‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ কাটাতে মাকে কীভাবে সহায়তা করবেন

‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ কাটাতে মাকে কীভাবে সহায়তা করবেন সন্তান প্রসবের পরে মায়ের শরীরে অনেক ধরণের পরিবর্তন আসে। যার প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। এদিকে শিশুর যত্ন নেওয়ার একটি বাড়তি চাপতো থাকেই। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পারিবারিক এবং সামাজিক সহায়তা না পেলে মায়ের পোস্টনেটাল ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আখতার সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘শিশুর মাকে অন্তত প্রথম দুইবছর পর্যাপ্ত সময় দিন, যতটুকু আপনি যথেষ্ট ভাবছেন তার চেয়ে বেশী সহযোগিতা করুন, তখন আর মাকে পোস্টনেটাল ডিপ্রেশনের চেহারা দেখতে হবে না।’’ প্রিয়তীর ওই পোস্টের কমেন্টে অনেক নারী নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এবং মতামত দিয়েছেন। রুখসানা আফরোজ মিতু নামের একজন লিখেছেন, ‘‘আপু আমাদের সমাজে এরকম কেউ করেনা বাচ্চা হবে শুধু কথা শুনাবে।কথা শুনলে মায়েরা ডিপ্রেশনে চলে যায়।আমার জটিল প্রেগন্যান্সি ছিল।দুটি অপারেশন হয়েছে রিকভারি না হতেই কেন পরিবারের সবার জন্য কেন রান্না করছি না তেড়ে আসে।যৌথ পরিবারে থাকলে তো কথায় নেই।আমার হাজবেন্ড সাহায্য করে কিন্তু পরিবারের লোক জনদের সাথে পারেনা।’’ ফারজানা আলম নামের একজন লিখেছেন, ‘‘এটা কয়জনইবা বুঝে সবাই ভাবে বাচ্চা হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় কিন্তু একটা মার উপর দিয়ে কি যায় সেই একমাত্র জানে।’’ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির যুক্তি হচ্ছে, সবাই তার স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করতে চায়, মায়েরও যে স্বাভাবিক সময়টুকু লাগে এটা কিন্তু কেউ বোঝার কষ্ট করেনা কারন বুঝলেই ওদের বিপদ । একজন মায়ের ‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ দেখা দিয়েছে কিনা যেভাবে বুঝবেন— অতিরিক্ত বিষণ্ণতা বা দুঃখ বোধ হতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগতে পারে„ অহেতুক কান্না আসতে পারে মেজাজ খিটখিটে হতে পারে ঘুম অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে অথবা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে। খুব বেশি ক্ষুধা লাগতে পারে অথবা খুব কম ক্ষুধা লাগতে পারে শিশুর প্রতি মনোযোগ দিতে সমস্যা হয অন্যান্য মানুষের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে ইচ্ছা করে। উল্লেখ্য, একজন মা যাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন—তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ভালো থাকতে বদলে ফেলুন নিজেকে

