বাড়িতেই বানান বড়দিনের বিশেষ লগ কেক

বাড়িতেই বানান বড়দিনের বিশেষ লগ কেক   আগামীকাল বড়দিন। আনন্দঘন সময়ের মধ্যে দিয়ে পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে সকাল থেকে রাত অব্দি কাটবে। এদিন বাড়িতেই প্রিয় লগ কেক বানিয়ে প্রিয়জনদের চমকে দিন। উপকরণ: স্পঞ্জ কেকের জন্য– ডিম চারটি, চিনি আধা কাপ, ময়দা আধা কাপ, কোকো পাউডার দুই টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স এক চা চামচ, লবণ এক চিমটি। ফিলিংয়ের জন্য হুইপিং ক্রিম এক কাপ, আইসিং সুগার দুই টেবিল চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ। চকলেট কোটিংয়ের জন্য ডার্ক চকলেট ২০০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম-হেভি ক্রিম আধা কাপ, বাটার এক টেবিল চামচ। প্রস্তুত প্রণালি: স্পঞ্জ কেক তৈরির জন্য ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে প্রিহিট করুন। ডিম ও চিনি ভালো করে ফেটিয়ে নিন। ময়দা, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার ও লবণ একসঙ্গে চেলে মিশিয়ে নিন। ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করুন। বেকিং ট্রেতে বাটার পেপার দিয়ে ব্যাটার ঢালুন। ১০-১২ মিনিট বেক করুন। হালকা গরম অবস্থায় কাপড়ের ওপর উল্টে ধীরে ধীরে রোল করে রাখুন। হুইপিং ক্রিম ও আইসিং সুগার বিট করে শক্ত করুন। রোল খোলা হলে ভেতরে ক্রিম লাগান। আবার শক্ত করে রোল করুন। এবার চকলেট ও ক্রিম গলান। বাটার মিশিয়ে মসৃণ করুন। কেকের ওপর ঢেলে ছুরি বা স্প্যাটুলা দিয়ে গাছের ছালের মতো দাগ টানুন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে গোলাপজলের সঙ্গে কী মেশালে 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে গোলাপজলের সঙ্গে কী মেশালে  ত্বকের যত্নে বহু বছর ধরে গোলাপজল ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ত্বক পরিষ্কার করে। একইসঙ্গে ত্বক হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে যদি কিছু বিশেষ জিনিস যোগ করেন, তাহলে কার্যকারিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। এ মিশ্রণ একটানা ৩০ দিন ব্যবহার করলে, ত্বক অনেকটা উজ্জ্বল হবে। মধু : মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও, মধু ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে। পাশাপাশি এটি বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। গোলাপজলের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু যোগ করুন। এরপর এটি মুখে লাগিয়ে ৫-৭ মিনিট আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। অ্যালোভেরা জেল : অ্যালোভেরার গুণ অনেক। এটি ত্বকে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলে প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্রণ এবং ব্রণের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে এক চা চামচ গোলাপ জল ও মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল : ভিটামিন ই ত্বক মেরামত এবং বলিরেখা কমাতে কার্যকর। এটি ত্বককে তরুণ ও সুস্থ রাখে। সঙ্গে কালো দাগ- ছোপ কমায়। এমনকি এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিন। ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে গোলাপজল, অ্যালোভেরা জেল ও মধুর মিশ্রণে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আলতো করে মুখে-ঘাড়ে লাগান। আঙুলের সাহায্যে ৫-৭ মিনিট বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এটি লাগান।

