‘দৃশ্যম থ্রি’ নিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল

‘দৃশ্যম থ্রি’ নিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল মালায়ালাম ভাষার বহুল আলোচিত সিনেমা সিরিজ ‘দৃশ্যম’। জিতু জোসেফ পরিচালিত এ সিরিজের প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। দ্বিতীয় পার্ট মুক্তি পায় ২০২১ সালে। এ দুই পার্টে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন মোহনলাল। এ সিরিজের তৃতীয় পার্ট নির্মাণের কাজ চলমান। তৃতীয় কিস্তিতে থাকবেন মোহনলাল। জিতু জোসেফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৫ সালে বলিউড পরিচালক নিশিকান্ত কামার ‘দৃশ্যম’ সিনেমা হিন্দি ভাষায় রিমেক করেন। হিন্দি ভাষার রিমেকে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, টাবু, শ্রেয়া সরন, অক্ষয় খান্না। ৩৮ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি বক্স অফিসে আয় করেছিল ১১০ কোটি রুপি। এই সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট ‘দৃশ্যম-টু’ রিমেক করেছেন পরিচালক অভিষেক পাঠক। অভিনয়শিল্পীরা অপরিবর্তিত রয়েছেন। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৫০ কোটি রুপি। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাও বক্স অফিসে রাজত্ব করে। এটি আয় করে ৩৪৫ কোটি রুপি। এবার হিন্দি ভাষায় নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘দৃশ্যম থ্রি’। গত অক্টোবরে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতির মধ্যে ছিলেন নির্মাতারা। অবশেষে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন শুরু হতে যাচ্ছে। মিড-ডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজয় দেবগন এবার প্রস্তুত জনপ্রিয় থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দৃশ্যম’-এর বিজয় সালগাঁওকর চরিত্রে ফিরতে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ‘দৃশ্যম টু’ সিনেমার পরিচালক অভিষেক পাঠক মুম্বাইয়ে তৃতীয় পার্টের শুটিং শুরু করবেন। এ বিষয়ে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “অক্ষয় খান্না ও টাবুসহ পুরো অভিনয়শিল্পীদের দল মুম্বাইয়ে ১০ দিনের শিডিউলে অংশ নেবেন। মুম্বাইয়ে ইনডোর দৃশ্যগুলো ধারণ করা হবে। তারা বড়দিন পর্যন্ত শুটিং করবেন, তারপর নতুন বছরের বিরতিতে যাবেন। ২০২৬ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুনরায় ‘দৃশ্যম থ্রি’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে। পরিকল্পনা রয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যেই পুরো শুটিং শেষ করার।”

