এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা খাবেন
এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা খাবেন বর্ষা শেষ হয়ে শরৎ এলেও বৃষ্টি হচ্ছেই। এই রোদ তো পরক্ষণেই আবার ঝরছে বৃষ্টি। আবহাওয়ার এমন অবস্থায় থাকে বিভিন্ন অসুখের ভয়। সংক্রমণের ঝুঁকি, হজমের সমস্যা এবং শক্তির স্তরের ওঠানামা সেসবের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে এই সময়ে পুষ্টিকর সুষম খাদ্য বজায় রাখা অপরিহার্য। স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো মাল্টিভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারগুলো আপনাকে সাহায্য করবে- ১. ভিটামিন সি ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, সাধারণ সংক্রমণ এবং সর্দি থেকে রক্ষা করে, যা এসময়ে বেশি হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ, অফিস অফ ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস অনুসারে, ভিটামিন সি, বা এল-অ্যাসকরবিক অ্যাসিড একটি পানিতে দ্রবণীয় অপরিহার্য পুষ্টি। মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না। এই ভিটামিন প্রাকৃতিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু খাবারে থাকে এবং অন্য খাবারের সঙ্গে যোগ করা যায় বা সম্পূরক হিসেবে খাওয়া যায়। লেবু, কমলা, জাম্বুরা, আমলকি, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ২. ভিটামিন ডি বর্ষাকালে সূর্যালোক কমে গেলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে যেতে পারে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ২০১০ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। উচ্চ ভিটামিন ডি শক্তিশালী হাড় বজায় রাখে। প্রাকৃতিক সূর্যালোক সর্বোত্তম উৎস হলেও, পর্যাপ্ত মাত্রা বজায় রাখার জন্য দুধ, সিরিয়াল এবং পরিপূরকের মতো শক্তিশালী খাবার বেছে নিতে পারে। ৩. বি ভিটামিন বি-৬, বি-১২ এবং ফলিক অ্যাসিড সহ বি ভিটামিন শক্তি উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যকর বিপাক বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাবারে গোটা শস্য, শিম, বীজ, বাদাম এবং শাক-সবজি যোগ করুন। বি-১২ প্রাথমিকভাবে প্রাণিজ পণ্যে পাওয়া যায়, তাই আপনি যদি নিরামিষ বা নিরামিষাশী হন তবে একটি সম্পূরক খেতে পারেন। ৪. জিঙ্ক জিঙ্ক ইমিউন ফাংশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, জিঙ্ক ইমিউন ফাংশনের জন্য অপরিহার্য, নিউট্রোফিলস এবং প্রাকৃতিক ঘাতক কোষের মতো প্রধান প্রতিরোধক কোষ কার্যকরী রাখতে কাজ করে। বাদাম, বীজ, লেবু এবং গোটা শস্যের মতো খাবার নিয়মিত খেতে হবে। ৫. প্রোবায়োটিকস এসময় খাবারে আর্দ্রতা এবং দূষণের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে হজমের সমস্যা হতে পারে। প্রোবায়োটিক স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের উদ্ভিদ বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনার খাদ্যতালিকায় দই, সাউরক্রাউট এবং অন্যান্য গাঁজনযুক্ত খাবার যোগ করুন। প্রোবায়োটিক সম্পূরকও উপকারী হতে পারে। ৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা বর্ষাকালে আরও বেশি হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রঙিন ফল এবং শাক-সবজি যোগ করুন, যেমন বেরি, টমেটো, পালং শাক এবং বেল পেপার।
বর্ষাকালে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
বর্ষাকালে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে বর্ষা গরমের তীব্রতা থেকে মুক্তি দেয়, নিয়ে আসে স্বস্তি। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে এসময় জলবাহিত রোগ, হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং সংক্রমণসহ অনেকগুলি স্বাস্থ্য সমস্যাও নিয়ে আসে। এই সময়ে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনি কী খাচ্ছেন সেদিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার দূষণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বা বর্ষাকালে স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুস্থ ও নিরাপদ থাকার জন্য বর্ষাকালে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সবজি যদিও পালং শাক, লেটুস এবং বাঁধাকপির মতো শাক-সবজি সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়, তবে বর্ষা মৌসুমে এগুলো সমস্যার কারণ হতে পারে। স্যাঁতসেঁতে এবং আর্দ্র অবস্থা এই সবজিতে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগজীবাণুর জন্য একটি আদর্শ প্রজনন স্থল। ভেজা অবস্থার কারণে পাতাযুক্ত শাক সহজেই ময়লা, জীবাণু এবং পোকার ডিম দ্বারা দূষিত হতে পারে। এগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করা কঠিন, ফলে পেটের সংক্রমণ এবং ডায়রিয়ার মতো খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। বাইরের খোলা খাবার পথের পাশের খাবার প্রস্তুত এবং পরিবেশন করা হয় খোলা পরিবেশে। এ ধরনের খাবার বৃষ্টির পানি এবং মাছির মাধ্যমে দূষিত হতে পারে। রাস্তার খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত পানি বিশুদ্ধ নাও হতে পারে, যা কলেরা এবং টাইফয়েডের মতো জলবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রাস্তার খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, পরিষ্কার, তাজা উপাদান এবং নিরাপদ রান্নার অভ্যাস ব্যবহার করে বাড়িতে একই ধরনের স্ন্যাকস তৈরি করুন। মাশরুম মাশরুম ছত্রাক এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেড়ে ওঠে, যা বর্ষাকালে খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বর্ষাকালে কেন মাশরুম এড়িয়ে চলা উচিত? বন্য মাশরুম আর্দ্র অবস্থায় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং টক্সিন দ্বারা সহজেই দূষিত হতে পারে। কিছু মাশরুম হজম করা কঠিন হতে পারে, যা সম্ভাব্য পেট খারাপের কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে, তাজা, খামারে জন্মানো মাশরুম বেছে নিন। সেগুলো খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার ও সেদ্ধ করে নিন।
