প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয়

প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয় প্রতি বছর নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে এস জয়শঙ্করের মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি ভারতীয় দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সাল থেকে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন ৯ লাখেরও বেশি ভারতীয়। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে সংখ্যাটা ২ রাখে পৌঁছায়। কী কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ল, তার সুস্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে জয়শঙ্করের মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, ব্যক্তিগত কারণেই অনেকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন। এই পরিসংখ্যানের সূত্রে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে ‘ব্রেন ড্রেন’ তত্ত্ব নিয়ে। যে তত্ত্ব অনুসারে, ভারতের মেধাবী ছাত্র-যুবকরা উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন। সত্তরের দশকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগের ঊর্ধ্বমুখী হার এই তত্ত্বকে আরও জোরদার করেছিল। ভারত দ্বৈত নাগরিকত্ব (একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্ব) স্বীকার করে না। আমেরিকা, কানাডা কিংবা ব্রিটেনের নাগরিকেরা অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। ভারতীয়দের অনেকেই কর্মসূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। সে দেশের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেতে অনেকেই সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের নাগরিকত্ব হারাবেন সেই ব্যক্তি। সামাজিকমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী ভারতীয়দের একাংশ। তাদের বক্তব্য, তারা স্বেচ্ছায় ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে চান না। কিন্তু নিয়মনীতির ফাঁসে পড়ে তা করতে বাধ্য হন।

নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা 

নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা  সামরিক বাহিনী পরিচালিত আসন্ন নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বুধবার দেশটির জান্তা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাতে জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী টুন টুন নাউং জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে মোট ২২৯ জনের বিরুদ্ধে নতুন আইনের আওতায় মামলা করা হবে। মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বলছে, ভিন্নমত দমন করতেই এই আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাদের মতে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী কণ্ঠ দমন করাই জান্তার মূল উদ্দেশ্য। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জান্তা সরকার। এই ভোটকে তারা ‘জাতীয় পুনর্মিলনের পথে একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে তুলে ধরছে। তবে বাস্তবতায় বিরোধী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই নির্বাচন আয়োজন কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনকে সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনকে ‘বাধা, বিঘ্ন ও ধ্বংস’ থেকে রক্ষার অজুহাতে চলতি বছরের জুলাইয়ে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করে জান্তা সরকার। ওই আইনে নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করা বা নির্বাচনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

১ ডলার= ৯১ রুপি, ভারত ছাড়ছে বিনিয়োগকারীরা

১ ডলার= ৯১ রুপি, ভারত ছাড়ছে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ভারত। শেয়ার বাজার থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি পুঁজি তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে তরতর করে কমছে রুপির দাম। এবার ৯০-এর ঘর পেরিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে নামছে রুপির মূল্যমান। ডলারের হিসেবে রুপির দাম ৯১-এর ঘরে ঠেকেছে। আজ মঙ্গলবার বাজার খোলার পর এক ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য কমে দাঁড়ায় ৯১.০৭১-এ। এই প্রথম ৯১-এর ঘর পার করল মার্কিন মুদ্রা। ডলারের নিরিখে ধারাবাহিক ভাবে পতনের ফলে রুপির দামে রের্কড পতন দেখা গিয়েছে এদিন। ভারতের বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারীদের অনুমান, পরিস্থিতি এমন থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে ডলারের বিনিময় রেট ৯২ রুপিতে ঠেকতে পারে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে রুপির পতন কোনও আশ্চর্য ঘটনা নয়। তবে পতনের গতি অপ্রত্যাশিত। বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলোর পুঁজি প্রত্যাহার অব্যাহত। এই সবেরই প্রভাব পড়েছে রুপিতে। দিনের শুরুতে, ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ৯০.৮৩-এর রেকর্ড সর্বনিম্ন দরে পৌঁছে যায়। লেনদেন শুরু হওয়ার পর ০.১ শতাংশ কমে ৯০.৭৯-এ দাঁড়ায়। আমেরিকার মু্দ্রার হিসাবে রুপি সর্বকালের সর্বনিম্ন দামে নেমে আসে মঙ্গলবার।

মেগাভূমিকম্পের সতর্কতা তুলে নিল জাপান

মেগাভূমিকম্পের সতর্কতা তুলে নিল জাপান জাপানের উত্তর উপকূলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর সম্ভাব্য মেগাভূমিকম্পের জন্য জারি করা সতর্কতা প্রত্যাহার করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। আজ এ তথ্য জানানো হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) এবং অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এফডিএমএ) জানায়, গত ৮ ডিসেম্বরের ভূমিকম্পে সর্বোচ্চ ৭০ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার সুনামি ঢেউ সৃষ্টি হয়। এতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পর জেএমএ একটি বিরল সতর্কতা জারি করে। এতে দেশটির উত্তরে ৮ মাত্রা বা তার বেশি শক্তিশালী মেগাভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭ মাত্রা বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের পর সাত দিনের মধ্যে মেগাভূমিকম্প ঘটার আশংকা প্রায় এক শতাংশ। এ সতর্কতার অংশ হিসেবে বাসিন্দাদের জরুরি ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত রেখে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। জেএমএর কর্মকর্তা ইসেই সুগানুমা আজ এএফপিকে বলেন, বাসিন্দাদের জন্য জারি করা বিশেষ সতর্কতার সময়সীমা মধ্যরাতে শেষ হয়ে গেছে।

