সালমান খুব বাজে অভিনেতা, কারিনার বক্তব্য ভাইরাল

সালমান খুব বাজে অভিনেতা, কারিনার বক্তব্য ভাইরাল সালমান খানের সময় ভালো যাচ্ছে না। বক্স অফিসে টানা ব্যর্থ তার সিনেমা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার হুমকি। সবকিছু মিলিয়ে খারাপ সময় পার করছেন বলিউডের এই মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর। এরই মধ্যে কারিনা কাপুর খানের একটি বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে কারিনা কাপুর বলেন— “সালমান খান একজন বাজে অভিনেতা।” বেশ আগে উমেশ জিবনানিকে সাক্ষাৎকার দেন কারিনা কাপুর খান। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে। আলাপচারিতার শুরুতে তিন খানের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরপরই কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি তাকে খুবই ভালোবাসি। তার বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। কারণ আমি যদি শুরু করি, তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাবে তবু শেষ হবে না। অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান এই দুই অভিনেতার ভক্ত আমি।” বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান প্রসঙ্গে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমিরও ভালো। ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’, ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সিনেমায় তাকে আমার ভালো লেগেছিল। তবে সব খানদের মধ্যে আমি শাহরুখের ভক্ত।” সালমান খান প্রসঙ্গে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি সালমান খানের ভক্ত নই। আমি তাকে পছন্দ করি না। সে খুব বাজে অভিনেতা। আমি তাকে ব্যাপারটি বলেছিও। সে সবসময় অতিরঞ্জিত করে।” বলিউডের তিন খানের সঙ্গে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর। তবে সবচেয়ে বেশি জুটি বেঁধেছেন সালমান খানের সঙ্গে। আলোচিত ‘বডিগার্ড’ সিনেমা থেকে শুরু করে ‘কিউ কি’, ‘ম্যায় আউর মিসেস খান্না’-এরে মতো সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন সালমান-কারিনা। দর্শকরা এ জুটির রসায়ন পছন্দও করেছেন। তারপর কারিনার কেন ভালো লাগেনি তা এক রহস্য!

অক্ষয়ের আইনি নোটিশের জবাব দিলেন পরেশ রাওয়াল

অক্ষয়ের আইনি নোটিশের জবাব দিলেন পরেশ রাওয়াল ‘হেরা ফেরি ৩’ নিয়ে বলিউডে চলছে তুমুল বিতর্ক। সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর পরেশ রাওয়ালের নামে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অক্ষয় কুমার। এবার সেই নোটিশের জবাবে মুখ খুললেন পরেশ। শনিবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন। সেখানে অভিনেতা লেখেন, ‘আমার আইনজীবী আমিত নায়েক একটি যথাযথ জবাব পাঠিয়েছেন। এটা পড়ার পরই সব বিষয় মিটে যাবে।’ সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে পরেশ জানান, সময় এবং অর্থ নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল। ছবির শুটিং শুরু হবে আগামী বছর। এটি মুক্তি পাবে আরও পরে। প্রায় দুই বছর অপেক্ষা করতে হতো পুরো পারিশ্রমিকের জন্য। তাই আগেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরেশ রাওয়াল ইতিমধ্যেই ফেরত দিয়েছেন ১১ লাখ রুপির সাইনিং অ্যামাউন্ট। সঙ্গে দিয়েছেন ১৫ শতাংশ সুদও। তবু প্রযোজকপক্ষ তার উপর ক্ষুব্ধ। অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই সিনেমার পেছনে অনেক খরচ হয়েছে। অভিনেতাদের পারিশ্রমিক, লোকেশন, সরঞ্জাম, ট্রেলারের শুটিংসহ সব মিলিয়ে অনেক খরচ। এ সময়ে পরেশ রাওয়ালের সরে যাওয়াটা হতাশাজনক।’ ‘হেরা ফেরি’ সিরিজে পরেশ রাওয়ালের ‘বাবুরাও’ চরিত্র এতটাই জনপ্রিয় যে তার না থাকা মানেই সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা। ছবির আরেক অভিনেতা সুনীল শেঠি হতাশা প্রকাশ করেছেন। ভক্তরাও হতাশ। এখন দেখার বিষয়, পরেশ রাওয়ালের উত্তর পেয়ে অক্ষয় কুমার কী পদক্ষেপ নেন। সেইসঙ্গে আদৌ ‘হেরা ফেরি ৩’ ছবিটি নির্মাণ হবে কী না সে নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