আমার ক্যারিয়ার দুর্ঘটনার মতো, কেন বললেন শাহিদ কাপুর

আমার ক্যারিয়ার দুর্ঘটনার মতো, কেন বললেন শাহিদ কাপুর   বলিউডের তারকা সন্তানদের মধ্যে অন্যতম শাহিদ কাপুর। তবে তার বেড়ে ওঠা ছিল একটু ভিন্ন। কারণ, মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার বিচ্ছেদ হওয়ায় সম্পূর্ণ নিজের পরিচয়েই তাকে বড় হতে হয়েছে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষ জানতেন না শাহিদ প্রখ্যাত অভিনেতা পঙ্কজ কাপুরের ছেলে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের ভারসাম্য ও বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তারকা সন্তানের পরিচয়ে সুবিধা পাওয়া বিষয়টি তুলে শাহিদ কাপুর বলেন, ‘অনেকে ভাবেন আমি পঙ্কজ কাপুরের ছেলে বলেই অভিনেতা হয়েছি। কিন্তু আমার তিন বছর বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। খুব ছোট ছিলাম, তাই তেমন কিছু মনে নেই। সত্যি কথা বলতে বাবার সঙ্গে খুব কম সময় কাটিয়েছি, মানুষ জানতই না আমি তাঁর ছেলে। কখনো বাবার নাম ব্যবহার করিনি। মায়ের সঙ্গে বড় হয়েছি। সবকিছুই নিজের চেষ্টায় হয়েছে। আমি বাবার কাছে কখনো সাহায্য চাইনি, তিনিও কখনো কারও সঙ্গে কথা বলে আমাকে কাজ পাইয়ে দেননি। অভিনেতা পঙ্কজ কাপুর এবং নীলিমা আজিমের সন্তান হলেও কখনো ভাবেননি তিনি নিজেও অভিনয়ে আসবেন। অভিনয়ে আসার বিষয়টি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখেন শাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারটা আসলে দুর্ঘটনার মতো। নাচ হোক বা অভিনয়, কিছুই পরিকল্পনা করে হয়নি। প্রথম কাজ পাওয়ার স্মৃতি উল্লেখ করে শাহিদ বলেন, ‘ছোটবেলায় নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল, তাই ক্লাস করতাম। আমার শিক্ষক আমার নাচ পছন্দ করতেন, সেখান থেকেই আয় শুরু হলো। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। এক বন্ধুর সঙ্গে অডিশনে গেলে বিজ্ঞাপন নির্মাতারা আমাকে দেখে অডিশন নিতে বলেন। আমি বড় একটি বিজ্ঞাপন পেয়ে যাই, যেখানে শাহরুখ খান আর রানি মুখার্জি ছিলেন। ওই বিজ্ঞাপনই আমার পথ খুলে দেয়। কাজ আসতে শুরু করে। কিছুই পরিকল্পিত ছিল না। ব্যক্তিগত–পেশাদার জীবনের ভারসাম্য নিয়ে শাহিদ বলেন, ‘২২ বছর হয়ে গেছে কাজ করছি। এখন চেষ্টা করি যেন কাজের বিষয়গুলো ঘরে না আনি। বাড়িতে ফিরলেই আমি বাবা, স্বামী, ছেলে-এই ভূমিকাগুলোই পালন করি। পেশাদার জীবন বা তারকাখ্যাতি কখনোই ব্যক্তিগত জায়গায় আনা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘যখন আমি আমার সন্তানদের সঙ্গে থাকি, সেই সময়টাকে খুব উপভোগ করি। ক্লান্ত লাগলেও সেটা গুরুত্ব দিই না-ওরা আমার সন্তান, বুঝে নেবে। ভবিষ্যতে বড় হলে ওরাও এসব বুঝতে পারবে। স্ত্রী মীরার প্রসঙ্গে শাহিদ জানান, ‘মীরা খুবই সহায়ক। আমাকে খুব ভালোভাবে বোঝে। আমাদের একটা নিয়ম আছে-বাড়িতে থাকলে কাজের কথা বলা যাবে না। খুবই কম সময় আমরা সিনেমা বা কাজের আলোচনা করি। সন্তান লালনপালনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির কথাও জানান শাহিদ। তার কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, সন্তানদের ওপর বাবা-মায়ের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বাবা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের ভালো গুণগুলোকে লালন করতে চেষ্টা করি এবং তাদের নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে নিতে উৎসাহ দিই। আমি সবসময় চেষ্টা করি যেন আমার তারকা-পরিচয় তাদের ওপর কোনো ছাপ না ফেলে। ‘কারো ছেলে’ হয়ে বড় হওয়া উচিত নয় নিজের পরিচয় থাকা প্রয়োজন।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বয়স, শিক্ষাদীক্ষা, অর্থ-সম্পদে স্বামীর চেয়ে এগিয়ে সামান্থা

