যুক্তরাজ্যে মেধাবীদের ভিসা ফি লাগবে না নতুন পরিকল্পনায়

 যুক্তরাজ্যে মেধাবীদের ভিসা ফি লাগবে না নতুন পরিকল্পনায় বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন অভিবাসীদের জন্য এইচ-১বি ভিসার বার্ষিক ফি দেড় হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ডলার করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এক্ষেত্রে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেধাবীদের আকর্ষণ করতে ভিসা ফি বাতিলের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকার ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে নীতিগত আলোচনা শুরু করেছে। এর ফলে ব্রিটিশ ভিসা প্রক্রিয়া সংস্কারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দেশটিতে শীর্ষ বৈশ্বিক মেধাবীদের আকর্ষণ করতে কিছু ভিসা ফি পুরোপুরি বাতিল করার প্রস্তাব বিবেচনা করছেন। স্টারমারের নেতৃত্বে গঠিত ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্কফোর্স’ বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, একাডেমিক ও ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের যুক্তরাজ্যে টানতে নানা ধারণা নিয়ে কাজ করছে। আর এর লক্ষ্য— দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা। ব্রিটিশ এই প্রভাবশালী পত্রিকাটিকে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কিংবা আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারপ্রাপ্তরা এই ভিসা ফি ছাড়ের আওতায় পড়তে পারেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছিল ডাউনিং স্ট্রিট ও ট্রেজারিতে। তবে এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, দেশটিতে বহুল ব্যবহৃত এইচ-১বি ভিসার (যা মূলত প্রযুক্তি খাতেই বেশি ব্যবহৃত হয়) জন্য নতুন আবেদনকারীদের এক লাখ ডলার ফি দিতে হবে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়েছে রবিবার থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত আসলে ব্রিটিশ সরকারের ভিসা নীতি পরিবর্তনের উদ্যোগকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। কারণ আগামী নভেম্বরে আসন্ন বাজেট ঘোষণার আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পথে এ ধরনের প্রণোদনা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন আলোচনায় যুক্ত কর্মকর্তারা। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার আবেদন ফি ৭৬৬ পাউন্ড (১০৩০ মার্কিন ডলার)। স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের জন্যও একই পরিমাণ ফি দিতে হয়। অবশ্য এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও ট্রেজারি ও ডাউনিং স্ট্রিট তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে ৪ মৃত্যু, অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র ক্ষোভ

মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে ৪ মৃত্যু, অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র ক্ষোভ অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি অপটাসের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে জরুরি পরিষেবা নম্বর ‘ট্রিপল জিরো’ (০০০)-তে কল করতে না পেরে এক শিশুসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় কোম্পানিটির ‘অবহেলাপূর্ণ’ ভূমিকা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝয় উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী আনিকা ওয়েলস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, কোম্পানিটি অস্ট্রেলিয়ানদের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় হতাশ করেছে। এই ঘটনায় অপটাস ‘বড় পরিণতি’ ভোগ করবে। আজ এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে এই ঘটনার ফলে অস্ট্রেলিয়ায় অনেকেই ১৩ ঘণ্টা ধরে জরুরি পরিষেবায় কল করতে পারেনি। অপটাসের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন রু ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার ও জনসাধারণের কাছে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার জরুরি পরিষেবায় ৬০০টিরও বেশি কল ব্যর্থ হয়েছে, যা মূলত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া এবং উত্তর অঞ্চল থেকে এসেছে। তবে অপটাস নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের বিষয়টি ৪০ ঘণ্টা পরে জনসাধারণকে জানায়। এমনকি সমস্যাটি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও কিছু জানায়নি- যা স্ট্যান্ডার্ড অনুশীলনের বিপরীত বলে অ্যাকমা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি যুক্তরাজ্য-কানাডা-অস্ট্রেলিয়ার

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি যুক্তরাজ্য-কানাডা-অস্ট্রেলিয়ার অবশেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। আজ এ সিদ্ধান্তের কথা তিন দেশই প্রকাশ করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা। এরমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির প্রথম ঘোষণা আসে কানাডার পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও সর্বশেষে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে আমি আজ অসাধারণ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে এর আগেই স্বীকৃতির ঘোষণা দিলো তারা।

বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত দিতে আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত দিতে আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন — ঐতিহাসিক বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি। এ খবর জানিয়েছে এএফপি। ট্রাম্প শনিবার (যখন তিনি ৭৯ বছর বয়সী) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেন, “যদি আফগানিস্তান বাগরাম বিমানঘাঁটি তার নির্মাতাকে — অর্থাৎ আমেরিকাকে — ফিরিয়ে না দেয়, তবে খারাপ কিছু ঘটবে।” পরে হোয়াইট হাউসের সামনে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এখনই আলোচনা চলছে এবং “আমরা এটিকে দ্রুত ফিরে পেতে চাই। যদি তারা না দেয়, তবে দেখবেন আমি কী করব।” বাগরাম বিমানঘাঁটি ছিল আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি; আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে তালেবানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসীর হামলার পর মার্কিন নেতৃত্বে তালেবানকে উৎখাত করার পরে বাসানো এই কেন্দ্রটি পরে তালেবানের দখলে চলে যায়। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বাগরাম হারানোর ঘটনায় তার হতাশা প্রকাশ করে আসছেন এবং তাঁর ওপরবর্তী প্রশাসন—বিশেষত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে—এ বিষয়ে দোষারোপ করেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে পেলে তা “ব্রেকিং নিউজ” হবে এবং তিনি সেসব কৌশল প্রয়োগ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্প-মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তিচুক্তির পরে আমেরিকান ও ন্যাটো বাহিনী বাগরাম ত্যাগ করে। এরপর তালেবান পুনরায় দেশের বড় অংশে দ্রুত আধিপত্য খাটাতে সক্ষম হয় এবং শেষ পর্যন্ত পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিষয়টি ঘিরে আগামী সময়ে কিভাবে কূটনৈতিক বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেবে ওয়াশিংটন, তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি — ট্রাম্প নিজে বলেছেন, “যদি তারা না দেয়, তবে দেখবেন আমি কী করি।”

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত, সতর্কতা জারি

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত, সতর্কতা জারি ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরিতে একাধিকবার অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আকাশে ছাইয়ের কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের কারণে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করার পর আজ সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে স্থানীয় বিমানবন্দরের। গতকাল সন্ধ্যায় ফ্লোরেস দ্বীপের ১ হাজার ৫৮৪ মিটার উঁচু দ্বি-শৃঙ্গ আগ্নেয়গিরি মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকিতে ধারাবাহিক অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ঘটে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৬ মিনিটে। দেশটির আগ্নেয়গিরি সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বড় অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরি শিখর থেকে ছাই ছড়িয়ে পড়ে ছয় কিলোমিটার ওপরে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ভূতত্ত্ব সংস্থা আগ্নেয়গিরির সতর্কতা সর্বোচ্চ চার স্তরে উন্নীত করার পরে ধারাবাহিক অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ভূতত্ত্ব সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের আগ্নেয়গিরি থেকে কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার দূরে থাকতে বলেছে। তার মতে, আগ্নেয়গিরির ছাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। ওয়াফিদ আরও বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত হলে বিপজ্জনক লাহার বন্যা (আগ্নেয়গিরির পদার্থের এক ধরণের কাদা বা ধ্বংসাবশেষ) প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে ফ্লোরেসের মাউমেরে শহরে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা প্রদানকারী একটি বিমানবন্দর অগ্ন্যুৎপাতের পর তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ফ্রান্স সেদা বিমানবন্দরের প্রধান পারতাহিয়ান পাঞ্জাইতান এএফপিকে জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ রবিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে বিমানবন্দর পুনরায় খোলার ব্যাপারে।

দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প

দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্চ-দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলার নির্ধারণ করার ঘোষণা করেছেন। বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসার জন্য তিনি ফি বাড়িয়েছেন। ভারত থেকে আসা কর্মীরা ব্যাপকভাবে এই ভিসাটি ব্যবহার করেন বলে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে। এইচ-১বি ভিসার ওপর নতুন করে বাড়ানো এই ফি ট্রাম্পের বৃহত্তর দমন-পীড়নের অংশ। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে অভিবাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাপ শুরু করেছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ভিসার খরচ এখন এক হাজার ডলারের নিচে, যা এক লাখ ডলারে উন্নীত করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের খবর প্রথম ব্লুমবার্গ নিউজ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর লটারি পদ্ধতিতে ৮৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা প্রদান করে। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভিসা ভারতীয়রা পেয়ে থাকে। বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ভারতীয় কর্মীদের ওপর নির্ভর করে, যারা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয় অথবা দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করে। ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কসহ প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা এইচ-১বি ভিসার ওপর কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি খাতের চাকরির শূন্যপদ পূরণের জন্য পর্যাপ্ত স্বদেশী প্রতিভা নেই।

সাইবার হামলা : ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল

সাইবার হামলা : ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল ইউরোপের বড় বড় বিমানবন্দরগুলোতে চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কলিনস অ্যারোস্পেসের ওয়েব সাইটে সাইবার হামলা হয়েছে। এতে লন্ডনের হিথ্রো, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এবং জার্মানির বার্লিন বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে কলিন্স অ্যারোস্পেস জানিয়েছে, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’র কারণে সংস্থাটি আপাতত পরিষেবা দিতে পারছে না এবং ত্রুটি সারাতে সময় লাগবে। প্রসঙ্গত বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিমান পরিবহন সংস্থা (এয়ারলাইন্স) এবং বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদান করে কলিন্স অ্যারোস্পেস। ইউরোপভিত্তিক বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা কলিন্স অ্যারোস্পেসের পরিষেবার গ্রাহক। সাইবার হামলার ফলে বিমানের চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এয়ারলাইন্সগুলোও তাদের ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়েছে। লন্ডন, ব্রাসেলস ও বার্লিন বিমানবন্দর ইতোমধ্যে যাত্রীদের ফোন নাম্বারে বার্তা প্রদানের মাধ্যমে ফ্লাইট বাতিলের ব্যাপারটি অবহিত করেছে। ইউরোপের সব বড় বিমানবন্দর অবশ্য এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ ও জুরিখ বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে।ব্রাসেলস বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করা হবে। “এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি শিগগিরই কলিন্স অ্যারোস্পেসের ত্রুটি না সারে, তাহলে প্রতিটি ফ্লাইটের ডিপার্চার সময় ৫৪ মিনিট পিছিয়ে যাবে”, ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে বলেছেন ওই কর্মকর্তা।

তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রচেষ্টা ব্যর্থতার ঝুঁকিতে : জাতিসংঘ প্রধান

তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রচেষ্টা ব্যর্থতার ঝুঁকিতে : জাতিসংঘ প্রধান জলবায়ু উষ্ণায়নকে প্রাক-শিল্প স্তরের ওপরে ১.৫ সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার এএফপিকে এ কথা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ তার বার্ষিক কূটনৈতিক সমাবেশের পাশাপাশি একটি জলবায়ু সপ্তাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) নামেও পরিচিত প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর ২০৩৫ সালের জলবায়ু লক্ষ্য, প্রাথমিকভাবে কয়েক মাস আগে প্রত্যাশিত ছিল। তবে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা প্রক্রিয়াটির গতি ধীরে পর্যবসিত করে তুলেছে। গুতেরেস এএফপিকে বলেন, আমরা এই লক্ষ্য ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। আমাদের দেশগুলোকে এমন জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে, যা সম্পূর্ণরূপে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তাদের সমগ্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও সমগ্র অর্থনীতি কভার করবে। তিনি আরো বলেন, ‘১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা বজায় রাখতে হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কার্বন নির্গমনের ব্যাপক হ্রাস অপরিহার্য।’ ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো প্রাক-শিল্প যুগের সঙ্গে তুলনীয় বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখা। ব্রাজিলে কপ-৩০ সম্মেলনের দুই মাসেরও কম সময় আগে, বেশ কয়েকটি দেশ তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করতে ধীরগতি দেখিয়েছে। বিশেষ করে জলবায়ু কূটনীতির ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত শক্তি চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এদের অন্তর্ভুক্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসংখ্য সংকটের কারণে মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলার প্রচেষ্টা পিছনে ফেলেছে। যার মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাস মহামারী ও বেশ কয়েকটি যুদ্ধ। গুতেরেস এই বিষয়ের ওপর পুনরায় মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘ আশা করছে যে কপ-৩০-এর আগে বুধবার অনুষ্ঠেয় জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনটি প্রচেষ্টায় প্রাণ সঞ্চার করার একটি সুযোগ হবে। নিউইয়র্কে গুতেরেস ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার যৌথ সভাপতিত্বে এটি অনুষ্ঠিত হবে। গুতেরেস বলেন, তিনি উদ্বিগ্ন যে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান, বা জাতীয় জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা, বৈশ্বিক উষ্ণতাকে প্রাক-শিল্প স্তরের উপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যকে চূড়ান্তভাবে সমর্থন নাও করতে পারে। তবে তিনি বলেন, এটা আতঙ্কিত হওয়ার বিষয় নয় বরং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়ার বিষয়। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো শিল্প-পূর্ব যুগের সঙ্গে তুলনীয় বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের কাজকে একত্রিত করে আন্তঃসরকারি জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (আইপিসিসি) ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে ২০৩০-২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু গড়ে ১.৫ সেলসিয়াস উষ্ণ হওয়ার আনুপাতিক সম্ভাবনা ৫০:৫০। বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন, কারণ প্রতিটি ডিগ্রি বৃদ্ধি তাপপ্রবাহ বা সামুদ্রিক প্রাণীর ধ্বংসের মতো ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। আইপিসিসির মতে, উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পরিবর্তে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হলে, এর সবচেয়ে বিপর্যয়কর পরিণতি উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত হবে। জাতিসংঘের মতে, ২০২৪ সাল ছিল রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর।

হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন এরদোয়ান

হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন এরদোয়ান বাণিজ্য ও সামরিক চুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য ও সামরিক চুক্তি নিয়ে কাজ করছি, যার মধ্যে রয়েছে বৃহৎ পরিসরে বোয়িং বিমান বিক্রয়, একটি এফ-১৬ চুক্তি এবং এফ-৩৫ নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা। এ বিষয়গুলো আমরা ইতিবাচকভাবে শেষ হওয়ার আশা করছি।” তুরস্ক ও এরদোয়ানের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এরদোয়ান ও আমার মধ্যে সবসময়ই খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি ২৫ তারিখে তাকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি!” তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সর্বশেষ ২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০১৭-২১ মেয়াদে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক এবং মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের কারণে তাদের সম্পর্কে বেশ টানাপোড়েনও দেখা দেয়। তুরস্ক ২০১৯ সালে রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে ট্রাম্প প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করে। প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের পরিকল্পিত বিক্রয় বাতিল করে এবং বিমানের যৌথ উৎপাদন কর্মসূচি থেকে আঙ্কারাকে বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে সম্মত হয় তুরস্ক।

ইরানের পরমাণু ইস্যুতে যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে চীন-রাশিয়া

ইরানের পরমাণু ইস্যুতে যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে চীন-রাশিয়া ইরানের পারমাণবিক ইস্যু সমাধানে একটি যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে রাশিয়া ও চীন। খুব শিগগিরই এই উদ্যোগ উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভ। এ সময় তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের পদক্ষেপ এই ইস্যুটিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়েছে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করেছে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতার মাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মিখাইলের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি, যা ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’ নামে পরিচিত- অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে উঠিয়ে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বিষয়ে ভোটাভুটির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করার পক্ষে চাপ দিচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ইরান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। জেসিপিওএ-এর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, কোনও পক্ষ যদি দাবি করে ইরান চুক্তি ভঙ্গ করেছে, তাহলে তারা ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গৃহীত নিরাপত্তা পরিষদের ছয়টি পূর্ববর্তী প্রস্তাব পুনর্বহালের দাবি করতে পারে। তবে ইরান বলছে, ইউরোপীয়রা এই প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে পারে না, কারণ তারাই প্রথম চুক্তি ভঙ্গ করেছে— ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ক্ষতিপূরণ দিতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।