আমরা দেড় বছর কারো সঙ্গে কথাই বলিনি

আমরা দেড় বছর কারো সঙ্গে কথাই বলিনি ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ঢালিউড অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এমনকি অনেকেই ধরেই নিয়েছিলেন যে, আফ্রিদি আর দীঘি হয়তো বিয়েও করে ফেলবেন। তবে বরাবরই দুজনে এ সম্পর্ককে শুধুই বন্ধুত্ব বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তৌহিদ আফ্রিদি বিয়ে করেছেন ঠিকই, তবে পাত্রী দীঘি নন, অন্য আরেকজন। এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর এ সমালোচনার মাঝেই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় করা একটি হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার রয়েছেন। তার গ্রেফতারের পরই ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসে তার সঙ্গে দীঘির নাম। দীর্ঘদিন পর আফ্রিদির বিষয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী দীঘি। দেশের একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, একটা প্রোগ্রামে তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে তার পরিচয়ের কথা। তিনি বলেন, সেই প্রোগ্রামে সে অ্যাংকর ছিল। ওখান থেকেই প্রথম দেখা ও পরিচয়। এবং তারপর ওই ইস্যুটা অনেক বেশি ভাইরাল হয়ে যায়। আমরা কেউ রেডি ছিলাম না ওটা ভাইরাল হবে। দীঘি বলেন, আমরা কখনো এ রকম কথা বলিনি। আমি তো বলিনি। আর ও তো আরও বেশি স্ট্রিক্ট ছিল ব্যাপারটাতে এবং একটা মোমেন্ট ছিল যে, যখন ব্যাপারটা অনেক বেশি বেড়ে যায়, শোবিজে অনেক বেশি কথা হয়ে যায়, অনেক বেশি নিউজ হওয়া শুরু করে, তখন এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের ফ্যামিলিতে বিব্রতবোধ করে। অভিনেত্রী দীঘি বলেন, কারণ যে বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত না, সেই বিষয়টি আমাদের আশপাশে কেন হবে? এ রকম নিউজ কেন হবে? কারণ আমরা এটার জন্য প্রস্তুত না। এটা খুব পার্সোনাল কথা লিখে ফেলছে। তখন এমন একটা সময় এসেছিল যে, আমরা এক থেকে দেড় বছর কারও সঙ্গে কথাই বলিনি ঠিকমতো। এমনকি দেখা করাও অফ করে দিয়েছি।

নতুন আংটি ঘিরে ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয়

নতুন আংটি ঘিরে ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশমিকা মন্দানা ও বিজয় দেবরাকোন্ডা। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে দু’জনই সবসময় চুপচাপ থেকেছেন। তবে একসঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি আর ঘন ঘন জনসমক্ষে উপস্থিত হওয়া জল্পনাকে বারবার উসকে দিয়েছে। এবার রাশমিকার আঙুলে নতুন আংটি দেখে আবারও নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন, বাগদান সেরেছেন এই দুই তারকা। সাদা শার্ট, নীল জিনস আর কালো সানগ্লাসে রাশমিকাকে সম্প্রতি দেখা গেছে দুবাই বিমানবন্দরে। এসময় সবার নজর কাড়ে তার আঙুলের আংটি। যদিও একই দিন সন্ধ্যায় এক ইভেন্টে যোগ দিতে গিয়ে ওই আংটিটি আর দেখা যায়নি। ফলে ভক্তদের কৌতূহল আরও বেড়েছে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বিজয়-রাশমিকাকে একসঙ্গে দেখা যায়। দু’জনের ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ানোর ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিজয় ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিজয় লিখেছিলেন, ‘অপরিসীম সম্মান! স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় তেরঙায় রাঙানো হলো এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। ভক্তদের সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত করেছে প্যারেডের সেই মুহূর্ত, যখন কিছু সময়ের জন্য রাশামকা ও বিজয়কে হাত ধরাধরি করতে দেখা যায়। ফলে তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন আরও জোরদার হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই ‘ভিডি-১৪’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যাবে রাশমিকা ও বিজয়কে। এর আগে তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘গীতা গোবিন্দম’ এবং ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতে। সূত্র: টাইমস নাউ।

আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো

আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো অনেক দিন হলো দেশ ছেড়েছেন ঢালিউড অভিনেতা । দেশ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে ন্যূনতম আক্ষেপ নেই এই অভিনেতার। নিজ দেশ ছেড়ে পরবাসী হওয়ার কারণ কী? তিনি দায়ী করেছেন কাজের অভাবকে। ঢালিউডের প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রোববার এফডিসিতে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া মাহফিল। প্রয়াতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সেখানে হাজির হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন পুরাতন শিল্পীদের অনেকে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খলনায়ক আহমেদ শরীফ। দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশে থাকলে তাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো। ঢালিউডের শিল্পীদের এখন কাজের অভাব। বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা নির্মাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় শিল্পীরা হয়ে পড়েছেন দরিদ্র। আহমেদ শরীফের মতে, শিল্পীদের অনেকে এখন ঠিক মতো দুবেলা খেতেও পারেন না। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছেন যে নিশ্চিত করে বলবে যে, তার দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি, তাহলে বলতে হবে নেই। মিথ্যা নয়। দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই বলছেন শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। দেশে থাকলে আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো’সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন আহমেদ শরীফ, আজ বিএফডিসিতে। আহমেদ শরীফ এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন দেশে। দেশেরবাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশে থাকলে তার কী পরিণতি হতো, সে প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আজ যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাকে হাত পেতে লোকের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও। অনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘আজ আমি দেখছি, অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ, দেশে আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, সবার মঙ্গল করুক। সরকারের কাছে আহমেদ শরীফের প্রত্যাশা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামীতে যদি আমি দেশে আসি, সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য একটা নিশ্চিন্ত জীবন চাইবো। শিল্পীরা যেন একটা ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পায়। আহমেদ শরীফ প্রায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হারানো দিনের সিনেমা থেকে আধুনিক, প্রায় সব সিনেমায় তাকে পাওয়া যেত খলনায়ক হিসেবে। সেসবের মধ্যে রয়েছে ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘দেনমোহর’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘গোলমাল’, ‘তিন কন্যা’ ইত্যাদি।

দেশে এসেছেন শাবানা

দেশে এসেছেন শাবানা ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। অভিনয়ের পাঠ চুকিয়ে তিনি অনেকটা আড়ালে থাকলেও মাঝে মধ্যে দেশে ফেরেন। এবার এলেন প্রায় পাঁচ বছর পর। কয়েকদিন আগেই তিনি নীরবে ঢাকায় এসেছেন। গণমাধ্যমে সহজে কথা বলতে চান না এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসের নিজ বাড়িতে উঠেছেন। শাবানা দেশে না থাকলে বাড়িটি খালিই পড়ে থাকে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, সুযোগ হলে আবারও কিছু সিনেমায় কাজ করতে চান। তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকও জানিয়েছিলেন, অনুকূল পরিবেশ পেলে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবেন। তবে সে যাত্রায় তারা ব্যর্থ মনোরথেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার আগে ২০১৭ সালেও দেশে এসেছিলেন শাবানা দম্পতি। ষাটের দশকের শুরুতে এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে শাবানার চলচ্চিত্রে অভিষেক। পাঁচ বছর পর নায়িকা হিসেবে তাঁকে পাওয়া যায় ‘চকোরী’ ছবিতে, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন নাদিম। সেখান থেকেই শুরু হয় ঢাকাই সিনেমার এক সোনালি অধ্যায়। অভিনয় জীবনের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রায় ২৫ বছর ধরে স্বামী, সন্তান ও নাতি-নাতনিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দেশে আসেন বিরলভাবে। এবারের মতো পাঁচ বছর পর তাঁর এই প্রত্যাবর্তন আবারও ভক্তদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রেখার সঙ্গেও প্রেম ছিলো ইমরানের

