আগামী রবিবার আংশিক সূর্যগ্রহণ

আগামী রবিবার আংশিক সূর্যগ্রহণ আগামী রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণের সময় ২২ সেপ্টেম্বর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। তবে, বাংলাদেশ থেকে সূর্যগ্রহণের এ বিরল দৃশ্য দেখা যাবে না। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, সূর্যগ্রহণের ব্যাপ্তিকাল থাকবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে সূর্যগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। গ্রহণটির কেন্দ্রীয় গতিপথের বিবরণ হলো— ২১ সেপ্টেম্বর গ্রহণ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় ৫টা ৫৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ অ্যান্টার্কটিকার ডুমন্ট ডি’উরভিল আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১০টা ১৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ অ্যান্টার্কটিকার আলেকজান্ডার দ্বীপ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১৭টা ৪৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা থাকবে ০ দশমিক ৮৫৫।

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর, বিশ্ব বাঁশ দিবস। ঘাস পরিবারের বৃহত্তম এই সদস্য শুধু প্রকৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পের উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৫ সালে বিশ্ব বাঁশ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেসে সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালামের প্রস্তাবে ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ই সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। বাঁশকে সবুজ সোনা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এটি দ্রুত বর্ধনশীল একটি উদ্ভিদ যা পরিবেশ থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ব্যাপক ও গভীর শিকড় মাটির ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিকভাবে, বাঁশ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। নির্মাণসামগ্রী, আসবাবপত্র, কাগজ, বস্ত্রশিল্প থেকে শুরু করে বাদ্যযন্ত্র ও নানান হস্তশিল্প তৈরিতে বাঁশের ব্যবহার অপরিসীম। এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাঁশ একটি মজবুত ভিত্তি প্রদান করে। বাংলাদেশেও ঘরবাড়ি তৈরি, চাটাই, ঝুড়ি, আসবাবসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য তৈরিতে যুগ যুগ ধরে বাঁশের ব্যবহার চলে আসছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, বাঁশের প্রজাতি বৈচিত্র্যের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাঁশ শিল্প ও চাষের সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। সঠিক পরিকল্পনা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ভাবনী ডিজাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঁশ শিল্প শুধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি পরিবেশ সুরক্ষাতেও এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আজ প্রথম প্রেম দিবস

আজ প্রথম প্রেম দিবস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিবসটি। প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন? মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি। ভালো লাগার মুহূর্তগুলো মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না। আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!

যে পানি মেটাতে পারে চুল ও ত্বকের সমস্যা

যে পানি মেটাতে পারে চুল ও ত্বকের সমস্যা আমরা অনেকেই চাল ধুয়ে সেই পানি ফেলে দিই। এই পানিও যে হাজারটা গুণাগুণসমৃদ্ধ সেটি আমরা জানি না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাল ধোয়ার পানির মধ্যে বিভিন্ন রকমের খনিজ পদার্থ থাকে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে একাধিক রকমের ভিটামিনও। ভাতের মাড় আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। তেমনই চাল ধোয়ার পানিও কিন্তু বেশ উপকারী। চাল ধুয়ে নেওয়ার সময় যে পানিটি অবশিষ্ট থাকে, তা একটি পাত্রে জমা করে নিলেই আপনি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। চালের পানি আমাদের ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা খুবই উপকারী। এটি সহজেই তৈরি ও ব্যবহার করা যায়। এর নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের সুরক্ষা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক চালের পানির কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা এবং এর ব্যবহার। ত্বক প্রশমিত করতে : চালের পানি উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার ত্বককে শান্তি ও সুরক্ষা দেয়। যার ফলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমে। ত্বক পরিষ্কার করে : চালের পানি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সক্ষম। এটির ব্যবহার ত্বককে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্য রোধ করে : চালের পানিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ থাকে। যা ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে সক্ষম। এ ছাড়া চালের পানিতে ভিটামিন বি ও ই, ফলিক এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। চালের পানি কিভাবে ব্যবহার করবেন : প্রাকৃতিক ফেস টোনার হিসেবে : চালের পানি ফেস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রতিদিন মুখে লাগান এবং আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বককে রক্ষা করে এবং এটিকে উজ্জ্বল করে। ফেস প্যাক হিসেবে : চালের পানি অন্যান্য প্রাকৃতিক ব্যবহারের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এ ছাড়া চালের পানি চুলের কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্যবহারে চুলের উজ্জ্বলতা ও শক্তি বাড়বে। চালের পানি তৈরির পদ্ধতি : প্রথমে এক কাপ চাল ভালো করে ধুয়ে দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার ৩০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে পানি ছেঁকে নিন। এবার এই চালের পানি প্রস্তুত। এটিকে আপনি আপনার ত্বক ও চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি বিনা খরচেই প্রায় হয়ে যায়। আবার এটি সহজলভ্যও। এটি একটি প্রাকৃতিক উপায়, যা আপনার ত্বক ও চুল উভয়ের জন্যই উপকারী।

