চোখের সাধারণ কিছু সমস্যায় যা করবেন

চোখের সাধারণ কিছু সমস্যায় যা করবেন   চোখ দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এ অঙ্গে সাধারণত যে ধরনের অসুখ হয়, তা হলো- এক চোখে ডাবল ভিশন হলে দেখতে হবে, চোখের ছানি পড়েছে কিনা। দুচোখেও ডাবল ভিশন হতে পারে। যেমন- চোখের এক বা একাধিক মাংসপেশির দুর্বলতা, কিছু বিশেষ ধরনের ব্রেইন টিউমার, কিছু ক্ষেত্রে পক্ষাঘাত। এ ক্ষেত্রে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে। চোখ কাঁপা : ক্লান্তি, শরীরে লবণের ঘাটতি, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ রোগ হয়। রোগটি আপনাআপনি সেরে যায়। ১০-১৫ দিন পরও সমস্যা থেকে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। চোখ বড় হয়ে ঠিকরে বেরিয়ে আসা : এ রোগ হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা হলে, চোখের পেছনে বা অপটিক নার্ভে টিউমার হলে। হলে দ্রুত চক্ষুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিড়াল চোখ : এ রোগে রোগীর চোখ অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বলজ্বল করে। চোখ হয় আকারে বড়। শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসককে দেখাতে হবে। চোখে আলোর ঝলকানি : চোখের সামনে থেকে থেকে আলোর ঝলক, কালো বিন্দু বা কালো ঝুলের মতো কিছু ঘুরে বেড়ায়। হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- রেটিনা ডিটাচমেন্ট। এ ক্ষেত্রে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসককে সমস্যার কথা জানাতে হবে। চোখের মণিতে সাদা দাগ : রোগটি হওয়ার কারণ হলো- কার্নিয়াল আলসার সেরে যাওয়ার পর অনেক সময় মণিতে সাদা দাগ থেকে যায়। চোখে আঘাত লাগলেও এ রকম হতে পারে। সাদা দাগ মণির একেবারে মাঝখানে হলে দৃষ্টিশক্তি থাকে না। একমাত্র কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেই অবস্থা সামলানো যায়। মণির অন্যত্র সাদা দাগ থাকলে দেখতে কোনো অসুবিধা হয় না ঠিকই, কিন্তু সৌন্দর্যে ঘাটতি হয়। সমস্যা সামলাতে দুটি রাস্তা খোলা আছে- রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স এবং উল্কি। উল্কির রঙ বছর তিনেক থাকে। তারপর আবার রঙ করাতে হয়। তবে যা-ই করুন, চোখের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই সব করতে হবে। বয়স্কদের চশমা পরে আবছা দেখা : ছানি বা চোখের অন্য কোনো অসুখে এমন হচ্ছে কিনা, চিকিৎসককে দেখে নিশ্চিত হোন। চোখের অসুখ না থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমার কারণ অপটিক নার্ভের জড়া। এ অবস্থায় পড়াশোনা করতে হলে ঘরে বেশি আলোর ব্যবস্থা করুন। পড়ুন আলোর দিকে পেছন ফিরে বসে। আতস কাচের সাহায্যে লেখা বড় করে নিতে পারেন। লাইনের ওপর স্কেল রেখে পড়লে সুবিধা হবে। চোখে কম দেখায় এ রোগে আক্রান্তরা মাঝে মধ্যে এখানে সেখানে পড়ে যান। এ জন্য সাবধান হতে হবে। যেমন- খাট, চেয়ার, সোফা ইত্যাদির উচ্চতা কমিয়ে ফেলুন। উচ্চতা এমন হবে, যাতে বসলে পা মাটিতে ঠেকে। সিঁড়ির এক পাশে সাদা রঙ করে সেদিকের রেলিং ধরে ওঠানামা করতে পারেন। চোখের নিচে কালি : আঘাত কিংবা অন্য সমস্যায় চোখের চারপাশ কালশিটে হতে পারে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয়, সে জন্য সবুজ শাকসবজি, পানি পান করতে হবে। মন দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন। রাতে ঠিকমতো ঘুম ঘুমাবেন। ডা. মো. ছায়েদুল হক লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন অধ্যাপক, মার্কস মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা

যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার উপায়

যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার উপায় জীবনে যেকোনো সময় যেকোনো ঝড় আসতে পারে। ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার কিংবা কর্মক্ষেত্রেও নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। এমন প্রতিকূল ও নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া চলবে না। বরং ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা মোকাবেলা করতে হবে। আপনি যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হোন, তাহলে যেকোনো সংকট দৃঢ়তার সঙ্গে পাড়ি দিতে পারবেন। যেভাবে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চর্চা করবেন ধৈর্যের বিকল্প নেই : ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা কখনো হতাশা হন না। জীবনে যত বড় ঝড় আসুক না কেন, ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করুন। ধৈর্য আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের প্রতি অবিচল রাখবে। একইসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ : অনুকূল-প্রতিকূল সব ধরনের পরিস্থিতিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিজের আবেগ ও প্রতিক্রিয়াগুলো সচেতনভাবে বুঝতে পারলে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অনেক চাপের মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। একইসঙ্গে উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করতে পারবেন। অধ্যবসায় : পরাজয় বা ব্যর্থতায় ভেঙে পড়া যাবে না। বরং দৃঢ় থাকুন এবং পুনরায় চেষ্টা করুন। মানসিকতা। মনে রাখবেন, অধ্যবসায়ী ব্যক্তিরা সহজে হাল ছাড়েন না। তারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য বারবার চেষ্টা করেন। আত্মবিশ্বাস : আপনি যদি নিজের জায়গায় সৎ থাকেন, তাহলে আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজের সামর্থ্য ও শক্তির উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। কারণ আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভয় পায় না। ইতিবাচক চিন্তা : প্রতিকূল পরিবেশে ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে। তাই ইতিবাচক থাকুন আর নেতিবাচক চিন্তাগুলো মাথা থেকে দ্রুত দূর করে দিন। মেডিটেশন : নিয়মিত মেডিটেশন করলে মন শান্ত হয় এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেকোনো সংকটে নিজেকে শান্ত রাখার জন্য মেডিটেশন করুন। চাইলে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন। ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ হয়, যা মেজাজ ভালো করে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

ফুলকপির পরোটা রেসিপি

ফুলকপির পরোটা রেসিপি শীত মানেই হরেক রকম শাকসবজির বাহার। এর মধ্যে ফুলকপির রয়েছে আলাদা চাহিদা। ফুলকপি দিয়ে নানা পরে রান্না করা যায়। স্বাদ বদলাতে বানাতে পারেন ফুলকপির পরোটা। উপকরণ ডো বা মণ্ড তৈরির জন্য: আটা বা ময়দা ২ কাপ , স্বাদমতো লবণ, ১ চামচ ঘি বা মাখন, পরিমাণমতো পানি পুর তৈরির জন্য : ফুলকপি ১টি (মাঝারি আকারের),আদা কুচি ১ চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ,ধনেপাতা কুচি এক মুঠো, গোটা জিরা: ১/২ চা চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,চাট মসলা ১ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, ভাজার জন্য তেল বা ঘি যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে ফুলকপি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার গ্রেটার দিয়ে ফুলকপি মিহি করে গ্রেট করে নিতে হবে (বড় টুকরো যেন না থাকে)। গ্রেট করা কপিতে সামান্য লবণ মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে কপি থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাবে। এরপর একটি সুতির কাপড়ে বা হাতের চাপে চিপে সেই পানি ফেলে দিন। কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে কপিগুলো দিয়ে দিন। একে একে আদা কুচি, কাঁচা মরিচ, মরিচের গুঁড়ো, গরম মসলা ও চাট মসলা দিয়ে মাঝারি আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটি থালায় ছড়িয়ে সম্পূর্ণ ঠান্ডা হতে দিন। গরম অবস্থায় পুর ভরবেন না। এখন আটা বা ময়দায় লবণ ও তেল দিয়ে মেখে একটি নরম ডো তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, সাধারণ রুটির চেয়ে এই ডো সামান্য নরম হতে হবে। ডো থেকে মাঝারি সাইজের লেচি কেটে বাটির মতো গর্ত করে নিন। মাঝখানে পরিমাণমতো পুর দিয়ে মুখটা ভালো করে বন্ধ করে দিন। পুর ভরা লেচি শুকনো আটা ছড়িয়ে আলতো হাতে বেলে নিন। খুব বেশি চাপ দেবেন না। তাওয়া গরম করে প্রথমে পরোটা এপিঠ-ওপিঠ সেঁকে নিন। এরপর চারপাশ দিয়ে ঘি বা তেল ছড়িয়ে মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিন।