পিরিয়ডের সময় ব্রণ? যেভাবে দূর করবেন
পিরিয়ডের সময় ব্রণ? যেভাবে দূর করবেন মাসিক চক্র জুড়ে হরমোনের মাত্রা ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। পিরিয়ডের ঠিক এক বা দুই সপ্তাহ আগে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, এর ফলে তেল গ্রন্থিগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে। এই অতিরিক্ত তেল মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে এবং ব্রণের সৃষ্টি করে। এই ব্রণ সাধারণত নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে সেজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খান স্বাস্থ্যকর খাবার শুধু রোগ প্রতিরোধই করে না, এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্রণ হোক বা প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম (PMS)-জনিত ব্রণ হোক, শাক-সবজি, ফলমূল, দানাশস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার উপশম দিতে পারে। সেইসঙ্গে চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অ্যালকোহলের মতো খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম ব্যায়াম নিজেই ব্রণ নিরাময় করে না; তবে এটি ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ওয়ার্কআউট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, শর্করা অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করতে পারে যা তেল উৎপাদন বাড়ায়, ব্রণের একটি প্রধান কারণ। ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করে, ত্বকের কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পৌঁছে দেয় এবং বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। পিরিয়ডের সময় হরমোন ওঠানামা করে। এটি আপনার তেল গ্রন্থিগুলোকে সিবাম অতিরিক্ত উৎপাদন করতে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে ছিদ্র আটকে যায় এবং ব্রণ হয়। ব্রণ তখনই হয় যখন আপনার শরীর চাপের মধ্যে থাকে, কারণ এটি কর্টিসল নিঃসরণ করে, যা হরমোনের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। এর ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্ট্রেস দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশনের মতো কৌশল বেছে নিতে হবে। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও এক্ষেত্রে জরুরি।
পর্যাপ্ত না ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়
পর্যাপ্ত না ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয় আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুম নিয়ে অবহেলা করলে ভুগতে হতে পারে নানা সমস্যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যদি আপনি অন্তত ছয় ঘণ্টারও কম সময় ঘুমান তাহলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এদিকে খেয়াল করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক পর্যাপ্ত না ঘুমালে আপনার কী কী ক্ষতি হতে পারে- অনিদ্রা অনিদ্রা মূলত আমাদের অভ্যাসের কারণেই হয়ে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ঘুমে অবহেলা করেন তাহলে ঘুমের সময়সূচি নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আর ঠিক সময়ে ঘুম আসতে চাইবে না। তাই প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমও হবে। ফলে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। মস্তিষ্কের ক্ষতি ঘুম পর্যাপ্ত না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। আপনি যদি ঘুমে অনিয়ম করেন তাহলে বিষয়টি নিজেই টের পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা কমতে থাকে। এর ফলে দেখা দিতে পারে হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যাও। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই সমস্যা একবার দেখা দিলে সহজে দূর হয় না। অনেকে মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পেছনে কেবল আমাদের খাবারই দায়ী। আসলে তা নয়। এর নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুমও। কারণ ঘুমের অভাব হলে তা প্রভাব ফেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রেও। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন। বিষণ্ণতা বিষণ্ণতা কোনো শখের অসুখ নয়। অনেক বেশি মানসিক চাপ থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা নিয়মিত না ঘুমায় তারা অন্যদের মতো হাসিখুশি কিংবা কর্মক্ষম থাকতে পারে না। কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। সেখান থেকে দেখা দেয় বিষণ্ণতা। তখন মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে এবং কাজেও মন বসে না। বিষণ্ণতা কিন্তু শরীরেও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
চুল লম্বা করতে কী খাবেন?
