ধর্মেন্দ্রর ‘মৃত্যুর’ খবরে হেমা মালিনীর ক্ষোভ প্রকাশ

ধর্মেন্দ্রর ‘মৃত্যুর’ খবরে হেমা মালিনীর ক্ষোভ প্রকাশ বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও প্রযোজক ধর্মেন্দ্র সিং দেওল ‘মারা গেছেন’ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সহধর্মিণী হেমা মালিনী। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য! দায়িত্বশীল গণমাধ্যমগুলো কীভাবে একজন ব্যক্তি যিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন তার সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে? এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। অনুগ্রহ করে পরিবার ও তাদের গোপনীয়তার প্রয়োজনীয়তার প্রতি যথাযথ সম্মান জানান।’ শ্বাসকষ্টের কারণে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ধর্মেন্দ্র। এরমধ্যেই হঠাৎ প্রবীণ এই অভিনেতার মৃত্যুর ভুয়া খবর স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর সংবাদটি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে এশা দেওল। তিনি জানিয়েছেন, বাবা সুস্থ হয়ে উঠছেন। মিডিয়ায় বাবার মৃত্যুর খবরে ক্ষুব্ধ এশা দেওল ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লেখেন, ‘মিডিয়াগুলো অতিরিক্ত প্রচারণা চালাচ্ছে। মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল। সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমরা সকলকে আমাদের পারিবারিক গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি। বাবার দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ।’
‘জীবনকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না’- ব্ল্যাকপিঙ্কের রোজ

জীবনকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না- ব্ল্যাকপিঙ্কের রোজ গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম ঘোষণার সময় টিভির পর্দায় নিজের নাম শুনতেই আনন্দে ফেটে পড়েন কোরিয়ান পপ তারকা ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের রোজ। আপ্লুত হয়ে রোজ বলেই দিলেন, ‘আমি আমার জীবনকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না! সবকিছু বুঝে উঠতে এখনো সময় লাগছে।’ গত ৭ নভেম্বর ঘোষিত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকায় শুধু এক বিভাগে নয়, রোজের নাম উঠে এসেছে তিন বিভাগে। রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার এবং বেস্ট পপ ডুয়ো/ গ্রুপ পারফরম্যান্স বিভাগে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে কে-পপ তারকা হিসেবে বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রোজ। তিনিই গ্র্যামিতে মনোনয়ন পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী শিল্পী। আর তার এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে তার ‘আপাতে’ গান দিয়ে। গানটিতে রোজের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্রুনো মার্স। গত বছর প্রকাশ পাওয়া রোজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘রোজি’তে ছিল গানটি। প্রকাশের পর থেকেই ইউটিউব থেকে বিলবোর্ডের টপ লিস্ট—সবখানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয় আপাতে। ফলে রোজে যে এবার গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেতে পারেন, এ জল্পনা ছিল বছরজুড়ে। অবশেষে সে ধারণাই সত্যি হয়ে ধরা দিল। ব্যাড বানি, সাবরিনা কার্পেন্টার, দোয়েচি, বিলি আইলিশ, লেডি গাগা, কেনড্রিক লামারদের পেছনে ফেলে রোজে যদি এবার সত্যিই গ্র্যামি জিতে যান; তাহলে সেটা হবে কে-পপের ইতিহাসে আরেকটি বড় অর্জন।
‘কফি উইথ করণে’ কোহলিকে কখনো আমন্ত্রণ জানাননি করণ

