যে চুক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ জমানো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল

যে চুক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ জমানো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল স্বর্ণ জমানোর ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার সম্পদ জমানোর প্রথম দিকের উদাহরণ। এটি ক্ষমতা, পবিত্রতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের মুদ্রার মান সরাসরি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণের মূল্যের সাথে বেঁধে দেয়। এর ফলে স্বর্ণকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে একটি দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির প্রতীক হিসেবে জমানো হতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস নামক স্থানে ১৯৪৪ সালের ‘ব্রেটন উডস চুক্তি’-এর মাধ্যমে মার্কিন ডলারকে স্বর্ণের বিপরীতে নির্দিষ্ট মূল্যে স্থির করা হয়। ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগ দেয়। এর লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং পুনর্গঠনের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা। এবং অন্যান্য দেশের মুদ্রা ডলারের সাথেও মূল্য স্থির করা হয়। এর ফলে ডলার বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হয়ে ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে ডলারের পাশাপাশি স্বর্ণও জমা রাখতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্রেটন উডস চুক্তি’ অনুযায়ী নির্ধারিত স্বর্ণমাণ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে। এরপর থেকে স্বর্ণের দাম বাজারের চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে ওঠানামা করে। বর্তমানে ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার জন্য স্বর্ণ জমায়। যেমন—যুদ্ধ, মহামারী বা অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ জমিয়ে রাখে। এই ব্যবস্থা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষাও দেয়।
বেবি’স ডে আউট: বাস্তবে একটি শিশুর চরিত্রে দুই শিশু ছিল

বেবি’স ডে আউট: বাস্তবে একটি শিশুর চরিত্রে দুই শিশু ছিল আমেরিকান কমেডি চলচ্চিত্র ‘বেবি’স ডে আউট’। এটি পরিচালনা করেছিলেন প্যাট্রিক রিড জনসন, লিখেছিলেন জন হিউজেস। চলচ্চিত্রটি দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি ক্লাসিক কমেডি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এর মূল কাহিনী আবর্তিত হয়েছে বেনিংটন অস্টিন ‘বিঙ্ক’ কটওয়েল চতুর্থ নামের এক নয় মাস বয়সী শিশুকে ঘিরে। সিনেমাটি হয়তো আপনিও দেখেছেন। কিন্তু জানেন কী, যেই শিশুটিকে আমরা পর্দায় দেখেছি—সেই একই চরিত্রে অভিনয় করেছে জমজ দুই ভাই। তারা হলেন জ্যাকব জোসেফ ও অ্যাডাম রবার্ট ওর্টন। তখন তাদের বয়স ছিলো নয় মাস। সে সময় দুইজনের চেহারা দেখতে হু বহু একই রকম ছিলো। যেকারণে পর্দায়ও তাদেরকে একজনই মনে হয়েছে। সিনেমার কাহিনীতে দেখা যায়, শিকাগোর শহরতলির এক ধনী পরিবারে বসবাসকারী এক শিশুকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে তিন ব্যক্তি। তারা শিশুটির ছবি তোলার ভান করে তারা বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাকে অপহরণ করে। কিন্তু শিশু বিঙ্ক অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর সে তার প্রিয় রূপকথার বই ‘Baby’s Day Out’ এ বর্ণিত জায়গাগুল ঘুরে দেখতে শুরু করে। এবং অপরহনকারীদের বার বার বোকা বানায়। শেষ পর্যন্ত, পুলিশ তাকে খুঁজে পায় এবং সে তার পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরে আসে।
বিলুপ্তির মুখে বিরল প্রাণী লেমুর, গোপনে খেয়ে ফেলা হচ্ছে