২৯ বছরের বড় টাবুর সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য, মুখ খুললেন ইশান

২৯ বছরের বড় টাবুর সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য, মুখ খুললেন ইশান বলিউড অভিনেতা শহিদ কাপুরের ভাই ইশান খাট্টার। বেশ আগে রুপালি জগতে পা রেখেছেন। বেশ কটি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই তরুণ অভিনেতা। ২০২০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘আ সুটেবল বয়’ ওয়েব সিরিজ। এ সিরিজে ইশান যখন অভিনয় করেন, তখন তার বয়স ২৪ বছর। সিরিজটিতে বলিউডের দাপুটে অভিনেত্রী টাবুর সঙ্গে ইশানের অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য রয়েছে। ২৯ বছরের বড় টাবুর সঙ্গে ইশানের চুম্বন দৃশ্য নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। এই দৃশ্যের শুটিং কীভাবে করেছিলেন, তা নিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন ইশান। জুম-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইশান। এ আলাপচারিতায় ইশান খাট্টার জানান, দৃশ্যটির শুটিং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে টাবু তাকে নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করান।  শুটিং সেটে টাবুর পাশে যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ ভীত ছিলেন না ইশান। বরং নিরাপদ বোধ করেছিলেন। অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে এ বিষয়ে কোনো প্রস্তুতি বা কথাও বলেননি তারা। ইশান খাট্টার বলেন, “টাবু এলোমেলো বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। যেমন: দুপুরের খাবারে তুমি কী খাও, অথবা এমন কিছু। টাবু খুব দুষ্টু, শুটিং সেটে সে বাচ্চাদের মতো করে।” অন্তঃরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের স্মৃতিচারণ করে ইশান খাট্টার বলেন, “শুটিং সেটে টাবু হয়তো রসিকতা করছে। হঠাৎ সে তার চরিত্রের মতো হতে পারে। আমার মনে হয়, এটি মজার। তার সঙ্গে কাজ করা খুবই আনন্দের। সাধারণত, বেশির ভাগ সময় আমরা একটি মুহূর্তকে গম্ভীর করে তুলি। টাবু দৃশ্যটি নির্বিঘ্নে করেছেন। এটিকে মনে হয়েছে, আমরা চোখে চোখে কথা বলছিলাম।” ২০১৭ সালে ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে রুপালি পর্দায় হাজির হন ইশান। মাজিদ মাজিদি নির্মিত এ সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। পরের বছরই ‘ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে পর্দায় পা রাখেন। এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর। বক্স অফিসের পাশাপাশি এই দুই তারকা সন্তান দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান।

