ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরি করবেন যেভাবে

ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরি করবেন যেভাবে ঝটপট যেসব খাবার তৈরি করা যায়, চিংড়ির বিভিন্ন পদ তার মধ্যে একটি। চিংড়ি যেমন সুস্বাদু, তেমনই সহজ পদ্ধতি ও অল্প সময়ে রান্না করা যায়। যারা বাইরে গিয়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন তারা বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে খেতে পারেন ডিপ ফ্রায়েড চিংড়ি। এটি সবাই খেতে পছন্দ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরির রেসিপি- তৈরি করতে যা লাগবে: চিংড়ি- ৩০০ গ্রাম ডিম- ১টি আদা-রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া- অল্প পরিমাণ ময়দা- ১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব- ১/২ কাপ লবণ- পরিমাণমতো। যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে চিংড়ির খোসা ও মাথা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চিংড়ির পেটের দিকে ছুড়ি দিয়ে হালকা দাগ দিতে হবে যাতে চিংড়ি সোজা হয়। এবার চিংড়ির সঙ্গে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। এবার চিংড়িগুলো একটা একটা করে প্রথমে শুকনো ময়দায় গড়িয়ে এরপর ডিমে চুবিয়ে নিতে হবে। এরপর ডিম থেকে তুলে ব্রেড ক্রাম্বসে গড়িয়ে নিতে হবে। এভাবে সবগুলো কোট করে নিন। প্যানে তেল গরম করে তাতে চিংড়িগুলো ভালোভাবে ভেজে তুলুন। পছন্দের সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ?

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ? ভোরে ঘুম থেকে ওঠার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন— দিনটা ভালোভাবে শুরু করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আরও অনেক উপকারিতা আছে। ব্যায়াম করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন যদি আপনার কাছে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ হয়, কিন্তু সময় বের করতে সমস্যা হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আপনার জন্য কাজ করতে পারে। সকালে প্রথমেই ব্যায়াম করলে শরীর সারাদিন ভালো বোধ করবেন। ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ শুরু করে যা আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে। ব্যায়াম মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। সকালের ব্যায়াম করলে সারাদিন মানসিক চাপ কম অনুভব করবেন, উদ্বেগ কম থাকবে এমনকি শক্তির মাত্রা বেশি অনুভব করবেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠলে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হতে পারবেন। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যার ফলে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না। ভালো ঘুম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘একটানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘন্টার বেশি ঘুম আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। একটানা ঘুমাতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এমনকি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সুস্থ ত্বক ঘুমের ঘাটতি থাকলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। ফলে ব্রণ, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, ত্বকের বার্ধক্য- দেখা দেয়। ভালো ঘুম আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ারও যথেষ্ট সময় পাবেন।
