড কার্পেট দিয়ে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কোনো শিল্পীর কি প্রতিভা নেই, জয়া যে চরিত্রটি করেছেন সেখানে অভিনয় করার মতো? কেন ভারতীয় জাদুঘরে তার মিউজিক অ্যালবাম রিলিজ হয়?” জুঁইয়ের এই বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবরও প্রকাশ করেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে জুঁই তার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। এতে জুঁই বলেন, “এটি সত্যি যে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা বাংলাদেশে কাজ করতে গেলে প্রশাসনিক জটিলতা, ভিসা জট বা এমনকি ডিটেনশন-এর মতো ঘটনাও ঘটছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দুশ্চিন্তার বিষয়। যদি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হয়, তাহলে সেটা দুই-পক্ষের হওয়া উচিত—না যে এক তরফা উদারতা দেখাতে হবে, না এক তরফা বন্ধুত্ব মেনে নিতে হবে।” উদাহরণ হিসেবে আবারো জয়া আহসানকে টেনে আনেন জুঁই বিশ্বাস। তার ভাষায়, “বাংলাদেশ যদি ভারতীয় শিল্পীদের জন্য সুযোগ সীমিত করে রাখে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, ভারত কেন বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য দরজা খোলা রাখছে? জয়া আহসান নিঃসন্দেহে একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী, কিন্তু প্রশ্নটা প্রতিভার নয়—প্রশ্নটা ন্যায়বিচার ও ভারসাম্যের। যখন ভারতীয় শিল্পীরা সীমাবদ্ধতায় ভোগেন, অথচ বাংলাদেশি শিল্পীরা এখানে বড় সুযোগ পান, তখন তা সবার চোখে বৈষম্য বলে মনে হয়।” প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জুঁই বিশ্বাস বলেন, “এখানে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কি সেই চরিত্রগুলো করতে অক্ষম? অবশ্যই না। তাহলে বারবার বিদেশি শিল্পীদের এমন ‘বাড়তি’ গুরুত্ব দেওয়ার যুক্তি কী? প্রযোজক-পরিচালকরা দেশ বিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিৎ নয় কি? যেকোনো শিল্পচর্চা অবশ্যই মুক্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তার মধ্যে দেশীয় শিল্পীদের সুযোগ দেওয়াটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন তাদের কাজের সুযোগ বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে দেওয়া হয় (যেখানে সেই দেশ ভারতীয় শিল্পীদের আটকে দেয়), তখন সেটি দায়বদ্ধতার অভাব বলেই মনে হয়।” প্রতীকী সহযোগিতা নয়, স্থায়ী নীতিগত অবস্থান দরকার বলে মনে করেন জুঁই। তার মতে, “যদি পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারত নিষিদ্ধ করে, তাহলে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য শর্তহীন মঞ্চ কেন? একতরফা সংস্কৃতিক দান কি আর রাজনীতি বা কূটনীতিতে কার্যকর? এটি নিছকই অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রশ্ন নয়। এটি একটি ‘সফট পাওয়ার’ বা সাংস্কৃতিক ক্ষমতার প্রশ্ন। যখন ভারতের শিল্পীরা অন্য দেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারে না, অথচ বিপরীতে সেই দেশের শিল্পীরা ভারতে ব্যবসা, সম্মান এবং সুযোগ পান, তখন এটা কেবল ‘বাণিজ্য’ নয়—ভারসাম্যহীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। আমরা উদারতা দেখাচ্ছি—কিন্তু তার মূল্য দিচ্ছে নিজেরাই। উদারতা কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি দিক হতে পারে, কিন্তু তার ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিকতা। বন্ধুত্ব কাঁধে কাঁধ রেখে চলে, হাঁটু গেড়ে নয়।”
‘কন্যা’ পর কনার নতুন ধামাকা ‘সোনা জান’

