চীনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

চীনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত চীনে আজ বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে।   চীনে আজ বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে। সিইএনসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টা ৪৪ মিনিটে  চীনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তের কাছে আক্কি কাউন্টির কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হতাহতের বা ভবন ধসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া

২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া মালয়েশিয়া  এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও শুরু হচ্ছে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হবে। খবর বিবিসির।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে ৮ মার্চে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৭৭ প্লেনটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। যাত্রা শুরু করার ৪০ মিনিটের মধ্যে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটির কী হয়েছে, তা আজও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বিমানটিতে ছিলেন ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু। তারা কোথায় বা বিমানটি কোথায়, আজ পর্যন্ত এই খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিমান চলাচলের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত এটি ‘সবচেয়ে রহস্যময়’ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামুদ্রিক রোবোটিক্স কম্পানি ওশান ইনফিনিটি ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান চালাবে। তারা সেই সব এলাকায় অনুসন্ধান করবে যেগুলোতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৫৫ দিনের নতুন অনুসন্ধান অভিযানটি চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে কয়েক দিনের মধ্যেই তা স্থগিত করা হয়। বিমানে আরোহী ২৩৯ জনের বেশিরভাগই ছিলেন চীনা নাগরিক। পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই নতুন উদ্যোগ এমএইচ৩৭০ ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য মালয়েশিয়া সরকারের চেষ্টাকে আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে এবং এ ঘটনার সমাপ্তি বা উত্তর পেতেও সাহায্য করবে।’ চলতি বছরের মার্চে মালয়েশিয়া সরকার ওশান ইনফিনিটিকে ‘নো ফাইন্ড, নো ফি (পাওয়া গেলে কোনো ফি নয়)’- এমন ভিত্তিতে নতুন অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়। ভারত মহাসাগরের ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন এলাকায় অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে কেবল তখনই কম্পানিকে ৭০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে। স্যাটেলাইট তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি নিয়মিত পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে দক্ষিণ দিকে ভারত মহাসাগরের দূরবর্তী এলাকায় চলে যায় এবং ধারণা করা হয় সেখানেই এটি বিধ্বস্ত হয়। বহু দেশের ব্যয়বহুল বহুজাতিক অনুসন্ধান অভিযান সত্ত্বেও বিমানটির অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যা বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনুসন্ধানের সূত্রপাত করেছে। ২০১৮ সালে ওশান ইনফিনিটির চালানো ব্যক্তিগত অনুসন্ধানেও কোনো সাফল্য মেলেনি।

তীব্র অর্থসংকটে জাতিসংঘ, কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত

তীব্র অর্থসংকটে জাতিসংঘ, কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদা বাকি থাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে জাতিসংঘ। এতে করে বাজটে কমানোর ও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তি, মানবাধিকার ও সহযোগিতা নিশ্চিতে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। গ্তকাল আগামী বছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের তুলনায় বাজেটটি ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার কম। গুতেরেস বলেছেন, ২০২৬ সালের বাজেট ১৫.১ শতাংশ কমানো এবং কর্মী সংখ্যা ১৮.৮ শতাংশ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নির্ধারিত বাজেট কমানো হবে না। গুতেরেস বলেন, গাজা নিয়ে কাজ করা ইউএনআরডব্লিউএ-কে বাজেট কমানোর বাইরে রাখা হবে। কারণ এই সংস্থার বাজেটে কাটছাঁট হলে গাজায় মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার মূল কাঠামোই ভেঙে পড়বে। তিনি আরও জানান, ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও আফ্রিকার উন্নয়ন সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি’র বাজেটও ২০২৫ সালের মতোই রাখা হবে। কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা থেকে মোট ২ হাজার ৬৮১টি পদ বাতিল করা হবে। ওই পদগুলোর কার্যক্রম অন্য সংস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, অথবা তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। মহাসচিব বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বকেয়া ও অন্যান্য দেনা থেকে সৃষ্ট চলমান নগদ সংকটের কারণে জাতিসংঘে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। সংস্থাটি বিবৃতিতে বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘাটতির মূল অংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও মেক্সিকোর বকেয়া চাঁদা থেকে।

