শিবগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

শিবগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা শিবগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তৌফিক আজিজ, শিবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জোবদুল হক, শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার উম্মে সুমাইয়া খাতুন, শাহাবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজামুল হক রানা, চককীর্তি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হাসান আনু মিয়া, দূর্লভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আজম, শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, মোবারকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হক হায়দারী সহ উপজেলার সকল দপ্তরের অফিসারগণ। সভায় উপজেলার বিভিন্ন সড়কের যানজট, অবৈধ স্থাপনা, পানি নিস্কাসন, মাদক, বাল্য বিয়ে, চোরাচালান রোধ ও কিশোর গাং দমন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

গোমস্তাপুরে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন

গোমস্তাপুরে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন   চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদকৃত জমির বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর ব্লকের রাইহো গ্রামের একটি ক্ষেতে এই ধান কাটার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এ উপলক্ষে একই স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী। অন্য অতিথিদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার, কৃষক ইমরুল কায়েশ বক্তৃতা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জেসমিন আকতার লাবনী, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্য কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর ব্লকের রাইহো গ্রাম এলাকায় ৫৫ জন কৃষককে নিয়ে ৫০ একর জমিতে প্রথমবারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। ওই জমিতে প্রদর্শনী হিসেবে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান-৮৮ রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা হয়েছিল। এখন কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে তা কাটা-মাড়াই শুরু হলো। তিনি আশা করছেন, এবার বাম্পার ফলন হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য আম, আমের পাশাপাশি ধানের উৎপাদন ভালো হয়। ভালো উৎপাদনের ফলে দেশের অন্যান্য এলাকায় চাহিদা মিটিয়ে থাকে এই অঞ্চলের ধান। আমরা দেখলাম, কীভাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কর্তন করা হয়। এর আগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ করা হয়েছিল। এগুলো আসলেই প্রদর্শনী। আপনাদের দেখানো ও জানানো। আপনাদের উদ্বুদ্ধ করানো হলো এই কর্মসূচির মাধ্যমে। তিনি বলেন, যদি আগের পদ্ধতিতে শ্রমিককে টাকা দিয়ে ধান কাটতেন, তাহলে একদিনে কতটুকু ধান কর্তন করতে পারতেন। এই পার্থক্যটা কতটুকু, চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। কৃষি কর্মকর্তা বলে গেছেন, ২ থেকে ৩ বিঘা জমি কর্তন করতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এতে আপনারা উৎসাহী হন। সময়, শ্রমিক কম লাগছে। আমরা যদি সমলয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি, তাহলে সবুজ বিপ্লব বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব। এর আগে জেলা প্রশাসক গোমস্তাপুর ইউনিয়নে ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট (জৈব সার তৈরি) ও রহনপুর ইউনিয়নের বংপুরে পলিনেট হাউস পরিদর্শন এবং পার্বতীপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুষ্টি বাগানের উদ্বোধন করেন।

প্রফেসর এলতাসউদ্দিন আর নেই

প্রফেসর এলতাসউদ্দিন আর নেই দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক প্রফেসর মুহম্মদ এলতাসউদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মরহুমের ইচ্ছে অনুযায়ী গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চাঁদলাই গ্রামে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। মরহুমের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টেমেন্টের প্রফেসর মো. আফজাল হোসাইন জানান, আজ রবিবার বাদ এশার বনানী চেয়ারম্যানবাড়ী জামে মসজিদে প্রথম জানাজা, আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় রাজশাহী টিটি কলেজ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ চাঁদলাই গ্রামে বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ জোহর তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে। ১৯৩১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের চাঁদলাই গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এলতাসউদ্দিন। তাঁর পিতা এসাহাক মন্ডল ও মা আফরোজা বেগম। ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম হন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন ফিতা কেটে, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টি-এর আয়োজনে আজ বিকেলে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, সহকারি কমিশনার আজমাইন মাহতাব, চেম্বারের পরিচালক আব্দুল আওয়াল ও মনিরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল মতীন, চেম্বার সদস্য শুকরুদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, এম কোরেশি মিল্লু, জাহাঙ্গীর কবীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আগত দর্শনার্থীবৃন্দ। মেলার উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ বলেন, এই মেলার মধ্য দিয়ে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরতে চাই। মেলায় অতিরিক্ত দাম ও নি¤œমানের পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করতে কাজ করবে চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তাবৃন্দ। এদিকে, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, এই মেলা জেলাবাসীর বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। মেলায় শতাধিক স্টল ও ১৬টি প্যাভেলিয়ন থাকবে। এছাড়া শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য প্রায় ২০টি বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েঠে। মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে জনপ্রতি ২০ টাকা। মেলায় স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ১০-১৫টি স্টলও থাকছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় আন্তর্জাতিক শিল্পপণ্য ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিটি জেলায় শিল্পপণ্য ও বাণিজ্য মেলা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও এক সার্কুলারের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে দেশের সকল জেলা চেম্বারকে বাণিজ্য মেলা করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বাণিজ্য মেলা করার উদ্যোগ নিই।