চুল লম্বা করতে কী খাবেন? অনেক চেষ্টা করেও চুল লম্বা করতে পারেন না কেউ কেউ। বাইরে থেকে যত যত্নই নেওয়া হোক না কেন, আপনার শরীর যদি পর্যাপ্ত পুষ্টি না পায় তবে চুল কাঙ্ক্ষিত লম্বা হবে না। এমনকী চুল হারাবে তার উজ্জ্বলতাও। তাই সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য যত্ন তো নেবেনই, তারও আগে পুষ্টিকর ও চুলের জন্য উপকারী খাবার খাওয়া জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে- আমন্ড বাদামের মধ্যে আমন্ড বেশ পুষ্টিকর ও জনপ্রিয়। এই বাদামে মিলবে প্রচুর ভিটামিন ই। এই ভিটামিন মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এই বাদাম খেলে চুল হবে মসৃণ এবং লম্বা। তাই লম্বা চুল পেতে চাইলে আমন্ড বাদাম নিয়মিত খাবেন। সবুজ শাক পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো সবুজ শাক। এতে থাকে প্রচুর আয়রন এবং সেইসঙ্গে আরও থাকে ভিটামিন ই। নিয়মিত শাক খেলে তা ভালো হজমেও ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে চুলে জোগায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি। তাই লম্বা চুল পেতে চাইলে আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে সবুজ শাক। এতে আপনার ত্বকও উজ্জ্বল হবে। সূর্যমুখী বীজ সূর্যমুখী বীজ হলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ অন্যতম খাবার। এই বীজ আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করে। সেইসঙ্গে চুল ভালো রাখতেও কাজ করে। ভিটামিন ই যুক্ত সূর্যমুখী বীজ আপনার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দই কিংবা সালাদের সঙ্গে খেতে পারেন এই বীজ। অ্যাভোকাডো চুলের জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো অ্যাভোকাডো। এই ফলে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন ই। এটি শুধু শরীরের নয়, চুলের জন্যও ভীষণ কার্যকরী। নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে চুল মজবুত এবং সুন্দর হবে। সেইসেঙ্গ পাবেন কাঙ্ক্ষিত চুল। প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
ত্বক উজ্জ্বল করতে ফলের ব্যবহার
ত্বক উজ্জ্বল করতে ফলের ব্যবহার সৌন্দর্য চর্চা কিংবা রূপচর্চা মানেই পার্লারে গিয়ে অনেক সময় কিন্তু অনেক অর্থ ব্যয় করে কিছু করা সেরকম নয়, ঘরে বসে খুব অল্প সময়ে খুব অল্প উপকরণ দিয়ে চাইলে ত্বকের যতœ নেওয়া যায়। তাই খুব সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানো যাক আর সেগুলো যদি হয় মৌসুমি ফল দিয়ে তাহলে তো কোন কথাই নেই। তাহলে চলুন কিছু মৌসুমি ফল দিয়ে রূপচর্চার করা যাক: আমে আছে ভিটামিন সি, এ, ই ও বি৬। এই ভিটামিনগুলো ত্বক ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে আমে থাকে কপার এবং ফোলেট। এই উপাদানগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ১ চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ চামচ টক দই, ১/২ চামচ মধু ও পাকা আম মিক্স করে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন ত্বক মসৃণ উজ্জ্বল এবং কোমল লাগবে সাথে তোকে একটা বাড়তি উজ্জ্বল ভাবও আসবে। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে দুটোই ত্বকের জন্য খুবই ভালো। পেঁপে এবং কলার মিশ্রণটি একসাথে মিক্স করে সেখানে হাফ চা চামচ চন্দন গুড়া ও পানি মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট তোকে রাখুন এরপর ধুয়ে ফেলুন ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব এবং ত্বকে থাকা ময়লা দূর হয়ে যাবে। রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে শসা। শসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সিলিকা সমৃদ্ধ, যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। শসার রসের সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। শসার প্রশান্তিদায়ক উপাদান ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।