বিলুপ্তির মুখে বিরল প্রাণী লেমুর, গোপনে খেয়ে ফেলা হচ্ছে মাদাগাস্কারের জঙ্গলে লেমুর নামের ছোট প্রাইমেট প্রাণী বহুদিন ধরেই বিপদের মুখে। কিন্তু নতুন গবেষণা আরও ভয়াবহ তথ্য সামনে এনেছে। লেমুর শুধু বনভূমি ধ্বংস বা অবৈধ শিকারের কারণে নয়, ধীরে ধীরে মানুষের পাতে ‘গোপনে’ হারিয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের ভাষায়, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে লেমুর হয়তো খেয়ে-খেয়েই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। চার বছর ধরে (২০২২–২০২৫) পরিচালিত এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো মাদাগাস্কারের লুকানো ‘লেমুর মাংস বাণিজ্য’-এর আসল চিত্র উঠে এসেছে। ১৭টি শহরের ২,৬০০ মানুষের সঙ্গে কথা বলে গবেষকেরা দেখেছেন—বছরে প্রায় ১৩ হাজার লেমুর শিকার ও খাওয়া হয়। যেসব শহরে জরিপ হয়েছে, তার এক-তৃতীয়াংশে নিয়মিত লেমুর মাংস খাওয়ার সংস্কৃতি রয়েছে। গবেষণা বলছে, মোট বেচাকেনার প্রায় ৯৪.৫ শতাংশই হয় গোপনে—শিকারি, সরবরাহকারী ও নির্দিষ্ট ক্রেতাদের মধ্যে। মাত্র ৫.৫ শতাংশ বিক্রি হয় কিছু রেস্টুরেন্টে। এসব রেস্টুরেন্ট সাধারণত দামি, কারণ এ মাংস ধনী ক্রেতাদের কাছে ‘দুর্লভ খাবার’ হিসেবে জনপ্রিয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন লেমুর মাংসে বিশেষ স্বাদ আছে এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ‘উপকারী’। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সবচেয়ে বেশি শিকার হওয়া প্রজাতি হলো ব্রাউন লেমুর ও রাফড লেমুর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও সংরক্ষণ সংঘ ( আইইউসিএন) জানিয়েছে, লেমুরের ১১২টি প্রজাতির মধ্যে ৯০ শতাংশই বিলুপ্তির ঝুঁকিতে। গবেষকেরা সতর্ক করে বলেন, প্রচলিত সংরক্ষণ পদ্ধতি এই সংকট মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়। তাদের মতে, লেমুর রক্ষা করতে হলে শক্তভাবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ, লেমুর মাংস খাওয়ার স্বাস্থঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিকারিদের বিকল্প আয়সূত্র তৈরি করতে হবে। গবেষকদের সতর্কবার্তা, ডেটা-ভিত্তিক (তথ্যনির্ভর) সমাধান ছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে লেমুর খুব দ্রুত হারিয়ে যাবে।
গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাস কতটা ক্ষতিকর?

গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাস কতটা ক্ষতিকর? শীত এলেই বাতাসে বাড়ে দূষণের পরিমাণ। প্রতিদিন সকালে মানুষ চোখ জ্বালাপোড়া, গলা চুলকানো, মাথাব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে হয় অনেককে। যদিও এই পরিস্থিতি সবার জন্য সমস্যাজনক, তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিষাক্ত বাতাস ভ্রুণের বিকাশ এবং হবু মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দূষিত বাতাস কীভাবে গর্ভাবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ১. অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় দূষিত বাতাসে PM2.5 এবং PM10 এর মতো ক্ষুদ্র কণা থাকে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় রক্তে পৌঁছায়। এর ফলে প্রদাহ এবং স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়, যা গর্ভবতী মায়েদের অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের NICU-তে থাকতে হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বেশি থাকে। ২. কম ওজন বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ ভ্রূণের পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। এর ফলে গর্ভের ভিতরে শিশুর বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হয়। কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুরা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খাওয়াতে অসুবিধা এবং বিকাশে বিলম্বের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। ৩. গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি দূষিত বাতাসের গুণমান রক্তনালীর ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে থাকা গর্ভবতী নারীরা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বা প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার ঝুঁকিতে ভুগতে পারেন, যা সময়মতো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা না করালে জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। ৪. গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থের সংস্পর্শে যত বেশি থাকা হবে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম মাসগুলোতে, গর্ভপাতের ঝুঁকি তত বেশি হবে। সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের মতো পদার্থ ভ্রূণের রোপন এবং স্বাভাবিক হরমোন ভারসাম্যে সমস্যা করতে পারে। ৫. মায়েদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ফুসফুসের ক্ষমতা হ্রাস পায়। দূষিত বায়ু ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, পাশাপাশি তীব্র বুকে জমাট বাঁধার কারণ হতে পারে, যার ফলে মা এবং শিশু উভয়ের জন্য উপলব্ধ অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
শীতে শিশুর যত্ন

শীতে শিশুর যত্ন শীত তো এসেই গেল। এসময় আপনার বাড়ির দুরন্ত শিশুটিকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে কিছু বাড়তি কাজ করা জরুরি। কারণ শীত এলে তার সঙ্গে নানা অসুখ-বিসুখের জীবাণুও চলে আসে। বছরের শেষ বলে শিশুদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে স্কুলও থাকে বন্ধ। ফলে বেশিরভাগ সময়ে সে আপনার চোখের সামনেই থাকছে। যে কারণে এসময়ে তার খেয়াল রাখা, কী খাচ্ছে, কী নিয়ে খেলা করছে সবকিছু দেখাশোনা করা অন্যান্য সময়ের চেয়ে সহজ হয়। শীতের সময়ে শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু বিষয়ে জোর দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- শিশুর খাবার শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে তার খাবারের দিকে। কারণ এমন অনেক খাবারই আছে যেগুলো বড়দের পেট সহ্য করে নিলেও শিশুদের পেটে সব সময় সহ্য হয় না। সেসব খাবার থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। বিশেষ করে বাইরের কোনো খাবার এসময় শিশুকে দেওয়া যাবে না। বাইরের খোলা খাবার বা প্যাকেটজাত খাবারের বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার তাকে খেতে দিতে হবে। শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ও ফল নিয়মিত রাখতে হবে শিশুর খাবারের তালিকায়। এছাড়া নিয়মিত ডিম, দুধ, মুরগি ও মাছ খেতে দিতে হবে। শীতের সময়ে শিশুরা পানি একদমই খেতে চায় না। তাই বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি ঘরে তৈরি শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদিও খেতে দিন। শিশুর পোশাক শীতের পোশাক কেনার সময় সবার আগে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটির কথা মাথায় রাখুন। কারণ শিশুরা দ্রুত বেড়ে ওঠে। এক বছরের শীতের পোশাক পরের বছর তাদের গায়ে না-ও লাগতে পারে। তাই এবছর তার শীতের পোশাক দরকার কি না, সেদিকে খেয়াল করুন। শীতের পোশাক কেনার সময় সবার আগে শিশুর আরামের বিষয়টি মাথায় রাখবেন। সেইসঙ্গে ঠিকভাবে শীত নিবারণ করবে কি না, সেটিও যাচাই করে নিন। শিশুর জন্য অস্বস্তিদায়ক হয়, এমন কোনো পোশাক কিনবেন না। শিশুর ত্বকের যত্ন শিশুদের ত্বক বড়দের মতো নয়। তাদের ত্বক আরও বেশি কোমল হয়ে থাকে। তাই বড়দের জন্য ব্যবহৃত কোনো পণ্য বা উপাদান শিশুর ত্বকে ব্যবহার করবেন না। শিশুদের জন্য উপযোগী আলাদা পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যেকোনো পণ্য কেনার আগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। গোসলের পরে শিশুর শরীরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা রোদে থাকতে হবে। এতে শিশুর শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।
এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে কী হয়?

এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে কী হয়? আপনি যদি হজমশক্তি বাড়াতে বা পেট ফাঁপা কমাতে সহজ ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন, তাহলে জিরা ভেজানো পানি হতে পারে আপনার অন্যতম সঙ্গী। এই সাধারণ মসলা হজম, প্রদাহ-বিরোধী এবং বিপাক বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পান করলে শরীরে বেশকিছু পরিবর্তন টের পাবেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পানীয় আপনাকে কীভাবে সাহায্য করবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা কমায় জিরা ভেজানো পানি হজমের অস্বস্তির জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের একটি। এটি হজম এনজাইমকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে যা খাবারের ভাঙনকে আরও কার্যকর করে তুলতে পারে। এক মাস ধরে এই পানীয় নিয়মিত পান করলে তা পেট ফাঁপা কমাবে এবং অ্যাসিডিটিও কমিয়ে আনবে। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিরা হজমকারী এনজাইমের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা মসৃণ হজমে সহায়তা করে। ২. বিপাক ক্ষমতা বাড়ায় রাতে নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জিরায় জৈব সক্রিয় যৌগ রয়েছে যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করে। এর অর্থ রাতারাতি ওজন হ্রাস নয়, তবে নিয়মিত পান করলে ধীরে ধীরে নিজেকে হালকা বোধ করতে শুরু করবেন। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি এই পানীয় নিয়মিত পান করা হলে তা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ৩. রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে জিরা মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা হঠাৎ রক্তে শর্করা বৃদ্ধি এবং হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার গভীর রাতে ক্ষুধা লাগার মতো সমস্যা থেকে থাকে। জার্নাল অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডারে প্রকাশিত একটি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, জিরা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারীদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ছিল। ৪. ঘুমের মান উন্নত করে জিরা ভেজানো পানি শরীরের ওপর স্বাভাবিকভাবেই শান্ত প্রভাব ফেলে। রাতে পান করলে এটি পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে যা ফলস্বরূপ ভালো ঘুম পেতে কাজ করে। এক মাস ধরে নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি পান করার পর শরীর হালকা এবং আরামদায়ক বোধ হতে পারে। পেট স্থির থাকলে গভীর এবং আরামদায়ক ঘুম আসে। ৫. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি জিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা নিস্তেজতা এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। এক মাস ধরে রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করার ফলে সূক্ষ্ম উজ্জ্বলতা বা ত্বকের জ্বালাপোড়া কম লক্ষ্য করতে পারবেন। নিয়মিত তরল গ্রহণের ফলে উন্নত হজম এবং উন্নত হাইড্রেশন ত্বককে পরিষ্কার করতে ভূমিকা পালন করে। ৬. ডিটক্সিফিকেশন সহায়তা যদিও শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্সিফাই করে, তবে জিরা ভেজানো পানি এই প্রক্রিয়াটিকে সহায়তা করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এই সম্মিলিত প্রভাব আপনাকে ধীরে ধীরে হালকা এবং আরও সতেজ করবে। অনেকে ডিটক্স ডায়েটের বদলে একটি মৃদু উপায় হিসাবে জিরা ভেজানো পানি ব্যবহার করেন।
চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি

চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি চীনের এক পোকামাকড় জাদুঘরে বিক্রি হচ্ছে অদ্ভুত সব কফি। তেলাপোকা কফি, পিঁপড়া কফি এবং আরও নানা ধরনের পোকাভিত্তিক পানীয়। এ খবর প্রকাশের পর থেকেই চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা। ১১ নভেম্বর চায়না ডটকম, গুয়াংমিং অনলাইনসহ বিভিন্ন চীনা গণমাধ্যম জানায়, বেইজিংয়ের ওই ইনসেক্ট মিউজিয়ামটি কফির সঙ্গে ভোজ্য পোকামাকড় মিশিয়ে বিশেষ পানীয় তৈরি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, কফির কাপে ভাজা মিলওয়ার্ম সাজানো, আর ওপরে ছড়ানো তাজা গুঁড়ো তেলাপোকা। অনলাইনে কেউ লিখছেন, ‘৪৫ ইউয়ান (প্রায় ৭ ডলার) অনেক বেশি, কিন্তু ফ্রি দিলেও খাবো না।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘দেখতেই গা ঘিনঘিন করছে, এটা কে খায়!’ জাদুঘরের এক কর্মকর্তা জানান, মিউজিয়ামের থিমের সঙ্গে মিল রেখে এসব বিশেষ কফি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব ধরনের পোকা-উপাদান খাদ্য নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে তৈরি হয় এবং অনেকগুলোই চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহৃত।’ তার দাবি, তেলাপোকা কফির স্বাদ নাকি বাদামি ও হালকা টক, আর পিঁপড়ার কফি আরও বেশি টক। তিনি আরও জানান, দিনে প্রায় ১০ কাপের মতো এই কফি বিক্রি হয়, এবং তা বেশিরভাগই কৌতূহলী তরুণদের কাছে। অনেকেই বিশেষ করে বাবা-মায়েরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে এগুলো গ্রহণ করতে পারেন না। তেলাপোকা কফির দাম ৪৫ ইউয়ান, আর হ্যালোইন উপলক্ষে সীমিত সংস্করণে বিক্রি হওয়া পিঁপড়া কফি ইতোমধ্যেই বিক্রি শেষ হয়েছে।
শিশুর মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে

শিশুর মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে ছোটবেলার দুষ্টুমি তো আগেও ছিল, তবে আজকের ‘জেন’, ‘আলফা’ প্রজন্মের বাচ্চাদের নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তা একটু অন্যরকম। রিলস দেখা, গেইম খেলা, কার্টুন সবকিছু এখন মোবাইলের পর্দায় আটকে গেছে। এই আসক্তি তাদের জেদি, অমনোযোগী আর শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে তুলছে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান। তিনি বলছেন, “সন্তানকে স্ক্রিনের নেশা থেকে বের করে আনতে কিছু সাধারণ অভ্যাস বদলই যথেষ্ট। চলুন জেনে নিই কীভাবে সেটা সম্ভব। নিজে প্রথমে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন : শিশুর সামনে ফোন হাতে নিয়ে বসে থাকলে সে কী শিখবে? আপনি যদি নিজেই স্ক্রল করতে করতে সময় কাটান, তাহলে সন্তানের কাছে এটাই স্বাভাবিক মনে হবে। তাই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় ফোন একদম দূরে রাখতে হবে। গল্প করুন, খেলুন, একসঙ্গে রান্না করুন এতেই সে বুঝবে ফোন ছাড়াও জীবন মজার। খাওয়ার সময় মোবাইল একদম নয় : শিশুকে খাওয়ানোর জন্য অনেকে মোবাইল ধরিয়ে দেন। এটা একদম ভুল। এতে খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে না, স্বাদ বোঝে না, এমনকি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলতেও পারে। বরং পুরো পরিবার একসঙ্গে বসুন, গল্প করুন, হাসুন। খাবার শেষ হবে, সম্পর্কও মজবুত হবে। ঘরের ভেতর খেলায় ব্যস্ত রাখুন : খেলাধুলায় মগ্ন থাকলে মোবাইলের কথা মনেই পড়ে না। বাইরে নিয়ে যাওয়া সবসময় সম্ভব না হলে ঘরেই নানান খেলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। লুডো, দাবা, পাজল, ব্লক সেট, রং পেন্সিল, গল্পের বই এসব দিয়ে শিশুকে ব্যস্ত রাখতে হবে। সৃজনশীল কাজে আগ্রহী করলে সে নিজেই স্ক্রিন ভুলে যাবে। ধীরে ধীরে স্ক্রিন টাইম কমান : হঠাৎ ফোন কেড়ে নিলে শিশু আরও জেদ ধরবে। তাই ধীরে ধীরে কমাতে হবে।প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিন যেমন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কার্টুন দেখা, তারপর বন্ধ। নিয়মিত এটা মানলে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। একটা স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি হবে, আসক্তিও কমবে। শিশুর মোবাইল আসক্তি কমানো মানে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাকে বোঝানো যে জীবন ফোনের বাইরেও অনেক রঙিন। একটু ধৈর্য আর ভালোবাসা দিয়ে শুরু করলেই ফল পাওয়া সম্ভব।
