বলিউডে ৩৪ বছর, জন্মদিনে যা বললেন অক্ষয়

বলিউডে ৩৪ বছর, জন্মদিনে যা বললেন অক্ষয় অক্ষয় কুমার, যিনি আজ বলিউডের ‘খিলাড়ি’। একসময়ে তার স্ট্রাগলের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে ব্যাংকক। কখনও তিনি মার্শাল আর্টের ‘গুরু’, আবার কখনও বা রেস্তরাঁর রাঁধুনি। তবে সিনেদুনিয়ায় ভাগ্য নির্ধারণ করতে এসেও কম প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়নি তাকে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পর পর চোদ্দটা ফ্লপ দেখে বলিউডকে বিদায় জানিয়ে কানাডায় নতুন ইনিংস শুরু করবেন ভেবেছিলেন, তবে অদৃষ্টের হিসেব কে জানত? আজ সেই অভিনেতাই উত্থান-পতনের হিসেব না কষে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৪ বছর কাটানোর জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে কলম ধরলেন নিজের জন্মদিনে। আজ ৫৮ বছরে পা দিলেন অক্ষয় কুমার। বিশেষ এই দিনে দর্শক-অনুরাগীদের জন্য বিশেষ পোস্ট উপহার তার। খিলাড়ির মন্তব্য, নিজেকে গড়ে তোলার ৫৮ বছর, ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৪ বছর। দেড়শোটি সিনেমায় অভিনয়, এখনও আরও বাকি। তিনি লেখেন, আমার এই জার্নিতে যারা আমার সঙ্গে থেকেছেন, আমাকে বিশ্বাস করে আমার সিনেমার টিকিট কেটেছেন কিংবা যেসব প্রযোজক-পরিচালকরা আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, আমাকে পথ দেখিয়েছেন, আমার এই সফরের অংশীদার তারাও।অক্ষয় কুমার আরও বলেন, যেভাবে আমাকে নিঃশর্ত ভালোবাসা দিয়েছেন আপনারা, যেভাবে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, আজ মন থেকে আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের ছাড়া আমি শূন্য। যারা আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, এই জন্মদিনটা তাদের জন্য উৎসর্গ করলাম।অক্ষয়ের এই পোস্টে ভক্তদের কমেন্টের জোয়ার। খিলাড়িকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বলিউডের তার কঠিন লড়াইয়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে। ভক্তদের এই নায়কের কাছে আবদার, ‘ফিরে আসুন অ্যাকশন অবতারে…। ’
দেব-ইধিকা সেবক কালীবাড়িতে পূজা দিলেন

দেব-ইধিকা সেবক কালীবাড়িতে পূজা দিলেন ‘রঘু ডাকাত’ চলচ্চিত্রের প্রচারে রাজ্য সফরে শনিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছান দেব ও ইধিকা। সেখানে সেবক কালীবাড়ি মন্দিরে পূজা দেন তারা। পূজায় মুক্তি পাচ্ছে এসভিএফ ও দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘রঘু ডাকাত’। এরই মধ্যে এই ছবির প্রচার শুরু হয়ে গেছে জোর কদমে। রাজ্য সফর করছে টিম ‘রঘু ডাকাত’। শনিবার মালদায় ছবির প্রচার শেষে টিম ‘রঘু ডাকাত’ পৌঁছে যায় শিলিগুড়িতে। আর এখানে সেবক কালীবাড়িতে পূজা দিলেন দেব-ইধিকা, সোহিনী সরকারসহ ছবির অন্য কলাকুশলীরা।দেব, ইধিকা ও ওম সাহানির পরনে কালো পোশাক আর সোহিনী পরেছিলেন লাল রঙের শাড়ি, সঙ্গে কালো ব্লাউজ। ইধিকাকে পাশে বসিয়ে মায়ের কাছে রঘু ডাকাত ছবির সাফল্য প্রার্থনা করলেন দেব। নিলেন পূজার ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলকও পরেন দেব। তাকে মন্দিরের পুরোহিত উত্তরীয় পরিয়ে দেন। ভিডিওতে দেখা গেছে দেব তার হাতে হলুদ সুতা বাঁধছেন। খাদান ছবির সময়ও দেব ও ইধিকাকে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পূজা দিতে দেখা যায়। এমন কী, ধূমকেতু ছবির মুক্তির আগের দিনও শুভশ্রীর সঙ্গে দেব একসঙ্গে পূজা দেন বড়মার কাছে। উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে দার্জিলিং যাওয়ার পথেই পড়ে এই সেবকেশ্বরী কালী মন্দির, যা সেবক কালীবাড়ি নামে পরিচিত। সেখানেই পূজা দিয়ে দার্জিলিংয়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় টিম রঘু ডাকাত।
আমাকে এমন আরও চরিত্রে দেখতে চায় অমিত হাসান