শীতে ত্বক ভালো রাখতে যেসব উপাদান এড়িয়ে চলবেন

শীতে ত্বক ভালো রাখতে যেসব উপাদান এড়িয়ে চলবেন ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের যত্নেও পরিবর্তন প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে ত্বকের যত্নের জন্য যেমন শক্তিশালী সান প্রোটেকশন প্রয়োজন, শীতকালীন ত্বকের যত্নে তেমনই হাইড্রেশন থাকা উচিত। শীতকালে কম আর্দ্রতা আমাদের ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে। শুষ্ক ত্বক নিস্তেজ এবং প্রাণহীন দেখায়। সঠিক উপাদান এবং পণ্য দিয়ে শীতকালীন ত্বকের যত্নের রুটিনকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আপনি যদি শীতকালে ত্বকের যত্নের রুটিনে কোন উপাদানগুলো ক্ষতিকর তা বুঝতে না পারেন তবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। তাহলে আপনার ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার : সাবান ত্বকের pH পরিবর্তন করে এবং অ্যাসিড ম্যান্টেলকে প্রভাবিত করে। কঠোর ডিটারজেন্টের সংস্পর্শ থেকেও ত্বককে দূরে রাখতে হবে। কঠোর সার্ফ্যাক্ট্যান্ট ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল অপসারণ করতে পারে, যা এটিকে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়ার ঝুঁকিতে ফেলে। অ্যালকোহল-ভিত্তিক পণ্য : এটি ত্বকের শুষ্কতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বকের বাধাকে ব্যাহত করতে পারে। তাই তীব্র শীতের সময়ে ত্বককে ভালো রাখতে আপনাকে এ ধরনের পন্য থেকে দূরে থাকতে হবে। এতে ত্বক সতেজ রাখা সহজ হবে। এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার : ত্বকের যত্নে অনেকে অনেকরকম এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার করেন। এ ধরনের উপকরণ গ্রীষ্মের জন্য উপযুক্ত হলেও শীতে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এক্সফোলিয়েন্ট পদার্থগুলো প্রয়োজনীয় তেল শুষে নেয়, মাইক্রো-টিয়ার তৈরি করে এবং ত্বককে পানি ক্ষয়ের ঝুঁকিতে ফেলে। যা ত্বকের শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে দেয়। অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টসের অতিরিক্ত ব্যবহার : রেটিনল, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার কোষ পুনর্নবীকরণের জন্য দুর্দান্ত। কিন্তু শীতকালে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। শীতকালে এর ব্যবহার কমানো উচিত অথবা হালকা সংস্করণ ব্যবহার করা উচিত। এসময় ত্বকে জ্বালা এবং UV ক্ষতি এড়াতে SPF ব্যবহার বজায় রাখা উচিত।

