গোবরাতলায় খরাসহিষ্ণু ফসলের চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

গোবরাতলায় খরাসহিষ্ণু ফসলের চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোবরাতলা ইউনিয়নের সিসিএজি সদস্যদের নিয়ে পলশায় অবস্থিত রেডিও মহানন্দার সেমিনার কক্ষে খরাসহিষ্ণু ফল ও ফসলের চাষাবাদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক এ.কে.এম মনজুরে মাওলা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জুনিয়র কনসালটেন্ট (ক্রপ স্পেশালিস্ট) কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম। এসময় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে আলোচনা করেন ইউনিট-১ ব্যবস্থাপক ওজিউর রহমান। প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির ‘এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-ড্রাউট’ (ইসিসিসিপি-ড্রাউট) প্রকল্পের সিসিএজি সদস্যদের নিয়ে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ ইসিসিসিপি-ড্রাউট প্রকল্পের সমন্বয়ক বকুল কুমার ঘোষ, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার সোহেল রানা, কমিউিনিটি মোবিলাইজেশন অফিসার প্রসেনজিৎ কুমার সাহা। কর্মশালায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর লক্ষে টেকসই কৃষি অনুশীলনের ওপর আলোকপাত করা হয়। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলোÑ অংশগ্রহণকারী সদস্যদের জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা এবং প্রশমন ব্যবস্থার ওপর ধারণা দেওয়া। খরাসহিষ্ণু ফল ও ফসলের জাত নির্বাচন, চাষ পদ্ধতি, বসতবাড়ির আশপাশ বা আঙ্গিনায় বাগান করার কৌশল, মাটির গুণাগুণের উন্নতি, পানি সংরক্ষণ এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে কার্যকর ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা প্রদান করা। কর্মশালায় নাধাইকৃষ্ণপুর গ্রামের ২০ জন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন-সিসিএজি গ্রুপের সদস্য অংশ নেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড প্রর্দশন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড প্রর্দশন শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে, ইউনিসেফের অর্থায়নে ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল এন্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে ৩দিন ব্যাপি ধর্মীয় নেতাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে সদর উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মোট ২০ জন ইমাম, কাজী ও হিন্দু ধর্মের ধর্মগুরুগন অংশগ্রহন করেন। প্রশিক্ষণ সমন্বয় করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের এস বি সি প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার উত্তম ম-ল। ৩ দিনের প্রশিক্ষণে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার সমাজ সেবা অফিসার নাসির উদ্দিন, ইসলামিক চিন্তাবিদ এবং বক্তা মুফতী মাওলানা হানিফ মো. আব্দুল কাদের, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস বিশ্বাস। প্রশিক্ষণ থেকে অংশগ্রহনকারীরা বাল্যবিবাহ বন্ধে জনঅংশগ্রহণমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন ও শপথ করেন যে যেখানে বাল্য বিবাহ সেখানেই লাল কার্ড প্রর্দশন হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আয়োজন এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইকতেখারুল ইসলাম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী খান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ সহকারী পরিচালক শাহজামান হক, নিরাপদ সড়ক চাই(নিচসা) আন্দোলনের জেলা কমিটির প্রতিনিধি ফারুকা বেগম, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু সহ অন্যরা। বক্তরা বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে প্রচার-প্রচারনা বাড়াতে হবে। চালকদের পাশাপাশি যানবাহন চালক ও পথচারীদের সতর্ক থাকতে হবে। সভায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করার ব্যাপরেও আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মৃত সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল শ্রমিক ইউনিয়ন

মৃত সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল শ্রমিক ইউনিয়ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের ছেলেমেয়ের বিয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ও মৃত সদস্যদের পরিবারবর্গকে এককালীন অর্থ প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তাদেরকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই অর্থ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। সংগঠনটির সভাপতি মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন- সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম আনার। উপস্থিত ছিলেন- পৌর জামায়াতের আমির গোলাম রাব্বানী ও সেক্রেটারি মোক্তার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হকসহ শ্রমিক নেতারা। পরে ৩ জন মৃত সদস্যের পরিবারকে ৭০ হাজার টাকা করে এবং ছেলের বিয়ের জন্য ৩ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ও ৯ জনকে ৩০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত আরো ২ হাসপাতালে ভর্তি ১১ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত আরো ২ হাসপাতালে ভর্তি ১১ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে রবিবার নতুন করে আরো ২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৭ জনে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, শনিবার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে ভর্তি আছে ১১ জন রোগী। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৮ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন রয়েছে। ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছে। অন্যদিকে সুস্থ হওয়ায় ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গোমস্তাপুরে পরিবেশ বান্ধব ইট ও ব্লক তৈরি কারখানার উদ্বোধন

