কখন খেলে ওজন কমে

কখন খেলে ওজন কমে ওজন কমানো বা সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সঠিক ডায়েট করা জরুরি। এক্ষেত্রে কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, কখন খাচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হয় সকালের খাবারে। অনেকে এই বেলা না খেয়ে থাকেন। এতে ওজন তো কমেই না, উল্টো শরীরের ক্ষতি হয়। দেহের বাড়তি মেদ কমাতে চাইলে সঠিক সময়ে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে শারীরিক চর্চাও লাগবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সঠিক সময় কোনটি? সকালের নাস্তা কখন খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার মিলবে? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ সকালের খাবার ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে খেয়ে থাকেন। কিন্তু এতে ওজন কমার ক্ষেত্রে কোনো লাভ হয় না। সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের এপিডেমিওলজির অধ্যাপক টিম স্পেক্টর জানিয়েছেন, সকাল ১১টার পর সকালের নাস্তা খাওয়া উচিত। কারণ মানুষের সন্ধ্যার পরও খাবার গ্রহণের অভ্যাস থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেহের বাড়তি মেদ কমাতে চাইলে পেটকে অন্তত ১৪ ঘণ্টা খালি রাখতে হবে। অর্থাৎ এ সময়ে ফাস্টিং বা উপোষ থাকা লাগবে। সাধারণত আমরা ৮-৯টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে থাকি। ১৪ ঘণ্টার হিসেবে তাই সকালের নাস্তা খাওয়ার উপযুক্ত সময় বেলা ১০টা থেকে ১১টা। কিন্তু ১৪ ঘণ্টা পর খাবার গ্রহণের উপকারিতা কী? প্রফেসর স্পেক্টর জানিয়েছেন, আমাদের দেহের স্বাভাবিক বিপাকের জন্য ১৪ ঘণ্টা সময় অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এই সময়ের পরে নাস্তা খেলে, অল্প পরিমাণ গ্রহণ করলেও শরীরে দীর্ঘসময় ক্যালোরি বজায় রাখবে। হজমপ্রক্রিয়া খানিকটা বিশ্রাম নিতে পারবে। ফলে ওজনও কমবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে ১৪ ঘণ্টা উপবাস করেন তারা কয়েক মাসের মধ্যে ৪ থেকে ১১ পাউন্ড ওজন কমাতে সক্ষম হবেন। কেবল বাড়তি মেদ কমানো নয়, এই কাজটি সুস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি ভূমিকা রাখবে। তবে আপনার যদি সকাল সকাল খাওয়ারই অভ্যাস থাকে তাহলে রাতের শেষ খাবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যেই খেতে হবে। অনেকে মধ্যরাতে স্ন্যাঙ্কসজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। শরীরের জন্য এটি বেশ ক্ষতিকর। রাতের খাবার খাওয়ার পর পানি ছাড়া অন্য কিছু না খেতে/পান করতে চেষ্টা করবেন। তবে শুধু ডায়েট নয়, ওজন কমাতে সুখাদ্য খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে দেহের বাড়তি মেদ ঝরানো সম্ভব হবে।

কেন খাবেন মেথি ভেজানো পানি

কেন খাবেন মেথি ভেজানো পানি খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে মেথির তুলনা নেই। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। কিছুটা তেতো স্বাদের এই বীজে আছে নানা পুষ্টিগুণ। নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। সেই সঙ্গে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যাও কমে। নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে মেথি ভেজানো পানি। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাই হার্টের জন্য উপকারী মেথি ভেজানো পানি। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে উপকার পাবেন। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সাহায্য করে মেথি ভেজানো পানি। এ কারণে হরমোন সংক্রান্ত অসুখ এড়িয়ে চলতে চাইলে অবশ্যই মেথি ভেজানো পানি খাওয়া উচিত। মেথি ভেজানো পানি আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যে ভালো রাখে। ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য মেথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে মেথি। মজবুত করে চুলের গোড়া। চুল পড়ার সমস্যাও কমায়। মেথি ভেজানো পানি খেলে শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে। কখন খাবেন : যেদিন মেথি ভেজানো পানি খাবেন তার আগের রাতে মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে ওই পানীয়। কারণ সকাল বেলায় খালি পেটেই মেথি ভেজানো পানি খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে শরীরে যা ঘটে

অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে শরীরে যা ঘটে খাবার খেতে বসলে কমবেশি সবাই ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই বলে খাবারের সঙ্গে মুঠো মুঠো মরিচ খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খেলে শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। গুঁড়া মরিচ কিংবা কাঁচা মরিচও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খুব বেশি পরিমাণে ঝাল খাবার খেলে শরীরে যা ঘটে চলুন জেনে নেওয়া যাক- > অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য। > তীব্র অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগবেন আপনি। > পেটে ব্যথা হতে পারে খুব ঝাল দেওয়া খাবার খেলে। > অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়ার অভ্যাসে পেটে আলসার হতে পারে। > আবার খুব বেশি ঝাল খাবার খেলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যাও শুরু হয়ে যায়। > এমনকি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। আরো যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে: দীর্ঘদিন ধরে ঝাল খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবধারিতভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে আপনার। সাধারণত মাংসেই ঝাল বেশি খাওয়া হয়।একই সঙ্গে অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে ওজন দ্রুত বাড়তে পারে। এছাড়া পেটের সমস্যাও আপনার নিত্যসঙ্গী হয়ে যাবে। মাঝে মধ্যেই ডায়েরিয়ার মতো কষ্টদায়ক অসুখ যন্ত্রণা দেবে আপনাকে। যারা এরই মধ্যে পেটের সমস্যা, অ্যাসিডিটির সমস্যা কিংবা গ্যাসের সমস্যা আছে তারা একেবারেই ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া খাবার তো খাবেনই না। গুঁড়া মরিচ একেবারেই বাদ দিন, প্রয়োজনে কাঁচা মরিচ খেতে পারেন। তবে সেটাও কম পরিমাণে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে কেউ কেউ প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করেন। এই লক্ষণও অস্বাস্থ্যকর। নিজেকে কষ্ট দিয়ে ঝাল স্বাদের খাবার খাওয়া কোনো অর্থ নেই। তাই অতিরিক্ত ঝাল খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

হাড় মজবুত ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে “নুনে শাক”

হাড় মজবুত ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে “নুনে শাক” গ্রামবাংলার নানা ধরনের শাক পাওয়া যায়। তেমনি একটি নুনিয়া বা নুনে শাক অত্যন্ত উপকারী খনিজ লবণ সমৃদ্ধ এটি। আদি ঢাকাইয়ারা নুনিয়া শাক ও গরুর মাংস দিয়ে রান্না করে বিচিত্রধর্মী ও অপূর্ব স্বাদের নুইন্না গোশত। যা পুরান ঢাকার একটি সিগনেচার ডিশ। নুনে শাক একটি বর্ষজীবী, রসাল, গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Portulaca oleracea। এটি Portulacaceae পরিবারের উদ্ভিদ। অন্যান্য স্থানীয় নাম বুল খুরিয়া শাক, নুনে শাক, নুন খুড়িয়া, নুইন্না শাক, নূনতা শাক, চিড়া শাক, নুনিয়া শাক। নুনে শাক একটি অনাবাদি উদ্ভিদ। এটি জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে আখের ক্ষেত এবং অন্যান্য সবজি ক্ষেতে বেশি পরিমাণে জন্মে। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে বছরের যেকোনো সময় ফুল ফোটে। পাতা গুচ্ছের মাঝখানে একটি করে ফুল ফুটে। ফল পাকার পরে ফেটে বীজ ঝরে পড়ে। লম্বা শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং খরার সময় টিকে থাকে। নুনে শাকের পাতা তেলতেলে, রসালো এবং গাঢ় সবুজ রঙের। এই শাক অন্যান্য শাকের সাথে মিশিয়ে ভাজি করা হয়। স্বাদ একটু লোনতা এবং টক ধরনের। পুষ্টিগুণ : এতে খনিজ পদার্থের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন। এ পাতায় রয়েছে কার্বোঅক্সালিক এসিড, অক্সালিক এসিড, সোডিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, থাইয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যারোটিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে। প্রতিগ্রামে ০.০১মিলিগ্রাম ইকোচ্যাপেনটানিক এসিডও রয়েছে। নুনে শাকের ঔষধি গুণ ১. নুনে শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনিসিয়াম যা শরীরের হাড়কে মজবুত করে। ২. নুনে শাকে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ৩. চোখ উঠলে চোখে ময়লা জমে চোখ খোঁচা খোঁচা ভাব হয়। এক্ষেত্রে নুনে শাকের রস দিলে সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ৪. নুনে শাকের রস কিছুক্ষণ মুখে ধরে রেখে ফেলে দিবেন এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে তোতলামিও ভালো হবে। ৫. বিষাক্ত কোনো কিছু লেগে গা চুলকালে নুনে শাক বেটে উষ্ণ করে প্রলেপ দিলে জ্বালা ও চুলকানি ভালো হয়ে যায়। ৬. নুনে শাক থেঁতো করে এই রস হালকা গরম করে সেবন করলে বাচ্চাদের কাশি ভালো হয়। ৭. নুনে শাক থেঁতো করে এই রস হালকা গরম করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকেল সেবন করলে আমাশয় ভালো হয়। ৮. এই শাক যকৃৎ, স্পিলিন, কিডনি, ডায়াবেটিস, এ্যাজমা ও হৃদ্‌রোগে উপকারী।