ভালো থাকতে বদলে ফেলুন নিজেকে বেশিরভাগ মানুষই নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা সবাই ভাবে তাদের জীবনটা আরও বেশি সুন্দর হতে পারতো কিন্তু এজন্য তারা কিছুই করে না। আপনি যদি আপনার জীবনটাকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনার জীবন যাপনের প্রতিটা স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। প্রথমেই পুরোনো বদ অভ্যাসগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। আর নতুন নতুন ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ ভালো অভ্যাসগুলোই আপনার জীবন বদলে দেবে। আমাদের জীবন আসলে খুবই ছোট আর এজন্যই এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন এ ছোট জীবনে সবাই চায় সুখী হতে আর উপভোগ্য একটি জীবন কাটাতে কিন্তু সবাই তা করতে পারে না। কেন করতে পারে না সেটা নিয়ে আজ আমরা কথা বলবো না, আমরা আজ জানবো কিভাবে খুব ছোট ছোট কিছু কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব। এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো আপনি আয়ত্ত করলে অতি সহজেই একটি সুন্দর ও উপভোগ্য জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা তেমন কিছু অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক- * নিজের যত্ন নিন, সুন্দর সুন্দর পোশাক পরুন। সকালে উঠে একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে সাজ-পোশাকে তৈরি হয়ে অফিসে গেলে দেখবেন সারাদিন আপনার মন ভালো থাকবে। সঙ্গে পছন্দের পারফিউম ব্যবহার করুন। * জানেন তো, হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলতে কষ্ট তো হয়ই না, বরং আমাদের দেখতে আরও সুন্দর ও আকষর্ণীয় লাগে। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে, আপন করে নেবে আর এ অনুভূতি আপনাকেও ভালো রাখবে। * সমালোচনা নয়, প্রশংসা করুন। কেউ একটা নতুন শাড়ি পরেছে, অথবা কোনো কাজ করে খুব আগ্রহ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চেয়েছে। এ সময় নিশ্চয় তারা প্রশংসাই আশা করবেন। আপনার প্রশংসাই হয়তো তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে। * কেউ কিছু বলতে চাইলে মন দিয়ে শুনুন। আপনি একজন ভালো শ্রোতা যেমন হবেন আবার তার কথা থেকে হয়তো অনেক কিছু শিখতেও পারবেন। * ধন্যবাদ জানান, ঘর থেকে শুরু করুন। যখন বের হচ্ছেন, কেউ আপনাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছেন, প্রথমে তাকেই ধন্যবাদ দিন। সকালের নাস্তাটা আজ ভালো ছিল? যিনি তৈরি করেছেন তার তো একটা ধন্যবাদ প্রাপ্যই। এরপর ড্রাইভার, বাড়ির বা অফিসের দারোয়ান, দোকানদার কিংবা অফিসের সহকর্মী ছোট কোনো কাজেও যে সাহায্য করছে তাকেই ধন্যবাদ দিন। দেখুন দিনটাই সুন্দর হয়ে যাবে। * একেবারেই ব্যায়াম করা হয় না? অন্তত রাতে কিছুটা সময় গান শুনতে শুনতে হাঁটুন। * দিন সবার জন্যই সমান সময় নিয়েই আসে, একে সুন্দর করা ও নিজে ভালো থাকা অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছা এবং কাজের ওপর। এটাও মানতে হবে, সব পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তবে যেটুকু থাকে, এতটুকু ভালো থাকার আন্তরিক চেষ্টা করুন আজ থেকেই।

নিমপাতায় ত্বক-চুলের যত্ন

নিমপাতায় ত্বক-চুলের যত্ন আমরা সবাই জানি, নিম একটি ওষুধি গাছ। যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে খুবই কার্যকর। আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। নিমের উপকারিতাগুলো ত্বক: বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এ চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। চুল: উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমপাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর। চুলের খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিমপাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়। সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রাখুন। এবার ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া কমার সঙ্গে সঙ্গে চুল নরম ও কোমল হবে। কৃমিনাশক: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। বাচ্চাদের পেটের কৃমি নির্মূল করতে নিমপাতার জুড়ি নেই। দাঁতের রোগ: দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে, সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দাঁতের রোগ থেকেও।

