৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মমতার কড়া নির্দেশ

৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা, নিরাপত্তা নিশ্চিতে মমতার কড়া নির্দেশ দীর্ঘ ৩৪ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে ফের বসতে চলেছে বিশ্ব ইজতেমার আসর। নতুন বছরের শুরুতেই হুগলি জেলার তাজপুর থানার অন্তর্গত দাদপুরের পুইনান এলাকায় আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই ধর্মীয় মহাসমাবেশ। আগামী ২ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ইজতেমা। ৫ জানুয়ারি আখরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইজতেমাকে ঘিরে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আয়োজকদের প্রাথমিক অনুমান, চার দিনে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মুসল্লির সমাগম হতে পারে। নামাজ আদায়, ইসলামী বয়ান শোনা এবং শান্তি-কল্যাণ ও আল্লাহর রহমত কামনায় একত্রিত হবেন মুসল্লিরা। বিশ্ব ইজতেমার মতো এত বড় জনসমাবেশ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সোমবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিশিষ্ট ইমাম, পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা, হুগলি জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য থাকা, খাবার, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা গুজব রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে সাইবার সেলকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শেষবার পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিন দশকের বেশি সময় পর ২০২৬ সালে বৃহৎ এই ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি মিডিয়া মোগল জিমি লাই দোষী সাব্যস্ত

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি মিডিয়া মোগল জিমি লাই দোষী সাব্যস্ত হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি মিডিয়া মোগল ও চীনের সমালোচক জিমি লাইকে বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির হাইকোর্ট। খবর বিবিসির। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা সব অভিযোগে হাইকোর্ট জিমি লাইকে দোষী ঘোষণা করেন। তবে তার সাজা কী হবে, তা পরে জানানো হবে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় বিচারকরা বলেন, “আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই যে লাই (চীনা কমিউনিস্ট পার্টির) সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার অভিপ্রায় থেকে কখনোই সরে আসেননি।” বিচারকদের মতে, হংকংয়ের জনগণকে সহায়তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা ‘এমন পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয়, যেখানে কোনো মার্কিন নাগরিক ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যকে সহায়তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার উৎখাতে রাশিয়ার সাহায্য চাইছে।’ তারা আরো বলেন, প্রমাণে দেখা যায় লাইয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল- ‘চীন ও হংকংয়ের জনগণের স্বার্থকে বিসর্জন দেওয়া’। ৭৮ বছর বয়সী জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি বিদেশি যোগসাজশের অভিযোগ এবং একটি রাষ্ট্রবিরোধী প্রকাশনার অভিযোগ অভিযোগ আনা হয়। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও চীনের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আগে, লাই একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে চীনে জন্মগ্রহণ করেন। কমিউনিস্টরা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ১২ বছর বয়সে লাই চীন থেকে একটি মাছ ধরার নৌকায় করে পালিয়ে হংকংয়ে চলে আসেন। তিনি হংকংয়ে বিভিন্ন কাজ করে ইংরেজি শেখার পর, ১৯৭৭ সালে পোশাক ব্র্যান্ড জিওর্দানো প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যবসাটি একটি ফ্যাশন সাম্রাজ্যে পরিণত হয়, যা তাকে কোটিপতি করে তোলে। তিয়ানানমেন স্কোয়ারের দমন-পীড়নের ঘটনার পর জিমি লাই মিডিয়া জগতের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং নেক্সট মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। এর অধীনে বিখ্যাত সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলি প্রকাশিত হতো, যা চীনের কঠোর নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল।
ইউক্রেনের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বাহিনী ফ্রন্টলাইন শহর হুলিয়াইপোলের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ভারভারিভকা গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির। গত ১ ডিসেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক কমান্ড পোস্ট সফরের সময় রাশিয়ান কমান্ডার আন্দ্রেই ইভানায়েভ দাবি করেছিলেন, রুশ বাহিনী হুলিয়াইপোল গ্রামে প্রবেশ করে এর উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে। তবে ইউক্রেন দুই দিন পরই এই দাবি অস্বীকার করে। ইউক্রেনীয় সামরিক মুখপাত্র ভ্লাদিস্লাভ ভলোশিন জানান, রুশ সেনারা হুলিয়াইপোল শহরের যোগাযোগ ও সরবরাহ পথ বিচ্ছিন্ন করে শহরটি ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। এদিকে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ দাবি করেছেন, হুলিয়াইপোলসহ আশপাশের এলাকায় রুশ বাহিনীর ১৯টি হামলা প্রতিহত করেছে তাদের সেনারা। তবে বিবৃতিতে ভারভারিভকা গ্রাম নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। আনাদোলু জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে রাশিয়ার দাবির স্বাধীন যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া, লুহানস্ক, ডোনেস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, এছাড়াও খারকিভ, সুমি ও দনিপ্রোপেত্রোভস্কের কিছু অংশও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ জুড়ে বিস্তৃত এলাকা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া এই অঞ্চলগুলোর সংযুক্তির ঘোষণা দেয়। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এবং কিয়েভ এটিকে প্রহসন বলে খারিজ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭, আহত ২০

কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭, আহত ২০ কলম্বিয়ায় এক মর্মান্তিক স্কুলবাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় অ্যান্টিওকিয়া প্রদেশে একটি স্কুলবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডেইলি মেইলের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে অ্যান্টিওকিয়ার গভর্নর আন্দ্রেস জুলিয়ান জানান, বাসটি ক্যারিবীয় উপকূলীয় শহর টোলু থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেডেলিন শহরে ফিরছিল। বাসটিতে লিসেও অ্যান্টিওকেনো হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সমুদ্রসৈকতে তাদের গ্র্যাজুয়েশন উদযাপন শেষে ফিরছিলেন। ডিসেম্বরের এমন সময়ে এই দুর্ঘটনা পুরো সম্প্রদায়ের জন্যই অত্যন্ত বেদনাদায়ক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল কলোম্বিয়ানো জানায়, ভোর আনুমানিক ৫টা ৪০ মিনিটে রেমেদিওস ও সারাগোসা সংযোগকারী সড়কের এল চিসপেরো এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটিতে মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণ এলাকার পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটি প্রায় ৮০ মিটার গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণটি স্কুলের আনুষ্ঠানিক কোনো কার্যক্রম ছিল না, এটি শিক্ষার্থীরাই নিজেরা আয়োজন করেছিলেন। অ্যান্টিওকেনো হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ২০২৫ সালের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা যারা এই ভ্রমণে অংশ নিয়েছিল, এই গভীর শোকের মুহূর্তে আমরা তাদের এবং আমাদের পুরো সম্প্রদায়ের পাশে আছি।’ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোও এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর অতর্কিত হামলায় দুই জন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ায় গতকাল শনিবার (আইএস)-এর হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন দো-ভাষী নিহত এবং সেনাবাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশিয়াল প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ‘আমরা সিরিয়ায় তিন জন ‘মহান দেশপ্রেমী আমেরিকানের’ মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি,’ এবং ‘অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেছেন, সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এখানে ইউনেস্কো-তালিকাভুক্ত প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এই অঞ্চলটি এক সময় আইএস (ইসলামিক স্টেট) গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আইএস গ্রুপটি আইএসআইএস নামেও পরিচিত এবং এক সময় সিরিয়ায় বিস্তৃত এলাকাকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে, এই ভয়াবহ আক্রমণটি একজন আইএসআইএস বন্দুকধারী কর্তৃক পরিচালিত আক্রমণ। হামলায় অংশ নেওয়া ওই আইএস সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। ট্রাম্প এটিকে ‘সিরিয়ায় অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে আইএসআইএস-এর একটি আক্রমণ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আহত তিন জন মার্কিন সেনা ‘ভালো আছেন’।
কম্বোডিয়ায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা থাইল্যান্ডের

কম্বোডিয়ায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা থাইল্যান্ডের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই কম্বোডিয়ায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, আমাদের ভূমি এবং জনগণের জন্য আর কোনো ক্ষতি বন্ধ ও হুমকি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। অক্টোবরে দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী ট্রাম্প গতকাল আনুতিন এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের সাথে কথা বলেছেন। ট্রাম্পের সাথে ফোনালাপের পর দুই প্রতিবেশী দেশের কোনো নেতাই বিবৃতিতে কোনো চুক্তির কথা উল্লেখ করেননি। থাই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি।
নতুন সংঘর্ষের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নতুন সংঘর্ষের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার সীমান্তে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা নতুন সংঘর্ষের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল। একইসঙ্গে তিনি ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ প্রকাশিত এক রাজকীয় ডিক্রিতে প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল ৩ মাস আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তার সংখ্যালঘু সরকার যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে লড়াই করছে তার মধ্যে মারাত্মক সীমান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সঠিক সমাধান হল পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া… যা জনগণের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার একটি উপায়। ব্যবসায়ী আনুতিন ২০২৩ সালের আগস্টের পর থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেপ্টেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের সময় জানিয়েছিলেন, তিনি জানুয়ারির শেষের দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন। তবে, এখন অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেছেন।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বাস খাদে পড়ে নিহত ৯

