থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘর্ষ অব্যাহত, সীমান্ত থেকে পালিয়েছে ৫ লাখ মানুষ

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘর্ষ অব্যাহত, সীমান্ত থেকে পালিয়েছে ৫ লাখ মানুষ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ টানা তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, সীমান্তের ওপার থেকে গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলার ফলে পাঁচ লাখের বেশি বেসামরিক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। খবর আল-জাজিরার। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের কর্মকর্তারা একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরু করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া আন্তসীমান্ত সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩ জন সেনা ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। সীমান্তের উভয় পাশের ৫ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরসান্ত কংসিরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাতটি প্রদেশে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য আসন্ন হুমকি হিসাবে যা মূল্যায়ন করেছি, তার কারণে বেসামরিক লোকদের বিপুল সংখ্যক সরিয়ে নিতে হয়েছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার সকালে কম্বোডিয়া থেকে ছোড়া রকেট সুরিনের ফানম ডং রাক হাসপাতালের কাছে এসে পড়ে, যার ফলে রোগী ও হাসপাতালের কর্মীরা একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা বলেন, পাঁচটি প্রদেশে ১ লাখ ১ হাজার ২২৯ জনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কম্বোডিয়ার সংবাদমাধ্যম কম্বোডিয়ানেসের খবর অনুসারে, থাইল্যান্ডের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো দেশের দুটি এলাকায় হামলা করেছে। সীমান্তবর্তী আরো অন্তত ৩টি এলাকায় থাইল্যান্ডের গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ম্যাটিচনের খবর অনুসারে, বুধবার সকালে সীমান্তে ‘একটি কম্বোডিয়ান সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলার করার জন্য দেশটির সেনাবাহিনী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের দ্য নেশন সংবাদমাধ্যমের মতে, বুধবার ভোরে থাইল্যান্ডের ৪টি প্রদেশের ১২টি ফ্রন্ট-লাইন এলাকা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে কম্বোডিয়া। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশ থেকে রিপোর্ট করা আল-জাজিরার সংবাদিক রব ম্যাকব্রাইড বলেন, থাই সেনাবাহিনী মঙ্গলবার রাতে বলেছে, কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী প্রায় সব প্রদেশেই লড়াই চলছে। ম্যাকব্রাইড বলেন, কেবল সুরিন প্রদেশেই পাঁচটি ভিন্ন স্থানে গুলি বিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে এবং এখানকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “সীমান্তের উভয় পাশেই কয়েক লাখ মানুষ অতীতের মতো আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং লড়াই অব্যাহত রয়েছে।” উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার ওডার মিঞ্চে থেকে রিপোর্ট করে আল-জাজিরার সাংবাদিক বার্নাবি লো বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচটি সীমান্ত প্রদেশে লড়াই ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায় ১০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের আবাসস্থলের একটি শিবিরে অনেকে প্লাস্টিকের অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছে, আবার অন্যদের কাছে রোদ ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আশ্রয় তৈরির উপকরণও নেই। লো বলেন, “কিন্তু এখানে আরো বড় উদ্বেগ হলো, সহিংসতা আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই মুহূর্তে, মানুষজন জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে, কারণ যেখানে লড়াই চলছে সেখান থেকে আমরা কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা সত্ত্বেও বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শুনতে পাচ্ছি। তাই মানুষজন জিনিসপত্র গুছিয়ে অন্য একটি আশ্রয় শিবিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।” লো আরো বলেন, কম্বোডিয়ার সিনেট প্রেসিডেন্ট ও সাবেক নেতা হুন সেন থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে এই সংঘাত দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর আগে, গত জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দিনের সীমান্তযুদ্ধ হয়েছিল। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারায় এবং তিন লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে ২৭ জুলাই প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করান। ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে বলেন, তিনি নতুন করে শুরু হওয়া লড়াই বন্ধ করার জন্য সরাসরি ফোন করবেন। ট্রাম্প মার্কিন রাজ্য পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, “আমাকে একটি ফোন কল করতে হবে। আর কে বলবে, আমি একটি ফোন কল করব এবং দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামাব।” তবে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকিও আল জাজিরাকে বলেন, সীমান্ত সংঘাত বন্ধে তিনি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। তিনি আরো দাবি করেন, ব্যাংকক সংঘর্ষ শুরু করেনি। মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে যে, থাইল্যান্ড নির্বিচারে বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে, ফলে তাদের সেনাদের প্রতিরোধ করা ছাড়া উপায় ছিল না। ব্যাংকক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতির ইঙ্গিত হিসেবে, কম্বোডিয়া বুধবার ঘোষণা করেছে যে, ‘গুরুতর উদ্বেগের’ কারণে তারা থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গেমস থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩০