জনপ্রিয় তিরামিসু তৈরির রেসিপি

জনপ্রিয় তিরামিসু তৈরির রেসিপি খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই। আর সুস্বাদু ডেজার্ট খেতে কে না পছন্দ করে! তিরামিসু তেমনই একটি ডেজার্ট যা আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা উৎসবের আয়োজনে রাখতে পারেন তিরামিসু। চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্বাদু এই ডেজার্ট তৈরির রেসিপি- তৈরি করতে যা লাগবে: ডিম- ৪টি চিনি- ১ কাপ লেডি ফিঙ্গার বিস্কুট- ৮/১০ টি কফি- ১/২ চা চামচ তরল দুধ- ১/২ কাপ হুইপিং ক্রিম- ১ কাপ ভ্যানিলা এসেন্স- কয়েক ফোঁটা ক্রিম চীজ- ১ প্যাকেট কোকো পাউডার- স্বাদমতো। যেভাবে তৈরি করবেন : ডিম ভেঙে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে রাখুন। একটি পাত্রে পানি গরম করে তার মধ্যে কুসুমের বাটি বসিয়ে দিন। এমন বাটি নিতে হবে যেটি তাপে ফেটে যাবে না। এবার এই কুসুমের মধ্যে চিনি ও লিকুইড দুধ দিয়ে দিন। উপাদানগুলো মিশে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। চুলা থেকে নামানোর পরও ৩/৪ মিনিট কুসুমটুকু নেড়ে যেতে হবে। এরপর বাটিটিকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যে বাটিতে ক্রিম তৈরি করবেন সেটি ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিবেন। এতে ক্রিম বেশ ভালোভাবে জমে। এবার ক্রিম বিট করে নিন। কুসুমের বাটিতে এবার কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স দিন। এরপর তার সঙ্গে ক্রিম চীজ মেশান। হুইপিং ক্রিম অল্প অল্প করে এই মিশ্রণে মিশিয়ে নিতে হবে। এটা মেশানোর জন্য কোনো বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক ইউজ করা যাবে না। এতে হুইপিং ক্রিমের ফোমি ভাব নষ্ট হয়ে যাবে এবং তিরামিসু সেট হবে না। একটি বাটিতে দুই কাপ গরম পানি নিয়ে তাতে কফি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কিছুক্ষণের জন্য ঠান্ডা হতে দিন। যে সার্ভিং বোলে তিরামিসু বানাবেন সেটিতে লেডি ফিঙ্গারগুলো কফির পানিতে একটি একটি করে ভিজিয়ে রেখে দিন। বিস্কুট কিন্তু ২/৩ সেকেন্ডের বেশি ভিজিয়ে রাখা যাবে না। এবার বিস্কুটের উপর তৈরি করে রাখা মিশ্রণটুকু দিয়ে দিন। এরপর আবার বিস্কুটের লেয়ার দিন। এবার বাকি মিশ্রণ দিয়ে চারপাশে ভালোভাবে ঢেলে দিন। ফ্রিজে সেট হতে দিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা। এরপর বের করে পরিবেশন করুন।
সকালের অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে সুস্বাস্থ্য

সকালের অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে সুস্বাস্থ্য সকাল থেকেই দিনের ছন্দ ঠিক হয়ে যায়—এমনটাই বলে থাকেন অনেকেই। অর্থাৎ, আপনি যেভাবে দিন শুরু করবেন, সেভাবেই কাটবে সারাদিন। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু রুটিন থাকে। কেউ সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে ভালোবাসেন, আবার কেউ তাড়াতাড়ি উঠে মর্নিং ওয়াক বা শরীরচর্চা করে নেন। তবে সকালে দেরি করে উঠলে সারাদিনের কাজেই দেরি জমে যায়। অলসতা কাটাতে কাজ থাকুক বা না থাকুক, অভ্যাস করুন সকাল সকাল জেগে ওঠার। এতে সারাদিন সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকা যায়। আজকাল ঘুম ভাঙতেই সবার আগে চোখ যায় মোবাইলের