বয়স, শিক্ষাদীক্ষা, অর্থ-সম্পদে স্বামীর চেয়ে এগিয়ে সামান্থা   অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। ২০২১ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। সামান্থার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য; পরে তারা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তবে দীর্ঘদিন একা ছিলেন সামান্থা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে। রাজ-সামান্থার প্রেম নিয়ে নানা ধরনের কানাঘুষা শোনা গেলেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন এই জুটি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) গোপনে বিয়ে করেন তারা। এদিন দুপুরে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে সবাইকে চমকে দেন সামান্থা। তারপর থেকে আলোচনায় রয়েছেন এই যুগল। এ জুটির বয়সের ব্যবধান, পড়াশোনা, অর্থ-সম্পদের পরিমাণ নিয়েও চলছে চর্চা। চলুন এক নজরে দেখে নিই, রাজ-সামান্থার আড়ালের গল্প— কার অর্থ-সম্পদ বেশি? ডেইলি জাগরণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজ নিদিমোরুর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৫–৮৯ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১২-১২১ কোটি টাকা)। রাজ একাধারে পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। প্রতি সিনেমার জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নেন, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ফলে ধারনা করা হয়, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে এই অর্থ আয় করেছেন রাজ। ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় এক সময় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন তেলেগু সিনেমার এই অভিনেত্রী। তবে বিবাহবিচ্ছেদ-শারীরিক অসুস্থতা পিছিয়ে দেয় তাকে। মানি কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী সামান্থা রুথ প্রভুর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০-১১০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬-১৪৯ কোটি টাকা)। সাধারণত, প্রতি সিনেমার জন্য ৩-৮ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন সামান্থা। তবে ‘সিটাডেল: হানি বানি’-এর জন্য ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমা, ওটিটি সিরিজ, বিজ্ঞাপন থেকে এসব অর্থ আয় করেছেন সামান্থা। তাছাড়া ব্যবসায়েও বিনিয়োগ করেছেন এই অভিনেত্রী। সামান্থা-রাজের বয়সের ব্যবধান কত? ১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার বয়স এখন ৩৮ বছর। অন্যদিকে, রাজ নিদিমোরু ১৯৭৯ সালের ৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স এখন ৪৬ বছর। সামান্থার চেয়ে ৮ বছরের বড় রাজ। বয়সের ব্যবধান ৮ বছর হলেও এ দম্পতির মাঝে বোঝাপড়া দারুণ বলে জানা গেছে। রাজ-সামান্থার শিক্ষাদীক্ষা রাজ নিদিমোরু অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতিতে তেলুগু-ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এসভিইউ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি. টেক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এই পরিচালক। তবে এসব ছেড়ে রুপালি জগতে মন দিয়েছেন এই নির্মাতা। তামিল নাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার বাবা জোসেফ প্রভু, মা নাইনেট। সামান্থার বাবা জোসেফ প্রভু তেলেগু অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। আর তার মা নাইনেট সিরিয়ান মালায়ালি। সামান্থা ছাড়াও এ দম্পতির আরো দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মারা যান সামান্থার বাবা জোসেফ। হলি অ্যাঞ্জেলস অ্যাংলো ইন্ডিয়ান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সামান্থা। ২০২০ সালে ক্লাস টেনের নম্বরপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কারণ গণিতে ১০০, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯৫, ইংলিশে ৯০, বোটানিতে ৮৪, ইতিহাসে ৯১ এবং জিওগ্রাফিতে ৮৩ নম্বর পেয়েছিলেন সামান্থা। পরবর্তীতে চেন্নাইয়ের স্টেলা মেরিস কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। আরো উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।

নায়িকার পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

নায়িকার পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার! ভারতের কলকাতা শহরের বিভিন্ন ওলিতে গলিতে ঝুলছে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রের ছবিসহ ‘পাত্র চাই’ লেখা পোস্টার। যেখানে পাত্রের যোগ্যতার বিস্তারিত বিবরণও দেওয়া। হঠাৎ এমন পোস্টার দেখে এতে পথচারীদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।  প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, রুক্মিণীর ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে এটি কোনো ঘোষণা। কিন্তু পোস্টারের মালিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দীপক চক্রবর্তীর নাম! প্রশ্ন ওঠে, কে এই দীপক চক্রবর্তী? পরে জানা যায়, অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর চরিত্রের নাম এটি! এতে কিছুটা ধোঁয়াশা কাটে। জানা যায়, এটি রুক্মিণী অভিনীত আসন্ন সিনেমা ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এর প্রচারণার অংশ এই পোস্টার। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, সিনেমায় রুক্মিণীর বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন চিরঞ্জিত। তার চরিত্রই অনস্ক্রিন মেয়ের জন্য ‘পাত্র খুঁজছেন’, এ ধারণা থেকেই এই ব্যতিক্রমী প্রচারণা। ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এর টিম জানিয়েছে,  প্রচারের ধরণ বদলে যাওয়ায় এখন দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণে নতুন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়। সেই কারণে শহরজুড়ে লাগানো হয়েছে এমন পোস্টার, যা দেখে অনেকে থমকে দাঁড়াচ্ছেন, কেউ কেউ আবার মোবাইলে খুঁজে দেখছেন, ‘রুক্মিণীর বিয়ে কবে?’ এমনকি কেউ কেউ বিভ্রান্তও হচ্ছেন। দর্শকপ্রতিক্রিয়া থেকেই টিম ধারণা করছে, প্রচারণা সফল হয়েছে। বাংলা সিনেমার প্রচারে আগে এমন ব্যতিক্রমী কৌশল দেখা গেলেও সবসময় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এবার প্রচারণা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে।

বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন

বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের বাসভবনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই, ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলিউড সিনেমার গুণী পরিচালক করন জোহর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন। গুণী তারকার একটি ছবি পোস্ট করে এই নির্মাতা-সঞ্চালক লেখেন, “একটি যুগের অবসান… এক মহাতারার প্রস্থান… মূলধারার সিনেমার এক বীরের প্রতিচ্ছবি… অবিশ্বাস্য রূপবান এবং পর্দায় এক অনন্য রহস্যময় উপস্থিতি… তিনি ছিলেন এবং চিরকাল থাকবেন ভারতীয় সিনেমার এক সত্যিকারের জীবন্ত কিংবদন্তি… যিনি সিনেমার ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী হয়ে আছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন।” শূন্যতার কথা জানিয়ে করন জোহর লেখেন, “আজ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বিশাল শূন্যতা তৈরি হলো… এমন এক শূন্যতা, যা কোনোদিন কোনোভাবে পূরণ হবে না… তিনি চিরকালই আমাদের একমাত্র ধর্মজি… আমরা আপনাকে ভালোবাসি, সদয় মহাশয়… আমরা আপনাকে ভীষণ মিস করব… আজ স্বর্গ ধন্য হলো… আপনার সঙ্গে কাজ করা ছিল আমার আশীর্বাদ…।” অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ধর্মেন্দ্র। গত ১১ নভেম্বর তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও সেই খবর সঠিক ছিল না। তারপর থেকে বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ফের তার মৃত্যুর খবর নেট দুনিয়ায় চাউর হয়। মূলত, আজ এ অভিনেতার বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার পর এই গুঞ্জনের সূচনা। তাছাড়া শোবিজ অঙ্গনের অনেকে ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে হাজির হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিয়ে পরিবার থেকে কিছু জানানো হয়নি।   ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার সাহনেওয়াল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র কেওয়াল কৃষণ দেওল। ছোটবেলায় সিনেমার পর্দা ছিল তার কাছে জাদুর জানালা। সেই গ্রাম থেকে, কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনিও একদিন বড় পর্দায় আলো ছড়াবেন। ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের ‘ট্যালেন্ট কনটেস্ট’-এ জয়ী হন। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন ধর্মেন্দ্র। প্রথম সিনেমা মুক্তির পরই  নজর কাড়েন। তবে প্রকৃত সাফল্য আসে তারও কয়েক বছর পর। বিশেষ করে ‘শোলা আউর শবনম’ (১৯৬১), ‘বন্দিনী’ (১৯৬৩), ‘ফুল আউর পাথর’ (১৯৬৬) ও ‘সত্যকাম’ (১৯৬৯) সিনেমার মাধ্যমে। ষাট ও সত্তরের দশক ছিল ধর্মেন্দ্রর সোনালি যুগ। শক্তিমত্তা, মাধুর্য ও সংবেদনশীলতার এমন মিশেল বলিউড আগে দেখেনি। ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘শোলে’—প্রতিটি সিনেমায় ধর্মেন্দ্র হয়ে উঠেছেন ভারতীয় পুরুষত্বর নতুন সংজ্ঞা। শক্তির মধ্যে প্রেম, সাহসের মধ্যে কোমলতা—এই অনন্য ভারসাম্যই তাকে আলাদা করে দেয় সমসাময়িক নায়কদের থেকে। ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেমের গল্পই যেন একটি সিনেমা। ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের দেখা হয়। তারপর ‘শোলে’, ‘সীতা আউর গীতা’, ‘ড্রিম গার্ল’ এর মতো একের পর এক সিনেমায় রোমান্সের পরত জমতে থাকে। তখন ধর্মেন্দ্রর সংসারে ছিলেন প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। তবু হৃদয়ের টান থামেনি। সমাজের চোখ রাঙানি, সমালোচনা, বিতর্ক—সব পেরিয়ে ধর্মেন্দ্র ও হেমা এক হয়েছেন। ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, “আমি কাউকে আঘাত করিনি, আমি শুধু হৃদয়ের কথা শুনেছি।” হেমা মালিনী তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “তিনি একসঙ্গে শক্তিশালী ও কোমল। ঝড়ের মাঝেও পাহাড়ের মতো পাশে থেকেছেন।” তাদের দুই মেয়ে এষা ও অহনা আজও বলেন—বাবা এখনো মায়ের জন্য শায়রি লেখেন, ভালোবাসায় বলেন, “মেরি হেমা।” ধর্মেন্দ্রর দুই সংসারে ছয়জন সন্তান রয়েছে। তারা হলেন—পুত্র সানি ও ববি দেওল, কন্যা এষা, অহনা, বিজেতা ও অজিতা। ধর্মেন্দ্রর অভিনয়ে অদ্ভুত মানবিকতা ছিল। ‘সত্যকাম’ সিনেমায় আদর্শবাদী যুবক থেকে শুরু করে ‘অনুপমা’ সিনেমার সংবেদনশীল লেখক—প্রতিটি চরিত্রেই জীবনের রঙ ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ‘শোলে’ সিনেমায় ‘বীরু’ চরিত্রে তার সংলাপ—“বসন্তি, ইন কুত্তো কে সামনে মৎ নাচনা” এখনো ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অমর। কিন্তু পর্দার বাইরে তিনি একেবারে আলাদা মানুষ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “স্রষ্টা আমাকে সব দিয়েছেন। কিন্তু আমি কখনো দাবিদার হইনি।” এটাই ধর্মেন্দ্রর জীবনের দর্শন, বিনয়, মহত্ত্ব।  খ্যাতির চূড়ায় থেকেও ধর্মেন্দ্র তার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মাটির মানুষ ছিলেন। লোনাভালার খামারে কাজ করেছেন, ট্র্যাক্টর চালিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ২০২৫ সালের দশেরা উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় বলেন, “ভালো মানুষ হয়ে বাঁচুন, তবেই সাফল্য আপনার পিছু নেবে।” তার এই সরলতাই তাকে কোটি ভক্তের হৃদয়ে অমর করেছে।  ধর্মেন্দ্রর জীবন মানেই হিন্দি সিনেমার ক্রমবিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। সাদা-কালো যুগের সামাজিক নাটক থেকে সত্তরের দশকের অ্যাকশন ব্লকবাস্টার—সবকিছুতেই তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ফুল আউর পাথর (১৯৬৬), সত্যকাম (১৯৬৯), মেরা গাঁও মেরা দেশ (১৯৭১), শোলে (১৯৭৫), চুপকে চুপকে (১৯৭৫), দ্য বার্নিং ট্রেন (১৯৮০), লাইফ ইন আ মেট্রো (২০০৭), আপনে (২০০৭), রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি (২০২৪) প্রভৃতি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত ‘ইক্কিস’ সিনেমা। আগামী ডিসেম্বরে এটি মুক্তির কথা রয়েছে।   অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ বেশ কিছু সম্মাননা জমা পড়েছে ধর্মেন্দ্রর ঝুলিতে। ১৯৯০ সালে ‘ঘায়েল’ সিনেমার জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ধর্মেন্দ্র। ২০১২ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে লোকসভায় বিকানেরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাছাড়া অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন এই অভিনেতা। তবে পুরস্কার ধর্মেন্দ্র একবার বলেছিলেন—“আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার সাধারণ মানুষের হাসিমুখ।”