‘কন্যা’ পর কনার নতুন ধামাকা ‘সোনা জান’ সবশেষ ‘কন্যা’ গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে দোলা দিয়েছেন সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। ভক্তদের জন্য সুখবর হলো এবার আরেকটা ধামাকা নিয়ে এসেছেন এই গায়িকা। কনার এবারের গানের শিরোনাম ‘সোনা জান’। ‘কন্যা’র পর এটিরও কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আদিব কবির। রোববার (১৩ জুলাই) বিকালে গানটি প্রকাশ পেয়েছে ভিডিও আকারে। যেখানে রোমান্স করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী অলিভিয়া সরকার ও অমিত পাল। বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে এটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন মোহন ইসলাম। কোরিওগ্রাফি করেছেন রোহান বেলাল। ট্রেন্ডি কথা-সুর ও ভরপুর ভালোবাসা সাজানো গান-ভিডিওটি তৈরি হয়েছে কেএম মিউজিকের ব্যানারে। প্রযোজনা করেছেন মাহামুদুল হাসান শোভন। গানটি প্রসঙ্গে শোভন বলেন, কনা আপু আমার খুব পছন্দের একজন গায়িকা। রবিউল ইসলাম জীবন ভাই এবং আদিব কবিরের কাজেরও ভক্ত আমি। সব মিলিয়ে তাদের নিয়ে কাজটি করা। গানটির মাধ্যমে আমরা শ্রোতা-দর্শকদের বিনোদন দিতে চেয়েছি। সবার ভালো লাগবে বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই গানের ভিডিওতে অভিনয় করা দুজনই কলকাতার। বিশেষ করে অলিভিয়া সরকার স্টার জলশার অনেক পরিচিত মুখ। কয়েকটি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজও করেছেন। দুই বাংলার শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখেই কাজটি করা। গানটি উন্মুক্ত করা হয়েছে ইউটিউবে ‘কেএম মিউজিক’ চ্যানেলে।
স্বামীর নামে ‘প্রেম তালা’ লাগালেন মেহজাবীন

স্বামীর নামে ‘প্রেম তালা’ লাগালেন মেহজাবীন দেশের আলোচিত তারকা দম্পতি মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীব। এক যুগের বেশি সময় সম্পর্কে ছিলেন তারা। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন এই তারকা জুটি। এবার মেহজাবীন নিজদের ভালোবাসাকে তালাবন্দী করলেন, যেন এই ভালোবাসার তালা কখনোই খুলে না যায়। কেননা তালার চাবি কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবে না, চাবি পড়ে রয়েছে নদীর তলদেশে। ফ্রান্সের একটি নদীর ব্রিজে নিজের ও স্বামী আদনান আল রাজীবের নাম লিখে তালা লাগিয়েছেন মেহজাবীন। সেই তালার চাবি ফেলে দিয়েছেন নদীতে। এরই কয়েকটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন লক। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এই সেতুর রেলিং-এ প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তালা লাগিয়ে দেন। সাইন নদীর উপর ‘পঁ দে আর্টস’ সেতুতে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে চাবি নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এই সেতুতেই তালা লাগিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। মেহজাবীন কখন এই তালা লাগিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। কেননা সম্প্রতি তিনি ইউরোপ ভ্রমণের ছবি পোস্ট করছেন। একদিন ইতালির মিলান শহরে ঘোরার ছবি পোস্ট করেছেন। তার আগে দিলেন সুইজ্যারল্যান্ডে ঘোরার ছবি। কিছুদিন আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন, এই ভ্রমণ তখনকার নাকি, জানা যায়নি। যতবে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে দেওয়ার পর ভক্তরাও আশা প্রকাশ করছেন এই তালা যেন কখনোই না খোলে, আর ভাঙতেও না হয়।
দেশ ছাড়লেন শাকিব খান!

দেশ ছাড়লেন শাকিব খান! ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা ঈদুল আজহায় মুক্তির পর দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল। এবার সিনেমাটির আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে। পরিচালক রায়হান রাফীর অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি ইতোমধ্যে হিউস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া, বোস্টন, অরল্যান্ডো, স্যাক্রামেন্টোসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০টি শহরের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির দুই দিন পরই দেশ ছেড়েছেন ঢালিউডের এই মেগাস্টার। শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিমানের ভেতর তোলা নিজের একটি ছবি শেয়ার করে শাকিব লেখেন, “রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু হোক!” ছবিতে দেখা যায়, সাদা টি-শার্ট, চোখে সানগ্লাস, মাথায় ‘লুলুলেমন’ ব্র্যান্ডের ক্যাপ—জানালার পাশে বসে আছেন তিনি। যদিও পোস্টে সফরের নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, ‘তাণ্ডব’-এর প্রিমিয়ার শো এবং প্রবাসী দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি ছবি দেখা-সংক্রান্ত আয়োজনে অংশ নিতে তার এই সফর। এদিকে, শাকিব খানকে ঘিরে আরেকটি নতুন গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে, নব্বইয়ের দশকের কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ‘কালা জাহাঙ্গীর’-এর জীবনী নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ হতে যাচ্ছে, সিনেমাটির নাম ভূমিকায় দেখা যেতে পারে শাকিব খানকে। আগামী ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।
আজ ‘হাসির রাজা’খ্যাত দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ‘হাসির রাজা’খ্যাত দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী সিনেমার দুঃখ ভোলানো মানুষ তিনি। পর্দায় তাকে দেখে হাসবেন না এমন দর্শক পাওয়া কঠিন। যতক্ষণ তিনি অভিনয় করবেন, ততক্ষণই মুগ্ধ হয়ে সবাই শুধু তাকেই দেখবেন। দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদারের তুলনা তিনি নিজেই। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (১৩ জুলাই)। দেখতে দেখতে কেটে গেল ২২টি বছর, দিলদার নেই। ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ নামে দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। দিলদারের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন এই অভিনেতা। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে হয়ে ওঠেন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা। দিলদারের তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন। চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন- ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা। দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ মিনারে কনসার্ট ও ড্রোন শো