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩০ জাপানে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘরের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুসারে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দেশটির উত্তরাঞ্চল। আওমোরি অঞ্চলের উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়, যা এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই আওমোরি ও হোক্কাইডোর কিছু অংশে ৭০ সেমি (২৭ ইঞ্চি) উঁচু ঢেউ দেখা যায়। এসময়, সরিয়ে নেওয়া হয় উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের। ভূমিকম্পের প্রভাবে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। ইস্ট জাপান রেলওয়ে কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, আগামী দিনে আরো শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে। জনসাধারণকে কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের উদ্দেশে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি বলেন, “আপনারা সবাই সামনের কয়েক দিন সতর্ক থাকবেন। কম্পন অনুভূত হওয়ামাত্র যেখানেই থাকুন- তাৎক্ষণিকভাবে যেন বাইরে বেরিয়ে পড়তে পারেন- সে বিষয়ক প্রস্তুতি রাখবেন। ভূমিকম্পের নিজেদের মূল্যবান সম্পত্তি-আসবাবপত্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- সে বিষয়েও সতর্ক থাকবেন।” বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্প ও সুনামি সতর্কতা জারি হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে আওমোরি এবং আশপাশের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন জাপানের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের উদ্ধারকারী বাহিনী। জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা বলেন, “আমরা ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমসহ জরুরি দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।” জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ২০১১ সালে। হোনশু অঞ্চলে ৯.০ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের আঘাতে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং পুরো অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এটি রিং অব ফায়ারে অবস্থিত, যার ফলস্বরূপ, বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই বছরের শুরুতে, জাপানের ভূমিকম্প তদন্ত প্যানেল বলেছিল, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নানকাই খাদে একটি মেগাভূমিকম্প হওয়ার ৬০-৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অনুসারে, এটি ট্রিলিয়ন কোটি আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর বিস্তৃত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নানকাই খাদে ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। তিনি বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর এই শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, কারণ উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজে আমেরিকান কৃষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প দেশটির কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করার পর এই মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আমদানি দেশীয় উৎপাদকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টার কথা তিনি জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারতীয় চাল যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম দামে বিক্রি করে বাজার নষ্ট করার অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন। তিনি জানান, আমেরিকান কৃষকরা অভিযোগ করেছেন- ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে কম দামে চাল আমদানি হওয়ায় দেশের চালের দাম কমে যাচ্ছে এবং এতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবারের বৈঠকে ট্রাম্প মার্কিন কৃষকদের জন্য কয়েকশো কোটি ডলারের কৃষি ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ও একই সঙ্গে ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলো থেকে কৃষিপণ্য আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, বৈঠকে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান চাল কোম্পানি কেনেডি রাইস মিলসের সিইও মেরিল কেনেডি-সহ উপস্থিত কৃষকদের থেকে কোন কোন দেশ থেকে ভর্তুকিযুক্ত কৃষি পণ্য আমদানি করা হয় তার তালিকা চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই তালিকায় ছিল ভারত, থাইল্যান্ড এবং চিনের মতো দেশের নাম। এই দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সস্তা চাল পাঠানোর অভিযোগ। তালিকাটি দেখে ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভারত সম্পর্কে বলুন। ভারত কেন এটি করছে? চালের উপর কি কোনও শুল্ক ছাড় আছে?’ ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন যে, আমেরিকান কৃষকদের সুরক্ষার জন্য, ভারতীয় চালের ওপর আরো কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে। এই বছরের আগস্টে ট্রাম্প রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে আপত্তি তুলে ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেন। ভারত থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের উপর শুল্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। আগামী ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে আসছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। তার মধ্যেই ফের আরো শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
মেক্সিকোতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তিন পুলিশসহ নিহত ৫