কানের লাল গালিচায় অন্য ঐশ্বরিয়া

কানের লাল গালিচায় অন্য ঐশ্বরিয়া ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্রজগতের সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। গত ১৩ মে এ উৎসবের ৭৮তম আসরের পর্দা উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আসরে হাজির হয়ে নজর কাড়লেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তবে ওয়েস্টার্ন লুকে নয়, শাড়ি পরে লাল গালিচায় হেঁটে প্রশংসায় ভাসছেন এই তারকা। কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন পরেন সাদা রঙের বেনারসি। শাড়ির সঙ্গে পেয়ারআপ করেন এমেরাল্ড পিঙ্ক জুয়েলারি। ঐশ্বরিয়া রাইয়ের শাড়ির ডিজাইন করেন মণীশ মালহোত্রা। তবে বচ্চন-বধূর যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তা হলো— সিঁথি ভরা সিঁদুর, যা পুরো সাজটাই বদলে দিয়েছে। ঐশ্বরিয়া শাড়ির সঙ্গে বেছে নিয়েছেন সাদা রঙের ফুল স্লিভ ব্লাউজ। একই সঙ্গে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ওড়নাও বয়ে বেড়ান। মেকআপও একেবারে সামান্য রেখেছিলেন অভিনেত্রী। ন্যুড মেকআপের সঙ্গে ব্রাউন লিপস্টিক ঠোঁটে লাগান। ঐশ্বরিয়ার গলার হারটি ২৯০ ক্যারেটেরও বেশি মোজাম্বিক রুবি দিয়ে তৈরি করা। এটি ডিজাইন করেছেন মণীশ মলহোত্রা। এই স্টেটমেন্ট পিসটির সঙ্গে ৩০ ক্যারেটেরও বেশি রুবি দিয়ে তৈরি একটি নেকলেস ব্যবহার করেছেন, যাতে হীরা বসানো। সঙ্গে নজর কাড়ে রাই-সুন্দরীর রেনেসাঁ অফ রুবিস স্টেটমেন্ট আংটিটি। কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার হাঁটার নানা মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। আশু মিশ্রা লেখেন, “আমাদের রানি এখানে।” আরশাদ লেখেন, “অবশেষে কানের রানি।” কাজল লেখেন, “ঐশ্বরিয়াকে ছাড়া কান অসম্পূর্ণ।”একজন লেখেন, “উফ এই সিঁদুরটা! সবটা বদলে দিল।” অন্য একজন লেখেন, “আসল রানি, কোনো তুলনা হয় না।” প্রগতি সিনহা লেখেন, “সাদা শাড়িতেও কীভাবে কাউকে এত সুন্দর লাগতে পারে। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।” এমন অসংখ্য মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে।

কত কোটি টাকার মালিক সাই পল্লবী?

কত কোটি টাকার মালিক সাই পল্লবী? ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সাই পল্লবী। সাধারণত রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমায় বেশি দেখা যায় তাকে। তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম ভাষার সিনেমায় অভিনয় করে ভার্সেটাইল অভিনয়শিল্পী হিসেবে দারুণ খ্যাতি কুড়িয়েছেন। সাই পল্লবীর ন্যাচারাল অভিনয় তার ক্যারিয়ারে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নাচেও ভীষণ পারদর্শী। কিছুদিন আগে তার নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার অনবদ্য পারফরম্যান্সে ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি সহকর্মীরাও মুগ্ধ! কেবল যশ-খ্যাতি নয়, অর্থ-বিত্তের মালিক ‘প্রেমাম’ তারকা। চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, ৪৭-৫০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩-৭১ কোটি টাকা) মালিক সাই পল্লবী। তার এই অর্থের বড় অংশ এসেছে দক্ষিণী সিনেমা থেকে। বিজ্ঞাপনে কাজ করার ক্ষেত্রে ভীষণ খুঁতখুঁতে সাই পল্লবী। স্কিনকেয়ার বা ফেয়ারনেসে ক্রিমের বিজ্ঞাপন কোনোভাবেই গ্রহণ করেন না। তারপরও বেশ কিছু নির্বাচিত বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাকে। এখান থেকেও বেশ অর্থ আয় করেছেন সাই পল্লবী। সাই পল্লবী প্রতি সিনেমার জন্য আড়াই থেকে ৩ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। নিতেশ তিওয়ারি নির্মিত ‘রামায়াণ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন সাই পল্লবী। তবে এ সিনেমার জন্য ডাবল পারিশ্রমিক নিয়েছেন। সীতা হতে সাই পল্লবী নিয়েছেন ৬ কোটি রুপি। এতে রাম চরিত্রে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। এর আগে ‘থান্ডেল’ সিনেমায় নাগা চৈতন্যর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সাই পল্লবী। এ সিনেমার জন্য পারিশ্রমিক নেন ৫ কোটি রুপি। ২০০৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাই পল্লবী। ২০১৪ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘প্রেমাম’ সিনেমায় প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন এই অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘ফিদা’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন সাই পল্লবী। তার পরের গল্প সবারই জানা।

