ভারত-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: বেইজিং

ভারত-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: বেইজিং চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন অভিযোগ এনেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, চীন ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতিরক্ষা নীতিকে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে। ভারতের সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় উত্তজনা প্রশমনের সুযোগ নিয়ে চীন ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে কি না- বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেইজিংয়ে সংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এই মন্তব্য করেন। লিন বলেন, “চীন ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে একটি কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে।” তিনি আরো যোগ করেন যে, “সীমান্ত ইস্যুটি চীন ও ভারতের মধ্যকার নিজস্ব বিষয় এবং এই বিষয়ে অন্য কোনো দেশের বিচার বা মন্তব্য করার ঘোর বিরোধী আমরা।” গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, চীন ‘সম্ভবত এই উত্তজনা হ্রাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক আরো গভীর হওয়া ঠেকাতে চায়।’ দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সীমান্ত উত্তেজনার পর ভারত ও চীনের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা এবং ব্রিকস সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি-শি জিনপিংয়ের বৈঠক আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এই উন্নয়নকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। ভারতের জন্য এই পরিস্থিতি একটি সূক্ষ্ম কূটনৈতিক পরীক্ষা। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অন্যতম প্রধান প্রতিরক্ষা সহযোগী এবং ‘কোয়াড’-এর অংশীদার। অন্যদিকে, চীন প্রতিবেশী দেশ এবং অন্যতম বড় বাণিজ্য সহযোগী। বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের একাধিপত্য রুখতে ভারতকে একটি প্রধান স্তম্ভ মনে করে ওয়াশিংটন। যদি ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়, তবে ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে যে নিঃশর্ত কৌশলগত সমর্থন প্রয়োজন ছিল, তাতে কিছুটা শিথিলতা আসতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে। ভারত ও চীন উভয়েই আপাতত সংঘাতের চেয়ে স্থিতিশীলতার দিকেই বেশি ঝুঁকছে। তবে এই শান্তি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নির্ভর করবে সীমান্তে দুই দেশের সেনা অবস্থানের প্রকৃত চিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার ওপর।
উত্তপ্ত ভারতের আসাম, উপজাতি অঞ্চলে সহিংসতায় নিহত ২
উত্তপ্ত ভারতের আসাম, উপজাতি অঞ্চলে সহিংসতায় নিহত ২ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে উপজাতিদের অন্যতম স্বশাসিত অঞ্চল কার্বি-আংলং এলাকায় সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর সেখানে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। উপজাতীয়দের এলাকা হিন্দিভাষী, বাঙালি ও নেপালিরা ‘দখল করে রেখেছে’ এবং ওই ‘বহিরাগতদের উৎখাত করতে হবে’- এমন দাবি নিয়ে অনশন আন্দোলন চলছিল গত ৬ ডিসেম্বর থেকে। গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) অনশনকারীদের ‘তুলে’ গুয়াহাটিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। তারপরেই সহিংসতা শুরু হয়। মঙ্গলবারও সহিংসতা চলেছে। আসাম পুলিশের মহাপরিচালক হরমিত সিং বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, তিনি নিজে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। মহাপরিচালক জানান, অনশন আন্দোলন যারা করছিলেন, তাদের নেতাকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকদের পরামর্শেই। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। এরপরই ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা একটি সেতু দখল করতে চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের ওপরে বোমা নিক্ষেপ ও তীর ছুঁড়ে হামলা চালানো হয় বলে জানান হরমিত সিং। এরপরে বহিরাগতদের দোকান ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ইট ছোঁড়াছুঁড়ি করতে দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ভিডিওতে। কী দাবিতে আন্দোলন? ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল অনুযায়ী কার্বি আংলং অঞ্চলটির প্রশাসন চালায় স্বয়ংশাসিত একটি কাউন্সিল। সেখানকার জমি, অরণ্যের ওপরে উপজাতীয়দের অধিকারও সংরক্ষিত রয়েছে। ওয়েস্ট কার্বি আংলং জেলার কার্বি উপজাতীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত, অ-উপজাতীয় মানুষ তাদের সংরক্ষিত অঞ্চলে জমি দখল করে রয়েছে। কার্বি আংলং স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিল ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংরক্ষিত এলাকা থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও গৌহাটি হাইকোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনের ফলে সেই প্রক্রিয়া নিয়ে এগোনো যায়নি। গত এক বছর ধরে স্থানীয় উপজাতীয়রা দাবি করে আসছেন, বহিরাগত এবং দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। অবশেষে কার্বি উপজাতীয়রা ৬ ডিসেম্বর থেকে এ দাবি নিয়ে অনশন শুরু করেন। এ অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিচালক। এর আগে, রাজ্যের মন্ত্রী রনোজ পেগুও ওয়েস্ট কার্বি জেলার খেরোনিতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ২৬ ডিসেম্বর রাজ্য সরকার, কার্বি আংলং স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিল এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। তিনি বলেন, আমরা কার্বি সমাজকে বলেছিলাম, সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে জমির অধিকার এবং উপজাতীয়দের অন্যান্য সমস্যাগুলো নিয়ে দেখছে। কার্বি সমাজের বৃহত্তর সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। সহিংসতার শুরু যেভাবে আলোচনার কথা থাকলেও সোমবার থেকে হঠাৎই সহিংসতা শুরু হয়। বার্তা সংস্থা এএনআই এবং আসামের গণমাধ্যম জানায়, সোমবার অনশনরত আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে গেলে প্রথমে স্থানীয় কিছু মানুষ রাস্তা অবরোধ করে। এরপরে তারা মিছিল করে গিয়ে ডংকামুকাম এলাকায় কার্বি আংলং স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলের প্রধান তুলিরাম রংহাঙের পারিবারিক বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মঙ্গলবার রাতে তার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ দাবি করছেন, নিহতদের একজন পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। রাজ্য পুলিশের আইজি আইনশৃঙ্খলা অখিলেশ কুমার সিং জানান, আন্দোলনকারীদের ছোড়া পাথর এবং ইটের ঘায়ে অন্তত ৪৮ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়তি পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা অনুযায়ী স্বাভাবিক চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়। একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি মানুষ একত্রিত হওয়া, বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ, মশাল নিয়ে মিছিল করা ইত্যাদি নিষিদ্ধ হয়েছে কার্ব আংলং এলাকায়। সেদিন থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে রেখেছে সরকার।
নাইজেরিয়ার মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৭
নাইজেরিয়ার মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৭ নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর মাইদুগুরিতে একটি মসজিদের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে। এই হামলার দায় এখনো কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে জিহাদবিরোধী মিলিশিয়া নেতা বাবাকুরা কোলোর মতে, এটি একটি সন্দেহজনক বোমা হামলা। মাইদুগুরি নাইজেরিয়ার বর্নো রাজ্যের রাজধানী। এই রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে জিহাদি সংগঠন বোকো হারাম এবং তাদের সহযোগী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্সের (আইএসডব্লিউএপি) বিদ্রোহের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। যদিও শহরটিতে গত কয়েক বছরে বড় ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, শহরের গামবোরু বাজার এলাকার একটি মসজিদের ভেতরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাগাদ মুসল্লিরা যখন মাগরিবের নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, তখন মসজিদের ভেতর বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। মসজিদের অন্যতম নেতা মালাম আবুনা ইউসুফ নিহতের সংখ্যা আটজন বলে জানিয়েছেন। তবে সরকারি কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। নাইজেরিয়ান পুলিশের মুখপাত্র নাহুম দাসো এএফপিকে বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছেন। বাবাকুরা কোলোর মতে, এই হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি মসজিদের ভেতর রাখা হয়েছিল এবং নামাজ চলাকালীন মাঝামাঝি সময়ে সেটি বিস্ফোরিত হয়। তবে কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এটিকে আত্মঘাতী বোমা হামলা বলেও বর্ণনা করেছেন। আহতদের সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ইসা মুসা ইউশাউ এএফপিকে বলেন, আমি অনেক আহত মানুষকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেখেছি। ঘটনার পরপরই ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় একজন ব্যক্তি মাটিতে কাতরাচ্ছেন এবং কয়েকটি মরদেহ চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এদিকে, মাইদুগুরিতে কর্মরত একটি আন্তর্জাতিক এনজিও তাদের কর্মীদের কাছে পাঠানো নিরাপত্তা সতর্কবার্তায় গামবোরু বাজার এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এএফপি ওই সতর্কবার্তাটি দেখেছে। ২০০৯ সাল থেকে নাইজেরিয়া জিহাদি বিদ্রোহের মুখে রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যদিও এক দশক আগের তুলনায় সহিংসতা কিছুটা কমেছে, তবু এই বিদ্রোহ পাশের দেশ নাইজার, চাদ ও ক্যামেরুনেও ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় সহিংসতা নতুন করে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের সামরিক অভিযানের পরও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এখনো প্রাণঘাতী হামলা চালানোর সক্ষমতা ধরে রেখেছে। মাইদুগুরি শহরটি একসময় নিয়মিত গোলাগুলি ও বোমা হামলার সাক্ষী ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত রয়েছে। শহরটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে ২০২১ সালে। তবুও রাজ্যের রাজধানীতে সংঘাতের চিহ্ন এখনো স্পষ্ট। এখানেই বড় বড় সামরিক অভিযানের সদর দপ্তর অবস্থিত। প্রতিদিন সামরিক পিকআপ গাড়ি শহরের রাস্তায় চলাচল করে, যেগুলোর পেছনে সশস্ত্র সেনারা অবস্থান নেন এবং তাদের হেলমেট প্রখর দুপুরের রোদ থেকে সুরক্ষা দেয়। সন্ধ্যার পরও শহরে নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট কার্যকর থাকে। যদিও একসময় দুপুরের পর বন্ধ হয়ে যেত এমন বাজারগুলো এখন রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্রোহ এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, চলতি বছরে জিহাদি সহিংসতা আবারও বাড়তে পারে।
তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প

তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আজ ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। ইউএসজিএস জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে তাইতুন কাউন্টিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তাইপে থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ভূমিকম্পটির প্রভাব রাজধানী তাইপেসহ দ্বীপটির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়। এতে কিছু ভবন কেঁপে ওঠে। তাইওয়ানের ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত দেশটির পরিবহন নেটওয়ার্কে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, তাইতুন এলাকায় সুপারমার্কেটের তাক থেকে পণ্য পড়ে ভেঙে যেতে। এর আগে তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ১ বলে ধারণা করেছিল। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর কাছে দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় তাইওয়ানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ইউএসজিএসের মতে, অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে ভূকম্পন-সক্রিয় এলাকাগুলোর একটি। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্পটি ২০২৪ সালের এপ্রিলে সংঘটিত হয়, যখন ৭ দশমিক ৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী কম্পনে দ্বীপটি কেঁপে ওঠে। ওই ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত হন এবং হুয়ালিয়েন এলাকায় ব্যাপক ভবন ক্ষয়ক্ষতি ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ১৯৯৯ সালে সংঘটিত ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এটিই ছিল তাইওয়ানের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোত নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ১৭ শতাংশ কমে গেছে। ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের এক প্রতিবেদনের বরাতে বিশ্লেষণধর্মী সংবাদমাধ্যম ইউএসনিউজ তাদের এক নিবন্ধে লিখেছে, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি কমে গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ১৭ শতাংশ কমেছে। যা আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদদের সমিতির অনুমান অনুসারে, প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব এবং প্রায় ২৩,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারানোর সমতুল্য। যদিও স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থী ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে স্নাতক এবং ডিগ্রিবিহীন প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তি যথাক্রমে ১২ এবং ১৭ শতাংশ কমেছে। ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের গবেষণা ও মূল্যায়ন প্রধান মিরকা মার্টেল বলেন, এই প্রতিবেদনটি স্প্রিং সেমিস্টারের শুরুতে প্রায় ৮২৫টি প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতির একটি প্রাথমিক চিত্র মাত্র। সম্পূর্ণ তথ্য ওপেন ডোরস ২০২৬ রিপোর্টে প্রকাশিত হবে। ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের মতে, এই প্রবণতার প্রধান কারণ হলো ভিসা সমস্যা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের প্রবেশের বিষয়ে মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত। এই প্রভাবগুলোর একটি উদাহরণ সান দিয়াগো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দেখা গেছে। সেখানে বিদশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০২৪ সালের স্প্রিং সেশনে ভর্তি হওয়া ৯৫৭ জন থেকে কমে ২০২৫ সালের স্প্রিং সেশনে ৮৮৯-এ দাঁড়িয়েছে। এতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে কিছু মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় দেশীয় শিক্ষার্থী ভর্তি জোরদার করেছে এবং তাদের ওয়েটিং লিস্ট দীর্ঘ করেছে। ৭০ শতাংশেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের স্প্রিং সেশন পর্যন্ত ভর্তি স্থগিত রাখার অনুমতি দিয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাস বা অনলাইন লার্নিং প্রোগ্রামও ব্যবহার করেছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমে যাওয়াটা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। এই প্রবণতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল, আন্তর্জাতিক একাডেমিক অংশীদারিত্ব এবং মার্কিন উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বৈশ্বিক অবস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, বেড়েছে তেলের দামও

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০০ ডলারের সীমা ছুঁইছুঁই করছে। মার্কিন-ভেনিজুয়েলা উত্তেজনার জেরে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে মূল্যবান এই ধাতুর দিকে ঝুঁকছেন। একইসঙ্গে রুপার দামও পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। আজ ২৩ ডিসেম্বর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৪১ ডলারে দাঁড়িয়েছে, সেশনের শুরুতে যা রেকর্ড ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৫৫ ডলারে পৌঁছেছিল। ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৫১৯ দশমিক ৭০ ডলারে লেনদেন হয়েছে। কেসিএম ট্রেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, ‘মার্কিন-ভেনিজুয়েলা উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের কাছে অনিশ্চয়তার বিপরীতে সুরক্ষা হিসেবে স্বর্ণকে আবারও নজরে এনেছে। মার্কিন সুদের হার আরও কমতে পারে-এমন প্রত্যাশার মধ্যেই চলতি সপ্তাহে স্বর্ণের দামে এই উত্থান দেখা যাচ্ছে। এদিকে স্পট মার্কেটে রুপার দাম রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৯৮ ডলার ছুঁয়েছে। চলতি বছরে রুপার দাম বেড়েছে ১৪১ শতাংশের বেশি। সরবরাহ ঘাটতি, শিল্প খাতে চাহিদা এবং বিনিয়োগ প্রবাহের কারণে রুপার বৃদ্ধির হার স্বর্ণকেও ছাড়িয়ে গেছে। পেপারস্টোনের সিনিয়র কৌশলবিদ মাইকেল ব্রাউন বলেন, উৎসবের মৌসুমে তারল্য কমে যাওয়ায় বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যেতে পারে। তবে ভলিউম বাড়লে আবারও ঊর্ধ্বগতি শুরু হবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, আগামী বছর স্বর্ণের জন্য ৫ হাজার ডলার এবং দীর্ঘমেয়াদে রুপার জন্য ৭৫ ডলার একটি স্বাভাবিক লক্ষ্য হতে পারে। অন্যদিকে স্পট প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২ হাজার ১৪৫ দশমিক ১০ ডলারে পৌঁছেছে, যা ১৭ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্যালাডিয়ামের দামও ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮১৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনের নিন্দা যুক্তরাজ্যের

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনের নিন্দা যুক্তরাজ্যের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মন্ত্রী হামিশ ফ্যালকনার বলেন, “যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের নিন্দা জানাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এগুলো অবৈধ।”সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের জানান, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। ফলে গত তিন বছরে অনুমোদিত অবৈধ বসতির মোট সংখ্যা ৬৯টিতে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ব্রিটিশ মন্ত্রী ফ্যালকনার বলেন, “ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ ২০ দফা পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও নিরাপত্তার সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। কেবল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ।” আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল ও পরে অঞ্চলটিকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। জেরুজালেমকে বাদ দিলে পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস। দখল করা ভূমিতে ইসরায়েলের এ ধরনের বসতি স্থাপনকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও অবৈধ বলে মনে করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ইসরায়েলকে এসব কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে অসংখ্য প্রস্তাব পাস হয়েছে
