মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়াকে নিয়ে কী বলেছিলেন ঋষি?

মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়াকে নিয়ে কী বলেছিলেন ঋষি? প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়া ভাটকে নিয়ে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তা সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আলিয়া ভাটের জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে সেই পুরনো স্মৃতি সামনে এনেছেন অনেকে।কাপুর পরিবারের ঐতিহ্য মেনে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করলেও, ঋষি কাপুর নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তার ছেলে রণবীর কাপুরের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়শই কথা বলতেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে রণবীরের সম্পর্ক নীতু কাপুর মেনে নিতে পারেননি। তবে আলিয়া ভাটের ক্ষেত্রে চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। রণবীরের মা নীতু কাপুর আলিয়াকে মন থেকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং ঋষি কাপুরও আলিয়ার অভিনয়ের মুগ্ধ ভক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ঋষি কাপুর ভারতীয় সিনেমার বর্তমান অবস্থা এবং তরুণ প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন অভিনেতা তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছেন। কোনো দ্বিধা ছাড়াই ঋষি কাপুর তখন আলিয়া ভাটের নাম নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আলিয়া ভাটের মতো একজন অভিনেত্রীর প্রশংসা করতেই হয়, যিনি হাইওয়ে এবং রাজি-এর মতো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। এই অল্প বয়সে একটি পুরো চলচ্চিত্রকে নিজের কাঁধে বহন করা খুবই কঠিন এবং কেবল একজন দক্ষ অভিনেতাই এটি করতে পারেন। এছাড়াও, এই ধরণের চরিত্র পাওয়ার জন্যও একজনকে যথেষ্ট ভাগ্যবান হতে হবে। আলিয়া ভাগ্যবান এবং অবশ্যই তার প্রতিভাও আছে।’ আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরের প্রেম তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর প্রেম করার পর, ঋষি কাপুরের মৃত্যুর দুই বছর পর ২০২২ সালে এই জুটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা

ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত হিন্দি সিনেমা ‘সাইয়ারা’ মুক্তির সাত সপ্তাহ পর থিয়েটার থেকে বিদায় নিয়েছে। নবাগত তারকা আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার এই ছবি বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এবং একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সিনেমাটি ৪৮ দিন ধরে হলে প্রদর্শিত হয়েছে, আর শুধু ভারতেই এর আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৯.২৫ কোটি রুপি। এর মাধ্যমে ‘সাইয়ারা’ ভারতের ১৪তম সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি সিনেমা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি সালমান খানের ‘সুলতান’ (৩০০ কোটি), সঞ্জয় লীলা বনসালীর ‘পদ্মাবত’ (৩০২ কোটি) এবং কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ (২৬০ কোটি)-এর মত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোকে পেছনে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ‘সাইয়ারা’র দাপট ছিল চোখে পড়ার মত। কোনো সুপারস্টার না থাকা সত্ত্বেও ছবিটি আয় করেছে ১৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় সাফল্য। সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী ছবিটির মোট আয় ৫৭০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের আয়ের ফলে ‘সাইয়ারা’ এই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমার তকমা পেয়েছে। ৫৭০ কোটি রুপি আয়ের কারণে ‘সাইয়ারা’ শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’ (৪৫৫ কোটি), সালমান খানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ (৫৫৮ কোটি), রণবীর কাপুরের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (৪৩১ কোটি), এবং সর্বকালের ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’ (৪৬০ কোটি) ও ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (৪২২ কোটি)-এর মতো ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে। মোহিত সুরি পরিচালিত এবং ওয়াইআরএফ সিইও অক্ষয় বিধানী প্রযোজিত এই ছবিতে একজন মেজাজী গায়ক (আহান) এবং একজন গীতিকারের (অনীত) প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রাজেশ কুমার, বরুণ বাদোলা, শাদ রান্ধাওয়া, গীতা আগ্রওয়াল শর্মা, আলম খান এবং শান গ্রোভার। ছবিটি সমালোচক ও দর্শক—উভয়ের কাছ থেকেই দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।

মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর!

মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর! বিদেশি প্রেমিক সুইজারল্যান্ডের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মাইক রিচারেরকে বিয়ে করেছিলেন ভারতের বাঙালি গায়িকা মোনালি ঠাকুর। এবার শোনা যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মোনালি-মাইক রিচার দাম্পত্য জীবনে কঠিন সময় পার করছেন। সম্ভবত তারা বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি মোনালি কিংবা মাইক। গত বছর মোনালির মায়ের মৃত্যুর আগে স্পষ্ট হয় মোনালি-মাইকের সম্পর্ক ঠিক নেই। স্বামীর সঙ্গে সব ছবি মুছে ফেলেন গায়িকা। সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তা বুঝতে কারো বাকি ছিল না। সামাজিকমাধ্যমে মাইককে অনুসরণ করেন না মোনালি। এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, এই কয়েক বছরে তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে; দম্পতি হিসেবে এখন আর কেউ তাদের নিয়ে কথা বলে না। দীর্ঘ দূরত্বের বিয়ে সাধারণত এই ধরনের পরিণতির মুখোমুখি হয়। মাইকের সঙ্গে মোনালি প্রেম করছেন এ খবর সবাই জানতেন। কিন্তু গোপনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা; যা পুরোপুরি আড়ালে রেখেছিলেন মোনালি। ৩ বছর পর গোপন বিয়ের খবর জানান এই গায়িকা। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মোনালি ও মাইক। এক সাক্ষাৎকারে এই গায়িকা বলেছিলেন, আমার বিয়ের খবরটি শুনে অনেকেই হয়তো কষ্ট পাবেন কারণ ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুই বিষয়টি জানেন না এবং তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমরা চাইছিলাম অনুষ্ঠান করে ঘোষণা দিব কিন্তু এভাবেই তিন বছর পার হয়ে গেছে। মাইকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনা বর্ণনা করে মোনালি বলেছিলেন, সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে মাইকের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখনই আমাদের প্রেম হয়ে যায়। শুধু মাইকের সঙ্গে নয়, তার পরিবারের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক। ২০১৬ সালের ক্রিসমাস ইভে একটি গাছের নিচে মাইক আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, সেখানেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাঁ বলেছিলাম। জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক শক্তি ঠাকুরের কন্যা মোনালি ঠাকুর। বাবার পথ অনুসরণ করে একই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি ঠাকুর। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘জারা জারা টাচ মি’, ‘গুডনাইট’, ‘খুদায়া খায়ের’, ‘গোলামাল’ প্রভৃতি। এছাড়া বলিউডের সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন মোনালি।

গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন

গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ‘গানের পাখি’ বলেই ডাকা হয় তাকে। সুরের জাদুতে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৫৪ সালর ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন নারায়ণগঞ্জে। তার পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। পরিবারে সংগীতের চর্চা ছিল, তাই ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। এই গানের মানুষ আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন। এক জীবনে অনেক কিছুর সাক্ষী সাবিনা ইয়াসমিন। জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এই শিল্পী। জীবনের কোন মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি শিখিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় শিল্পীর কাছে। জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সত্যি বলতে আমার সংগীতজীবনে কঠিন মুহূর্ত আসেনি। আল্লাহর রহমতে খুব ভালোভাবে এত দূর এসেছি, এতটা সময় কাটিয়েছি। মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন কিছু মুহূর্ত যে আসেনি, তা নয়। ওই সময়টায় গানই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। গান আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন—সব।” সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। তার মা মুর্শিদাবাদে সে সময়ের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে গান শিখতেন। তার বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন ও ফৌজিয়া ইয়াসমিন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নেন। সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমিন তাদের সঙ্গে বসতেন। তার মা তাকে তালিমে সহায়তা করতেন, হারমোনিয়াম বাজিয়ে সঙ্গ দিতেন। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান করেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে টানা ১৩ বছর শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে বেতারে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান ‘খেলাঘর’-এ অংশ নেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ অনুষ্ঠানে তার প্রথম সম্মানী ছিল ১০ টাকা। সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার প্রতিবেশীর বাড়িতে আলতাফ মাহমুদ আসেন। ওই সময়ে আলতাফ মাহমুদ চলচ্চিত্রে সংগীতায়োজন করতেন। সাবিনা ইয়াসমিনের মা আলতাফ মাহমুদকে অনুরোধ করেন, মেয়েকে চলচ্চিত্রের গানে সুযোগ দেওয়ার। পরে আলতাফ মাহমুদ ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটি ছিল সাবিনা ইয়াসমিনের প্রথম চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক। সিনেমাটি পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন। পরবর্তী চার দশকে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে গান করেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংখ্যা কিংবা জনপ্রিয়তা দুই দিক দিয়েই বরাবরই এগিয়ে ছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে—‘তুমি আমার মনের মানুষ’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘কী দিয়া মন কাড়িলা’, ‘ও সাথীরে’, ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’, ‘তুমি যে আমার’, ‘সে যে কেন এলো না’, ‘তুমি চাঁদের জোছনা নও’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’, ‘এই পৃথিবীর পরে’ প্রভৃতি। তা ছাড়া দেশাত্মবোধক গান কণ্ঠে তুলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার গাওয়া কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে রয়েছে—‘জন্ম আমার ধন্য হলো’, ‘সব কটা জানালা’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘একটি বাংলাদেশ’, ‘মাগো আর তোমাকে’ প্রভৃতি। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে কত হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন তার সঠিক হিসাব করা মুশকিল। এর সঠিত তথ্য সাবিনা ইয়াসমিন নিজেও দিতে পারেন না। তবে ধারণা করা হয়— দশ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। দেড় হাজারের অধিক চলচ্চিত্রের গান কণ্ঠে তুলেছেন এই শিল্পী। ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কিশোর কুমার, মান্না দের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। আবার মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের উঠতি শিল্পীদের সঙ্গেও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। এ পর্যন্ত চৌদ্দবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।

চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী

চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী দুর্গাপুজা মানেই কলকাতা শহরজুড়ে রঙ, আলো, আর তারকাদের ঝলক। আর সেই উত্‍সবের আবহে এবার এক অনন্য মুহূর্ত উপহার দিলেন টলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী— মিমি চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলী। একজন রাজ চক্রবর্তীর সাবেক প্রেমিকা, অন্যজন পরিচালকের স্ত্রী। অতীতের জটিলতা, গসিপ, আর টলিপাড়ার কানাঘুষোকে পিছনে ফেলে, তারা একসঙ্গে ধরা দিলেন এক ফ্রেমে। রাজকে ভুলে দুই সুন্দরী ডুবলেন ব্র্যোম্যান্সে। মিমির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গেল শুভশ্রীর গলায়, এদিকে রাজের স্ত্রীর গালে আনন্দে চুমু খেলেন তার প্রাক্তন। ঘটনাটি ঘটেছে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। মেকআপ ভ্যানে তোলা একটি রিল ইতোমধ্যে ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে শুভশ্রীকে বলতে শোনা গেছে, ‘বলিউডে যদি দীপিকা থাকে, আমাদের আছে মিমি। শুভশ্রীর মন্তব্যের পর মিমি আবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রীর গালে চুমু খান। এই দৃশ্য দেখে অবাক নেটপাড়া। ভিডিওটি দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন, একটা সময়ে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে মিমির সম্পর্ক ছিল টলিপাড়ার ওপেন সিক্রেট, আর আজ প্রাক্তন প্রেমিকের স্ত্রী শুভশ্রীর সঙ্গে এমন রসায়ন? তবে এর আগে এক ফ্রেমে কখনও দেখা যায়নি মিমি-শুভশ্রীকে। একবার একটি মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে কাজ করলেও, তখনও শুটিং হয়েছিল আলাদা আলাদা। কিন্তু এবার সব দূরত্ব পেরিয়ে, দুর্গাপুজার স্পেশ্যাল শুটে একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে এলেন তারা— একই কোম্পানির হয়ে ধরা দিলেন এক ফ্রেমে।‘গৃহপ্রবেশ’-এর পর ‘ধূমকেতু’- এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় শুভশ্রী ঝড় তুলেছেন। তবে পুজায় মুক্তি পাচ্ছে মিমির ‘রক্তবীজ ২’ , যেখানে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে বিকিনি লুকে। শুভশ্রী আগেই প্রশংসা করেছেন মিমির ফিটনেস ও স্টাইলের, বলেছিলেন ‘ওকে কুর্নিশ জানাই।

সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন

সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উপমহাদেশের লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। গতকাল রাতে কয়েকবার বমি করেছেন। প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এদিকে, ফরিদা পারভীনের অসুস্থার বিষয়টি বিবেচনা করে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অর্থ সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা যতটা ভালোভাবে করা সম্ভব তা-ই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়-সহ, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাবৃন্দ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে জানায়, শিল্পী ফরিদা পারভীন আগেই থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা ছিল। বর্তমানে তিনি কয়েকবার বমি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা কিছুটা জটিল। সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতে তালিম নেন। সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। শিশুদের লালন সংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা   বর্তমানে আলোচনায় আছেন মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত নতুন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ মাসেই পরিচালনা করবেন বিজ্ঞাপন ও টিভি নাটক নির্মাণে পরিচিত নির্মাতা সাকিব ফাহাদ। ছবিটির অধিকাংশ শুটিং হবে থাইল্যান্ডে, এরপর বাংলাদেশে। পাশপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তানজিন তিশা বলেন, ‘এটা আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে লাভলী একটা মুহূর্ত। আমার মা এটা ২য় সময় কোথাও আদর্শ মা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পায়। কারণ আমি বলবো প্রতিটা আটির্স্ট সন্তানের পেছনে বাবা-মার দায়িত্ব যেমন, বাবা-মার ভারটাও অনেক। সে জায়গা থেকে আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি ঠিকমতো কাজ করছি। শুধুমাত্র আমার মায়ের জন্য। সে জায়গা থেকে মাকে যখন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। তাই আমি খুবই খুশি। ভক্তদের সুখবর দিয়ে তিশা বলেন, ‘আমার দর্শকরা যেটা চায়, আমিও সেটা চাই। আমি সবসময় অপেক্ষা করেছি খুব ভালো বাজেটের কাজের। চেষ্টা করি, বেছে বেছে কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজগুলোর সঙ্গে থাকার। এছাড়া খুব তাড়াতাড়ি আমাকে সিনেমায় দেখা যাবে। আমার দর্শকদের জন্যই আজকে আমি এই অবস্থানে। আমি বিশ্বাস করি, আমার জেনুইন কিছু দর্শক আছে। তাদের জন্যই আমার সবকিছু। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ সবসময় আমাকে এত ভালোবাসা ও সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত, তানজিন তিশার শুরুটা ফ্যাশন শুট ও র‍্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। এরপর রিজভি ওয়াহিদ এবং শুভমিতার গাওয়া ‘চোখেরি পলকে’ মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পান। গানটি লিখেছেন জনপ্রিয় গীতকবি রবিউল ইসলাম জীবন।

ইধিকাই কি শাকিব খানের ঈদের ছবির নায়িকা ?