চটজলদি ওজন কমাবে দারুচিনির পানি

চটজলদি ওজন কমাবে দারুচিনির পানি ওজন কমাতে দারুচিনির জুড়ি মেলা ভার। তাই চটজলদি ওজন কমাতে দিনে অন্তত দু-বার করে খান দারুচিনির পানি।এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি ব়্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনির পানি দারুণ কাজ দেয়। দারুচিনি কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে? আপনার বিপাক হার যদি ভালো হয়, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকে। মেদ জমলেও তা ঝরানো সহজ হয়। এই বিপাক হার বাড়ানোর কাজটাই করে দারুচিনির পানি। দারুচিনির পানি হজমের সমস্যা দূর করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্রনিক অসুখের ঝুঁকিও প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, পিসিওডি-এর মতো শারীরিক সমস্যায় ওজন বাড়ে। এই সব ক্ষেত্রেও দারুচিনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। দিনের কোন সময়ে দারুচিনির পানি খেলে দ্রুত ওজন কমবে? ১. সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানি খেলে সারাদিন আর কোনো চিন্তা থাকবে না। এতে সকালেই পেট সাফ হয়ে যাবে এবং শরীর টক্সিনমুক্ত থাকবে। পাশাপাশি বিপাক হার ভালো থাকবে। সকালবেলা ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে খেতে পারেন দারুচিনির পানি। ২. ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে ওজন বশে রাখতে হলে লাঞ্চ বা ডিনারের ৩০ মিনিট আগে দারুচিনির পানি খান। এতে পেট ভরবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে। এ ভাবেও ওজন কমাতে পারেন। ৩. চটজলদি ওজন কমাতে জিমে গিয়ে কসরত করছেন। শরীরচর্চা শেষ করেও দারুচিনির পানি খেতে পারেন। এতে পেশির ক্ষয় দ্রুত নিরাময় হবে এবং ক্লান্তি দূর হবে। ৪. ঘুমোতে যাওয়ার আগেও দারুচিনির পানি খেতে পারেন। এতেও পেটের সমস্যা এড়াতে পারবেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। কীভাবে দারুচিনির পানি বানাবেন? ২ কাপ পানি গরম বসান। এতে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। দারুচিনির গুঁড়া না থাকলেও দুটি দারুচিনির কাঠিও ফুটিয়ে নিতে পারেন। ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন দারুচিনির পানি। আবার আগের দিন রাতেও এই পানীয় বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। পরদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

লেবুর এই উপকারিতাগুলো জানতেন?