মেক্সিকোতে জরুরি অবতরণকালে ছোট প্লেন বিধ্বস্ত, ৭ আরোহী নিহত

মেক্সিকোতে জরুরি অবতরণকালে ছোট প্লেন বিধ্বস্ত, ৭ আরোহী নিহত মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে জরুরি অবতরণের সময় একটি ছোট প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিন আরোহী ছাড়া বাকি সবাই নিহত হয়েছেন। আজ বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে সোমবার একটি ছোট প্লেন জরুরি অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। মেক্সিকো স্টেট সিভিল প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর আদ্রিয়ান হার্নান্দেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সান মাতেও আতেনকো এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি শিল্পাঞ্চল এবং টোলুকা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে এলাকাটির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। প্লেনটি মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী শহর আকাপুলকো থেকে উড্ডয়ন করেছিল। হার্নান্দেজ জানান, ব্যক্তিমালিকানাধীন ওই জেটে ৮ জন যাত্রী ও ২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত মাত্র ৭টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্লেনটি একটি ফুটবল মাঠে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করছিল। কিন্তু অবতরণের সময় পাশের একটি কারখানার ধাতব ছাদে আঘাত হানে, যার ফলে বড় ধরনের আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মমতার কড়া নির্দেশ

৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মমতার কড়া নির্দেশ দীর্ঘ ৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে ফের বসতে চলেছে বিশ্ব ইজতেমার আসর। নতুন বছরের শুরুতেই হুগলি জেলার তাজপুর থানার অন্তর্গত দাদপুরের পুইনান এলাকায় আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই ধর্মীয় মহাসমাবেশ। আগামী ২ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ইজতেমা। ৫ জানুয়ারি আখরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইজতেমাকে ঘিরে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আয়োজকদের প্রাথমিক অনুমান, চার দিনে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মুসল্লির সমাগম হতে পারে। নামাজ আদায়, ইসলামী বয়ান শোনা এবং শান্তি-কল্যাণ ও আল্লাহর রহমত কামনায় একত্রিত হবেন মুসল্লিরা। বিশ্ব ইজতেমার মতো এত বড় জনসমাবেশ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সোমবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিশিষ্ট ইমাম, পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা, হুগলি জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য থাকা, খাবার, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা গুজব রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে সাইবার সেলকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শেষবার পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিন দশকের বেশি সময় পর ২০২৬ সালে বৃহৎ এই ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি মিডিয়া মোগল জিমি লাই দোষী সাব্যস্ত

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি মিডিয়া মোগল জিমি লাই দোষী সাব্যস্ত হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি মিডিয়া মোগল ও চীনের সমালোচক জিমি লাইকে বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির হাইকোর্ট। খবর বিবিসির। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা সব অভিযোগে হাইকোর্ট জিমি লাইকে দোষী ঘোষণা করেন। তবে তার সাজা কী হবে, তা পরে জানানো হবে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।  রায় ঘোষণার সময় বিচারকরা বলেন, “আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই যে লাই (চীনা কমিউনিস্ট পার্টির) সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার অভিপ্রায় থেকে কখনোই সরে আসেননি।” বিচারকদের মতে, হংকংয়ের জনগণকে সহায়তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা ‘এমন পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয়, যেখানে কোনো মার্কিন নাগরিক ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যকে সহায়তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার উৎখাতে রাশিয়ার সাহায্য চাইছে।’ তারা আরো বলেন, প্রমাণে দেখা যায় লাইয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল- ‘চীন ও হংকংয়ের জনগণের স্বার্থকে বিসর্জন দেওয়া’। ৭৮ বছর বয়সী জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি বিদেশি যোগসাজশের অভিযোগ এবং একটি রাষ্ট্রবিরোধী প্রকাশনার অভিযোগ অভিযোগ আনা হয়। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও চীনের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আগে, লাই একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে চীনে জন্মগ্রহণ করেন। কমিউনিস্টরা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ১২ বছর বয়সে লাই চীন থেকে একটি মাছ ধরার নৌকায় করে পালিয়ে হংকংয়ে চলে আসেন। তিনি হংকংয়ে বিভিন্ন কাজ করে ইংরেজি শেখার পর, ১৯৭৭ সালে পোশাক ব্র্যান্ড জিওর্দানো প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যবসাটি একটি ফ্যাশন সাম্রাজ্যে পরিণত হয়, যা তাকে কোটিপতি করে তোলে। তিয়ানানমেন স্কোয়ারের দমন-পীড়নের ঘটনার পর জিমি লাই মিডিয়া জগতের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং নেক্সট মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। এর অধীনে বিখ্যাত সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলি প্রকাশিত হতো, যা চীনের কঠোর নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল।