রেখার সঙ্গেও প্রেম ছিলো ইমরানের পর্দায় যেমন অনন্য অভিনয়গুণ, অন্যদিকে ব্যক্তিগত নানা কারণে চর্চায় থাকেন বলিউডের এভারগ্রিন নায়িকা রেখা। রেখার জীবন যেন সিনেমার মতোই। নাম। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন, স্বামী মুকেশ আগরওয়ালের মর্মান্তিক মৃত্যু; সব মিলিয়ে রহস্যে ঘেরা রেখা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রেখাকে ঘিরে যেমন অসংখ্য গুঞ্জন ও গল্প ছড়িয়েছে, তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবনও থেকেছে আলোচিত-বিতর্কিত। সেসব কাহিনির ভিড়েই ৪০ বছর পর আবার আলোচনায় এসেছে তার এক কথিত প্রেমের গল্প! শোনা যায় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খানের সঙ্গেও নাকি প্রেম ছিল নায়িকার। বলা বাহুল্য, তখন ইমরানের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ভারতেও তার ভক্তের সংখ্যা ছিল অগণিত। সেখানে গেলেই দেখা যেত, কখনও পার্টিতে, কখনও কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে। সে সময় নাকি পাশে থেকেছেন রেখা। আর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় কানাঘুষা। প্রশ্ন উঠতে থাকে, তারা কি শুধুই বন্ধু, নাকি এর চেয়েও বেশি কিছু? শোনা যায়, অভিনেত্রীর মায়েরও বেশ পছন্দ ছিল সুদর্শন এই ক্রিকেটারকে! এমনকি তিনি নাকি এক জ্যোতিষীর কাছে গিয়েছিলেন জানতে, ইমরান তার মেয়ের জন্য উপযুক্ত জীবনসঙ্গী হতে পারেন কি না। যদিও সেই জ্যোতিষী কী বলেছিলেন তা আজও রহস্য। তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে যত আলোচনা হোক, পত্রপত্রিকায় যতই তাদের নিয়ে লেখালেখি হোক, সম্পর্কটা কোনোদিনই আনুষ্ঠানিক পথে গড়ায়নি। বিয়ে তো দূরের কথা, প্রকাশ্যে প্রেমের স্বীকৃতিও দেননি কেউ। তবু তাদের নাম জড়িয়ে থাকা সেই অধ্যায় আজও বলিউড আর ক্রিকেট দুনিয়ায় রয়ে গেছে এক ‘অজানা কাহিনি’ হয়ে। গসিপের পাতায় যখনই ফিরে আসে, দর্শকের কৌতূহল আবারও জেগে ওঠে তাদের ঘিরে।

অভিনেত্রী ইলিয়ানা কিছুতে তাড়াহুড়ো করতে চাই না

অভিনেত্রী ইলিয়ানা কিছুতে তাড়াহুড়ো করতে চাই না অভিনয়ে ফিরছেন বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ। এই খবর চমকে যাওয়ার মতো! কারণ তিনি যে আবার কখনও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন তা নিয়ে অনেকের সংশয় ছিল। সংশয়ে ছিলেন এ জন্য যে, প্রথম সন্তান কোয়ার জন্মের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করেছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় এই তারকা। অবসাদ তাঁকে এতটাই পেয়ে বসেছিল যে, ছেলে কোয়ার ঠিকমতো যত্নও নিতেন না তিনি। এক অপরাধবোধ কাজ করত মনের মধ্যে। সে কথা অভিনেত্রী নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। তাই চলতি বছর আবার যখন তাঁর মা হওয়ার খবর প্রকাশ পেল, তখন অনেকেই ধরে নিয়েছেন, এরপর আর হয়তো বড় পর্দায় ইলিয়ানাকে দেখা যাবে না। কিন্তু অনেকের ধারণা ভুল প্রমাণ করে পর্দায় ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজে। সদ্য দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। আর মাতৃত্বকালীন বিরতি কাটিয়ে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছা সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন। দ্য ডেইলি জাগরণসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, চলতি বছর ১৯ জুন ইলিয়ানা তাঁর দ্বিতীয় পুত্র, কিয়ানু রাফে ডোলান জন্ম দিয়েছেন। আর সন্তানের বয়স দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই জানালেন সিনেমায় ফিরে আসা নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথা। সম্প্রতি ‘ফ্রিডম টু ফিড’ লাইভ সেশনে অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে এক কথোপকথনে, ইলিয়ানা ডিক্রুজ তাঁর মাতৃত্বের পর্ব এবং তিনি কীভাবে পর্দায় থাকার অভাব অনুভব করেন তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন। এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি জানি না, মানুষ আমাকে কতটা মিস করে। শুধু জানি, আমি আমার কাজকে সত্যি ভালোবাসি। সে কারণে পর্দায় থাকা, বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা এবং অসাধারণ মানুষদের সঙ্গে কাজ করা মিস করি। আমি ভাগ্যবান এ কারণে যে, অভিনয় ক্যারিয়ারে গুণী শিল্পী ও নির্মাতাদের সঙ্গে দারুণ কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম; যা কখনও ভুলে থাকা সম্ভব নয়। তাই আবারও নতুন কোনো চরিত্র হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর ইচ্ছা এখনও মনের মধ্যে লালন করে যাচ্ছি। তবে কোনো কিছু নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। তিনি আওর বলেন, ‘অভিনয়ে ফিরে আসতে চাই ঠিকই, তবে আমার ছেলেদের সঙ্গে থাকা এবং তাদের যত্ন নেওয়াকেও অগ্রাধিকার দিতে চাই। এখন আর এলোমেলোভাবে কাজ করার ইচ্ছাও নেই। তাই ফিরে আসার আগে আমি কেবল মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য সময় নেব।

শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন দুই নায়িকা

শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন দুই নায়িকা কিছুদিন আগে ঢাকাই মেগাস্টার শাকিব খান জানান, নির্মাতা সাকিব ফাহাদের নতুন সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। চলতি বছরেই আসছে ছবিটি, যার নাম ‘সোলজার’। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে এবার জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন দুই নায়িকা। তাদের একজন অভিনেত্রী তানজিন তিশা ও ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। সদ্যই গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে একটি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। সূত্রটি জানিয়েছে, দুজনের সঙ্গেই নাকি আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, আর আনুষ্ঠানিক চুক্তি শিগগিরই সম্পন্ন হবে। এদিকে তিশার চলচ্চিত্রে অভিষেকও ঘটছে এই সিনেমার মাধ্যমেই। অন্যদিকে ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’, ‘রাত জাগা ফুল’ ও ‘আদম’ সিনেমায় কাজ করেছেন ঐশি। জানা গেছে, সাকিব ফাহাদ পরিচালিত এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে চলতি মাসেই। এই সিনেমায় শাকিব খানকে দেখা যাবে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এক এজেন্ট হিসেবে; যিনি দেশের জন্য একের পর এক দুঃসাহসিক মিশন সম্পন্ন করেন সাফল্যের সঙ্গে। কাহিনিতে বাস্তব ঘটনার ছোঁয়ার পাশাপাশি থাকছে নাটকীয়তা, দেশপ্রেম, আবেগ আর রোমাঞ্চকর অ্যাকশন।

রাজনৈতিক মতাদর্শ পরিষ্কার করলেন ফারিয়া

রাজনৈতিক মতাদর্শ পরিষ্কার করলেন ফারিয়া অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ব্যক্তিজীবন ও তার শোবিজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, এ অভিনেত্রী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন। সরকারের কোনো কাজ তার পছন্দ হলে সেটির প্রশংসা করতেও কার্পণ্য করেন না। বিগত সরকারের আমলে ফারিয়াকে এমনটাই দেখা গেছে। এ নিয়ে তাকে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ ফারিয়াকে নির্দিষ্ট সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলের সমর্থক, কর্মী ও অনুরাগী হিসেবেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। ফারিয়া এবার তার রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তিনি তার পোস্টে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার পেজ পাবলিক, সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে! তাতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না। এ অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই। বরং বলতে পারেন ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার ‘মঞ্চ’ না। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর, আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতিতে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফারিয়া তার মতামত জানাতে গিয়ে যেসব বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন সেই প্রসঙ্গে লেখেন, ‘জীবনে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যেগুলোর জন্য নিজে কোনোভাবেই দায়ী নই। যেমন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা-ই লিখি, কিছুক্ষণ পর দেখি সেটা খবর হিসেবে ছাপা হচ্ছে! প্রথমে হাসাহাসি করতাম, পরে বিব্রতবোধ হতো, আর এখন যেহেতু নিয়মিত অভিনয় করি না তাই “Who cares?” মুডে ঢুকে গেছি। কিন্তু কিছু ঘটনা থাকে, যেগুলো শুধু বিব্রতকর না, বিরক্তিকরও বটে! বিশেষ করে, জোর করে আমাকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা। ফারিয়া অভিনয়ের পাশাপাশি কেন চাকির করেন সেই প্রসঙ্গে ব্যাখা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয় এর পাশাপাশি চাকরি না করে, টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, আর ব্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে পশ্চাৎদেশের মিরর সেলফি দিতাম। এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন। আমি এখন ব্যক্তিগতভাবে খুব কঠিন ও সংকটপূর্ণ একটা সময় পার করছি।

