ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ: জয়শঙ্কর

ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ: জয়শঙ্কর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলেই সব সমস্যা মিটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার (৫ মার্চ) যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিংকট্যাংক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত সরকার এখন পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু ফেরত আনার অপেক্ষায় রয়েছে। কাশ্মির ইস্যু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, “এ ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি এবং আমি মনে করি, ইতিমধ্যে অনেকাংশে আমরা এটিকে গুছিয়ে এনেছি। প্রথম ধাপে আমরা (সংবিধানের) ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি, দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে গতিশীল করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি এবং সেই নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “এখন আমাদের সামনে আছে চতুর্থ ধাপ। এই ধাপে আমাদের লক্ষ্য হলো জম্মু-কাশ্মিরের চুরি যাওয়া অংশ উদ্ধার করা। আরো স্পষ্টভাবে বললে, জম্মু-কাশ্মিরের যে অংশটি পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে, সেটিকে ভারতের মানচিত্রভুক্ত করা।” ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্র বলেন, “আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, যদি এই লক্ষ্য আমরা সফলভাবে অর্জন করতে পারি, সে ক্ষেত্রে কাশ্মির ইস্যু নামে আর কোনো সংকট থাকবে না। এটিই এ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।” এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, এর আগেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেছিলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির ভারতের একটি অংশ। ভারতের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এটি ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছরের ৯ মে নয়াদিল্লির দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্গী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির সম্পর্কে আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি যে, সংসদে একটি প্রস্তাব রয়েছে… এই দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল ভারতের অংশ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাই আমাদের জাতীয় অঙ্গীকার।” তিনি দাবি করেন, “২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের বিষয়টি নিয়েও মানুষের ভাবনার পথ তৈরি হয়েছে।” জয়শঙ্কর বলেন, “যেহেতু আমরা অবশেষে ৩৭০ ধারার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের বিষয়টি জনগণের চিন্তাভাবনার সামনে এসেছে। কিছু ঘটার জন্য প্রথম পূর্বশর্ত হলো এটি আপনার চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকা উচিত।”
ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত: জেলেনস্কি

ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত: জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভেকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘পরিস্থিতি ঠিক করতে’ চান যাতে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা যায়। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন জেলেনস্কি। পোস্টে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আংশিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শান্তির প্রতি ইউক্রেনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আমরা কেউই অনন্তকাল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত ইউক্রেন।” জেলেনস্কি আরো বলেন, “ইউক্রেনবাসীর চেয়ে শান্তি কেউ চায় না। যুদ্ধের অবসানে আমি এবং আমার দল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা দ্রুত এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে চাই।” জেলেনস্কি প্রথমে ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করে যুদ্ধের অবসানের প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, কিয়েভ চূড়ান্ত চুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে দ্রুত কাজ করতে প্রস্তুত এবং প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বন্দীদের মুক্তি এবং আকাশে যুদ্ধবিরতি- ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার ড্রোন হামলা বন্ধ, জ্বালানি এবং অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমা হামলা নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি, রাশিয়া রাজি হলে সমুদ্রেও অবলম্বে যুদ্ধবিরতি। তারপর আমরা পরবর্তী সমস্ত পর্যায়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই এবং একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই।”রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ইউক্রেনকে জ্যাভলিন মিসাইল দিয়েছিলেন, যা যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল। আমরা এর জন্য কৃতজ্ঞ।” হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক বাকবিতণ্ডার বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন, “গত শুক্রবার আমাদের বৈঠকটি প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। এটি সত্যিই দুঃখজনক। এখন সময় এসেছে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর এবং ভবিষ্যতে আরও গঠনমূলক সহযোগিতা নিশ্চিত করার।” তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি করতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে, যা দেশটিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে পারে।
ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের ভারতসহ কয়েকটি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতের পণ্যসামগ্রীতে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক চাপাতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন ট্রাম্প। ভাষণে তিনি কংগ্রেসকে বলেন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করে থাকে। তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও সেসব দেশের কাছ থেকে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আদায় করবে। তার সরকার এই সিদ্ধান্তে বদ্ধপরিকর। ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত আমদানি করা মার্কিন পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ কর আরোপ করে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশ আমাদের ওপর শুল্ক চাপিয়ে আসছে, এবার আমাদের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, কানাডা, মেক্সিকো, ভারতসহ যে দেশ যত বেশি শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও ততটাই করব। ট্রাম্প বলেন, আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকেই পাল্টা শুল্কনীতি চালু হোক। কিন্তু আমি চাই না যে, এর জন্য কেউ এপ্রিল ফুলস ডে-কে জুড়ে দিয়ে তামাশা বানাক। তাই ২ এপ্রিল থেকেই নতুন শুল্কনীতি ধার্য করবে যুক্তরাষ্ট্র।
কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা ট্রাম্পের

কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করছেন। দেশ দুটির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়ও শেষ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকেই এই শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এবার জানালেন, মঙ্গলবার থেকে এ শুল্ক বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। খবর বিবিসির। এছাড়াও চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তিন বাণিজ্য অংশীদারই- কানাডা, মেক্সিকো ও চীন- বড় বাণিজ্য বাধার মুখে পড়তে চলেছে। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, “শুল্ক আরোপের জন্য সবকিছু প্রস্তুত আছে, আগামীকাল থেকেই কার্যকর হবে।” কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কানাডা বাণিজ্য যুদ্ধ চায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি এ যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে কানাডাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। এদিকে মেক্সিকো ও চীনও জানিয়েছে, তারাও মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। এতে বাণিজ্য যুদ্ধ আরো তীব্র হতে পারে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপের কারণ হলো অবৈধ মাদক ও অভিবাসনের অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহ রোধ করা।
সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর নগরী তারতুসের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বাহিনী তারতুস বন্দর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) উত্তরে অবস্থিত একটি সামরিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্মস্থান কারদাহা এলাকায় তৎকালীন সিরীয় সরকারের অস্ত্র মজুত ছিল। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, তারতুস শহরের আশেপাশে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যেসব এলাকা লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সেগুলোর অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে বেসামরিক প্রতিরক্ষা এবং বিশেষায়িত দলগুলো। গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সিরিয়ার দীর্ঘকালীন নেতা বাশার আল-আসাদ। তার পতনের পর থেকেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর আগে গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ সিরিয়ায় বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই এলাকা সামরিকীকরণের আহ্বান জানানোর কয়েকদিন পরেই এই হামলা চালানো হয়।
কলকাতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল

কলকাতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি পর্যালোচনা ও বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৮৬তম বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। আজ ভারতীয় সময় সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ প্রতিনিধি দলটি কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপরেই সড়কপথে তারা যান হাওড়া রেল স্টেশন। হাওড়া থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস ধরে তারা যাবেন মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কায়। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি ভারতের নদী কমিশনের সদস্যরাও যৌথভাবে ফারাক্কা পরিদর্শন করবেন। পরে ফিরে এসে অংশ নেবেন বৈঠকে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়েন্ট রিভার কমিশনের (জেআরসিবি) সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তার নেতৃত্বে আছেন জেআরসিবি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিদরী জাহান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, জেআরসিবি সদস্য (কারিগরি কমিটি) মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (সিলেট) অতিরিক্ত মুখ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (কুমিল্লা) অতিরিক্ত মুখ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ঢাকা) হাইড্রো ইনফরমেটিক্স এবং ফ্লাড ফোরকাস্টিং বিভাগের সুপারিন্টেডেন্ট প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। কলকাতায় আয়োজিত বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের হয়ে অংশ নেবেন বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-১ অনুবিভাগের পরিচালক মো. মনোয়ার মোকাররম, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমা, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আফজল মেহদাত আদনান প্রমুখ। এদিন বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে মোহাম্মদ আবুল হোসেন জানান, এই সফরে তিস্তা জরিপ হবে না। এমনকি বৈঠকেও তিস্তা বিষয়ক কোনো আলাপও হবে না। এর জন্য একটা টেকনিক্যাল টিম আছে, তারা আলোচনা করবে। মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, এই পরিদর্শন ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ এই সফরে কোনো বড় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে না। মূলত কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত গঙ্গার চুক্তির বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবছর আমরা এই সফর করে থাকি।গঙ্গার পানি বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ গঙ্গার পানির ওপর নির্ভরশীল। মূলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই পানির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। জানা গেছে, পাঁচ দিনের এই সফরে আগামী ৪ মার্চ ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর সন্নিহিত এলাকা পরিদর্শন করবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। ফারাক্কায় গঙ্গা নদীতে পানির স্তর, পানির প্রবাহ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখবেন তারা। ৫ মার্চ ফারাক্কা থেকে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যরা কলকাতায় ফিরবেন। এরপর ৬ এবং ৭ তারিখ ভারতের রিভার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে বৈঠক হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছরের। ২০২৬ সালে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা কিংবা তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
ভারতে তুষারপাতে নিহত ৪, কয়েকজন নিখোঁজ