কেন খাবেন মটরশুঁটি

কেন খাবেন মটরশুঁটি শীতকালে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি পাওয়া যায়। শীতকালের বাজার মানে সবজি সমাহার। নতুন আলু থেকে পালং শাক, মুলো কী নেই সেই তালিকায়। তবে শীতকালের সবজির মধ্যে অনেকেরই প্রথম পছন্দ মটরশুঁটি। ফুলকপি আলুর তরকারিতে স্বাদ বৃদ্ধি জন্য হোক, কিংবা গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কচুরির পুরে, এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। অনেকে তো আবার মুড়িতে মেখে কাঁচা মটরশুঁটি মেখে খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু রোজ মটরশুঁটি খাওয়া কি ভালো? এতে শরীরে ঠিক কী প্রভাব পড়ে? পুষ্টিগুণেও ভরপুর মটরশুঁটি। শীতকালে যদি প্রতিদিন মটরশুঁটি খাওয়া যায় তবে তা অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। মটরশুঁটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং বি কমপ্লেক্স যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। তাছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পাওয়া যায়। আজ তার উপকারিতাগুলো জেনে নিন – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : মটরশুঁটিতে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট, ছোট-বড় অসুস্থতা থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখতে কাজ করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার মিনারেল তথা- আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাংগানিজ প্রভৃতি এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ত্বকের বলীরেখা প্রতিরোধ করে : মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে অ্যান্টি এইজিং ইফেক্ট, যা ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস ক্যাটেচিন, এপিক্যাটাচিন, ক্যারোটেনয়েড, আলফা ক্যারোটেনয়েড মূলক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় এবং ত্বক সুস্থ রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। আলঝেইমার ও আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ করে : মটরশুঁটিতে থাকা ভিটামিন-কে বয়সকালীন বড় ধরণের রোগ তথা আলঝেইমার ও আর্থ্রাইটিস দেখা দেওয়া থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখে। এমনকি নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়ার ফলে আলঝেইমারের রোগীদের নিউরাল ড্যামেজের মাত্রা কমে আসে বেশ অনেকখানি। একদম ফ্রেশ মটরশুঁটি থেকে ভিটামিন-কে পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি। নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে চিনির মাত্রা : মটরশুঁটিতে থাকে পর্যাপ্ত আঁশ ও প্রোটিন, যার ফলে রক্তে চিনি মেশে ধীরগতিতে। এছাড়া মটরশুঁটিতে বাড়তি চিনি না থাকায়, এই সবজিটি খাওয়ার ফলে কোন সমস্যা দেখা দেয় না। পাশাপাশি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনেও ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি। চোখের জন্য উপকারী : মটরশুঁটিতে থাকে পরিমিত মাত্রায় লুটেন, ক্যারোটেনিস, জি-জ্যান্থিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভনয়েড ও ভিটামিন-এ। এই সকল পুষ্টি উপাদান চোখের সুস্থতা ও সুস্থ দৃশ্তিশক্তির জন্য ভীষণ জরুরি। চুল পড়ার হার কমায় : ভিটামিন-এ ও কে এর সঙ্গে মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-সি। যা কোলাজেন তৈরিতে অবদান রাখে। চুলের গোড়ার বৃদ্ধির জন্য কোলাজেনের প্রয়োজন হয়। খুব অল্প মাত্রার ভিটামিন-সি এর অভাবের ফলে চুল পড়া ও চুল শুষ্ক হওয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে অনেকখানি। ত্বকের প্রদাহ কমায় : মটরশুঁটিতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদান তথা- ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি ও ফলেট। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের যেকোন অংশের ত্বকের প্রদাহকে দ্রুত কমাতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শীতকালে ফুসফুস ভালো রাখবে এই পানীয়