গোমস্তাপুরে পরিবেশ বান্ধব ইট ও ব্লক তৈরি কারখানার উদ্বোধন গোমস্তাপুরে আধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব ইট ও ব্লক তৈরির কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ দুপুরে রহনপুর-গোমস্তাপুর সড়কের মড়িচাডাঙ্গা শিমুলতলায় এই কারখানার উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বান্ধব ইট ও ব্লক তৈরির উদ্যোগটি নিয়েছে মেসার্স আতিয়া ট্রেডার্স নামের এক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এলজিইডি’র গোমস্তাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আছহাবুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী শাওন ইসলাম, উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ মাহমুদ ও ফরিদ খাঁনসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পরিবেশ বান্ধব ও নির্মাণে ব্যবহৃত কনক্রিট ব্রিকস, ইউনিপেভার কার্ভস্টোন হলোব্রক, পার্কিং টাইলস উৎপাদন করবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
ডেঙ্গু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরো আক্রান্ত ৬, হাসপাতালে ভর্তি রোগী ১২ জন

ডেঙ্গু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরো আক্রান্ত ৬, হাসপাতালে ভর্তি রোগী ১২ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত শুক্রবার শনাক্তের খবর না থাকলেও শনিবার নতুন করে আরো ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৫ জনে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, শনিবার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৩ জন ও শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও নাচোলে ১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে ভর্তি আছে ১২ জন রোগী। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৮ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন রয়েছে। ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা। অন্যদিকে সুস্থ হওয়ায় ২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
দু’মাসে শতাধিক ডেঙ্গু রোগি হাসপাতালে,জেলায় নেই আইসিইউ সাপোর্ট