মেক্সিকোতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তিন পুলিশসহ নিহত ৫ মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলের মিচোয়াকান রাজ্যে একটি পুলিশ স্টেশনের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত এবং আরো ১২ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এবিসি নিউজের। অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরের কিছু আগে উপকূলীয় শহর কোয়াহুয়ায়ানার পুলিশ স্টেশনের সামনেই গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন এবং আহতদের মধ্যে পাঁচজন একটি কমিউনিটি পুলিশ বাহিনীর সদস্য। এই রাজ্যে অসংখ্য অপরাধী গোষ্ঠী সক্রিয়, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী জালিসকো নিউ জেনারেশন কার্টেল। চলমান সহিংসতার কারণে সরকার সম্প্রতি এখানেই একটি বড় নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেছে। মিচোয়াকানে অপরাধী গোষ্ঠীগুলো ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা বা রাস্তার পাশে মাইন পাতার মতো কৌশল ব্যবহার করে থাকে। কমিউনিটি পুলিশের কমান্ডার হেক্টর জেপেদার মতে, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে মানুষের দেহাবশেষ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। রাজ্যের গভর্নর আলফ্রেডো রামিরেজ বেদোল্লা, ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের সরকারের সাত বছর উদযাপনের জন্য মেক্সিকো সিটিতে প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সাথে একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। দুই দশক ধরে বিভিন্ন সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠী অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করে আসছে, কারণ মিচোয়াকান সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রবেশদ্বার। তাদের আরেকটি লাভজনক ব্যবসাও রয়েছে: চাঁদাবাজি। ট্রাম্প প্রশাসন যে ছয়টি মাদক কার্টেলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করেছে তার মধ্যে অন্তত তিনটি – জালিস্কো নিউ জেনারেশন, ইউনাইটেড কার্টেলস এবং দ্য নিউ মিচোয়াকান ফ্যামিলি- মিচোয়াকানে কাজ করে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশীয় সশস্ত্র স্প্লিন্টার গ্রুপও রয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু সিনালোয়া কার্টেল দ্বারা সমর্থিত।
প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়!

প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়! পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ মসজিদ নির্মাণকে ঘিরে বিপুল অনুদানের ফলে তৈরি হয়েছে কার্যত নগদ অর্থের পাহাড়। ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা (রুপি) এনে ঘরের মাঝে ঢালা হচ্ছে, আর চারিদিকে বসা মানুষ সেই টাকা গুনছেন।একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে টাকা গোনা। টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। টাকা ভর্তি ১১টি ট্রাঙ্ক রয়েছে। আর সেই ট্রাঙ্কে থাকা টাকা গুনতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে। টাকা গোনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে। অনুদানের এই টাকা জমা পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার’ অধীনে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যত নগদ অর্থ দান হিসাবে জমা পড়েছে, তা আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে গোনা শুরু হয়। রাত ১২টার পরও চলে টাকা গোনা। তখনও পর্যন্ত ৭টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়, যা থেকে মেলে ৩৭ লাখ টাকা। পুরো টাকা গোনার কাজ চলছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিতে। হুমায়ুন কবিরের দাবি, বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগেই কতটা জনপ্রিয় তা শুধু এই অনুদানের টাকা দেখেই বোঝা যায়। তিনি আরো দাবি করেন, কেবল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনই কিআর কোড স্ক্যান করেই জমা পড়েছে ৯৩ লাখ টাকা। মসজিদ নির্মাণের জন্য ২ দিনেই দান হিসাবে পাওয়া গেছে অন্তত ১৫ লাখ ইট। গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন মুর্শিদাবাদে আবারো বাবরি মসজিদের নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রবিবার নিজে হাতে ইট নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। সেইদিনই তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাবরি মসজিদ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। তবে টাকা নিয়ে চিন্তা করছেন না হুমায়ুন, কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিই নাকি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য। আরো বহু মানুষ অনুদান দিচ্ছেন। হুমায়ুন দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বীরভূম, মালদাতেও ‘বাবরি’ মসজিদ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি থেকে কিছু লোক এসে অনুরোধ করেছেন। মালদা থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন, দাবি হুমায়ুনের। বীরভূম, মালদায় ‘বাবরি’ মসজিদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস হুমায়ুন কবীরের। বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য যে আপাতত নগদ অর্থের অভাব হবে না, তা এই বিপুল জমা অর্থ দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে টাকা গোনার এমন ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সাধারণ মানুষের একাংশ হুমায়ুনের স্বচ্ছতা প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও, বিরোধীরা নতুন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দানের উৎস, হিসাব ও আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।
চীনা সামরিক বিমানের রাডার লক করা ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ বলে ক্ষোভ টোকিওর

