চটজলদি ওজন কমাবে দারুচিনির পানি

চটজলদি ওজন কমাবে দারুচিনির পানি ওজন কমাতে দারুচিনির জুড়ি মেলা ভার। তাই চটজলদি ওজন কমাতে দিনে অন্তত দু-বার করে খান দারুচিনির পানি।এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি ব়্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনির পানি দারুণ কাজ দেয়। দারুচিনি কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে? আপনার বিপাক হার যদি ভালো হয়, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকে। মেদ জমলেও তা ঝরানো সহজ হয়। এই বিপাক হার বাড়ানোর কাজটাই করে দারুচিনির পানি। দারুচিনির পানি হজমের সমস্যা দূর করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্রনিক অসুখের ঝুঁকিও প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, পিসিওডি-এর মতো শারীরিক সমস্যায় ওজন বাড়ে। এই সব ক্ষেত্রেও দারুচিনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। দিনের কোন সময়ে দারুচিনির পানি খেলে দ্রুত ওজন কমবে? ১. সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানি খেলে সারাদিন আর কোনো চিন্তা থাকবে না। এতে সকালেই পেট সাফ হয়ে যাবে এবং শরীর টক্সিনমুক্ত থাকবে। পাশাপাশি বিপাক হার ভালো থাকবে। সকালবেলা ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে খেতে পারেন দারুচিনির পানি। ২. ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে ওজন বশে রাখতে হলে লাঞ্চ বা ডিনারের ৩০ মিনিট আগে দারুচিনির পানি খান। এতে পেট ভরবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে। এ ভাবেও ওজন কমাতে পারেন। ৩. চটজলদি ওজন কমাতে জিমে গিয়ে কসরত করছেন। শরীরচর্চা শেষ করেও দারুচিনির পানি খেতে পারেন। এতে পেশির ক্ষয় দ্রুত নিরাময় হবে এবং ক্লান্তি দূর হবে। ৪. ঘুমোতে যাওয়ার আগেও দারুচিনির পানি খেতে পারেন। এতেও পেটের সমস্যা এড়াতে পারবেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। কীভাবে দারুচিনির পানি বানাবেন? ২ কাপ পানি গরম বসান। এতে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। দারুচিনির গুঁড়া না থাকলেও দুটি দারুচিনির কাঠিও ফুটিয়ে নিতে পারেন। ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন দারুচিনির পানি। আবার আগের দিন রাতেও এই পানীয় বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। পরদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
লেবুর এই উপকারিতাগুলো জানতেন?

লেবুর এই উপকারিতাগুলো জানতেন? প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। মুখে রুচি না থাকলে কিংবা কোনো খাবার খেতে খুব একটা ভালো না লাগলে তার সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে স্বাদই পরিবর্তন হয়ে যায়। এই সাধারণ সাইট্রাস ফলটি কেবল কেবল স্বাদই যোগ করে না, রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। টক স্বাদের লেবু আপনার শরীরের জন্য অনেক মিষ্টি সুফল নিয়ে আসতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ২০২৪ সালের গবেষণা অনুসারে, লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত লেবু খেলে তা শরীরকে মৌসুমী সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করতে এবং শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ২. হজমে সহায়তা করে : লেবুর রস হজম রসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা পেটের জন্য খাবার ভেঙে ফেলা সহজ করে তোলে। নিয়মিত খেলে এটি পেটফাঁপা কমাতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করে। ৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে : ২০০৮ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ লেবু ওজন কমানোর খাদ্যতালিকায় একটি শক্তিশালী সংযোজন। এর প্রাকৃতিক যৌগ পেট ভরা রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া