শীতে খসখসে ত্বক? বাড়িতে থাকা এই ৩ উপাদানেই মিলবে সমাধান

শীতে খসখসে ত্বক? বাড়িতে থাকা এই ৩ উপাদানেই মিলবে সমাধান শীত এলে ত্বকে তার প্রভাব পড়বেই। এসময় ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় নানাকিছু ব্যবহার করেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। শীতে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়া সাধারণ সমস্যা। আপনিও নিশ্চয়ই এই সমস্যা কম-বেশি মোকাবিলা করছেন? কেমিক্যালযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ও প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে ত্বক আরও বেশি খসখসে হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক ক্লিনজার। চলুন জেনে নেওয়া যাক- কাঁচা দুধ : দুধ শুধু শরীরকে ভেতর থেকেই পুষ্টি জোগায় না, বরং এটি ত্বককে বাইরে থেকেও উপকার করতে পারে। আমাদের ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে কাজ করে কাঁচা দুধ। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের জমে থাকা ময়লা দূর করে সহজেই। সেজন্য পরিষ্কার তুলো নিয়ে কাঁচা দুধে চুবিয়ে নিন। এবার মুখে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। মধু : মধুর যে কত গুণ, তার কয়টাই বা আমরা জানি! এই যেমন ত্বকের খসখসেভাব দূর করার জন্য মধুটা কতটা কার্যকরী তা কি আপনি জানতেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজই একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মধুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা দূর করে। যার মধ্যে একটি হলো এটি ত্বকের খসখসেভাব কমায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে খুব সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ ওভাবেই রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। পরিবর্তনটা নিজেই দেখতে পাবেন। আলু : ত্বকের যত্নে যে আলুও বেশ কার্যকরী, তা জানা আছে নিশ্চয়ই? সম্ভবত এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে আলু খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই হাতের কাছে আর কিছু না পেলে আলুকেই বেছে নিন। আমাদের ত্বকে সৃষ্ট ডার্ক সার্কেল থেকে শুরু করে সানবার্ন দূর করা পর্যন্ত আলু অনেকভাবে সাহায্য করে। সেজন্য একটি আলু খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর সেই ব্লেন্ড করা আলু ত্বকে লাগিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে মিনিট পনেরো। আর তারপর পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিলেই ত্বকে তার প্রভাব বুঝতে পারবেন।

দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে নতুন প্রজাতির ক্যাটফিশ আবিষ্কার

দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে নতুন প্রজাতির ক্যাটফিশ আবিষ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের পার্বত্য এলাকায় নতুন এক প্রজাতির মাছ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। চীনের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জায়ুল কাউন্টিতে এই মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। গবেষকদের মতে, এই আবিষ্কার হিমালয় অঞ্চলের মাছের বৈচিত্র্য ও বিবর্তন (ধীরে ধীরে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া) বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন এই মাছের নাম দেওয়া হয়েছে গ্ল্যারিডোগ্লানিস ভেরুকিলোবা (Glaridoglanis verruciloba sp. nov)। এটি এক ধরনের ক্যাটফিশ, যা দেখতে অন্য মাছের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এর নিচের ঠোঁট বেশ বড় এবং ঠোঁটের মাঝামাঝি অংশে চার থেকে সাতটি গুটি বা খাঁজের মতো অংশ রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমেই মাছটিকে অন্য প্রজাতি থেকে আলাদা করা গেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শিজাং অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত শিয়াও নদী থেকে প্রথম এই মাছ সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় অংশ নেয় শিজাং ইনস্টিটিউট অব প্ল্যাটো বায়োলজি, শিজাং ন্যাচারাল সায়েন্স মিউজিয়াম, জাওঝুয়াং বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনা একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব হাইড্রোবায়োলজির একটি যৌথ গবেষক দল। শুরুতে মাছটিকে ভুল করে গ্ল্যারিডোগ্লানিস অ্যান্ডারসোনি নামে পরিচিত অন্য একটি প্রজাতি মনে করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মাছটির দেহগঠন বিশ্লেষণ এবং জিনগত পরীক্ষা (মলিকুলার ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ—জিনের মাধ্যমে আত্মীয়তা নির্ধারণ) করার পর গবেষকরা নিশ্চিত হন, এটি আগে অজানা একটি নতুন প্রজাতি। এই গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ZooKeys-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি গ্ল্যারিডোগ্লানিস গণের তৃতীয় স্বীকৃত প্রজাতি। এই আবিষ্কার হিমালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের মিঠাপানির মাছের উৎপত্তি, বৈচিত্র্য ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেবে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভবিষ্যৎ গবেষণায় এই তথ্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