আমাকে এমন আরও চরিত্রে দেখতে চায় অমিত হাসান এক সময়ের ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন অমিত হাসান। ধীরে ধীরে সিনেমার কাজ যায় কমে। অভিনেতা হিসেবে এক প্রকার অবসরে চলে যান তিনি। হঠাৎ একদিন তাকে পর্দায় পাওয়া যায় খলনায়ক হিসেবে! নায়ক যখন ভিলেনের চরিত্র পান, কেমন ছিল তার প্রতিক্রিয়া? আজ ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার অমিত হাসানের জন্মদিন। ১৯৬৮ সালের আজকের দিনে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বানিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রকৃত নাম খন্দকার সাইফুর রহমান। ১৯৮৬ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অমিত হাসান চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চেতনা’। ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। কেন্দ্রিয় চরিত্রে একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ সিনেমায়। এরপর ‘প্রেমের সমাধি’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘জিদ্দী’, ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘রঙিন উজান ভাটি’, ‘ভালবাসার ঘর’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। নায়ক থেকে হঠাৎ খলনায়ক হলেন কীভাবে? এক সাক্ষাৎকারে অমিত হাসান বলেন, ‘চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পরিবর্তনের পর আমিও নিজেকে বদলে নিয়েছি। ২০২১ সালে “ভালোবাসার রং” সিনেমা দিয়ে ভিলেন হিসেবে পর্দায় আসি। নির্মাতা শাহিন সুমন যখন আমাকে ভিলেনের চরিত্র অফার করেছিলেন, তখন আমি ভীষণ মাইন্ড করেছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, “আমি দুই থেকে আড়াই শ ছবির নায়ক, তুমি আমাকে ভিলেনের অফার করছো।” পরে সে আমাকে বলে, “ভাইয়া করেন। এতে আপনার নায়িকা নেই, গান নেই, সিনেমাটিতে আপনার কিছুই নেই, এখানে আপনি একজন মন্দ লোক।” এই কথা শুনে আমি ভাবনায় পড়ে যাই। শাহিন সুমনের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পাওয়ার পর অমিত হাসান বেশ কয়েক দিন চিন্তা করেন। এরপর সিদ্ধান্ত নিলেন ভিলেন হিসেবে অভিনয় করবেন। তিনি বলেন, ‘চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম, দেখি এই চরিত্রে অভিনয় করে কী হয়। কারণ আমি একজন অভিনেতা। যে কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে পারি। কাজটি করলাম। দর্শকদের কাছ থেকেও বেশ সাড়া পেয়েছি। এখন নির্মাতা, প্রযোজক ও দর্শকরা আমাকে এমন আরও চরিত্রে দেখতে চায়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে চার বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা দর্শক অবশেষে দেখতে পাবেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ সিনেমা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে মুক্তির তারিখ নিশ্চিত করেন নির্মাতা মানিক। তিনি জানান, “২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তির ব্যাপারে প্রযোজক সমিতির অনুমোদন নিয়েছি। হল মালিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। খুব শিগগিরই হল বুকিং শুরু হবে। দর্শক যেমন গল্পনির্ভর সিনেমা দেখতে চান, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।পরিচালকের বিশ্বাস, সিনেমাটির শিল্পীরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন এবং তাদের অভিনয় দর্শকের মন জয় করবে। সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সুদীপ্ত সাঈদ খান। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন আদর আজাদ ও নিশাত নাওয়ার সালওয়া। তবে মুক্তির তারিখ ঘোষণার পরও এখনো তাদের প্রচারণায় দেখা যায়নি। এ ছাড়া সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলীরাজ, মারুফ আকিব, রেবেকা, চিকন আলীসহ অনেকে। দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশে ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ দর্শকদের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী নির্মাতা।