এখনই শীতে হাত-পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবস্থা নিন

এখনই শীতে হাত-পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবস্থা নিন শীতকাল মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি। তবে এর মাঝেই অনেকের জীবনে নেমে আসে অস্বস্তি। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ, প্রাণহীন ও খসখসে। বিশেষ করে ঠোঁট, হাত-পা ফাটার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। সারাক্ষণ জ্বালা, চুলকানি কিংবা ব্যথায় একেবারেই স্বস্তি থাকে না। কিন্তু এ জন্য মন খারাপ করার কারণ নেই। ত্বকের সঠিক যত্ন নিলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শীতের সময় হাত-পা ফাটার অন্যতম প্রধান কারণ, ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা। ঠান্ডা বাতাস, কম আর্দ্রতা এবং ত্বকের প্রতি অবহেলা- এ তিনটি বিষয় একসঙ্গে কাজ করে ত্বককে রুক্ষ করে তোলে। অনেক সময় সঠিক পরিচর্যার অভাবে এই রুক্ষতা বাড়তে বাড়তে ত্বক ফেটে যায়। তাই শীতের শুরু থেকেই নিয়মিত ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। গোসলের পর ও হাত-পা ধুয়েই ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাত-পা ফাটার সমস্যা এড়ানো যায়। অনেকে মনে করেন, শীতকালে রোদের ক্ষতি কম, কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি মোটেও তা নয়। শীতের রোদও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে বাইরে দীর্ঘ সময় থাকলে। তাই বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই হাত-পা ও খোলা জায়গায় সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়াও কমায়। শীতকালে শরীরের কিছু অংশ তুলনামূলকভাবে বেশি রুক্ষ হয়ে ওঠে। যেমন- হাঁটু, গোঁড়ালি ও কনুই। এ জায়গাগুলোয় নিয়মিত যত্ন না নিলে দ্রুত ফাটল ধরতে পারে। এসব ক্ষেত্রে গ্লিসারিন খুব কার্যকর। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এ জায়গাগুলোয় গ্লিসারিন লাগালে ত্বক নরম থাকে। যদি রুক্ষতা বেশি হয়, তবে সপ্তাহে একবার লেবু ও মধু মিশিয়ে হালকা মেসেজ করা যেতে পারে। এতে মৃত কোষ দূর হবে এবং ত্বক ফিরে পাবে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। বাইরে থেকে ফিরে কুসুম গরম পানিতে সামান্য সোডা মিশিয়ে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখাও বেশ উপকারী। এরপর চিনি, লবণ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ের তলায় আলতো করে মেসেজ করলে মৃত চামড়া উঠে যায়। খুব বেশি ফাটা না থাকলে ঝামা দিয়ে পায়ের তলা ঘষে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি সম্ভব হলে মাসে অন্তত একবার মেনিকিউর ও পেডিকিউর করালে হাত-পায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। যাদের শীতে পা ফাটার প্রবণতা বেশি, তারা এখন থেকেই নিয়মিত মোজা পরার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শুষ্কতা অনেকটাই কমবে। শীতকালে শুধু ত্বক নয়, নখও হয়ে ওঠে শুষ্ক ও দুর্বল। ফলে নখ ভেঙে যাওয়া বা ফেটে যেতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি নখকে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি নখভাঙা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গরম পানি ও অল্প শ্যাম্পু মিশিয়ে নখ ভিজিয়ে রাখা নখের যত্নে কার্যকর। শীতকালে প্রায় সবারই ঠোঁট ফাটে। এর প্রধান কারণ ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা এবং এতে তেলগ্রন্থি কম থাকে। ফলে শুষ্কতা দ্রুত দেখা দেয়। এ সময় নিয়মিত লিপবাম, চ্যাপস্টিক বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা জরুরি। লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই বা সানস্ক্রিনযুক্ত লিপস্টিক বেছে নেওয়া ভালো। চেষ্টা করুন ঠোঁট যেন সব সময় আর্দ্র থাকে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগান। ডা. তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ

নিয়মিত খেতে হবে যে কারণে এই ৩ সুপারফুড

নিয়মিত খেতে হবে যে কারণে এই ৩ সুপারফুড ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য পরস্পর সম্পর্কিত। গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, স্থূলতা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে, অন্যদিকে স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসব সমস্যা বেশ জটিল এবং বিভিন্ন কারণের দ্বারাও প্রভাবিত হয়। তবে খাদ্যাভ্যাস এসব সমস্যার ঝুঁকি কমাতে এবং এর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত। জেনে নিন এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে- *পালং শাক : আপনি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় না ভুগলেও সবুজ শাক-সবজি আপনার খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত। তার মধ্যে একটি হলো পালং শাক। এটি বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উদ্ভিদ যৌগে ভরপুর যা শরীরের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। পালং শাকের উচ্চ ফাইবার এবং পানি থাকা এটি ওজন কমানোর খাবারের পাশাপাশি ডায়াবেটিসের খাবার হিসেবেও দুর্দান্ত। পালং শাকে নাইট্রেটও রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে বলে জানা যায়। আপনি পালং শাক স্যুপ, সালাদ এবং স্ন্যাকস তৈরিতে এবং সবজি ও ডালেও ব্যবহার করতে পারেন। *বাদাম : বাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখতে কাজ করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় বাদাম ক্ষুধা কমাতে এবং তৃপ্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ফাইবারও বেশি থাকে, যা ওজন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে কয়েকটি বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপনি এটি আপনার স্ন্যাকস, স্যুপ এবং পানীয়তেও যোগ করতে পারেন যাতে এর স্বাদ এবং গঠন বিভিন্ন উপায়ে উপভোগ করতে পারেন। *সবুজ মুগ ডাল : সবুজ মুগ ডাল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে বলে জানা যায়। উভয়ই হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই মুগের গ্লাইসেমিক সূচক কম এবং এতে ফাইবারের পাশাপাশি প্রোটিনও বেশি। মুগ ডাল দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি এড়াতে কাজ করে। তাই যারা ওজন কমাতে বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের অবশ্যই আরও বেশি করে সবুজ মুগ খাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত।