শাহরুখের মতো রোমান্স কেউ পারে না : মাধবন

শাহরুখের মতো রোমান্স কেউ পারে না : মাধবন বলিউড তারকা আর মাধবন মনে করেন, বলিউডের সিনেমায় রোমান্স বলতে এখনো সবার আগে আসে শাহরুখ খানের নাম। তবে একইসঙ্গে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পরিণত প্রেমের গল্পগুলো এখন ভারতীয় সিনেমা থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। কারণ শাহরুখের মতো অভিনেতা বয়সকে জয় করে এখনো চামিং থাকলেও তার পাশে মানানসই নায়িকা পাওয়া কঠিন। সম্প্রতি হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাধবন বলেন, ‘শাহরুখ খানের মতো রোমান্স কেউ পারে না।’ তিনি শাহরুখের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ এবং ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ধরনের রোমান্টিক চরিত্রে শাহরুখ অনন্য। এখনো তার সিনেমায় প্রেম খুঁজে দর্শক। এটা একটা অবিশ্বাস্য ট্রেডমার্ক।’ তবে বর্তমান সময়ে এই ধরণের প্রেমের গল্প দেখা যাচ্ছে না কেন সে প্রসঙ্গে মাধবন বলেন, ‘এই বয়সে প্রেমের গল্প বলতে গেলে সেই বয়সী নায়িকাও দরকার। শাহরুখের জন্য পারফেক্ট নায়িকা এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।’ স্ট্রিমিং যুগে এসে ভারতীয় সিনেমায় রোমান্টিক ঘরানার দুর্দশার কথা তুলে ধরে মাধবন বলেন, ‘আমি আজ পর্যন্ত কোনো ভারতীয় রোমান্টিক ছবি দেখিনি যা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সফল হয়েছে। কোরিয়ান ড্রামা চলে, কিন্তু আমাদের এখানে বয়স উপযোগী প্রেমের গল্পই তৈরি হচ্ছে না।’ মাধবনের মতে, পরিণত প্রেমের গল্পে যে গভীরতা ও অভিজ্ঞতা থাকে তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে নেই। তার ভাষায়, ‘আমাদের প্রজন্ম জানে সম্পর্কের মূল্য কতটা। আমরা অনেক কিছু পার করে এসেছি। ভালোবাসাকে আরও গভীরভাবে বুঝি। কিন্তু এখন সবকিছুই খুব শর্টকাটে হচ্ছে। ভালোবাসার অনুভূতিগুলোও একটা চাওয়া পাওয়ায় আটকে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা করা খুব সহজ। কিন্তু আমরা লেখক পাচ্ছি না। যারা ‘As Good As It Gets’-এর মতো ছবিকে রোমান্টিক ভাবতে পারেন, তাদের মতো লেখক দরকার। সেই সিনেমার সংলাপগুলো এখনো ভুলতে পারি না আমি।’ সর্বশেষ মাধবনকে দেখা গেছে ‘কেসারি চাপ্টার ২’ সিনেমায়। তার অভিনয় প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অন্যদিকে শাহরুখ খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালের ‘ডানকি’ ছবিতে। তিনি আগামীতে ‘কিং’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরছেন।

ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিরাট-আনুশকা!

ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিরাট-আনুশকা! ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সেভাবে অভিনয়ে অনিয়মিত আনুশকা শর্মা। ইতোমধ্যেই বলিউডের এই অভিনেত্রী দুই সন্তানের মা হয়েছেন। এবার নাকি নিজের দেশের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন অনুশকা ও বিরাট! ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘বিরুষ্কা’র এই সিদ্ধান্তের পেছনে দুটি কারণ উঠে এসেছে। বলিউড মহলের আলোচনা অনুযায়ী- এক, সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পর অনেক তারকা তাদের সন্তানকে সংবাদমাধ্যম, ফটোগ্রাফারদের থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন, আলিয়া ভাট। তিনি রাহা কাপুরকে আর সেভাবে প্রকাশ্যে আনছেন না। অথচ, পাপারাজ্জিদের সঙ্গে কাপুরকন্যার যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। দুই, পহেলগাঁওয়ের হামলার ঘটনা বিরাট-অনুশকার মনে ছাপ ফেলেছে সম্ভবত। সত্যিই কি এই দুটি কারণে বিরাট-অনুশকা নিজের দেশের থেকে দূরে? সম্প্রতি মাধুরী দীক্ষিতের পডকাস্টে যোগ দিয়েছিলেন তারা। সেখানে কথায় কথায় উঠে আসে বিদেশে তাদের দ্বিতীয় সংসারের কথা। মাধুরীর চিকিৎসক স্বামী শ্রীরাম নেনেও এই পডকাস্টের সঙ্গে যুক্ত। তিনি পরে সাংবাদিকদের জানান, সন্তানদের নিরাপদ জীবন দিতে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন গোপনে রাখতেই ‘বিরুষ্কা’র এই সিদ্ধান্ত। নেনের কথায়, সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের অকারণ উপস্থিতি তাদের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। বিরাট-অনুশকা দুঃখ করে পডকাস্টে জানিয়েছেন, ইচ্ছে হলেও তারা ফুচকা, ভেলপুরি খেতে বের হকে পারেন না। তাদের দেখলে রাস্তায় ভিড় জমে যায়। একইভাবে তাদের ছেলে-মেয়েকে নিয়েও সংবাদমাধ্যমের অতিরিক্ত কৌতূহল। এগুলো তাদের ভালো লাগছে না। বিদেশে কিন্তু এই অহেতুক আগ্রহ দেখানোর স্বভাব কারও মধ্যে নেই। এ কারণেই তারা লন্ডনে দ্বিতীয় সংসার গড়ে তুলছেন। সেখানে তাদের দুই সন্তানের ছেলেবেলা অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন বিরাট-অনুশকা। তাদের দাম্পত্যেও অযথা কৌতূহল নেই। পেশার কারণে, বিভিন্ন উদযাপনে তারা দেশে আসবেন, থাকবেনও কিছু দিন। হয়তো এর বেশি কিছু নয়।

কেন নিজের প্রস্রাব পান করেন বলিউডের এই অভিনেতা

কেন নিজের প্রস্রাব পান করেন বলিউডের এই অভিনেতা বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চমকপ্রদ এক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। বেশ আগে একবার হাঁটুর চোট সারাতে তিনি টানা ১৫ দিন নিজের প্রস্রাব পান করেন বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতা। ঘটনাটি ঘটেছিল রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘ঘটক’ সিনেমার শুটিং চলাকালে। শুটিংয়ের সময় হাঁটুতে আঘাত পান পরেশ। পরে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে তাকে দেখতে আসেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগনের বাবা, খ্যাতনামা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার বীরু দেবগন। তিনি পরেশকে চোট দ্রুত সারানোর একটি অদ্ভুত উপায় বাতলে দেন। সেটি হলো সকালে খালি পেটে নিজের প্রস্রাব পান করার পরামর্শ। পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘বীরুজি আমাকে বলেছিলেন, সব যোদ্ধারাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে। যদি এটি অভ্যাস করতে পারো তাহলে ভবিষ্যতে আর কখনো চোটের জন্য সমস্যায় পড়বে না।’ সেই সঙ্গে অ্যালকোহল, রেড মিট ও তামাক পরিহার করার পরামর্শও দেন বীরু দেবগন। অভিজ্ঞতার বর্ণনায় পরেশ জানান, ‘আমি নিজের প্রস্রাবকে বিয়ারের মতো করে পান করতাম। টানা ১৫ দিন এভাবে চলার পর চিকিৎসকেরা এক্স-রে রিপোর্ট দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন!’ চিকিৎসকদের হিসাব অনুযায়ী, পরেশের চোট সারতে সময় লাগার কথা ছিল আড়াই মাস। কিন্তু নিজের প্রস্রাব পানের পথ্য মেনে চলায় মাত্র ১৫ দিনেই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে দাবি করেছেন অভিনেতা।