ত্বকের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে যা করবেন শীতকালে

ত্বকের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে যা করবেন শীতকালে   শীতকালে ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষামূলক স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। শীতকালে তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। এ সময় ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে প্রায় সবারই ঠোঁট ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। শুষ্ক বাতাস ও পানিশূন্যতার কারণে ঠোঁট রুক্ষ ও ফেটে যায়। এ সমস্যা এড়াতে প্রচুর পানি পান করা, ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা এবং নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি বা মোমযুক্ত লিপবাম লাগানো জরুরি। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা উচিত। ঠোঁট চাটা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও পরে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শীতকালে ফাটা হিল বা গোড়ালির সমস্যাও খুব সাধারণ। শুষ্ক ত্বকের কারণে গোড়ালিতে ফাটল সৃষ্টি হয়, যা অনেক সময় ব্যথাদায়ক হয়ে ওঠে। রাতে ঘুমানোর আগে ফাটা হিলে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে প্লাস্টিকের মোড়ক দিয়ে ঢেকে মোজা পরলে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় এবং উপকার পাওয়া যায়। শীতের ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন ঘন হাত ধোয়ার ফলে হাতের ত্বক খুব সহজেই শুষ্ক হয়ে যায়। এ সমস্যা এড়াতে দিনে একাধিকবার, বিশেষ করে সকালবেলা ও রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিনভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে বের হলে ঠাণ্ডা ও বাতাস থেকে হাত রক্ষার জন্য গ্লাভস পরা অত্যন্ত উপকারী। অ্যাকজিমা হলো ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ। এর লক্ষণ হিসেবে শুষ্ক, লালচে ও চুলকানিযুক্ত ত্বক দেখা যায়। শীতকালে এ সমস্যা বেড়ে যায়। অ্যাকজিমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলভিত্তিক মলম দিয়ে ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজ করা দরকার। অতিরিক্ত ঘাম বা গরম এড়াতে স্তরে স্তরে পোশাক পরা উচিত। প্রয়োজনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সোরিয়াসিস সাধারণ শুষ্ক ত্বকের চেয়ে বেশি জটিল একটি সমস্যা, যা ইমিউন সিস্টেমের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়। শুষ্ক বাতাস, ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও সূর্যালোকের অভাব শীতকালে এ রোগকে আরও তীব্র করে তোলে। এ ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হালকা গরম পানিতে গোসল করা, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা এবং ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখা উপকারী। সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে শুষ্ক ত্বকের কারণে চুলকানির সমস্যাও বেড়ে যায়। এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও পর্যাপ্ত তরল পান করা অত্যন্ত জরুরি। গোসলের সময় হালকা গরম পানি ও মৃদু সাবান ব্যবহার করা উচিত এবং গোসলের পর ত্বক আলতোভাবে মুছে গ্লিসারিনভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। প্রয়োজনে দিনের মধ্যে একাধিকবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় রোদ ও ঠাণ্ডা বাতাসে থাকা এড়িয়ে চলা উচিত।শীতকালে খুশকি ও মাথার ত্বকের চুলকানি অনেকের জন্য বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা উপকারী। তবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এতে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়। প্রতিদিনের পরিবর্তে প্রতি দুই থেকে তিন দিন পর পর চুল ধোয়া ভালো। চুল নরম ও আর্দ্র রাখতে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত এবং অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরে বের হলে টুপি ব্যবহার করে চুল শীতের প্রভাব থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। ডা. তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী লেখক : চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ

৩ প্রাকৃতিক পানীয় ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করে

৩ প্রাকৃতিক পানীয় ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করে ফ্যাটি লিভার এমন একটি রোগ যা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষকে সমস্যায় ফেলে। যদিও ৯০-১০০% অ্যালকোহল ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তবে অন্যান্য বিপাকীয় এবং জীবনযাপনের ধরন সংক্রান্ত কারণও এর পেছনে দায়ী হতে পারে। আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের মতে, প্রায় ১০ কোটি আমেরিকানের অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগ রয়েছে। যদিও পরিপূরক এবং ওষুধ গ্রহণ সমস্যার সমাধান করতে পারে, তবে সেসব বেশ ব্যয়বহুলও। ফ্যাটি লিভার মোকাবিলা করার সবচেয়ে সহজ উপায়ের মধ্যে একটি হলো যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ব্যায়াম করা এবং আরও অনেক কিছু। প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় যোগ করলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- গ্রিন টি : গ্রিন টি একটি স্বাস্থ্য পাওয়ার হাউস যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি ক্যাটেচিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অত্যন্ত শক্তিশালী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিউট্রাল করে। এটি প্রদাহও কমায় যা ফ্যাটি লিভার রোগের অনুঘটক বলে মনে করা হয়। ২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিন টি পানকারীদের লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গ্রিন টি খাবার থেকে ফ্যাট শোষণকারী এনজাইম, যেমন প্যানক্রিয়াটিক লিপেজের হজমে বাধা দেয়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আদা চা : আদা ৪০০ টিরও বেশি জৈব সক্রিয় যৌগ এবং ৪০টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ দিয়ে ভরপুর। হেপাটাইটিস মান্থলিতে প্রকাশিত ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বারো সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই গ্রাম আদার সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়েছিল এবং দেখা গেছে যে এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে এবং লিভারে প্রদাহের চিহ্ন হ্রাস করে। সুতরাং, দিনে অন্তত এক কাপ আদা চা খেলে তা কেবল ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে না, বরং এটি রক্তচাপ এবং বমি বমি ভাবও কমায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার : অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এমন একটি পানীয় যা কারও কারও জন্য সত্যিই ভালো কাজ করে। যারা ফ্যাটি লিভারের মাত্রা কমাতে চান, তাদের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপকারী। পানীয়টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। ২০২১ সালে BMC কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন অ্যান্ড থেরাপিজে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপেল সাইডার ভিনেগার টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের প্লাজমা গ্লুকোজ কমাতে বেশ কার্যকরী। গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করলে তা ফ্যাটি লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। তবে এটি সঠিকভাবে পাতলা করতে এবং স্ট্র দিয়ে পান করতে ভুলবেন না, কারণ এটি এনামেলের ক্ষতি করতে পারে।

কখন আক্কেল দাঁত তোলা উচিত

কখন আক্কেল দাঁত তোলা উচিত আক্কেল দাঁত ওঠার যন্ত্রণা অনেকর ক্ষেত্রেই ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের আবার আক্কেল দাঁত তুলে ফেলারও প্রয়োজন হয়। মুখের ভেতরে বেকায়দায় কোনো জায়গায় দাঁত ওঠা, ব্যথা, ক্যাভিটি, প্রদাহ, আক্কেল দাঁত সংলগ্ন অন্য কোনো দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি কারণে এই দাঁত তুলে ফেলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আক্কেল দাঁত তুলে ফেলা প্রয়োজন কিনা তা পর্যাপ্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিশেষত মেক্সিলোফেসিয়াল সার্জন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আক্কেল দাঁত কি: অনেকে মনে করেন ‘আক্কেল দাঁতের’ সঙ্গে জ্ঞানবুদ্ধি বা আক্কেলের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এর সঙ্গে কোনো বিশেষ সম্পর্ক নেই। সাধারণত ১৭-২৫ বছরের মধ্যে উপরের ও নিচে উভয় চোয়ালের তৃতীয় বা দাঁতগুলো উঠে। এমন দাঁতের সংখ্যা ৪টি যাদের মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় ‘থার্ড মোলার টুথ’। কখন ব্যথা হয়: বেশিরভাগ দাঁত ওঠার সময় ব্যথা অনুভূত না হলেও আক্কেল দাঁত বা থার্ড মোলার টুথ ওঠার ক্ষেত্রে অনেকের ব্যথার অনুভূতি হয়। প্রতিটি দাঁত উঠতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন হয়। অনেকের ক্ষেত্রে দাঁত ওঠার সময় জায়গায় অভাব হয় যেমন-চোয়াল ছোট বা অতিরিক্ত দাঁতের উপস্থিতি বা সঠিক স্থানে দাঁত না ওঠা ইত্যাদি কারণে প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলান না হলে দাঁত ওঠার সময় তার চারপাশে যে চাপ প্রয়োগ করে তাতে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা স্বাভাবিক মাত্রার ভেতর থাকে তবে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফেকশন বা প্রদাহজনিত পরিস্থিতিতে আরও গুরুতর করে তোলে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। দাঁত কখন তোলা হয়: যে কোনো দাঁত তোলার ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা সময়ের আগে দাঁত পড়ে যাওয়া বা দাঁত তুলে ফেলার ফলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- দাঁত আঁকাবাঁকা হওয়া, সঠিক স্থানে দাঁত না ওঠা অথবা প্রয়োজনীয় স্থান সংকুচিত হয়ে দাঁত উঠতে বাধাগ্রস্থ হওয়া ইত্যাদি। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, পর্যাপ্ত বয়স, ইনফেকশন বা প্রদাহের উপস্থিতি এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্নের পর দাঁত তোলা যেতে পারে। আক্কেল দাঁত কখন তোলা হয় : আক্কেল দাঁত বা যেকোন দাঁত উঠতে সমস্যা হওয়া, ইনফেকশন বা প্রদাহের উপস্থিতি, প্রয়োজনীয় স্থানের অভাব বা কোন টিউমার বা সিস্টের উপস্থিতি থাকলে সাধারণত দাঁত তুলে ফেলার প্রয়োজন হয়। দাঁত তোলার দুটি পদ্ধতি আছে। সার্জিকাল এবং নন সার্জিকাল। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জন উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চলার দ্বারা চিকিৎসা পরবর্তী যেকোনো জটিলতা সহজেই এড়ানো যায়। কখন আক্কেল দাঁত সার্জারির প্রয়োজন হয় : যেকোনো দাঁত তোলার ক্ষেত্রেই সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। দাঁতের গঠন কাঠামো অস্বাভাবিক হলে, স্বাভাবিক পন্থায় (নন সার্জিকাল) দাঁত তোলা না গেলে অথবা দাঁত যদি অর্ধেক বা পুরোপুরি মাড়ি বা চোয়ালের হাড়ের ভেতর অবস্থান করে তখন দাঁত তুলতে সার্জারির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগীকেও সার্জারির পূর্বে ও পরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা আন্তরিকতার সঙ্গে মেনে চলা জরুরি। দাঁত তোলার পরবর্তী করণীয় : সাধারণত দাঁত তোলার পর ২৪ ঘণ্টা নরম খাবার খাওয়া, গরম খাবার এড়িয়ে চলা, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা লবন পানি দিয়ে কুলকুচি করা বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করা ও অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের দ্বারা অধিকাংশ জটিলতা কেটে যায়। তবে সার্জিকাল এক্সট্রাকশনের ক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য মুখ পরিপূর্ণ হা করতে বা জোরে হাসতে নিষেধ করা হয়। কারণ তাতে করে সেলাই ছুটে যাওয়া বা পুনরায় রক্তপাত হবার আশঙ্কা থাকে। তবে জটিলতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। লেখক: ডা. মেহেদী হাসান শিবলী, ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন, বিডিএস, বিসিএস