প্রয়াসের খামারে পাওয়া যাচ্ছে কোরবানী যোগ্য গরু ছাগল ও ভেড়া 

প্রয়াসের খামারে পাওয়া যাচ্ছে কোরবানী যোগ্য গরু ছাগল ও ভেড়া গতবারের মতো এবারো পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন করেছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ঠাকুরযৌবন গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে প্রয়াস ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের ব্রিডিং খামার। সেই খামারে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পাশাপাশি পালন করা হচ্ছে গরু ও ভেড়া (গাড়ল)। প্রয়াসের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাজিন বিন রেজাউল জানান, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার কোরবানীযোগ্য শতাধিক ছাগল (খাসি), শিপ ফার্মের অধীনে ১৫টি গাড়ল, প্রয়াস ফ্যাটেনিং খামারে পালন করা হয়েছে অর্ধশত ষাঁড় ও ১৫টি বকনা গরু। ডা. রাজিন বলেন-এইসব প্রাণিকে অতিযতেœ স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে লালনপালন করা হয়েছে। খামারে দক্ষ জনবলসহ অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল ও ভেড়ার দেখভাল করছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উন্নয়ন,সমাজসেবা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রাণ গৌরী চন্দ সিতুর মৃত্যুতে শোকসভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উন্নয়ন, সমাজসেবা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রাণ গৌরী চন্দ সিতুর মৃত্যুতে শোকসভা   চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও সমাজসেবার প্রাণ গৌরী চন্দ সিতুর স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সনাক জেলা শাখা জেলা শহরের নিজ কার্যালয়ে এই সভা আয়োজন করে। বক্তরা সিতুকে দুনীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের একজন পথিকৃত এবং মানবিক গুণসম্পন্ন অসামপ্রদায়িক চেতনার মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন। সনাক সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং টিআইবি এরিয়া ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিতুর পুত্রবধু শতাব্দী মন্ডল,সনাকের উম্মে সালমা হ্যাপী, আশরাফুল আম্বিয়া সাগর,সেলিনা বেগম, মাহবুবুর রহমান মিন্টু, রাইহানুল ইসলাম লুনা, ড.দীপালী রানী দাস প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল জেলা শহরের নিজ বাসভভনে গৌরী চন্দ সিতু ৬৩ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। তিনি স্বামী,দুই ছেলে ওপুত্রবধু সহ বহু গূলগ্রাহী রেখে গেছেন। স্পষ্টবাদী,পরোপকারী ও নির্মোহ এই নারী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সনাক সদস্য ছাড়াও জেলা গার্ল গাইড কমিশনার,জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিক্ষক,মহিলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পদাক,মহানন্দা প্রবীন নিবাস সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। সভায় গৌরী চন্দ সিতুর বিদেহী আত্মার মক্তি কামণা করে প্রার্থণা করা হয় এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বানিজ্য মেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বানিজ্য মেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগামী ১০ মে থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বানিজ্য মেলা-২০২৫। জেলা শহরের পুরাতন ষ্টেডিয়ামে জেলা চেম্বার এই মেলার আয়োজন করেছে। আজ দুপুর আড়াইটায় চেম্বার ভবনে চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত অবহিত করেন। তিনি বলেন, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে উৎপাদিত পণ্য জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য সকল বিধি বিধান মেনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেলায় শতাধিক স্টল ও ১৬টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য ২০টি বিভিন্ন ধরণের রাইড থাকবে। চেম্বার সভাপতি আরও বলেন, জেলা শহরে রুচিসম্মত বিনোদন ও সুন্দর সময় কাটানোর তেমন কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। জেলাবাসীকে দেশীয় পণ্য প্রদর্শণ এবং ক্রয় করার জন্য মেলার আয়োজন। তাঁরা বিনোদন এবং সুন্দর সময় কাটানোর সূযোগ পাবেন। আনন্দ উপভোগ করবেন। শর্ত মোতাবেক মেলা শেষে ষ্টেডিয়াম যথাযথভাবে সংস্কার করে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান আব্দুল ওয়াহেদ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের হলরুমে এই সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান। প্রধান আলোচক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম মুর্শেদ জামান মিঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারিন্দ্র মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ডা. আল মামুন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজী বিভাগের রেজিস্টার ডা. মারুফ আল হাসান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার ডা. মার্জয়া আফরিন বন্যা। অনুষ্ঠানে রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানবকোষে রক্ত তৈরি করার জন্য দুটি জিন থাকে। কোনো ব্যক্তির রক্ত তৈরির একটি জিনে ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া বাহক বলে। আর দুটি জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলে। তবে সব বাহকই রোগী হন না। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি। শেষে কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী চারটি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালানো সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারককলিপি প্রদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘন্টারও বেশি সময়ের মানববন্ধনে আয়োজকরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ^াস না দিলে আগামী ১৪ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে ‘বনলতা’ ট্রেন অবরোধের কর্মসূচী দেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা সুজন সভাপতি আসলাম কবীর, সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ ইসাহাক, জেলা চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ,শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন ও মাহফুজ রায়হান,জেলা বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলন আহব্বায়ক আব্দুর রাহিম,নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহব্বায়ক আবু হেনা বাবলু, প্রবীন হিতৈষী সংঘের আফসার আলী,মর্ডান মাকেট কমিটি সভাপতি গোলাম মোস্তফা,জেলা কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সম্পাদক বাবুল আখতার,জেলা পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ,জেলা চা দোকান মালিক সমিতি সভাপতি কামরুজ্জমান মুক্তা,সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোখলেসুর রহমান,জেলা যুবদলের সাবেক সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ অনেকে। বক্তরা বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে ৫টি আন্ত:নগর ট্রেন চললেও শুধু ‘বনলতা’ রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলে। অথচ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন থেকে সকল ট্রেনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালাানোর দাবিতে আন্দোলন করছে। অথচ দাবিটি পূরণ না হওয়ায় ২৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার জেলাবাসীকে বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আম সহ বিভিন্ন দিকে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার জেলাবাসী নিরাপদ আধুনিক যোগাযোগ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবন্ধন শেষে জেলা প্রসাসকের মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা ও সচিব এবং সড়ক উপদেষ্টা ও সচিবকে স্¥রকলিপি দেয়া হয়। ৮দফার অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডবল লাইন নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম আধুনিকায়ন, জেলার রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক ষ্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর ঘোষণা,সকল আন্ত:নগর ট্রেনের জন্য রহনপুর পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু, সদর উপজেলার আমনুরা বাইপাস ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি রাখা, আমনুরাকে আধুনিক জংশনে রুপান্তর এবং ঢাকা থেকে নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হয়ে জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নত করা।