পরিচ্ছন্ন ঘর মানেই পরিচ্ছন্ন মন

পরিচ্ছন্ন ঘর মানেই পরিচ্ছন্ন মন পরিচ্ছন্ন ঘর শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং মানসিক শান্তি ও সুস্থতার জন্যও জরুরি। ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন ঘর গোছানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ঘর সর্বদা ঝকঝকে ও সুশৃঙ্খল রাখা সম্ভব। প্রতিদিন ছোট ছোট কাজ করুনঃ একসাথে পুরো ঘর পরিষ্কার করতে গেলে সময় ও শ্রম দুটোই বেশি লাগে। তাই প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করে ছোট ছোট অংশ পরিষ্কার করুন—যেমন, আজ ড্রইংরুম, কাল রান্নাঘরের তাক, পরশু শোবার ঘর। এতে ঘর নোংরা হওয়ার সুযোগ পাবে না। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন ঘরে যত বেশি অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমে, ততই ধুলো ও অগোছালো অবস্থা বাড়ে। নিয়মিত আলমারি, টেবিল, তাক দেখে পুরোনো জামা, কাগজপত্র বা ব্যবহারহীন জিনিস সরিয়ে ফেলুন। মিনিমালিস্ট জীবনযাপন ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার অন্যতম উপায়। প্রতিদিন বিছানা গুছিয়ে নিন বিছানা অগোছালো থাকলে পুরো ঘরই নোংরা মনে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানার চাদর ভাঁজ করে গুছিয়ে নিলে শোবার ঘর অনেক পরিপাটি দেখাবে। রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন খাওয়ার পর থালা-বাসন ধুয়ে ফেলুন, সিঙ্কে জমতে দেবেন না। রান্নাঘরের টেবিল, চুলা ও ফ্রিজের দরজা নিয়মিত মুছে রাখুন। রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন থাকলে পুরো ঘরেই পরিচ্ছন্নতার ছাপ পড়বে। মেঝে ঝাড়ু ও মপ করুন প্রতিদিন অন্তত একবার ঝাড়ু দিন এবং সপ্তাহে অন্তত দু’বার ভিজে মপ করুন। এতে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু কমবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা থাকলে মেঝে পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডাস্টবিন নিয়মিত খালি করুন ডাস্টবিনে আবর্জনা জমলে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। তাই প্রতিদিন ডাস্টবিন খালি করুন ও সপ্তাহে অন্তত একবার জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জানালা-দরজা খোলা রাখুন প্রতিদিন কিছু সময় জানালা ও দরজা খোলা রাখলে বাতাস চলাচল হয়। এতে ঘরের গন্ধ দূর হয় এবং পরিবেশ থাকে সতেজ। পরিবারকে অভ্যাস করান পরিচ্ছন্ন ঘর শুধু একজনের দায়িত্ব নয়। পরিবারে সবাইকে নিজ নিজ জিনিস গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করাতে হবে। যেমন—ব্যবহারের পর কাপড় ঝুলিয়ে রাখা, বই-খাতা আলমারিতে রাখা, খেলনা বাক্সে রাখা ইত্যাদি।

ঘুম আসে না? রাতে বিশেষ এই পানীয় পান করুন

ঘুম আসে না? রাতে বিশেষ এই পানীয় পান করুন রাতে ঘুমের জন্য যাদের লড়াই করতে হয় না, তারা সৌভাগ্যবান। কিন্তু অনেকেরই সেই সৌভাগ্য হয় না। আলো কমিয়ে দেওয়া, ফোন দূরে রাখা, গরম কিছু পান করা- এরকম নানা অভ্যাসও সঠিক সময়ে ঘুম আনতে পারে না অনেক সময়। তবে কিছু উপকারী পানীয় আছে যা আপনাকে রাতে ভালো ঘুমে সাহায্য করতে পারে। সেরকম একটি হলো, জিরা দুধ। উষ্ণ দুধ দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সময় একটি প্রধান পানীয় হিসেবে পরিচিত, তবে এতে জিরা যোগ করলে উপকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে হজম, ঘুম এবং চাপ উপশমের জন্য। জিরা দুধ কী এবং কেন এটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে : জিরা গুঁড়া মিশ্রিত এক গ্লাস গরম দুধ। ঐতিহ্যগতভাবে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে এটি খাওয়া হয়, এটি হজম, প্রশান্তি এবং ঘুম বর্ধক বৈশিষ্ট্যের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, জিরা (কিউমিনাম সাইমিনাম) জিরাক নামে পরিচিত, যার অর্থ ‘যা হজম করে’। এটি লঘু (হালকা), রুক্ষ (শুষ্ক) এবং উষ্ণা (গরম) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ, যা কফ এবং বাত দোষের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এটিকে আদর্শ করে তোলে। দুধের সাথে মিলিত হলে এটি শীতল এবং পুষ্টিকর হয়ে ওঠে, এই মিশ্রণটি প্রায় সবার জন্য উপযুক্ত প্রতিকার হয়ে ওঠে। জিরা দুধ কি ঘুমের মান উন্নত করতে পারে? হ্যাঁ। জিরাতে মেলাটোনিন থাকে। এই হরমোন ঘুম-জাগরণ চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। এতে থাইমোকুইনোনও রয়েছে, যা ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ঘুমের মান উন্নত করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশনে প্রকাশিত ২০২৪ সালের একটি ডাবল-ব্লাইন্ড গবেষণায় দেখা গেছে যে, জিরার নির্যাস (BCO-5) ঘুমের দক্ষতা উন্নত করে, ঘুমের লেটেন্সি হ্রাস করে এবং অংশগ্রহণকারীদের মোট ঘুমের সময় বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে – ঘুম নিয়ন্ত্রণের জন্য উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্য স্লিপ ডক্টর নামে পরিচিত ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডঃ মাইকেল ব্রুস নিশ্চিত করেছেন যে, উষ্ণ দুধে ট্রিপটোফ্যানের পরিমাণ থাকার কারণে এটি আরও ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। জিরা এবং দুধ একসাথে শান্ত, ঘুম-বান্ধব মিশ্রণ তৈরি করে যা স্নায়ুতন্ত্র এবং পাচনতন্ত্র উভয়ের ওপর কাজ করে, যা হতে পারে আপনার রাতের রুটিনে একটি স্মার্ট সংযোজন।

