জুলাই পুনর্জাগরণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই পুনর্জাগরণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতীকী ম্যারাথন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আজ প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেডিয়াম (নতুন) এর সামনে সকাল পৌনে ৭টার দিক থেকেই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও স্কাউট সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, শহিদ পরিবারের সদসরা স্টেডিয়ামের সামনে সমবেত হন। পরে বেলুন উড়িয়ে এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যারাথন শুরু হয়ে শান্তি মোড়, সার্কিট হাউস মোড় হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে এসে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, ঢাকায় শহিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতিউর রহমানের মেয়ে মুশরেফা খাতুন, শহিদ তারেক রহমানের পিতা আসাদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাগঞ্জের নেতা আব্দুর রাহিম, আকিব মিঞা ও সাব্বির আহমেদ। পরে ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে ৫০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বক্তারা জুলাই আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের যে স্বপ্ন বৈষম্য হীন রাষ্ট্র তা প্রতিষ্ঠায় সকলকে জুলাইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এসময় জেলা প্রশাসক জানান, আগামীকাল ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ফুড অফিস মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই শহিদের নামে দুটি বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে এবং চারা বিতরণ করা হবে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ দুই শহিদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, স্কাউট সদস্য, আনসার ভিডিপি সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ।

জেলায় একদিনে আরো ৭২ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন

জেলায় একদিনে আরো ৭২ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩২ জন এবং বহির্বিভাগে ৪০ জন শনাক্ত হয়েছেন। অন্যান্য উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ শনাক্ত হননি। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৪২ জন, শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৪২ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছেন। আর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শনাক্তরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৬৪ জনকে। এই ৬৪ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১০৪জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪০ জনে।

দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে স্বস্তি পেতে যাচ্ছে এলাকাবাসী

দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে স্বস্তি পেতে যাচ্ছে এলাকাবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার মেডিকেল মোড় হয়ে বজরাটেক গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হতো। এই দৃশ্য দীর্ঘদিনের। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ মেনে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েন স্কুলের শিক্ষার্থী ও রোগীরা। আবার রিকশায় যাতায়াত করলে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা। জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তার পাশ দিয়ে কোটি টাকার ড্রেন নির্মাণ করা হলেও তা কাজে আসেনি। এলাকাবাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি। চল্লিশ দিন কর্মসূচির আওতায় কিছু কাজ করা হলেও সুফল পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি মো. মনিরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ভোলাহাটে যোগদান করার পরই জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি তার নজরে আসে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগও নেন তিনি। দৃশ্য। গত ১৫ জুলাই থেকে ড্রেনটি সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, ড্রেনটি সংস্কার হলেই জলাবদ্ধতা দূর হবে। ভুক্তভোগী এলাকার জহুরুল ইসলাম জানান, পুরো ড্রেন পরিষ্কার হওয়ার আগেই জলাবদ্ধতা দূর হতে শুরু করেছে। পুরোটা সংস্কার হলে জলাবদ্ধতা সম্পূর্ণ দূর হবে বলে মনে করেন তিনি। মেডিকেলে মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমত। দোকানে ক্রেতাদের আসতে সমস্যা হতো। ইউএনও স্যারের উদ্যোগে ড্রেন পরিষ্কার শুরু হওয়ার পরই আমরা একটু স্বস্তি পাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভোলাহাটে যোগদানের পর স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি আমার নজরে আসে। দেরি না করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ শুরু করি। তিনি বলেন, আমি চাই জনগণ যেন স্বচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে এবং তাদের ন্যায্য নাগরিক সুবিধা পায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৭৬ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৮ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৭৬ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৮ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩৬ জন এবং বহির্বিভাগে ৩৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে গোমস্তাপুর ও নাচোলে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৭৫ জন, শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৭৫ জনের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ, ৩২ জন মহিলা ও ৯ জন শিশু রয়েছেন। আর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শনাক্তরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩২ জনকে। এই ৩২ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ১৯ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গোমস্তাপুর থেকে ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭২ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬০০ জনে।

ঝিলিম ইউনিয়নে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন শুরু

ঝিলিম ইউনিয়নে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝিলিম ইউনিয়নে ফগার মেশিন দিয়ে প্রথমবারের মত ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সকালে এ মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম লুৎফুল হাসান। ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি পাল জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় আমরা নিজ উদ্যোগে ইউনিয়নের রাজস্ব খাত থেকে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। ডোবা, নর্দমা, খাল, বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানিসহ যেসব স্থান এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ঐসব স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মশার ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম লুৎফুল হাসান জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইউনিয়নের সকল জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমার ইউনিয়নে যাতে এ ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে এ জন্য আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি।