শিবগঞ্জে দিনব্যাপী আম সম্মেলন 

শিবগঞ্জে দিনব্যাপী আম সম্মেলন  শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে আম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় সাড়ে ৩’শ আম চাষী এবং উদ্যোক্তা অংশ নেন। ম্যাংগো ডেভেলপমেন্ট ফোরাম নামে একটি সংগঠন আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। সম্মেলনে আম সংশ্লিস্ট সমস্যা, সম্ভাবনা ও রপ্তানী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধান অতিথি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেশের গর্ব। এটি রপ্তানী আয়েরও উৎস হতে পারে। তবে তার জন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ,নিরাপদ উৎপাদন,আধুনিক সংরক্ষণ ও পরিবহন এবং আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। আম সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে। শিবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌফিক আজিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সম্মেলনের আহব্বায়ক শহীদুল হক হায়দারী, উদ্যেক্তা ও রপ্তানীকারক শামীম ইসমাইল খান শামীম সহ সংশ্লিষ্টরা। বক্তরা বলেন, কৃষক ও উদ্যোক্তারা একযাগে কাজ করে আম উন্নয়ন ও রপ্তানীতে ভূমিকা বাড়াতে পারেন। সম্ভাবনার এই খাতে সমন্বিত প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো এবং বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এই জন্যই এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এতে জড়িতদের অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। বক্তরা আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে মধ্য্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এমনকি আমেরকিার দেশগুলোতেও আম যাচ্ছে। এর পরিমান বাড়াতে আন্তর্জাতিক মান অর্জন বাড়াতে হবে। সঠিকভাবে বালাইনাশক প্রয়োগ,শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহন ও সংরক্ষণ, মানসম্মত প্যাকেজিং ইত্যাদি বাড়াতে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব দরকার। আমের যথাযথ রপ্তানী বাজার চিহ্নিত কওে প্রচারণা চালাতে হবে। রপ্তানীর নিয়মনীতি যুগোপযোগি করতে হবে। শুধু তাজা আম রপ্তানী কওে রপ্তানী বাড়বে না। প্রক্রিয়াজাত করে পাঠাতে হবে। তবেই রপ্তানী বাড়বে।