রূপচর্চায় হলুদের জাদু!

রূপচর্চায় হলুদের জাদু! রান্নায় অপরিহার্য মসলা হলুদ। বাংলাদেশি রান্নায় যেন হলুদ ছাড়া কোনো তরকারি রাঁধাই সম্ভব না। কিন্তু কেবল হলুদ কেবল আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু ও সুন্দর করে তোলে না চাইলে আপনার বিউটি রুটিনেও হলুদ বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে দেখে নেওয়া যাক। গায়ের রঙ উজ্জ্বল করে আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবেই গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে চান তবে হলুদ ব্যবহার করুন। বিয়ের আগে গায়ে হলুদের আয়োজন কেন করা হয় জানেন তো? বিশেষ দিনটিতে কন্যার গায়ের রঙ যেন খোলাশা হয় সেজন্যেই। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং জীবানু-নিরোধক উপাদান যার দরুণ এটি ব্যবহারে গায়ের রঙ উজ্জ্বল, সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে চোখের নিচে কালো দাগ যার থাকে, সেই বোঝে কত যন্ত্রণার বিষয় এটি! বাজারে অনেক ধরনের সামগ্রী পাওয়া যায় এটি দূর করার জন্যে, কিন্তু সবগুলোই কি নিরাপদ ও কার্যকরী? প্রতিদিন নিয়ম করে হলুদ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক চোখের আশেপাশে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন। দাঁত সাদা করে আপনার হয়তো মনে হতে পারে হলুদ আবার কীভাবে দাঁত সাদা করবে? কিন্তু হ্যাঁ, হলুদ দাঁতকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তোর মতন সাদা করে তোলে এবং দাঁত ব্যথা এবং জিঙ্গাইভিটিস দূর করে। আপনি প্রতি সকালে টুথপেস্ট হিসেবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন, ফলাফল কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন। ব্রণের সঙ্গে যুদ্ধ করে মুখের ব্রণ দূর করতে হলুদ দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কারণ এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক থাকে। লালচে ভাব ও ব্যথা কমিয়ে এটি ধীরে ধীরে ব্রণ সারিয়ে তোলে। আপনি যদি অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে টোনার বানিয়ে কিছুদিন ব্যবহার করতে থাকেন, তবে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাবেন। ব্রণের দাগ সারাতেও এটি সমান উপকারী। বয়সের ছাপ কমিয়ে দেয় আপনার ত্বকে উল্লেখযোগ্য হারে বয়সের ছাপ পড়ছে? কিংবা সূর্যের আলোতে অধিক সময়ে অবস্থানের কারণে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়েছে? চিন্তার কিছু নেই। আধা চা-চামচ হলুদ গুড়োর সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। দশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে ত্বকে লাবণ্য ফিরে আসবে। দেখলেন তো, রান্নার কাজে অপরিহার্য মসলা হলুদ ত্বকের সুরক্ষায় কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকেই বিউটি রুটিনে হলুদ যোগ করুন এবং ফলাফল নিজের চোখেই দেখুন।

শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে প্রয়োজন নিয়মিত কিছু খাবার

শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে প্রয়োজন নিয়মিত কিছু খাবার দেশের নারীদের জন্য রক্তস্বল্পতা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে তাকেই মূলত অ্যানিমিয়া বলা হয়৷ রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হলে ক্ষুধামন্দা, শরীর ক্লান্ত বোধ করা, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, সব সময় অস্বস্তিবোধ করা, অস্বাভাবিক হৃদকম্পন ও মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত কিছু খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে: ভিটামিন সি : ভিটামিন সি-র অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। আমলকী, পেঁপে, বাতাবিলেবু, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকোলি, আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। আয়রন : হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো- দেশি সুস্থ মুরগির কলিজা, কচু শাক, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আমন্ড, বিট, বেদানা, খেজুর। আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেইড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এছাড়া মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এই উপকরণগুলো শরীরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। নিয়মিত দুধ, ডিমও খেতে হবে। অ্যানিমিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন ও পুষ্টিকর উপাদান উৎপাদনের জন্য হৃদপিন্ডের প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয়৷ এতে হার্ট ফেল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য অ্যানিমিয়া হলে শুরু থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ জেনে সে অনুযায়ী খাবার ও ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

টানা কাজ করতে করতে মাথা ধরলে কী করবেন?

টানা কাজ করতে করতে মাথা ধরলে কী করবেন? কাজের মাঝে আচমকা মাথাব্যথা শুরু হলে কাজ থামানো সম্ভব হয় না—ঘুমানোর বা দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগও থাকে না। তবু কিছু সহজ উপায় মেনে চললে অফিস বা বাড়িতে বসেই মাথাব্যথা অনেকটা কমানো সম্ভব। সম্ভাব্য কারণ : একটানা কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, বিশ্রামের অভাব ও স্ট্রেস—এসবই মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনও এর জন্য দায়ী। সহজ সমাধান: বেশি করে পানি পান করুন : শরীরে পানির অভাব দূর করতে পর্যাপ্ত পানি খান। ডিহাইড্রেশনের কারণে হওয়া মাথাব্যথা প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যেই উপশম পেতে শুরু করে। পানিযুক্ত ফল খান : তরমুজ, শসা বা কমলালেবুর মতো ফল খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। অল্প বিরতি নিন ও মাথায় ম্যাসাজ দিন : কাজের ফাঁকে কয়েক মিনিটের বিরতি নিয়ে হালকা মাথা ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ব্যথা কমে। ঠান্ডা সেঁক বা পানি দিয়ে ঝাপটা দিন : বাড়িতে থাকলে বরফ কাপড়ে মুড়িয়ে কপাল ও ঘাড়ে সেঁক দিন। অফিসে থাকলে ঠান্ডা পানিতে মুখ, চোখ ও ঘাড় ধুয়ে নিন—ফ্রেশ লাগবে, ব্যথা উপশম হবে। আদা চা পান করুন : আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথাব্যথা কমাতে কার্যকর। বমি ভাব থাকলেও উপকার পাবেন।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং জনপ্রিয় কেন