কাশ্মীর হামলায় বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সালমান

কাশ্মীর হামলায় বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সালমান কাশ্মীর হামলার আতঙ্ক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারতের সাধারণ মানুষ। ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের এমন পরিণতি দেখে সবাই স্তব্ধ। বলিউড ভাইজান সালমান খানেরও একই অবস্থা। তিনি জঙ্গি হামলার পর বড় সিদ্ধান্ত নিলেন। ভাইজানকে এমনিতে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকিতে দিন পার করতে হচ্ছে। বিষ্ণোই শুধু তাকে হত্যার হুমকি দেয়নি, সালমানের পরিজনদের নিশানায় রেখেছেন। ফলে নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে সালমানের বাসভবনে। জানলার কাচও বদলে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এমন আতঙ্কের মধ্যেও ‘সিকান্দার’ সিনেমার শুটিংও করেন সালমান। এবার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকির সঙ্গে যুক্ত হলো কাশ্মীরের পহেলগামের জঙ্গি হামলা। তাই বড় একটি অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিলেন এ অভিনেতা। ইংল্যান্ডে ‘দ্য বলিউড বিগ ওয়ান শো’ নামে একটি অনুষ্ঠান করার কথা ছিল সালমানের। কিন্তু আনন্দ করার সময় এটা নয়, কারণ দেশের মানুষ ভীত হয়ে আছেন। সবাই এমন ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন। তাই এ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভাইজান। আজ (২৮ এপ্রিল) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, ‘কাশ্মীরের দুঃখজনক ঘটনার জেরে সবাই ভারাক্রান্ত। এ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লন্ডনে ‘দ্য বলিউড বিগ ওয়ান শো’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ৪ ও ৫ মে। আমরা জানি, অনুরাগীরা আমাদের অনুষ্ঠান দেখার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছি, শোকের সময়ে এই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখাই ভালো। এই অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার কারণে কারও কোনো অসুবিধা হয়ে থাকলে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ সালমান খান ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল সারা আলি খান, বরুণ ধওয়ান, মাধুরী দীক্ষিত, টাইগার শ্রফ, কৃতি শ্যানন, সুনীল গ্রোভারসহ আরও অনেকের।

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফাঁসলেন মহেশ বাবু!

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফাঁসলেন মহেশ বাবু! ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবু। এবার অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে তলব করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। আগামী ২৭ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছে তাকে। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দ্রাবাদের রিয়েল এস্টেট সংস্থা সাই সূর্য ডেভেলপারস এবং সুরানা গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডাকা হয়েছে মহেশকে। এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে জমি কিনে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। কোম্পানি দুটির বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে মামলায় নাম উঠেছে মহেশের।  তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই অনুযায়ী, সাই সুরিয়া ডেভলোপারস মহেশবাবুকে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়েছিল। এর মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বাকি আড়াই কোটি দেওয়া হয় নগদে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, মহেশ বাবুকে যে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা রিয়েল এস্টেট জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধের অংশ।  তদন্তে নেমে গেল ১৬ এপ্রিল হায়দরাবাদ, সেকেন্দ্রাবাদের চারটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ আইনে এই মামলার তদন্ত চলছে। মহেশবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে দেখে বহু মানুষ সম্পত্তি কিনতে উৎসাহিত হয়ে পড়েন। আর তাতেই প্রতারণা, জালিয়াতির শিকার হতে হয় তাদের। অভিনেতা সরাসরি দুর্নীতি না করলেও, নগদে তিনি যে টাকা নিয়েছেন, সেই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ইডির। যেখানে ১০০ কোটি টাকার লেনদেনে অনিয়ম চোখে পড়েছে।  ওই রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যেহেতু প্রচারের মুখ ছিলেন মহেশবাবু, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।