চীনা সামরিক বিমানের রাডার লক করা ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ বলে ক্ষোভ টোকিওর দক্ষিণ-পূর্ব ওকিনাওয়ার আকাশ সীমায় জাপানি যুদ্ধবিমানের ওপর চীনা সামরিক বিমান একাধিকবার রাডার লক করেছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। টোকিও এই ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। গত এক মাস ধরে বেইজিং-টোকিও সম্পর্ক ক্রমশঃ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর, বিশেষভাবে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। তাকাইচি তার ওই মন্তব্যে ইঙ্গিত দেন যে তাইওয়ানের ওপর হামলার ক্ষেত্রে জাপান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তিনি বলেছিলেন যে বল প্রয়োগ জড়িত থাকা তাইওয়ানের একটি জরুরি অবস্থা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। রোববার ভোরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, জাপান এই ঘটনায় চীনকে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। মন্ত্রণালয় আরো জানায়, শনিবার ঘটে যাওয়া এ সব ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ওকিনাওয়া দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র এলাকায়। সেখানে চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করা একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান জাপানি আকাশ সীমায় অনুপ্রবেশের পর, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উড়তে যাওয়া জাপানি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের ওপর বিরতিহীনভাবে রাডার লক করে। ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর, একই রণতরী থেকে আরও একটি জে-১৫ বিমান অন্য একটি জাপানি যুদ্ধবিমানের ওপর একই ধরনের রাডার লকঅন করে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ধরনের রাডার লক কেবল নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় সীমার বাইরে গিয়ে বিপজ্জনক আচরণের শামিল।’ বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনা ‘চরমভাবে দুঃখজনক’ বলেও মন্তব্য করা হয়। সামরিক বাহিনী সাধারণত ফায়ার কন্ট্রোল বা লক্ষ্য শনাক্তকরণের জন্য রাডার ব্যবহার করে থাকে। কোনো যুদ্ধবিমানের ওপর রাডার লক করা আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত হিসেবেও বিবেচিত হয়।
ভারতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন -জয়শঙ্কর

ভারতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন -জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কতদিন অবস্থান করবেন সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। শনিবার এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও এবং প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালকে তিনি এ কথা বলেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শত শত মানুষ মারা যায় এবং হাজার হাজার আহত হয়। তার সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। রাহুল কানওয়ালের সাথে কথা বলার সময় জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হাসিনা ‘যতদিন চান’ ভারতে থাকতে পারবেন কিনা। জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “আচ্ছা, এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টতই তার সাথে যা ঘটেছে তার একটি কারণ। কিন্তু আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে তাকে তার মন তৈরি করতে হবে।” ওই আলোচনায় নয়াদিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা শ্রীলঙ্কায়

ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থান পুনঃনির্মাণে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যদিও দেশটি শনিবারও নতুন ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। সরকার নিশ্চিত করেছে যে ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ৬০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ২১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং এই নিখোঁজ ব্যক্তিরা মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে একে দেশটির ‘সবচেয়ে কঠিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সমগ্র দেশে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষরা, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া পরিবারগুলোকে নিরাপদ এলাকায় জমি কিনে এবং সেখানে নতুন ঘর নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি রুপি (৩৩ হাজার ডলার) পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই দুর্যোগে যারা মারা গেছে অথবা স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে সরকার ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবে।
আরএসএফের ড্রোন হামলায় সুদানে শিশুসহ নিহত ৭৯

আরএসএফের ড্রোন হামলায় সুদানে শিশুসহ নিহত ৭৯ সুদানের দক্ষিণ কুর্দোফান রাজ্যে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৩ জনই শিশু। এ ছাড়া আরো ৩৮ জন আহত হয়েছে বলে গতকাল সুদানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে দক্ষিণ কুর্দোফান রাজ্য সরকার জানায়, নিহতদের মধ্যে ৪ জন নারী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম সুদানের কলোজি শহরে চালানো ওই হামলায় একটি ড্রোন চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাসপাতাল এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে।
প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান

প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএফ) নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান। এই পদে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার ডন অনলাইন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএফ) উভয় পদে মুনিরকে সুপারিশ করেছিলেন। তার সেই সুপারিশ অনুমোদিত হয়েছে বলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলেএক পোস্টে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাঁচ বছরের জন্য সিডিএফ হিসেবে এবং একই সাথে সিওএএস হিসেবে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন।” শেহবাজ শরিফের সরকার ২৯ নভেম্বর দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই দিন মুনিরের সেনাপ্রধান হিসেবে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সামরিক কমান্ডকে কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীর অধীনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের ভূমিকা গত মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসিম মুনির চলতি বছর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি সিডিএফের দায়িত্বের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। জেনারেল আইয়ুব খানের পর তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা যিনি ফিল্ড মার্শাল উপাধি পেয়েছেন।