উষনি শাক রীতিমতো মহৌষধ

উষনি শাক রীতিমতো মহৌষধ গ্রামবাংলার আনাচে কানাচে নানা ধরনের শাকসবজি রয়েছে। এসব শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। অবহেলায় গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু গাছ রীতিমতো মহৌষধ। উষনি শাক তেমনি একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি হচ্ছে গুল্ম প্রজাতির Asteraceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Spilanthes acmella L.। বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় এই কুড়িয়ে পাওয়া শাকটির তেমন কোনো একক নাম নেই যে নামে সবাই একে চিনতে পারে। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয়দের ভেতর এই শাকটি উষনি শাক নামে পরিচিত। ময়মনসিংহের হাজং আদিবাসীরা এই শাকটিকে কালানাগুনি, উখলিপাতা নামে ডাকেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমাদের ভেতর অতি প্রিয় এই শাক ওজোন শাক নামে পরিচিত। মৌলভীবাজারের ওঁরাও আদিবাসীদের ভেতর শাকটি দুরুখ বাকু নামে পরিচিত। উষনি শাক বাড়ির আশেপাশের পতিত জায়গায়, বাঁশ ঝাড়ের আশেপাশে, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়, কলার বাগানের ঝোপ ঝাড়ে পাওয়া যায়। উষনি শাক কিছুটা ঝাঁঝালো স্বাদের হয়। বর্ষাকালে গাছের আকার বেশ বড়সড় হয় এবং পাতায় ঝাঁঝালো গন্ধ ও স্বাদ কম থাকে। প্রায় সারা বছরই দেখা যায়। পাহাড়ি এলাকায় জুমে ফসল বোনার পর পরই কচি চারা গুলো গজিয়ে উঠে। কচি শাক খেতে দারুণ মজা। এই শাক বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মায়। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতির পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম প্রভৃতি খনিজ পুষ্টি উপাদান সমূহ থাকে। তাই উষনি শাকের রয়েছে নানান ঔষধি গুণাগুণ। ঔষধি গুণাগুণ- ১. শরীরে বিষ ব্যথা হলে উষনি শাক খেলে উপকার পাওয়া যায়। ২. উষনি শাক আঁতুড় ঘরে সন্তান প্রসবের পরে মাকে খাওয়ালে শরীরের ব্যথা কমে যায়। ৩. দাঁত ব্যথা হলে উষনি শাকের ফুলের রস ব্যবহার করলে ব্যথা দ্রুত ভালো হয়। ৪. উষনি শাক মূত্রবর্ধক, তাই শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল ও বিষাক্ত দ্রব্যাদি দূর করতে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। ৫. উষনি শাকে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী (anti-inflammatory) ক্ষমতা বাত ও টিস্যুর প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকরী। ৬. উষনি শাক খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৭. নিয়মিত উষনি শাক খেলে ডায়াবেটিস, ও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি (Chronic Fatigue) সেরে যায়। ৮. এটি অ্যাজমা, অ্যালার্জি এবং ব্যথা সারায়। সংক্রমণ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক ধ্বংস করে ফ্লু, যক্ষ্মা,দাদ এসব থেকে রক্ষা কর। ৯. এই শাকে অনেক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধী। ১০. এই উদ্ভিদ তার অ্যান্টিএজিং উপাদানের জন্য প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আইন পাস; কর্মঘণ্টার বাইরে ধরতে হবে না বসের ফোন

অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আইন পাস; কর্মঘণ্টার বাইরে ধরতে হবে না বসের ফোন নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরেও অনেক সময় অফিসের বসরা কর্মীদের ফোন দিয়ে থাকেন। অনেকেই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেন না। এবার কর্মীদের যেন নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে ফোন ধরতে না হয় তা নিশ্চিত করতে রীতিমতো আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার থেকেই সেই আইন কার্যকরও হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন এই আইনের নাম করা হয়েছে, ‘রাইট টু ডিসকানেক্ট’। এই আইনের আওতায় এখন থেকে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে কোনো অফিসের বস যদি কর্মীকে ফোন দেন, তবে কর্মী সেই ফোন না রিসিভ করার অধিকার পাবেন। তবে এই আইনে নিয়োগকর্তা বা বসরা কর্মীদের ফোন কল, মেইল বা বার্তা পাঠাতে পারবেন না এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। নতুন আইন অনুসারে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা ১৫ জনের বেশি সেখানকার কর্মীরা কর্মঘণ্টার বাইরে চাইলে তাদের বস বা সহকর্মীর ফোন কল, মেইল ও বার্তার জবাব না দিলেও পারবেন। এমনকি কোনো সেবাগ্রহীতাও যদি কোনো কর্মীর সঙ্গে কর্মঘণ্টার বাইরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তাহলে তা তিনি উপেক্ষা করতে পারবেন। নতুন এই আইন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অবশ্য এক বছর পর থেকে কার্যকর হবে। ১৫ জনের বেশি কর্মী থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই আইন কার্যকর হয়ে গেলেও এর চেয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই আইন কার্যকর হবে আগামী বছরের আগস্ট মাস থেকে।

খালি পেটে তুলসি ভেজানো পানি খাবেন যে কারণে

খালি পেটে তুলসি ভেজানো পানি খাবেন যে কারণে তুলসি পাতা তার ঔষধি গুণাবলীর জন্য পরিচিত। বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এই পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত এবং এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির একটি জনপ্রিয় উপাদান। শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি, ভাইরাল সংক্রমণ, এবং আরো অসুখ সারাতে কাজ করে এই পাতা। কাশি এবং সর্দি থেকে তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে, অথবা পাতা বা বীজ ফুটন্ত পানিতে যোগ করে চা হিসেবেও পান করা যেতে পারে। তুলসি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি প্রতিদিন খালি পেটে খেতে পারেন। তুলসি ভেজানো পানির উপকারিতা বর্ষাকালে তুলসি বিশেষভাবে উপকারী। কারণ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং সিজনাল ফ্লুর মতো অসুখ নিরাময়ের প্রতিকার হিসাবে এর পাতা বিশেষভাবে কাজ করে। আয়ুর্বেদিক কাশির চিকিৎসা হিসেবে তুলসি পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধির ক্ষেত্রে শ্লেষ্মা মুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে। তুলসি গলা ব্যথা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় তুলসির অনেক নিরাময় বৈশিষ্ট্য কিডনিতে পাথর রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে। রেনাল স্টোনে আক্রাক্রো মধুর সঙ্গে এই পাতার রস খেলে উপকার পাবেন। এটি মূত্রনালীর মাধ্যমে পাথর অপসারণ করতে পারে। সেজন্য ছয় মাস পর্যন্ত এই পানি খেতে হতে পারে। রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে তুলসি ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজের মাত্রা, রক্তের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করতে পারে। গ্লোবাল সায়েন্স রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, খালি পেটে দুই থেকে তিনটি তুলসি পাতা বা এক টেবিল চামচ তুলসির রস খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসায় তুলসির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসায়ও উপকারী। তুলসীর রস প্রয়োগ করলে তা ছত্রাকের সংক্রমণ এবং অন্যান্য ত্বকের রোগের চিকিৎসায় কাজ করে। এটি লিউকোডার্মা নিরাময়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। মানসিক চাপ কমায় তুলসি একটি অ্যাডাপ্টোজেনিক হিসাবে পরিচিত যা মেজাজের পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। এটি প্রশান্তি এবং মানসিক স্বচ্ছতা বাড়াতেও সহায়তা করে। এটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়। হার্টের স্বাস্থ্য তুলসি ভিটামিন সি এবং ইউজেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হার্টকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রী আদা, রসুন, লাল আঙ্গুর এবং বরইয়ের সমতুল্য। রক্তচাপ কমায় তুলসি রক্তচাপ কমানো সহ বিভিন্ন অসুখে একটি আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। এটি পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। কার্যকর ফলাফলের জন্য চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে তুলসি ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