‘কফি উইথ করণে’ কোহলিকে কখনো আমন্ত্রণ জানাননি করণ ভারতের জনপ্রিয় টক শো ‘কফি উইথ করণ’–এ কেন কখনো দেখা যায়নি দেশের অন্যতম বড় ক্রীড়া তারকা বিরাট কোহলিকে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভক্তদের কৌতূহল। অবশেষে সেই রহস্যের জট খুললেন শো-এর হোস্ট ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর। সম্প্রতি সানিয়া মির্জার পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করণ জানান, ২০১৯ সালে ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া ও কেএল রাহুলকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের পর তিনি আর কোনো ক্রিকেটারকে শোতে আমন্ত্রণ জানানোর ঝুঁকি নেননি। আর সেই কারণেই বিরাট কোহলিকেও কখনো ডাকেননি। ২০১৯ সালের সেই পর্বে হার্দিক ও রাহুল কয়েকটি অশালীন ও নারী-বিদ্বেষী মন্তব্য করেন, যা মুহূর্তেই চরম সমালোচনার জন্ম দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া, জনমতের চাপ, এমনকি বিসিসিআইয়ের শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় দুই ক্রিকেটারই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তারা, আর পর্বটি সরিয়ে দেওয়া হয় ডিজনি+ হটস্টার থেকে। ওই ঘটনার দায় নিজের ওপর নিয়েই করণ বলেন, ‘আমি বিরাটকে কখনো আমন্ত্রণ জানাইনি। হার্দিক+রাহুলের ঘটনার পর আমি আর কোনো ক্রিকেটারকে ডাকতে চাইনি। অনেকেই আছেন, যাদের আসার সম্ভাবনাই ছিল না, তাই কখনো চেষ্টা করিনি।’ সানিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় করণ আরো জানান যে, ২০১৯ সালের ঘটনার পর তিনি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আঘাত পেয়েছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমার সত্যিই খারাপ লেগেছিল। ওরা যা বলেছিল, সেটা যে এত বড় বিতর্কে রূপ নেবে, তা আমি ভাবিনি। শো হোস্ট করার দায়বদ্ধতা সম্পর্কে তখনই বড় শিক্ষা মিলেছে।’
ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি

ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। তার ভাই বিক্রান্ত কুমার জেটলিকে গ্রেপ্তার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক বছরের বেশি সময় ধরে আবুধাবিতে আটক রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর বিক্রান্ত কুমার জেটলি। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেলিনা। ভাইয়ের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন এই অভিনেত্রী। সেলিনা জেটলি তার ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী বলেন, “আমার ডাম্পি, আশা করি তুমি ভালো আছো, আশা করি তুমি জানো আমি তোমার পাশে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছি। আশা করি তুমি জানো, আমি একরাতও তোমার জন্য না কেঁদে ঘুমাতে পারি না।” ভাই বিক্রান্তের দেশে ফেরার অপেক্ষায় সেলিনা। এ অভিনেত্রী বলেন, “তুমি জানো, তোমার জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করতে পারি। আশা করি তুমি জানো, আমাদের মাঝে কেউ কখনো আসতে পারবে না। আশা করি তুমি জানো, আমি কোনো প্রচেষ্টা বাকি রাখিনি। আশা করি, ঈশ্বর তোমার ও আমার প্রতি দয়া দেখাবেন। আমার ভাই, তোমার অপেক্ষায় আছি।” যথাযথ আইন ও চিকিৎসাসেবা ছাড়াই মেজর বিক্রান্ত জেটলিকে আবুধাবিতে আটক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে জেটলির পরিবার। জেটলি পরিবারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন রাঘব কাক্কর। রাঘব কাক্কর বলেন, “সরকার একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছেন, যাতে আবেদনকারী ও তার ভাইয়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হয়, কার্যকর আইনগত সহায়তা প্রদান করা যায় এবং মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আমাদের আপডেট দেওয়া হয়…। এই পদক্ষেপগুলো তার মুক্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এটি ভারত ও ইউএই-এর সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে।” দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে নোডাল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেলিনা জেটলির পক্ষ থেকে আইনজীবী রাঘব কাক্কর ও মাধব আগরওয়াল উপস্থিত থাকবেন। পরিবারের তথ্যমতে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বিক্রান্ত কুমার জেটলি চতুর্থ প্রজন্মের সেনা কর্মকর্তা। বিশেষ বাহিনীতে (স্পেশাল ফোর্সেস) কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) জাতীয় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে বিক্রান্তকে আটক করা হয়। ২০০১ সালে ‘জানশীন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সেলিনা জেটলির। অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের মাঝপথে আকস্মিকভাবে বিয়ে করেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। তারপর অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন ৪৩ বছর বয়সি এই নায়িকা।
‘যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি’