ইন্দোনেশিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল বাস, নিহত ১৬

ইন্দোনেশিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল বাস, নিহত ১৬ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার কাছে একটি মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানী জাকার্তা থেকে ইয়োকার্তাগামী একটি বাস মহাসড়কের ইন্টারচেঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর খালিজ টাইমসের। স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান বুদিওনো জানান, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছিল। হাইওয়ে ইন্টারচেঞ্জের একটি মোড় ঘোরার সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের প্রতিবন্ধকতায় সজোরে ধাক্কা খায় এবং উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৫ জন প্রাণ হারান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়। বাসটিতে ৩৪ জন যাত্রী ছিল। বাকিদের উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য সেমারাং শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়ার এই দেশটিতে পরিবহন দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে পুরোনো যানবাহনগুলো ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না এবং নিয়মিত সড়কের নিয়ম-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১০

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১০ দক্ষিণ আফ্রিকায় এক বন্দুক হামলায় ১০ জন নিহত ও অপর ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। জোহানেসবার্গ থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। পুলিশ এএফপিকে জানায়, নগরী থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকারসডালে এ গুলি হামলার ঘটনা ঘটে। তবে, গুলি চালানোর উদ্দেশ্য জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের পরিচয় এখনো সনাক্ত করা যায়নি। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় চলাচলরত ক’জনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, রাশিয়াকে শান্তি আলোচনায় রাজি করানোর সক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জেলেনস্কির এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন নতুন দফার আলোচনার লক্ষ্যে কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে একত্রিত হয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ছয় মাসের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে যুদ্ধ শেষ করতে হলে মস্কোর ওপর আরও কঠোর চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়াকে রাজি করানোর ক্ষমতা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে। যদি কূটনীতি কাজ না করে, তাহলে পূর্ণ চাপ প্রয়োগ করতে হবে।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো সেই মাত্রার চাপ অনুভব করেননি, যা তার ওপর থাকা উচিত। তিনি ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহ এবং রাশিয়ার সমগ্র অর্থনীতির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কিরিল দিমিত্রিভ মিয়ামিতে পৌঁছেছেন। সেখানে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দিমিত্রিভ সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা গঠনমূলকভাবে শুরু হয়েছে এবং তা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের দূতরা একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। তবে এর বিনিময়ে কিয়েভকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিতে হতে পারে—যা অনেক ইউক্রেনীয়র মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সম্মতি ছাড়া কোনো শান্তি চুক্তি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “ইউক্রেন রাজি না হলে কোনো শান্তি চুক্তি হবে না।” রুবিও শনিবার নিজ শহর মিয়ামিতে আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বলেও জানান। উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সর্বশেষ সরাসরি আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছিল গত জুলাই মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। ওই আলোচনার ফলে বন্দী বিনিময় হলেও যুদ্ধ বন্ধে কোনো অগ্রগতি হয়নি।