রাতে বারবার তৃষ্ণা লাগে? জেনে নিন কারণ

রাতে বারবার তৃষ্ণা লাগে? জেনে নিন কারণ আপনার কি প্রায়ই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় আর তৃষ্ণা পায়? মনে হয় গলা শুকিয়ে আছে? এরকমটা হলে আপনি একা নন। অনেকে তৃষ্ণার কারণে মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং হঠাৎ জেগে ওঠার অভিযোগ করেন। এটি ডিহাইড্রেশন এবং মুখের শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই সমস্যাকে ডাক্তারি ভাষায় পলিডিপসিয়া বলা হয়, চরম তৃষ্ণার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। মুখের ভেতরে শুকিয়ে যাওয়া, সব সময় তরল পান করার একটি অস্বাভাবিক তাগিদ এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। দিনের বেলা ডিহাইড্রেশন, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এবং ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো বিষয়গুলোও এক্ষেত্রে কারণ হতে পারে। খাবারের ভূমিকা বিশেষজ্ঞের মতে, ডায়েট মানুষের তৃষ্ণার মাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। শোবার আগে নোনতা বা মসলাদার খাবার খেলে তা শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে, যার ফলে তৃষ্ণা বেড়ে যায়। এছাড়া ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণও ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এ কারণে সুষম খাদ্য বজায় রাখা এবং ঘুমের আগে এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ওষুধের প্রভাব কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে গলা শুকিয়ে যেতে পারে। আমেরিকান জেরিয়াট্রিক্স সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব বয়স্ক ব্যক্তি নির্দিষ্ট ওষুধ খান তাদের গলা শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষকরা অসংখ্য গবেষণা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন এবং গলা শুকানো এবং বারবার প্রস্রাবের সঙ্গে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ আবিষ্কার করেছেন। স্লিপ অ্যাপনিয়া স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো ঘুমের ব্যাধি গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং বারবার তৃষ্ণা পাওয়ার সমস্যা বাড়াতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এটি মুখের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে ঘটে, যা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পরিচিত সমস্যা। রাতে অত্যধিক তৃষ্ণা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? রাতে বারবার তৃষ্ণা পাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে রয়েছে ঘুমানোর আগে অত্যধিক স্ক্রিন টাইম এড়ানো, যা মেলাটোনিন উৎপাদন কমাতে পারে, ঘুম ব্যাহত করতে পারে এবং গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়াও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ; নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখা; ঘুম উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা ইত্যাদিও এই সমস্যা কমাতে কাজ করতে পারে।

কেন প্রতিদিন আপেল খাবেন?

