আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে বাড়িঘরে আগুন নিহত ৬ ইন্দোনেশিয়ায়

আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে বাড়িঘরে আগুন নিহত ৬ ইন্দোনেশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ ফ্লোরেসে অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট দুর্যোগে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি পর্যবেক্ষণ পোস্টের এক কর্মকর্তা ফিরমান ইউসেফ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রবিবার মধ্যরাতের ঠিক পরে মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ৬ হাজার ৫শ ফুট পর্যন্ত ঘন বাদামি ছাই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই গরম ছাই আশেপাশের একটি গ্রামে পড়লে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়ে যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি প্রথমে নয়জনের মৃত্যুর খবর দিলেও পরে মৃতের সংখ্যা কমিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ধসে পড়া বাড়িগুলোতে আরও অনেক লোক চাপা পড়েছে। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া একের পর এক অগ্ন্যুৎপাতের পর কর্তৃপক্ষ সোমবার মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকির জন্য বিপদ সংকেতের মাত্রা বাড়িয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার আওতাও বাড়িয়েছেন তারা। দেশটির আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা আগ্নেয়গিরির সতর্কতা অবস্থাকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে গেছে এবং সোমবার মধ্যরাতের পরে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের আওতা দ্বিগুণ করে ৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে উন্নীত করেছে। সংস্থাটি বলছে, উলাংগিটাং জেলায়, পুলুলেরা, নাওকোতে, হোকেং জায়া, ক্লাতানলো, বোরু এবং বোরু কেদাং-এর কাছাকাছি ছয়টি গ্রামে অন্তত দশ হাজার মানুষ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত ছাই ও ধূলিকণা ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে আশেপাশের গ্রাম এবং শহরগুলিতে টন টন ছাইয়ের স্তুপ জমে যায়। ফলে এলাকাগুলোর স্থানীয় বাসিন্দাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
দুই মাসের ব্যবধানে ভারতে আরেকটি মিগ-২৯ বিধ্বস্ত

দুই মাসের ব্যবধানে ভারতে আরেকটি মিগ-২৯ বিধ্বস্ত ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট বিমান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। খবর এনডিটিভি’র সোমবার ৪ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের আগ্রার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই মাসের মধ্যে এটি ভারতের দ্বিতীয় মিগ-২৯ বিধ্বস্তের ঘটনা। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগ্রার সোঙ্গা গ্রামের একটি খোলা মাঠে পড়ে গিয়ে বিমানটিতে আগুন জ্বলছে। স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে জ্বলন্ত বিমান থেকে কয়েক ফুট দূরে দাঁড়িয়ে আছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি মিগ-২৯ বিমান আজ রুটিন প্রশিক্ষণ চলাকালীন আগ্রার কাছে ‘সিস্টেমে ত্রুটি’র কারণে বিধ্বস্ত হয়। পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯ একটি চতুর্থ জেনারেশনের অত্যাধুনিক ফাইটার জেট। ১৯৮৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেটি বিধ্বস্ত এটি ফাইটার জেটটির আপগ্রেডেড ভার্সন ‘মিগ-২৯ ইউপিজি’। দুই মাস আগেও ভারতে মিগ-২৯ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। গত সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের বারমেরে একটি মিগ-২৯ যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। সেখানেও পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসেন।
অনিশ্চিত প্রদেশগুলোতে বাজিমাত করবেন কে