শীতকালে ফুসফুস ভালো রাখবে এই পানীয় শীতকাল এলেই দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। সূক্ষ্ম কণা (PM2.5) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে, যা কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হয়। এই পরিবেশগত সংকটের মধ্যে অনেকেই ঐতিহ্যবাহী অনুশীলনগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, যা একসময় ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে বেছে নেওয়া হতো। এরকম একটি সহজ এবং সহজলভ্য প্রতিকার হলো গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে খাওয়া। এই পানীয় শরীরের পরিষ্কারক প্রক্রিয়াগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে সহায়তা করে। গুড় কেন ফুসফুসের জন্য উপকারী গুড় হলো আখের রস থেকে উৎপাদিত অপরিশোধিত চিনি। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ট্রেস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধরে রাখে যা বিপাক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমর্থনে ভূমিকা পালন করে। রক্ত পরিশোধন, গলার জ্বালা কমানো এবং শ্বাস নালী থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য গুড় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি হালকা কফনাশক হিসেবে কাজ করে, শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা আলগা এবং নির্গমনে সহায়তা করে, বিশেষ করে দূষণ বা ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত এই পানীয় পান করলে উপকারিতা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। আধুনিক পুষ্টি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, গুড় শরীরের মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্বাসযন্ত্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ফুসফুস থেকে দূষণকারী, ধুলো এবং অ্যালার্জেন আটকে রাখতে এবং অপসারণ করতে সহায়তা করে। শ্লেষ্মা গঠন বৃদ্ধি করে এবং লিম্ফ্যাটিক চলাচলে সহায়তা করে, গুড় শ্বাস-প্রশ্বাসের জ্বালা দূর করার জন্য শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়। যদিও গুড় ভেজানো পানি পান করা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না, তবে এর জৈবিক সক্রিয় বৈশিষ্ট্যগুলো দূষিত পরিবেশে শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সমস্যা বেড়ে গেলে অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। গবেষণা কী বলছে লখনউয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল টক্সিকোলজি রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণায় অনুসন্ধান করা হয়েছে যে, ধোঁয়াটে বা ধুলোযুক্ত পরিস্থিতিতে শিল্প কর্মীরা নিয়মিত গুড় খাওয়ার সময় কেন শ্বাসকষ্ট কম হয়। গবেষকরা কয়লার ধুলোর সংস্পর্শে আসা ইঁদুরের ওপর এই পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, যাদের গুড় দেওয়া হয়েছিল, তাদের ফুসফুস এবং লিম্ফ নোড থেকে ধূলিকণার পরিষ্কারের প্রক্রিয়া অপরিশোধিত প্রাণিদের তুলনায় ভালো ছিল। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, গুড় ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি এবং ফাইব্রোসিস কমিয়েছে, যা অঙ্গের প্রাকৃতিক স্থিতিস্থাপকতা সংরক্ষণে সহায়তা করেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, গুড় শ্লেষ্মায় সিয়ালিক অ্যাসিড বৃদ্ধি করে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ অপসারণের জন্য শরীরের প্রক্রিয়া, মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স বৃদ্ধি করেছে। এই যৌগটি একটি ঋণাত্মক চার্জ বহন করে যা ধনাত্মক চার্জযুক্ত ধুলো এবং ধোঁয়া কণাগুলোকে আকর্ষণ করে এবং আটকে রাখে, যা শ্বাসনালী থেকে দ্রুত অপসারণকে সক্ষম করে।