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং জনপ্রিয় কেন বর্তমান সময়ে ওজন কমানো, স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য মানুষ এখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর প্রতি ঝুঁকছে। দেখা গেছে নিয়ন্ত্রিত ফাস্টিং এর মাধ্যমে ওজন কমানো ও অতিরিক্ত ওজনের ফলে যেসব রোগব্যাধি হয় সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে আনে। যার ফলে ওজন কমে অন্যদিকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হরমোন লেভেলকে এমনভাবে পরিবর্তন করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি শরীরের ইনস্যুলিন কমিয়ে গ্রোথ হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি চর্বি ঝরানোর হরমোন নোরাড্রেনালিন এর নিঃসরণও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে এর ফলে পেটের চারপাশের ক্ষতিকর চর্বি, যেগুলোর কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলোও ঝরে যায়। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর সফলতা নির্ভর করে কম ক্যালোরি গ্রহণের উপর। খাবার গ্রহণের সময় যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে কাংখিত ফলাফল পাওয়া যাবেনা। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ আনোয়ারা পারভীন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার আলোচনার ভিত্তিতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতিগুলো হলো… ১৬/৮ ঘণ্টা ফাস্টিং: এই পদ্ধতিতে সকালের নাস্তা খাবেন না। বেলা ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া করবেন। এরপর ১৬ ঘণ্টার ফস্টিং। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার ভাল সময় হল ডিনারের পরে। রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়ে বাকি সময়টা উপোস দিন। ফলে, ঘুমনোর সময়েই ৭-৮ ঘণ্টা এমনিতেই গ্যাপ হয়ে যাবে। আর সকালে সময় মতো খেলেই হল। খান-থামুন-খান: এই পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টা করে কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন প্রতি সপ্তাহে ১ বা ২ বার। যেমন ধরুন একদিন রাতের খাবার খেয়ে পরদিন রাতে খাবেন। ৫/২ ডায়েট: এই পদ্ধতিতে প্রতি সপ্তাহে পরপর ২ দিন ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরির খাদ্য গ্রহণ করুন। বাদবাকি দিনগুলোতে স্বাভাবিক খাবার খান। ১৬/৮ ঘণ্টার পদ্ধতিটি সহজ বলে মনে হয় অনেকের কাছে। এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়ও বটে। খাবার কেমন হবে- ফাইবারে ভরপুর ফল ও শাকসব্জি রাখুন খাদ্যতালিকায়। অঙ্কুরিত ছোলা, চিকেন, অল্প তেলে রান্না মাছ, স্যালাড, সবজির তরকারি, ডিম খেতে পারবেন। ব্রাউন রাইস খেলে বেশি ভাল হয়। ব্রকোলি, আলু, আমন্ড বাদাম, পপকর্ন, গোটাশস্য বেশি করে খান। এছাড়া খাবারের তালিকায় তাজা ফলের ক্ষেত্রে এমন ফল রাখুন যেগুলো কম মিষ্টি। যেমন- মিষ্টি কম এমন ফল হলো আপেল, কমলা, মাল্টা, আংগুর, আনার, জাম, আমলকি ইত্যাদি। একটা ডায়েট চার্ট তৈরি করা ভালো। কখন কী খাবেন, কতটা খাবেন, তা লিখে রাখুন। ফাস্টিংয়ের পরে বেশি খেয়ে ফেললে চলবে না।   ফাস্টিং কখন করা যাবে না – আপনি যদি আন্ডার ওয়েট হয়ে থাকেন অথবা আপনার যদি ইটিং ডিজ-অর্ডার থেকে থাকে। তবে, চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করতে যাবেন না। মনে রাখা জরুরী, খাবার সময়টাতে যদি জাংক ফুড অথবা অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন তাহলে ফাস্টিং কোন কাজে আসবে না। যে খাবারগুলি আপনাকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার সময়ে ওজন কমতে বাধা দিবে সেগুলো হচ্ছে- সোডা,এ্যালকোহল,ভাজা খাবার,অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার,সরল শর্করা,প্রদাহ বৃদ্ধিকারী তেল যেগুলো শস্যদানা থেকে প্রস্তুত হয়।,অতিরিক্ত ক্যাফেইন।

জেনে নিন ১ মিনিটে ফ্যান পরিষ্কারের সহজ টিপস!

জেনে নিন ১ মিনিটে ফ্যান পরিষ্কারের সহজ টিপস! ঘর যতই পরিষ্কার রাখতে চাই, ধুলা থেকে মুক্তি মেলা সত্যি কঠিন। নিচের ধুলো-ময়লা তবুও পরিষ্কার করে মোছা যায়, কিন্তু বিপত্তি হয় সিলিং ফ্যান নিয়ে। এটি ওপরে থাকায় সহজে পরিষ্কার করা যায় না। ফলে অনেক বেশি ময়লা জমে, এটি দেখতে খারাপ লাগে। আর বাতাসের সঙ্গে ধুলো পুরো ঘরে ছড়িয়েও যায়। ফ্যান পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলার, সময়ও লাগে অনেকক্ষণ! কেমন হয় এই কঠিন কাজটি যদি মাত্র এক মিনিটে করা যায়? জেনে নিন, কোনো ঝামেলা ছাড়া ফ্যান পরিষ্কার করার পদ্ধতি: একটি পুরোনো বালিশের কভার নিন। এবার এটি দিয়ে ফ্যানের ব্লেডের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ঢেকে দিন। বালিশের কভারটি দু হাত দিয়ে পাখার ব্লেডের ওপরে চেপে ধরে বাইরের দিকে টান দিন। এবার দেখুন, ফ্যানের সব ময়লা চলে এসেছে। এভাবেই সবগুলো ব্লেড পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে একবার এভাবে ফ্যান পরিষ্কার করুন। ফ্যানের সঙ্গে ঘরও পরিষ্কার থাকবে।