‘যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি’ ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ব্যক্তিগত জীবনে ছোট পর্দার অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেতা। অবসর পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এই যুগল। বিলাসবহুল ভাবে সময় কাটানো নয়, বরং পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটানোই এই দম্পতির মূল উদ্দেশ্য। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঋত্বিকের স্ত্রী অপরাজিতা ঘোষ। এ আলাপচারিতায় স্বামীর সঙ্গে তার রসায়ন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের ‘কমলিনী’। ধারাবাহিকের কমলিনীর মতোই বাস্তব জীবনেও সংসার আগলে রেখেছেন এই অভিনেত্রী। অপরাজিতা ঘোষ বলেন, “ঋত্বিকের সঙ্গে আমার সম্পর্কের ফাউন্ডেশন বন্ধুত্বের। অনেক বছর আগে আমরা বন্ধু ছিলাম, মাঝে আমাদের বিয়ে হয়েছে ঠিকই, এখনো আমরা বন্ধু। আশা করি, আগামী দিনেও এই বন্ধুত্বের সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।” ব্যাখ্যা করে অপরাজিতা ঘোষ বলেন, “ব্যাপারটা খুব কঠিন তা কিন্তু নয়। এটা আমাদের সহজাত ধর্ম। ২৪ ঘণ্টা একটা মানুষের সঙ্গে থাকার পর আবার সেই মানুষটার সঙ্গেই আমার থাকতে ইচ্ছা করে। এই মানুষটার সঙ্গে আমি ভীষণ বুড়ো হতে চাই। কার কী হয় জানি না, তবে আমাদের এমনটাই লাগে।” স্বামী ঋত্বিকের সঙ্গে মনোমালিন্যর কথা স্বীকার করে অপরাজিতা ঘোষ বলেন, “অন্য যেকোনো দম্পতির মতো আমাদের মধ্যেও কথা কাটাকাটি হয়, মতবিরোধ হয়। এটা স্বাস্থ্যকর। যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি। এটা ভীষণ স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে তার মানে এই নয় যে, আমরা একে অপরের মতকে সম্মান করি না। আমরা নিজেদের মতামত বলি এবং তারপর মাঝামাঝি একটা জায়গায় আসি। অনেক সময় এমনও হয় যে, আপনাদের একে অপরের মতই ঠিক বলে মনে হয়।” ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঋত্বিক ঘোষ ও অপরাজিতা। এ দম্পতির উপমন্যু নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক- আরিফিন শুভ

ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক- আরিফিন শুভ পর্দায় তারকারা যতই ঝলমলে দেখাক না কেন, পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য পরিশ্রম, হতাশা আর সংগ্রাম- শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন দিতে এসে নিজের জীবনের সেই হতাশা আর সংগ্রামের গল্পই শোনালেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সম্প্রতি মোটিভেশনাল ট্রেইনার ডন সামদানির একটি ইভেন্টে উপস্থিত হয়ে শুভ জানালেন, তার নায়ক হয়ে ওঠার পথ একেবারেই সহজ ছিল না। মডেলিং দিয়ে শুরু হলেও তারও আগে শুভ কাজ করতেন প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের ইউনিটে পরিচালকের সহকারী হয়ে ছোটখাটো কাজ করতেন তিনি।নিজের সেই সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নায়ক বলেন, ‘এক সময় আমি প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতাম। মানে শুটিংয়ে ডিরেক্টর-শিল্পীদের আদেশ পালন করতাম। যেমন, এই এদিকে আয়, এই পানি দে, এই আর্টিস্টের স্যান্ডেল মোছ- এসব অর্ডার পালন করতাম।’ তারপর এক শুটিংয়ের স্মৃতি টেনে শুভ আরও বলেন, ‘একটা বিজ্ঞাপনের কাজ ছিল। সেই বিজ্ঞাপনে ডন ছিলেন মডেল আর আমি ছিলাম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। কিন্তু আমার স্বপ্নটা বড় ছিল, তাই সেখান থেকে উঠে আজ আমি নায়ক হয়েছি।’মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা আরিফিন শুভ পরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেন। ২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’সহ একাধিক সফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন শুভ। এছাড়াও সম্প্রতি বলিউডের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেও আলোচনায় এসেছেন অভিনেতা।
গোঁফওয়ালা নয়া লুকে শাকিবকে দেখে ভক্তদের উল্লাস

