চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্ত:জেলা চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্ত:জেলা চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর এবং শিবগঞ্জ উপজেলায় সদর থানা পুলিশের অভিযানে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহোতা বারিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর হেফাজত হতে উদ্ধার হয়েছে চুরিকৃত ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল। গ্রেপ্তার বারিকুল শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আকালুর ছেলে। গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল ভোর থেকে দিনব্যাপী টানা অভিযানটি চালানো হয়। আজ দুপুর আড়াইটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মেলার মোড়ে একটি আমবগানে একটি চোরাই মোটরসাইকেল কেনা-বেচার সময় ওই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার হন বারিকুল। এসময় তাঁর সহযোগী কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বারিকুলের স্বীকারোক্তিতে তাঁর বসতবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদরসহ জেলার বিভিন থানা এলাকা এবং পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুুরিকৃত আরও ৯টি মোটরসাইকেল। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বারিকুল এবং তাঁর ৩ সহযোগীসহ ৪ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। আজ গ্রেপ্তার বারিকুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীজ সার ও গাছের চারা বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীজ সার ও গাছের চারা বিতরণ সদর উপজেলার ১ হাজার ৯০০ কৃষকের মধ্যে ৫ কেজি করে আমন ধানের বীজ ও ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৭০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫টি করে নারিকেলের চারা; ২০ জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন কা- পেঁয়াজ বীজ; ৪৫০ জন কৃষককে ৫টি করে লেবু চারা; ২০০ জন কৃষককে ৫ প্যাকেট করে গ্রীষ্মকালীন সবজি বীজ এবং ৫ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার; ৫৫০ জন কৃষককে ১ কেজি করে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ ও ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, বেড়া ও কীটনাশক; ২০ জনকে তুলাবীজ, ২৫ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি, ২ কেজি বোরণ, বালাইনাশক ৩ প্যাকেট ও হরমোন ১টি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০০ জনকে ৫টি করে আমের চারা, ১ হাজার ৬০০ জনকে নিম, বেল, জাম ও কাঁঠালের চারা ১টি করে দেয়া হয়েছে। ৩৫০ জনকে তালবীজ ও বেড়া দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পেঁয়াজ সংরক্ষণে ১২টি এয়ার ফ্লো মেশিন দেয়া হয়েছে। আজ সদর উপজেলা কৃষি অফিস এসব বিতরণের আয়োজন করে। দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এইসব বিতরণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাচোলে ভ্যানচালক রাজু হত্যা মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার

নাচোলে ভ্যানচালক রাজু হত্যা মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রাজু আহম্মেদ (২১) নামের ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান চালক হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী তেলমনপাড়া গ্রামের মো. তরিকুল ইসলাম ওরফে ভ্যালেনের ছেলে মধু বিক্রেতা মো. খাদেমুল ইসলাম মধু (২৪) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর মসজিদপাড়ার মো. আমানত আলীর ছেলে রিকশাভ্যান মেকার আমিনুর রহমান (২২) ও তার পিতা মো. আমানত আলী। শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.এন.এম. ওয়াসিম ফিরোজ এসব তথ্য জানান। জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত রাজু আহম্মেদ ও মধু গত ২২ জুন রবিবার রাতে একসঙ্গে মাদক সেবন করে। এ সময় রাজুকে পরিকল্পিতভাবে অতিরিক্ত মদ পান করায় মধু। সে (মধু) বছর দশেক আগে নীলফামারী থেকে নাচোলে এসে বিয়ে করে বসবাস শুরু করে এবং বিভিন্ন স্থানে মধু সংগ্রহ করে। মধুকে সবাই একজন মধু বিক্রতা হিসেবে চিনে। মাঝে স্ত্রীকে তালাকের পর নাচোল রেলস্টেশন পাড়ায় বসবাস শুরু করে। সেখনেই ভ্যানচালক রাজুর সঙ্গে তার পরিচয়। তারা একসঙ্গে মাদক সেবন করত। ওয়াসিম ফিরোজ আরো জানান, রাজুর ভ্যানটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে মধু। ঘটনার দিন রাজু ও মধু একসঙ্গে চোলাইমদ পান করে। রাজু অতিরিক্ত মদ পান করায় সে আর ভ্যান চালাতে পারেনি। মধুই ভ্যান চালিয়ে ফতেপুর ইউনিয়নের পারিলা গ্রামের একটি আমবাগানের পাশে নিয়ে গিয়ে মধুর চাক ভাঙার ধারালো চাকু দিয়ে রাজুকে গলা কেটে হত্যা করে রাস্তার পাশে মরদেহ ফেলে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় মধু। পরে সে আমিনুর রহমানের কাছে নগদ ১৪ হাজার টাকায় রিকশাভ্যানটি বিক্র করে তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী চলে যায়। মধুকে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে হত্যাকারী হিসেবে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, ঘটনার পর দিন সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রাজু আহম্মেদের মা মোছা. সুলতানা বেগম (৪৮) বাদী হয়ে নাচোল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। এরপর মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও নাচোল থানা পুলিশ যৌথভাবে জোর তৎপরতা শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ ভোর রাতের দিকে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকা হতে রাজু হত্যায় সরাসরি জড়িত মো. খাদেমুল ইসলাম মধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মধু জানায়, সে একজন মধু ব্যবসায়ী; দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মধুর ব্যবসা করে আসছে। এলাকার সবাই তাকে মধুওয়ালা বলে চিনে। একসময় নাচোলের বীরেনবাজার এলাকায় বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করত। তার একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে। কিন্তু প্রায় ৪ মাস আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে সে নাচোল রেলস্টেশন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। একই এলাকায় রাজুও বসবাস করায় তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। তারা একসঙ্গে নিয়মিত গাঁজা সেবন করত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ পাশেই ফেলে দিয়ে ভ্যানে থাকা ন্যাকড়া দিয়ে ভ্যানের রক্ত মুছে ভ্যানটি নিয়ে মিরকাডাঙ্গা গ্রামের দিকে যায় মধু। কিছুদুর যাওয়ার পর ভ্যান থামিয়ে রাস্তার পাশে জমিতে জমে থাকা পানিতে নিজের হাত ধুয়ে নেয়। সেখানেই রক্তমাখা ন্যাকড়াটি ফেলে দেয় (যা পর দিন উদ্ধার হয়) এবং মৃত রাজুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কাদার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখে, যা আসামির দেখানো মতে পরে উদ্ধার করা হয়। ওই রাতে আসামি খাদেমুল মল্লিকপুর, গোমস্তাপুর ও চাঁনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানটি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকে। রাত শেষ হলে সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে রিকশাভ্যান মেকার আমিনুর রহমান ও তার পিতা মো. আমানত আলীর কাছে ২০ হাজার টাকায় দরদাম ঠিক করে নগদ ১৪ হাজার টাকা নিয়ে ভ্যানটি বিক্রি করে দেয়। বাকি টাকা বিকাশে নিবে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী বাজারে অবস্থান করে পর দিন সকালে বিআরটিসি বাসে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মধু। গ্রেপ্তার খাদেমুলের দেওয়া তথ্য মতে, ২ ও ৩ নং আসামির বাড়ি হতে মৃত রাজু আহাম্মেদের ভাড়ায়চালিত অটোভ্যানটিসহ তিনটি রিকশা ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান তারেক, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ শাহীন আকন্দ ও নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে শহরের হুজরাপুর, ওয়াল্টন মোড় বড় ইন্দারা মোড়, শিবতলা ও বারঘরিয়ায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীরা রথযাত্রায় অংশ নেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ রথযাত্রা সুষ্ঠুভাবে পালনে আগত দর্শনার্থীদের সহায়তা করেন। জেলাবাসীকে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় চক্রবর্তী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেরা সাঁতারুর খোঁজে সুইমিং ফেডারেশন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেরা সাঁতারুর খোঁজে সুইমিং ফেডারেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুইমিং পুলে আজ ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’ অর্থাৎ শিশু, কিশোর-কিশোরী সাঁতারুদের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন এই কার্যক্রমের আয়োজন করে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার প্রায় ৩০০ জন সাঁতারু অংশ নেন। সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর মাহমুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক, বিশেষ অতিথি হিসেবে সুইমিং ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মেজর (অব.) আতিকুর রহমান, নৌবাহিনীর কমান্ডার আলিমুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের সাঁতারে যেসব জেলার অবদান উল্লেখযোগ্য, তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্যতম। গত সাফ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী সাঁতারু মো. রনি হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান। সুইমিং ফেডারেশনের সদস্য নূর-ই-আফরোজ জানান, সারা বাংলাদেশ থেকে ৯-১১ বছরের শিশু ও ১২ -১৫ বছর বয়সী ৬০০ জন কিশোর-কিশোরী বাছাই করা হবে। এদের ঢাকায় নিয়ে গিয়ে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণের পর ৫০ জনকে বাছাই করা হবে। এই ৫০জনকে নৌবাহিনীর তত্তাবধানে দীর্ঘ দুইবছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তখন তারা নৌবাহিনীর বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করবে।
আম চাষে বাংলাদেশী চাষিদের সুযোগ দিবে আলজেরিয়া

আম চাষে বাংলাদেশী চাষিদের সুযোগ দিবে আলজেরিয়া বাংলাদেশ থেকে আম ও আমজাত পণ্য আমদানি করবে এবং সেদেশে আম চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য জমি, সেচ ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে ট্যাক্স ফ্রি সুবিধাও দিবে আলজেরিয়া। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও গড়ে তুলতে চায় দেশটি। শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশ আলজেরিয়া বিজনেস ফোরাম (বিএবিএফ) যৌথভাবে আয়োজিত এক কনফারেন্সে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আবদেলৌহাব সাইদানি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আলজেরিয়ায় অনেক জমি অনাবাদি রয়েছে। সেই জমিতে আমরা আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী। এ জন্য বাংলাদেশিদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাছাড়া বাংলাদেশিরা সেখানে গিয়ে আম বাগান গড়ে তুলতে চায়লে বিনামূল্যে জমি দেয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টাও করা হচ্ছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্ভবনার দরজা খুলে যাবে। তিনি দুদেশের সাংস্কৃতিক বিষয় বিনিময়ের কথাও তুলে ধরেন। ‘আলজেরিয়ার সাথে কৃষি-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ ও কৃষিভিত্তিক আম প্রক্রিয়াকরণ শীর্ষক এই কনফারেন্সটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএবিএফ এর সভাপতি মো. নূরুল মোস্তফা ও সম্পাদক আলী হায়দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, সহসভাপতি আখতারুল ইসলাম রিমন, পরিচালক রাইহানুল ইসলাম লুনা ও মফিজ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, মো. শুকুরুদ্দিন, আরিফ উদ্দিন ইতি, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এম কোরাইশী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশসের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিকসহ অন্যরা। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত এবং পরে তিনি দেশের সব চেয় বড় আম বাজার কানসাট পরিদর্শন করেন।
মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে : জেলা প্রশাসক

মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে মাদকবিরোধী র্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়িদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং মাদক প্রতিরোধে সচেতনতামূলক গম্ভীরা পরিবেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। সেখানে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে’ জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন— মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সৎসঙ্গে চলতে হবে। মাকদক কারবারিদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের চিনিয়ে দিতে হবে। সকলের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন— পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া, ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল আউয়াল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. সাইকী ওদুদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারের রাসায়নিক পরীক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম সরকার, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল ওদুদ।
ইসলামপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ইসলামপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. তাজেল (৩৭) নামের ওয়ারেন্টভুক্ত সাজপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের হায়াত মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তাজেল সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের মো. জোহাক আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এ তথ্য জানিয়েছে। র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া তাজেলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে নওগাঁ জেলার পোরশা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে তাজেল পলাতক ছিলেন। আদালত তাকে দেড় বছর সাজা প্রদান করে তার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত ২৮ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত ২৮ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২৮ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১২ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক তথ্যে জানা গেছে, পূর্বের রোগী ভর্তি ছিল ৪৫ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ২৬ জন মহিলা ও ৯ জন শিশু রোগী ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৫ জনকে। ছাড়পত্রপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ১৬ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছেন। বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ৩৬ জন। তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১৮ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮০৭ জনে। এছাড়া বহির্বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২৭৫ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিবগঞ্জে ৩ হাজার ১০ কৃষক ও প্রতিষ্ঠান পেল কৃষি প্রণোদনা

শিবগঞ্জে ৩ হাজার ১০ কৃষক ও প্রতিষ্ঠান পেল কৃষি প্রণোদনা শিবগঞ্জে রোপা আমন ধান বীজ ও রাসায়নিক সার, গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ ফ্লো মেশিন, তাল, নারিকেল, লেবু, শীতকালীন পেঁয়াজ কন্দ, আম ও কাঁঠাল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩ হাজার ১০ জন কৃষক ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নয়ন মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহীন আকতারসহ অন্যরা। পরে ৩১০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার, ২০০ কৃষককে শাকসবজি ও ৪৫ কৃষককে পেঁয়াজ কন্দ-সার, ৭০ প্রতিষ্ঠানকে তাল চারা, ১৭ প্রতিষ্ঠানকে নারিকেল চারা, ১৫০ কৃষককে লেবু চারা, ১ হাজার ৯০০ কৃষককে কাঁঠাল, নিম, বেল, জামের চারা, ১৮ কৃষককে এয়ার ফ্লো মেশিন পেঁয়াজ সংরক্ষণের মেশিন ও ৩০০ পরিবারকে আম চারা দেয়া হয়। জানা গেছে- ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিফ-২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এসব প্রণোদনা দেয়া হয়।