বোলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাভোগ শুরুর নির্দেশ

বোলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাভোগ শুরুর নির্দেশ গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ব্রাজিলের ডানপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস এই রায় ঘোষণা করেন এবং এক্ষেত্রে আপিল করার আর সুযোগ নেই। খবর বিবিসির। ২০২২ সালের নির্বাচনে বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভার কাছে পরাজয়ের পরও ক্ষমতায় থাকার জন্য ষড়যন্ত্র করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৭০ বছর বয়সী বোলসোনারোকে। রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় ফেডারেল পুলিশ কারাগারে তিনি সাজা ভোগ শুরু করবেন। পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় গৃহবন্দি অবস্থা থেকে শনিবার তাকে কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। রোববারের শুনানিতে আদালতের দলিলে দেখা গেছে, বোলসোনারো স্বীকার করেছেন যে, তিনি তার গোড়ালির মনিটর খোলার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন যে, পালানোর কোনো ইচ্ছাই তার ছিল না। ওষুধের প্রভাবে তিনি কেবল মনিটর নষ্ট করতে চাইছিলেন। বিচারপতি মোরেস মঙ্গলবার বোলসোনারোর জন্য পূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক দল আগেই জানিয়েছিল যে, তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। গত সেপ্টেম্বরে বোলসোনারোকে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সে সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছিলেন, লুলা ডি সিলভা ও তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেরাদো আলকমিনকে হত্যা এবং বিচারপতি মোরেসকে গ্রেফতার ও হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন বোলসোনারো। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে এখন বিচারপতি মোরায়েসই বোলসোনারোর বিরুদ্ধে চলা বিচার তদারকি করছেন। তবে বোলসোনারোর ষড়যন্ত্রকে সমর্থন দেয়নি সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই লুলা ডি সিলভা শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পর বোলসোনারোর হাজার হাজার সমর্থক ব্রাসিলিয়ার সরকারি ভবনগুলো দখল করে নেয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং প্রায় দেড় হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীদের উসকে দিয়েছিলেন বোলসোনারো। তিনি সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে ক্ষমতায় ফেরার পরিকল্পনা করছিলেন। বোলসোনারোর সাজা শেষ হওয়ার আট বছর পর অর্থাৎ ২০৬০ সাল পর্যন্ত কোনো সরকারি পদে প্রার্থী হওয়া থেকে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো গভীর করার প্রস্তাব পাকিস্তানের

বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো গভীর করার প্রস্তাব পাকিস্তানের পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো গভীর করার লক্ষ্যে পাকিস্তান জাতীয় জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (পিএনএসসি) ও বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (বিএসসি) এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে।  মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে পাকিস্তানের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ জুনাইদ আনোয়ার চৌধুরী এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। এতে যৌথ কন্টেইনার ও বাল্ক শিপিং পরিষেবা, প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সমুদ্র পরিবহন উন্নয়নে সহযোগিতা, পারস্পরিক বন্দর-কল সুবিধা প্রদান এবং উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পৃক্ততা জোরদার করার লক্ষ্যে বড় ধরনের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈঠকে পাকিস্তানের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী আইএমও ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমুদ্র পরিবহন-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক সমুদ্র পরিবহন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরির পাকিস্তানের বৃহত্তর লক্ষ্যের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রবাহকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতির প্রমাণ হিসেবে কেপিটির ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা, চলমান আধুনিকীকরণ উদ্যোগ এবং উন্নত টার্নঅ্যারাউন্ড সময় তুলে ধরেন। পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, বন্দর-থেকে-বন্দর সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হলে সরবরাহ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ কমানো যাবে, আঞ্চলিক বাধা কমানো যাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বাণিজ্যিক একীকরণের জন্য নতুন পথ খুলে যাবে। বৈঠকে উভয় পক্ষই বলেছে যে, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সামুদ্রিক সহযোগিতা আলোচনা শুরু করা বন্দর উন্নয়ন, জাহাজ চলাচল খাতের সহযোগিতা, মৎস্য ও অন্যান্য উদীয়মান সমুদ্র সমস্যা নিয়ে নিয়মিত আলোচনার জন্য একটি কাঠামোগত প্ল্যাটফর্ম হবে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকটি শাখাকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণার নির্দেশ ট্রাম্পের

মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকটি শাখাকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণার নির্দেশ ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মিশর, লেবানন ও জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থনের অভিযোগ এনেছেন।  মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন সময়ে এই পদক্ষেপ নিলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে  ইসরায়েল। ডিক্রিতে জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাদের বিরুদ্ধে হামাস এবং আল-জামা আল-ইসলামিয়া নামে পরিচিত এই গোষ্ঠীর লেবাননের শাখাকে ‘বস্তুগত সহায়তা’ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে হামাস এবং হিজবুল্লাহর পক্ষ নেওয়ার কারণে। এতে আরো দাবি করা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় মিশরের একজন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা ‘মার্কিন অংশীদার ও স্বার্থের’ বিরুদ্ধে সহিংস হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মুসলিম ব্রাদারহুড ১৯২৮ সালে মিশরে প্রতিষ্ঠিত একটি প্যান-ইসলামিস্ট সংগঠন, যা পরে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, মিশরীয় স্কুলশিক্ষক হাসান আল-বান্না বিশ্বাস করতেন, সমাজে ইসলামী নীতির পুনর্জাগরণই মুসলিম বিশ্বকে পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতা প্রতিরোধে সক্ষম করবে। মুসলিম ব্রাদারহুডকে এরই মধ্যে কিছু দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে, যেমন মিশর ও সৌদি আরব।মিশরে ২০১৩ সাল থেকে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জর্ডানও সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশটি অভিযোগ করে, মুসলিম ব্রাদারহুড অস্ত্র তৈরি ও মজুত করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। চলতি বছরের মে মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁও তার সরকারকে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ও বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দেন।

পাকিস্তানে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে বন্দুকধারীদের হামলা

পাকিস্তানে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে বন্দুকধারীদের হামলা পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে। আজ সোমবার এ হামলা হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তর ভবনটিতে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী প্রথমে কনস্টেবলের প্রধান প্রবেশপথে হামলা চালায় এবং অন্যজন কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে।” কর্মকর্তা আরো বলেন, “সেনাবাহিনী ও পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং পরিস্থিতি সাবধানতার সাথে পরিচালনা করছে। কারণ, আমাদের সন্দেহ হচ্ছে সদর দপ্তরের ভিতরে কিছু সন্ত্রাসী রয়েছে।” সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরটি একটি সেনানিবাসের কাছে জনাকীর্ণ এলাকায় অবস্থিত।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্ব চলতে পারে: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্ব চলতে পারে: কানাডার প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে অতিরঞ্জিত করা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, “মার্কিন সম্পৃক্ততা ছাড়াই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্ভব। অর্থনীতির ‘গুরুত্বের কেন্দ্র’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।” রবিবার (২৩ নভেম্বর) জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। খবর আরটির। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এ বছরের জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারকে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ না করার কারণ হিসেবে এটি উল্লেখ করেছেন। ওয়াশিংটন আরো দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বয়কট করেছে তাই জি-২০ সম্মেলন শেষে কেবল এর চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া যেতে পারে। তবে রবিবার সম্মেলন শেষে জি-২০ একটি যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “এই বৈঠকে বিশ্বের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ, বিশ্বব্যাপী জিডিপির দুই-তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের বাণিজ্যের তিন-চতুর্থাংশ প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোকে একত্রিত করা হয়েছিল এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ ছাড়াই। তার ভাষ্য, “এ ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বের কেন্দ্র স্থানান্তরিত হচ্ছে।” কানাডার প্রধানমন্ত্রীর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট সত্ত্বেও বৈঠকে জি-২০ সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো জানান, কানাডা দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং চীন সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী মাকসিম ওরেশকিন। তিনি সম্মেলনের সফলতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, তার দল ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর সঙ্গে অনেক গঠনমূলক যোগাযোগ করেছে এবং এমনকি ‘বন্ধুত্বহীন’ দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও যৌথ প্রকল্পের বিষয়ে কিছু প্রস্তাবও পেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শীর্ষ সম্মেলনের আগে বলেছিলেন, জি-২০ ‘আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে’। তিনি আরো বলেন, বৈঠক বয়কট করার মার্কিন সিদ্ধান্ত ‘তাদেরই ক্ষতি’।