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন সাবিনা ইয়াসমীন

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন সাবিনা ইয়াসমীন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক বদরুদ্দিন উমর এর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রদর্শিত হয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’। এরপর সমবেত নৃত্য ‘গীতিময় সেই দিন চিরদিন বুঝি আর এলো না’ পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘যার গান শুনে শুনে আমরা সময়ের সাথে আগামীর পথে হেঁটেছি, যার গান প্রাণে শিহরণ এনেছে, আপ্লুত করেছে, অভিভূত করেছে তিনি বাংলা গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমীন। স্বনামখ্যাত এ গুনী শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করতে পেরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্বিত ও আনন্দিত। পরিকল্পনা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলা গান মানেই আবেগ, স্মৃতি আর হৃদয়স্পর্শী সুরের এক অনন্ত ভুবন। সেই ভুবনে যদি কারও কণ্ঠ অনায়াসে শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তবে নিঃসন্দেহে তিনি সাবিনা ইয়াসমীন। অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতের আকাশে তার কণ্ঠ ভেসে এসেছে, কখনো চলচ্চিত্রের পর্দা জুড়ে, কখনো বেতার-টেলিভিশনের সুরে, আবার কখনো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মধুর সঙ্গী হয়ে। সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, নকিব খান, পার্থ বড়ুয়া, খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা। পরে শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠানে শ্রোতারা বুঁদ হয়ে যান। শিল্পী একে একে পরিবেশন করেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’,‘জন্ম আমার ধন্য হলো’ প্রভৃতি গানগুলো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেন। বাংলা গানের গৌরব কোকিলকণ্ঠী-খ্যাত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সংগীতের হাতেখড়ি তার মায়ের কাছে। তিনি এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের মত গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চলচ্চিত্রের গান।১৯৮৩ সালে তাকে ভারতের বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ ‘সংসদ রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে এবং ১৯৮৫ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘একুশে পদক’ এবং স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী, যিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসেবে ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। সম্মাননা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাবিনা ইয়াসমীন শুরু করেন দেশের গান দিয়ে, গাইলেন- ‘ও দেশ তোমার জন্য’। একে একে গেয়ে শোনালেন ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’, ‘তুমি ফুলকে বলো চলে যেতে‘, ‘কত সাধনায় এমন ভাগ্য পেলে’র মত জনপ্রিয় গানগুলো।
রুক্মিণীর পরিবারে এলো নতুন ‘অতিথি’