পেরুতে নৌকা ডুবে ১২ জনের প্রাণহানি

পেরুতে নৌকা ডুবে ১২ জনের প্রাণহানি পেরুর মধ্যাঞ্চলে গতকাল সোমবার দেশটির ইপারিয়া নদী বন্দরে নোঙর করা দুটি নৌকা ভূমিধসের কারণে ডুবে যাওয়ায় তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় নৌকা থাকা আরও কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গেছে। খবর এএফপি’র। পুলিশ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আন্দিনা সংবাদ সংস্থা জানায়, উকায়ালির আমাজন জঙ্গল অঞ্চলের ইপারিয়া বন্দরে ভূমিধসের ফলে দুটি নৌকা ডুবে যায়। তবে, নৌকায় কতজন লোক ছিল তা জানা যায়নি। নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জোনাথন নভোয়া টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর ২৫ জন আহত হয়েছে এবং প্রায় ৪০ জন নিখোঁজ’ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া পরিবারগুলোর কাছ থেকে ঠিক কতজন নিখোঁজ হয়েছে তা জানার এবং নিখোঁজদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইউটিভি নোটিসিয়াস চ্যানেলে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া নৌকাগুলোর লাগেজ ও মালামাল নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় হতবিহ্বল মানুষজন নদীর তীরে দৌড়াদৌড়ি করছে।

দক্ষিণ সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০

দক্ষিণ সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ দক্ষিণ সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান অঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। নিহতদের দাফন কাজে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তি গ্তকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার কোমো গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মানবাধিকার সংগঠন ‘এমার্জেন্সি লইয়ার্স’ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর পরিচালিত বিমান হামলা সরাসরি গ্রামটির একটি নার্সিং স্কুলে আঘাত হানে। হামলায় ডজনখানেক শিক্ষার্থীসহ বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। হেইবান গ্রামের বাসিন্দা কাফি কালু বলেন, “বিমান হামলার খবর পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি নার্সিং স্কুলে আগুন জ্বলছে। সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে এবং লাশ দাফন করছে। প্রায় ৪০ জনকে কবর দিতে হয়েছে।” আরেক বাসিন্দা টিহ ইসা জানান, “আমরা ৪০টিরও বেশি কবর খুঁড়েছি। ঘটনা ছিল খুবই মর্মান্তিক।”তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সুদানি সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী কখনো বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় না। যদিও ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনীর হামলায় বারবার সাধারণ মানুষের প্রাণহানির অভিযোগ উঠছে। দক্ষিণ সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট–নর্থ বর্তমানে দারফুর ও দক্ষিণ কর্দোফানের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে তীব্র লড়াই চলছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে। জাতিসংঘ জানায়, শুধু নভেম্বর মাসেই দক্ষিণ কর্দোফানের ছোট গ্রামগুলো থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চলমান এই যুদ্ধ এখন পর্যন্ত লাখো মানুষের প্রাণ কেড়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে বাস্তুহারা করেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৬৩১, আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৬৩১, আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা জুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা আজ বেড়ে ৬৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে। জাকার্তা থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। সরকারি সংস্থা ও ত্রাণ সংগঠনগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দিতে কাজ করছে। অন্যদিকে উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজ ৪৭২ জনকে খোঁজার চেষ্টায় রয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, মালাক্কা প্রণালীতে সৃষ্ট বিরল এক ঘূর্ণিঝড় গত সপ্তাহে দেশটির তিনটি প্রদেশে আঘাত হানে, যা প্রায় ১৪ লাখ মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে সরকারের দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থা। এশিয়ার যেসব জায়গায় এবার প্রবল বর্ষণ ও ঝড় আঘাত করেছে ইন্দোনেশিয়া তার একটি। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কাতেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ, উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এখনো এসব এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং জরুরি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