এলাচ খেলে কী হয় খাবারের পরে

এলাচ খেলে কী হয় খাবারের পরে এলাচ আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম উপকরণ। এটি খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ায়। অনেক সময় খাবারের শেষে মুখ সতেজ রাখতে চিবিয়েও খাওয়া হয়। এই অভ্যাসটি কি আসলেই উপকারী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলাচে প্রয়োজনীয় তেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হজমের আরাম এবং মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যবিধিতে অবদান রাখে। তবে এলাচের মতো মসলা অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এর প্রভাব পুষ্টির পরিমাণের চেয়ে সুগন্ধ এবং সক্রিয় যৌগ থেকে আসে। খাবারের পরে এলাচ খেলে কী হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক। * প্রাকৃতিকভাবে হজমে সাহায্য করে : এলাচে সুগন্ধযুক্ত যৌগ রয়েছে যা পাচক এনজাইমকে উদ্দীপিত করে। এলাচের তীব্র সুগন্ধ স্বাদ এবং সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সক্রিয় করতে সাহায্য করে, যা পাচক এনজাইমকে সক্রিয় করে। এটি হজমের জন্য কার্যকর এনজাইমের নিঃসরণকে সক্ষম করে, বিশেষ করে যদি ভারী খাবারের পরে খাওয়া হয়। এলাচ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে তা পেট ফাঁপা এবং বদহজমের মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। * নিঃশ্বাস সতেজ করে : এলাচ দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রাকৃতিক মুখ সতেজকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যানেরোব বইয়ে প্রকাশিত ২০২০ সালের একটি অধ্যায় অনুসারে, এর প্রয়োজনীয় অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে। প্যাকেট করা মাউথ ফ্রেশনার জনপ্রিয় হওয়ার আগে খাবারের পরে পুরো মসলা চিবানো একটি সাধারণ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন ছিল। * অ্যাসিডিটি এবং বদহজম কমায় : কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এলাচ পেটের অ্যাসিডিটির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। খাবারের পরে খাওয়া হলে এটি হালকা অ্যাসিডিটি বা অস্বস্তির জন্য প্রশান্তিদায়ক হতে পারে, বিশেষ করে মসলাদার খাবারের পরে। এলাচকে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের চিকিৎসা হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং একটি সহায়ক অভ্যাস হিসেবে দেখা উচিত, যা নিয়মিত এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করলে অনেকেই আরামদায়ক বলে মনে করেন।