মিসরের সিনেমার প্রধান বাজার সৌদি আরব

মিসরের সিনেমার প্রধান বাজার সৌদি আরব মিসরের চলচ্চিত্রশিল্পের সাম্প্রতিক সাফল্য ইতোমধ্যেই আলোচনায়। বিশেষ করে বিদেশি বাজারে খুব ভালো করছেন দেশটির সিনেমা। কায়রো ইন্ডাস্ট্রি ডেজ চলাকালে কায়রো ফিল্ম কানেকশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মিসরীয় সিনেমা রপ্তানির প্রধান বাজার হয়ে ওঠেছে এখন সৌদি আরব। আরব বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও প্রভাবশালী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির দেশ মিসর। দীর্ঘ দশকজুড়ে তাদের সিনেমা কখনো সফল, কখনো আবার পড়েছে মন্দায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বাজারের তুলনায় বিদেশি বাজারে আয় বেড়েছে বহু গুণ। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মিসরের শীর্ষ ১০ রপ্তানি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৯টির সবচেয়ে বড় আয় এসেছে সৌদি আরব থেকে। সৌদির সর্বকালের শীর্ষ ৬৫ ছবির মধ্যে ২৭ শতাংশই মিসরীয়। রোমান্টিক-কমেডি ‌‘বাহেবেক’ মিসরে আয় করেছিল ২.৮ মিলিয়ন ডলার। অথচ ছবিটি বিদেশে আয় করে ২২.৯ মিলিয়ন ডলার। যার বৃহৎ অংশ সৌদিতে। ‘সন্স অব রিজক ৩: নকআউট’ ছবিটি দেশে আয় করেছিল ৬.১ মিলিয়ন ডলার। আর বিদেশে এর আয় ২২.৩ মিলিয়নেরও বেশি। ‘আ স্ট্যান্ড ওয়ার্দি অব মেন’ ছবি দেশে ১.৭ মিলিয়ন ও বিদেশে ১৮.৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ২০২৪ সালে সৌদি বাজারে ৩৩টি মিসরীয় ছবি মুক্তি পায় এবং মোট আয় করে ৫৩ মিলিয়ন ডলার। মিসরের নিজস্ব বাজারের মোট আয়ের (২৩.৫ মিলিয়ন ডলার) দ্বিগুণেরও বেশি এই পরিসংখ্যান। মিসর-সৌদি যৌথ প্রযোজনার ছবিগুলো সৌদিতে বিশেষ কর সুবিধাও পায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হানি খলিফার থ্রিলার ‘ফ্লাইট ৪০৪’। এটি এবারের অস্কারের জন্য মিসর থেকে জমা পড়েছে। উচ্চ বাজেটের কৌতুক ও অ্যাকশন দীর্ঘদিন ধরে দাপট দেখালেও এখন কম বাজেটের ছবিও সফল হচ্ছে মিসরে। উদাহরণ হিসেবে ওমর এল মুহানদেসের মাঝারি বাজেটের কৌতুক গল্পের ‘সিকো সিকো’ ছবির কথা বলা যায়। এই সিনেমাটি দেশে আয় করেছে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার এবং সৌদিতে আরও ৪.২ মিলিয়ন আয় করে মিসরের ইতিহাসের দ্বিতীয় সফলতম ছবি হিসেবে নাম লিখিয়েছে। বিশ্ব বাজারে মিসরের সিনেমা পৌঁছে দিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনার্জি ছিল প্রধান পরিবেশক। তবে ২০২৫ সালে এগিয়ে গেছে মিসর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস। এই বছরে সিনার্জির সাবেক কর্মকর্তা আহমেদ বদাওয়ি ফিল্ম স্কয়ার নামে নতুন সংস্থা চালু করেছেন। এটি দ্রুত বাজার বাড়াচ্ছে। হলিউডসহ বিদেশি ছবি বিতরণে শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড মোশন পিকচার্স। সৌদি আরবের আরব রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউভিএফ এখন মধ্য বাজেটের মিসরীয় ছবি অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে। ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে কায়রো ফিল্ম কানেকশনের বিগত ১০ আসরের সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। পিচিং, পরামর্শ, অর্থসহায়তা ও বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে তারা বহু আরব নির্মাতাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।

জুটি বেঁধে পর্দায় ফিরছেন সাই পল্লবী-ধানুশ!