দিকে। নোটিফিকেশন, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া—এসব দিয়ে দিন শুরু করলে চোখ ও মস্তিষ্ক দুটোই অযথা চাপে পড়ে। ফলে মাথাব্যথা ও কর্মক্ষমতা কমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই বরং ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস পানি খান। জানালার পাশে বা বারান্দায় বসে খানিকটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। অন্তত দুই ঘণ্টা নিজেকে দিন—সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থেকে শরীরচর্চা করুন, চা বা কফি উপভোগ করুন, বই বা পত্রিকা পড়ুন। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। অনেকে দেরি করে উঠে শুধু চা বা কফি খেয়ে দুপুর পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই শরীরচর্চার পর অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করুন। দিনটিকে গুছিয়ে তুলতে আগের রাতেই কাজের পরিকল্পনা করে রাখুন। সকালে উঠে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলে সময় বাঁচবে, মনোযোগও বাড়বে। দিনের শুরুতে গোসল করে নিলে শরীর-মন দুটোই সতেজ থাকে এবং হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকলে কর্মক্ষমতা ও এনার্জি অনেকটাই বেড়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন না। বরং ইতিবাচক কিছু ভাবুন, নিজেকে উৎসাহ দিন। জীবনের ভালো দিকগুলোর জন্য নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করুন এবং যারা আপনার জীবনের সঙ্গী, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
ছুটির দিনে বানাতে পারেন ৬ রকমের লোভনীয় বার্গার

ছুটির দিনে বানাতে পারেন ৬ রকমের লোভনীয় বার্গার আপনি কী বার্গার খেতে ভালোবাসেন? সুযোগ পেলেই রেস্টুরেন্টে ঢুঁ মারেন? আপনার জন্যেই বার্গারের ছয়টি রেসিপি দেওয়া হলো, যেগুলো আপনি খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন। দেখে নিন কোন বার্গারটি আজকে আপনি বাড়িতেই বানাচ্ছেন। চিকেন এগ বার্গার কড়াইয়ে তেল ঢেলে মাঝারি তাপে গরম করে নিন ও মুরগির মাংসের চাপ বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এক টেবিল চামচ ময়োনিজ বার্গার রুটির দুই টুকরোতে ভালোভাবে মেখে নিন। নিচের রুটির টুকরাটিতে লেটুসপাতা, পেঁয়াজ কুচি, মাংসের চাপ, টমেটো স্লাইস ও ভাজা ডিম সাজিয়ে রাখুন। ডিমের ওপর ময়োনিজের স্তর দিন। এবার রুটির বাকি টুকরোটি ওপরে দিয়ে দিন। ব্যস, এবার বাসায় তৈরি চিকেন এগ বার্গার পরিবেশন করুন। আলু টিক্কি বার্গার প্রথমেই আলুর পুলি বানিয়ে নিন। বার্গার রুটির দুই টুকরোতেই এক টেবিল চামচ ময়োনিজ ভালোভাবে ছড়িয়ে দিন। নিচের রুটির টুকরোটিতে আলুর পুলি, টমেটোর স্লাইস, পেঁয়াজ কুচি বসিয়ে নিন। ময়োনিজের স্তর ঢেলে রুটির ওপরের টুকরোটি জুড়ে দিলেই তৈরি হয়ে গেল আলুর টিক্কি বার্গার। ময়োনিজ-ভাজা আলুর বার্গার ননস্টিক প্যানে এক টেবিল চামচ তেল মঝারি তাপে গরম করে নিন। সরিষা বীজ, কারি পাতা, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, আলু ও লবণ যোগ করুন। দুই মিনিট ভালোভাবে নাড়তে থাকুন ও বেসন, লাল মরিচের গুঁড়া ও পানি যোগ করে আস্তে আস্তে মেশান। আলুর মাঝারি আকারের বল বানিয়ে নিন। বেসন মেখে একটি কড়াইয়ে গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে থাকুন সোনালি রং না আসা পর্যন্ত। রসুনের চাটনি বানাতে আট কোয়া ভাজা