ইউক্রেন ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেন ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য জেনেভায় আলোচনায় ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে তিনি বলেন, “এখনও কিছু কাজ বাকি আছে।” আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির সব দফা চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় আলোচকদের বৈঠক শেষে রুবিও সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। খবর বিবিসির ।  বৈঠক শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল আমাদের কথা শুনছে।” ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে গত সপ্তাহে ফাঁস হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এই পরিকল্পনায় রাশিয়াকে অনেক সুবিধা দেওয়ায় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেসময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “ইউক্রেনের সামনে একটি বিকল্প রয়েছে-আমাদের মর্যাদা হারানো অথবা একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হারানো।” রবিবার গভীর রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, জেনেভার আলোচক দলগুলোর একটি ‘খুব ভালো দিন’ কেটেছে। তিনি জানান, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল- ২৮ দফার মার্কিন শান্তি পরিকল্পনায় যেসব ইস্যু খোলা রয়ে গেছে, সেগুলোতে ফারাক কমানো। আলোচনায় জড়িত দলগুলো এতে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ অর্জন করেছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, যেকোনো চূড়ান্ত চুক্তি অনুমোদন করতে হবে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের, এরপর তা রাশিয়ার কাছে পাঠানো হবে। এখনও কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। রবিবার পরে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেনের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই পক্ষ একটি ‘হালনাগাদ ও পরিমার্জিত শান্তি কাঠামো’ নিয়ে একমত হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে যৌথ প্রস্তাব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতৃত্বে- বিকল্প একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছে বলে কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে বিবিসি তা দেখেনি এবং রুবিওও এমন কোনো পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-সমাপ্তির প্রচেষ্টার জন্য ‘কোনো কৃতজ্ঞতা দেখাচ্ছে না’। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইউক্রেনের মিত্র কিছু ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মস্কো তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। জেনেভায় মার্কিন খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফাঁস হওয়া ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পূর্ব দোনেৎস্কের কিছু অংশ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং এই অঞ্চলসহ লুহানস্ক ও ২০১৪ সালে রাশিয়ার সংযুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে থাকবে। মার্কিন এই শান্তি পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার কমিয়ে ৬ লাখ সদস্যে সীমিত করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার জন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এর বিনিময়ে কিয়েভ ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি’ পাবে, যদিও সেটির বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি। এতে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়া তার প্রতিবেশীদের আক্রমণ করবে না এবং ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হবে। খসড়া প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর জোট জি৭-এ যোগদানের জন্য মস্কো আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মাধ্যমে জোটটিকে আবারো জি৮-এ পরিণত করার মাধ্যমে- রাশিয়াকে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে পুনঃএকীভূত’ করা হবে। ইউক্রেনকে প্রস্তাবগুলোতে একমত হওয়ার জন্য ট্রাম্প আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তবে ইউক্রেনের যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ও ইউরোপের মিত্ররা মার্কিন প্রস্তাবগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর, শনিবার ট্রাম্প জানান, এটি কিয়েভের জন্য তার ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খুব আশাবাদী যে আমরা খুব শিগগির শান্তিচুক্তির প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে যাচ্ছি, সেটি বৃহস্পতিবার হোক, অন্যান্য দিন হোক বা পরের সপ্তাহের সোমবার হোক।”