ভারতে তুষারপাতে নিহত ৪, কয়েকজন নিখোঁজ ভারতের হিমালয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে প্রবল তুষারপাতে অন্তত চারজন মারা গেছে। এছাড়া আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিব্বতের সীমান্তবর্তী এলাকা মানায় তীব্র তুষারপাতে রাস্তা নির্মাণ শ্রমিকরা ভেসে যায়। সেখানে তুষারের নিচে চাপা পড়া ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে পাঁচজন। হেলিকপ্টারে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তারা আরও জানান, হিমালয় পর্বতের কাছে নিখোঁজ ৫ জনকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তরাখন্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ক্যাম্পে তুষারপাতের পর উদ্ধারকারী দলগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এক্স-এ এক ফুটেজ পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা কয়েক ফুট উঁচু তুষারপাতের মধ্যে হেঁটে স্ট্রেচারে করে আহতদের বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। তখনও তুষারপাত অব্যাহত ছিল। মানার একজন সাবেক গ্রাম পরিষদ সদস্য গৌরব কুনাওয়ার শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, ‘যে এলাকায় তুষার আঘাত হেনেছে সেখানে কেউ স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না। শুধু সীমান্তে রাস্তা নির্মাণ শ্রমিকরা শীতকালে সেখানে থাকে। ’ তিনি বলেন, ‘সেখানে এখনো সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। আমরা শুনেছি ওই এলাকায় দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। যখন তুষার আঘাত হানে তখন সেখানে শ্রমিকরা একটি ক্যাম্পে ছিল’। এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, এবং জম্মু-কাশ্মিরে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের সতর্কতা জারি করেছিল। অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করার পরও এত হতাহত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কর্মকর্তারা।
গাজায় ত্রাণ বন্ধ করলো ইসরায়েল

গাজায় ত্রাণ বন্ধ করলো ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় সব ধরনের মানবিক ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েল-হামাসের প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরার। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলোচনা চালিয়ে যেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত উইটকফ একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসরায়েল ওই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তবে হামাস এই প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “এই পরিস্থিতির আলোকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আজ সকালে গাজা উপত্যকায় সবধরনের পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হয়। পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপ শেষে দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন হবার কথা ছিল। দ্বিতীয় ধাপের মূল সুর ছিল বাকি জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন। গত ছয় সপ্তাহজুড়ে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা, দরকষাকষি ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। কিন্তু ইসরায়েলের অসহযোগিতামূলক আচরণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের পরিবর্তে প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর মডেল নিয়ে আসেন। এই প্রস্তাব মতে, এপ্রিলের মধ্যভাগ পর্যন্ত সাত দিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে এবং এই সময়ের মধ্যে বাকি সব ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবেন। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এটি প্রত্যাখান করেছে। তাদের দাবি, সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, হতে হবে স্থায়ী সমাধান। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলেও হামাস দাবি করেছে। হামাস আরো জানায়, ইসরায়েলের পদক্ষেপ ‘যুদ্ধাপরাধ এবং চুক্তির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট ‘আক্রমণ’। গাজায় ইসরায়েলের এ ধরনের অনৈতিক সিদ্ধান্ত বন্ধে ব্যবস্থা নিতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
ট্রাম্প-জেলেনস্কির তীব্র বাগবিতণ্ডা, হলো না চুক্তি