সংঘাতের সমাধান ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র: পোপ

সংঘাতের সমাধান ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র: পোপ ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ লিও চতুর্দশ বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান সংঘাতের একমাত্র সমাধান হল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। রবিবার তুরস্ক থেকে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেছেন। পোপ বলেছেন, “আমরা সবাই জানি, এই সময়ে ইসরায়েল এখনো সেই সমাধান গ্রহণ করে না, তবে আমরা এটিকে একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখি। আমরা ইসরায়েলেরও বন্ধু এবং আমরা দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কণ্ঠস্বর হতে চাইছি যা তাদের সবার জন্য ন্যায়বিচারের সমাধানে সহায়তা করতে পারে।” ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বারবার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না। লিও তার তুরস্ক সফরের উপর আলোকপাত করে আট মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। পোপ জানিয়েছেন, তিনি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেব এরদোগান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া উভয় সংঘাত নিয়েই আলোচনা করেছেন। উভয় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পোপ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বের অস্বাভাবিক সংখ্যক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণে মানবতার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি ধর্মের নামে সহিংসতার নিন্দা করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র প্রভাবে টানা ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি)। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৩৭০ জন।  খবর দ্য স্টেটসম্যানের। শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল ক্যান্ডি, যেখানে ৮৮ জন মারা গেছেন এবং ১৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বাদুল্লায় ৭১ জন, নুওয়ারা এলিয়ায় ৬৮ জন এবং মাতালেতে ২৩ জন মারা গেছেন। ডিএমসির মতে, দক্ষিণ এশীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির বিশাল অংশ জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় দুই লাখ মানুষ ১,২৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মধ্যাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। উপড়ে পড়া গাছ ও ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলো পরিষ্কার করতে ত্রাণকর্মীরা কাজ শুরু করায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। ডিএমসি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মূল এলাকা থেকে সরে গেলেও উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যা দেখা দিচ্ছে। তবে উদ্ধার কাজও চলছে সমানতালে। ২৪ হাজারের বেশি পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সদস্য এখনো বন্যায় আটকা পড়া পরিবারগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েকে চলমান চরম আবহাওয়া সংকটকে দেশের সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে বর্ণনা করেছেন ও দুর্যোগ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রবিবার জাতির উদ্দেশ্যে এক বিশেষ ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্যোগের সময় সরকারের তিনটি দায়িত্ব রয়েছে: তাৎক্ষণিক জরুরি অবস্থা পরিচালনা করা, স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার করা এবং দেশকে আগের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় পুনর্নির্মাণ করা। তিনি বলেন, “যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে এবং যখন আমরা তাদের প্রভাব প্রতিরোধ করতে অক্ষম হই, তখন জরুরি পরিস্থিতি পরিচালনা, দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং পরিস্থিতির আগের চেয়েও বেশি উন্নতি করা সরকারের দায়িত্ব। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি বলেন, বর্তমানে কার্যকর জরুরি অবস্থা কেবল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং এটি নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করবে না। তিনি আরো বলেন, অনেক অঞ্চলে পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সহ প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা সরকারি সহায়তা পাবেন। এই জাতীয় সংকটের সময় কাউকে সহায়তা ছাড়া রাখা হবে না। তিনি উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর হাজার হাজার কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। দিশানায়েকে আন্তর্জাতিক সংহতির জন্যও আহ্বান জানান। তিনি বলেন যে, তিনি দেশের পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং শ্রীলঙ্কার প্রবাসীদের সমর্থন আশা করেন। ভারত ইতিমধ্যে দুটি বিমান ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। এছাড়াও কলম্বোতে শুভেচ্ছা সফরে থাকা ভারতীয় একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য তাদের রেশন দান করেছে। এছাড়া ভারতীয় উদ্ধারকারী দলগুলো শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, নয়াদিল্লি আরো সাহায্য পাঠাতে প্রস্তুত।