রুক্মিণীর এলো নতুন ‘অতিথি’ টালিউডের প্রেমিক জুটি দীপক অধিকারী দেব ও অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র সবসময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় থাকেন। আবার এ তারকা জুটি নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনো লুকোছাপা করেন না। পার্টি হোক কিংবা অনুষ্ঠান—সবখানে একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ বক্স অফিসে ভালোই ছাপ ফেলেছে। এর মাঝেই অভিনেতা ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যদিকে রুক্মিণী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বি-টাউনের নিজের জমি শক্ত করার কাজে। এর মধ্যেই রুক্মিণীর পরিবারে এলো নতুন অতিথি। সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে— একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন রুক্মিণী। বিএমডব্লিউ ৫ সিরিজের গাড়িটি কিনেছেন তিনি। সাদা রঙা গাড়িটির কলকাতায় অনরোড (ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী নির্ভর করছে) দাম প্রায় ৮৭.৭৫ লাখ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা। গাড়িটি বাড়িতে আনার সময় শোরুমে গিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করেছেন এ জুটি। এতসব ব্যস্ততার মাঝেও এ তারকা জুটি সময় কাটাতে ছুটে যান দূরে কোথাও। তবে এরই মাঝে টালিউডে গুঞ্জন— দূরত্ব তৈরি হয়েছে দেব-রুক্মিণীর মধ্যে। যদিও সেই জল্পনায় ইতি টেনেছেন এ তারকা জুটি। সম্প্রতি দেবের বাড়ির গণেশ পূজায় হাজির হয়েছিলেন নায়িকা রুক্মিণী মৈত্র। আবার ‘ধূমকেতু’-র স্পেশাল স্ক্রিনিংয়েও হাতে হাত ধরে এসে বলেছেন— আমি ছিলাম, আছি থাকব।এর মধ্যে অভিনেত্রী পাড়ি দিয়েছেন মায়ানগরী মুম্বাইয়ে। বলিউডে কাজের স্বপ্নপূরণে আপাতত তিনি সেখানকারই বাসিন্দা। দেবও তার পার্টনারের পাশে থাকছেন। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও দেখা করতে হাজির হন মুম্বাই। তবে এ মুহূর্তে অভিনেতা রয়েছেন টালিউডে। ফলে নায়িকাও ফিরেছেন এই শহরে। উৎসবের দিনগুলো এখানে কাটিয়ে ফিরবেন মুম্বাইতে।
সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরলেন জাস্টিন বিবার

সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরলেন জাস্টিন বিবার নতুন চমক নিয়ে ফিরেছেন কানাডিয়ান পপ তারকা জাস্টিন বিবার। গেল জুলাইয়ে প্রকাশিত ‘সোয়াগ’ অ্যালবামের সিক্যুয়েল হিসেবে এবার এলো ‘সোয়াগ ২’। দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ‘সোয়াগ ২’ অ্যালবামে যুক্ত হয়েছে একসঙ্গে ২৩টি নতুন গান। এর আগে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১১ জুলাই ‘সোয়াগ’ প্রকাশ করেছিলেন বিবার। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের শেষে লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়েস্ট হলিউড ও বিলবোর্ডে ব্যানার ঝুলতে দেখা যায় ‘সোয়াগ ২’–এর, যা ভক্তদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর ইনস্টাগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অ্যালবামের ঘোষণা দেন বিবার। গত এক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সোয়াগ ২’–সংক্রান্ত ছবি শেয়ার করছিলেন তিনি। দুই অ্যালবামের নামকরণ নিয়েও ভক্তদের মধ্যে চলছে আলোচনা। ধারণা করা হচ্ছে, এর অনুপ্রেরণা এসেছে ২০১২ সালে প্রকাশিত বিবারের হিট গান ‘বয়ফ্রেন্ড’ থেকে। ‘সোয়াগ ২’-এর প্রযোজনা ও সুর তৈরিতে যুক্ত হয়েছেন একাধিক নামকরা মিউজিক প্রডিউসার ও লেখক, যারা আরএনবি ঘরানায় নতুনত্ব আনতে পরিচিত। টানা চার বছর পর নতুন দুটি অ্যালবাম প্রকাশে উচ্ছ্বসিত ভক্ত ও সহশিল্পীরা। অনেকে শুভকামনা জানিয়ে বলছেন, ব্যক্তিগত সংকট কাটিয়ে গানে ফেরাটা প্রশংসনীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসুস্থতা, কনসার্ট স্থগিত আর দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের কারণে খবরের শিরোনামে ছিলেন বিবার। অবশেষে ‘সোয়াগ’ এবং ‘সোয়াগ ২’ দিয়ে তিনি আবারো ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করছেন।
কুদ্দুস বয়াতি তোতলা মেয়েকে বিয়ে করতে বললেন