অনিশ্চিত প্রদেশগুলোতে বাজিমাত করবেন কে রাত পেরোলেই ভোট। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোট শুরু হবে আমেরিকায়। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাটিক নেত্রী কমলা হ্যারিস? কে বসবেন হোয়াইট হাউসের গদিতে, সেদিকেই নজর বিশ্বের। আগামিকাল ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও গত অক্টোবর থেকেই আমেরিকায় শুরু হয়েছে আগাম ভোটপর্ব। বিভিন্ন সমীক্ষায় একে ওপরকে পিছনে ফেলছেন কমলা ও ট্রাম্প। তবে তাদের দুজনেরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৭টি অনিশ্চিত রাজ্য বা ‘সুইং স্টেট’- এর ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে। পাশাপাশি আগামিকাল ভোটগ্রহণ হবে মার্কিন কংগ্রেস বা আইনসভার দুকক্ষের। এখন প্রশ্ন সুইং স্টেটগুলোর ফলাফল কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবকটি রাজ্য বা প্রদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। রেড স্টেটস(রিপাবলিকান), ব্লু স্টেটস (ডেমোক্র্যাট) ও সুইং স্টেটস। যার মধ্যে ১৯৮০ সাল থেকে রেড স্টেটসগুলোয় জয়লাভ করছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। ১৯৯২ থেকে ব্লু স্টেটসগুলো দখলে রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। প্রত্যেক নির্বাচনে অনুমান করাই যায় এই রাজ্যগুলো সাধারণত কোন দলের দখলে থাকবে। অন্যদিকে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভ্যানিয়া এবং উইসকনসিন মিলিয়ে মোট এই ৭ প্রদেশ হল সুইং স্টেট। রেড আর ব্লু স্টেটগুলোর ফলাফল আগে থেকে অনুমান করা গেলে স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যেগুলোর রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও সময় সমস্ত সমীক্ষা উল্টে দিতে পারে এই ৭ সুইং স্টেট। অতীতে দেখা গিয়েছে খুব কম মার্জিনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে সুইং স্টেটগুলোর ফলাফল। নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে গত অক্টোবর মাস থেকেই ভোটগ্রহণের সূচনা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর আগাম ভোট বা ‘আর্লি ভোট’ হয় ৪৭টি রাজ্যে। অবশেষে আগামিকাল ভোটদানের চূড়ান্ত দিন। সকলের বিশেষ নজর রয়েছে সুইং স্টেটসগুলোর পছন্দের উপর। ইতিমধ্যে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর কয়েকটিতে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। হাইভোল্টেজ এই আসনগুলো নিয়ে শেষ দুদিন ধরে সমীক্ষা করেছে নানা সংস্থা। আর তাদের রিপোর্ট বলছে, সুইং স্টেটগুলোয় পাল্লা ভারী ট্রাম্পের। ৪৯% ভোটের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের থেকে রিপাবলিকানরা এগিয়ে রয়েছে মাত্র ১.৮ শতাংশের ব্যবধানে। অ্যারিজোনায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশের ব্যবধানে কমলা হ্যারিসের থেকে এগিয়ে ট্রাম্প। নেভাদায় রিপাবলিকান নেতার পক্ষে পড়েছে ৫১.৪% ভোট। কমলা হ্যারিসকে পছন্দ করেছেন ৪৫.১ %। নর্থ ক্যারোলিনায় ডেমোক্র্যাট নেত্রীকে পিছনে ফেলে ৫০.৪% ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। টলাস ইন্টেল পরিচালিত সবশেষ জরিপের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সব সুইং স্টেটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ভোটের আগে এই জরিপ বলছে, মার্কিন নেতৃত্বের আসনে ফের বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কারণ সাতটি সুইং স্টেটে সর্বশেষ জরিপে কমলাকে পেছনে ফেলেছেন ট্রাম্প। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। মোট জরিপ ফলাফলে কমলা হ্যারিসের চেয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। নভেম্বরের প্রথম দুই দিনে পরিচালিত সমীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন সম্ভাব্য ভোটার অন্তর্ভুক্ত ছিল, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী। অবাক করার বিষয় হলো, নির্বাচনে জয়ী হলে গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন সময় বর্ণবাদী মন্তব্যও করেছেন তিনি। এরপরও এই জরিপ বলছে, বেশিরভাগ নারী ভোটারই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিচ্ছে। সূত্র : এনডিটিভি ও সংবাদ প্রতিদিন।
কানাডা সাইবার শত্রু আখ্যা দিল ভারতকে

কানাডা সাইবার শত্রু আখ্যা দিল ভারতকে কানাডার সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে ভারতকে ‘সাইবার শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্কে আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কানাডার সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদনটিতে ভারতকে সাইবার আক্রমণকারী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছে কানাডা। সম্প্রতি প্রকাশিত কানাডার ‘ন্যাশনাল সাইবার থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট ২০২৫-২০২৬’ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের নেতৃত্ব একটি আধুনিক সাইবার প্রোগ্রাম গড়ে তোলার প্রয়াসে নিয়োজিত এবং এটি জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কানাডার মতে, ভারতীয় সাইবার হুমকি সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীগুলো কানাডার সরকারি নেটওয়ার্কে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর উদ্দেশ্যে সাইবার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কানাডার সাইবার নিরাপত্তা প্রতিবেদনের ‘রাষ্ট্রীয় সাইবার শত্রুর হুমকি’ শিরোনামের অংশে ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারত তার সাইবার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত স্বার্থ, গুপ্তচরবৃত্তি ও বৈশ্বিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কানাডার এই তালিকায় ভারতের পাশাপাশি চীন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার নামও রয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি।
আদানি আল্টিমেটাম দিল বাংলাদেশকে