শিবগঞ্জে ৮০টি টিয়া পাখি উদ্ধারের পর আকাশে অবমুক্ত, দুই শিকারির কারাদন্ড

শিবগঞ্জে ৮০টি টিয়া পাখি উদ্ধারের পর আকাশে অবমুক্ত, দুই শিকারির কারাদন্ড শিবগঞ্জ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধাভাবে বন্যপ্রাণী টিয়াপাখি পাচারের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮০টি দুই প্রজাতির টিয়াপাখি উদ্ধারের পর মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে দুই পাখি শিকারি ও পাচাারকারীকে গ্রেপ্তার করে ২০ দিন ও ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত রাত ৮টার দিকে টিয়া পাচারের লক্ষে আটকে রাখা হয়েছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে কানসাট ইউনিয়নের করিম বাজার নামক এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় খাঁচায় আটকানো পাখিসহ গ্রেপ্তার হন যশোরের শার্শা উপজেলার পায়রা গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে শওকত আলী এবং বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার কচুবনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে কামরুল শেখ। শওকতকে ২০ দিন এবং কামরুলকে ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাখিগুলো উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলীর উপস্থিতিতে খাঁচা থেকে মুক্ত আকাশে উড়ানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও শিবগঞ্জের সহাকারী কমিশনার(ভূমি) তৌফিক আজিজ বলেন, শওকত ও কামরুল অভেধভাবে জাল দিয়ে ও ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের পর পাচারে জড়িত। তাঁদের বন্যপ্রাণী( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৬(১) ধারা লংঘনের দায়ে ৩৯ ধারাায় কারাদন্ড দেয়া হয়। অভিযানে সহায়তা করেন বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপণা ওপ্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, রাজশাহীর পরিদর্শক জাহঙ্গীর কবির ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

বাল্যবিবাহ বন্ধ, শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় পরিকল্পনামূলক সভা

বাল্যবিবাহ বন্ধ, শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় পরিকল্পনামূলক সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ বন্ধ, শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ মুক্তকরণে আলোচনা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও পরিকল্পনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এসএসবিসি প্রকল্পের সহায়তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন, সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্য ও সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি শিশু ও যুব সমাজের প্রতিনিধি এবং ধর্মীয় নেতবৃন্দ। বারঘোরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, ফিল্ড অফিসার এ বি এম জি কিবরিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক কাউন্সিলর আব্দুলল খালেক, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জাতীয় ইমাম সমিতি সভাপতি মোঃ আঃ রহিম, এবং এসএসবিসি প্রকল্পের কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর তোহরুল ইসলাম ও শিল্পী টুড়ু।

নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) এর ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় দিয়ারা ডিমকইল উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে সমিতির  সভাপতি তাজাম্মুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাচোল উপজেলা শাখা পক্ষ থেকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত সদস্য দিয়াড়া ডিমকইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরহুম আলফাজ উদ্দীন এর স্মরনে স্মৃতি চারণ ও দোয়া পরিচালনা করা হয়। আলোচনা শেষে অবসরপ্রাপ্ত ৩জন সহকারী শিক্ষক টিপু সুলতান(মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়) মো: রফিকুল ইসলাম,(নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) ও মো: ইব্রাহিম খলিল (চন্দ্রসখা উচ্চ বিদ্যালয়) কে সমিতির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৩৬০০০/-(ছত্রিশ হাজার) টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাদের সঞ্চয় এর অর্থ দেয়া হয়। এছাড়া মরহুম আলফাজ উদ্দীনের পরিবারকে সমিতির পক্ষ থেকে ৪৮০০০/-আট চল্লিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেজামপুর উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  জহির উদ্দিন, সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  আব্দুর রহিমসহ সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত  চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস  বুধবার পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা উপজেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। জুলাই আন্দোলনের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীদের চোখ ছলছল করে ওঠে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ : নিজস্ব প্রতিবেদক : সকালে ‘জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। আব্দুস সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন সফল হয়। তাদের জন্য আমাদের করণীয় আছে। আর তা হলো, জুলাই শহীদরা যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।” জেলা প্রশাসক ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন— আপনারা তো কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলন সংগ্রাম করেননি। আপনারা চেয়েছিলেন, একটি বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। আমরা যারা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি, তারা চেষ্টা করছি আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণের। আপনাদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়, আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সেজন্য আমাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন— পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামলি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এমরান হোসেনসহ অন্যরা। জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য দেন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সাব্বির আহমেদ, আকিব মিঞা, মাহাদি ইসলাম, রাউফুল সিয়াম রাজ ও জুলাই আহত তাহমিদুল হাসান। জুলাই যোদ্ধারা চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য দেন— ডাবলু কুমার ঘোষ, ফয়সাল আজম অপু ও সেলিম রেজা। ছাত্রদলের স্মরণ সভা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। বুধবার বিকেলে স্মরণসভার মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করা হয়। নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউসুফ রাজা ও সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাজিব ওয়াদুদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাকিবসহ অন্য নেতৃবন্দ। বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন এবং ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। অন্যদিকে আমাদের ভোলাহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা মডেল মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। সভায় বক্তব্য দেন— আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুম, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াসিম আকরাম, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম, আন্দোলনে নিহত শহীদ তারেকের বাবা আসাদুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ছাত্রদের মধ্যে নাজমুল হক নাজিম ও হিজবুল্লাহ। আলোচনা সভা শেষে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ

বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে ২ রাইন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বাখের আলী সীমান্তের পদ্মা নদীর আলিমের ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সেখানে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের দেখতে পান। চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ অবস্থায় থাকায় বিজিবি সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যান। পরে অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চোরকারবারীদের বেশি দূর ধাওয়া করতে পারেননি বিজিবি সদস্যরা। ফলে তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।