কুদ্দুস বয়াতি তোতলা মেয়েকে বিয়ে করতে বললেন জনপ্রিয় গায়ক ও লোকশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। সম্প্রতি ফেসবুকে বেশ সরব তিনি। সেখানে রোজ রোজ প্রকাশ করেন অনেক গান, গ্রামীণ জীবনের নানা অভিজ্ঞতার ছবি ও ভিডিও। ব্যঙ্গাত্মক সব স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন দেশ ও সমাজের নানান অসঙ্গতির কথা। আজ সোমবার তিনি ফেসবুকে বেশ মজা করে দিয়েছেন একটি স্ট্যাটাস। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সেখানে তিনি সংসার জীবনে সুখের স্বার্থে তোতলা মেয়েকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন। কুদ্দুস বয়াতি লিখেছেন, ‘তোমরা বিয়ে করলে তোতলা মেয়েকেই করবা। ঝগড়া করলে সে এক কথা বলতে বলতে তুমি বেশি কথা শুনিয়ে দিতে পারবা। এই মন্তব্যে কুদ্দুস বয়াতি মূলত নারীর কথার চাপে থাকা স্বামীদের দাম্পত্য জীবনের হাস্যকর পরিস্থিতির ইঙ্গিত করেছেন। তোতলা মেয়ে বলতে তিনি এমন একজনকে বোঝাতে চেয়েছেন যিনি কথা বলতে গিয়েই হঠাৎ থমকে যান অথবা তথ্য ভুলে যান। তখন স্বামী অনেক কথা বলতে পারবেন। পোস্টটিতে কুদ্দুস বয়াতির ভক্ত-অনুরাগীরা বেশ মজা পেয়েছেন। অনেকে করছেন মজার মজার সব মন্তব্য। এর আগে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে ৩১ আগস্ট ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। সেটি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কুদ্দুস বয়াতি লিখেছিলেন, ‘মারামারি, কাটাকাটি দেখে মনে হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি আসতে আসতে দেশের ছাল, চামড়া কিছুই থাকবে না।
শার্লিন ভালো ‘আইটেম সং’ এ পারফর্ম করতে চান

শার্লিন ভালো ‘আইটেম সং’ এ পারফর্ম করতে চান স্বামী, সন্তান সংসার নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী শার্লিন ফারজানা। প্রায় ছয় বছর তাকে কোনো কাজে দেখা যায়নি। সম্প্রতি অভিনয়ে ফিরেছেন। কাজ করছেন নাটক, বিজ্ঞাপনে এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা ‘জীবন আমার বোন’ এ। শার্লিন নিজেকে প্রস্তুত করছেন বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য। এজন্য নাকি অডিশনও দিচ্ছেন তিনি। শার্লিন ফারজানা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ ভালো আইটেম গান পেলে ‘পারফর্ম করবো। বরবাদ সিনেমার ‘চাঁদমামা’ গানটায় নুসরাতের পারফর্ম দারুণ লেগেছে। আমার যদি ফিগার ঠিক থাকে, আর মানিয়ে নিতে পারি, তাহলে কেন নয়। এই যে দীর্ঘ ৬ বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন শার্লিন, এই সময়টা তাকে কেমন অনুভূতি দিয়েছে, তাও জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, ‘‘কাজ থেকে দূরে থাকতে খুব আরাম লাগে কিন্তু একটা শূন্যতাও আছে। মনে হয়, আমি যে মাধ্যমটায় কাজ করেছি, যেখানে আমার অবস্থান ছিল, সেটা যেন নেই। শার্লিন জানিয়েছেন, কাজ আর পরিবারের মধ্যে ব্যালান্স করা শিখে গেছেন তিনি।
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আবুল হায়াত যাকে কৃতিত্ব দিলেন

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আবুল হায়াত যাকে কৃতিত্ব দিলেন আবুল হায়াতের অভিনয় দেখে বড় হয়েছে কয়েকটি প্রজন্ম। এখনও অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। আশি পার হওয়া মানুষটি সর্বদা প্রাণবন্ত থাকেন আজও। তিন বছর ক্যানসারের সঙ্গে লাড়াই করা মানুষটি আজও অষ্টপ্রহর ডুবে থাকেন কাজে। অসীম প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ মানুষটির আজ (৭ সেপ্টেম্বর) জন্মদিন। কে বলবে তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন! ২০২১ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে আবুল হায়াতের। চিকিৎসক, পরিবারের সহায়তা আর নিজের অসীম মনোবলের কারণে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন। তিনি