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ মিনারে কনসার্ট ও ড্রোন শো ২০২৪ এর ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আগামী ১৪ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, কনসার্ট ও ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে। অনুষ্ঠান ‘জুলাই ওমেন’, ‘দীপক কুমার গোস্বামী’, ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’, ‘জুলাই বীরগাঁথা’ চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শনী ও শহীদ পরিবারের স্মৃতিচারণের পর উইমেন ডে কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন সায়ান, ইলা লালা, এফ মাইনর, পারসা মাহজাবিন ও এলিটা করিম। রাত ১০ টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হবে ড্রোন শো।
টলিউডে মুক্তি পাচ্ছে নওশাবার প্রথম সিনেমা

টলিউডে মুক্তি পাচ্ছে নওশাবার প্রথম সিনেমা অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ এবার টলিউডে হাজির হচ্ছেন প্রথম সিনেমা নিয়ে। অনিক দত্ত পরিচালিত ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে, তবে নানা কারণে তা মুক্তি পায়নি। অবশেষে চলতি বছরের দুর্গাপূজায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। সম্প্রতি সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। এতে মূল চরিত্রে রয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেতা আবির চ্যাটার্জি, আর নওশাবা অভিনয় করেছেন এক বাংলাদেশি তরুণীর চরিত্রে, যে তার শিকড় খুঁজতে কলকাতায় আসে। নওশাবা বলেন, “সিনেমায় আমি আর আবির দুজনেই ফেলুদাভক্ত। গল্পের প্রতিটি পরতে পরতে আছে ফেলুদা ও সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, যদিও এটি সরাসরি গোয়েন্দা কাহিনি নয়।” সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, “সবকিছু যেন এক ম্যাজিকের মতো ঘটেছে। হঠাৎ করেই অনিকদার টেক্সট পাই, তারপর অডিশন দিয়ে সুযোগ পাই। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুটিং করি। এখন যখন সিনেমাটি দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে, তখন মনে হচ্ছে—স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে মুক্তির সময় কলকাতায় যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে নওশাবার। এটি তার জন্য শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং টলিউডে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু।
দেশের অবস্থা দেখে হৃদয় ভেঙেছে বাঁধনের

দেশের অবস্থা দেখে হৃদয় ভেঙেছে বাঁধনের ‘‘আমার বাবা-মা আমার নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। আর আমার মেয়ে—শুধু আমিই তার। আমিই আমার মেয়ের পুরো পৃথিবী। কিন্তু এই রকম একটা দেশে আমি তাকে কীভাবে রক্ষা করব?’’ কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন চিত্রনায়িকা আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমরা কেমন জায়গায় বাস করছি? যেখানে কোন নিরাপত্তা নেই। মনে শান্তি নেই। আমরা আশা করেছিলাম পরিস্থিতি বদলে যাবে। আমরা আরও ভালো, নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলাম।একটি নতুন সরকার এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম।কিন্তু এখন আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ।’’ বাঁধন তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তার হৃদয় ভেঙে গেছে। বাঁধনের ভাষায় ‘‘ যদি নির্বাচিত সরকারের কোন বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, পরিবর্তন আনার সাহস না থাকে—তাহলে লাভ কী? আমি ভীত। আমি রেগে আছি।আর সবকিছুর চেয়েও বেশি, আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।’’ বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়ে ওঠে দেশবাসী। যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনা বাঁধনকে শুধু শোকাহত করেনি, তার নিজের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বাঁধন। ১১ জুলাই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। কারো হত্যা হতে দেখা, যেখানে বাকি সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছুই করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বেঁচে আছি? মানুষ দাঁড়িয়ে দেখল।কিন্তু কেউ এগিয়ে গেল না। কতটা ভয়াবহ?’’
সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২৫ লাখ টাকা দেবেন তানজিন তিশা

সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২৫ লাখ টাকা দেবেন তানজিন তিশা সন্তান আছে- এটা প্রমাণ করতে পারলে ২৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই ঘোষণা দেন। সম্প্রতি জায়েদ খানের সঞ্চালনায় একটি টক শোতে অংশ নিয়ে মা হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান তানজিন তিশা। তিনি বলেন, ‘আমি মা হতে চাই। ’ এরপর সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর সামাজিকমাধ্যমে তিনটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করেন, এগুলো তানজিন তিশার সন্তান ও সাবেক স্বামীর ছবি। জাওয়াদ নির্ঝর ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখেন, ‘সেলিব্রিটি হওয়ার পর মানুষ কী তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করতে পারে? এই ছবিগুলো তিশার মিডিয়ায় আসার আগের। তার সাবেক স্বামী বর্তমানে দুবাইয়ে থাকেন। সেই ঘরে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়, যে বর্তমানে ঢাকায় দাদির সঙ্গে থাকে। ’ এর জবাবে শনিবার (৫ জুলাই) রাতে তানজিন তিশা সামাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমার সন্তান আছে, তাকে ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা) দেব। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমার ভাগ্নে-ভাগ্নির ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে, তারা এখন সুবর্ণ সুযোগ পেল। আমার যত লুকানো বাচ্চাকাচ্চা আছে, সবাইকে আমার কাছে পৌঁছে দিলে নগদ ২০ হাজার ডলার পুরস্কার। ’
দেশের উন্নতির জন্যই শাকিবের বিদেশি নায়িকা চান না দীপা

দেশের উন্নতির জন্যই শাকিবের বিদেশি নায়িকা চান না দীপা আগামী ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন শাকিব খান। নাম ‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’। ট্যাগলাইন- ‘আমি কালা’। ঢাকার নব্বই দশকের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার কাহিনী অনেকটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে। শাকিব অভিনয় করবেন এক সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের চরিত্রে। এ সিনেমার মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ পা রাখছেন বড় পর্দায়। সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা শোনা যাচ্ছে টলিউডের মধুমিতা সরকারের। আর এই খবর ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিনেত্রী দীপা খন্দকার গতকাল এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা কি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা? যদি শুধু বাংলাদেশের হয়, তাহলে আমাদের দেশে কি লিড ফিমেল (নায়িকা) রোল করার মতো কোনো শিল্পী নেই? কেন এমন কাস্টিং হচ্ছে?’ দীপার এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তার জবাবেই আজ (৮ জুলাই) মঙ্গলবার অভিনেত্রী আরও একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করেছেন কেন শাকিবের বিদেশি নায়িকা নিয়ে তার আপত্তি। মূলত দেশের উন্নতির স্বার্থেই তিনি শাকিবের সঙ্গে দেশের নায়িকা চান বলে দাবি করেন। দীপা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘জি আমি স্বার্থপর। আমি চাই আমার দেশের উন্নতি হোক। আমার মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হোক। আর্টিস্টদের লাভ হোক। শাকিব খানের সিনেমা মানেই বিশাল কিছু। সেখানের একটা অংশ কেন আমরা অন্যদের দিয়ে দিব?’ শাকিবের সিনেমায় নারী লিড রোলে বেশি সুযোগ থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে নারী লিড রোলের সুযোগ খুব বেশি থাকে না। যাও দুই একটা থাকে তা যদি অন্য দেশের আর্টিস্টদের দিয়ে দেয়া হয় তাহলে আমাদের আর্টিস্টদের জন্য কি থাকল? অলরেডি অনেক আর্টিস্টই সিনেমায় প্রমাণিত। চিন্তা ভাবনা বদলাতে হবে। গল্প নির্ভর সিনেমা বানাতে হবে।’ শাকিব খানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ‘ভাইজান এলোরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন দীপা খন্দকার।