গোঁফওয়ালা নয়া লুকে শাকিবকে দেখে ভক্তদের উল্লাস একটি সুপারশপের সামনে দিয়ে বয়ে গেছে পাকা রাস্তা। তার ওপরে দাঁড়িয়ে অগণিত মানুষ। কখনো শিস বাজাচ্ছেন, কখনো ‘উই লাভ শাকিব খান’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শো রুমের শাটার ধীরে ধীরে উঠছে, অপর প্রান্তে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছেন। সময়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটিকে পুরোপুরি দেখা যায়, আর তাকে দেখেই উল্লাস করতে থাকেন উৎসুক জনতা। কারণ দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি অন্য কেউ নেন, ঢালিউড কিং শাকিব খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। তবে শাকিব খানকে একদম নয়া লুকে দেখা যায়। গোঁফওয়ালা শাকিব খানকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও। দেলোয়ার নামে একজন লেখেন, “কিরে বাবা বয়স খালি কমে, বাড়ে না।” মুন্না লেখেন, “বস।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়। কিছু দিন আগে প্রকাশিত হয়েছে শাকিব খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সোলজার’ এর লুক; যা বিশেষভাবে নজর কাড়ে। সেই লুকেই শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানীতে একটি সুপারশপের আউটলেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন শাকিব খান। তার যাওয়ার খবরে বনানীতে ভিড় করেন ভক্ত-অনুরাগীরা। নিঃসন্দেহে বলা যায়, ক্যারিয়ারে দারুণ সময় পার করছেন শাকিব খান। বাংলা চলচ্চিত্রের শীর্ষ এই নায়ককে নিয়ে নির্মাতা সাকিব ফাহাদ নির্মাণ করছেন ‘সোলজার’ সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তি পাবে।
ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রকাশ রাজ, সোচ্চারমোদির বিরুদ্ধে

ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রকাশ রাজ, সোচ্চার মোদির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বললেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রকাশ রাজ। তিনি ফিলিস্তিনের মর্মান্তিক এই যুদ্ধাবস্থার জন্য ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন। ভারতের তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ। বিভিন্ন দ্রাবিড়পন্থী রাজনৈতিক নেতা, চলচ্চিত্র তারকা ও ইসলামপন্থী সংগঠনের নেতা এই কর্মসূচির আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করা হয়। অভিনেতা প্রকাশ রাজ ছাড়াও এতে যোগ দেন অভিনেতা সত্যরাজ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ভেত্রিমারনসহ আরো অনেক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রকাশ রাজ বলেন, ‘যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাকে রাজনীতি বলা হয় তবে হ্যাঁ, এটি রাজনীতি এবং আমরা কথা বলবই। যুদ্ধ শেষ হবে, নেতারা হাত মেলাবেন এবং চলে যাবেন কিন্তু কোনো এক জায়গায় একজন মা তার ছেলের জন্য, একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য এবং শিশুরা তাদের বাবার জন্য অপেক্ষা করবে। এটাই হলো সত্য।’ প্রকাশ রাজ ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে বর্তমানে যে অবিচার চলছে, তার জন্য শুধু ইসরায়েল নয়, আমেরিকাও দায়ী। আর নরেন্দ্র মোদির নীরবতাও সমানভাবে দায়ী।’ অভিনেতা সত্যরাজ গাজায় চলমান হত্যাকাণ্ডকে অমানবিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে নিন্দা জানান। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কিভাবে গাজায় বোমা ফেলা হয়? মানবতা কোথায়? এমন নৃশংসতা করার পর এসব মানুষ কিভাবে শান্তিতে ঘুমায়?’ চলচ্চিত্র নির্মাতা ভেত্রিমারন ফিলিস্তিনের আগ্রাসনকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় শুধু আবাসিক এলাকা নয়, স্কুল এবং হাসপাতালেও বোমা ফেলা হচ্ছে। এমনকি জলপাই গাছগুলোও ধ্বংস করা হচ্ছে, যা মানুষের জীবন-জীবিকার একটি উৎস।’
লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্মরণীয় জুবিনের শোকযাত্রা

লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্মরণীয় জুবিনের শোকযাত্রা ভারতীয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মৃত্যুতে হতবাগ তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সিঙ্গাপুর থেকে তার মরদেহ আসামে পৌঁছানোর পর কার্যত থমকে যায় রাজ্যটি। লাখ লাখ শোকাহত ভক্ত -অনুরাগীরা গুয়াহাটিসহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে গিয়ে ভিড় করে; তৈরি হয় ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। শহরের রাস্তাগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে, ভালোবাসার জোয়ারে ভেসে আসা মানুষের স্রোতে, যারা শেষবারের মতো তাদের প্রিয় তারকাকে একনজর দেখতে এসেছিলেন। বিভিন্ন হৃদয় ছোঁয়া উপায়ে শ্রদ্ধা জানায় জুবিনকে। গান, অশ্রু, প্রার্থনা এবং নিঃশব্দ অভিবাদনে—যা প্রতিফলিত করে জুবিন গার্গের প্রতি মানুষের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। লিমকা বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, জুবিন গার্গের শোকযাত্রায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এই নজিরবিহীন জমায়েতকে স্বীকৃতি দিয়েছে লিমকা বুক অব রেকর্ডস। আনুষ্ঠানিকভাবে জুবিন গার্গের শোকযাত্রাকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসমাগম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর আগে বিশ্বের তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন। যথাক্রমে তারা হলেন—সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন, পোপ ফ্রান্সিস এবং রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়। দিল্লি থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জুবিনের মরদেহ। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জুবিনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। এসময় গায়কের স্ত্রী গরিমা গার্গ স্বামীর কফিন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেবল গরিমাই নন, জুবিনের অসংখ্য ভক্তকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। গুয়াহাটির প্রতিটি কোণ কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছিল, মানুষ মেনে নিতে পারছিল না জুবিনহীন এই বাস্তবতাকে। তবু লিমকার এই স্বীকৃতি জুবিন গার্গকে কেবল আসামের গায়ক, অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়, বরং জনগণের এক মহাতারকা হিসেবে চিরস্মরণীয় করে রাখল, যার প্রভাব সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। ‘কিং অব হামিং’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুর যান জুবিন গার্গ। এ উৎসবের একজন প্রতিনিধি এনডিটিভি-কে বলেন, “স্কুবা ডাইভিংয়ের সময়, জুবিন গার্গ শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। তারপর দ্রুত তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল আড়াইটা নাগাদ জুবিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।” জুবিন গার্গের শেষকৃত্য মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী।
ইমরান হাশমির সঙ্গে ভাইরাল-নেপথ্যের ঘটনা জানালেন রাঘব

ইমরান হাশমির সঙ্গে ভাইরাল-নেপথ্যের ঘটনা জানালেন রাঘব শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের অভিষেক সিরিজ ‘দ্য ব্যাডস অব বলিউড’ দিয়েই আলোচনায়। মুক্তির পর থেকেই ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিরিজটি। তবে সিরিজটিতে অভিনয় করা ইমরান হাশমি ও রাঘব জুয়েলের একটি দৃশ্য নিয়ে অন্তর্জালে চলছে তুমুল আলোচনা। এবার সেই দৃশ্যের নেপথ্যের ঘটনা শোনালেন রাঘব। সিরিজের গল্প অনুযায়ী, রাঘব অভিনীত চরিত্র পারভেজ ইমরান হাশমীর অন্ধভক্ত। ওই নির্দিষ্ট দৃশ্যটিতে দেখা যাচ্ছে, ইমরান হাশমির সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্রই রাঘব গেয়ে উঠেন তার সিনেমার জনপ্রিয় হিট গান ‘কাহো না কাহো’। আর এই দৃশ্যটিই মন কেড়েছে দর্শকের, অন্তর্জালে মুহূর্তেই ভাইরাল। কীভাবে ওই দৃশ্যের জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন রাঘব? অভিনেতার কথায়, ওই দৃশ্যের যে প্রতিক্রিয়া তিনি পাচ্ছেন, তেমনই আশা করেছিলেন। আরিয়ানও তেমনই মনে করেন। রাঘব জুয়েল বলেন, “দৃশ্যটির কারণে ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি আর আরিয়ান যদিও এমনটাই আশা করেছিলাম। সিরিজটিতে এই চরিত্রের জন্য প্রচুর খেটেছি এবং নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি। খুব মজাও পেয়েছি।” রাঘব আরো বলেন, “শূট শুরু হলো, ইমরান স্যার এলেন, আমি তো কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলাম! এরপর সেটা এরকম একটা দৃশ্যে পরিণত হলো— খুব মন দিয়ে কাজটা করেছি।” দৃশ্যে তিনি গানের আরবি অংশও নকল করে গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মজার আবহেই ওই দৃশ্য তৈরি হয়েছে, এবং পর্দায় রাঘবের চোখে পানিও দেখা গেছে।