আদানি আল্টিমেটাম দিল বাংলাদেশকে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বকেয়া ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি। এর আগে বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় ভারতের আদানি গ্রুপ। গত বৃহস্পতিবার দিনে প্রতিষ্ঠানটির ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বুধবার পর্যন্ত গড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আদানির পাওনা প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেশের কয়লাভিত্তিক বড় দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র এস আলম ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও উৎপাদন কমেছে। সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি আদানি পাওয়ারের (ঝাড়খণ্ড) প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ বকেয়ার বিষয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান করেনি এবং ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের (১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ করেনি। সময়মতো এলসি না দেওয়া এবং বকেয়া পরিশোধ না করায় চুক্তির ব্যত্যয় ঘটেছে, যা আদানি বিদ্যুতের সরবরাহ বজায় রাখতে বাধাগ্রস্ত করছে। বকেয়া পরিশোধ ও এলসির অভাবে কয়লা সরবরাহকারী এবং কেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। চিঠিতে আদানি পিডিবিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায়। না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলেও জানায়। এদিকে এস আলম গ্রুপ তাদের এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পিডিবির কাছে দুই হাজার কোটি টাকা পাবে। এসএস পাওয়ার ১-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তান ঝেলিং একটি চিঠিতে পিডিবিকে জানিয়েছে, দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না হলে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রও কয়লা সংকটের কারণে ইউনিট-২ বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও ইউনিট-১ বর্তমানে গড়ে ৩৫০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করছে। রামপালেরও পিডিবির কাছে বড় অঙ্কের পাওনা জমেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট।
চীনা বিমান ৩৭টি শনাক্ত তাইওয়ানের কাছে

চীনা বিমান ৩৭টি শনাক্ত তাইওয়ানের কাছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপের আশপাশে ৩৭টি চীনা যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও অন্যান্য বিমান শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। একই সময় বেইজিং দীর্ঘ-পথের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় চীনা বিমানগুলো শনাক্ত করা হয় এবং এর মধ্যে ৩৫টি তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করে তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী এ পরিস্থিতিতে বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ ও স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করে। চীন গত কয়েক বছরে তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে এবং তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্বের দাবি মেনে নিতে তাইপেইকে চাপ দিচ্ছে। সর্বশেষ এই মহড়াটির এক দিন আগে তাইওয়ান জানিয়েছিল, তারা দ্বীপটির চারপাশে চীনা সামরিক বাহিনীর ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল’ শনাক্ত করেছে, যাতে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছে। মন্ত্রণালয় আরো জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয় সময় রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত তাইওয়ান ২৭টি চীনা বিমান এবং ছয়টি যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে। চীন তাইওয়ানকে তার নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে এবং এই গণতান্ত্রিক দ্বীপটিকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি। গত মাসে বেইজিং তাইওয়ানের আশপাশে বৃহৎ পরিসরে সামরিক মহড়া চালায়, যা তাইপেই ও তাদের প্রধান সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিন্দিত হয়েছিল। এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে চীনের সামরিক বাহিনী দীর্ঘ-পথের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং একই সময়ে একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরে নিক্ষেপ করে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল।
রাশিয়ার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার যৌথ সমুদ্র মহড়া, পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত

রাশিয়ার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার যৌথ সমুদ্র মহড়া, পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে বিশ্লেষকরা বলেছেন, এটি নতুন প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তোর উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক নীতি পরিবর্তনে জাকার্তার একটি বড় ভূমিকার ইঙ্গিত। জাকার্তা থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া দীর্ঘদিন ধরে একটি নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতি বজায় রেখেছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বা মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো পক্ষ নিতে অস্বীকার করেছে। তবে জাকার্তার উপর পশ্চিমা চাপ সত্ত্বেও মস্কোর সাথে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে প্রাবোও। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক পিটার পান্ডি বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার জন্য সুবিধাজনক ভূ-রাজনৈতিক ব্লক নির্বিশেষে যে কারও সাথে সম্পর্ক উন্নত করা তাদের বৃহত্তর এজেন্ডার অংশ। ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আসিয়ান ব্লকের সদস্য। এটি ২০২১ সালে রাশিয়ার সাথে যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়, তবে এর সদস্য দেশগুলো মস্কোর সাথে পৃথকভাবে কখনও মহড়া করেনি। মস্কোর সাথে জাকার্তার বিলিয়ন-ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এসআইপিআরআই অনুসারে, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করার পরে এবং ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় অস্ত্র আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথিত হুমকি সত্ত্বেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে ২০১৮ সালে সম্মত হওয়া ১ দশমিক ১ বিলিয়ন রাশিয়ান ফাইটার জেট চুক্তিটি প্রাবোও বজায় রেখেছেন। ২০২২ সালে আয়োজিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো যখন ইন্দোনেশিয়াকে চাপ দেয় তখনও জাকার্তা তা মানতে অস্বীকার করে। প্রবোও জুলাই মাসে ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেন, পরে যৌথ নৌ মহড়ার ঘোষণা দেন। গত মাসে তার দায়িত্ব গ্রহণের আগে প্রাবোও বলেছিলেন, তিনি ‘দৃঢ় বন্ধুত্বের একটি জাল’ তৈরি করতে চান। সেই লক্ষ্যে তিনি চীন এবং অস্ট্রেলিয়াসহ এক ডজনেরও বেশি দেশ সফর করেছেন, যেখানে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চুক্তি করেছেন এবং জাকার্তা তখন থেকে উদীয়মান অর্থনীতির ব্রিকস গ্রুপে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রকেটের পর ইসরায়েলে এবার ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর

রকেটের পর ইসরায়েলে এবার ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর রকেটের পর ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। জানা গেছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের শিল্প এলাকার একটি কারখানায় আঘাত হানে হিজবুল্লাহর ড্রোন। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে একটি ড্রোন ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। আরেকটি ড্রোন নাহারিয়া এলাকার কাছে একটি কারখানায় আঘাত হানে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি। এদিকে, এর আগে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলীয় টিরা শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের টিরা শহর লক্ষ্য করে তিনটি রকেট হামলা চালানো হয়। এ সময় শ্যারন এবং ড্যান এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। এছাড়া মধ্য ইসরায়েলের হার্জলিয়া, রানানা ও কেফার সাবা, সাফেদ ও আপার গালিলি অঞ্চলেও বেজে ওঠে সতর্কতা সাইরেন। আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, রকেট প্রতিরোধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারপরও একটি এলাকায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সেটি সরাসরি রকেটের আঘাতে হয়েছে না কি প্রতিরোধের কারণে ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতের কারণে তা উল্লেখ করেনি আইডিএফ। ড্যাশ ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে অনুযায়ী, টিরা শহরে একটি বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গেছে। ইসরায়েলের মেগান ডেভিড আদম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে টিরা শহরে এই হামলা চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন মাঝারি ধরনের আহত হয়েছে। বাকিরা হালকা আহত। তাদের সবাইকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলি একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- টিরা শহরে একটি ভবনে রকেট আঘাত হানে। এতে ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। সেখানে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য দমকল বাহিনীর অন্তত পাঁচটি ইউনিটকে ডাকা হয়। তারা কমপক্ষে আটজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
উ. কোরিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দরকার জেলেনস্কি
উ. কোরিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দরকার জেলেনস্কি উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের মুখে ইউক্রেনকে রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য তার মিত্রদের অনুমতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। জেলেনস্কি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যেখানে রাশিয়া তার ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের একত্রিত করছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলকভাবে হামলা করতে পারতাম, যদি আমাদের যথেষ্ট দূরপাল্লায় আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র থাকত। কিয়েভের মিত্রদের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনীয়দের ওপর হামলা শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছে। তার পরে তার সিন্ধান্ত নেবে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে। এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে জেলেনস্কি প্রকাশ্যে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। পশ্চিমা মিত্ররা এটি একটি বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে বর্ণনা করলেও এখনো কোনো প্রতিক্রিয়ামূলক পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি বা এমন পদক্ষেপের প্রস্তুতির কথা জানায়নি। দক্ষিণ কোরিয়া এই ইস্যুতে গোয়েন্দা সহায়তা এবং আরও বিস্তৃত সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে এবং ইউক্রেনে একটি সামরিক পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
সাইবেরিয়ায় রেল স্টেশনের ছাদ ধসে ১৪ জনের প্রাণহানি

সাইবেরিয়ায় রেল স্টেশনের ছাদ ধসে ১৪ জনের প্রাণহানি খবর রয়টার্স । ক্রেন এবং বুলডোজারের সহযোগিতায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করেছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে যোগ দিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গতকাল স্থানীয় সময় রাজধানী বেলগ্রেড থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত শহরে ৩৫ মিটার লম্বা ওই ট্রেন স্টেশনের ছাদটি দিনের ঝলমল আলোতে ধ্বসে পড়ে। ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তবে নিহতদের বের করতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ মিটার দূরে বসবাস করা ৮৬ বছর বয়সী ভেরা বলেন, বাইরের পরিবেশ গরম হওয়ার কারণে জানাল খুলে বিশাল শব্দ শুনতে পেলাম এবং ধূলিকণা উড়তে দেখলাম। জরুরি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান লুকা কেউসিক বলেন, ভারী ভারী পাথরের কারণে উদ্ধারকর্মী এবং সন্ধানকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় উদ্ধার অভিযান রাত পর্যন্ত চলতে বলে বলে তিনি ধারণা করছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইভিকা ডেসিক তানজুগ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে না। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিক এ ঘটনাকে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রেলস্টেশনটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে এটি পুরাতন হয়ে পড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।