রসুন, কোড়ানো নারিকেল, বাদাম, মরিচ ও জিরার গুঁড়া দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। রুটির টুকরোয় ময়োনিজ মেখে তার ওপর চাটনি ছড়িয়ে দিন। ভাজা আলু যোগ করে ময়োনিজ দিয়ে পরিবেশন করুন। ভাজা মাংসের বার্গার মাংসের টুকরা রোজমেরি, তেল ও মরিচের গুঁড়া মেখে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ঘণ্টাখানেক পরে মাংসের টুকরাগুলো পাতলা স্লাইস করে কাটুন। একটি প্যানে পেঁয়াজের সাথে মাংসের স্লাইস দুই দিকেই ভাজুন। রুটির টুকরো দুটোয় ময়োনিজ মাখুন। নিচের অংশে লেটুসপাতা, টমেটো, শসা ও মাংসের চাপ রেখে ওপরে রুটির টুকরো দিয়ে ঢেকে দিন। ফ্রেন্স ফ্রাই বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন। সুশি বার্গার রাইসের জন্য, সুশি বা ছোট বীজের বাসমতি বা জাপানি চাউল এক কাপ, ভিনেগার এক টেবিল চামচ, চিনি এক চা চামচ ও লবণ। ফিলিংয়ের জন্য অ্যাভোকাডো তিন টুকরো, গাজর, শসা, ক্যাপসিকাম। প্রোটিন– সেদ্ধ চিংড়ি, টোফু, চিকেন। বার্গার সাজানোর জন্য– নরি শিট ২ টুকরো,ময়োনেজ বা স্পাইসি সস দুই টেবিল চামচ ও লেটুসপাতা প্রথমে চালের সঙ্গে দেড় কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন। ভিনেগার, চিনি ও লবণ মিশিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। বার্গার বেস করতে, ভেজা হাতে সেদ্ধ করা চাল নিয়ে ছোট বাটি বা হাত দিয়ে প্যাটি তৈরি করুন। প্রতিটি প্যাটির মধ্যে সামান্য লেটুস বা সবজি রাখুন। এরপর রাইস প্যাটির ওপরে প্রোটিন (চিকেন, চিংড়ি, টোফু) রাখুন। অ্যাভোকাডো ও অন্যান্য সবজি স্লাইস যোগ করুন। ওপরে আরেকটি রাইস প্যাটি দিয়ে চাপ দিন। এরপর বার্গারের চারপাশ নরি শিট দিয়ে মোড়ান যাতে ধরে থাকে। পছন্দমতো সস দিয়ে পরিবেশন করুন। ঝাল চিংড়ির বার্গার মাঝারি সাইজের কয়েকটি চিংড়ি রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, সরিষা বাটা, লবণ, অলিভ অয়েল, ধনে পাতা ও লেবুর রস মেখে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। চিংড়িগুলোকে ময়দা মেখে ফ্যাটানো ডিমে চোবান। আবারও ময়দা মেখে নিন। মচমচে ও সোনালি রং না হওয়া পর্যন্ত তেলে ভাজতে থাকুন। বার্গার রুটির টুকরা দুটি সেঁকে নিন। রুটির ভেতর লেটুস পাতা ও চিংড়ি ঢুকিয়ে টমেটো কেচাপ দিয়ে পরিবেশন করুন।
বয়স্কদের সঙ্গেও করুন ভিডিও চ্যাট

বয়স্কদের সঙ্গেও করুন ভিডিও চ্যাট প্রযুক্তির এই যুগে আমরা অনেক কিছুই পাচ্ছি। যার মধ্যে বাড়তি পাওয়া দূরে থাকলেও প্রিয়জনকে একটু দেখে নেওয়ার সুযোগ। বেশিরভাগ সময় এই দেখাদেখি তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু জানেন কি, বাড়ির বয়স্কদের অবসাদ কাটিয়ে দেয় দূরে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট। এক গবেষণায় জানা গেছে ,ফেসবুক মেসেঞ্জার হোক বা হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলিং বয়স্কদের অবসাদ কমিয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্গান হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভর্সিটির অধ্যাপক অ্যালান টিও বলেন, এই ভিডিও চ্যাট বৃদ্ধ ও প্রাপ্তবয়স্কদের বিষণ্নতা কমিয়ে দেয়। গবেষকরা দুই বছর ধরে ১ হাজার ৪২৪ জনকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন বিষণ্নতা দূর করতে সক্ষম ভিডিও চ্যাট। বাড়ির বয়স্করা অনেকেই নিঃসঙ্গ থাকেন। জীবনের তাগিদে ছেলে-মেয়েরা তাদের পরিবার নিয়ে