ইধিকাই কি শাকিব খানের ঈদের ছবির নায়িকা ? নব্বই দশকের ঢাকাকে ঘিরে নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘প্রিন্স’। অ্যাকশন, রোমান্স, আবেগ আর পারিবারিক টানাপোড়েনের মিশেলে তৈরি এ ছবিটি আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে নির্মাতারা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকছেন ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। শাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রথমে ‘সোলজার’ নামে একটি ছবির শুটিং শুরু করবেন। এরপরেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন ‘প্রিন্স’ নিয়ে। যদিও ছবির নায়িকা কে হচ্ছেন, তা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। শোনা যাচ্ছে, নাজিফা তুষির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে, আরেকটি সূত্র বলছে, কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পালকেই নেওয়া হচ্ছে এই ছবির নায়িকা হিসেবে। বিষয়টি নিয়ে ইধিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খোলাসা করেনি কিছুই। শুধু জানান, আমি তো বাংলাদেশের প্রিয়তমা। তারা আমার প্রথম ছবিতে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা ভুলবার নয়। আমি তো সবসময়ই চাই বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করতে। শাকিব খানের মতো বড় মেঘা স্টারের সঙ্গে কাজ করতে। ঢাকাই ছবির দর্শকের কাছে ইধিকার পরিচিতি আসে শাকিব খানের সঙ্গেই। ২০২৩ সালের সুপারহিট ছবি ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর চলতি বছরের রোজার ঈদে ‘বরবাদ’ ছবিতে আবারও শাকিব-ইধিকা জুটি সাফল্য পায়। ঢাকার পাশাপাশি কলকাতাতেও নিয়মিত কাজ করছেন এই নায়িকা। দেবের সঙ্গে তাঁর ‘খাদান’ ছবি দর্শকপ্রিয়তা পায়। আসন্ন দুর্গাপূজায় দেব-ইধিকা জুটিকে আবার দেখা যাবে ‘রঘু ডাকাত’ ছবিতে। এ ছাড়া সোহমের সঙ্গে তাঁর আরেকটি ছবি ‘বহুরূপ’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে, যাঁর গান ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও আলোচনায় থাকেন ইধিকা। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি সিঙ্গেল। প্রেম না করার পেছনে মায়ের কড়া শাসনই বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। ইধিকার ভাষায়, পূজার সময় প্রেম করার সুযোগ পেলেও তা টেকেনি– কারণ, মা কড়া শাসনে সব ভেঙে দিতেন।” তবে হাসিমুখে যোগ করেছেন, এখন উল্টো অবস্থা, কয়েক বছর পর হয়তো মা-ই তাঁকে প্রেম করার পরামর্শ দেবেন। ‘রঘু ডাকাত’ নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ইধিকা। তাঁর মতে, পূজার মুক্তি দিয়েই তিনি বুঝতে পারবেন জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে এবং আগামী দিনে কী কী করার সুযোগ আসবে। তিনি মনে করেন, শিল্পীরা ঝড়-বৃষ্টি কিংবা অসুস্থতা উপেক্ষা করে কাজ করেন কেবল দর্শকদের জন্য, আর দর্শকের ভালোবাসাই আসল পুরস্কার। এদিকে ‘প্রিন্স’-এর গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে সুমন ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। পরিচালনায় থাকছেন আবু হায়াত মাহমুদ। অক্টোবর থেকে শুটিং শুরুর কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, শুটিং এক মাস পিছিয়ে নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল ফিতরে।

ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে পিয়াকে মেসেজ, অতঃপর

ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে পিয়াকে মেসেজ, অতঃপর রুপালি জগতের তারকাদের নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের উন্মাদনার শেষ নেই। অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল তেমনই একটি ঘটনা সামনে আনলেন। এক ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অভিনেত্রীর ইনবক্সে। সেই মেসেজের স্কিনশট ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন পিয়া। নিজেকে পিয়ার ভক্ত দাবি করে এই ব্যক্তি লেখেন, “আমি কোনো বেঈমান অথবা বাজে ছেলে নই। আমি দীর্ঘদিন থেকে আপনার প্রতি খুব বেশি সীমাহীনভাবে দুর্বল এবং আপনার এক অন্ধভক্ত প্রেমিক বন্ধু। আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়ে এই ব্যক্তি লেখেন, “আমার কলিজা থেকে বলছি, চিরদিনের জন্য আপনাকে আমার পার্সোনাল বন্ধু, একান্ত আপনজন ভাবছি। শুধু আপনার আর আমার মধ্যে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। আপনি-আমি ছাড়া আমাদের গভীর প্রেমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পৃথিবীর কেউ জানবে না। আল্লাহর কসম। পিয়ার ফোন নম্বর চেয়ে লেখেন, “প্রতিটি মুহূর্ত আপনার দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি বিশ্বাস করবেন। দয়া করে আপনার ফোন নাম্বার, হোয়াটসআপ নাম্বার দিন—প্লিজ। এসব মেসেজের কোনো উত্তর দেননি অভিনেত্রী পিয়া। শুধু শেষের মেসেজটার পর তিনি একটি ফোন নাম্বার দেন; যা গুলশান থানার নম্বর। পিয়ার এই পোস্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত নেটিজেনরা। অনেকে পিয়ার ‘ভক্তর কাণ্ড’ নিয়ে রসিকতা করছেন। অনেকে বলছেন, কারো আবেগ নিয়ে এমনটা না করলেও পারতেন অভিনেত্রী। একজন লেখেন, “মানুষের আবেগ নিয়ে এভাবে খেলতে হয় না। তার মনে কি আছে হয়তো আপনি জানেন না, আল্লাহ জানেন। আপনি তাকে বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে বলতে পারতেন। এটা পাবলিক করে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি লয়াল!” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহ আবদুল করিমের দুটি গান অনুমতি না নিয়ে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার অভিযোগে টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড এর কাছে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তার পরিবার। ‘রঙিলা বাড়ৈ’ ও ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গান দুটি গ্রামীণফোন লিমিটেড ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের পুত্র শাহ নূরজালালের পক্ষে ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) ২৭ আগস্ট গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে এ নোটিশ প্রদান করেন।ওই নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন অনুমতি, লাইসেন্স বা স্বীকৃতি ছাড়া শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের একটি টিভিসি (ইউটিউবে প্রচারিত) এবং ২০২২ সালের একটি বিজ্ঞাপন (ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত)। কপিরাইটকৃত সংগীত অনুমতি ছাড়া পুনরুৎপাদন ও সম্প্রচার নৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন। জিপির ফোরজি প্রচারণায় ব্যাপক বাণিজ্যিক লাভসহ সংগীতকর্মের অতিরিক্ত বাণিজ্যিক ব্যবহার প্রকৃত কপিরাইটধারীর ক্ষতির বিনিময়ে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শাহ আবদুল করিমের গান অবিলম্বে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ইউটিউব, ফেসবুক টেলিভিশনসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। শাহ আবদুল করিমকে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ কোটি টাকা (প্রতিটি গান অনুযায়ী ১০ কোটি টাকা) প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন আর না করার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এতে বলা হয়েছে- যদি গ্রামীণফোন ৭ দিনের মধ্যে উল্লিখিত দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে শাহ আবদুল করিমের পরিবার কপিরাইট আইন, ২০২৩ অনুযায়ী দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করবে। শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালাল বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। আইন-কানুন অতোটা বুঝিনা। বাবার সব গান কপিরাইট করা আছে। এমনি অনেকেই গান করেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে গান ব্যবহার করলে আমাদের অনুমতি নেওয়াতো উচিত। সেখান থেকে যে আয় হয় তারও একটা অংশ আমাদের দেওয়া উচিত। তা না হলে কেমন হয় বিষয়টা। আইনি নোটিশ প্রদানকারী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের গান কেবল সংগীত নয়, এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের অংশ। ‘রঙিলা বাড়ৈ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ দুটি গান ব্যবহার করেছে গ্রামীণফোন। অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুধু অবৈধ নয়, বরং চরম অসম্মানজনক। আমরা তার উত্তরাধিকার রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।