আজ ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী সালমান শাহর

আজ ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী সালমান শাহর আজ ৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৯৬ সালের এই দিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। তার রহস্যজনক ও হঠাৎ মৃত্যুর খবর যেন পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। আজ তার ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। সালমান শাহ কোটি কোটি বাঙালির মনে আজও ভালোবাসায়, শোকে ও ভক্তিতে রয়ে গেছেন। সালমান শাহ- এর প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, সিলেটে। এই নায়ক মাত্র চার বছর সময়ের মধ্যে (১৯৯৩-১৯৯৬) ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এক অনন্য ইতিহাস গড়েছিলেন। বলা হয়, বাংলা সিনেমায় নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছিলো তার আগমনে।সালমান শাহ অভিনীত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’, ‘প্রিয়জন’সহ একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসায় সালমান শাহকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। শুরুতে তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করা হয়েছিলো, তারপরেও এ মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন ও রহস্য। এখন পর্যন্ত তা নিয়ে নানা বিতর্ক, তদন্ত ও আইনি লড়াই চলেছে। কিন্তু তার প্রকৃত মৃত্যুর কারণ আজও পরিষ্কার নয়। অকালে চলে যাওয়া দেশের চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রায় এক বিরাট শূন্যতা তৈরি করে। আজও ইউটিউবে তার সিনেমা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ দেখেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম, তার স্টাইল, তার অভিনয় নিয়ে আলোচনা হয়। আজ তার চলে যাওয়ার দিন। এই দিনে আমরা সালমান শাহ-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

আগুন গাইবেন সালমান শাহ্ স্মরণে

আগুন গাইবেন সালমান শাহ্ স্মরণে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ঢাকাই সিনেমার বাঁক বদল করা নন্দিত চিত্রনায়ক সালমান শাহ্। মৃত্যুর এত বছর পরও দর্শক হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন ঢালিউডের হার্টথ্রব এই ফ্যাশন আইকন। সালমান শাহের স্মরণে তার অভিনীত গান আর সিনেমা দিয়ে সাজানো হয়েছে বৈশাখী টেলিভিশনের পর্দা। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ‘বৈশাখী সকালের গান’ অনুষ্ঠানে সালমান শাহ্ অভিনীত চলচ্চিত্রের কয়েকটি গান গাইবেন গুণী কণ্ঠশিল্পী আগুন। এছাড়াও প্রচার হবে সালমান শাহ্ অভিনীত দুটি সিনেমা। সকাল ১০টায় রয়েছে সালমান শাহ্, মৌসুমী, আনোয়ারা, রাজীব অভিনীত ‘অন্তরে অন্তরে’। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রয়েছে সালমান শাহ্, শাহনাজ, শাবনূর,শাবানা, আলমগীর অভিনীত ‘সত্যের মৃত্যু নেই’। দুপুর ১টায় রয়েছে আসিন জাহানের উপস্থাপনায় ‘শুধু সিনেমা গান’। অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে সালমান শাহ্ অভিনীত চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কিছু গান দিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে সালমান শাহ্ ও মৌসুমী অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, সালমান শাহ্-শাবনূর অভিনীত ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘বিক্ষোভ’ এবং ‘মহামিলন’ চলচ্চিত্র। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন নিকোলাস হীরা।