দূরে থাকেন। যার জন্য বয়স্করা একাকীত্বে ভোগেন। তাদের পেয়ে বসে হতাশা বা অবসাদ, এই পর্যায়ে এসে শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা ছাড়া যেন কিছুই করার নেই তার। নিজেকে অনেকেই অবহেলিত ও অপ্রয়োজনীয় ভাবতে শুরু করেন। সন্তানদের প্রতিও দেখা দিতে পারে অভিমান। কিন্তু এই সবই ঠিক করে নেওয়া যায় শুধু মাঝে মাঝে ভিডিও চ্যাট করে। এতে করে বয়স্কদের মনও ভালো থাকে, খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখা গেলেও প্রিয়জনের হাসি মুখ, কথা বলা দেখেও স্বস্তি পান তারা। যাদের বয়স্ক বাবা-মা দূরে থাকে তাদের জন্য সাধ্যের মধ্যে স্মার্টফোন বা একটা ল্যাপটপের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আর এগুলোর ব্যবহারও শিখিয়ে দিন, দিনের একটা সময় তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলুন, দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে, বাবা-মায়েরাও ভালো থাকবেন।
ত্বকের যত্নে তেঁতুল ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম

ত্বকের যত্নে তেঁতুল ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম তেঁতুল এমন একটি ফল যার নাম শুনলেই মুখে পানি আসে। অনেকেই ত্বকের যত্নে তেঁতুল ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেঁতুলে। এই ফল দিয়ে ত্বকের যত্ন কীভাবে নেওয়া যায়, জেনে নিন। হলুদ-তেঁতুলের ফেসপ্যাক ত্বকের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। এর জন্য লাগবে পরিমাণমতো তেঁতুল পানিতে সিদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হলে সেই ফোটানো তেঁতুলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে নিন। তৈরি আপনার ফেসপ্যাক। ১৫ মিনিট মুখে মেখে, শুকিয়ে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। দেখবেন রাতারাতি ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। বেসন- তেঁতুলের ফেসপ্যাক বেসন সবসময়ই ত্বকের পক্ষে ভালো। চটজলদি ঝকঝকে স্কিন পাওয়ার জন্য বেসন দারুণ কাজ করে। রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘বেসনের সঙ্গে অল্প তেঁতুল, মধু মিশিয়ে নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়।’’ এই ফেসপ্যাক ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই হয়ে গেলো। তেঁতুল-বেকিংসোডার ফেসপ্যাক অল্প পরিমাণ তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে ২ চামচ চিনি আর ১ চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে নিন। এই প্যাক স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়। চিনি ত্বকের ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। বেকিং সোডা ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনে। যাদের মুখে পোড়া দাগ পড়েছে তারা এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। উল্লেখ্য, পান করতে পারেন তেঁতুলের শরবত। এ ছাড়া তেঁতুল পানিতে তুলার বল ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে জেল্লা ফিরবে।
সকালেই হোক সুস্থতার শুরু