শীতকালীন রোগবালাই কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

শীতকালীন রোগবালাই কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বাংলাদেশে শীতকাল সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এ সময় আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা ও শুষ্ক হওয়ায় শরীরের স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন সংক্রমণ, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা এ সময় বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। শীতকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা। রাইনোভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রধানত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এর লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, গলাব্যথা, কাশি, জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, গরম পানি পান ও প্যারাসিটামল সেবনে উপসর্গ কমে যায়। তবে জ্বর বা শারীরিক জটিলতা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। শীতকালে নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে এটি হতে পারে। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও দীর্ঘদিনের ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্তরা এ ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। জ্বর, তীব্র কাশি, বুকব্যথা শ্বাসকষ্ট এসব রোগের প্রধান লক্ষণ। প্রতিরোধের জন্য গরম কাপড় পরা, ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোকক্কাল টিকা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা আবহাওয়ায় অ্যাজমা ও অ্যালার্জিক কাশির সমস্যাও বাড়ে। ঠান্ডা বাতাস, ধুলোবালি, ধোঁয়া ও পরাগরেণুর প্রতি সংবেদনশীলতা এর প্রধান কারণ। শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকের ভেতর শোঁ-শোঁ শব্দ হওয়া এ রোগের সাধারণ লক্ষণ। নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার, অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা উপকারী। এ সময় চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ে। ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি ও খুশকি এ সময় সাধারণ সমস্যা। এ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার, অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল না করা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। শীতকালে শিশুর রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। পাতলা পায়খানা, বমি ও পানিশূন্যতা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। চিকিৎসার মূল ভিত্তি হলো ওরস্যালাইন, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ ও হালকা খাবার। জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া ঠান্ডা লাগা বা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সাইনোসাইটিস ও টনসিলাইটিসও দেখা দিতে পারে। মাথাব্যথা, মুখমণ্ডলে চাপ অনুভব, গলাব্যথা ও গিলতে কষ্ট হওয়া এসব রোগের লক্ষণ। ঠান্ডা পানীয় পরিহার, গরম পানির ভাপ নেওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম এ ক্ষেত্রে সহায়ক। শীতকালে অনেকের জয়েন্ট পেইন বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়ে। উষ্ণ কাপড় পরা, হালকা ব্যায়াম করা ও উষ্ণ সেঁক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শীতকালীন রোগ প্রতিরোধে কিছু সাধারণ অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকর। এর মধ্যে রয়েছে গরম কাপড় পরিধান, নিয়মিত হাত ধোয়া ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, নিয়মিত পানি পান করা এবং ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা গ্রহণ। ঘরোয়া উপায়ে জ্বর বা ঠান্ডা দীর্ঘদিন না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সামান্য উপসর্গকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা জরুরি। নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বিপজ্জনক হতে পারে এবং এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডা. নাজমুন নাহার লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

ঘরোয়া ফেস মাস্ক দিয়ে ত্বকের বলিরেখা দূর করুন

ঘরোয়া ফেস মাস্ক দিয়ে ত্বকের বলিরেখা দূর করুন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। কারও কারও আবার বয়সের আগেই ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। অনেকেই বলিরেখা দূর করতে বাজারে কেনা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। দীর্ঘমেয়াদে এসব পণ্য ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি ফেসমাস্ক ব্যবহারই হতে পারে দারুন বিকল্প। ঘরে অ্যান্টিরিঙ্কেল ফেস মাস্ক কীভাবে তৈরি করবেন দই ও হলুদের ফেস মাস্ক: ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে শুকাতে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মসুর ডালের ফেস মাস্ক: ২ টেবিল চামচ মসুর ডালের পেস্ট নিয়ে তাতে পরিমাণমতো পানি মিশান। মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে শুকাতে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ও দুধের ক্রিম মাস্ক: ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ দুধের সর বেটে তাতে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল ও লেবুর রসের ফেস মাস্ক: ২ টেবিল চামচ লেবুর রসে ১ চা চামচ পরিমাণে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ম্যাসাজ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপেলের ফেস মাস্ক: একটি আপেল পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হতে দিন। আপেলের বীজ বের করে এটিকে ব্লেন্ড করুন। এখন এতে এক চা চামচ গুঁড়ো দুধ এবং এক চা চামচ মধু যোগ করুন। ১৫ মিনিট রাখুন। পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কগুলি কিছুটা হলেও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও বলিরেখা ঠেকাতে কিছু কার্যকরী টিপস মাথায় রাখতে পারেন। যেমন- নিয়মিত রাতের ত্বকের যত্নের রুটিন করুন। এর মধ্যে রয়েছে ত্বক পরিষ্কার করা, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার ফেস মাস্ক লাগান। এগুলি কেবল ত্বকের বার্ধক্য বিলম্বিত করে না, বরং ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। দিনে অন্তত দুবার মুখ ধুয়ে নিন। নিযমিত ব্যায়াম করুন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।

