প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়!

প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়! পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ মসজিদ নির্মাণকে ঘিরে বিপুল অনুদানের ফলে তৈরি হয়েছে কার্যত নগদ অর্থের পাহাড়। ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা (রুপি) এনে ঘরের মাঝে ঢালা হচ্ছে, আর চারিদিকে বসা মানুষ সেই টাকা গুনছেন।একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে টাকা গোনা। টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। টাকা ভর্তি ১১টি ট্রাঙ্ক রয়েছে। আর সেই ট্রাঙ্কে থাকা টাকা গুনতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩০ জনকে। টাকা গোনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে। অনুদানের এই টাকা জমা পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার’ অধীনে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যত নগদ অর্থ দান হিসাবে জমা পড়েছে, তা আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে গোনা শুরু হয়। রাত ১২টার পরও চলে টাকা গোনা। তখনও পর্যন্ত ৭টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়, যা থেকে মেলে ৩৭ লাখ টাকা। পুরো টাকা গোনার কাজ চলছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিতে। হুমায়ুন কবিরের দাবি, বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগেই কতটা জনপ্রিয় তা শুধু এই অনুদানের টাকা দেখেই বোঝা যায়। তিনি আরো দাবি করেন, কেবল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনই কিআর কোড স্ক্যান করেই জমা পড়েছে ৯৩ লাখ টাকা। মসজিদ নির্মাণের জন্য ২ দিনেই দান হিসাবে পাওয়া গেছে অন্তত ১৫ লাখ ইট। গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন মুর্শিদাবাদে আবারো বাবরি মসজিদের নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রবিবার নিজে হাতে ইট নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। সেইদিনই তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাবরি মসজিদ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। তবে টাকা নিয়ে চিন্তা করছেন না হুমায়ুন, কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিই নাকি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য। আরো বহু মানুষ অনুদান দিচ্ছেন। হুমায়ুন দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বীরভূম, মালদাতেও ‘বাবরি’ মসজিদ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি থেকে কিছু লোক এসে অনুরোধ করেছেন। মালদা থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন, দাবি হুমায়ুনের। বীরভূম, মালদায় ‘বাবরি’ মসজিদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস হুমায়ুন কবীরের। বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য যে আপাতত নগদ অর্থের অভাব হবে না, তা এই বিপুল জমা অর্থ দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে টাকা গোনার এমন ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সাধারণ মানুষের একাংশ হুমায়ুনের স্বচ্ছতা প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও, বিরোধীরা নতুন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দানের উৎস, হিসাব ও আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।

চীনা সামরিক বিমানের রাডার লক করা ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ বলে ক্ষোভ টোকিওর

চীনা সামরিক বিমানের রাডার লক করা ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ বলে ক্ষোভ টোকিওর দক্ষিণ-পূর্ব ওকিনাওয়ার আকাশ সীমায় জাপানি যুদ্ধবিমানের ওপর চীনা সামরিক বিমান একাধিকবার রাডার লক করেছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। টোকিও এই ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। গত এক মাস ধরে বেইজিং-টোকিও সম্পর্ক ক্রমশঃ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর, বিশেষভাবে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। তাকাইচি তার ওই মন্তব্যে ইঙ্গিত দেন যে তাইওয়ানের ওপর হামলার ক্ষেত্রে জাপান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তিনি বলেছিলেন যে বল প্রয়োগ জড়িত থাকা তাইওয়ানের একটি জরুরি অবস্থা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। রোববার ভোরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, জাপান এই ঘটনায় চীনকে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। মন্ত্রণালয় আরো জানায়, শনিবার ঘটে যাওয়া এ সব ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ওকিনাওয়া দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র এলাকায়। সেখানে চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করা একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান জাপানি আকাশ সীমায় অনুপ্রবেশের পর, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উড়তে যাওয়া জাপানি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের ওপর বিরতিহীনভাবে রাডার লক করে। ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর, একই রণতরী থেকে আরও একটি জে-১৫ বিমান অন্য একটি জাপানি যুদ্ধবিমানের ওপর একই ধরনের রাডার লকঅন করে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ধরনের রাডার লক কেবল নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় সীমার বাইরে গিয়ে বিপজ্জনক আচরণের শামিল।’ বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনা ‘চরমভাবে দুঃখজনক’ বলেও মন্তব্য করা হয়। সামরিক বাহিনী সাধারণত ফায়ার কন্ট্রোল বা লক্ষ্য শনাক্তকরণের জন্য রাডার ব্যবহার করে থাকে। কোনো যুদ্ধবিমানের ওপর রাডার লক করা আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত হিসেবেও বিবেচিত হয়।

ভারতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন -জয়শঙ্কর

ভারতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন -জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কতদিন অবস্থান করবেন সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। শনিবার এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও এবং প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালকে তিনি এ কথা বলেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শত শত মানুষ মারা যায় এবং হাজার হাজার আহত হয়। তার সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। রাহুল কানওয়ালের সাথে কথা বলার সময় জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হাসিনা ‘যতদিন চান’ ভারতে থাকতে পারবেন কিনা। জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “আচ্ছা, এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টতই তার সাথে যা ঘটেছে তার একটি কারণ। কিন্তু আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে তাকে তার মন তৈরি করতে হবে।” ওই আলোচনায় নয়াদিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা শ্রীলঙ্কায় 

ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা শ্রীলঙ্কায়  ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থান পুনঃনির্মাণে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যদিও দেশটি শনিবারও নতুন ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। সরকার নিশ্চিত করেছে যে ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ৬০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ২১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং এই নিখোঁজ ব্যক্তিরা মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে একে দেশটির ‘সবচেয়ে কঠিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সমগ্র দেশে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষরা, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া পরিবারগুলোকে নিরাপদ এলাকায় জমি কিনে এবং সেখানে নতুন ঘর নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি রুপি (৩৩ হাজার ডলার) পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই দুর্যোগে যারা মারা গেছে অথবা স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে সরকার ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবে।  

আরএসএফের ড্রোন হামলায়  সুদানে শিশুসহ নিহত ৭৯

আরএসএফের ড্রোন হামলায়  সুদানে শিশুসহ নিহত ৭৯ সুদানের দক্ষিণ কুর্দোফান রাজ্যে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৩ জনই শিশু। এ ছাড়া আরো ৩৮ জন আহত হয়েছে বলে গতকাল সুদানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে দক্ষিণ কুর্দোফান রাজ্য সরকার জানায়, নিহতদের মধ্যে ৪ জন নারী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম সুদানের কলোজি শহরে চালানো ওই হামলায় একটি ড্রোন চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাসপাতাল এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে।

প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান

প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএফ) নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান। এই পদে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার ডন অনলাইন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএফ) উভয় পদে মুনিরকে সুপারিশ করেছিলেন। তার সেই সুপারিশ অনুমোদিত হয়েছে বলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলেএক পোস্টে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাঁচ বছরের জন্য সিডিএফ হিসেবে এবং একই সাথে সিওএএস হিসেবে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন।” শেহবাজ শরিফের সরকার ২৯ নভেম্বর দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই দিন মুনিরের সেনাপ্রধান হিসেবে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সামরিক কমান্ডকে কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীর অধীনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের ভূমিকা গত মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসিম মুনির চলতি বছর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি সিডিএফের দায়িত্বের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। জেনারেল আইয়ুব খানের পর তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা যিনি ফিল্ড মার্শাল উপাধি পেয়েছেন।

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছাড়লেন যুবক

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছাড়লেন যুবক প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছেড়েছেন সিঙ্গাপুরের এক যুবক। শুধু তাই নয়, সিঙ্গাপুর ছেড়ে তিনি প্রেমিকার বাড়ি থাইল্যান্ডে বসবাসের প্রস্তুতি নিয়েছেন। থাই সংবাদমাধ্যম কালাসিন নিউজের খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কালাসিন প্রদেশের এক নার্সকে বিয়ে করেছেন জর্ডান নামের ওই যুবক।  যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ এবং আড়াই লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা প্রেমিকাকে দিয়েছেন তিনি ৩২ বছর বয়সী জর্ডান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যাংককের বাংনা জেলার একটি ক্যাফেতে থাই তরুণী ‘ইভ’ রাচাদাপর্নের (২৯) সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। একপর্যায়ে তারা ফোন নম্বর বিনিময় করেন এবং লাইন মেসেজিং অ্যাপে টেক্সট করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে। এক বছর প্রেম করার পর এই জুটি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং জর্ডান থাইল্যান্ডে চলে আসে। জর্ডান সংবাদমাধ্যমকে আরো জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী থাইল্যান্ডে নিজেদের জন্য একটি জীবন গড়তে চান। তিনি সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে ১২ হাজার ডলার বেতনে চাকরি করতেন। বর্তমানে থাইল্যান্ডে এর অর্ধেক বেতনে একটি স্থানীয় কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। কালাসিন নিউজ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে জর্ডান রাত্চাদাপর্নের মাকে নগদ এক লাখ বাথ (থাই মুদ্রা) এবং প্রায় ১৩ হাজার ডলার মূল্যের সোনা উপহার দিয়েছিলেন। বিয়ের দ্বিতীয় অনুষ্ঠানের জন্য সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। সেখানে কনের বাবা-মাকে ১০ লাখ বাথ নগদ এবং ২ লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা যৌতুক হিসেবে প্রদান করবেন।

চীনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

চীনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত চীনে আজ বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে।   চীনে আজ বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে। সিইএনসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টা ৪৪ মিনিটে  চীনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তের কাছে আক্কি কাউন্টির কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হতাহতের বা ভবন ধসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া

২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া মালয়েশিয়া  এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও শুরু হচ্ছে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হবে। খবর বিবিসির।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে ৮ মার্চে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৭৭ প্লেনটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। যাত্রা শুরু করার ৪০ মিনিটের মধ্যে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটির কী হয়েছে, তা আজও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বিমানটিতে ছিলেন ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু। তারা কোথায় বা বিমানটি কোথায়, আজ পর্যন্ত এই খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিমান চলাচলের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত এটি ‘সবচেয়ে রহস্যময়’ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামুদ্রিক রোবোটিক্স কম্পানি ওশান ইনফিনিটি ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান চালাবে। তারা সেই সব এলাকায় অনুসন্ধান করবে যেগুলোতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৫৫ দিনের নতুন অনুসন্ধান অভিযানটি চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে কয়েক দিনের মধ্যেই তা স্থগিত করা হয়। বিমানে আরোহী ২৩৯ জনের বেশিরভাগই ছিলেন চীনা নাগরিক। পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই নতুন উদ্যোগ এমএইচ৩৭০ ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য মালয়েশিয়া সরকারের চেষ্টাকে আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে এবং এ ঘটনার সমাপ্তি বা উত্তর পেতেও সাহায্য করবে।’ চলতি বছরের মার্চে মালয়েশিয়া সরকার ওশান ইনফিনিটিকে ‘নো ফাইন্ড, নো ফি (পাওয়া গেলে কোনো ফি নয়)’- এমন ভিত্তিতে নতুন অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়। ভারত মহাসাগরের ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন এলাকায় অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে কেবল তখনই কম্পানিকে ৭০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে। স্যাটেলাইট তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি নিয়মিত পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে দক্ষিণ দিকে ভারত মহাসাগরের দূরবর্তী এলাকায় চলে যায় এবং ধারণা করা হয় সেখানেই এটি বিধ্বস্ত হয়। বহু দেশের ব্যয়বহুল বহুজাতিক অনুসন্ধান অভিযান সত্ত্বেও বিমানটির অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যা বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনুসন্ধানের সূত্রপাত করেছে। ২০১৮ সালে ওশান ইনফিনিটির চালানো ব্যক্তিগত অনুসন্ধানেও কোনো সাফল্য মেলেনি।

তীব্র অর্থসংকটে জাতিসংঘ, কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত

তীব্র অর্থসংকটে জাতিসংঘ, কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদা বাকি থাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে জাতিসংঘ। এতে করে বাজটে কমানোর ও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তি, মানবাধিকার ও সহযোগিতা নিশ্চিতে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। গ্তকাল আগামী বছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের তুলনায় বাজেটটি ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার কম। গুতেরেস বলেছেন, ২০২৬ সালের বাজেট ১৫.১ শতাংশ কমানো এবং কর্মী সংখ্যা ১৮.৮ শতাংশ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নির্ধারিত বাজেট কমানো হবে না। গুতেরেস বলেন, গাজা নিয়ে কাজ করা ইউএনআরডব্লিউএ-কে বাজেট কমানোর বাইরে রাখা হবে। কারণ এই সংস্থার বাজেটে কাটছাঁট হলে গাজায় মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার মূল কাঠামোই ভেঙে পড়বে। তিনি আরও জানান, ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও আফ্রিকার উন্নয়ন সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি’র বাজেটও ২০২৫ সালের মতোই রাখা হবে। কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা থেকে মোট ২ হাজার ৬৮১টি পদ বাতিল করা হবে। ওই পদগুলোর কার্যক্রম অন্য সংস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, অথবা তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। মহাসচিব বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বকেয়া ও অন্যান্য দেনা থেকে সৃষ্ট চলমান নগদ সংকটের কারণে জাতিসংঘে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। সংস্থাটি বিবৃতিতে বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘাটতির মূল অংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও মেক্সিকোর বকেয়া চাঁদা থেকে।