ট্রাম্পের ‘অবৈধ হুমকি’ মোকাবিলায় ওপেকের সহায়তা চান মাদুরো

ট্রাম্পের ‘অবৈধ হুমকি’ মোকাবিলায় ওপেকের সহায়তা চান মাদুরো যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ক্রমবর্ধমান ও অবৈধ হুমকি’ মোকাবিলার জন্য তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন (ওপেক)-এর সহায়তা চেয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সোমবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (৩০ নভেম্বর) প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর এই জোটের সদস্যদের কাছে লেখা এক চিঠিতে মাদুরো অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম ভেনেজুয়েলার তেল মজুদ ‘দখল’ করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টেলেসুরে প্রকাশিত চিঠির অনুলিপি অনুসারে, মাদুরো বলেন, “এই আগ্রাসন ঠেকাতে আপনাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আমি আশা করি। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের ভারসাম্যের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে, তা হোক উৎপাদক কিংবা ভোক্তা দেশ।’ মাদুরো ওপেক এবং বৃহত্তর জোট ওপেক প্লাস- উভয়ের কাছে ‘ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ড, জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণঘাতী সামরিক শক্তি ব্যবহারের’ বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।  ভেনেজুয়েলার কাছে বিশ্বের সর্বাধিক (আনুমানিক ৩০৩ বিলিয়ন ব্যারেল) তেলের মজুদ থাকা সত্ত্বেও, দেশটি ২০২৩ সালে মাত্র ৪.০৫ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছিল। অন্যান্য প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তুলনায় যা অনেক কম। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এর কারণ।

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে ৪৪২, খাবার-পানির জন্য হাহাকার

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে ৪৪২, খাবার-পানির জন্য হাহাকার ইন্দোনেশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই বিপর্যয়ের ফলে সুমাত্রার তাপানুলি অঞ্চলে খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে, যার কারণে বাসিন্দারা লুটপাটসহ চুরি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় এক সপ্তাহ আগে আঘাত হানা বিরল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ প্রভাবে আচেহ, উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রায় টানা বর্ষণে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে, ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং হাজার হাজার ভবন ডুবে গেছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্বীপের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈরি আবহাওয়া ও ভারী যন্ত্রপাতির ঘাটতির কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হয়েছে। উত্তর সুমাত্রার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর সিবোলগা এবং মধ্য তাপানুলি জেলায় ধীরগতিতে ত্রাণ পৌঁছচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ ভাঙা ব্যারিকেড, পানিতে ডুবে থাকা রাস্তা ও ভাঙা কাচ মাড়িয়ে খাবার, ওষুধ ও গ্যাস সংগ্রহের চেষ্টা করছে। কেউ কেউ হাঁটুপানির সমান বন্যার পানির ভেতর দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কনভিনিয়েন্স স্টোরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। পুলিশের মুখপাত্র ফেরি ওয়ালিনতুকান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় দোকানে লুটপাটের খবর তারা পেয়েছেন এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে আঞ্চলিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছনোর আগেই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বাসিন্দারা জানতেন না যে সহায়তা আসবে এবং তারা না খেয়ে থাকার আশঙ্কায় ছিলেন।” ক্যাবিনেট সচিব টেডি ইন্দ্রা উইজায়া রবিবার বলেন, দুর্যোগের পরদিনই জাকার্তা থেকে ১১টি হেলিকপ্টার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয় চলমান ত্রাণ ও সরবরাহ বিতরণ কার্যক্রমের জন্য- বিশেষ করে যেখানে স্থলপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে তিনি যোগ করেন, ‘অনিশ্চিত আবহাওয়া প্রায়ই ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করছে।’ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করছেন। প্রেসিডেন্টের প্রেস অফিসের এক বিবৃতি অনুসারে, প্রেসিডেন্ট আজ সোমবার সকালে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের মধ্য তাপানুলি জেলায় পৌঁছেছেন এবং বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের জন্য একটি পাবলিক রান্নাঘর ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।