চোখের সাধারণ কিছু সমস্যায় যা করবেন

চোখের সাধারণ কিছু সমস্যায় যা করবেন   চোখ দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এ অঙ্গে সাধারণত যে ধরনের অসুখ হয়, তা হলো- এক চোখে ডাবল ভিশন হলে দেখতে হবে, চোখের ছানি পড়েছে কিনা। দুচোখেও ডাবল ভিশন হতে পারে। যেমন- চোখের এক বা একাধিক মাংসপেশির দুর্বলতা, কিছু বিশেষ ধরনের ব্রেইন টিউমার, কিছু ক্ষেত্রে পক্ষাঘাত। এ ক্ষেত্রে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে। চোখ কাঁপা : ক্লান্তি, শরীরে লবণের ঘাটতি, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ রোগ হয়। রোগটি আপনাআপনি সেরে যায়। ১০-১৫ দিন পরও সমস্যা থেকে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। চোখ বড় হয়ে ঠিকরে বেরিয়ে আসা : এ রোগ হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা হলে, চোখের পেছনে বা অপটিক নার্ভে টিউমার হলে। হলে দ্রুত চক্ষুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিড়াল চোখ : এ রোগে রোগীর চোখ অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বলজ্বল করে। চোখ হয় আকারে বড়। শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসককে দেখাতে হবে। চোখে আলোর ঝলকানি : চোখের সামনে থেকে থেকে আলোর ঝলক, কালো বিন্দু বা কালো ঝুলের মতো কিছু ঘুরে বেড়ায়। হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- রেটিনা ডিটাচমেন্ট। এ ক্ষেত্রে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসককে সমস্যার কথা জানাতে হবে। চোখের মণিতে সাদা দাগ : রোগটি হওয়ার কারণ হলো- কার্নিয়াল আলসার সেরে যাওয়ার পর অনেক সময় মণিতে সাদা দাগ থেকে যায়। চোখে আঘাত লাগলেও এ রকম হতে পারে। সাদা দাগ মণির একেবারে মাঝখানে হলে দৃষ্টিশক্তি থাকে না। একমাত্র কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেই অবস্থা সামলানো যায়। মণির অন্যত্র সাদা দাগ থাকলে দেখতে কোনো অসুবিধা হয় না ঠিকই, কিন্তু সৌন্দর্যে ঘাটতি হয়। সমস্যা সামলাতে দুটি রাস্তা খোলা আছে- রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স এবং উল্কি। উল্কির রঙ বছর তিনেক থাকে। তারপর আবার রঙ করাতে হয়। তবে যা-ই করুন, চোখের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই সব করতে হবে। বয়স্কদের চশমা পরে আবছা দেখা : ছানি বা চোখের অন্য কোনো অসুখে এমন হচ্ছে কিনা, চিকিৎসককে দেখে নিশ্চিত হোন। চোখের অসুখ না থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমার কারণ অপটিক নার্ভের জড়া। এ অবস্থায় পড়াশোনা করতে হলে ঘরে বেশি আলোর ব্যবস্থা করুন। পড়ুন আলোর দিকে পেছন ফিরে বসে। আতস কাচের সাহায্যে লেখা বড় করে নিতে পারেন। লাইনের ওপর স্কেল রেখে পড়লে সুবিধা হবে। চোখে কম দেখায় এ রোগে আক্রান্তরা মাঝে মধ্যে এখানে সেখানে পড়ে যান। এ জন্য সাবধান হতে হবে। যেমন- খাট, চেয়ার, সোফা ইত্যাদির উচ্চতা কমিয়ে ফেলুন। উচ্চতা এমন হবে, যাতে বসলে পা মাটিতে ঠেকে। সিঁড়ির এক পাশে সাদা রঙ করে সেদিকের রেলিং ধরে ওঠানামা করতে পারেন। চোখের নিচে কালি : আঘাত কিংবা অন্য সমস্যায় চোখের চারপাশ কালশিটে হতে পারে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয়, সে জন্য সবুজ শাকসবজি, পানি পান করতে হবে। মন দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন। রাতে ঠিকমতো ঘুম ঘুমাবেন। ডা. মো. ছায়েদুল হক লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন অধ্যাপক, মার্কস মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা

যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার উপায়

যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার উপায় জীবনে যেকোনো সময় যেকোনো ঝড় আসতে পারে। ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার কিংবা কর্মক্ষেত্রেও নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। এমন প্রতিকূল ও নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া চলবে না। বরং ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা মোকাবেলা করতে হবে। আপনি যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হোন, তাহলে যেকোনো সংকট দৃঢ়তার সঙ্গে পাড়ি দিতে পারবেন। যেভাবে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চর্চা করবেন ধৈর্যের বিকল্প নেই : ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা কখনো হতাশা হন না। জীবনে যত বড় ঝড় আসুক না কেন, ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করুন। ধৈর্য আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের প্রতি অবিচল রাখবে। একইসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ : অনুকূল-প্রতিকূল সব ধরনের পরিস্থিতিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিজের আবেগ ও প্রতিক্রিয়াগুলো সচেতনভাবে বুঝতে পারলে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অনেক চাপের মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। একইসঙ্গে উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করতে পারবেন। অধ্যবসায় : পরাজয় বা ব্যর্থতায় ভেঙে পড়া যাবে না। বরং দৃঢ় থাকুন এবং পুনরায় চেষ্টা করুন। মানসিকতা। মনে রাখবেন, অধ্যবসায়ী ব্যক্তিরা সহজে হাল ছাড়েন না। তারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য বারবার চেষ্টা করেন। আত্মবিশ্বাস : আপনি যদি নিজের জায়গায় সৎ থাকেন, তাহলে আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজের সামর্থ্য ও শক্তির উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। কারণ আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভয় পায় না। ইতিবাচক চিন্তা : প্রতিকূল পরিবেশে ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে। তাই ইতিবাচক থাকুন আর নেতিবাচক চিন্তাগুলো মাথা থেকে দ্রুত দূর করে দিন। মেডিটেশন : নিয়মিত মেডিটেশন করলে মন শান্ত হয় এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেকোনো সংকটে নিজেকে শান্ত রাখার জন্য মেডিটেশন করুন। চাইলে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন। ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ হয়, যা মেজাজ ভালো করে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

ফুলকপির পরোটা রেসিপি

ফুলকপির পরোটা রেসিপি শীত মানেই হরেক রকম শাকসবজির বাহার। এর মধ্যে ফুলকপির রয়েছে আলাদা চাহিদা। ফুলকপি দিয়ে নানা পরে রান্না করা যায়। স্বাদ বদলাতে বানাতে পারেন ফুলকপির পরোটা। উপকরণ ডো বা মণ্ড তৈরির জন্য: আটা বা ময়দা ২ কাপ , স্বাদমতো লবণ, ১ চামচ ঘি বা মাখন, পরিমাণমতো পানি পুর তৈরির জন্য : ফুলকপি ১টি (মাঝারি আকারের),আদা কুচি ১ চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ,ধনেপাতা কুচি এক মুঠো, গোটা জিরা: ১/২ চা চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,চাট মসলা ১ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, ভাজার জন্য তেল বা ঘি যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে ফুলকপি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার গ্রেটার দিয়ে ফুলকপি মিহি করে গ্রেট করে নিতে হবে (বড় টুকরো যেন না থাকে)। গ্রেট করা কপিতে সামান্য লবণ মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে কপি থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাবে। এরপর একটি সুতির কাপড়ে বা হাতের চাপে চিপে সেই পানি ফেলে দিন। কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে কপিগুলো দিয়ে দিন। একে একে আদা কুচি, কাঁচা মরিচ, মরিচের গুঁড়ো, গরম মসলা ও চাট মসলা দিয়ে মাঝারি আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটি থালায় ছড়িয়ে সম্পূর্ণ ঠান্ডা হতে দিন। গরম অবস্থায় পুর ভরবেন না। এখন আটা বা ময়দায় লবণ ও তেল দিয়ে মেখে একটি নরম ডো তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, সাধারণ রুটির চেয়ে এই ডো সামান্য নরম হতে হবে। ডো থেকে মাঝারি সাইজের লেচি কেটে বাটির মতো গর্ত করে নিন। মাঝখানে পরিমাণমতো পুর দিয়ে মুখটা ভালো করে বন্ধ করে দিন। পুর ভরা লেচি শুকনো আটা ছড়িয়ে আলতো হাতে বেলে নিন। খুব বেশি চাপ দেবেন না। তাওয়া গরম করে প্রথমে পরোটা এপিঠ-ওপিঠ সেঁকে নিন। এরপর চারপাশ দিয়ে ঘি বা তেল ছড়িয়ে মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিন।