ত্বকের যত্নে তেঁতুল ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম

ত্বকের যত্নে তেঁতুল ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম তেঁতুল এমন একটি ফল যার নাম শুনলেই মুখে পানি আসে। অনেকেই ত্বকের যত্নে তেঁতুল ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেঁতুলে। এই ফল দিয়ে ত্বকের যত্ন কীভাবে নেওয়া যায়, জেনে নিন। হলুদ-তেঁতুলের ফেসপ্যাক ত্বকের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। এর জন্য লাগবে পরিমাণমতো তেঁতুল পানিতে সিদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হলে সেই ফোটানো তেঁতুলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে নিন। তৈরি আপনার ফেসপ্যাক। ১৫ মিনিট মুখে মেখে, শুকিয়ে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। দেখবেন রাতারাতি ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। বেসন- তেঁতুলের ফেসপ্যাক বেসন সবসময়ই ত্বকের পক্ষে ভালো। চটজলদি ঝকঝকে স্কিন পাওয়ার জন্য বেসন দারুণ কাজ করে। রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘বেসনের সঙ্গে অল্প তেঁতুল, মধু মিশিয়ে নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়।’’ এই ফেসপ্যাক ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই হয়ে গেলো। তেঁতুল-বেকিংসোডার ফেসপ্যাক অল্প পরিমাণ তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে ২ চামচ চিনি আর ১ চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে নিন। এই প্যাক স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়। চিনি ত্বকের ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। বেকিং সোডা ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনে। যাদের মুখে পোড়া দাগ পড়েছে তারা এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। উল্লেখ্য, পান করতে পারেন তেঁতুলের শরবত। এ ছাড়া তেঁতুল পানিতে তুলার বল ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে জেল্লা ফিরবে।
সকালেই হোক সুস্থতার শুরু

সকালেই হোক সুস্থতার শুরু ইংরেজি একটি প্রবাদ আছে ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’ অর্থাৎ দিনের শুরুর কর্ম উদ্যমতাই আপনাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। আরেকটু ভেঙে বললে বলা যায় যে, সকালের যেকোনো সুস্থ অভ্যাস আপনাকে ধীরে ধীরে কর্মঠ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। চলুন স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো জেনে আসা যাক। এক তাড়াহুড়ো করে দিন শুরু করার কোনো প্রয়োজন নেই। আস্তে-ধীরে শুরু করুন। প্রাকৃতিক আলো যেন আপনাকে জাগিয়ে তুলতে পারে। দুই নিশ্বাস নিন। মেডিটেশন কিংবা ধ্যানে বসুন এবং নিজেই নিজেকে কয়েকটি বিষয় বলুন- পাঁচটি জিনিস যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন, চারটি জিনিস যা অনুভব করতে পারছেন, তিনটি জিনিস যা শুনতে পাচ্ছেন, দুইটি জিনিস যার গন্ধ শুঁকতে পারছেন এবং একটি জিনিস যার স্বাদ নিতে পারছেন। তিন ঘরে টেলিভিশন চললে বন্ধ করে দিন। এমনকি মোবাইলফোন থেকেও দূরে থাকুন। চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা কোনো গান বাজাতে পারেন। চার প্রাতরাশ করার পূর্বে বড় এক গ্লাস পানি পান করুন। চাইলে ভেষজ চা-ও পান করতে পারেন। পাঁচ পেট ভরে সুষম খাবার দিয়ে নাস্তা করুন। যেমন- আটার রুটি, ওটমিল, সবজি, ফল, ডিম ইত্যাদি। ছয় নিজের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলুন। যেমন- সেদিন কী করতে চান, আপনার পরিকল্পনা কী কিংবা আপনি কেমন বোধ করছেন ইত্যাদি। টু-ডু লিস্ট কিংবা কর্মতালিকায় চোখ বুলিয়ে দেখুন। এটি আগের রাতেই ঘুমের পূর্বে তৈরি করে রাখবেন। আট কাজ শুরু করার পূর্বে টেবিলে একবার চোখ বুলান। দেখুন গোছানো আছে কিনা। না গোছানো থাকলে গুছিয়ে তারপর কাজে হাত দিন।
সহজ উপায়ে বানিয়ে নিন চকোলেট কোকোনাট বল

সহজ উপায়ে বানিয়ে নিন চকোলেট কোকোনাট বল চকোলেটের মতো সুস্বাদু খাদ্য মোটামুটি সকলেই ভালোবাসেন। এই মিষ্টি স্বাদের খাদ্যটি বাচ্চা থাকে বুড়ো প্রতিটি মানুষই খান। তবে চকোলেট শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি এর রয়েছে অনেক গুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক চকোলেট কোকোনাট বল বানানোর পদ্ধতি: যা যা নিতে হবে- কনডেনসড মিল্ক-১ কাপ, ডেসিকেটেড কোকোনাট (নারিকেল গুঁড়া) ২ কাপ, কোকো পাউডার- ৩ টেবিল চামচ, বিস্কুট ক্রাম্বস, বাদাম কুচি চকোলেট টুকরা ১/২ কাপ, সাজানোর জন্য কোকোনাট ফ্লেক্স (কোড়ানো নারিকেল) ১/২ কাপ। যেভাবে বানাবেন : প্রথমে পাত্রে কনডেনসড মিল্ক, কোকো পাউডার ও কোকোনাট গুঁড়া নিয়ে মেশাতে হবে। পরে তাতে বিস্কুট ক্রাম্বস ও বাদাম কুচি মেশান। এরপর একটা ডো বানিয়ে নিন। ডো থেকে ছোট বলের মতো করুন। প্রতিটি বল কোকোনাট ফ্লেক্সে গড়িয়ে নিন। এরপর ফ্রিজে ৩০ মিনিট রাখুন। মেহমান এলে তাদের মাঝে পরিবেশন করুন মজাদার চকোলেট কোকোনাট বল।
আশির দশকের পত্রমিতালী

আশির দশকের পত্রমিতালী আশির দশকে দূরের, অচেনা কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার অন্যতম উপায় ছিলো পত্রমিতালী। এই পত্রমিতালী কেন্দ্র করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আলাদা একটি শৈল্পিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিলো। সাধারণত পরষ্পর-পরষ্পর সম্পর্কে কারও কাছ থেকে জেনে, একজন আরেকজন সম্পর্কে আগ্রহী হলে চিঠির মাধ্যমে একপক্ষ হয়তো বন্ধুত্বের আহ্বান জানাতো। এখানে একজন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকতেন। তিনিই প্রথম পক্ষের চিঠি দ্বিতীয় পক্ষের কাছে পৌঁছে দিতেন। চিঠি পাওয়ার পরে ওই মধ্যস্ততাকারীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে দ্বিতীয় পক্ষ সিদ্ধান্তে আসতেন পত্রমিতালী করবেন, নাকি করবেন না। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যেও অনেক সময় গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠতো। সে সময় নারী-পুরুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা মোটেও সহজ ছিল না। নারী-পুরুষে পত্রমিতালী তৈরি হলে কোনো কোনো সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত প্রেম পর্যন্ত গড়াতো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। পত্রমিতালী সাহিত্যনির্ভর একটি বিষয় ছিল। কনভারসেশন, মত বিনিময়, ভাবের আদান-প্রদান, মতের আদান-প্রদান বা মতোবিরোধ হলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতো। সেই আলোচনাগুলো খুবই উচ্চমার্গীয় ব্যাপার ছিল। কেন তার মতের সঙ্গে আমি একমত না, সেটার যুক্তি দিতে দিতে অনেক সময় দুই তিন, পৃষ্টার চিঠি লেখা হয়ে যেত। দেখা যেতো যে চিঠি পাঠানোর জন্য অনেক সময় বাড়তি ডাক মাসূলও দিতে হতো। পত্রমিতালী চিন্তা চেতনা বিকাশেও সহায়ক ছিলো। এমন পত্রমিতালীও হয়েছে, দেখা গেছে যে দুই, চার বছর ধরে একজন আরেকজনকে চিঠি লিখেছে কিন্তু কেউ কাউকে দেখেনি। এখন যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ফেইক আইডি খোলে। নারী পুরুষ সাজে আবার পুরুষ নারী সাজে। এইটা ছিলো না। তখন যে যা, তাই বলতো, লিখতো। তবে হ্যাঁ, কোনো কোনো সম্পর্ক প্রেমের দিকে গেছে। কেউ কেউ বিয়ে করে ঘর বেঁধেছেন। কিন্তু বেশিরভাগই ছিলো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। চিঠি লিখে একজন অজানা, অচেনা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, সেই সম্পর্কের যে আবেদন সেটা এখন এই পর্যায়ে এসে ভাবা যায় না। আমারও একজনের সঙ্গে পত্রমিতালীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। সে অভিজ্ঞতা থেকে জানি, একটা চিঠি লেখার পরে উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। তিন, চার, পাঁচ দিন বা তারও বেশিদিন পরে উত্তর আসতো। এই যে সময়টা, এই সময়টাতে একজনের কল্পনা, সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে ভাবনা মনের ভেতর ছড়িয়ে পড়তো। একটা সময় ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে আসতো। সেটা একটা অসাধারণ মুহূর্ত। খামটা খোলার পরে সেই চিঠিটা স্পর্শ করার যে অনুভূতি, তা আজকে বলে বোঝানো যাবে না। এটা শুধু তখনই বোঝা যেত। যথারীতি চিঠির তো আর অনুলিপি রাখা হতো না, কিছু কিছু যা মনে পড়তো সেগুলোর উত্তর ঠিকঠাক আছে কিনা পড়ে মেলানো হতো। চিঠি পড়ে যদি কোনো জায়গায় দেখা যেত যে দুইজনের মতের সাথে মিল আছে, তাহলে ভালো বোধ হতো। আবার যদি যুক্তিসঙ্গত দ্বিমতের প্রকাশ দেখা যেত তাহলেও ভালো লাগতো। আবার কোনো কোনো যুক্তিকে যখন অযৌক্তিক মনে হতো, পরবর্তী চিঠির উত্তরে হয়তো আবার সেই লেখার প্রেক্ষিতে নিজের যুক্তি আর জোড়ালোভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা থাকতো। অনেকেই পত্রমিতালী গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে পত্রপত্রিকায় ছোট আকারে বিজ্ঞাপন দিতো। এটা এক ধরনের বিনোদনও ছিলো। এখন আমরা যেমন কক্সবাজার বেড়াতে যাই, আমরা হ্যাংআউট করি, রিসোর্টে যাই বা বারবিকিউ পার্টি করি, সে সময়তো এই কাজগুলো করার উপায় ছিলো না। কিন্তু মানুষ সব সময় অন্যরকম কিছু করার তাড়না বোধ করে, সেই বোধেরই এক ধরণের বহিঃপ্রকাশ ছিলো পত্রমিতালী।
‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ কাটাতে মাকে কীভাবে সহায়তা করবেন

‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ কাটাতে মাকে কীভাবে সহায়তা করবেন সন্তান প্রসবের পরে মায়ের শরীরে অনেক ধরণের পরিবর্তন আসে। যার প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। এদিকে শিশুর যত্ন নেওয়ার একটি বাড়তি চাপতো থাকেই। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পারিবারিক এবং সামাজিক সহায়তা না পেলে মায়ের পোস্টনেটাল ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আখতার সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘শিশুর মাকে অন্তত প্রথম দুইবছর পর্যাপ্ত সময় দিন, যতটুকু আপনি যথেষ্ট ভাবছেন তার চেয়ে বেশী সহযোগিতা করুন, তখন আর মাকে পোস্টনেটাল ডিপ্রেশনের চেহারা দেখতে হবে না।’’ প্রিয়তীর ওই পোস্টের কমেন্টে অনেক নারী নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এবং মতামত দিয়েছেন। রুখসানা আফরোজ মিতু নামের একজন লিখেছেন, ‘‘আপু আমাদের সমাজে এরকম কেউ করেনা বাচ্চা হবে শুধু কথা শুনাবে।কথা শুনলে মায়েরা ডিপ্রেশনে চলে যায়।আমার জটিল প্রেগন্যান্সি ছিল।দুটি অপারেশন হয়েছে রিকভারি না হতেই কেন পরিবারের সবার জন্য কেন রান্না করছি না তেড়ে আসে।যৌথ পরিবারে থাকলে তো কথায় নেই।আমার হাজবেন্ড সাহায্য করে কিন্তু পরিবারের লোক জনদের সাথে পারেনা।’’ ফারজানা আলম নামের একজন লিখেছেন, ‘‘এটা কয়জনইবা বুঝে সবাই ভাবে বাচ্চা হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় কিন্তু একটা মার উপর দিয়ে কি যায় সেই একমাত্র জানে।’’ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির যুক্তি হচ্ছে, সবাই তার স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করতে চায়, মায়েরও যে স্বাভাবিক সময়টুকু লাগে এটা কিন্তু কেউ বোঝার কষ্ট করেনা কারন বুঝলেই ওদের বিপদ । একজন মায়ের ‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ দেখা দিয়েছে কিনা যেভাবে বুঝবেন— অতিরিক্ত বিষণ্ণতা বা দুঃখ বোধ হতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগতে পারে„ অহেতুক কান্না আসতে পারে মেজাজ খিটখিটে হতে পারে ঘুম অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে অথবা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে। খুব বেশি ক্ষুধা লাগতে পারে অথবা খুব কম ক্ষুধা লাগতে পারে শিশুর প্রতি মনোযোগ দিতে সমস্যা হয অন্যান্য মানুষের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে ইচ্ছা করে। উল্লেখ্য, একজন মা যাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন—তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
ভালো থাকতে বদলে ফেলুন নিজেকে

ভালো থাকতে বদলে ফেলুন নিজেকে বেশিরভাগ মানুষই নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা সবাই ভাবে তাদের জীবনটা আরও বেশি সুন্দর হতে পারতো কিন্তু এজন্য তারা কিছুই করে না। আপনি যদি আপনার জীবনটাকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনার জীবন যাপনের প্রতিটা স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। প্রথমেই পুরোনো বদ অভ্যাসগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। আর নতুন নতুন ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ ভালো অভ্যাসগুলোই আপনার জীবন বদলে দেবে। আমাদের জীবন আসলে খুবই ছোট আর এজন্যই এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন এ ছোট জীবনে সবাই চায় সুখী হতে আর উপভোগ্য একটি জীবন কাটাতে কিন্তু সবাই তা করতে পারে না। কেন করতে পারে না সেটা নিয়ে আজ আমরা কথা বলবো না, আমরা আজ জানবো কিভাবে খুব ছোট ছোট কিছু কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব। এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো আপনি আয়ত্ত করলে অতি সহজেই একটি সুন্দর ও উপভোগ্য জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা তেমন কিছু অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক- * নিজের যত্ন নিন, সুন্দর সুন্দর পোশাক পরুন। সকালে উঠে একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে সাজ-পোশাকে তৈরি হয়ে অফিসে গেলে দেখবেন সারাদিন আপনার মন ভালো থাকবে। সঙ্গে পছন্দের পারফিউম ব্যবহার করুন। * জানেন তো, হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলতে কষ্ট তো হয়ই না, বরং আমাদের দেখতে আরও সুন্দর ও আকষর্ণীয় লাগে। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে, আপন করে নেবে আর এ অনুভূতি আপনাকেও ভালো রাখবে। * সমালোচনা নয়, প্রশংসা করুন। কেউ একটা নতুন শাড়ি পরেছে, অথবা কোনো কাজ করে খুব আগ্রহ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চেয়েছে। এ সময় নিশ্চয় তারা প্রশংসাই আশা করবেন। আপনার প্রশংসাই হয়তো তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে। * কেউ কিছু বলতে চাইলে মন দিয়ে শুনুন। আপনি একজন ভালো শ্রোতা যেমন হবেন আবার তার কথা থেকে হয়তো অনেক কিছু শিখতেও পারবেন। * ধন্যবাদ জানান, ঘর থেকে শুরু করুন। যখন বের হচ্ছেন, কেউ আপনাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছেন, প্রথমে তাকেই ধন্যবাদ দিন। সকালের নাস্তাটা আজ ভালো ছিল? যিনি তৈরি করেছেন তার তো একটা ধন্যবাদ প্রাপ্যই। এরপর ড্রাইভার, বাড়ির বা অফিসের দারোয়ান, দোকানদার কিংবা অফিসের সহকর্মী ছোট কোনো কাজেও যে সাহায্য করছে তাকেই ধন্যবাদ দিন। দেখুন দিনটাই সুন্দর হয়ে যাবে। * একেবারেই ব্যায়াম করা হয় না? অন্তত রাতে কিছুটা সময় গান শুনতে শুনতে হাঁটুন। * দিন সবার জন্যই সমান সময় নিয়েই আসে, একে সুন্দর করা ও নিজে ভালো থাকা অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছা এবং কাজের ওপর। এটাও মানতে হবে, সব পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তবে যেটুকু থাকে, এতটুকু ভালো থাকার আন্তরিক চেষ্টা করুন আজ থেকেই।
নিমপাতায় ত্বক-চুলের যত্ন

নিমপাতায় ত্বক-চুলের যত্ন আমরা সবাই জানি, নিম একটি ওষুধি গাছ। যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে খুবই কার্যকর। আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। নিমের উপকারিতাগুলো ত্বক: বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এ চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। চুল: উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমপাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর। চুলের খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিমপাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়। সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রাখুন। এবার ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া কমার সঙ্গে সঙ্গে চুল নরম ও কোমল হবে। কৃমিনাশক: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। বাচ্চাদের পেটের কৃমি নির্মূল করতে নিমপাতার জুড়ি নেই। দাঁতের রোগ: দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে, সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দাঁতের রোগ থেকেও।
পরিচ্ছন্ন ঘর মানেই পরিচ্ছন্ন মন

পরিচ্ছন্ন ঘর মানেই পরিচ্ছন্ন মন পরিচ্ছন্ন ঘর শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং মানসিক শান্তি ও সুস্থতার জন্যও জরুরি। ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন ঘর গোছানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ঘর সর্বদা ঝকঝকে ও সুশৃঙ্খল রাখা সম্ভব। প্রতিদিন ছোট ছোট কাজ করুনঃ একসাথে পুরো ঘর পরিষ্কার করতে গেলে সময় ও শ্রম দুটোই বেশি লাগে। তাই প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করে ছোট ছোট অংশ পরিষ্কার করুন—যেমন, আজ ড্রইংরুম, কাল রান্নাঘরের তাক, পরশু শোবার ঘর। এতে ঘর নোংরা হওয়ার সুযোগ পাবে না। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন ঘরে যত বেশি অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমে, ততই ধুলো ও অগোছালো অবস্থা বাড়ে। নিয়মিত আলমারি, টেবিল, তাক দেখে পুরোনো জামা, কাগজপত্র বা ব্যবহারহীন জিনিস সরিয়ে ফেলুন। মিনিমালিস্ট জীবনযাপন ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার অন্যতম উপায়। প্রতিদিন বিছানা গুছিয়ে নিন বিছানা অগোছালো থাকলে পুরো ঘরই নোংরা মনে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানার চাদর ভাঁজ করে গুছিয়ে নিলে শোবার ঘর অনেক পরিপাটি দেখাবে। রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন খাওয়ার পর থালা-বাসন ধুয়ে ফেলুন, সিঙ্কে জমতে দেবেন না। রান্নাঘরের টেবিল, চুলা ও ফ্রিজের দরজা নিয়মিত মুছে রাখুন। রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন থাকলে পুরো ঘরেই পরিচ্ছন্নতার ছাপ পড়বে। মেঝে ঝাড়ু ও মপ করুন প্রতিদিন অন্তত একবার ঝাড়ু দিন এবং সপ্তাহে অন্তত দু’বার ভিজে মপ করুন। এতে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু কমবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা থাকলে মেঝে পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডাস্টবিন নিয়মিত খালি করুন ডাস্টবিনে আবর্জনা জমলে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। তাই প্রতিদিন ডাস্টবিন খালি করুন ও সপ্তাহে অন্তত একবার জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জানালা-দরজা খোলা রাখুন প্রতিদিন কিছু সময় জানালা ও দরজা খোলা রাখলে বাতাস চলাচল হয়। এতে ঘরের গন্ধ দূর হয় এবং পরিবেশ থাকে সতেজ। পরিবারকে অভ্যাস করান পরিচ্ছন্ন ঘর শুধু একজনের দায়িত্ব নয়। পরিবারে সবাইকে নিজ নিজ জিনিস গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করাতে হবে। যেমন—ব্যবহারের পর কাপড় ঝুলিয়ে রাখা, বই-খাতা আলমারিতে রাখা, খেলনা বাক্সে রাখা ইত্যাদি।
ঘুম আসে না? রাতে বিশেষ এই পানীয় পান করুন

ঘুম আসে না? রাতে বিশেষ এই পানীয় পান করুন রাতে ঘুমের জন্য যাদের লড়াই করতে হয় না, তারা সৌভাগ্যবান। কিন্তু অনেকেরই সেই সৌভাগ্য হয় না। আলো কমিয়ে দেওয়া, ফোন দূরে রাখা, গরম কিছু পান করা- এরকম নানা অভ্যাসও সঠিক সময়ে ঘুম আনতে পারে না অনেক সময়। তবে কিছু উপকারী পানীয় আছে যা আপনাকে রাতে ভালো ঘুমে সাহায্য করতে পারে। সেরকম একটি হলো, জিরা দুধ। উষ্ণ দুধ দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সময় একটি প্রধান পানীয় হিসেবে পরিচিত, তবে এতে জিরা যোগ করলে উপকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে হজম, ঘুম এবং চাপ উপশমের জন্য। জিরা দুধ কী এবং কেন এটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে : জিরা গুঁড়া মিশ্রিত এক গ্লাস গরম দুধ। ঐতিহ্যগতভাবে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে এটি খাওয়া হয়, এটি হজম, প্রশান্তি এবং ঘুম বর্ধক বৈশিষ্ট্যের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, জিরা (কিউমিনাম সাইমিনাম) জিরাক নামে পরিচিত, যার অর্থ ‘যা হজম করে’। এটি লঘু (হালকা), রুক্ষ (শুষ্ক) এবং উষ্ণা (গরম) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ, যা কফ এবং বাত দোষের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এটিকে আদর্শ করে তোলে। দুধের সাথে মিলিত হলে এটি শীতল এবং পুষ্টিকর হয়ে ওঠে, এই মিশ্রণটি প্রায় সবার জন্য উপযুক্ত প্রতিকার হয়ে ওঠে। জিরা দুধ কি ঘুমের মান উন্নত করতে পারে? হ্যাঁ। জিরাতে মেলাটোনিন থাকে। এই হরমোন ঘুম-জাগরণ চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। এতে থাইমোকুইনোনও রয়েছে, যা ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ঘুমের মান উন্নত করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশনে প্রকাশিত ২০২৪ সালের একটি ডাবল-ব্লাইন্ড গবেষণায় দেখা গেছে যে, জিরার নির্যাস (BCO-5) ঘুমের দক্ষতা উন্নত করে, ঘুমের লেটেন্সি হ্রাস করে এবং অংশগ্রহণকারীদের মোট ঘুমের সময় বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে – ঘুম নিয়ন্ত্রণের জন্য উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্য স্লিপ ডক্টর নামে পরিচিত ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডঃ মাইকেল ব্রুস নিশ্চিত করেছেন যে, উষ্ণ দুধে ট্রিপটোফ্যানের পরিমাণ থাকার কারণে এটি আরও ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। জিরা এবং দুধ একসাথে শান্ত, ঘুম-বান্ধব মিশ্রণ তৈরি করে যা স্নায়ুতন্ত্র এবং পাচনতন্ত্র উভয়ের ওপর কাজ করে, যা হতে পারে আপনার রাতের রুটিনে একটি স্মার্ট সংযোজন।
রূপচর্চায় হলুদের জাদু!

রূপচর্চায় হলুদের জাদু! রান্নায় অপরিহার্য মসলা হলুদ। বাংলাদেশি রান্নায় যেন হলুদ ছাড়া কোনো তরকারি রাঁধাই সম্ভব না। কিন্তু কেবল হলুদ কেবল আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু ও সুন্দর করে তোলে না চাইলে আপনার বিউটি রুটিনেও হলুদ বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে দেখে নেওয়া যাক। গায়ের রঙ উজ্জ্বল করে আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবেই গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে চান তবে হলুদ ব্যবহার করুন। বিয়ের আগে গায়ে হলুদের আয়োজন কেন করা হয় জানেন তো? বিশেষ দিনটিতে কন্যার গায়ের রঙ যেন খোলাশা হয় সেজন্যেই। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং জীবানু-নিরোধক উপাদান যার দরুণ এটি ব্যবহারে গায়ের রঙ উজ্জ্বল, সজীব ও সতেজ হয়ে ওঠে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে চোখের নিচে কালো দাগ যার থাকে, সেই বোঝে কত যন্ত্রণার বিষয় এটি! বাজারে অনেক ধরনের সামগ্রী পাওয়া যায় এটি দূর করার জন্যে, কিন্তু সবগুলোই কি নিরাপদ ও কার্যকরী? প্রতিদিন নিয়ম করে হলুদ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক চোখের আশেপাশে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন। দাঁত সাদা করে আপনার হয়তো মনে হতে পারে হলুদ আবার কীভাবে দাঁত সাদা করবে? কিন্তু হ্যাঁ, হলুদ দাঁতকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তোর মতন সাদা করে তোলে এবং দাঁত ব্যথা এবং জিঙ্গাইভিটিস দূর করে। আপনি প্রতি সকালে টুথপেস্ট হিসেবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন, ফলাফল কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন। ব্রণের সঙ্গে যুদ্ধ করে মুখের ব্রণ দূর করতে হলুদ দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কারণ এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক থাকে। লালচে ভাব ও ব্যথা কমিয়ে এটি ধীরে ধীরে ব্রণ সারিয়ে তোলে। আপনি যদি অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে টোনার বানিয়ে কিছুদিন ব্যবহার করতে থাকেন, তবে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাবেন। ব্রণের দাগ সারাতেও এটি সমান উপকারী। বয়সের ছাপ কমিয়ে দেয় আপনার ত্বকে উল্লেখযোগ্য হারে বয়সের ছাপ পড়ছে? কিংবা সূর্যের আলোতে অধিক সময়ে অবস্থানের কারণে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়েছে? চিন্তার কিছু নেই। আধা চা-চামচ হলুদ গুড়োর সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। দশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে ত্বকে লাবণ্য ফিরে আসবে। দেখলেন তো, রান্নার কাজে অপরিহার্য মসলা হলুদ ত্বকের সুরক্ষায় কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকেই বিউটি রুটিনে হলুদ যোগ করুন এবং ফলাফল নিজের চোখেই দেখুন।