জুটি বেঁধে পর্দায় ফিরছেন সাই পল্লবী-ধানুশ! ভারতের দক্ষিণী সিনেমার দাপুটে অভিনেতা ধানুশ। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ডি৫৫’। এটি পরিচালনা করছেন রাজকুমার পেরিয়াসামি। আগামী বছরের শুরুর দিকে সিনেমাটির শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। আপাতত প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে।  এ সিনেমায় ধানুশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এবার জানা গেল, ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করবেন সাই পল্লবী। সিনেমা এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রথমে জানা যায়, এ সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন পূজা হেগড়ে। পরে খবর আসে ধানুশের বিপরীতে মীনাক্ষী চৌধুরীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে খবর ছড়িয়েছে, সম্ভবত সাই পল্লবী ‘ডি৫৫’ সিনেমার নায়িকা হতে চলেছেন। খবরটি প্রকাশের পর থেকে তামিল সিনেমার ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। কারণ ‘মারি টু’ সিনেমার পর ধানুশ–সাই পল্লবী ফের একসঙ্গে পর্দায় ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‘মারি টু’ সিনেমায় ধানুশ-সাই পল্লবীর সাফল্যের পর ভক্তরা বহুদিন ধরে এ জুটিকে আবারো একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। যার কারণে ‘ডি৫৫’ সিনেমায় এ জুটিকে দেখার খবরে আনন্দিত ভক্তরা। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। আপাতত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় এ জুটির ভক্ত-অনুরাগীরা।  ‘মারি টু’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সাই পল্লবী-ধানুশ। প্রথমবারই মুগ্ধতা ছড়ান এই যুগল। সিনেমাটির ‘রাউডি বেবি’ গান মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলেছিল। কেবল তাই নয়, নতুন রেকর্ড গড়ে গানটি। ইউটিউবে ১ বিলিয়ন বার দেখার মাইলফলক অর্জন করে। প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার গান হিসেবে এই রেকর্ড গড়ে ‘রাউডি বেবি’। ধানুশ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ইডলি কাডাই’। গত ১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। তামিল ভাষার এ সিনেমায় ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করেন নিথিয়া মেনন। এটি পরিচালনা ও সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করেন ধানুশ। এরই মধ্যে হিন্দি ভাষার ‘তেরে ইশক মেইন’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন ধানুশ। চলতি মাসের শেষের দিকে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। সাই পল্লবী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থান্ডেল’। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। এ সিনেমায় নাগা চৈতন্যর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সাই পল্লবী। এরই মধ্যে ‘মেরে রাহো’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন তিনি। হিন্দি ভাষার এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আমির খানের পুত্র জুনায়েদ খান। আগামী ১২ ডিসেম্বর এটি মুক্তির কথা রয়েছে।পরিচালক নিতেশ তিওয়ারি দুই পার্টে নির্মাণ করছেন ‘রামায়াণ’। এতে সীতা ও রাম চরিত্রে যথাক্রমে অভিনয় করছেন সাই পল্লবী-রণবীর কাপুর। সিনেমাটির প্রথম পার্টের পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে, আর দ্বিতীয় পার্টের দৃশ্যধারণের কাজ নিয়ে ব্যস্ত নির্মাতারা।

আলিয়া-কাজল-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা

আলিয়া-কাজল-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছেন তিনি। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় তার নাচের হিল্লোল এখনো ভোলেননি দর্শক। এবার ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী নির্বাচিত হলেন সামান্থা। ওরম্যাক্স মিডিয়া অক্টোবর মাসের জরিপ প্রকাশ করেছে। তাতে আলিয়া ভাট, কাজল আগরওয়াল, রাশমিকা মান্দানাকে পেছনে ফেলে সেরা অভিনেত্রীর জায়গা পেয়েছেন সামান্থা।  ওরম্যাক্স মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এ তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন আলিয়া ভাট ও কাজল আগরওয়াল। দশজনের এই তালিকার চতুর্থ, পঞ্চম, ৬ষ্ঠ অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছেন—রাশমিকা মান্দানা, তৃষা কৃষ্ণান, দীপিকা পাড়ুকোন। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছেন সাই পল্লবী, নয়নতারা, শ্রীলীলা, তামান্না ভাটিয়া। সামান্থা রুথ প্রভু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত মার্কিন সিরিজের হিন্দি রিমেক এটি। ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এ সিরিজ পরিচালনা করেন রাজ ও ডিকে। এতে সামান্থার বিপরীতে অভিনয় করেন বরুণ ধাওয়ান। ২০১০ সালে ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথম সিনেমায় সামান্থার নায়ক ছিলেন নাগা চৈতন্য। পরবর্তীতে নাগার সঙ্গে ঘর বাঁধেন সামান্থা। যদিও এ সংসার টিকেনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টালমাটাল সময় পার করছেন সামান্থা। এরই মাঝে এই খবর খানিকটা আনন্দের বলে মনে করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করে সুখবর দিলেন সোনম

বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করে সুখবর দিলেন সোনম দ্বিতীয়বার মা হতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই, এবার প্রকাশ্যে এলো সুখবর। বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করেছেন সোনম নিজেই। কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে তিনি নিজেকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছেন। গোলাপি কো-অর্ডে একেবারে অন্যরকম দেখিয়েছে তাকে। বেশ কয়েকদিন ধরেই সোনম কাপুরের গর্ভাবস্থা নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা। তবে অভিনেত্রী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি সেই সময়ে। কিন্তু এবার সোনমের পোস্টে বিষয়টিতে নিশ্চিত সবাই। বেবি বাম্প শেয়ার করে ভক্তদের সুখবর দিয়েছেন অভিনেত্রী। বেশ কয়েক বছর প্রেম করার পরে ২০১৮ সালের মে মাসে ব্যবসায়ী আনন্দ আহুজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোনম। ২০২২ সালের আগস্টে তাদের প্রথম সন্তান বায়ুর জন্ম। এবার তাদের পরিবার আরও বড় হতে চলেছে বলে ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। অনিল কাপুরের কন্যা সোনম ২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালির সিনেমা ‘ব্ল্যাক’-এ সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৭ সালে বনসালির রোমান্টিক সিনেমা ‘সাওয়ারিয়া’য় অভিনয়ের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন অভিনেত্রী। এরপর থেকে তাকে ‘আই হেট লাভ স্টোরিজ’ এবং ‘রঞ্ঝনা’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘সঞ্জু’-র মতো সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে।

পঞ্চাশের সুস্মিতা কেন বিয়ে করেননি?

পঞ্চাশের সুস্মিতা কেন বিয়ে করেননি? সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ভক্ত-অনুরাগীদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার জন্মদিন। ৪৯ পেরিয়ে ৫০ বছর পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। জীবনের এ পর্যায়েও সুস্মিতা সেন এখনো অবিবাহিত। যদিও তার প্রেমজীবন নিয়ে নানা সময়ে নানা খবর রটেছে। কিন্তু কেন বিয়ে করেননি এই অভিনেত্রী? কয়েক বছর আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন সুস্মিতা। ২০২৩ সালে হেলথ শটস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা সেন বলেছিলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চাহিদা—আমার স্বাধীনতা। আমি স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি যা করি, তা মন থেকে করি—কারো প্রত্যাশা থেকে করি না।” বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে সুস্মিতা সেন বলেছিলেন, “আমি সিঙ্গেল কারণ এখনো এমন কাউকে পাইনি; যার সঙ্গে আমি আমার জীবন কাটাতে চাই। আমি ভালোবাসার অভাববোধ করি না; যা দারুণ বিষয়! ভারতীয়রা এটা বিশ্বাস করেন যে, এটি বিয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমার জীবনে সেসব আগে থেকেই আছে। আমার দুটি সুন্দর সন্তান আছে। আমি ওদের একাই বড় করেছি। আমি আমার জীবনে কোনো কিছুর অভাববোধ করি না।” “আমি নিজের মতো বাঁচার সিদ্ধান্ত নিইনি—এটা নিজে থেকেই ঘটেছে। আমি ধীরে ধীরে আশেপাশের মানুষের বিভিন্ন মতামত নিয়েছি। এরপর নিজেকে প্রশ্ন করেছি, ‘আমি আসলে কী চাই?’ আমি সবার কথা শুনি। কিন্তু যা করার তা নিজের ইচ্ছেমতো করি। এজন্য আমি নিজের মতো জীবনযাপন করতে পেরেছি।” বলেন সুস্মিতা সেন। ২০২২ সালে অভিনেত্রী-লেখিকা টুইঙ্কেল খান্নাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলেন সুস্মিতা সেন। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমি অনেক মজার মানুষদের সঙ্গে মিশেছি। কিন্তু আমি বিয়ে করিনি কারণ তারা সকলেই হতাশ থাকত। বাচ্চাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এতে বাচ্চাদের কিছু নেই। তারা খুবই ভদ্র। আমার জীবনে যারা এসেছে দু’টি বাচ্চাই তাদের আপন করে নিয়েছে। তারা সবাইকে সমানভাবে সম্মান করেন। এটি দেখলে ভালো লাগে।” তিনবার বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানান এই অভিনেত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সুস্মিতার ভাষায়, “আমি তিনবার বিয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়েছেন। পরে তাদের জীবনে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে রক্ষা করেছেন। আমার বাচ্চাদেরকেও। তিনি আমাকে এসব বাজে সম্পর্কে জড়াতে দেননি।”