লেবুর এই উপকারিতাগুলো জানতেন? প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। মুখে রুচি না থাকলে কিংবা কোনো খাবার খেতে খুব একটা ভালো না লাগলে তার সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে স্বাদই পরিবর্তন হয়ে যায়। এই সাধারণ সাইট্রাস ফলটি কেবল কেবল স্বাদই যোগ করে না, রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। টক স্বাদের লেবু আপনার শরীরের জন্য অনেক মিষ্টি সুফল নিয়ে আসতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ২০২৪ সালের গবেষণা অনুসারে, লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত লেবু খেলে তা শরীরকে মৌসুমী সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করতে এবং শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ২. হজমে সহায়তা করে : লেবুর রস হজম রসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা পেটের জন্য খাবার ভেঙে ফেলা সহজ করে তোলে। নিয়মিত খেলে এটি পেটফাঁপা কমাতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করে। ৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে : ২০০৮ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ লেবু ওজন কমানোর খাদ্যতালিকায় একটি শক্তিশালী সংযোজন। এর প্রাকৃতিক যৌগ পেট ভরা রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া কমাতে সাহায্য করে। ৪. হাইড্রেটেড রাখে : পানি বা খাবারে লেবু যোগ করলে এর সতেজ স্বাদের জন্য আরও ভালো হাইড্রেশন উৎসাহিত করা যায়। হাইড্রেটেড থাকা বিপাক, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত লেবু খেলে হাইড্রেটেড থাকা সহজ হয়। ৫. প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফাই করে : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। এটি টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, ত্বক পরিষ্কার করে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে। শরীর ভেতর থেকে সতেজ করতে চাইলে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে

যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে যেকোনো কাজের পরিবেশে, শ্রেণীকক্ষে অথবা কর্মক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি থাকে যাদেরকে আলাদাভাবে দেখা হয়, যারা এমন এক আভা বিকিরণ করে যা দেখে সবাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এটা এই কারণে নয় যে তারা উচ্চস্বরে কথা বলে, অথবা তারা নিজেদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলে। এর কারণ হলো তারা সব সময় কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চলে। তাদের প্রভাব চটকদার প্রদর্শন থেকে আসে না, বরং দিনের পর দিন ধরে রাখা ছোট ছোট কিছু অভ্যাস থেকে আসে। এই ব্যক্তিরা জোর না করেই বিশ্বাস এবং সম্মান অর্জন করে, অন্যদের তা করতে বাধ্য না করে অনুপ্রাণিত করে এবং অনেকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। ভাগ্য বা প্রতিভা তাদের আলাদা করে তোলে না, বরং নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস তাদের এই জায়গায় পৌঁছে দেয়। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা : এ ধরনের মানুষের মুখের কথা ও কাজে মিল থাকে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এ ধরনের মানুষেরা সহজেই অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ মানুষ তার কাছে নির্ভরতা খুঁজে পায়। কথা ও কাজে মিল না থাকলে সেই মানুষ কারও প্রিয় হতে পারে না। কারণ তার ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা না করলে, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না। ভুল না করে ভুল স্বীকার করা : মানুষের ভুল হবেই। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে। ক্রেডিট শেয়ার : অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া : অনেকেই আছে যারা অন্যের সময় নষ্ট করাকে কোনো অপরাধ বলেই মনে করে না। কিন্তু মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা যেহেতু ছোট ছোট অভ্যাসের বিষয়, তাই এই অভ্যাসও সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনে বাকি মোটামুটি সবকিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব হলেও সময় কখনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই সময়কে কেউ গুরুত্বহীন হিসেবে দেখলে সে অন্যের কাছে প্রিয় হতে পারে না।

লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন

লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন সাজের ষোলআনা পূর্ণ হয় লিপস্টিক ব্যবহারের মাধ্যমে! কিন্তু কিছু ভুলের কারণে লিপস্টিকের রং ঠোঁটে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। লিপস্টিক কত সময় ঠোঁটে ঠিকঠাক থাকবে, তা শুধু পণ্যের গুণে নয়, যিনি ব্যবহার করছেন, তার কৌশলের ওপরও নির্ভর করে। তাই লিপস্টিক ব্যবহারের সময় এসব কৌশল অনুসরণ করুন। ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করে নিন রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক বেশি সময় টেকে না।’’ সেজন্য তাই লিপ স্ক্রাব বা হালকা ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন, তারপর লিপ বাম লাগান। কয়েক মিনিট পর টিস্যু দিয়ে বাড়তি আর্দ্রতা মুছে ফেলুন। লিপ প্রাইমার ব্যবহার ঠোঁটে দীর্ঘ সময় লিপস্টিক ঠিক রাখতে হলে লিপস্টিক লাগানোর আগে পাতলা করে কনসিলার বা লিপ প্রাইমার ব্যবহার করুন। তাহলে ঠোঁটের রঙ সমান দেখাবে, আর লিপস্টিক বসে যাবে অনেক ভালভাবে। শেপ ও বেস তৈরি ঠোঁটের আউটলাইন টেনে নিতে পারেন। এজন্য লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। শুধু শেপ নয়, ভেতরে হালকা করে ভরাট করে নিলে লিপস্টিক আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কোট করে লিপস্টিক লাগান প্রথমে একটি কোট লিপস্টিক লাগান। তাতে টিস্যু দিয়ে হালকা চাপ দিন। তারপর আবার দ্বিতীয় কোট দিন। এই লেয়ারিং টেকনিক লিপস্টিককে কয়েক ঘণ্টা বেশি ধরে রাখবে। পাউডার সেটিং করুন লিপস্টিকের ওপরে টিস্যু চাপা দিয়ে তার ওপর হালকা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার লাগান। এতে লিপস্টিক সেট হয়ে যাবে, আর সহজে মুছবে না।

ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরি করবেন যেভাবে

ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরি করবেন যেভাবে ঝটপট যেসব খাবার তৈরি করা যায়, চিংড়ির বিভিন্ন পদ তার মধ্যে একটি। চিংড়ি যেমন সুস্বাদু, তেমনই সহজ পদ্ধতি ও অল্প সময়ে রান্না করা যায়। যারা বাইরে গিয়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন তারা বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে খেতে পারেন ডিপ ফ্রায়েড চিংড়ি। এটি সবাই খেতে পছন্দ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরির রেসিপি- তৈরি করতে যা লাগবে: চিংড়ি- ৩০০ গ্রাম ডিম- ১টি আদা-রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া- অল্প পরিমাণ ময়দা- ১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব- ১/২ কাপ লবণ- পরিমাণমতো। যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে চিংড়ির খোসা ও মাথা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চিংড়ির পেটের দিকে ছুড়ি দিয়ে হালকা দাগ দিতে হবে যাতে চিংড়ি সোজা হয়। এবার চিংড়ির সঙ্গে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। এবার চিংড়িগুলো একটা একটা করে প্রথমে শুকনো ময়দায় গড়িয়ে এরপর ডিমে চুবিয়ে নিতে হবে। এরপর ডিম থেকে তুলে ব্রেড ক্রাম্বসে গড়িয়ে নিতে হবে। এভাবে সবগুলো কোট করে নিন। প্যানে তেল গরম করে তাতে চিংড়িগুলো ভালোভাবে ভেজে তুলুন। পছন্দের সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ?

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ? ভোরে ঘুম থেকে ওঠার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন— দিনটা ভালোভাবে শুরু করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আরও অনেক উপকারিতা আছে। ব্যায়াম করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন যদি আপনার কাছে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ হয়, কিন্তু সময় বের করতে সমস্যা হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আপনার জন্য কাজ করতে পারে। সকালে প্রথমেই ব্যায়াম করলে শরীর সারাদিন ভালো বোধ করবেন। ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ শুরু করে যা আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে। ব্যায়াম মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। সকালের ব্যায়াম করলে সারাদিন মানসিক চাপ কম অনুভব করবেন, উদ্বেগ কম থাকবে এমনকি শক্তির মাত্রা বেশি অনুভব করবেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠলে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হতে পারবেন। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যার ফলে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না। ভালো ঘুম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘একটানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘন্টার বেশি ঘুম আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। একটানা ঘুমাতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এমনকি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সুস্থ ত্বক ঘুমের ঘাটতি থাকলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। ফলে ব্রণ, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, ত্বকের বার্ধক্য- দেখা দেয়। ভালো ঘুম আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ারও যথেষ্ট সময় পাবেন।