ট্রাম্প-জেলেনস্কির তীব্র বাগবিতণ্ডা, হলো না চুক্তি খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি ও যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য শুক্রবার ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তেজনা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সেই বৈঠক এবং ওয়াশিংটন থেকে জেলেনস্কি ফিরে গেছেন কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে প্রথম বিতর্ক বাঁধে জেলেনস্কির। বৈঠকের শুরুতে জে ডি ভ্যান্স বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা। ভ্যান্সের এই বক্তব্যের পর জেলেনস্কি তাকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কোন ধরনের কূটনীতির কথা বলতে চাইছেন জেডি?” উত্তরে ভ্যান্স বলেন, “আমি সেই ধরনের কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।” এর উত্তরে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা একজন খুনীর সঙ্গে কখনও সমঝোতায় যাব না।” এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি এখন ভালো অবস্থায় নেই। এই মুহূর্তে আপনার হাতে কোনো কার্ড (বিকল্প) নেই। যদি আপনি আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে আপনার হাতে কার্ড আসা শুরু করবে।” জবাবে জেলেনস্কি বলেন, “আমি কোনো কার্ড খেলছি না এবং আমি খুবই সিরিয়াস, মি. প্রেসিডেন্ট।” কিন্তু তার কথাকে আমল না দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আপনি কার্ড খেলছেন; শুধু তাই নয়, লাখ লাখ মানুষ এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েও জুয়া খেলছেন আপনি। একবার আমরা চুক্তি সই করলে আপনি ভালো অবস্থানে চলে যাবেন। কিন্ত আপনাকে আদৌ কৃতজ্ঞ মনে হচ্ছে না। সত্যি কথা বলতে কি, এটা ভালো কোনো বিষয় নয়।” ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেন, “যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে চাইলে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে।” তিনি বলেন, “ছাড় দেওয়া ছাড়া আপনি কোনো চুক্তি করতে পারবেন না। তাই এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, কিছু ছাড় দিতে হবে। কিন্তু আশা করি, বড় কোনো ছাড় দিতে হবে না, যেমনটা লোকে বলে বেড়াচ্ছে।” ট্রাম্পের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নরম মনোভাব নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, “একজন খুনিকে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়।” রয়টার্সের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই বৈঠককে উত্তেজনার এক নজিরবিহীন মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৈঠকের এক পর্যায়ে জেলেনস্কিকে চলে যেতে বলা হয়। হোয়াইট হাউজে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তাকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর হোয়াইট হাউজ এ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করার কথা জানায়। এরপর জেলেনস্কি ও তার সঙ্গে থাকা ইউক্রেনের অন্য কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একে পোস্টে লেখেন, “জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ও এ দেশের শ্রদ্ধার জায়গা ওভাল অফিসকে অসম্মান করেছেন। যেদিন তিনি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, আবার (হোয়াইট হাউজে) ফিরে আসতে পারেন।”হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে ফ্লোরিডার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “জেলেনস্কির বোঝা উচিত যে তিনি এ যুদ্ধে হারছেন।” “তাকে বলতে হবে, ‘আমি শান্তি চাই।’ ‘পুতিন এটা, পুতিন ওটা’- শুধু এসব নেতিবাচক কথা বলে লাভ নেই। তাকে বলতে হবে, ‘আমি শান্তি স্থাপন করতে চাই। আমি আর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না” বলেন ট্রাম্প। বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখনও ঠিক করা সম্ভব। এরপর কিছুটা অনুশোচনা প্রকাশ করে যোগ করেন, “এর জন্য আমি দুঃখিত।”
চাঁদ দেখা যায়নি, মালয়েশিয়ায় রোজা শুরু রবিবার

চাঁদ দেখা যায়নি, মালয়েশিয়ায় রোজা শুরু রবিবার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় আজ শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হবে আগামী ২ মার্চ রবিবার থেকে। আগামীকাল শনিবার মালয়েশিয়ায় হবে শাবান মাসের ৩০তম দিন। এর আগে ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুরে আজ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে দেশ দু’টিতেও ২ মার্চ রবিবার থেকে শুরু হবে রোজা। ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুর উভয় দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় আগামীকাল থেকেই রমজান শুরু হতে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তারা রমজান শুরুর ঘোষণা দেয়। মালয়েশিয়ার উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ‘কিপারস অব দ্য রুলার্স সিল’ সৈয়দ দানিয়াল সৈয়দ আহমেদ টেলিভিশনে দেওয়া সরাসরি ভাষণে রমজানের তারিখ ঘোষণা দেন।