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বাস খাদে পড়ে নিহত ৯ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের অলুরি জেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তুলাসিপাকালু গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, জেলা কালেক্টর জানান, বাসটিতে মোট ৩৫ জন যাত্রী, ২ জন চালক এবং ১ জন সহকারী ছিলেন। ৭ জনকে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সিএইচসি চিন্তুরে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল হলে ভদ্রাচলমে স্থানান্তর করা হবে।
হাসপাতালে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩৪

হাসপাতালে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩৪ হাসপাতালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত। এতে আরও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিসিবি। গতকাল রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-উ শহরের একটি হাসপাতালে এই হামলা চালানো হয়। এলাকাটি বর্তমানে জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামরিক বাহিনী জাতিগত সেনাবাহিনীগুলোর কাছ থেকে এলাকা পুনরুদ্ধার করার জন্য বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে। তারা শত্রুদের উপর বোমা ফেলতে প্যারগ্লাইডারও ব্যবহার করছে। এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, টেলিগ্রামে সামরিক বাহিনীর সমর্থক অ্যাকাউন্টগুলো দাবি করেছে যে এই সপ্তাহের হামলাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে করা হয়নি। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখা বিবিসিকে জানিয়েছেন, নিহতদের বেশিরভাগই হাসপাতালের রোগী ছিলেন। তিনি বলেন, এটি বেসামরিক স্থান লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ঘৃণ্য হামলা। সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক নাগরিকদের উপর বোমা বর্ষণের জন্য দায় নিতে হবে।
স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া

স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া অস্ট্রিয়ার আইনপ্রণেতারা স্কুলে ১৪ বছরের কম বয়সী ছাত্রীদের জন্য হিজাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি আইন অনুমোদন করতে পারে। আজ একটি আইন অনুমোদন করতে পারেন অস্ট্রিয়ার আইনপ্রণেতারা। এই আইন বৈষম্যমূলক ও সামাজিক বিভাজন বাড়াতে পারে বলে মানবাধিকার সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। তবে, রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকারের দাবি, বাড়তে থাকা অভিবাসী বিরোধী চাপের প্রেক্ষাপটে, এই নিষেধাজ্ঞা মেয়েদের ‘অত্যাচার থেকে রক্ষা’ করার উদ্দেশ্যে প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধের একটি আইন অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বলে বাতিল করেছিল। তবে সরকার বলছে, এবার তাদের প্রস্তাবিত আইনের সাংবিধানিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচের মেয়েদের ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী মাথা ঢেকে রাখা হিজাব, বোরকা পরে বা এ ধরনের যে কোনো পর্দা করে স্কুলে আসা নিষিদ্ধ করা হবে। এই বিল উপস্থাপনের সময় ইন্টিগ্রেশন মন্ত্রী ক্লাউডিয়া প্লাকোল্ম বলেন, ‘যখন একটি মেয়েকে বলা হয় সে পুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শরীর ঢেকে রাখবে, তখন এটি কোনো ধর্মীয় আচার নয়, বরং নিপীড়ন।’ এই আইন পাস হলে, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের নতুন নিয়ম ব্যাখ্যা করার একটি ‘পরিচিতি পর্ব’ চালু করা হবে, যেখানে নিয়ম ভাঙলে কোন শাস্তি দেওয়া হবে না। তবে বারবার এই নিয়মকে অমান্য করলে, অভিভাবকদের ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অস্ট্রিয়া প্রস্তাবিত আইনকে ‘মুসলিম মেয়েদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বৈষম্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি ‘ইসলামবিরোধী বর্ণবাদের প্রকাশ’। এই সংগঠনের মতে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের বিরুদ্ধে পূর্বধারণা ও কুসংস্কারকে আরও উসকে দিতে পারে। অস্ট্রিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের সরকারি প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা আইজিজিওই আইনটির বিরোধিতা করেছে। সংস্থাটি বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা ‘সামাজিক সংহতিকে বিপন্ন করবে’ এবং বাচ্চাদের ক্ষমতায়নের বদলে ‘তাদেরকে কলঙ্কিত ও বিচ্ছিন্ন করবে’। নারী অধিকার সংগঠন ‘আমাজোনে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাঞ্জেলিকা অ্যাটসিঙ্গার বলেন, হিজাব নিষিদ্ধের উদ্যোগ মেয়েদের কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে, যে অন্যরা তাদের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং সেটি গ্রহণযোগ্য। অ্যান্টি-রেসিজম সংগঠন ‘এসওএস মিটমেন্স’-এর জারি করা বিবৃতিতেও এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।