এখনো মাসের অর্ধেক সময় নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিন বছর ধরে ক্যানাসরের সঙ্গে লড়াই করলেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রাকাশ্যে এসেছে। গত বছর আত্মজীবনী ‘রবি পথ’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ডাক্তার বললেন, আমার ক্যানসার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যানসারের রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। জীবনের কঠিন সময়ে মানসিক শক্তি ধরে রাখার সব কৃতিত্ব আবুল হায়াত দিয়েছেন স্ত্রী শিরিন হায়াতকে। স্ত্রী সারাক্ষণ তাকে বলতেন, ‘আরে কী হয়েছে। এটা কোনো ব্যাপার নাকি? আমরা আছি, চিকিৎসা করাবো। যেখানে যা লাগে, আমরা করবো। তুমি ভালো হয়ে যাবে। স্ত্রীর অবদানের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবুল হায়াত আরও বলেন, ‘রাতে খাবার খেয়েছি কি খাইনি, জানি না। বিছানায় শুয়ে পড়েছি। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি (তার স্ত্রী শিরিন হায়াত) পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন তিনি বলতেন, “আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?” বলে হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।’ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর আবুল হায়াতের মেয়েরাও (বিপাশা ও নাতাশা) শক্তি জুগিয়েছেন। স্ত্রীকে সহযোদ্ধা উল্লেখ করে আবুল হায়াত বলেন, ‘সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ-সবকিছুতে সে ছিল। আজ আমি এই যে তিনটা বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তার কারণে সম্ভব হয়েছে। সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই, যাকে কৃতিত্ব দিলেন আবুল হায়াতগত বছর ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আবুল হায়াতের আত্মজীবনী ‘রবি পথ’র প্রকাশনা উৎসবে অভিনেতা ও তার স্ত্রী শিরিন হায়াত। আবুল হায়াত ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো টিভিপর্দায় তার অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে টিভি নাটক, সিনেমা আর বিজ্ঞাপনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অনেক নাটকে আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন। ‘মিসির আলি’ চরিত্রে অভিনয় তার একটি বিশেষ কাজ। এর বাইরে ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ ধারাবাহিকগুলোতে আবুল হায়াত ছিলেন অনবদ্য। তার বহু খণ্ড নাটকও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।পরিচালনাতেও সফল আবুল হায়াত। বেশ কিছু খণ্ডনাটক নির্মাণ করে তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় বিটিভিতে ‘জোছনার ফুল’ নাটকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছিল। মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও আবুল হায়াত পেয়েছিলেন প্রশংসা। তার বেশ কিছু নাটক নতুনদের সৃষ্টিশীল অভিনয়ে উৎসাহ দেয়। আসাদুজ্জামান নূরের চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় বিদেশি নাটক অবলম্বনে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি অন্যতম। ১৯৭৮ সালে এতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন আবুল হায়াত। আবুল হায়াতের লেখা প্রথম উপন্যাস বের হয় ১৯৯১ সালে, নাম ‘আপ্লুত মরু’। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয় ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’ (তিন খণ্ড), ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’, (দুই খণ্ড) ও ‘জিম্মি’। আবুল হায়াত ১৯৭০ সালে মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত। ছয় বছর পর জন্ম নেয় নাতাশা হায়াত। তারা দুজনই শোবিজের জনপ্রিয় মুখ।