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কার আটক

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কার আটক ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ও ট্যাঙ্কার আটক করেছে যুক্তরাজ্যের একটি পেট্রোল জাহাজ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।  ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্যের টহল জাহাজ এইচএমএস সেভার্ন গত দুই সপ্তাহে ইংলিশ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় রাশিয়ান কর্ভেট আরএফএন স্টোইকি এবং ট্যাঙ্কার ইয়েলনিয়াকে আটক করেছে ও ঘনিষ্ঠ নজরদারি চালিয়েছে। পরে ওই নজরদারির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় ন্যাটোর আরেক সদস্য দেশের কাছে, ব্রিটনির উপকূলে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত দুই বছরে যুক্তরাজ্যের জলসীমার চারপাশে রুশ নৌ তৎপরতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।  মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের উপকূলে টহলরত জাহাজ ছাড়াও, ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে ব্রিটেন আইসল্যান্ডে তিনটি পোসাইডন নজরদারি বিমান মোতায়েন করেছে, যাতে উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক রুটে রুশ নৌবাহিনীর গতিবিধি রিয়েল টাইমে ধরা যায়। ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে যখন প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি জানান, রাশিয়ার গুপ্তচর জাহাজ ইয়ান্টার স্কটল্যান্ডের উপকূলে যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষণ বিমানগুলোর পাইলটদের দিকে লেজার মেরে অবস্থান চেক করছিল। ব্রিটেন ইয়ান্টারের এই কর্মকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বলেছে যে, ব্রিটেন তার ভূখণ্ডে যেকোনো অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে জবাব দিতে প্রস্তুত। রাশিয়ার লন্ডনের দূতাবাস হিলির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে ‘সামরিক উত্তেজনা ছড়ানোর’ অভিযোগ করেছে এবং বলেছে, মস্কোর কোনো আগ্রহ নেই যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার। ব্রিটিশ সরকারের নতুন বাজেট প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে হিলি এই সতর্কতা জারি করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রাশিয়া, চীন এবং ইরানের হুমকির কারণে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারকে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য কর বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানোসহ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ৯৪টি ভূমিকম্প রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প মনিটরিং ওয়েবসাইট আর্থকোয়াকট্র‍্যাকার ডটকম। শুক্রবারের কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার রাজধানী ও আশপাশে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও তিনবার মৃদু কম্পন অনুভূত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘন ঘন ভূকম্পন কোনোভাবেই ভালো লক্ষণ নয়। রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরের আপডেটে আর্থকোয়াকট্র্যাকার জানিয়েছে, শুধু গত একদিনেই বিশ্বজুড়ে ৯১টি কম্পন হয়েছে। গত সাতদিনে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫২-এ। শুক্রবার বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রাজধানীসহ সারা দেশে অনুভূত হয় কম্পনটি। আতঙ্কে অনেকে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। কেউ কেউ ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। নরসিংদীতে মারা গেছেন পাঁচজন, ঢাকায় চারজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন। শনিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে দিনের প্রথম মৃদু কম্পন হয়, যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর পলাশে। এরপর সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডায় টানা দুটি কম্পন অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে প্রথম কম্পনটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। মাত্র এক সেকেন্ড পর ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে আরও একটি কম্পন হয়, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর মধ্যে প্রথমটির উৎপত্তিস্থল বাড্ডা এবং দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল নরসিংদী। বিভিন্ন জায়গায় ভবনে ফাটল দেখা গেছে, কিছু ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও নজরে এসেছে। ভয় কাটতে না কাটতেই নতুন কম্পন মানুষের আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে।

ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যায় মৃত বেড়ে ৯০

ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যায় মৃত বেড়ে ৯০ ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরো ১২ জন। রবিবার (২৩ নভেম্বর) দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শেষ থেকে দক্ষিণ-মধ্য ভিয়েতনামে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এই দুর্যোগে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে মধ্য ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকায় ১,৯০০ মিমি (৭৪.৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই অঞ্চলটি দেশের একটি প্রধান কফি উৎপাদন এলাকা এবং জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর আবাসস্থল।  পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৬ নভেম্বর থেকে ৬০ জনেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পাহাড়ি মধ্য ডাক লাক প্রদেশে। সেখানে কয়েক হাজার বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ডাক লাক প্রদেশের বে নদীর পানির স্তর দুটি স্থানে ১৯৯৩ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, অন্যদিকে খান হোয়া প্রদেশের কাই নদীর পানি বেড়েও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থান নিয়েন জানিয়েছে, মধ্য গিয়া লাই ও ডাক লাক প্রদেশে বন্যার পানিতে আটকা পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে একত্রিত করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভিয়েতনামে ২৭৯ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে এবং দেশটিতে ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

নাইজেরিয়ায় ৩১৫ জন ছাত্র-শিক্ষক অপহৃত

নাইজেরিয়ায় ৩১৫ জন ছাত্র-শিক্ষক অপহৃত নাইজেরিয়ায় ৩১৫ জন ছাত্র ও শিক্ষককে অপহরণ করা হয়েছে। শনিবার বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে। মধ্য নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যের সেন্ট মেরি’স কো-এডুকেশন স্কুলে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে সোমবার বন্দুকধারীরা প্রতিবেশী কেব্বি রাজ্যের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ২৫ জন ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল। নাইজেরিয়ার খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে গণ অপহরণের পর ‘সংখ্যা যাচাইকরণের পরে’ বিষয়টি জানা গেছে। অপহৃতদের মধ্যে ৩০৩ জন ছাত্র এবং ১২ জন শিক্ষক। নাইজেরিয়ার সরকার অপহৃত ছাত্র ও শিক্ষকদের সংখ্যা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। ইতিমধ্যেই ক্যাটসিনা এবং মালভূমির নিকটবর্তী রাজ্যগুলোর কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। নাইজার রাজ্য সরকার অনেক স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু সংকট মোকাবেলায় জোহানেসবার্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানসহ আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড বাতিল করেছেন।