ইউক্রেনের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বাহিনী ফ্রন্টলাইন শহর হুলিয়াইপোলের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ভারভারিভকা গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির। গত ১ ডিসেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক কমান্ড পোস্ট সফরের সময় রাশিয়ান কমান্ডার আন্দ্রেই ইভানায়েভ দাবি করেছিলেন, রুশ বাহিনী হুলিয়াইপোল গ্রামে প্রবেশ করে এর উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে। তবে ইউক্রেন দুই দিন পরই এই দাবি অস্বীকার করে। ইউক্রেনীয় সামরিক মুখপাত্র ভ্লাদিস্লাভ ভলোশিন জানান, রুশ সেনারা হুলিয়াইপোল শহরের যোগাযোগ ও সরবরাহ পথ বিচ্ছিন্ন করে শহরটি ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। এদিকে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ দাবি করেছেন, হুলিয়াইপোলসহ আশপাশের এলাকায় রুশ বাহিনীর ১৯টি হামলা প্রতিহত করেছে তাদের সেনারা। তবে বিবৃতিতে ভারভারিভকা গ্রাম নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। আনাদোলু জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে রাশিয়ার দাবির স্বাধীন যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া, লুহানস্ক, ডোনেস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, এছাড়াও খারকিভ, সুমি ও দনিপ্রোপেত্রোভস্কের কিছু অংশও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ জুড়ে বিস্তৃত এলাকা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া এই অঞ্চলগুলোর সংযুক্তির ঘোষণা দেয়। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এবং কিয়েভ এটিকে প্রহসন বলে খারিজ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।

কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭, আহত ২০

কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭, আহত ২০ কলম্বিয়ায় এক মর্মান্তিক স্কুলবাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় অ্যান্টিওকিয়া প্রদেশে একটি স্কুলবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডেইলি মেইলের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে অ্যান্টিওকিয়ার গভর্নর আন্দ্রেস জুলিয়ান জানান, বাসটি ক্যারিবীয় উপকূলীয় শহর টোলু থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেডেলিন শহরে ফিরছিল। বাসটিতে লিসেও অ্যান্টিওকেনো হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সমুদ্রসৈকতে তাদের গ্র্যাজুয়েশন উদযাপন শেষে ফিরছিলেন। ডিসেম্বরের এমন সময়ে এই দুর্ঘটনা পুরো সম্প্রদায়ের জন্যই অত্যন্ত বেদনাদায়ক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল কলোম্বিয়ানো জানায়, ভোর আনুমানিক ৫টা ৪০ মিনিটে রেমেদিওস ও সারাগোসা সংযোগকারী সড়কের এল চিসপেরো এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটিতে মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণ এলাকার পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটি প্রায় ৮০ মিটার গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন।  স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণটি স্কুলের আনুষ্ঠানিক কোনো কার্যক্রম ছিল না, এটি শিক্ষার্থীরাই নিজেরা আয়োজন করেছিলেন। অ্যান্টিওকেনো হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ২০২৫ সালের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা যারা এই ভ্রমণে অংশ নিয়েছিল, এই গভীর শোকের মুহূর্তে আমরা তাদের এবং আমাদের পুরো সম্প্রদায়ের পাশে আছি।’ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোও এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর অতর্কিত হামলায় দুই জন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ায় গতকাল শনিবার (আইএস)-এর হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন দো-ভাষী নিহত এবং সেনাবাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশিয়াল প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ‘আমরা সিরিয়ায় তিন জন ‘মহান দেশপ্রেমী আমেরিকানের’ মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি,’ এবং ‘অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেছেন, সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এখানে ইউনেস্কো-তালিকাভুক্ত প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এই অঞ্চলটি এক সময় আইএস (ইসলামিক স্টেট) গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আইএস গ্রুপটি আইএসআইএস নামেও পরিচিত এবং এক সময় সিরিয়ায় বিস্তৃত এলাকাকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে, এই ভয়াবহ আক্রমণটি একজন আইএসআইএস বন্দুকধারী কর্তৃক পরিচালিত আক্রমণ। হামলায় অংশ নেওয়া ওই আইএস সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। ট্রাম্প এটিকে ‘সিরিয়ায় অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে আইএসআইএস-এর একটি আক্রমণ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আহত তিন জন মার্কিন সেনা ‘ভালো আছেন’।