দু’মাসে শতাধিক ডেঙ্গু রোগি হাসপাতালে,জেলায় নেই আইসিইউ সাপোর্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বাড়ছে ডেঙ্গু। বছরের প্রথম ৭ মাস মোটামুটি ভাল কাটলেও গত মধ্য আগষ্ট থেকে জেলায় সরকারিভাবে বেশি শনাক্ত হতে শুরু করে রোগি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জেলায় এডিসের লার্ভা বা মশা সংক্রান্ত কিছু তথ্য চলতি অক্টোবর মাগেন প্রথম পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি বেশিরভাগ রোগির তথ্য বিশ্লেষন করে জানা গেছে, বেশিরভাগেরই মূলত: ঢাকা বা দেশের অনান্য অঞ্চল ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। এদিকে জেলার প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের জন্য জেলা হাসপাতাল বা জেলার কোন হাসপাতালেই এখনও নেই আইসিইউ সাপোর্ট। নেই সেল সেপারেটর মেশিন। রোগিকে প্রয়োজনে দেয়া যায় না প্লাটিলেট। ফলে হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোমে আক্রান্ত্র কোন ডেঙ্গু রোগিকে জেলায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, শুক্রবার(১৮অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতি বছর জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০৯ জন ডেঙ্গু রোগি শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়াও বছররব্যাপী বর্হি:বিভাগে শনাক্ত হয়ে বাড়িতে বা অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকে। শুক্রবার পর্যন্ত সরকারিভাবে শনাক্তদের মধ্যে শুধু জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭ জন। শুক্রবার পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৭ রোগি। গত মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) জেলায় মৌসুমের সর্বাধিক ১৭ জন রোগি জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে জেলায় এখনও কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় নি। সিভিল সার্জন ডা.মাহমুদুর রশিদ বলেন, জেলা হাসপাতাল ছাড়াও জেলার ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু শনাক্ত ও চিকিৎসার ব্যবস্থাা রয়েছে। জেলা হাসপাতালে ১৫ শয্যার ডেঙ্গু কর্ণার চালু রয়েছে। অনান্য সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যায় মশারি টাঙ্গিয়ে রোগি রাখা হয়। পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে ডেঙ্গু চিকিৎসার মূল হাতিয়ার আইভি স্যালাইনের (ফ্লুইড)। প্রতিটি ৫০ টাকা করে ফিস দিয়ে সরকারি সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের ২ প্রকার টেষ্টের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সকলের দু’ধরণের টেষ্টের দরকার হয় না। প্রতিটি হাসপাতালে টেস্ট কীটের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। প্লাটিলেট কাউন্ট রক্তের রুটিন সিবিসি টেষ্টেই করা যায়। মূলত: মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু রোগির চিকিৎসা দেন। জেলা হাসপাতাল ও জেলার ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরণের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। শুধু ভোলাহাট উপজেলায় নেই। জেলার বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালেও ডেঙ্গু শনাক্ত ও চিকিৎসার সুযোগ থাকলেও তাদের রোগি সংখ্যার পরিসংখ্যান পাওয়া যায় নি। তবে তারা যেন রোগি সংখ্যার হিসাব রাখে সেজন্য তাদের সমিতিকে বলা হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তারের নিকট শনাক্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগিরা। এদের সংখ্যা নির্ণয় অসম্ভব প্রায়। অনকে সরাসরি রাজশাহী বা ঢাকা চলে যায়। ডা. রশিদ আরও বলেন, জেলায় এখনও ডেঙ্গু আশংকাজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তবে অক্টোবরে ‘পিক সিজন’ যাচ্ছে। গত ১৫ দিনে রোগি দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদেও অধিকাংশই ক্লাসিকাল ধরণের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগি এখনও তেমন পাওয়া যায় নি। জেলা থেকে কিছু রোগিকে এখন পর্যন্ত বাইরে রেফার্ড করতে হয়েছে মূলত: আইসিইউ সাপোর্ট না থাকার কারণে। জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.মাসুদ পারভেজ বলেন,হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ও ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভৌত অবকাঠামো (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট-এইচডিইউ) নির্মাণ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এটি চালু হলে জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থার একধাপ উন্নতি হবে। তবে এটি জনবল ও অনান্য লজিষ্টিক সাপোর্টসহ কবে চালু হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে এটি দ্রæত চালু হওয়া দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সিভিল সার্জন বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী বছরের এই সময়টা নিয়ে সতর্ক থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপর জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে জেলা সদরের দিকে নজর দেবার কথা বলেছেন। তথ্য অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দিয়ে মাইকিং থেকে শুরু করে লিফলেট বিতরণ, মসজিদে পর্যন্ত যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সে ব্যাপারেও বলেছেন। ভবিষ্যতে আরও প্রতিরোধ প্রচারণার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর আলাতুলি, দেবীনগর ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘চর আলাতুলি, দেবীনগর ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণে’র ব্যানারে তারা মানববন্ধন করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোললের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে শাহজাহানপুর, দেবীনগর ও চর আলাতুলি ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষ হুমকির মধ্যে পড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীনগর, হাকিমপুর ও দুর্লভপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। এতে ভাঙছে পদ্মা নদীর তীর, বিলীন হচ্ছে জনপদ, রক্ষা পায়নি তীর রক্ষা বাঁধও। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চর আলাতুলি, দেবীনগর ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা ফসলী জমি, স্থাপনা, বসতবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান। এখনো হুমকির মধ্যে রয়েছে কয়েকশ বাড়িঘর। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র মোহনা পার্কও চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। এমন অবস্থায় অবিলম্বে বালুমহাল বাতিল; অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি; অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেশুর রহমান, আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল আহসান কামাল, আলাতুলি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আফসারুল আমল, গ্রামবাসী খালিদুজ্জামান, নুরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, মতিউর রহমান, হাদীর নবীরসহ অন্যরা।
নাচোলে মাছ চাষ বিষয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষণ শুরু

নাচোলে মাছ চাষ বিষয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষণ শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উত্তম ব্যবস্থাপনায় মাছ চাষবিষয়ক দুই দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্য খাতের আওতায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নাচোল ইউনিটের অধীনে ২৫ জন মৎস্যচাষিকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। বুধবার সকালে প্রয়াসের নাচোল ইউনিট কার্যালয়ে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। প্রশিক্ষণ দেন- নাচোল উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইমরুল কায়েস, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। মৎস্যচাষিদের পুকুর নির্বাচন, পুকুর প্রস্তুত, পুকুরকে মাছ চাষে উপযোগী করার কৌশল, প্রজাতি নির্বাচন, পোনা মজুত, চুন ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি, মাছ চাষে সাধারণ সমস্যা ও সমাধান, মাছের রোগ ও প্রতিকার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রয়াসের নাচোল ইউনিটের হিসাবরক্ষক মো. হাফিজুর রহমান। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।