সকালেই হোক সুস্থতার শুরু ইংরেজি একটি প্রবাদ আছে ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’ অর্থাৎ দিনের শুরুর কর্ম উদ্যমতাই আপনাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। আরেকটু ভেঙে বললে বলা যায় যে, সকালের যেকোনো সুস্থ অভ্যাস আপনাকে ধীরে ধীরে কর্মঠ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। চলুন স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো জেনে আসা যাক। এক তাড়াহুড়ো করে দিন শুরু করার কোনো প্রয়োজন নেই। আস্তে-ধীরে শুরু করুন। প্রাকৃতিক আলো যেন আপনাকে জাগিয়ে তুলতে পারে। দুই নিশ্বাস নিন। মেডিটেশন কিংবা ধ্যানে বসুন এবং নিজেই নিজেকে কয়েকটি বিষয় বলুন- পাঁচটি জিনিস যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন, চারটি জিনিস যা অনুভব করতে পারছেন, তিনটি জিনিস যা শুনতে পাচ্ছেন, দুইটি জিনিস যার গন্ধ শুঁকতে পারছেন এবং একটি জিনিস যার স্বাদ নিতে পারছেন। তিন ঘরে টেলিভিশন চললে বন্ধ করে দিন। এমনকি মোবাইলফোন থেকেও দূরে থাকুন। চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা কোনো গান বাজাতে পারেন। চার প্রাতরাশ করার পূর্বে বড় এক গ্লাস পানি পান করুন। চাইলে ভেষজ চা-ও পান করতে পারেন। পাঁচ পেট ভরে সুষম খাবার দিয়ে নাস্তা করুন। যেমন- আটার রুটি, ওটমিল, সবজি, ফল, ডিম ইত্যাদি। ছয় নিজের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলুন। যেমন- সেদিন কী করতে চান, আপনার পরিকল্পনা কী কিংবা আপনি কেমন বোধ করছেন ইত্যাদি। টু-ডু লিস্ট কিংবা কর্মতালিকায় চোখ বুলিয়ে দেখুন। এটি আগের রাতেই ঘুমের পূর্বে তৈরি করে রাখবেন। আট কাজ শুরু করার পূর্বে টেবিলে একবার চোখ বুলান। দেখুন গোছানো আছে কিনা। না গোছানো থাকলে গুছিয়ে তারপর কাজে হাত দিন।
সহজ উপায়ে বানিয়ে নিন চকোলেট কোকোনাট বল

সহজ উপায়ে বানিয়ে নিন চকোলেট কোকোনাট বল চকোলেটের মতো সুস্বাদু খাদ্য মোটামুটি সকলেই ভালোবাসেন। এই মিষ্টি স্বাদের খাদ্যটি বাচ্চা থাকে বুড়ো প্রতিটি মানুষই খান। তবে চকোলেট শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি এর রয়েছে অনেক গুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক চকোলেট কোকোনাট বল বানানোর পদ্ধতি: যা যা নিতে হবে- কনডেনসড মিল্ক-১ কাপ, ডেসিকেটেড কোকোনাট (নারিকেল গুঁড়া) ২ কাপ, কোকো পাউডার- ৩ টেবিল চামচ, বিস্কুট ক্রাম্বস, বাদাম কুচি চকোলেট টুকরা ১/২ কাপ, সাজানোর জন্য কোকোনাট ফ্লেক্স (কোড়ানো নারিকেল) ১/২ কাপ। যেভাবে বানাবেন : প্রথমে পাত্রে কনডেনসড মিল্ক, কোকো পাউডার ও কোকোনাট গুঁড়া নিয়ে মেশাতে হবে। পরে তাতে বিস্কুট ক্রাম্বস ও বাদাম কুচি মেশান। এরপর একটা ডো বানিয়ে নিন। ডো থেকে ছোট বলের মতো করুন। প্রতিটি বল কোকোনাট ফ্লেক্সে গড়িয়ে নিন। এরপর ফ্রিজে ৩০ মিনিট রাখুন। মেহমান এলে তাদের মাঝে পরিবেশন করুন মজাদার চকোলেট কোকোনাট বল।
আশির দশকের পত্রমিতালী

আশির দশকের পত্রমিতালী আশির দশকে দূরের, অচেনা কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার অন্যতম উপায় ছিলো পত্রমিতালী। এই পত্রমিতালী কেন্দ্র করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আলাদা একটি শৈল্পিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিলো। সাধারণত পরষ্পর-পরষ্পর সম্পর্কে কারও কাছ থেকে জেনে, একজন আরেকজন সম্পর্কে আগ্রহী হলে চিঠির মাধ্যমে একপক্ষ হয়তো বন্ধুত্বের আহ্বান জানাতো। এখানে একজন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকতেন। তিনিই প্রথম পক্ষের চিঠি দ্বিতীয় পক্ষের কাছে পৌঁছে দিতেন। চিঠি পাওয়ার পরে ওই মধ্যস্ততাকারীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে দ্বিতীয় পক্ষ সিদ্ধান্তে আসতেন পত্রমিতালী করবেন, নাকি করবেন না। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যেও অনেক সময় গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠতো। সে সময় নারী-পুরুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা মোটেও সহজ ছিল না। নারী-পুরুষে পত্রমিতালী তৈরি হলে কোনো কোনো সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত প্রেম পর্যন্ত গড়াতো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। পত্রমিতালী সাহিত্যনির্ভর একটি বিষয় ছিল। কনভারসেশন, মত বিনিময়, ভাবের আদান-প্রদান, মতের আদান-প্রদান বা মতোবিরোধ হলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতো। সেই আলোচনাগুলো খুবই উচ্চমার্গীয় ব্যাপার ছিল। কেন তার মতের সঙ্গে আমি একমত না, সেটার যুক্তি দিতে দিতে অনেক সময় দুই তিন, পৃষ্টার চিঠি লেখা হয়ে যেত। দেখা যেতো যে চিঠি পাঠানোর জন্য অনেক সময় বাড়তি ডাক মাসূলও দিতে হতো। পত্রমিতালী চিন্তা চেতনা বিকাশেও সহায়ক ছিলো। এমন পত্রমিতালীও হয়েছে, দেখা গেছে যে দুই, চার বছর ধরে একজন আরেকজনকে চিঠি লিখেছে কিন্তু কেউ কাউকে দেখেনি। এখন যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ফেইক আইডি খোলে। নারী পুরুষ সাজে আবার পুরুষ নারী সাজে। এইটা ছিলো না। তখন যে যা, তাই বলতো, লিখতো। তবে হ্যাঁ, কোনো কোনো সম্পর্ক প্রেমের দিকে গেছে। কেউ কেউ বিয়ে করে ঘর বেঁধেছেন। কিন্তু বেশিরভাগই ছিলো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। চিঠি লিখে একজন অজানা, অচেনা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, সেই সম্পর্কের যে আবেদন সেটা এখন এই পর্যায়ে এসে ভাবা যায় না। আমারও একজনের সঙ্গে পত্রমিতালীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। সে অভিজ্ঞতা থেকে জানি, একটা চিঠি লেখার পরে উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। তিন, চার, পাঁচ দিন বা তারও বেশিদিন পরে উত্তর আসতো। এই যে সময়টা, এই সময়টাতে একজনের কল্পনা, সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে ভাবনা মনের ভেতর ছড়িয়ে পড়তো। একটা সময় ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে আসতো। সেটা একটা অসাধারণ মুহূর্ত। খামটা খোলার পরে সেই চিঠিটা স্পর্শ করার যে অনুভূতি, তা আজকে বলে বোঝানো যাবে না। এটা শুধু তখনই বোঝা যেত। যথারীতি চিঠির তো আর অনুলিপি রাখা হতো না, কিছু কিছু যা মনে পড়তো সেগুলোর উত্তর ঠিকঠাক আছে কিনা পড়ে মেলানো হতো। চিঠি পড়ে যদি কোনো জায়গায় দেখা যেত যে দুইজনের মতের সাথে মিল আছে, তাহলে ভালো বোধ হতো। আবার যদি যুক্তিসঙ্গত দ্বিমতের প্রকাশ দেখা যেত তাহলেও ভালো লাগতো। আবার কোনো কোনো যুক্তিকে যখন অযৌক্তিক মনে হতো, পরবর্তী চিঠির উত্তরে হয়তো আবার সেই লেখার প্রেক্ষিতে নিজের যুক্তি আর জোড়ালোভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা থাকতো। অনেকেই পত্রমিতালী গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে পত্রপত্রিকায় ছোট আকারে বিজ্ঞাপন দিতো। এটা এক ধরনের বিনোদনও ছিলো। এখন আমরা যেমন কক্সবাজার বেড়াতে যাই, আমরা হ্যাংআউট করি, রিসোর্টে যাই বা বারবিকিউ পার্টি করি, সে সময়তো এই কাজগুলো করার উপায় ছিলো না। কিন্তু মানুষ সব সময় অন্যরকম কিছু করার তাড়না বোধ করে, সেই বোধেরই এক ধরণের বহিঃপ্রকাশ ছিলো পত্রমিতালী।