কেন প্রতিদিন আপেল খাবেন? আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক মিছরি। এতে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে- একথা কিন্তু অনেকটাই সত্যি। সকালে একটি আপেল খেলে তা সারাদিন শক্তি ধরে রাখতে কাজ করে। আপেল ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। ভালো হজম, শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম এবং হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য এসব উপাদান জরুরি। জেনে নিন প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে- ১. হজমশক্তি বাড়ায় আপেল পেকটিন নামক উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ। এই পেকটিন হলো এক ধরনের ফাইবার যা পাচনতন্ত্রের জিনিসগুলোকে চলতে সাহায্য করে। আপনি যদি কখনো কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকে তবে সেক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী হতে পারে। এছাড়াও আপেলের এনজাইম হজমের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করে। ২. ত্বক উজ্জ্বল করে আপেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এই ফল আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে ত্বক মুক্ত থাকে। ৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে আপেলে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি, এ কারণে আপেল খেলে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট পূর্ণ রাখে। যার ফলে বারবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এবং স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আদর্শ একটি ফল হলো আপেল।

এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা খাবেন

এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা খাবেন বর্ষা শেষ হয়ে শরৎ এলেও বৃষ্টি হচ্ছেই। এই রোদ তো পরক্ষণেই আবার ঝরছে বৃষ্টি। আবহাওয়ার এমন অবস্থায় থাকে বিভিন্ন অসুখের ভয়। সংক্রমণের ঝুঁকি, হজমের সমস্যা এবং শক্তির স্তরের ওঠানামা সেসবের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে এই সময়ে পুষ্টিকর সুষম খাদ্য বজায় রাখা অপরিহার্য। স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো মাল্টিভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারগুলো আপনাকে সাহায্য করবে- ১. ভিটামিন সি ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, সাধারণ সংক্রমণ এবং সর্দি থেকে রক্ষা করে, যা এসময়ে বেশি হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ, অফিস অফ ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস অনুসারে, ভিটামিন সি, বা এল-অ্যাসকরবিক অ্যাসিড একটি পানিতে দ্রবণীয় অপরিহার্য পুষ্টি। মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না। এই ভিটামিন প্রাকৃতিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু খাবারে থাকে এবং অন্য খাবারের সঙ্গে যোগ করা যায় বা সম্পূরক হিসেবে খাওয়া যায়। লেবু, কমলা, জাম্বুরা, আমলকি, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ২. ভিটামিন ডি বর্ষাকালে সূর্যালোক কমে গেলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে যেতে পারে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ২০১০ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। উচ্চ ভিটামিন ডি শক্তিশালী হাড় বজায় রাখে। প্রাকৃতিক সূর্যালোক সর্বোত্তম উৎস হলেও, পর্যাপ্ত মাত্রা বজায় রাখার জন্য দুধ, সিরিয়াল এবং পরিপূরকের মতো শক্তিশালী খাবার বেছে নিতে পারে। ৩. বি ভিটামিন বি-৬, বি-১২ এবং ফলিক অ্যাসিড সহ বি ভিটামিন শক্তি উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যকর বিপাক বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাবারে গোটা শস্য, শিম, বীজ, বাদাম এবং শাক-সবজি যোগ করুন। বি-১২ প্রাথমিকভাবে প্রাণিজ পণ্যে পাওয়া যায়, তাই আপনি যদি নিরামিষ বা নিরামিষাশী হন তবে একটি সম্পূরক খেতে পারেন। ৪. জিঙ্ক জিঙ্ক ইমিউন ফাংশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, জিঙ্ক ইমিউন ফাংশনের জন্য অপরিহার্য, নিউট্রোফিলস এবং প্রাকৃতিক ঘাতক কোষের মতো প্রধান প্রতিরোধক কোষ কার্যকরী রাখতে কাজ করে। বাদাম, বীজ, লেবু এবং গোটা শস্যের মতো খাবার নিয়মিত খেতে হবে। ৫. প্রোবায়োটিকস এসময় খাবারে আর্দ্রতা এবং দূষণের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে হজমের সমস্যা হতে পারে। প্রোবায়োটিক স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের উদ্ভিদ বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনার খাদ্যতালিকায় দই, সাউরক্রাউট এবং অন্যান্য গাঁজনযুক্ত খাবার যোগ করুন। প্রোবায়োটিক সম্পূরকও উপকারী হতে পারে। ৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা বর্ষাকালে আরও বেশি হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রঙিন ফল এবং শাক-সবজি যোগ করুন, যেমন বেরি, টমেটো, পালং শাক এবং বেল পেপার।