কমাতে সাহায্য করে। ৪. হাইড্রেটেড রাখে : পানি বা খাবারে লেবু যোগ করলে এর সতেজ স্বাদের জন্য আরও ভালো হাইড্রেশন উৎসাহিত করা যায়। হাইড্রেটেড থাকা বিপাক, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত লেবু খেলে হাইড্রেটেড থাকা সহজ হয়। ৫. প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফাই করে : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। এটি টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, ত্বক পরিষ্কার করে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে। শরীর ভেতর থেকে সতেজ করতে চাইলে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে

যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে যেকোনো কাজের পরিবেশে, শ্রেণীকক্ষে অথবা কর্মক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি থাকে যাদেরকে আলাদাভাবে দেখা হয়, যারা এমন এক আভা বিকিরণ করে যা দেখে সবাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এটা এই কারণে নয় যে তারা উচ্চস্বরে কথা বলে, অথবা তারা নিজেদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলে। এর কারণ হলো তারা সব সময় কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চলে। তাদের প্রভাব চটকদার প্রদর্শন থেকে আসে না, বরং দিনের পর দিন ধরে রাখা ছোট ছোট কিছু অভ্যাস থেকে আসে। এই ব্যক্তিরা জোর না করেই বিশ্বাস এবং সম্মান অর্জন করে, অন্যদের তা করতে বাধ্য না করে অনুপ্রাণিত করে এবং অনেকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। ভাগ্য বা প্রতিভা তাদের আলাদা করে তোলে না, বরং নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস তাদের এই জায়গায় পৌঁছে দেয়। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা : এ ধরনের মানুষের মুখের কথা ও কাজে মিল থাকে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এ ধরনের মানুষেরা সহজেই অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ মানুষ তার কাছে নির্ভরতা খুঁজে পায়। কথা ও কাজে মিল না থাকলে সেই মানুষ কারও প্রিয় হতে পারে না। কারণ তার ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা না করলে, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না। ভুল না করে ভুল স্বীকার করা : মানুষের ভুল হবেই। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে। ক্রেডিট শেয়ার : অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া : অনেকেই আছে যারা অন্যের সময় নষ্ট করাকে কোনো অপরাধ বলেই মনে করে না। কিন্তু মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা যেহেতু ছোট ছোট অভ্যাসের বিষয়, তাই এই অভ্যাসও সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনে বাকি মোটামুটি সবকিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব হলেও সময় কখনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই সময়কে কেউ গুরুত্বহীন হিসেবে দেখলে সে অন্যের কাছে প্রিয় হতে পারে না।
লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন

লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন সাজের ষোলআনা পূর্ণ হয় লিপস্টিক ব্যবহারের মাধ্যমে! কিন্তু কিছু ভুলের কারণে লিপস্টিকের রং ঠোঁটে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। লিপস্টিক কত সময় ঠোঁটে ঠিকঠাক থাকবে, তা শুধু পণ্যের গুণে নয়, যিনি ব্যবহার করছেন, তার কৌশলের ওপরও নির্ভর করে। তাই লিপস্টিক ব্যবহারের সময় এসব কৌশল অনুসরণ করুন। ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করে নিন রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক বেশি সময় টেকে না।’’ সেজন্য তাই লিপ স্ক্রাব বা হালকা ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন, তারপর লিপ বাম লাগান। কয়েক মিনিট পর টিস্যু দিয়ে বাড়তি আর্দ্রতা মুছে ফেলুন। লিপ প্রাইমার ব্যবহার ঠোঁটে দীর্ঘ সময় লিপস্টিক ঠিক রাখতে হলে লিপস্টিক লাগানোর আগে পাতলা করে কনসিলার বা লিপ প্রাইমার ব্যবহার করুন। তাহলে ঠোঁটের রঙ সমান দেখাবে, আর লিপস্টিক বসে যাবে অনেক ভালভাবে। শেপ ও বেস তৈরি ঠোঁটের আউটলাইন টেনে নিতে পারেন। এজন্য লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। শুধু শেপ নয়, ভেতরে হালকা করে ভরাট করে নিলে লিপস্টিক আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কোট করে লিপস্টিক লাগান প্রথমে একটি কোট লিপস্টিক লাগান। তাতে টিস্যু দিয়ে হালকা চাপ দিন। তারপর আবার দ্বিতীয় কোট দিন। এই লেয়ারিং টেকনিক লিপস্টিককে কয়েক ঘণ্টা বেশি ধরে রাখবে। পাউডার সেটিং করুন লিপস্টিকের ওপরে টিস্যু চাপা দিয়ে তার ওপর হালকা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার লাগান। এতে লিপস্টিক সেট হয়ে যাবে, আর সহজে মুছবে না।
ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরি করবেন যেভাবে

ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরি করবেন যেভাবে ঝটপট যেসব খাবার তৈরি করা যায়, চিংড়ির বিভিন্ন পদ তার মধ্যে একটি। চিংড়ি যেমন সুস্বাদু, তেমনই সহজ পদ্ধতি ও অল্প সময়ে রান্না করা যায়। যারা বাইরে গিয়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন তারা বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে খেতে পারেন ডিপ ফ্রায়েড চিংড়ি। এটি সবাই খেতে পছন্দ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিপ ফ্রায়েড প্রন তৈরির রেসিপি- তৈরি করতে যা লাগবে: চিংড়ি- ৩০০ গ্রাম ডিম- ১টি আদা-রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া- অল্প পরিমাণ ময়দা- ১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব- ১/২ কাপ লবণ- পরিমাণমতো। যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে চিংড়ির খোসা ও মাথা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চিংড়ির পেটের দিকে ছুড়ি দিয়ে হালকা দাগ দিতে হবে যাতে চিংড়ি সোজা হয়। এবার চিংড়ির সঙ্গে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। এবার চিংড়িগুলো একটা একটা করে প্রথমে শুকনো ময়দায় গড়িয়ে এরপর ডিমে চুবিয়ে নিতে হবে। এরপর ডিম থেকে তুলে ব্রেড ক্রাম্বসে গড়িয়ে নিতে হবে। এভাবে সবগুলো কোট করে নিন। প্যানে তেল গরম করে তাতে চিংড়িগুলো ভালোভাবে ভেজে তুলুন। পছন্দের সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ?

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ? ভোরে ঘুম থেকে ওঠার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন— দিনটা ভালোভাবে শুরু করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আরও অনেক উপকারিতা আছে। ব্যায়াম করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন যদি আপনার কাছে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ হয়, কিন্তু সময় বের করতে সমস্যা হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আপনার জন্য কাজ করতে পারে। সকালে প্রথমেই ব্যায়াম করলে শরীর সারাদিন ভালো বোধ করবেন। ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ শুরু করে যা আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে। ব্যায়াম মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। সকালের ব্যায়াম করলে সারাদিন মানসিক চাপ কম অনুভব করবেন, উদ্বেগ কম থাকবে এমনকি শক্তির মাত্রা বেশি অনুভব করবেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠলে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হতে পারবেন। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যার ফলে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না। ভালো ঘুম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘একটানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘন্টার বেশি ঘুম আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। একটানা ঘুমাতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এমনকি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সুস্থ ত্বক ঘুমের ঘাটতি থাকলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। ফলে ব্রণ, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, ত্বকের বার্ধক্য- দেখা দেয়। ভালো ঘুম আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ারও যথেষ্ট সময় পাবেন।
জনপ্রিয় তিরামিসু তৈরির রেসিপি

জনপ্রিয় তিরামিসু তৈরির রেসিপি খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই। আর সুস্বাদু ডেজার্ট খেতে কে না পছন্দ করে! তিরামিসু তেমনই একটি ডেজার্ট যা আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা উৎসবের আয়োজনে রাখতে পারেন তিরামিসু। চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্বাদু এই ডেজার্ট তৈরির রেসিপি- তৈরি করতে যা লাগবে: ডিম- ৪টি চিনি- ১ কাপ লেডি ফিঙ্গার বিস্কুট- ৮/১০ টি কফি- ১/২ চা চামচ তরল দুধ- ১/২ কাপ হুইপিং ক্রিম- ১ কাপ ভ্যানিলা এসেন্স- কয়েক ফোঁটা ক্রিম চীজ- ১ প্যাকেট কোকো পাউডার- স্বাদমতো। যেভাবে তৈরি করবেন : ডিম ভেঙে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে রাখুন। একটি পাত্রে পানি গরম করে তার মধ্যে কুসুমের বাটি বসিয়ে দিন। এমন বাটি নিতে হবে যেটি তাপে ফেটে যাবে না। এবার এই কুসুমের মধ্যে চিনি ও লিকুইড দুধ দিয়ে দিন। উপাদানগুলো মিশে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। চুলা থেকে নামানোর পরও ৩/৪ মিনিট কুসুমটুকু নেড়ে যেতে হবে। এরপর বাটিটিকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যে বাটিতে ক্রিম তৈরি করবেন সেটি ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিবেন। এতে ক্রিম বেশ ভালোভাবে জমে। এবার ক্রিম বিট করে নিন। কুসুমের বাটিতে এবার কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স দিন। এরপর তার সঙ্গে ক্রিম চীজ মেশান। হুইপিং ক্রিম অল্প অল্প করে এই মিশ্রণে মিশিয়ে নিতে হবে। এটা মেশানোর জন্য কোনো বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক ইউজ করা যাবে না। এতে হুইপিং ক্রিমের ফোমি ভাব নষ্ট হয়ে যাবে এবং তিরামিসু সেট হবে না। একটি বাটিতে দুই কাপ গরম পানি নিয়ে তাতে কফি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কিছুক্ষণের জন্য ঠান্ডা হতে দিন। যে সার্ভিং বোলে তিরামিসু বানাবেন সেটিতে লেডি ফিঙ্গারগুলো কফির পানিতে একটি একটি করে ভিজিয়ে রেখে দিন। বিস্কুট কিন্তু ২/৩ সেকেন্ডের বেশি ভিজিয়ে রাখা যাবে না। এবার বিস্কুটের উপর তৈরি করে রাখা মিশ্রণটুকু দিয়ে দিন। এরপর আবার বিস্কুটের লেয়ার দিন। এবার বাকি মিশ্রণ দিয়ে চারপাশে ভালোভাবে ঢেলে দিন। ফ্রিজে সেট হতে দিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা। এরপর বের করে পরিবেশন করুন।
সকালের অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে সুস্বাস্থ্য

সকালের অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে সুস্বাস্থ্য সকাল থেকেই দিনের ছন্দ ঠিক হয়ে যায়—এমনটাই বলে থাকেন অনেকেই। অর্থাৎ, আপনি যেভাবে দিন শুরু করবেন, সেভাবেই কাটবে সারাদিন। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু রুটিন থাকে। কেউ সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে ভালোবাসেন, আবার কেউ তাড়াতাড়ি উঠে মর্নিং ওয়াক বা শরীরচর্চা করে নেন। তবে সকালে দেরি করে উঠলে সারাদিনের কাজেই দেরি জমে যায়। অলসতা কাটাতে কাজ থাকুক বা না থাকুক, অভ্যাস করুন সকাল সকাল জেগে ওঠার। এতে সারাদিন সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকা যায়। আজকাল ঘুম ভাঙতেই সবার আগে চোখ যায় মোবাইলের দিকে। নোটিফিকেশন, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া—এসব দিয়ে দিন শুরু করলে চোখ ও মস্তিষ্ক দুটোই অযথা চাপে পড়ে। ফলে মাথাব্যথা ও কর্মক্ষমতা কমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই বরং ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস পানি খান। জানালার পাশে বা বারান্দায় বসে খানিকটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। অন্তত দুই ঘণ্টা নিজেকে দিন—সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থেকে শরীরচর্চা করুন, চা বা কফি উপভোগ করুন, বই বা পত্রিকা পড়ুন। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। অনেকে দেরি করে উঠে শুধু চা বা কফি খেয়ে দুপুর পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই শরীরচর্চার পর অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করুন। দিনটিকে গুছিয়ে তুলতে আগের রাতেই কাজের পরিকল্পনা করে রাখুন। সকালে উঠে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলে সময় বাঁচবে, মনোযোগও বাড়বে। দিনের শুরুতে গোসল করে নিলে শরীর-মন দুটোই সতেজ থাকে এবং হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকলে কর্মক্ষমতা ও এনার্জি অনেকটাই বেড়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন না। বরং ইতিবাচক কিছু ভাবুন, নিজেকে উৎসাহ দিন। জীবনের ভালো দিকগুলোর জন্য নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করুন এবং যারা আপনার জীবনের সঙ্গী, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
ছুটির দিনে বানাতে পারেন ৬ রকমের লোভনীয় বার্গার

ছুটির দিনে বানাতে পারেন ৬ রকমের লোভনীয় বার্গার আপনি কী বার্গার খেতে ভালোবাসেন? সুযোগ পেলেই রেস্টুরেন্টে ঢুঁ মারেন? আপনার জন্যেই বার্গারের ছয়টি রেসিপি দেওয়া হলো, যেগুলো আপনি খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন। দেখে নিন কোন বার্গারটি আজকে আপনি বাড়িতেই বানাচ্ছেন। চিকেন এগ বার্গার কড়াইয়ে তেল ঢেলে মাঝারি তাপে গরম করে নিন ও মুরগির মাংসের চাপ বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এক টেবিল চামচ ময়োনিজ বার্গার রুটির দুই টুকরোতে ভালোভাবে মেখে নিন। নিচের রুটির টুকরাটিতে লেটুসপাতা, পেঁয়াজ কুচি, মাংসের চাপ, টমেটো স্লাইস ও ভাজা ডিম সাজিয়ে রাখুন। ডিমের ওপর ময়োনিজের স্তর দিন। এবার রুটির বাকি টুকরোটি ওপরে দিয়ে দিন। ব্যস, এবার বাসায় তৈরি চিকেন এগ বার্গার পরিবেশন করুন। আলু টিক্কি বার্গার প্রথমেই আলুর পুলি বানিয়ে নিন। বার্গার রুটির দুই টুকরোতেই এক টেবিল চামচ ময়োনিজ ভালোভাবে ছড়িয়ে দিন। নিচের রুটির টুকরোটিতে আলুর পুলি, টমেটোর স্লাইস, পেঁয়াজ কুচি বসিয়ে নিন। ময়োনিজের স্তর ঢেলে রুটির ওপরের টুকরোটি জুড়ে দিলেই তৈরি হয়ে গেল আলুর টিক্কি বার্গার। ময়োনিজ-ভাজা আলুর বার্গার ননস্টিক প্যানে এক টেবিল চামচ তেল মঝারি তাপে গরম করে নিন। সরিষা বীজ, কারি পাতা, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, আলু ও লবণ যোগ করুন। দুই মিনিট ভালোভাবে নাড়তে থাকুন ও বেসন, লাল মরিচের গুঁড়া ও পানি যোগ করে আস্তে আস্তে মেশান। আলুর মাঝারি আকারের বল বানিয়ে নিন। বেসন মেখে একটি কড়াইয়ে গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে থাকুন সোনালি রং না আসা পর্যন্ত। রসুনের চাটনি বানাতে আট কোয়া ভাজা রসুন, কোড়ানো নারিকেল, বাদাম, মরিচ ও জিরার গুঁড়া দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। রুটির টুকরোয় ময়োনিজ মেখে তার ওপর চাটনি ছড়িয়ে দিন। ভাজা আলু যোগ করে ময়োনিজ দিয়ে পরিবেশন করুন। ভাজা মাংসের বার্গার মাংসের টুকরা রোজমেরি, তেল ও মরিচের গুঁড়া মেখে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ঘণ্টাখানেক পরে মাংসের টুকরাগুলো পাতলা স্লাইস করে কাটুন। একটি প্যানে পেঁয়াজের সাথে মাংসের