খেজুরের গুড় শীতে কেন খাবেন

খেজুরের গুড় শীতে কেন খাবেন শীতের দারুণ একটি খাবার গুড়। কম বেশি সবার কাছেই এ গুড় অনেক পছন্দের। নানা ধরনের পিঠা কিংবা মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বানাতে এ গুড়ের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, শীতের এ গুড় নিয়মিত ১ চামচ খেলে শরীরে কেমন পরিবর্তন আসে? পুষ্টিবিদরা জানান, চিনির চেয়ে গুড় খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আর নানা ধরনের গুড়ের মধ্যে খেজুর গুড়ের পুষ্টি অনেক বেশিই বলা যায়। খেজুর গুড়ে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামজাতীয় খনিজ উপাদান। যারা নিয়মিত এক চামচ গুড় খান, তারা পাবেন খেজুর গুড়ের নানান উপকারিতা। খেজুর গুড় ওজন কমাতে দারুণ কাজ করে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন এক চামচ খেজুর গুড়। খেজুর গুড় কোল্ড অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই আপনাকে দূরে রাখে। রক্তাল্পতায় ভুগলেও খেতে পারেন খেজুর গুড়। কারণ, এই গুড় শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খেতে পারেন এই গুড়। কাবোহাইড্রেট, আয়রন কিংবা গ্লুকোজের ঘাটতি হলেও খেজুরের গুড় শরীরে ভালো কাজ করে। গুড়ে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কাজে লাগাতে পারেন সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও। কেন না, এই গুড় ত্বক সতেজ রাখে, পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায়। শীতে শরীর গরম রাখতে কিংবা সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো রোগ থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে খেতে পারেন খেজুরের গুড়। তবে খেয়াল রাখবেন, একমাত্র খাটি গুড় থেকেই এসব উপকারিতা আপনি পাবেন। ভেজাল গুড় খেলে শরীরে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের সময়