স্লাইস দুই দিকেই ভাজুন। রুটির টুকরো দুটোয় ময়োনিজ মাখুন। নিচের অংশে লেটুসপাতা, টমেটো, শসা ও মাংসের চাপ রেখে ওপরে রুটির টুকরো দিয়ে ঢেকে দিন। ফ্রেন্স ফ্রাই বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন। সুশি বার্গার রাইসের জন্য, সুশি বা ছোট বীজের বাসমতি বা জাপানি চাউল এক কাপ, ভিনেগার এক টেবিল চামচ, চিনি এক চা চামচ ও লবণ। ফিলিংয়ের জন্য অ্যাভোকাডো তিন টুকরো, গাজর, শসা, ক্যাপসিকাম। প্রোটিন– সেদ্ধ চিংড়ি, টোফু, চিকেন। বার্গার সাজানোর জন্য– নরি শিট ২ টুকরো,ময়োনেজ বা স্পাইসি সস দুই টেবিল চামচ ও লেটুসপাতা প্রথমে চালের সঙ্গে দেড় কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন। ভিনেগার, চিনি ও লবণ মিশিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। বার্গার বেস করতে, ভেজা হাতে সেদ্ধ করা চাল নিয়ে ছোট বাটি বা হাত দিয়ে প্যাটি তৈরি করুন। প্রতিটি প্যাটির মধ্যে সামান্য লেটুস বা সবজি রাখুন। এরপর রাইস প্যাটির ওপরে প্রোটিন (চিকেন, চিংড়ি, টোফু) রাখুন। অ্যাভোকাডো ও অন্যান্য সবজি স্লাইস যোগ করুন। ওপরে আরেকটি রাইস প্যাটি দিয়ে চাপ দিন। এরপর বার্গারের চারপাশ নরি শিট দিয়ে মোড়ান যাতে ধরে থাকে। পছন্দমতো সস দিয়ে পরিবেশন করুন। ঝাল চিংড়ির বার্গার মাঝারি সাইজের কয়েকটি চিংড়ি রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, সরিষা বাটা, লবণ, অলিভ অয়েল, ধনে পাতা ও লেবুর রস মেখে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। চিংড়িগুলোকে ময়দা মেখে ফ্যাটানো ডিমে চোবান। আবারও ময়দা মেখে নিন। মচমচে ও সোনালি রং না হওয়া পর্যন্ত তেলে ভাজতে থাকুন। বার্গার রুটির টুকরা দুটি সেঁকে নিন। রুটির ভেতর লেটুস পাতা ও চিংড়ি ঢুকিয়ে টমেটো কেচাপ দিয়ে পরিবেশন করুন।
বয়স্কদের সঙ্গেও করুন ভিডিও চ্যাট

বয়স্কদের সঙ্গেও করুন ভিডিও চ্যাট প্রযুক্তির এই যুগে আমরা অনেক কিছুই পাচ্ছি। যার মধ্যে বাড়তি পাওয়া দূরে থাকলেও প্রিয়জনকে একটু দেখে নেওয়ার সুযোগ। বেশিরভাগ সময় এই দেখাদেখি তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু জানেন কি, বাড়ির বয়স্কদের অবসাদ কাটিয়ে দেয় দূরে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট। এক গবেষণায় জানা গেছে ,ফেসবুক মেসেঞ্জার হোক বা হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলিং বয়স্কদের অবসাদ কমিয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্গান হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভর্সিটির অধ্যাপক অ্যালান টিও বলেন, এই ভিডিও চ্যাট বৃদ্ধ ও প্রাপ্তবয়স্কদের বিষণ্নতা কমিয়ে দেয়। গবেষকরা দুই বছর ধরে ১ হাজার ৪২৪ জনকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন বিষণ্নতা দূর করতে সক্ষম ভিডিও চ্যাট। বাড়ির বয়স্করা অনেকেই নিঃসঙ্গ থাকেন। জীবনের তাগিদে ছেলে-মেয়েরা তাদের পরিবার নিয়ে দূরে থাকেন। যার জন্য বয়স্করা একাকীত্বে ভোগেন। তাদের পেয়ে বসে হতাশা বা অবসাদ, এই পর্যায়ে এসে শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা ছাড়া যেন কিছুই করার নেই তার। নিজেকে অনেকেই অবহেলিত ও অপ্রয়োজনীয় ভাবতে শুরু করেন। সন্তানদের প্রতিও দেখা দিতে পারে অভিমান। কিন্তু এই সবই ঠিক করে নেওয়া যায় শুধু মাঝে মাঝে ভিডিও চ্যাট করে। এতে করে বয়স্কদের মনও ভালো থাকে, খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখা গেলেও প্রিয়জনের হাসি মুখ, কথা বলা দেখেও স্বস্তি পান তারা। যাদের বয়স্ক বাবা-মা দূরে থাকে তাদের জন্য সাধ্যের মধ্যে স্মার্টফোন বা একটা ল্যাপটপের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আর এগুলোর ব্যবহারও শিখিয়ে দিন, দিনের একটা সময় তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলুন, দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে, বাবা-মায়েরাও ভালো থাকবেন।